Monday, October 6, 2014

যৌনতার টুকিটাকি

কিভাবে যৌনতাকে আরও উৎকর্ষতর করে তোলা যায়। মানুষ এর অনুসন্ধান শুরু করেছিল সেদিন হতে যে শুভ মুহর্তটিতে তার মানব প্রেয়সীর সাথে যৌনতার শুভ সুযোগ এসেছিল। যৌনতার মত উপভোগ্য দ্বিতীয় আর কিছুই নেই। যৌনতার মাঝেই নাকি স্বর্গীয় সুধার দোয়া পাওয়া যায়। এ কারণে মানুষ যৌনতার প্রথম দিন হতে সে অমৃত উপাদানটির সন্ধান করেছে যা তার যৌনক্ষমতাকে আরও উৎকর্ষতর করে তুলবে যাতে সে অনেক বেশি তৃপ্তি নিয়ে যৌনতাকে উপভোগ করতে পারবে। সে যৌনতা বৃদ্ধিকারক অমৃত উপাদানটি কি? এ কৌতহল সার্বজনীন!...

 ১। সব কথার শেষ কথা!
কিভাবে যৌনতাকে আরও উৎকর্ষতর করে তোলা যায়। মানুষ এর অনুসন্ধান শুরু করেছিল সেদিন হতে যে শুভ মুহর্তটিতে তার মানব প্রেয়সীর সাথে যৌনতার শুভ সুযোগ এসেছিল। যৌনতার মত উপভোগ্য দ্বিতীয় আর কিছুই নেই। যৌনতার মাঝেই নাকি স্বর্গীয় সুধার দোয়া পাওয়া যায়। এ কারণে মানুষ যৌনতার প্রথম দিন হতে সে অমৃত উপাদানটির সন্ধান করেছে যা তার যৌনক্ষমতাকে আরও উৎকর্ষতর করে তুলবে যাতে সে অনেক বেশি তৃপ্তি নিয়ে যৌনতাকে উপভোগ করতে পারবে। সে যৌনতা বৃদ্ধিকারক অমৃত উপাদানটি কি? এ কৌতহল সার্বজনীন!

এ নিয়ে নানান মুনির নানান মত। বাঘের দুধ বা গন্ডারের শিং হতে তৈরি পাউডার-এর মত দুষ্প্রাপ্য নমুনাও এসেছে এ অমৃতের সূত্র ধরে। এ অমৃত উপাদানটির যদি তালিকা তৈরি করা হয় তা কখনো শেষ করা যাবেনা। এ নানান উপাদানগুলো কি আসলেই যৌনতার উপর কোনো প্রভাব রেখে থাকে? আসলে এগুলো কাজ করে কিনা সে সম্পর্কে কোনো প্রকারের বিজ্ঞান গবেষণা চালানো হয়নি। সুতরাং আসল তথ্য সবার কাছে অজানা রয়ে গেছে। পুরো ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে স্রেফ অনুমান নির্ভর। যেমন- পুরুষাঙ্গের সাথে আকারগত সাদৃশ্যতা আছে বলে ধারণা করা হয়। কলা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক। খোঁজ নিলে আশেপাশে এ ধরনের হাজারো উদাহরণ পাবেন। সমস্যা হলো- মানব মনের দুর্বল দিক বাণিজ্যের কাছে পড়ে যায় বারংবার। যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর এ কথিত অমৃত উপাদানটিকে ঘিরে অসপষ্টতা আর রহস্যময়তা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত নানান প্রবঞ্চনা আর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দেয়। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনে পণ্যের যৌনতা উৎকর্ষতাকারক ক্ষমতার উদ্ধৃতি দেন প্রায়ই। দুর্বল মানব মন ক্রমশ এর দিকে ঝুঁকতে থাকে। ক্রমে ক্রমে অবস্থা এমন দাঁড়ায় প্রায় সব পণ্যরাই এ মহাগনের অধিকারী হতে দেখা দেয়। এমন ঘটনা ঘটেছিল পাশ্চাত্যের মার্কিন বাজারে। ব্যাপারটা এতটা ব্যাপক রূপ নেয়, শেষ পর্যন্ত মার্কিন খাদ্য আর ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এফ ডি এ (ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশান) কে এতে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ১৯৯০ সালের ৬ জানুয়ারি এ প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দেয় যে কোনো ধরনের পণ্য তা ওষুধ বা খাবার যেমনটিই হোক তাতে ‘যৌনতা উদ্দীপক’ বা ‘যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিকারক’ এ জাতীয় কোনো মন্ত্রব্য যেনো লেখা না থাকে। কতৃপক্ষের ভাষ্য হলো যৌনক্ষমতা সত্যিকারভাবে বাড়াতে পারে এ জাতীয় কোনো ওষুধ লোশন বা উপাদান এখনো তৈরি হয়নি।

২। অবশেষে সমাধান!
সিফিলিস! এক নামেই সবার কাছে পরিচিত। যৌনবাহিত রোগ বিধেয় এটিকে ঘিরে সবারই কমবেশি কৌতূহল। এ রোগের ইতিহাস বেশ পুরনো। ইউরোপীয়ানরা পঞ্চদশ শতাব্দী হতে এর সাথে পরিচিত হয়ে আসছে। যৌনসঙ্গম দ্বারা যে এ রোগ ছড়ায় এটি তাদের ধারণা ছিল কিন্তু্তু এটি যে এক ধরনের জীবাণু ঘটিত সেটি এখনও আবিষকৃত হয়নি। সে সময়ে সিফিলিসকে ঘিরে ইউরোপীয়ান নানান দেশের মাঝে একটা সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এ রোগটির জন্য তারা একেক জন একেক জনকে দোষারোপ করতে থাকে, কেউ এর দায়িত্ব নিতে চায় না।
মজার ব্যাপার হলো- সিফিলিস নামকরণের আগে রোগটিকে ইউরোপের একেক দেশে একেক নামে ডাকা হত। ফরাসীরা এ রোগটির নাম দিয়েছিল নেপলস রোগ। সে সময়ে ইতালীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহরটির নাম ছিল নেপলস। ইতালীয়রা বলতেন ফ্রান্স ডিজিস নামে। ইতালী আর ফ্রান্সের এ পারসপরিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির মত অবস্থা ছিল সেপন আর ইংল্যান্ডের মধ্যে। ইংল্যান্ডবাসী এর দোষ সেপনিশদের উপর চাপাতেন। সেপনিশরাও স্বভাবতই ইংল্যান্ডের উপর এ অপবাদ দিতেন সুতরাং নাম দেয়ার বেলাতে ইংল্যান্ডবাসীরা বলতেন সেপনিশ রোগ আর সেপনীয় বলতেন ‘ইংলিশ রোগ’ পরসপরের দিকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি কতটা মারাত্মক আকার নিয়েছিল এটি তার একটা নমুনা।
এ জাতিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি অবশ্য বেশি দিন ছিল না। এক ইতালীয় কবি এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটান। অবশ্য তিনি নিজে মাথা পেতে নেন নি বা আর কারোর উপর চাপাননি। তিনি ১৫৩০ সালে মেষ পালককে নিয়ে একটা কবিতা রচনা করেন। ঐ মেষপালকের নাম ছিল সিকাইলাম। কবিতার ঘটনা ছিল- দেবতা এপেলোকে অপমান করার কারণে দেবতা এ রাখাল মেষপালককে এ রোগের অভিশাপ দেয়। রাখাল সিকাইলাম এ ধীকৃত রোগে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান। তখন থেকে এ রোগের নাম হয় সিফিলিস। যাক, অবশেষে সবারই রক্ষে!

৩। অবিশ্বাস্য সত্র
আমরা এতদিন শুনে এসেছি আমাদের মনের যে যৌন শিহরণ বোধ তার মল উৎস হল সেক্স হরমোন; পুরুষদের বেলাতে টেস্টোস্টেরন আর মহিলাদের বেলাতে এস্টোজেন প্রজেস্টেরন। পুরুষ আর মহিলাদের বেলাতে যথাক্রমে শুক্রাশয় আর ডিম্বাশয় এ সেক্স হরমোনের ক্ষরণের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ সেক্স হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীর দেহে সেকেন্ডারি সেক্স বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটে। যৌবনের বন্যা বয়ে যায়। এটি একদম স্বতঃসিদ্ধ।
সাম্প্রতিক গবেষকরা এর পাশাপাশি এক অভিনব নতুন তথ্য দিচ্ছেন। আমাদের মনের যৌনতাড়না বোধ বা লিবিডো এর মল নিয়ামক হলো এ টেস্টোস্টেরন বা টেস্টোস্টেরনজাত ক্ষরণগুলো। শেষোক্তগুলোকে এন্ডোজেনও বলা হয়। এটি পুরুষ আর মহিলা দু’জনার বেলাতেই প্রযোজ্য। লিবিডো শব্দের পারিভাষিক অর্থ হলো যৌন কামনা বাসনা। মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড এ লিবিডোকে মানবের মল চালিকা শক্তি বলে এমন অভিমতও করেছিলেন। পুরুষ দেহে না হয় শুক্রাশয় হতে ক্ষরিত হয়ে সহজাতভাবে বর্তমান থাকে এ টেস্টোস্টেরন। মহিলা দেহে টেস্টোস্টেরন বা এন্ড্রোজেন আসবে কোথা হতে? তাহলে মহিলাদের লিবিডো নিয়ন্ত্রিত হয় কিভাবে? গবেষকরা মহিলাদের রক্তস্রোতে সক্ষ্ম মাত্রার এন্ড্রোজেনের উপস্থিতি দেখেছেন- এর মাত্রা পুরুষদের তুলনায় হাজার ভাগেরও কম। এত কম মাত্রার এন্ড্রোজেন কি শারীরবৃত্তীয় প্রভাব রাখতে পারে? অথচ পুরুষ আর নারীর লিবিডোর মাঝেতো বিস্তর ফারাক নেই। এতটা সক্ষ্ম মাত্রার এন্ড্রোজেন নিয়ে মহিলারা পুরুষদের সমপর্যায়ের লিবিডোর অধিকারী হলো কিভাবে?
গবেষকরা এ প্রশ্নের জবাব দেন ভিন্ন আঙ্গিকে। গবেষকদের ব্যাখ্যা মহিলা দেহে ক্ষরিত টেস্টোস্টেরন আর এন্ড্রোজেন মাত্রা কম হতে পারে, কিন্তু্তু মহিলা দেহ এর প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। একারণে সক্ষ্ম মাত্রাও অনেক বেশি শারীরবৃত্তীয় প্রভাব তৈরি করে থাকে, মহিলা দেহের এড্রিনাল কটেক্স নামের হরমোন গ্রন্থ্থি হতে এ এন্ড্রোজেন ক্ষরিত হয়। (পুরুষ আর মহিলা উভয়ের বেলাতে ডান বা বাম উভয় বৃক্কের উপরিভাগে এড্রিনাল কটেক্স হরমোন গ্রন্থ্থি  বিদ্যামান।) পাশাপাশি ডিম্বাশয় নিজেও সামান্য মাত্রার টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ করে থাকে।
এ সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত তথ্যের ব্যবহারিক প্রয়োগ হচ্ছে রজনিবৃত্তি পরবর্তী হরমোন থেরাপিতে। রজনিবৃত্তিকালে অনেক মহিলা যৌন ইচ্ছে কমে যাবার কথা বলে থাকেন। সাম্প্রতিককালে মহিলাদের রজনিবৃত্তিকালীন হরমোন থেরাপিতে ইস্ট্রোজেন আর প্রজেস্টেরন পাশাপাশি পুরুষ সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে নাকি হরমোন থেরাপির উপযোগিতা অনেক বেশি বেড়ে যেতে দেখা গেছে।

৪। পর্দার অন্তরালে
পঞ্চাশের দশক হতে আলফ্রেড কিসে মানুষের যৌনাবরণের উপর যে গবেষণা শুরু করেছিলেন, তা আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত নানান নতুন নতুন তথ্য উন্মোচিত করছে। তা আমাদেরকে এমন সব তথ্যের মুখোমুখি করছে যার অনেকগুলো আমরা কখনো কল্পনাতেই আনিনা। হোমোসেক্সুয়ালিটি বা সমকামিতা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? সবারই একদম বদ্ধমল বিশ্বাস সমকামিরা পায়ুকাম চর্চা করে থাকে আর এটিই তাদের একমাত্র যৌনতা। যৌনসমীক্ষকদের চালানো গবেষণাতে দেখা গেছে, পায়ুকাম কিন্তু্তু সমকামিদের মুখ্য বা একমাত্র যৌনতা নয়, যে যৌনতা তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হল মাস্টারবেশন পক্রিয়াতে পরসপরকে উত্তেজিত করে তোলা। এটিকে যৌন বিজ্ঞানের পরিভাষাতে ‘মিউচুয়াল মাস্টারবেশন’ বলা হয়। সমীক্ষণে আরেকটি লক্ষণীয় দিক হলো পায়ুকাম চর্চা কেবলমাত্র সমকামীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ দম্পতিদের অনেকেই এটির কমবেশি চর্চা করে থাকেন। অন্তত গবেষণাতে এটি দেখা গেছে। সমকামীদের যে পারসপরিক স্বমেহন বা মিউচুয়াল মাস্টারবেশনে- এটিতো পুরুষ আর নারী সমকামী দু’জনার বেলাতে সমভাবেই চর্চা করতে দেখা যায়। নারী সমকামিদের বেলায়তো পায়ুকামের কোনো অবকাশ নেই, সুতরাং ওদের নিয়ে আমাদের ধারণাটি নিয়ে পুনর্বার বিবেচনা করা উচিত।
সাধারণদের মাঝে যারা এ পায়ুকাম চর্চা করে থাকেন তারা কারা? তাদের সংখ্যাই বা কেমন? আমেরিকার বহুল প্রচারিত নারী পত্রিকা বেডবুক ম্যাগাজিন পরিচালিত গবেষণাতে এক লক্ষ মহিলার সমীক্ষণ নেয়া হয়। এতে অংশ নেয়া মহিলাদের তেতালিস্নশ শতাংশ স্বীকার করেছে তারা দাম্পত্য যৌনতায় অন্তত একবার এটির চর্চা করেছেন। যারা এটির চর্চা করেছেন তাদের চলিস্নশ শতাংশের অভিমত- এ পায়ুকাম যৌনতা বেশ উপভোগ্য, অন্তত ভিন্ন স্বাদের। পঞ্চাশ শতাংশের ভাষ্য-তারা এর মাঝে কোনো বিশেষ স্বাদ পাননি। দশ শতাংশের অভিমত তারা নিতান্ত অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র স্বামীদের পীড়াপিড়িতে এতে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন। এ সমীক্ষণ তথ্য আশা করি পাঠকদের পর্দার অন্তরালের কিছু তথ্য সম্পর্কে অবগত করে তুলবে।

৫। গোপন এক স্পট!
অপরাধ জগত, কালোবাজার বা খুন রাহাজানির কোনো গোপন সপট এটি নয় অথবা নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত কোনো পিকনিক সপট এটি নয়। ডঃ লাডাস, ডঃ পেরি আর ডঃ ইতপলি নামের তিনজন গবেষক এ সপটকে বিশ্বজনতার কাছে পরিচিত করে তোলেন। নারী দেহ মানচিত্রে এর অবস্থান। অবশ্যই গোপনীয় কারণ গোপনাঙ্গে এর অবস্থিতি। কৌতূহল মানব মনে এ সপটের আবিষকার তোলপাড় করে তোলে সারা বিশ্বজুড়ে। এ সপটের নাম ‘জি সপট’ সাংকেতিক নাম। গবেষক নারী যৌনাঙ্গের যোনি গাত্রে লুকানো অতিমাত্রায় সংবেদনশীল জায়গা খুঁজে পান। যখন যৌনাঙ্গের এ অংশটি উদ্দীপিত করা হয় তা নারীর মাঝে চরমপুলকের অনুভূতি আর শিহরণ জাগায়। গবেষকত্রয় এর অবস্থানের একদম সক্ষ্ম হিসেব বাতলে দিয়েছেন-এটি যোনির অগ্রবর্তী গাত্রের মাঝে অবস্থান করে যা মুখ হতে পাঁচ সেঃমিঃ পরিমাণ ভেতরে থাকে। আকারে শিমের বিচির মত হলেও যৌন উত্তেজনায় এর আকার বেড়ে যায়। এ সপটের আবিষকার এতদিনকার প্রচলিত নানা তত্ত্বকে পাল্টে দিয়েছে। অর্গাজমকে ঘিরে মনোগবেষক সিগমন্ড ফ্রয়েড দেয়া যে তত্ত্ব আলফ্রেড কিংসে পঞ্চাশের দশকে বাতিল করে দেন আশির দশকে এ জি সপট আবিষকার ফ্রয়েড তত্ত্বকে নতুন গ্রহণযোগ্যতা দান করেছে। এতো গেলো এক দিকের ব্যাপার। অপরদিকে যৌন সমীক্ষকদের মাঝেও এ নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। একদল তো এ সম্পর্কিত সপটের উপস্থিতিই মানতে রাজি নন। অন্যদের অভিমত নারী যৌনাঙ্গে এ জি সপট থাকতে পারে কিন্তু্তু সবার মাঝে নেই। এক গবেষক মাত্র দশ শতাংশ মহিলাদের বেলাতে এর উপস্থিতির কথা বলেছেন। অপর একদল বলেন প্রতি তিনজনে দু’জন মহিলার বেলাতে এর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। গবেষকত্রয় এ নানান বিতর্ক সম্পর্কে অভিমত দেন ঠিক এভাবে কোনো নারীর যৌনাঙ্গে এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রব্য করতে গেলে প্রথমেই দেখতে হবে তার যৌন দৃষ্টিভঙ্গি আর যৌন সচেতনতা কেমন? এ কারণেই যতই দিন যাচ্ছে এ বিশেষ সপট অধিকারিনী নারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এবার নামের রহস্য? এত নাম বাদ দিয়ে জি সপট নাম হলো কেনো? জি নামেরও রহস্য আছে কারণ গ্রাফেন বাজ নামের একজন ফরাশী গাইনোকলজিস্ট সর্বপ্রথম এর ধারণা দিয়েছিলেন। গ্রাফেনবাজ পুরুষ ছিলেন নারী নন।

Source: ----ডাঃ মোঃ জাকারিয়া সিদ্দিকী




Labels:

পেনিস এনলারজমেন্ট মেথড গুল আসলেই কি কাজ করে


কিভাবে পেনিস এর মাপ নিতে হয় এবং কোন সাইজ স্বাভাবিক?

আপনার পেনিস বড় না ছোট তা ধরে নেবার আগে মাপ নেয়াটা খুবি গুরুত্বপূর্ণ। পেনিস এর গোঁড়া অর্থাৎ পেটের কাছথেকে পেনিস এর অগ্রভাগ পর্যন্ত উত্থিত অবস্থায় পেনিস এর যে মাপ, সেটাই আপনার পেনিস এর মাপ। এখন কত হলে এই পেনিস এর মাপ কে আপনি স্বাভাবিক বলবেন? আমাদের দেশের পুরুষ দের শারীরিক গঠন পশ্চিমাদের মত নয়। তাই ইন্টারনেট এ তাদের তথ্য পড়লে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমাদের উপমহাদেরশের মানুষের শারীরিক কাঠামো অনুযায়ী উত্থিত অবস্থায় পাঁচ ইঞ্ছি থেকে ছয়  ইঞ্ছি হয়ে থাকে।

তাহলে কার ক্ষেত্রে পেনিস এনলারজমেন্ট প্রয়োজন হয়?
খুবি কম মানুষের এই এই প্রয়োজন হতে পারে। উত্থিত অবস্থায় তিন ইঞ্ছি এর কম আক্রিতির পেনিস কে মাইক্রো-পেনিস ডিসঅর্ডার বলা যেতে পারে। তবে প্রতি ১০০০ পুরুষ মানুষের মধ্যে মাত্র ছয় জনের এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অন্য কারো জন্যই সাধারনত পেনিস এনলারজমেন্ট প্রয়োজন হয় না।

পেনিস এনলারজমেন্ট মেথড গুল আসলেই কি কাজ করে?

যখন আমরা খুঁজতে গেলাম যে পেনিস এনলারজমেন্ট মেথড গুলর পেছনে বৈজ্ঞানিক কোন প্রমান বা ব্যাখ্যা আছে কিনা, আমরা এমন কোন উৎস খুঁজে পাইনি যা কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দারা পরিক্ষিত নিরাপদ পদ্ধতি। বেশিরভাগ ওয়েব সাইট এই রয়েছে তাদের পণ্য সম্পর্কে অতি মুল্লায়িত কথাবার্তা, অসমর্থিত তথ্য উপাত্ত, মিথ্যা প্রশংসা পত্র, এমনকি মিথ্যা ডাক্তারি প্রশংসা ও। যদি আসলেই এমন কোন পদ্ধতি থাকত, তাহলে আমরা তা জেনে যেতাম যেমনটা আমরা জানি ভায়াগ্রা সম্পর্কে যা লিঙ্গ উত্থানে সাহায্য করে।
এখন দেখি, বাজারে প্রচলিত পেনিস এনলারজমেন্ট মেথড গুল কি কি এবং এদের বিশ্লেষনঃ

সাধারন ব্যাবহার এর পিল, লোসন, ক্রিম, জেল ইত্যাদিঃ
সাধারনত এই সব পণ্য দাবি করে থাকে যে তাদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক নির্যাশ, ভিটামিন, মিনারেল, হরমন ইত্যাদি যা পেনিস এর আকার বড় করে। বেশিরভাগ উৎপাদক এই বলতে চায় না যে তাদের পণ্য তে আসলে কি কি উপাদান আছে। আমাদের বিশ্বাস করে নিতে হয় যে যা বলা হচ্ছে তাই সত্যি কারণ আমরা আমাদের পেনিস এর আকার বড় করতে চাই এবং যে যা বলে তাই বিশ্বাস করি। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এই সকল পণ্য সমূহের মধ্যে ক্ষতিকর লেড, কীটনাশক, বিভিন্ন প্রাণীর মল পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন যন্ত্র যেমন ভ্যাকুয়াম পাম্প, পেনিস স্ট্রেচার, রিং ইত্যাদির বিজ্ঞাপন আমরা ইন্টারনেট এ হরহামেশাই দেখে থাকি। ভ্যাকুয়াম পাম্প বাতাশ টেনে নিয়ে পেনিস এর ভেতর রক্ত ধরে রেখে পেনিস এর সাইজ বড় করে বলে দাবি করা হয়। তবে এই দাবির সপক্ষে কোন গবেষণালব্ধ যুক্তি নেই। অনেক সময় মানুষ এটা বেশি ব্যাবহার করে রক্ত নালি ছিরে যাওয়া থেকে শুরু করে লিঙ্গ পুরোপুরি ভাবে আর না উত্থিত ও হতে পারে। পেনিস স্ট্রেচার এর ক্ষেত্রে ও একি ঘটনা ঘটতে পারে।

ব্যাম যেমন দুধ দোয়ানোর মত করে অনেকে শিথিল লিঙ্গ কে বড় করার চেষ্টা করেন। অনেক ইন্টারনেট এর সাইট এ এই পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। তবে এমন কোন প্রমান নেই যে এই ধরনের ব্যাম কোন কাজে আসে।
তবে যাদের কেবল মাইক্র-পেনিস (৩ ইঞ্ছি এর কম উত্থিত অবস্থায়) এর সমস্যা রয়েছে, অথবা কোন দুর্ঘটনার কারনে অথবা কোন রুপ অসামঞ্জস্যতা রয়েছে আদের ক্ষেত্রে সার্জারি করে সামান্য উপকার হতে পারে, তবে তাতে ও যে লিঙ্গের আকার খুব যে বেড়ে যাবে তা কিন্তু নয়। আবার এই সব সার্জারির কারনে স্বাভাবিক যৌন জীবন ব্যহত ও হতে পারে।
তাই, পেনিস এর আকার নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করে স্বাভাবিক ভাবে যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা ভাল। আর মনে রাখতে হবে, আনন্দদায়ক যৌন জীবন লিঙ্গের আকারের উপন নির্ভর করে না।



Labels:

কিভাবে ভার্জিন মেয়ে চিনবেন বা বুঝবেন আপনার সঙ্গী ভার্জিন কি না ??



ভার্জিন হবার লক্ষনঃ
--------------- ----
১. যোনিঃ
---------
ক.ল্যাবিয়া মেজরা অর্থাৎ বাইরের পাপড়ি প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে একসাথে লেগে থাকবে এবং যোনিমুখ দেখা যাবেনা ।

খ. ল্যাবিয়া মাইনরা অর্থাৎ ভিতরের পাপড়িও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে এবং ল্যাবিয়া মেজরা দিয়ে ঢাকা থাকবে পুরোটাই। ল্যাবিয়া মেজরা না সরালে দেখা যাবেনা ।

গ. হাইমেন অর্থাৎ সতিচ্ছেদ অক্ষত থাকবে । যদিও অনেক কারনেই ছিঁড়ে যেতে পারে
ঘ. ল্যাবিয়া মাইনরার নিচের প্রান্ত একত্রে থাকবে ।
ঙ. ক্লাইটরিস খুব ছোট এবং একে আবরণকারী চামড়াও পাতলা হবে ।
চ. যোনিপথ সরু এবং ভিতরের ভাঁজগুলি কম মসৃণ হবে । ভাজ অনেক বেশি হবে।

২. স্তনঃ
-------
ক. স্তন ছোট হবে
খ. চ্যাপ্টা হবে, গোল নয়
গ. দৃঢ় হবে, তুলতুলে নয়
ঘ. নিপলের চারপাশে যে গাঢ় অংশ থাকে তার রঙ গোলাপি থেকে বাদামী রঙ এর হবে( কম গাঢ় রঙ হবে) এবং এই অংশ আয়তনে ছোট হবে ।
ঙ. নিপলের আকার ছোট হবে ।


 সিউডোভারজিনঃ
--------------- -
অনেক সময় অনেক মেয়ের কয়েকবার যৌনমিলনের পরেও হাইমেন বা সতিচ্ছেদ অক্ষত থাকে । এদের সিউডোভারজিন বা মিথ্যা ভারজিন বলা হয়। তবে এর হার অনেক কম ।এদের অন্য বৈশিষ্ট্যগুলো দিয়ে চিহ্নিত করা যায় । বিঃদ্রঃ যেসব
মেয়ে বেশি খেলাধুলা বা শরীরচর্চা করে, সাইকেল বা মোটরসাইকেল
চালায়, ঘোড়ায় চড়ে বা হস্তমৈথুন করে তাদের হাইমেন বা সতিচ্ছেদ ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।

Labels:

Sunday, October 5, 2014

যৌন অক্ষমতার সমাধান

বাংলাদেশ একটি কনসারভেটিভ দেশ, তবে বর্তমানে এদেশের সেক্স কালচার অনেক ফাস্ট, অনেক কম বয়স থেকেই ছেলে মেয়েরা সব কিছু জানে, বুঝে এবং করে। তবে সেকসু্যাল সমস্যার বেপারে রয়ে গেছে ভয়ানক অজ্ঞতা, এবং যা জানা থাকে তার বেশিরভাগি ভুল তথ্য। আর কমন সমমস্যার নিয়ে অনেক আরটিকেল পেপার মেগাজিনে পরলেও এর সঠিক মেডিকেল সমাধান খুব কমি পরসি। তাই চেষ্টা করবো কমন কারন গুলো উল্ল্যেখ করার। ছেলেদের কমন সেকসুয়াল সমস্যা এবং তার সমাধান। মেইল ইমপোটেন্স: ছেলেরা যেই বেপারে সব চাইতে বেশি চিন্তিত থাকে সেটা হচ্ছে ইরেকশন প্রবলেম। যদিও এই সমস্যা মধ্যবয়সিদের মাঝে বেশি দেখা দেয়, কিন্তু অনেকগুলো কারনের জন্য দেশের যুবক শ্রেনীদের মাঝেও এখন এই সমস্যাটা একটি বরো সমস্যা। ধুমপান: ইউথ ইমপোটেন্স বা যুবকদের যৈনঅক্ষমতার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ধুমপান, বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই ধুমপান করে যা নাকি ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দা হাইয়েস্ট। দেশে অনেক আজিরা কথা প্রচলিত আছে যেমনগোল্ড লিফ খেলে সেক্স পাওয়ার কমে যায়, আর বেনসন খেলে তেমন একটা খতি হয়না। ইটস আ বুলশিট।নিকোটিন সব সিগারেটেই আছেকম বেশি আর সিগারেটের অন্যান্য খতিকারক কেমিকালগুলো সব সিগারেটেই সমপর্যায়ে থাকে। যেসবের কারনে পেনিসের রক্তনালি সংকচিত হতে থাকে। ড্রাগস: ড্বাগসের মধ্যে বিশেষ করে হেরোইন এর জন্য ইমপোটেন্স হতে পারে।

কোকেইন সেবনে প্রথমদিকে সাময়িক ইরেকশন হলেওপরে সেটা আর হয় না এবং উল্টো খতি করে।সেক্স কালচার বেশি অপেন হওয়াতে পর্ন দেখে বা মৈখিক মিথ্যরচনার কারনে দেশ বিদেশ সব খানেই সেক্স পাওয়ার সমন্ধে ৯০ ভাগ মানুশের একটি ভুল ইমেজ তৈরি হয়েছে। এই বেপারেদেখা যায় যে মানুশ মনে করে তার হয়তোসেক্স পাওয়ার কম, কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে কোনকিছু ধরা পরে না ( যদিও দেশের ডাক্তাররা অযথা অনেক টেস্ট করাবে)।, ডাক্তার জিজ্ঞেস করার পর দেখা যায় তার সেক্সয়াল একটিভিটি নর্মালি আছে, কিন্তু পেশেন্ট সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। মানুষ মনে করে যেডেইলি এবং লং এনাফ সেক্স করতে না পারাটাই অক্ষমতার লক্ষন। আবার অনেকে তার পেনিসের লেনথ নিয়ে খুশি নয়। এসব হচ্ছে অযথা টেনশন, পর্ন মুভিতে যা দেখানো হয় সেটা নর্মাল সেকসুয়াল একটিভিটি নয়। আপনার বউ ( সেক্সুয়াল পার্টনার) কে জিজ্ঞেস করুন যে সে সেটিসফাইড নাকি, তাহলেই কিস্সা খতম। এক্সেসিভ পর্ন দেখার বদৌলতে আবার নিজের বউ বা সেকসুয়াল পার্টনারের প্রতি এট্রাকশন কমে যায় অনেকের। জেনে রাখা ভালো এভারেজ সেক্সয়াল ফ্রিকয়েন্স হলো সপ্তাহে ৩ বার। ডিইরেশন ১৫ মিন। পেনিস লেনথ রেস অনুযায়ি ভেরি করে। ইউরোপ এমেরিকা: ১৪,৫ সে. মি. চায়না/ জাপান: ১২ সে.মি. সাবকন্টিনেন্ট ( ইন্ডিয়া/ বাংলাদেশ): ১৩ সে.মি. থেরাপি: সবচে এফেকটিভ থেরাপি হচ্ছে চেন্জ অফ লাইফ স্টাইল -ধুমপান বন্ধ করুন। বেপারটি খুবি কঠিন, এই বেপারেও আপনি সঠিক মেডিকেল গাইড পেতে পারেন আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে। -যথেষ্ঠ বেয়াম করুন। ফিজিক্যাল মুগমেন্ট ভায়াগরা বা অন্যান্য অষুধ থেকে অনেক বেশি এফেকটিভ, বিশেষ করে ইয়াং দের জন্য। -সেক্স বেপারটাকে স্পোর্টসের মতনদেখবেন না যে এটা তে আপনাকে ফার্সট প্রাইজ আনতেই হবে। বাট হালকা / রিলেক্স ভাবে নেন দেখবেন ফার্সট প্রাইজ থেকা বেশি এনজয় পাচ্ছেন। -ভায়াগ্রা থেরাপি ডাক্তারের পরামর্শছারা শুরু করবেন না। এতে সাময়িক উপকারিতা পেলেও লং টার্মের জন্য এফেকটিভ থেরাপি নয়। -আল্টারনেটিভ( ফুটপাথের সপ্নে পাওয়া )ওষধ থেকে ১০০ মাইল দুরে থাকুন ) মেয়েদের কমন যৈন অক্ষমতার সমস্যা: মেয়েদের যৈন অক্ষমতার বেপারে রয়েছেআরো বেশি নলেজের অভাব। এটা যে হয় সেটাই ৯০ ভাগ মানুষ জানে কিনা সন্দেহ আছে, এমনকি স্বয়ং মেয়েরাও জানে না অনেক সময়। দেশে আমি এই পর্যন্ত কোথাওএই বেপারে কোনো আরটিকেল দেখি নাই। ভাজাইনাল ড্রাইনেস এবং পেইনফুল ইন্টারকোর্স: মেয়েদের বেলায় সেক্সুয়াল এরাউসালের ( যৈন উত্যেজনার ) সময় লুব্রিকেশন (যোনিরস) হয় যার ফলে ভাজায়না ভিজে যায় এবং সেক্স করতে ( পেনিস ঢুকতে ) সুবিধা হয়।লুব্রিকেশনে র বেশির ভাগ ফ্লুইড (রস) ভাজাইনার দেয়াল থেকে নির্গত হয়তবে ছোট একটি গ্লেন্ড ( থলি )থেকেও কিছু বর হয়। অনেক মেয়েদের সমস্যা দেখা দেয় যে লুব্রিকেশন হয়না বা সময়মত হয়না, যার ফলে সেক্স এনজয়ের বদলে পেইনফুল হয় ( পেইনফুল ইন্টারকোর্স)।,ব েশিরভাগ মেয়েরা সেটা তার হাসবেন্ড কে জানায় না নিজেরঅক্ষমতা মনে করে। । কিনতু এখানে খোলামেলা কথানা বললে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ভাজাইনাল ড্রাইনেসের সবচেবরো কারনটা আসলে ছেলেদেরই দোষ। ইন্টারকোর্স ( ভাজিনাতে পেনিস প্রবেশে) এর পুর্বে যথেষ্ঠ স্টিমুলেশন ( যৈন উত্যেজনা ) না থাকলে লুব্রিকেশন সময় মতন হয় না। ইন্টারকোর্সের আগে যথেষ্ঠ সময় আর এটেনশন নিয়ে সেক্সয়াল স্টিমুলশন ( কিসিং, সাকিং) করলেই বেশিরভাগ বেলায় এর সমাধান সম্ভব। ছেলেদের যেমন পেনিসে রক্তনালিতে ফেট ( চর্বি ) জমার কারনে ইমপোটেন্সি হয় তেমনি মেয়েদের বেলাতেও তেমনি ভাজাইনাল ব্লাড ভেসেলের ( রক্তনালিতে) চর্বি জমলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই ব্লাড ভেসেলের চর্বি কমানোর চেস্টা করতে হবে। ফেট কম খাওয়া, বেয়াম করা, সিগারেট না খাওয়া হল এর উপায়। আর্টফিসিয়াল লুব্রিকেশন: এরপরেয় যদি এনাফ লুব্রিকশন না হয় এবং সেক্স পেইনফুল হয় তাহলে আর্টিসিয়াল লুব্রিকেশন ( নকল যোনিরস) ইউজ করা যায়। দেশের মেয়েরা সাধারনত তেল বা ভেসলিন ইউজ করে থাকে কিন্তু এতে সমস্যা হচছে যে বেশি ইউজ করলে ভাজাইনার নরমাল বেকটেরিয়াল ফ্লোরা ( শরিরের জন্য উপকারি বেকটেরিয়া ) নষ্ট হয় এবংতাতে ঘন ঘন ভাজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে।

Labels:

মেয়েদের যৌনতা নিয়ে জিজ্ঞাসা? এবং এর সমাধানঃ

#জিজ্ঞাসা- ১ : ‍প্রথমবার সেক্স করার সময় কি কি সমস্যা হবে?
@সমাধানঃ প্রথমবার সেক্স করার সময় মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অনেকেই এতে ভয় পেয়ে যায়। ভয় পাবার কিছু নেই। যেহেতু প্রথম সেক্সের সময় সতিচ্ছেদ পর্দাটি ছিড়ে যায় (যেখানে রক্তনালী থাকে) তাই রক্তক্ষরণ একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে কারো রক্তক্ষরণ নাও হতে পারে, সেটাও স্বাভাবিক।

#জিজ্ঞাসা- ২ ‍: সতিচ্ছেদ পর্দা দেখে কি আমি প্রমাণ করতে পারবো কোনো মেয়ে ভার্জিন কি না? @সমাধানঃ না পারবেন না। বয়স বাড়ান সাথে সাথে সতিচ্ছেদ পাতলা হয়ে আপনা আপনি ই ছিড়ে যায়। তাছাড়া যেসব মেয়ে দৌড়- লাফ বা অন্যন্য কসরত বেশী করে তাদের সতিচ্ছেদ ছিড়ে যায়। কোরো সতিচ্ছেদ ছেড়া পাওয়া গেলে কোনোভাবেই এটা প্রামাণিত হবে না সে ভার্জিন নয়।
#জিজ্ঞাসা- ৩ ‍: প্রথম সেক্সে কোনো মেয়ে কি ব্যাথা পায়?
@সমাধানঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পায়। তবে খুব বেশী উত্তেজিত থাকলে এবং প্রচুর মিউকাস ক্ষরণ হলে ব্যাথা পায় না। সেজন্য উচিত ভালোমতো উত্তেজিত করার পর সেক্স করা।

#জিজ্ঞাসা- ৪ ‍: যদি ভুল করে কারো সাথে অনিরাপদ সেক্স করে ফেলি এবং গর্ভবতী হবার আশংকা থাকে তাহলে মেয়েটি কি ফেমিকন পিল খাবে?
@সমাধানঃ প্রথমত, ধর্মীয় বিধান মেনে চলুন। বিয়ে বহির্ভূত সেক্সে কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। তবে কেউ যদি ভুল করেই বসে প্রচলিত জন্মনিরোধক পিল (ফেমিকন জাতীয়) কোনো কাজেই আসবেনা। কেননা এগুলো খেতে হয় 1 মাস আগ থেকেই। সেক্ষেত্রে 72 ঘন্টার মধ্যে “ইমার্জেন্সি পিল” খেতে হবে

#জিজ্ঞাসা- ৫ ‍: ডেন্জার প্রিয়ড কি?
@সমাধানঃ যেসময়ে সেক্স করলে মেয়েটি গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেশী তাকে ডেন্জার প্রিয়ড বলে। মিন্সট্রুয়েশন (মাসিক) শেষ হবার 10ম দিন থেকে 20তম দিন পর্যন্ত চান্স বেশী থাকে। অন্য সময়গুলোতেও গর্ভধারণ হবেনা এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।

#জিজ্ঞাসা- ৬ ‍: মেয়েরা কি মাস্টারবেশন করে? @সমাধানঃ আমেরিকান জরীপ মতে 92 ভাগ ছেলে ও 62 ভাগ মেয়ে মাস্টারবেশন করে। (রেফারেন্স এখানে )

#জিজ্ঞাসা- ৭ : মেয়েরা কিভাবে মাস্টারবেশন করে? @সমাধানঃ ক্লাইটোরিয়াস কে নাড়াচাড়া করার মাধ্যমে অথবা ভাইব্রেটর মেশিন দিয়ে ক্লাইটোরিয়াসকে ভাইব্রেশন দেবার মাধ্যমে তারা অর্গাজম (যৌনতৃপ্তি) পেতে পারে।

#জিজ্ঞাসা- ৮ ‍: সেক্স না করেও কোনো মেয়েকে কি তৃপ্তি দানকরা সম্ভব? @সমাধানঃ হ্যা সম্ভব। ক্লাইটোরিয়াস এ নাড়াচাড়া করে তাদের তৃপ্তি দেয়া সম্ভব।

Labels:

ছেলেদের প্রধাণ সমস্যা -দ্রুত বীর্যপাত

আমরা অনেকের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছি দ্রুত বির্যপাত বিষয়ে । আজকে এ বিষয়ে স্পষ্ট কথা এবং সলিউশন দেয়া হবে । ছেলেদের প্রথমেই যে প্রশ্নটা থাকে তা হল , - "আমার দ্রুত বের হয়ে যায় । আমিকি করবো ? " এটির জন্য আমরা অনেকগুলো সলিউশন দেখবো । তবে সবার আগে দ্রুত বলতে আপনি কি বোঝান তা বুঝতে হবে । একটি ছেলের যদি করার সময় ১০মিনিটের মাথায় বীর্যপাত হয়, সেটি সম্পূর্ণ

স্বাভাবিক । একে দ্রুত বীর্যপাত বলা যাবে না । এমনকি ৬-৭ মিনিট ও স্বাভাবিক বলা হয়। আপনি তখনি আপনার এবিষয় টি নিয়ে চিন্তা করবেন যখন আপনার তার থেকেও কম অর্থাৎ ১-৫ মিনিটেবের হয়ে যাবে । কেবল তখনি আপনি বলতে পারবেন যে আপনার এ সমস্যা অর্থাৎ দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছে। চিন্তার কোন কারণ নেই । মূল আলোচনার আগে আর একটি প্রচলিত ধারণার কথা বলা যাক । অনেক মানুষ ই আছেন যারা মনে করেন তার অধিকাংশ সমস্যার কারণ মাস্টারবেশন । এটি ভুল ধারণা ।
মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন সম্পুর্ণ স্বাভাবিক একটি ব্যপার । এতে আপনার কোন দিক দিয়েই কোন ক্ষতি হবার চান্স নেই । এই কথাটি বলার কারণ খুব ই সরল । কারণ অনেকেই মনে করে তার দ্রুত বীর্যপাতের আসল কারণ সে অনেক মাস্টারবেট করে। এখানে একটি থিওরি আছে। বোঝানোর চেষ্টা করছি । ধরুণ আপনি বাথরুমে গেলেন মাস্টারবেশন করতে । আপনি যদি ২০মিনিট ধরে করেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাসা থেকে ডাকাডাকি হবে , না হলেও আপনার অবচেতন মন ই আপনাকে তাড়া দেবে । এজন্য যা হয় তা হল , অবচেতন ভাবেই ছেলেরা মাস্টারবেট করতে করতে দ্রুত কিভাবে বের করা যায় সেটা শিখে ফেলে ।পরে সেক্স করার সময় মনের অজান্তেই হয়তো পেনিসের তার সেই স্পেশাল জায়গা অথবা তার সে বিশেষ স্টাইল সে ধরে ফেলে , ফলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় । এখন ,যাদের আসলেই দ্রুত বের হয়ে যায় তারা কি করবেন ? কারণ অবশ্যই , আপনার গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ আপনার পেনিস মুখে নিল , আর আপনার বের হয়ে গেল কিছু করার আগেই , অথবা ধরলো আপনার পেনিস , সাথে সাথে বেরহয়ে গেল , অথবা আপনার গার্লফ্রেন্ড বা পার্টনার হয়তো উত্তেজক কিছু করলো আপনার সাথে , তখনি বের হয়ে গেল । এগুলো হল সমস্যা। সলিউশনে যাই এবার আমরা । একটি ব্যপার স্বাভাবিক । ধরুন আপনি অনেকদিন করেন না , আপনার পার্টনারের সাথে অনেকদিন পর করতে গিয়ে উত্তেজনায় দ্রুত বের হয়ে আসলো স্পার্ম । এটি স্বাভাবিক , এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই । এটি আপনার অক্ষমতা নয় । এবার আসুন দেখি যাদের দ্রুত বের হয়ে যায় তারা কি কি করতে পারেন - - হাতের ওপর জোর বাড়ানো । অনেক সময় দেখা যায় ছেলেরা করার সময় সব বা প্রায় সব ভর পেনিস এই দিয়ে থাকে , এতে দ্রুত বের হয়ে যেতে পারে তাই হাতে জোর বাড়াতে হবে । - এক পজিশনে বেশিক্ষণ না করে পজিশন বদলে বদলে করতে হবে । - একটি অন্য্রকম পদ্ধতি হল একবার বের করে দেয়া । আপনি আপনার স্পার্ম পার্টনার কে দেখিয়ে তার গায়ে অথবা অন্য কোথাও সেক্স এর আগেই বের করুন একবার। সে হর্নি হবে দেখে । এবার পেনিস টা ভাল মত পানি দিয়ে ধুন । এবার ২মিনিট ব্রেক এর পর আস্তে আস্তে আবার কিসিং শুরু করুন । ১৫মিনিটের মাথায় আবার ঢুকাতে সক্ষম হবার কথা । - ঢোকানো অবস্থায় যদি আপনার মনে হয় যে এখনি বের হয়ে আসছেতখন আর সোজা ধাক্কা না দিয়ে ঘোরানো শুরু করুন । হাত দিয়ে পেনিস ধরবেন না । - একটি অভ্যাস প্র্যাকটিস করুন বাসায় । নিজে পেনিস কে উত্তেজিত করে বের হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়ে যান, এর পর আবার স্বাভাবিক হোন বের না করে । এটি সপ্তাহে একবারের বেশি না করাই ভাল কারণ এতে দেহের ক্ষতি হতে পারে । আশা করি এসকল ব্যপারে সতর্ক থাকলে আপনার সেক্স লাইফ হবে আরো মজার

Labels:

পুরুষের আকর্ষণ বজায় রাখতে সাতটি পরামর্শ মেনে চলুন

অতীতে পুরুষ বলতে বোঝাতো পেশিশক্তির প্রদর্শন। সে সময় সৌন্দর্যের মতো বিষয় নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তা ছিল না। কিন্তু এখন অবস্থা পাল্টেছে। বর্তমান যুগে পুরুষের আকর্ষণ বজায় রাখার জন্য যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ লেখায় থাকছে এ বিষয়ে সাতটি পরামর্শ :

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ্য রাখুন
 নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ্য রাখার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা ও গোসল করার বিকল্প নেই। এ ছাড়াও প্রয়োজনে ভালো মাউথওয়াশ ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. নিয়মিত ত্বক পরিচর্যা
পুরুষের ত্বকও পরিচর্যার প্রয়োজন আছে। এ জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত তা পরিষ্কার করা। এ ছাড়া প্রয়োজনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. নিয়মিত চুল পরিচর্যা
 নিয়মিত চুল কাটার পাশাপাশি তা পরিচর্যারও প্রয়োজন আছে। পুরুষের আকর্ষণ বাড়াতে চুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৪. পোশাকের দিকে লক্ষ্য রাখুন
 নিজের পোশাকগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখার প্রয়োজন আছে। সঠিক মাপে পোশাক পরা ফ্যাশনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৫. নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন
 শরীর ঠিক রাখার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য প্রয়োজনে জিমে যাওয়া যেতে পারে।

৬. স্বাস্থ্যসচেতন হোন
 ধূমপানের মতো ক্ষতিকর অভ্যাস বর্জন করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে গড়ে উঠবে সুস্বাস্থ্য।

৭. উপযুক্ত ঘুম
 ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাজ। প্রতিদিন সাড়ে সাত ঘণ্টা বা উপযুক্ত ঘুম না ঘুমালে তা শরীরে নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। তাই নিয়মিত ঘুম পুরুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য ও সার্বিকভাবে ঠিক থাকার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

Labels:

আপনি কি করে বুঝবেন আপনার পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবটি স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে ?

প্রতিটি নারীরই ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিন্তু অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে এই প্রক্রিয়াতে যার ফলে একজন নারীর বন্ধ্যাত্ব সমস্যাও হতে পারে। তবে কী করে বুঝবেন আপনার ঋতুস্রাবটি স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে?

প্রায় অনেক নারীই জানেন না যে তার ঋতুস্রাবটি সঠিক নিয়মে হচ্ছে নাকি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান আর বান্ধবীদের মাঝে আলোচনা। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই নারীদের এই ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি একবার করে হয়ে থাকে। তবে মাসে ২-৩ বার হওয়া বা একেবারেই না হওয়া একটি খারাপ লক্ষণ। তবে হঠাৎ করে এর স্বাভাবিক সময় পরিবর্তন হওয়াটাও খারাপ একটি লক্ষণ। এর জন্য অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
ঋতুস্রাবের সময়কাল :

প্রায় সব নারীরই এই ঋতুস্রাব হওয়ার সময়কাল হয়ে থাকে ৩-৫ দিন পর্যন্ত। কিন্তু এর স্বাভাবিক সময়কাল হল কমপক্ষে ২ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭ দিনের একটু বেশি সময় ধরে অল্প অল্প করে রক্তস্রাব হওয়াটা স্বাভাবিক তবে যদি রক্তপ্রবাহ অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে তা অবশ্যই অস্বাভাবিক।

রক্তপ্রবাহের পরিমাণ :

একেকজন নারীর ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে এই ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। কারও অনেক কম হয়ে থাকে, কারও অনেক বেশি হয়ে থাকে আবার কারও মাঝামাঝি পর্যায়ে হয়ে থাকে। স্বাভাবিক রক্তস্রাবের পরিমাণটি কেমন তা জানা দরকার।

অল্প অল্প করে দিনে কয়েকবার হওয়াটা স্বাভাবিক। দিনে ৩ টা প্যাড পরিবর্তন করাটাও স্বাভাবিক। তবে মধ্যরাতে একই পরিমাণ প্যাড পরিবর্তন করাটা অস্বাভাবিক। কেননা স্বাভাবিক নিয়মেই রাতে ঋতুস্রাব একটু কম হয়ে থাকে অনেকেরই। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের উপরে এর পরিমাণ বাড়তে পারে, রাতে পরিশ্রম একেবারেই হয় না বলে এর পরিমাণও কম হয়ে থাকে। ঋতুস্রাবের প্রথম কয়েকদিন এর প্রবাহ একটু বেশি থাকবে এটি স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে প্রতি ঘন্টা বা প্রতি ২ ঘন্টায় প্যাড পরিবর্তন করাটা অস্বাভাবিক। এমন অস্বাভাবিকতা দেখামাত্র ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া একান্ত জরুরি।
পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল :

স্বাভাবিকভাবেই জানা যায় যে বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল হয়ে থাকে ২৮ দিন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে যে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল ২১ দিন থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই সময়কাল ২১ দিনের কম এবং ৩৫ দিনের বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক।

ঋতুস্রাব স্বাভাবিক হওয়ার কিছু লক্ষণ :

– ক্ষুধা লাগবে
 – শারীরিক অনুভূতি দৃঢ় হবে
 – খিটখিটে মেজাজ থাকবে
 – হালকা মাথাব্যথা হবে
 – মুখে ব্রণ হতে পারে
 – ঘুমের সমস্যা হতে পারে
 – মাঝে মাঝে বমি ভাব হতে পারে

Labels:

আপনি কি জানেন কোন সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার সঠিক সময় আপনার?

প্রতিটা মানুষেরই ঘুমানো অত্যাবশ্যকীয়। ঘুম কাজেরই একটা অংশ। ঘুম মানুষের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে কাজে মনোযোগ বসাতে সাহায্য করে। একেক মানুষের ঘুমানোর অভ্যাস একেক রকম হয়। কেউ খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, কেউ বা আবার গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। কিন্তু ঘুমের স্বভাব যেমনই হোক না কেন, বেশিরভাগ মানুষেরই রাত্রে বিছানায় যাবার পরেও আপনার ঘুমাতে কিছুটা সমস্যা হয়। ঠিক কোন সময়ে ঘুমাতে যাওয়াটা আপনার জন্য সুবিধাজনক এবং কি করে এই সময় বের করবেন আপনি?

আমাদের প্রত্যেকের শরীরে আসলে একটি ঘড়ি আছে, যে কিনা সময়ের হিসেব রাখে এবং আমাদের চোখে নিয়ে আসে ঘুম। এর কারণেই রাতের বেলায় আমাদের ঘুম পায়। মস্তিষ্কের এই ঘড়ির অংশটি এতটাই জরুরী যে এখানে রক্তের প্রবাহ সবচাইতে বেশি।

আমাদের কখন ঘুম পাবে- এ ব্যাপারটার সাথে জড়িত আছে আমাদের বিবর্তন এবং আদিম মানুষের প্রকৃতিতে টিকে থাকার সংগ্রাম। আমাদের ঘুমের চক্র হলো ৯০ মিনিটের। অর্থাৎ প্রতি ৯০ মিনিট পর পর আমাদের ঘুম ২০-৩০ সেকেন্ডের জন্য ভেঙ্গে যায়। আদিম মানুষ এ সময়ে নিজের আশেপাশে দেখে নিশ্চিত হতো কোনো বিপদ আছে কিনা, এর পর আবার ঘুমিয়ে পড়তো। এ ব্যাপারটা এখনো আমাদের রক্তে রয়ে গেছে, ফলে আমাদের ঘুমের চক্র এখনো ৯০ মিনিট লম্বা। এর সুবিধাও আছে। এর ফলেই নবজাতক শিশুর মা রাত্রে ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাকে খাইয়ে আবার ঘুমাতে পারেন।

ঘুমের ক্ষেত্রে নিজের শরীরের দিকে লক্ষ্য রাখাটা সবচাইতে জরুরী। অনেকে মনে করেন আগে আগে ঘুমিয়ে পড়াটা ভালো, কিন্তু তা আসলে সত্যি নয়। আপনার শরীর জেগে থাকতে চাইছে কিন্তু আপনি তাকে জোর করে দ্রুত ঘুম পাড়াতে চাইছেন- এতে কোনোই সুফল পাওয়া যাবে না।

এর চাইতে ভালো একটি উপায় হলো, আপনার ঘুমাতে যাবার সময় এবং ঘুম থেকে ওঠার সময়টা একটা ছকে বেঁধে ফেলা। আপনি যে সময়ে ঘুমাতে চান, তার ১০-১৫ মিনিট আগে বিছানায় চলে যান। যেমন, আপনি যদি সাড়ে সাত ঘণ্টা ঘুমাতে চান এবং সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে উঠতে চান, তবে মোটামুটি পৌনে বারোটায় আপনার ঘুমাতে যেতে হবে। নিজেকে বোঝান, যে এখন আপনার ঘুমাতে হবে। ঝেড়ে ফেলে দিন সব দুশ্চিন্তা। আর অবশ্যই প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। এতে নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুমিয়ে যেতে আপনার আর সমস্যা হবে না।

Labels:

পায়ের পরিচ্ছন্নতায় যা করবেন

নোংরা পানি, কাদা আর ধুলাবালি তো পথ চললে পায়ে লাগবেই। কিন্তু সঠিকভাবে পা পরিষ্কার করে এদের বিদায় আপনাকেই করতে হবে।

পথ চলতে যতটা সম্ভব এদের বাঁচিয়ে চলতে চেষ্টা করুন, আর যদি কবলে পড়েই যান কী করা? যত দ্রুত সম্ভব পা দুটি ধুয়ে নিন। যদি রাস্তায় সে ব্যবস্থা না থাকে, টিস্যু দিয়ে পা আপাতত মুছে নিন।

মনে করে ব্যাগে ভেজা টিস্যু (ওয়েট টিস্যু) রেখে দেবেন। পা ধোয়ার সময় গোড়ালি, নখের কোনা, আঙুলের ফাঁক এসব স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

 রাতে ঘুমানোর আগে


কর্মব্যস্ত আপনি বাড়ি ফিরে একটু পানি গরম করে নিন। প্রয়োজনীয় ফোন সারা অথবা বাচ্চাকে পড়ানোর সময় পা দুটি গরম পানিতে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এতে আপনার সারা দিনের ক্লান্তি যেমন দূর হবে, পাশাপাশি দূর হবে সারা দিনের পায়ে লাগা ধুলাবালি আর ময়লা। ঝামা পাথর দিয়ে গোড়ালি হালকা ঘষেও নিতে পারেন। তার পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

অন্তত একদিন সপ্তাহে

পায়ের পরিচ্ছন্নতা অবশ্যই প্রতিদিন জরুরি। তবে সে জন্য যদি রোজ সময় না মেলে, তবে সপ্তাহে এক দিন অন্তত সময় বের করে নিন। সময় থাকলে কোনো পার্লারে গিয়ে করিয়ে নিতে পারেন পেডিকিউর। অথবা নিজেই ঘরে বসে করে নিতে পারেন।

একটি বড় গামলায় হালকা কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পুর ফেনা তুলে নিন। তাতে এক চিমটি লবণ ও কিছু কমলার খোসা ছেড়ে দিন। ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন পা। তারপর ঝামা পাথর দিয়ে হালকা ঘষে মরা চামড়া ও ময়লা দূর করুন।

নখের কোনার ময়লা সরু কোনো কিছু দিয়ে বের করে নিন। নখও সুন্দর আকারে কেটে নিন। তারপর ভালোভাবে মুছে ভ্যাসলিন বা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে নিন।

পায়ের পরিচ্ছন্নতা

 কিছু পরামর্শ

রোদে পোড়া কালো দাগ, ঘেমে পায়ে দুর্গন্ধ অথবা ছত্রাকের সংক্রমণ এসব কিছুর সমাধানে রাহিমা সুলতানা দিয়েছেন সহজ কিছু সমাধান।

* টক দই, লেবুর রস মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।

* আনারসের রস পায়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি খুব ভালো ছত্রাক সংক্রমণরোধী হিসেবে কাজ করে।

* কালো দাগ দূর করতে চালের গুঁড়া, মধু, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান।

* লেবুর রস ও মধু একসঙ্গে পায়ের গোড়ালি ও আঙুলের ফাঁকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে পায়ের দুর্গন্ধ কম হয়।

* গোলাপজল, গ্লিসারিন, নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন পায়ের ময়েশ্চারাইজার।

বাইরে বেরোনোর আগে

ধুলাবালি আর কাদা পানির ভয়ে তো আর ঘরে বসে থাকা চলবে না। বরং বাইরে বের হওয়ার আগে একটু প্রস্তুতি নিয়ে নিন। রাহিমা সুলতানা পরামর্শ দেন সামনের দিকে বন্ধ জুতা পরার। এতে ধুলাবালি কম লাগবে। তবে খেয়াল রাখুন, পায়ে যেন বাতাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারে, কারণ গরম এখনো কমেনি।

ঘামের সমস্যা বেশি হলে খোলা জুতা পরুন। তবে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে ভুলবেন না। তার সঙ্গে আঙুলের ফাঁকে পাউডার দিয়ে নিন। পা দুটি আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইলে একটু সাজিয়েও নিতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে উজ্জ্বল রঙের নেইল পলিশ, এক পায়ে একটি নূপুর অথবা দুটি আংটিতে কিন্তু বেশ ভালোই মানিয়ে যাবে আপনার পদযুগল।

Labels:

সহবাস মহিলাদের সুস্থ জীবন দেয়

যৌন মিলন শুধু শারীরিক চাহিদাই মেটায় না৷ তা মহিলাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে৷ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সহবাসে তৃপ্তি লাভে নাকি মহিলারা নাকি সুস্থ জীবন লাভ করতে পারেন৷ তাদের মধ্যে পজিটিভ এনার্জী আসে এবং জীবনী শক্তি বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় সেটাই প্রমানিত হয়েছে৷
মোনাস ইউনির্ভাসিটিতে এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল৷ গবেষকরা 265 জন মহিলাদের নিয়ে গবেষণা করেছিলেন৷ এদের প্রত্যেকেরই বয়স ছিল 26 থেকে 65 বছরের মধ্যে৷ এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রমাণ করেছেন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সহবাসে মহিলারা যদি তৃপ্তি লাভ করেন তাহলে শারীরিভাবে তারা সুস্থ থাকতে পারবেন৷
শারীরিক কোন সমস্যা থাকবে না৷ অনেক সময় মাসে দু বার সহবাসের মধ্যে দিয়েই আপনি সেই তৃপ্তিটা লাভ করতে পারেন৷ আবার অনেক সময় খুব বেশী মাত্রায় সহবাস করলেও সেই সুখটা পাওয়া যায় না৷

Labels:

দৈহিক মিলনে উত্তেজনার ধারা

নারী এবং পুরুষ যখন দৈহিক মিলনে উপনিত হয়, তখন উভয়ের শরীরে দৈহিক উত্তেজনা চলে আসে । নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এই উত্তেজনার চারটি ধারা হলো-
উত্তেজনার ধারা।যৌনমিলনের ধারা।চরমপুলকের ধারা।শিথিলতার ধারা।

উত্তেজনার স্তরে পুরুষ এবং নারী একে অন্যের স্পর্শে বা আদরে উত্তেজিত হতে পারে। উত্তেজনার ধারাটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যৌন আনন্দ পাবার ক্ষেত্রে। যদি কেউ যৌনমিলনের আগে পূর্ণাঙ্গ উত্তেজিত না হয় তবে যৌন চরমপুলক সে পুরোপুরি পায় না। এজন্য উত্তেজিত হবার দরকার আছে। নারীর সাধারণত পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যৌনমিলন পছন্দ করে। কেননা এই সময়ে শরীর অবসন্ন থাকে এবং নারীর স্তন যৌনকাতর হয়ে উঠতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে যৌনমিলনের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারী উভয়ের যৌন উত্তেজনার মাত্রা বাড়তে থাকলে এক সময় উভয়েই চূড়ান্ত মিলন আশা করে। নারীর নিতম্ব, স্তন, স্তনবৃন্ত এবং যোনি মিলনের আনন্দে উত্তেজিত হয়ে উঠে। এই পর্যায়ে পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় হয় এবং লিঙ্গ যৌনমিলনের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠে। জেনে রাখা ভালো যে কোনো কোনো নারী যৌনমিলনের আগে উত্তেজনার স্তরেই তার যৌনি থেকে তরলের রণ হতে পারে। এটা নারী যে উত্তেজিত তার প্রমাণ এবং এটি যৌনিকে পিচ্ছিল করে তোলে, যাতে করে লিঙ্গ চালনা সহজ হয়। পুরুষের লিঙ্গের মাথাতেও এই সময় সাদাটে পানির মতো পদার্থ বের হতে দেখা যায়। এ থেকে বোঝা যায় যে পুরুষ যৌন উত্তেজনার চরমে উঠেছে এবং এ পর্যায়ে পুরুষও নারী চূড়ন্ত যৌনমিলনে স্তরে পুরুষের লিঙ্গ নারীর যোনির ভেতর চালনার ফলে নারীর যৌন আনন্দ ঘনিভূত হয়। এবং এই পর্যায়ে পুরুষের র্বীযপাত হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পুরুষ মোটামুটি ভাবে নারীর যোনিতে অর্থাৎ প্রবেশের পর থেকেই যৌন আনন্দ পায়। প্রথম প্রথম যৌনমিলনের সময় নারীর যৌনাঙ্গে ব্যথার সৃষ্টি হলেও পরে অবশ্য তা এমনিতেই কেটে যেতে পারে। যৌনমিলন যখন চলতে থাকে তখন উভয়েরই শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা চূড়ান্ত উত্তেজিত পর্যায়ে পোঁছে যায়। এই সময়ে নারীর এবং পুরুষের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত এবং রক্ত চলাচলের গতি বেড়ে যায়। এরপর চরমপুলকের ধারায় পুরুষ এবং নারী যৌন আনন্দ পায়। পুরুষের মতো নারীর বীর্যপাত না হলেও তার যোনির ভেতরে তরলের রণ হয়। পুরুষের বীর্যপাত ঘটলে তার চরমপুলক এসে যায়। কোনো কোনো নারী একবার যৌনমিলনেই কয়েকবার যৌন আনন্দ লাভ করে। একে মাল্টিপোল অর্গাজম বলে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটতে দেখা যায় খুব কম। পুরুষের বীর্যপাত হলে তার লিঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে এবং নারীর যোনি ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে উঠতে থাকে। এই পর্যায়ে শিথিল ধারায় আবির্ভাব ঘটে। অর্থাৎ পুরুষ এবং নারী উভয়ের দেহই শিখিল হয়ে পড়ে। কেননা যৌনমিলনের সময় যে শারীরিক এবং মানসিক গতির সঞ্জার হয় তা ধীরে ধীরে কমে আসে এবং সেই সাথে হৃদপিন্ডের ক্রিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি স্বাভাবিক হয়। চরমপুলকের পরে পুরুষ এবং নারীর দৈহিক শিখিলতা অবস্থা শারীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক কারণেই সংঘটিত হয়। পুরুষ এবং নারী শিথিল অবস্থার পরবর্তী সময়ে আবার যৌনমিলনের জন্য উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে । নারীর ক্ষেত্রে যৌনমিলনের আনন্দ কোনো কোনো সময় খুব বেশি কাঙিত আবার কোনো কোনো সময় ততোটা কাঙিত হয় না। পুরুষের ক্ষেত্রে অবশ্য কোনো শারীরিক এবং মানসিক চাপ না থাকলে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

Labels:

নারীর যৌনাঙ্গ

নারীর অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ:-
নারীকে পুরুষের চাইতে আরো যে বিষটি স্বতস্ফূর্তভাবে পৃথক করেছে ,তা হলো নারীর অভন্তরীণ যৌনাঙ্গ ,তথা যোনি । পুরুষের লিঙ্গ বহিঃমুখী অথচ নারীর যৌন লিঙ্গ নেই , তবে যৌনাঙ্গ হিসেবে রয়েছে যোনি । এই যোনির মাধ্যমেই নারী পুরুষের সাথে যৌন মিলনে মিশে যায়। যোনি যৌন উত্তেজনার সময় পিচ্ছিল হয়ে উঠে। কেননা যৌন উত্তেজনার সময় নারীর ভেতর তরলের রণ হতে থাকে । নারীর যৌন স্বাভাবিক আকারে ৯ সেঃমিঃ প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি। তবে এটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্দিত হয় যেমন যৌনমিলনের সময় , সন্তান জন্মের সময় এমনকি হস্তমৈথুনের বা স্বমেহনের সময়। যোনির সাথে সম্পর্কযুক্ত একই মাত্রার অঙ্গ হলো সারবিঙ । যোনিতে প্রায় ত্রিশ রকমের কৌশিক কলা রয়েছে । এগুলো গভীর এবং যৌনমিলনের সময় লিঙ্গের চাপ এটি সহ্য করে নিতে পারে । যোনি থেকে সাধারণত ল্যাকটিক এসিড রিত হয়। একে যৌনরস বা মিউকাস বলা হয় । এটি যৌন উদ্দিপক এক প্রকার তরল । নারীর যৌন উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই তরল যোনি বেয়ে বাইরে চলে আসতে পারে। নারীর অপরাপর আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গগুলো হলো , জরায়ু , পেলভিস, ওভারি ইত্যাদি। জরায়ুবা ইউটেরাস নারীর যৌন জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় । একই সাথে এটি গুরুত্বপূর্ণ ও বটে । নারীর যৌন জীবনের ততোথিক গুরুত্বপূর্ণ যৌনাঙ্গ হলো ওভারি বা ডিম্বাসয় । যৌনমিলনের পরে পুরুষের লিঙ্গ নিঃসৃত বীর্য নারীর ওভারিতে ডিম্বাশয়ে জমা হয় এবং তার পরে এটি ফ্যালোপিয়ান টিউব বেয়ে উপরিস্থিতি অংশ হলো ওভিডাক্ট। এটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি অঙ্গ । মোটা মুটি এই হচ্ছে নারীর অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ । যার দ্বারা নারীর যৌন জীবন পূর্ণাঙ্গ হয়।


নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গ:-
অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বাইরে পুরুষের চেয়ে নারীর স্বতন্ত্র কিছু যৌনাঙ্গ রয়েছে । প্রথমত এটি হচ্ছে স্তন বা ব্রেস্ট । নারীর স্তন যুগল একই সাথে নারীরত্বকে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি যৌন জীবনে এবং মাতৃত্বকালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নারীর নারীত্ব পূর্ণ মাত্রায় ফুটে উঠে তার স্তনের বিকাশের সাথে সাথে । পুরুষের নারীর মতো স্তন নেই তবে স্তনের স্পর্শে পুরুষও আবেদিত বা উত্তেজিত হয়। যৌন জীবনের প্রধান ভূমিকা রাখে নারীর স্তন। স্তনের স্পর্শের দ্বারা নারী সবচেয়ে মৌলিক এবং চূড়ান্ত যৌন উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছে যায়। নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে আবেদনশীল যৌনাঙ্গ হলো তার কিটোরিস। এটি নারীর বাইরের যৌনাঙ্গ। কিটোরিসকে বাংলাতে ভগাংকুর বলা হয় । বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ভগাংকুরের দৈঘ্য এবং প্রস্থ সব নারীর একই সমান নাও হতে পারে তবে সব নারীর ক্ষেত্রেই ভগাংকুরের স্পর্শের আনন্দ অপরিসীম । কিটোরিস এর মাথা নরম চামড়ার দ্বারা বা ত্বকের আবৃত থাকে। একে কিটোরাল হুড বা ভগাংকুরের আবৃত মাথা বলা যেতে পারে । এই মাথাকে আস্তে সরিয়ে নিলেই লালচে কিংবা সাদাটা যে নরম মাংসের ছোট পিন্ড দেখা যাবে সেটি হলো কিটোরিস নারী এখানে স্পর্শে আনন্দ অনুভব করে । এই আনন্দ চরমপুলকের মতো আনন্দ দিতে পারে । কোনো কোনো নারীকে দেখা যায় যে তারা যৌনমিলনের আনন্দের চাইতে ভগাংকুরের বা কিটোরিসের স্পর্শে আনন্দ উপভোগ করে বেশি এবং জীবনব্যাপী তারা যৌন আনন্দ এর মাঝে খুজে পায় । কিটোরিসে যদি নিজ হাতে স্পর্শ করে শারীরিক আনন্দ পাওয়া যায় তবে তাকে স্বমেহন বলা যেতে পারে । কিন্তু বা স্বামির যৌন সঙ্গীর স্পর্শে উক্ত শারীরিক আনন্দ পেলে তাকে আউটার কোর্স বা বাইরের যৌনতা বলা হয় । কিটোরিসের পরে নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের মধ্যে যৌনির মুখ এবং যৌনির ঠোঁটের ব্যাপারটি চলে আসে । নারীর যোনির অর্থাৎ যৌনমিলনের প্রধান অঙ্গের উপরিভাগে দুটো ঠোঁট থাকে । এর একটির নাম ল্যাবিয়া ম্যাজোরা এবং অন্যটির নাম ল্যাবিয়া ম্যানোরা । ল্যাবিয়া ম্যাজোরা হলো অপোকৃত বড় ঠোঁটটির নাম এবং ল্যাবিয়া ম্যানোরা হলো অপোকৃত ছোট ঠোঁটটির নাম। যৌন উত্তেজনার সময় যোনির এই দুটি ঠোঁট এমনিতেই একটু ফাঁক হয়ে যায় বা সরে যায় । কিটোরিসের নিচে মূত্র নালীর একটি জায়গা আছে । এখান দিয়ে নারীর মূত্র ত্যাগ করতে হয় । মোটা মুটি নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের ধারণা হলো এমন । নারীর এই বহিঃযৌনাঙ্গের পুরো অঞ্চলটিকে বলা হয় ভাবলা এই অঞ্চলে প্রচুর যৌন কেশ বা যৌন লোমের বিকাশ

Labels:

নারীর স্বমেহন

যৌনমিলন ছাড়া ও নারী চূড়ান্ত যৌন আনন্দ পেতে পারে । এটি হচ্ছে নারীর স্বমেহন প্রক্রিয়া । নারী যদি স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তবেও তার যৌন আনন্দ পেতে পারে । নারীর ভগাংকুরের অংশটি সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অংশ এখানে নারী হাতের স্পর্শে বা যৌনির ভেতরে লিঙ্গ সদৃশ্য কোনো কিছু ঢুকিয়ে নারী যৌন আনন্দ পেতে পারে । অনেকে মনে করেন যৌনমিলন ছাড়া যৌন আনন্দ পাওয়া আদৌ সম্ভব নয় । কিন্তু এটি সত্য যে স্বমেহন যৌন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ । এটি শারীরিক কোনো তি করে না । এটি দিনে রাতে যে কোনো সময় যৌন সঙ্গি বা সঙ্গিনীর সাহায্য ছাড়াই করা যেতে পারে । যৌন বিশেষজ্ঞ হ্যাভলক এলিস মনে করেন হস্তমৈথুন বা স্বমেহন বহু নারী কে অন্য মাত্রার যৌনানুভূতি এনে দিতে পারে । হয়তো নারী ঠিক এভাবে এর আগে কখনো যৌন আনন্দ অনুভব করেনি । স্বমেহন ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি ঘটে সেটি হলো নারী তার যৌন অনুভূতিকে নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কৈশোরকালিন সময়ে সাধারণত একজন নারী বা পুরুষ স্বমেহনের ব্যাপারে জানতে পারে । স্বমেহন নারীর যৌন আনন্দের তীব্রতা বাড়াতে পারে । এটি পুরুষের জন্য ও সমানভাবে আনন্দজনক । পুরুষ গড়ে নারীর চাইতে বেশি হস্তমৈথুন করে থাকে । পুরুষ এবং নারীর স্বমেহনের পর পার্থক্য হলো পুরুষ শতকরা ৮১ জন এবং নারী শতকরা ৫৯ জন । নারী এবং পুরুষ যৌন আনন্দের বিকল্প উপায় হিসাবে স্বমেহনকে বেছে নেয় । আবার কেউ কেউ স্বমেহনকালীন সময়ে যৌন ফ্যান্টাসিকে গ্রহন করে । এতে করে যৌন অনুভূতি আরো বেড়ে যেতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে নারীর স্বমেহনের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যেতে পারে । এর প্রধান কারণ এই সময়ে নারীর শরীরে হরমোন নিঃসরণের পরিমান বেড়ে যায় । অনেক পিতা মাতা তাদের ছেলে বা মেয়ে কে যৌনতা একটি নোংরা ব্যাপার এই বিষয়ে ধারণা দেন । এরকম ধারণায় পরবর্তী সময়ে বিশ্বাসী হয়ে অনেক নারী এবং পুরুষ যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহি হয়ে উঠে । মনে রাখা উচিত যৌনতা আদৌ কোনো খারাপ বিষয় নয় । এটি মনোদৈহিক এবং শারীরিক উৎকর্ষতা তৈরি করে । তবে পাশা-পাশি এটিও সত্য যে অতিরিক্ত স্বমেহন নারীর এবং পুরুষের স্ব্যাস্থগত সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে । এটি ততোণ ভাল যতোণ পর্যন্ত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিনের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে । নারীর জন্য কোনো কোনো সময় স্বমেহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে । এটি সুস্থ্য যৌনতারই প্রকাশ ঘটায় । তবে পুরুষদের হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কিছু ধারণা হলো –
হস্তমৈথুন যৌন উত্তেজনা কমায় না ।হস্তমৈথুনে বীর্যপাত হয় সামান্য ।হস্তমৈথুনের সময় যৌন উত্তেজক ছবি দেখা ভলো ।হস্তমৈথুনে লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়ে ইত্যাদি ।
পাশাপাশি বহু পুরুষের যৌনতা এবং হস্তমৈথুন সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং তারা হস্তমৈথুনকে পাপ মনে করেন । সাধারণত এই বিশ্বাসগুলো সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কারণে । যেমন-বৃদ্ধ বয়সে ধর্মীয় বিশ্বাস ।ডাক্তারী ভ্রান্ত কৌশল অবলম্বন ।পিতা মাতার কঠোর শাসন ।সব নারীকেই পবিত্র মনে করা ।ডাক্তারদের ভুল ব্যাখ্যা ।কুসংস্কার ইত্যাদি ।
এর পাশপাশি একজন হস্তমৈথুনকারী আরো বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে তার চিন্তা ভাবনা ও বিশ্বাসগুলো হলো:এটি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার সৃষ্টি করে ।এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে দেয় ।এক ফোঁটা বীর্যে চল্লিশ ফোঁটা রক্ত থাকে ।অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষকে পুরুষত্বহীন করে তোলে ।হস্তমৈথুন লিঙ্গের ্লায়ু এবং রক্তচলাচলের কোষকে দুর্বল করে তলে ।এটি পিঠ ব্যথার সৃষ্টি করে ।এটি সামাজিকতার চোখে নিন্দনীয় ।এটি একজন পুরুষকে সমকামী করে তুলতে পারে ।
উপরের সবগুলোই চিন্তা ভ্রান্ত এবং বাস্তবতা বহির্ভূত । হস্তমৈথুন কোনো কোনো সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ঠিকই কিন্তু এর ফলে দৈহিক এবং মানসিক কোনো পরিবর্তন হয় না । হস্তমৈথুনের ব্যাপ্যারে কিনসে প্রকাশিত আসল তথ্যগুলো হলো -পরিমিত মাত্রার হস্তমৈথুন ভালো।২৫ বছরের পর দৈনন্দিন হস্তমৈথুন তিকর নয় ।এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ।এটি আত্নবিশ্বাস বাড়ায় ।মাত্রা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন (যেমন দিনে একাধিক বার) খারাপ ।এটি যৌন অনুভূতি চাঙ্গা করে ।হস্তমৈথুন যৌনমিলনের কৌশল বাড়াতে সাহায্য করে ।এটি আত্মতৃপ্তিদায়ক যৌন অভ্যাস ।

Labels:

নারীদের চুল পড়া


নারীদের চুল পড়া একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। পুরুষদের যেভাবে টাক পড়ে সেভাবে চুল না ঝরে পড়লেও নারীদের চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। আমাদের সমাজে সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল না হলে নারীদের সুন্দরী বা সুশ্রী বলা মুশকিল। অল্প বয়সে চুল না ঝরে পড়লেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ে যাওয়ার সম্মুখীন হন নারীরা। নানা কারণে মেয়েদের চুল পড়তে পারে-

#হরমোন

হরমোনের তারতম্যের কারণে চুল পড়া একটি প্রধান সমস্যা। হাইরয়েড হরমোনোর তারতম্যের কারণে চুল পড়ে। এ ছাড়া ইস্ট্রোজেনের কারণেও চুল পড়তে পারে। তবে হরমোনজনিত সমস্যায় চিকিৎসা করালে চুল পড়া বন্ধ হয়।

#সন্তান জন্মদান

সন্তান জন্মদানের পর তিন মাস নারীদের প্রচুর চুল পড়তে পারে। এটিও হরমোনোর কারণেই হয়ে থাকে। তবে প্রাকৃতিকভাবেই হরমোন সঠিক মাত্রায় চলে আসার পর চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে খুব বেশি চুল পড়ে পাতলা হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

#রজঃনিবৃত্তি

মাসিক বন্ধ হওয়ার পরে মহিলারা চুলের সমস্যা নিয়ে বেশি ভোগেন। এ সময় ৩৭ শতাংশ মহিলার চুল বেশি মাত্রায় ঝরে পড়ে। এ ছাড়া হরমোন থেরাপি নেয়ার কারণেও চুল পড়তে পারে।

নানা ধরনের অসুস্থতা বা অসুস্থতার পরেও চুল ঝরে পড়া সমস্যা হতে পারে। তবে যে কারণেই চুল ঝরে পড়ুক তার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। কেননা এতে সৌন্দর্যহানী ঘটে যা খুবই বিরক্তিকর। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় চুলের নানা ফ্যাশন যেমন- রিবন্ডিং, স্টেইট, পার্ম, ডাই, ব্লোয়ার ড্রাই ইত্যাদি করার কারণে চুল ঝরে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া অনেকে নিজে থেকে ওজন কমানোর জন্য কম খান কিংবা পুষ্টিকর খাবার খান না। এতে করেও চুলের ক্ষতি হয়। ওজন কমাতে নিজে নিজে খাওয়া বন্ধ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চুল পড়া হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
  
সূত্র: sasthabangla

Labels:

লিউকোরিয়া

লিউকোরিয়া হচ্ছে সাদা স্রাব। নারীর যোনি থেকে ক্রমাগত সাদা তরলের ক্ষরণ হলে তাকে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। ভারতের উত্তর প্রদেশের নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।

লিউকোরিয়ার সাধারণ কারণ-
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ।
যোনিতে সেপ্রর ব্যবহার ।
রক্তাল্পতা এবং দীর্ঘ সময় অসুস্থ থাকা ।
ট্রিকমোনাল ইনফেকশন ।
মনিলিয়াল ইফেকশন ।
কারভিকটিজ ।

লিউকোরিয়া প্রতিরোধের কয়েকটি উপায়-
সুতির প্যান্টি ব্যবহার করা ।
যৌনতায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ।
যৌনমিলনের আগে এবং পরে যৌনাঙ্গ ধৌত করা ।
যোনির পিচ্ছিলতা বাড়াতে কেওয়াই জেলি ব্যবহার ।
যোনিতে কোনো প্রকার সেপ্র ব্যবহার না করা ।
জন্ম নিরোধক পিল সেবনের পূর্বে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্ম্পকে জেনে নেয়া ।
সুষম খাদ্য গ্রহণ ।

প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

 সূত্র: sasthabangla


Labels:

ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে

সুন্দর হতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মনে হয় খুবই মুশকিল। তার চাইতেও বেশি মুশকিল সৌন্দর্য চর্চা করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া। একজন মানুষ তখনই সুন্দর হতে পারে যখন তার সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যমগুলো অর্থাত্ ত্বক, চুল, নখ ইত্যাদি সুন্দর হবে। আর এগুলো সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চর্চা। আর এই চর্চায় আপনি হয়তো জেনেশুনেই ব্যবহার করছেন নানা ক্যামিকেল-যুক্ত পণ্য। এসব পণ্য নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এ সকল পণ্য বা প্রসাধনী সাময়িকভাবে আপনাকে সুন্দর করে তুললেও ধীরে ধীরে আপনার সৌন্দর্য যে চিরতরে নষ্ট করে দিচ্ছে তা আপনি টেরই পাচ্ছেন না। তাই রূপচর্চায় প্রয়োজন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত উপাদান। আর এ জন্য রূপচর্চায় প্রয়োজন প্রাকৃতিক উপাদান। এ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন

চাকরি, পড়াশোনা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় আমাদের বাইরে থাকতে হয়। তাই বাইরে থেকে এসে মুখ ধোয়া খুবই জরুরি। আর এ ক্ষেত্রে আমরা কেমিক্যালযুক্ত ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার না করে ভেষজ উপায়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারি। দুই চা চামচ দুধের সাথে এক চিমটে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে তুলা ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য দুধ ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে

 ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে লাগান।

 কাঁচা হলুদ বাটা, ময়দা ও দুধের সর একসাথে মিশিয়ে ভালো করে মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 মধু, জলপাই তেল, চন্দন বাটা ও এক চিমটে হলুদের মিশ্রণ মুখে মাখালে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

 শসার রস মুখে লাগিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট রাখার পর এক কাপ পানিতে অর্ধেক পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে সে পানিতে তুলা ভিজিয়ে তা দিয়ে শসার রস তুলে ফেলতে হবে।

 তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিলিয়ে সারা মুখে মেখে রাখুন। তারপর কয়েক মিনিট পর ভেজা তুলা দিয়ে মুছে ফেলুন।

 গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শসার নির্যাস একসাথে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে।

 ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমন্ড, বাদামি গোলাপের পাপড়ি এবং দুধের সর দিয়ে বেটে মুখে লাগান।

 ত্বককে টানটান করার জন্য ত্বকে লেবুর খোসা ঘষুন। লেবুর খোসায় উপস্থিত অ্যাসিটনজেন্ট লোমকূপ বন্ধ করে ত্বককে টানটান করে।

দাগ সারাতে

 অনেকের মুখেই কালো কালো দাগ দেখা যা সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। ১ চা-চামচ ধনিয়ার রসের সাথে এক চিমটে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে সারারাত মুখে লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে উঠে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটায় পুরো মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কয়েক দিন ব্যবহারেই উপকার পাচ্ছেন।

 যাদের মুখে মেচতা আছে তারা ১ চা চামচ সাদা জিরে গুঁড়া, ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ সরষে গুঁড়া ও ১ চা-চামচ আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেচতার উপর লাগান। বিশ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 আপনার মুখে যদি ব্রণের দাগ থাকে তবে প্রতিদিন গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ব্রণের দাগ ক্রমশ হালকা হয়ে যাচ্ছে।

 মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে গেলে সেই ছাপ কাটাতে চন্দন বাটা, তুলসি বাটা গোলাপ জলে মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক চকচকে হয়ে গেছে।

চুলের যত্নে

সৌন্দর্য প্রকাশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে চুল। আপনার ত্বক যতই সুন্দর হোক না কেন আপনার চুল যদি হয় উসকো-খুশকো, তবে আপনাকে নিশ্চয় সুন্দর দেখাবে না। আর তাই চুল সুন্দর করতে প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন। এখন আসুন জেনে নিই ভেষজ উপাদান দিয়ে কীভাবে চুলের যত্ন করব।

 চুলকে মসৃণ করতে হলে কচি আমলকির রস ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

 চুল কালো করতে চাইলে জবা ফুলের রস লাগান।

 পুষ্ট ও ঝলমলে চুলের জন্য পাকা কুমড়ার বীজ চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পাকা কুমড়ার বীজ শুকিয়ে বায়ু নিরোধক পাত্রে রেখে দিন এবং মাঝে মধ্যে চিবিয়ে খান।

 চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে পেঁয়াজের রস পুরো মাথায় লাগান। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

 শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে আপনি চুলে রিটা ব্যবহার করতে পারেন। এক মুঠো রিটা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর তা চুলে শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন।

 মসুর ডাল বাটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আধঘণ্টা মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল সতেজ হবে।

 সারারাত মেথি ও কয়েকটা কাঁচা আমলকী পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন তা বেটে চুলে লাগান।

 চুল ঝরঝরে করার জন্য মেহেদী, আমলকি, টকদই ও ডিম ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে মাখুন এবং একঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Labels:

ঈদের খাবারে সুস্থতা

ঈদ সমাগত। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ হলো আনন্দের দিন। আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো খাবার। ঈদকে উপলক্ষ করে সবার বাসায় নানান মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়। এক মাসের খাদ্যাভ্যাস বদলে ওই দিনই সবাই সকালে নাস্তার টেবিলে বসে মুখে দেন সেমাই, পায়েস, জর্দা, পোলাও কোর্মাসহ আরও কত খাবার। নিজ বাসায় তো বটেই, আত্দীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায় প্রায় সারা দিনই এটা-সেটা খাওয়া হয়।
 
ঈদের খাবারে সুস্থতাতবে এই আনন্দের মধ্যেও আমাদের একটু নজর দেওয়া দরকার আমরা কী খাচ্ছি, কতটুকু খাচ্ছি, খাবারের প্রতিক্রিয়া কী তার ওপর। মূল সমস্যাটা নিঃসন্দেহে খাবারের পরিমাণে। রমজানে খাবারের সংযম হোক বা না-ই হোক, ঈদের দিন ভূরিভোজ মানে এক মাসের খাবার একদিনেই উসুল করা। আবার বন্ধুদের বাড়িতে গেলে চাপে পড়ে কিছু তো খেতেই হয়। আর এই চাপ পড়ে পেটে। অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। ফলে পেট ফাঁপা, জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথা, বার বার পায়খানা হয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করার দরুন অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন।

দিনের মূল খাবার অর্থাৎ দুপুর ও রাতের খাবার কোথায় খাবেন ঠিক করে ফেলুন। অন্যসব বাসায় যথাসম্ভব কম খান। পানি, সরবত, ফলের রসসহ তরল খাবার বেশি খাবেন। এতে গুরুপাক খাবারের জন্য পেটে স্থান কমে যাবে। খাবারের মেন্যুতে এই দিন মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি থাকে। এ ছাড়া পোলাও, মুরগি, গরু বা খাসির মাংস, কাবাবসহ ঝাল খাবারও থাকে। এ ছাড়া চটপটি, দইবড়া কিংবা বোরহানির মতো টক খাবারও থাকে। কম বয়সী এবং শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তারা নিজের পছন্দমতো সবই খেতে পারেন এবং তাদের হজমেরও কোনো সমস্যা হয় না, শুধু অতিরিক্ত না হলেই হলো।

তবে অনেকে এক মাসের অনভ্যাসের কারণে হঠাৎ খুব বেশি ঝাল, তৈলাক্ত বা ভাজাপোড়া খাবার খেলে অসুস্থবোধ করতে পারেন। তাই সবারই কম মসলা ও তেলযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। যারা মাঝবয়সী, বয়োবৃদ্ধ বা যাদের শারীরিক সমস্যা আছে যেমন ডায়াবেটিস, প্রেসার, হৃদরোগ ইত্যাদি তাদের খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়াতে হবে। তারা টকজাতীয় খাবারের মাধ্যমে রসনা পূরণ করতে পারেন।
সবজি বা টকফল দিয়ে খাবার আগেই বানিয়ে রাখুন, এগুলো আপনাকে অন্যসব থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির বিকল্প দিয়ে তৈরি করে নেবেন। পোলাও-বিরানি কম খাবেন, তবে ভাত খাওয়াই ভালো। মুরগি বা গরুর মাংস খাওয়া যাবে যদি অতিরিক্ত তেল বা চর্বি না থাকে। কিডনির সমস্যা থাকলে মাংস পরিহার করা ভালো। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগী তাদের অবশ্যই তেল-চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। চর্বি ছাড়া গরুর মাংস খাওয়া যাবে, তবে পরিমাণ মতো। খাসির মাংস, কলিজা, মগজ, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি খাবেন না।

খাবারের পরিমাণটা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যাই খান না কেন তা পরিমাণ মতো খাওয়া বাঞ্ছনীয়।

অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

Labels:

রক্ত দেয়ার আগে করণীয়


রক্ত দেয়া একটি মহত কাজ। কিন্তু অনেকে রক্ত দিতে যেয়ে নিজেই অজ্ঞান হয়ে যান। দেখে নিন রক্ত দেয়ার আগে কী কী জানতে হবে। রক্তদান খুব দুরূহ কাজ না হলেও অনেকের মধ্যে ভীতি কাজ করে। কিন্তু একবার রক্ত দেয়ার পর বুঝতে পারবেন ভয়ের কিছুই নেই। সাধারণত দাতার শারীরিক যোগ্যতা বিচার করে ডাক্তারেরা রক্ত সংগ্রহ করেন। তবে রক্তদানের আগে কিছুপ্রস্তুতি দরকার।

রক্ত দেয়ার আগে কী করণীয় এখানে সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

১. একদম খালি পেটে বা ভরা পেটে রক্ত দেবেন না। রক্ত দেয়ার কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে পেট পুরে খেয়ে নিন।
ছাড়া পরে ভালো করে খেয়ে নিন।

৩. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে রক্ত দেয়ার দিন ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। তবে রক্ত দেয়ার তিন ঘণ্টা পর ধূমপান করতে পারেন।

৪. যদি আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে কোনো ধরনের এলকোহল পান করে থাকেন তাহলে রক্ত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

৫. ওজন মেপে নিন। আপনার ওজন কমপক্ষে ১১০ পাউন্ড বা ৫০ কেজি হতে হবে।

৬. আগের রাতে ভালো করে ঘুমিয়ে নিন।

সূত্র: হেল্থ বাংলা


Labels:

প্রতিটি মেয়েরই একজন ছেলেবন্ধু প্রয়োজন

একজন ছেলে ও একজন মেয়ের মধ্যে প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক ছাড়াও যে ভালো একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয় এই কথাটা অনেকেই মানতে নারাজ। তাদের মতে, ছেলে ও মেয়ের মধ্যকার সম্পর্ক কখনো বন্ধুত্বে সীমাবদ্ধ থাকে না। বন্ধুত্বের সীমারেখা পেরিয়ে তা প্রেমের সম্পর্কে চলে যায়। সংখ্যায় কম হলেও অনেক অভিভাবক এখন তাদের চিন্তাধারার পরিবর্তন করেছে এবং এটা মানতে শুরু করেছে যে ছেলে ও মেয়েদের বন্ধুত্বের ভালো কিছু দিকও রয়েছে।ছেলে ও মেয়েদের বন্ধুত্বের অনেক ভালো কিছু দিক রয়েছে যা অনেকেই জানেন না কিংবা জেনে থাকলেও মানতে নারাজ। প্রতিটি মেয়েরই অন্তত একজন ভালো ছেলেবন্ধু থাকা অনেক বেশি জরুরী।

প্রতিটি মেয়েরই একজন ছেলেবন্ধু প্রয়োজন

 # সব চাইতে ভালো বন্ধু
 যে যাই বলুক না কেন, প্রায় ৭৫% মহিলার অভিমত একই যে, ‘মেয়েরা মেয়েদের শত্রু অনেক ক্ষেত্রেই প্রমাণিত হয়’। সমস্যা হলো মেয়েরা অতিরিক্ত মাত্রায় আবেগী ও অভিমানি থাকেন, এরই পাশাপাশি মেয়েরা অনেক বেশি কথা বলেন। যদি বান্ধবীদের মধ্যে কোনো কারণে সমস্যা হয় তবে একে ওপরের সাথে অভিমান করে মেয়েরা গোপন কথা তৃতীয় কারো কাছে বলে ফেলেন, ফলে সমস্যায় পড়ে যান দুজনেই। কিন্তু ছেলে বন্ধুর ব্যাপারে এই ধরনের কোনো সমস্যা নেই। কারণ তারা এই কাজটি কখনোই করতে যাবেন না। যে কোনো ধরণের কথা তারা খুব ভালো বন্ধু হলে নিজের ভেতরেই রেখে দেবেন। সুতরাং একটি মেয়ের জন্য বেশ ভালো বন্ধু হিসেবে পাশে থাকতে পারেন একজন ছেলে।

# বিপদ বলে কয়ে আসে না:-
 ধরুন মধ্যরাতে বিপদে পড়লেন কোনো বন্ধু, সেখানে সবার আগে সবসময় পাওয়া যাবে একজন ছেলে বন্ধুকেই। কারণ সময় স্থান ও পাত্রের বিচারে মেয়েরা সব সময় পাশে থাকতে পারেন না। তাদের নিজস্ব অনেক ধরণের বাঁধা বিপত্তি রয়েছে যা অতিক্রম করে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়ানো সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু বিপদে পড়লে যে কোনো সময় ডাকলে পাশে পাওয়া যাবে ভালো একজন ছেলে বন্ধু।

#ভবিষৎ পরিকল্পনা:- 
ভবিষৎ পরিকল্পনার সময় একজন মেয়ে বন্ধুর চেয়ে একজন ছেলে বন্ধু সবচেয়ে বেশী কাজে আসে। কেননা, মেয়েরা তাদের ভবিষৎ পরিকল্পনায় সবসময় কাল্পনিক বিষয়গুলো নিজের অজান্তেই গুরুত্ব দিয়ে ফেলে। যেমনঃ স্বপ্নের বাড়ি, মানুষ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, ঐ সময় ইমাজিনেশনের জগৎ থেকে আপনাকে বাস্তবে একজন ছেলেবন্ধুই ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এমনকি শপিং এর সময়ও একজন ভালো ছেলে বন্ধু আপনার সময় অপচয় করা ও অত্যাধিক টাকা অপচয় থেকে বাচিয়ে দিবে।

# বাস্তবতা শেখানোর জন্য পারফেক্ট মানুষ:-
যখন মেয়েরা মেয়েরা কথা বলেন তখন নানা স্বপ্ন, স্বপ্নের মানুষ ইত্যাদি ধরণের হাবিজাবি কথাই বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু আপনার বন্ধুটি যখন একটি ছেলে হবে তখন কথার মাঝে অবশ্যই আপনার ক্যারিয়ার ও পরালেখার বিষয়টি সব চাইতে বেশি আসবে। এতে করে জীবনের বাস্তবতা থেকে আর দূরে সরে পড়া হবে না মেয়েদের। এছাড়াও আপনি যখন শপিং এ যাবেন তখন যদি আপনার সাথে আপনার ছেলে বন্ধুটি থাকে তবে আপনি অদরকারী কিছু জিনিস কেনা ও অযথা সময় ও টাকা নষ্ট করার হাত থেকেও বেঁচে যাবেন।

 # সিদ্ধান্ত গ্রহন ও সমস্যা সমাধানে পারদর্শী বন্ধু:-
মেয়েরা অনেক সময়েই বাস্তবতা বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সব সময় হৃদয় দিয়ে ভাবার অভ্যাস অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিপদে ফেলে দেয়। আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে একজন মেয়ের থেকে ছেলে বন্ধু সব চাইতে বেশি সহায়তা করতে পারবেন। তিনি একেবারে বাস্তবতা বিচার করে পারফেক্ট সিদ্ধান্তটি নিতে আপনাকে সাহায্য করবেন।


সূত্র: হেল্থ বাংলা

Labels:

Saturday, October 4, 2014

গরমে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন


গরমে মানুষের দেহে পানি শুন্যতার সৃষ্টি হয়, কারন প্রচন্ড ঘামের ফলে দেহ থেকে বের হয়ে যায় পানি। এতে করে মানুষ ক্রমাগত অসুস্থ হয়ে পরছে। তবে একটু সচেতন হয়ে এই গরমে কিছু খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে কিছুটা মুক্তি মিলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এই গরমে আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। ঘামের ফলে আপনার শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাই, তাই আপনি বেশি বেশি ঠাণ্ডা, পানি পাওয়া যায় এবং আপনার শরীরে পানি ধরে রাখে এমন খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করেন। তবে এক্ষেত্রেও আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, আপনি অবশ্যই কেমিক্যাল এবং ফরমালিন মুক্ত খাবার খাবেন।
গরমে খাবার খাওয়ার একটু সতর্ক থাকা উচিত। কারণ এ সময় এমনিতেই প্রকৃতির তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই একটু তরল বা ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খাওয়াই ভালো।
গরমে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

এখানে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত তার একটা তালিকা দেয়া হলো।

গরুর গোশত : গরুর গোশত আমাদের দেহে অনেক বেশি তাপমাত্রা উৎপাদন করে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তো রয়েছেই। গরুর গোশত বেশি ঘাম তৈরি করে। এতে দেহে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। তখন শরীর অসুস্থ হয়ে পরে।


অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার : মসলাযুক্ত খাবার আমাদের দেহের তাপমাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে। এতে আমাদের হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই এই গরমে আমাদের উচিত যতটা সম্ভব কম মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া।

ফাস্ট ফুড : ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারে অনেক বেশি তেল থাকে। গরমের সময় তেল খেলে আরো গরম লাগে। আবার অনেক ফাস্ট ফুড রয়েছে যেগুলো আমাদের দেহের পানি শুষে নেয়। ফলে এই গরমের মধ্যে আমরা পানিশূন্য হয়ে পড়ি।

অতিরিক্ত চা ও কফি : অনেকেরই অভ্যাস আছে সকালে বা বিকেলে এক কাপ চা বা কফি খাওয়া। কিন্তু এর বাইরে চা বা কফি পান করা গরমকালে শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। চা বা কফির ক্যাফেইন দেহকে ডিহাইড্রেট করে ফেলে। এতেও আমরা অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ বোধ করি।

গরমে যেসব খাবারে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন!

১. অতিরিক্ত তেল গ্রহণ
২. ডুবো তেলে ভাজা খাবার
৩. ঘি, মাখন, পনির, মেয়নেজ, ফাস্টফুড
৪. কোল্ডড্রিংক্স
৫. পোলাও, কাচ্চি, গরু ও খাশীর মাংস
৬. ভূনা খাবার
৭. অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার
৮. অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডা খাবার।

সূত্র: হেল্থ বাংলা

Labels:

গরমে করণীয়..



সারা দেশে এখন চলছে গরম হাওয়া। এই গরমে সুস্থ থাকা দায়। সুস্থ থাকার জন্য তাই অবলম্বন করতে হবে কিছু সাধারণ কৌশল, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

প্রচুর পানি পান করুন

গরমের দিনে এমনিতেই একটু বেশি পানি পান করা উচিত। কারণ এ সময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর পানিস্বল্পতায় ভোগে। তা ছাড়া যারা কায়িক পরিশ্রম বেশি করেন এবং অনেকক্ষণ ধরে রোদে অবস্থান করেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি পানি পানের ব্যাপারে বাড়তি আগ্রহ থাকতে হবে। শরীরের পানি ও লবণ ঘাটতি মেটানোর জন্য মুখে খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে। শিশুরা নিজ থেকে পানি পান করতে ততটা আগ্রহী থাকে না। তাই শিশুকে এই গরমে পরিমাণমতো পানি অবশ্যই পান করাতে হবে, যাতে শিশুর শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা না দেয়।
পানিস্বল্পতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। গরমের সময় প্রস্রাব হলুদাভ বর্ণের হলে বুঝতে হবে শরীরে পানিস্বল্পতার সৃষ্টি হয়েছে। অন্য কোনো অসুখ বিশেষ করে হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের কোনো উপসর্গ না থাকলে প্রস্রাবের হলুদাভ রঙ থেকেই শরীরের পানিস্বল্পতা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। প্রস্রাব হলুদাভ রঙের হলে সাথে সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে। যতক্ষণ না প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিক হবে ততক্ষণ এই পানি পান চালিয়ে যেতে হবে। শরীর বেশি অসুস্থ হলে স্যালাইন-পানি পান করা ভালো। তবে অন্য পানীয় পানে বিশেষ কোনো উপকার নেই। বিশেষ করে অ্যালকোহলযুক্ত বেভারেজ পান করলে শরীরে আরো বেশি পানিস্বল্পতার সৃষ্টি হয়। তাই পানিস্বল্পতা রোধ করতে গিয়ে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করলে শরীর আরো বেশি পানি হারাবে।

চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন

প্রচণ্ড গরমে অনেকেরই চোখ জ্বালা করে। এ পরিস্থিতিতে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম লাগবে। পারলে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা পরিবেশে বিশ্রাম নিতে হবে, পান করতে হবে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি।

শরীর থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে পরিচ্ছন্ন গোসল
পরিচ্ছন্নতার জন্য গরমকালে দু’বার গোসল করা ভালো। দুর্গন্ধ দূর করতে বারবার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তবে গোসলে বিশেষ ধরনের সাবান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ব্যবহারে উপকার আছে।

ঘাম প্রতিরোধে ডিওডোরেন্ট

 শরীরে ঘামজনিত দুর্গন্ধ দূর করার জন্যই ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা হয়। আর অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ঘাম তৈরিতে বাধা দেয়। ডিওডোরেন্ট ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং ঘামকে বিশ্লেষণ করে। ডিওডোরেন্ট গোসলের পরপরই ব্যবহার না করে গোসলের কিছু সময় পর শরীর শুকনো ও ঠাণ্ডা করে তারপর ব্যবহার করুন। এতে ডিওডোরেন্ট দীর্ঘসময় কার্যকারিতা পাবে।

চোখের অস্বস্তি দূর করতে সানগ্লাস


গরমের শাণিত রোদে চোখে অস্বস্তিবোধ হওয়াই স্বাভাবিক। পারলে এ অবস্থায় চোখে সানগ্লাস পরা যেতে পারে। সানগ্লাস চোখকে রোদের অস্বস্তি থেকে রেহাই দেবে।

খেতে হবে শাকসবজি ফলমূল
গরমের দিনে চর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো। চর্বিজাতীয় খাবারে শরীর আরো উত্তাপ লাভ করবে, ঘাম ও অস্বস্তি দুই-ই বাড়বে। চর্বির সাথে অতিমাত্রায় চিনিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলা স্বস্তিদায়ক। এ সময় নিয়মিত খাবারের তালিকায় যোগ করতে হবে ফলমূল ও শাকসবজি।
অ্যাজমা রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে

অতিরিক্ত গরমে অনেকেরই অ্যাজমার সমস্যা তীব্র হয়। এ অবস্থায় অ্যাজমা রোগীরা যাতে গরমের অস্বস্তিকর পরিবেশের মুখোমুখি না হন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসকের দেয়া চিকিৎসানিয়মিতভাবে গ্রহণ করতে হবে, মেনে চলতে হবে উপদেশগুলো। এ সময় অ্যাজমার জন্য দেয়া শ্বাসনালী প্রসারক ইনহেলারটি হাতের কাছে রাখতে ভুলবেন না।

সূর্যের পোড়া এড়াতে সানস্ক্রিন

সূর্যের চাবদাহ থেকে ত্বককে রক্ষার জন্য শরীরের উন্মুক্ত অংশে সানস্ক্রিন ক্রিম মাখা যেতে পারে। সানস্ক্রিন প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর মাখতে হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন বা সানব্লকার ক্রিম পাওয়া যায়। আমাদের দেশের জন্য এসপিএফ-১৫ শক্তিসম্পন্ন সানব্লকারই যথেষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গরমে অনেকেরই ত্বক লালাভ হয়ে ওঠে। ত্বকে চাকা চাকা র‌্যাশও ওঠে অনেকের। এই র‌্যাশগুলো খুব চুলকায়। এ ধরনের র‌্যাশ ঠাণ্ডা পরিবেশে অর্থাৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকলে কমে যায় বা চলে যায়। অবস্থাটা এ রকম হলে বুঝতে হবে গরমে ত্বকের অতিসংবেদনশীলতার জন্য এমনটি হচ্ছে।

ডা: কাজী মাহবুবা আখতার
সূত্র: হেল্থ বাংলা











Labels:

দ্রুত বীর্যপাত সমাধান – পুরুষের গোপন সমস্যা

অজ্ঞানতার কারণে পুরুষের একটি বিশেষ সমস্যা দ্রুত বীর্যপাত নিয়ে বিভ্রান্তি হয়। এ ধরণের সমস্যা দেখা দিলে অনেকে লজ্জায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে চাননা অনেকেই । ফলে পারিবারিক সমস্যা হতে পারে। অনেকে হতাশায় আক্রান্ত হয়ে সব কিছুর উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। অন্য দিকে স্ত্রী ডিপ্রেসিভ রোগে আক্রান্ত হন এবং স্বামীর সংসারের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন।

দ্রুত বীর্যপাত সমাধান – পুরুষের গোপন সমস্যা
মানসিক উত্কণ্ঠা, দুঃশ্চিন্তা, ডায়াবেটিসসহ বেশ কিছু রোগের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানসিক অস্থিরতা, দুঃশ্চিন্তা বা কখনও কখনও বিয়ের প্রথম দিকে হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায় মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ এক ধরণের রিসেপ্টর আছে যাকে বলা হয় সেরাটোজেনিক রিসেপ্টর বা 5, HT রিসেপ্টর। জন্মগতভাবে এই রিসেপ্টর কম থাকলে বা কোন কারণে এর কার্যকারিতা কমে গেলে এ ধরণের সমস্যা বা রোগ দেখা দিতে পারে। চিকিত্সা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় দ্রুত বীর্যপাত, প্রিমেচিওর ইজাকুলেশন বা সংক্ষেপে রেপিড ইজাকুলেশন বা পি.ই.বলে।
এবার আসুন দেখি

সেক্সটাইম বাড়ানোর নিয়ম

গবেষণায় এটা প্রমাণীত হয়েছে যে এটা প্রাথমিকভাবে এক ধরণের নিউরো-বায়োলজিক্যাল অসুস্থতা, যা পরবর্তিতে সাইকোলজিক্যাল বা সাইকে সোসাল বিপত্তি ঘটায়। ইন্টা বা ইনটারপারসোনাল ও কৃষ্টিগত ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে রেপিড ইজাকুলেশনকে পি.ই. বলা হয়। সাধারণভাবে এটা মনে করা হয় যে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইজাকুলেশন টাইম বাড়ে এটা স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে সত্য কিন্তু যারা পি.ই. তে ভুগছেন তাদের বেলায় নয়।


দ্রুত বীর্যপাত রোগের চিকিত্সার ক্ষেত্রে একই সাথে সাইকোথেরাপি এবং ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিন ধরণের স্ট্রেটেজি গ্রহণ করা হয়। প্রথমত: প্রতিদিন ওষুধ প্রয়োগ, দ্বিতীয়ত: যখন প্রয়োজন তখন ওষুধ প্রয়োগ এবং তৃতীয়ত: ট্রপিক্যাল এনেসথেটিক ওষুধ প্রয়োগ। ওষুধ প্রয়োগ করে এক্ষেত্রে বেশ সুফল পাওয়া যায়। সাইকোজেনিক ইস্পোটেন্সি সাধারণত দুঃশ্চিন্তা,মানসিক অবসাদ, ধর্মীয় অনুশসান, সেক্স ফোবিয়া, পারভারসন বা অতীতের বেদনা দায়ক স্মৃতির কারণে হতে পারে।

সিলডানাফিল গ্রুপের ওষুধ এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসব রোগীদেরকে সাইকোথেরাপি দেয়া প্রয়োজন। সাইকোজেনিক ছাড়াও নিউরোজেনিক, ভাসকুলোজেনিক ও হরমোনাল টাইপের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দেখা যায়।

Labels:

সকালে সেক্স এর উপকার

আমাদের অনেকেরই সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস নেই। যদি খুব ভোরে কেউ ঘুম থেকে ডাকে তাহলে তার প্রতি আরও রাগান্বিত হই। এমন সময়ে আবার স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন! কথাটি শুনে প্রথমে আপনি কিছুটা বিব্রত হতে পারেন।

সকালে সেক্স এর উপকার
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোরবেলায় যৌনমিলন শুধু শারীরিক তৃপ্তিই এনে দেয় না এটি স্বাস্থের জন্যেও অনেক ভাল। ভারতভিত্তিক গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সকাল বেলায় যারা সেক্স করে তারা বেশি স্বাস্থ্যবান ও সুখী হয়। সারাদিন তাদের মানসিক প্রশান্তির মধ্যে কাঁটে। এ সময় অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়। এটি মানুষের ব্রেইনকে সবসময় আনন্দে রাখে।

সকাল বেলায় সেক্স করলে মানুষ খুব আশাবাদী হয়। এটি মানুষের শরীরের ইমিউন সিস্টেম আরও বাড়িয়ে তোলে। এতে তার শরীরের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক হয়। 
এছাড়া এ সময় সেক্স করলে শরীরে ঠাণ্ডা লাগে না। এ কারণে চুল, নখ ও ত্বকের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। যদি কেউ প্রতি সপ্তাহে তিন দিন সকাল বেলায় সেক্স করে তাহলে তার হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোর বেলায় যৌন তৃপ্তি নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই ঘুমানোর আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা হল, আপনি ঘুমানোর আগে অবশ্যই ব্রাশ করে ঘুমাবেন। কারণ আপনার মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোলে যৌনমিলনে পূর্ণ তৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।

এছাড়া আপনি প্রতিদিন যেভাবে যৌনমিলন শুরু করেন সে নিয়ম থেকে সরে আসুন। ভিন্ন উপায়ে আপনার প্রিয়জনকে সেক্সের কথা বলুন। আকর্ষণীয় দু’একটি গান শুনুন। তাতে অতিরিক্ত মজা পাবেন।

আপনি ঘুমানোর আগে নিরাপদ দূরত্বে কনডম রাখুন যাতে আপনার তা খুঁজে পেতে বেশি বেগ পোহাতে না হয়।

সকাল বেলায় যৌনমিলনের আরেকটি উপকার হচ্ছে, সকালের আলোয় একে অপরের শরীর দেখতে পারে, একে অপরের আবেগকে সরাসরি অনুভব করতে পারে। এতে লুকানোর কিছু থাকে না।

তবে সেক্স যে শুধু বেডরুমেই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনি এ সময় গরম পানির শাওয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনারা উভয়ের দেহে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।


সূত্র: হেল্থ বাংলা



Labels: