Saturday, January 31, 2015

গবেষণাতে পর্দার অন্তরালে যৌনতা পায়ুকাম

পঞ্চাশের দশক হতে আলফ্রেড কিংসে মানুষের যৌনাবরণের উপর যে গবেষণা শুরু করেছিলেন, তা আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত নানান নতুন নতুন তথ্য উন্মোচিত করছে। তা আমাদেরকে এমন সব তথ্যের মুখোমুখি করছে যার অনেকগুলো আমরা কখনো কল্পনাতেই আনিনা। হোমোসেক্সুয়ালিটি বা সমকামিতা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? সবারই একদম বদ্ধমূল বিশ্বাস সমকামিরা পায়ুকাম চর্চা করে থাকে আর এটিই তাদের একমাত্র যৌনতা।

 যৌনসমীক্ষকদের চালানো গবেষণাতে দেখা গেছে, পায়ুকাম কিন্তু সমকামিদের মুখ্য বা একমাত্র যৌনতা নয়, যে যৌনতা তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হল মাস্টারবেশন পক্রিয়াতে পরস্পরকে উত্তেজিত করে তোলা।

 এটিকে যৌন বিজ্ঞানের পরিভাষাতে ‘মিউচুয়াল মাস্টারবেশন’ বলা হয়। সমীক্ষণে আরেকটি লক্ষণীয় দিক হলো পায়ুকাম চর্চা কেবলমাত্র সমকামীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ দম্পতিদের অনেকেই এটির কমবেশি চর্চা করে থাকেন। অন্তত গবেষণাতে এটি দেখা গেছে। সমকামীদের যে পারস্পরিক স্বমেহন বা মিউচুয়াল মাস্টারবেশনে-এটিতো পুরুষ আর নারী সমকামী দু’জনার বেলাতে সমভাবেই চর্চা করতে দেখা যায়। নারী সমকামিদের বেলায়তো পায়ুকামের কোনো অবকাশ নেই, সুতরাং ওদের নিয়ে আমাদের ধারণাটি নিয়ে পুনর্বার বিবেচনা করা উচিত।
সাধারণদের মাঝে যারা এ পায়ুকাম চর্চা করে থাকেন তারা কারা? তাদের সংখ্যাই বা কেমন? আমেরিকার বহুল প্রচারিত নারী পত্রিকা বেডবুক ম্যাগাজিন পরিচালিত গবেষণাতে এক লক্ষ মহিলার সমীক্ষণ নেয়া হয়। এতে অংশ নেয়া মহিলাদের তেতাল্লিশ শতাংশ স্বীকার করেছে তারা দাম্পত্য যৌনতায় অন্তত একবার এটির চর্চা করেছেন। যারা এটির চর্চা করেছেন তাদের চল্লিশ শতাংশের অভিমত- এ পায়ুকাম যৌনতা বেশ উপভোগ্য, অন্তত ভিন্ন স্বাদের। পঞ্চাশ শতাংশের ভাষ্য-তারা এর মাঝে কোনো বিশেষ স্বাদ পাননি। দশ শতাংশের অভিমত তারা নিতান্ত অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র স্বামীদের পীড়াপিড়িতে এতে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন। এ সমীক্ষণ তথ্য আশা করি পাঠকদের পর্দার অন্তরালের কিছু তথ্য সম্পর্কে অবগত করে তুলবে।

Labels:

ভাত খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে ৭ অভ্যাস

 ভাত খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে ৭ অভ্যাস
 ভাত খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে ৭ অভ্যাস
বেঁচে থাকার জন্য আমরা খাদ্য খাই। ফলে আমরা সুস্থ থাকি। কিন্তু এমন কিছু বদঅভ্যাস রয়েছে যেগুলো আমাদেরকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে অসুস্থ করে তোলে।
আর তাই সেসব অভ্যাস পরিত্যাগ করাই ভাল। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। কেউ দুই বেলা আবার কেউবা তিন বেলাও ভাত খায়। ভাত খাবার পর কিছু কিছু কাজ করতে মানা। এ অভ্যাসগুলো শরীরে নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে।
১. খাবার খাওয়ার পরপরই অনেকে ফল খায়। এটা একদম ঠিক নয়। কারণ এতে বাড়তে পারে এসিডিটি। খাবার গ্রহণের দু’এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া ভাল।
২. অনেকে দেখা যায় খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই ধূমপান শুরু করে। এটা খুবই মারাত্মক খারাপ অভ্যাস। চিকিৎসকরা বলেন, অন্য সময় ধূমপান যতটুকু ক্ষতি করে খাবার খাওয়ার পর ধূমপান করলে তা ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকর।
৩. খাবার গ্রহণের পর পরই গোসল করবেন না। কারণ খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে পাকস্থিলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা পরিপাকতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে। ফলে খাবার হজমের স্বাভাবিক সময়কে ধীরগতি করে দেয়।
৪. অনেকে দেখা যায় খাবার গ্রহণের সময় বা পরপরই কোমড়ের বেল্ট কিংবা কাপড় ঢিলা করে দেয়। এটা ঠিক নয়। কারণ কোমরের বেল্ট বা কাপড় ঢিলা করলে খুব সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনারীর নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে বা পেঁচিয়ে যেতে পারে বা ব্লক হয়ে যেতে পারে। এ সমস্যাকে ইন্টেসটাইনাল অবস্ট্রাকশন বলে।
৫. খাবার পরপরই ব্যয়াম করা ঠিক নয়।
৬. ভাত খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়া খুবই খারাপ অভ্যাস। এর ফলে শরীরে মেদ জমে যায়।
৭. খাবার পরেই অনেকে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে বসে যান। চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড যা খাদ্যের প্রোটিনকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। এতে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই কিছু সময় অপেক্ষা করার পর চা পান করুন।

Labels:

কেন খাবেন লেটুস পাতা?

লেটুস পাতা
লেটুস পাতা
সালাদের উপাদান হিসেবেই লেটুস পাতা বেশি পরিচিত। ফাস্টফুড খাবারেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। লেটুস পাতায নানা রকম ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে কম ক্যালরি। তাই প্রতিদিন এর ব্যাবহারে কি কি পুষ্টিগুণ পেতে পারেন জেনে নেওয়া যাক।
১. লেটুস আঁশযুক্ত সবজি বলে এটা খাবার দেহের জন্য উপকারী। এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুসে অতি অল্প পরিমাণে কোলেস্টরেল রয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
২. সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস ব্যবহার করুন।
৩. প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন পেতে লেটুস একটি উপায় হতে পারে। তাই সালাদে শিমের বীচির সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাবেন।
৪. লেটুস পাতায় কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন।
৫. লেটুসে কয়েক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে।
৬. পটাসিয়াম রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। লেটুস পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়।

Labels:

পিরিয়ডের সময় যে কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকবেন

পিরিয়ডের সময়
পিরিয়ডের সময়
একজন নারী যে শারীরিকভাবে সুস্থ এবং গর্ভধারণে সক্ষম, তার অন্যতম চিহ্ন হলো নিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড। পিরিয়ডের দিনগুলো অন্য স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন রকম থাকে। হরমোনাল কারণে কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সাধিত হয়। পিরিয়ডের সময় নারীদের শরীর অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি নাজুক থাকে। অনেকের জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে, তলপেট স্ফীত হয়, ব্যথা করে, এমনকি বমিও হয়। কিছু কাজ রয়েছে যা এ সময়ে করলে শরীরের অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে। এ সময়ে করা যাবে না এমন কোনো কাজ যা শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

উপুড় হয়ে শোয়া
অনেকেরই পেটে ভীষণ ব্যথা থাকে বলে পেটে চাপ দিয়ে শুয়ে থাকেন। উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে তা পেটে এমনভাবে চাপ ফেলে যে সেটা মোটেও ভালো নয়। এছাড়া এ সময় উপুড় হয়ে শুলে হার্ট রেটে তারতম্য হয়, রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং অক্সিজেন ঠিকমতো সরবরাহ হয় না বলে মাথা ঝিমঝিম বা ব্যথা করে।

ভারী জিনিস তোলা
নারীদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ থাকে তাদের পেটে। যেমন জরায়ু বা ডিম্বাশয়। তাই খুব বেশি ভারী জিনিস টেনে তোলা নারীদের জন্য ভালো নয়। আর পিরিয়ডের সময় তো একেবারেই নয়।

ভারী ব্যায়াম
পিরিয়ডের সময় ভারী কোনো ব্যায়াম করা একেবারেই উচিত নয়। পিরিয়ডের সময় করার জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে, সেগুলো করতে পারেন। যোগব্যায়ামের কিছু আসন পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে খুবই কাজে দেয়।

প্রস্রাব আটকে রাখা
এই বদঅভ্যাসটা অনেকরই আছে। প্রস্রাব পেলে তা আটকে রাখা কখনোই উচিত নয়। এটি কিডনির ওপরে ভয়াবহ রকমের চাপ ফেলে। বারবার প্যাড পাল্টানোর ভয়ে অনেকেই পিরিয়ডের সময় প্রস্রাব চেপে রাখেন। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এ সময়ে এইকাজ তলপেটের ওপর চাপ ফেলে এবং ব্যথা দীর্ঘসময় ধরে থাকে।

জোরে চিৎকার করা
পিরিয়ডের সময় রাগ, বিরক্তি, জেদ তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। রেগে গিয়ে জোরে চিত্‍কার চেঁচামেচি করবেন না। এর ফল হবে ভয়ানক। এটি সরাসরি তলপেটে চাপ ফেলে। কাউকে ডাকতে গিয়েও জোরে চিৎকার করবেন না। চিৎকার করতে শরীরের যেসব পেশীর ওপর জোর দিতে হয় তার মধ্যে পেটের পেশীও আছে।

পানি কম খাওয়া
ঘন ঘন প্রস্রাব লাগবে ভেবে অনেকেই এ সময় পানি কম খান। অথচ পিরিয়ডের সময়েই বেশি করে পানি খাওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে পানি পান শরীরকে দুর্বল হবার হাত থেকে বাঁচায়। এছাড়া রক্তের তরল্যের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যেও এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়া উচিত।

Labels:

সম্পর্ক যখন ভাঙনের মুখে, তখন তা জুড়তে পারে পর্ন সিনেমা

 সম্পর্ক যখন ভাঙনের মুখে, তখন তা জুড়তে পারে পর্ন সিনেমা
 সম্পর্ক যখন ভাঙনের মুখে, তখন তা জুড়তে পারে পর্ন সিনেমা
 পর্ন ছবি দেখলে নারী-পুরুষের যৌনজীবনে দুর্দশা নেমে আসে, বেশ কয়েকটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে বিপরীত কথা। সম্পর্ক যখন ভেঙে যাচ্ছে, এমন অবস্থায় পুরনো অবস্থায় ফিরে যেতে পর্ন ছবি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানানো হয় ওই গবেষণায়। অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্ন সিনেমা দেখাটা অনৈতিক হতে পারে। কিন্তু এর ভালো দিকের খোঁজ করতেই গবেষণা পরিচালিত হয়।

আমেরিকার সালোন মিডিয়া গ্রুপের এক কলামিস্ট ট্রেসি ক্লার্ক-ফ্লোরি সম্প্রতি একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন। পর্ন ছবি কি আসলেই সম্পর্ক নষ্ট করে? এ জন্য বড় ধরনের একটি জরিপ চালান তিনি। এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব ছবি পুরুষের মাঝে যৌনতার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্ম দেয়। অথবা নারীদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় ইত্যাদি। কিন্তু ট্রেসি দেখেছেন, অনেক সময় ভালো না লাগলেও পর্ন সিনেমা মাঝে মাঝে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গিজমোডো নামের একটি প্রতিষ্ঠান জানায়, ২৫ শতাংশ সার্চ ইঞ্জিন পর্ন সিনেমাকেন্দ্রিক এবং প্রতিদিন ৬ কোটি ৮০ লাখ সার্চ ঘটে পর্ন সিনেমার জন্যে।

কসমো তাদের এক জরিপে জানায়, পর্ন সিনেমা আত্মবিশ্বাস বা যৌনজীবনে তেমন ক্ষতি করে না। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং বিশেষ মানসিকতায় সঙ্গী-সঙ্গিনীর একযোগে পর্ন দেখা সম্পর্কে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে।
‘রিসিকিউরেকটিং সেক্স : সলভিং সেক্সুয়াল প্রবলেমস অ্যান্ড রিভোলিউশোনাইজিং ইওর রিলেশনশিপ’ বইয়ের লেখক মনোবিজ্ঞানী ডেভিড শানার্ক বলেন, পর্ন সিনেমা মূলত নারী-পুরুষের মাঝে প্রেম এবং যৌনজীবনে আকর্ষণ তৈরি করে। যৌনতা যখন স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো, সেখানে পর্ন সিনেমা মানুষকে যৌনজীবন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারে। পর্ন সিনেমা এমন এক বিষয়, যা দেখে দুজন মানুষ একে অপরের সঙ্গে নানা গোপন বিষয় শেয়ার করতে পারেন।

আবার, দম্পতির একসঙ্গে পর্ন সিনেমা দেখা এবং যার যার মনের ইচ্ছা প্রকাশ করার মাধ্যমে একের প্রতি অপরের সততা ফুটে ওঠে এবং বহু গোপন বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়।

Labels: ,

স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ১০ সুফল

 স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ১০ সুফল
 স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ১০ সুফল

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার এটি শারীরিক প্রয়োজনীয়তার এক প্রকার বহিঃপ্রকাশও বটে। কিন্তু আমাদের সমাজে যৌন শিক্ষার সম্যক জ্ঞানের অভাবে অনেক কিছুই অনেকের জানা নেই। এ কারণে এই আলট্রামডার্ন ক্যারিয়ারমুখী জীবনে আপনি হয়তো সঙ্গীর কথা বেমালুম ভুলেই গেছেন। রাতদিন শুধু ক্যারিয়ার আর ক্যারিয়ার। এভাবে সঙ্গীকে দীর্ঘ অবহেলার কারণে বিষয়টি সংসারে নানা অশান্তি এমনকি বিচ্ছেদও ডেকে আনতে পারে। আসক্তি জন্মাতে পারে মাদকে, অপকর্মে কিংবা অন্য কোনো অপরাধে। এ তো গেলো শারীরিক মিলন নিয়মিত না করার সামান্য কুফল, এর চেয়ে ভয়াবহ পরিণতিও আসতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক, শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও স্বামী স্ত্রীর যৌন মিলনের আর কি কি গুণ আছে সেসব সম্পর্কে।
১। ভালো ব্যায়াম
স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলনে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালোভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি ৩০ মিনিট ব্যয় করলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে বা আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও সুদৃঢ় হয়৷।
৩। জীবনকাল বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিনবার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়৷
৪। ব্যাথা থেকে মুক্তি
বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে, স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিঃসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান৷
৫। পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কমে
যেসব স্ত্রীদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণতঃ পিরিয়ডের সময় নারীদের (সবার নয়) খুব বেশী ব্যাথা হয়ে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে নারীদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷
৬। মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি
স্বামী স্ত্রীর মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সব থেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷
ভালোবাসা বাড়ে শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকারিতা ভীষণ জরুরি৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷ যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উন্নতমানের তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন৷
৭। কর্ম ক্ষমতা বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷ এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
৮। ভালো ঘুম হয়
শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে উপকার পাবেন৷
আত্মবিশ্বাস বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির মনে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতরকার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷
৯। ওজন কমে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয়, তার ফলে ব্যক্তির ওজন কমে৷ নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা হ্রাস পায়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷ অনেকে লাখো টাকা ব্যয় করেন ওজন কমানোর পেছনে। এ ক্ষেত্রে তারা উপকার পাবেন।
১০। সৌন্দর্য্য বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনকালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর৷ এতে সৌন্দর্য্যর রক্তিমচ্ছটা ছড়িয়ে পড়ে। আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে বিশেষ আভা আর কমনীয়তা আনে৷ শারীরিক মিলন কালে নারীদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷
শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার স্পা চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷
এছাড়াও
স্বামীদের প্রোস্টেটে ক্যান্সার প্রবণতা কমে, হাঁপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি, যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷ কারণ জ্বরও এক ধরণের উত্তেজনা। উত্তেজনায় (ফেভার) উত্তেজনা প্রশমন করে। যেমনটা বিষে বিষ কাটে।

Labels: ,

অবসাদ কাটানোর ৭টি উপায়


ওয়েব ডেস্ক: আমরা সকলেই জীবনে কখনও না কখনও অবসাদে ভুগেছি। কখনও কাজের চাপে অবসাদ, কখনও চাকরি না পাওয়ার অবসাদ, কখনও বৈবাহিক জীবনে অশান্তির কারণ আসা অবসাদ, কখনও বা জীবনে উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়ার অবসাদ, কখনও অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়, হতাশা থেকে আসা অবসাদ। জীবনে যে কোনও স্তরে যে কোনও কারণে আমাদের ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ।

কখনও এই অবসাদই ধারণ করে চরম আকার। দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগে মানুষ বেছে নেয় আত্মহত্যার মতো অবাঞ্ছিত রাস্তা। অবসাদ কাটাতে চিকিত্‍সকদের সাহায্য পাওয়া গেলেও নিজেকে নিজে সাহায্য না করলে অবসাদ কাটানো কখনই সম্ভব নয়। কিছু জিনিস মেনে চললে কাটতে পারে অবসাদ। তেমনই কিছু উপায়-
মনযোগী হন-অবসাদে ভুগলে মনে সবসময় ভুলভাল ও অপ্রয়োজনীয় ভাবনা ভিড় করে থাকে। এই ধরণের নেগেটিভ চিন্তা অবসাদগ্রস্ত মানুষকে কোনওভাবে সাহায্য তো করতেই পারে না, বরং ঠেলে দেয় আরও গভীর অবসাদের দিকে। নিজের ইন্দ্রিয়কে সজাগ রেখে দৃশ্য, স্পর্শ, শব্দ, স্বাদের ব্যাপারে মনযোগী থাকুন। নিজেকে মনযোগী করে কাজের মধ্য ব্যপ্ত থাকলে নেগেটিভ চিন্তা মাথায় আসবে না।

গান শুনুন-অবসাদ কাটানোর জন্য খুব উপযোগী গান শোনা। তবে দুঃখের গান নয়, এমন গান শুনুন যা মনকে শান্তি দেবে, খুশি রাখবে আপনাকে। পজিটিভ গান চালালে চারপাশটাই পজিটিভ এনার্জিতে ভরে ওঠে। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করে অবসাদ দূরে রাখতে পারে গান।

নেগেটিভ কথা বলা বন্ধ করুন-অবসাদে ডুবে থাকা মানুষ নিজের চারপাশে সবসময়ই হতাশা দেখে। কথাবার্তার মধ্যেও ফুটে ওঠে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা। নিজের সম্পর্কে সংশয়, নিজেকে মূল্যহীন ভাবেন অবসাদে ভোগা মানুষ। এইসময় মানুষ খারাপ কিছু ঘটলে নিজেকে দোষ দেয়, ভাল কিছু ঘটলে ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানায়। নেগেটিভ চিন্তা, নেগেটিভ কথাবার্তা থেকে দূরে থাকা উচিত্‍ অবসাদে ভোগা মানুষের।

ক্ষোভ-অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ভাবা ও প্রয়োজনের থেকে বেশি চিন্তা করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এইসব ক্ষোভ, ভাবনা চিন্তাই আপনার সবথেকে বড় শত্রু। এরাই আপনাকে অবসাদের গভীরে নিয়ে যায়। বই পড়ে বা পাজল সলভ করে সময় কাটালে অবসাদ থেকে দূরে থাকা যাবে।

ভাল করে ঘুমোন-অবসাদে ভুগলে মানুষের ঘুম করে যায়। সবসময় অস্বস্তি ও মানসিক চাপের কারণে টানা ঘুম হয় না ভাল। কিন্তু শারীরিক বা মানসিক সুস্থতার জন্য ভাল ঘুম খুব জরুরী।

শরীরচর্চা-অবসাদ কাটাতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। শরীরচর্চার ফলে শরীর থেকে এনডোরফিন বেরিয়ে যায়। ফলে আমাদের মন ভাল থাকে। মন ভাল রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকায় রোগভোগও অনেক কম হয়। বাড়ে আত্মবিশ্বাস। সকল মানুষেরই প্রতিদিন আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত্‍।

মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন-অবসাদে ভুগলে মানুষ অনেক সময় নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। কিন্তু এই সময় সবথেকে খারাপ একা থাকা। বাড়ির বাইরে বেরোতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এই সময় অনীহা দেখা যায়। একা সময় কাটাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, সময় কাটান। জীবন উপভোগ করুন।

Labels: ,

যৌবনের শান্তির ঘুম বার্ধক্যে টাটকা রাখে স্মৃতি

যৌবনের শান্তির ঘুম বার্ধক্যে টাটকা রাখে স্মৃতি
 ওয়েব ডেস্ক: অল্পবয়সে শান্তির ঘুম ৭০ টপকে গেলেও স্মৃতি শক্তি টাটকা রাখতে সাহায্য করে।
বেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইকেল কে স্কুলিনের গবেষণাপত্র অনুযায়ী, যৌবনে অবিচ্ছিন্ন সময়ের ঘুম মস্তিষ্কে বয়সজনিত স্মৃতি শক্তি হ্রাসকে ঠেকিয়ে রাখে। অল্প বয়সের 'ডিপ স্লিপ' বা 'স্লো (ব্রেন) ওয়েভ স্লিপ' কোনও নির্দিষ্ট দিনের অভিজ্ঞতা বা স্মৃতিকে বহুদিন পর্যন্ত ঠিকঠাক মনে রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্যে যথাযথ স্মৃতিচারণে সহায়তা করে।

মধ্যবয়সীদের ক্ষেত্রে আবার ঘুমের সময়কাল বৃদ্ধি বা দুপুরের ঘুম স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে।
বয়স বাড়লে ঘুমের সমস্যা কম বেশি প্রায় সব মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এই সময় মস্তিষ্কের যথাযথ কাজের জন্য যৌবন বা কৈশরের জমাটি ঘুম অত্যন্ত কার্যকরী।

১৯৬৭ সাল থেকে গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। ২০০ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন তাঁরা। ১৮ থেকে ২৯ বছরকে যৌবন, ৩০-৬০ বছরকে মধ্যবয়স ও ৬০ এর বেশি বয়সকে বার্ধ্যকের আওতায় এনেছেন তাঁরা।
এই ২০০জনকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে দিনে গড়ে তাঁরা কতক্ষণ ঘুমান, ঘুম আসতে কতক্ষণ সময় লাগে, রাতে কতবার তাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন এবং সারা দিনে কখন বা কতবার তাঁদের নিদ্রালু লাগে।

Source: Perspectives on Psychological Science

Labels:

Saturday, January 24, 2015

আপনি কি হিজড়া জন্ম হওয়ার কারন জানেন ?

হিজড়া
আমরা বিভিন্ন সময় রাস্ত- ঘাঁটে,ট্রেন এ হিজরা দেখি ভিক্ষা করতে। তাদেরকে দেখে আমরা অস্বস্তি বোধ করি।হিজড়া জন্ম হওয়ার কারনঃ

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)

বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের

সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস

(রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন

এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন

যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোণ মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব করা হলে সয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা অই মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)।

প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল-

আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম,হাকিম তিরমিজি।

কিন্তু ক্যানও তারা ভিক্ষা করে জানেন? তারা দুবেলা-দুমুঠো খাবার এর জন্য

আমাদের কাছে ভিক্ষা করে,

তাদেকে ছোট করে দেখা ঠিক না।

এই সভ্য জগতে আমরা তাদের কে নিয়ে হাসি-তামাশা করি।

তাদের এই অবস্থার জন্য

তো তারা দায়ী নয়, তবু ক্যানও

তারা আজও অবহেলায়?

আজ যারা এই পোস্টটি পড়েছেন

তাদের প্রতি অনুরোধ

রইলো হিজড়াদের প্রতি তাদের যেন একটু হলেও মানবতা বোধ জন্মায়।

Labels:

স্বাস্থ্য বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল



কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:

দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।

হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।

হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।

অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।

বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।

স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।

বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
 
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf

Labels: ,

কাম রস কি ? এবং কেন ?

কাম রস হচ্ছে প্রাক-চরমানন্দ-তরল। এটি স্বচ্ছ পানির রঙের আঠালো তরল, যা যৌন চিন্তা/লিঙ্গত্থানের পর পুরুষাঙ্গ থেকে নিঃস্বরিত হয়। কাম রসকে ইংরেজীতে প্রি-কাম, ডগ ওয়াটার কিংবা স্পিড ড্রপ ও বলা হয়। কাম রস এবং বীর্য প্রায় একই প্রকার তরল। এতে শুধু কিছু রাসায়নিক পার্থক্য আছে। এই তরলের পরিমান ব্যক্তিভেদে পার্থক্য হয়। অনেক পুরুষের এটি বিন্দুমাত্রও নির্গত হয়না আবার অনেকের তা ৫ মিঃলিঃ পর্যন্ত হতে পারে।

কাম রসের কাজ সমুহঃ

অম্লিক পরিবেশ শুক্রানুর জন্য ক্ষতিকর। প্রস্রাবের ফলে মুত্রনালীতে কিছুটা রাসায়নিক পদার্থ থেকে যায়। কাম রস সেসব অপ্রয়জোনীয় রাসায়নিক পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে শুক্রানুর জন্য নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে।
 অপরদিকে নারী যোনী সাধারনত অম্লিয় (এসিডিক), তাই মুল বীর্যপাতের আগে এ তরল যোনীতে প্রবেশ করে যৌনাঙ্গের ভিতরের পরিবেশকে স্বাভাবিক করে যাতে বীর্যের সাথের শুক্রানু যোনীতে জীবিত থাকে।
 এটি যোনীপথকে পিচ্ছিল করার জন্য লুব্রিকেটর হিসাবে কাজ করে।

সমস্যা সমুহঃ

যদিও কাম রস পরিমানে অতি সামন্য তবুও এর সাথে পুর্বের কিছু শুক্রানু (এমনকি একদিন পুরানো) বেরিয়ে আসতে পারে। তাই নারী-পুরুষের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ যে কাম রস যোনীতে প্রবেশ করলে এর থেকেও গর্ভধারন হয়ে যেতে পারে।
 কাম রস থেকেও এইডস সহ অন্যান্য যৌন বাহীত রোগ (STD) ছড়াতে পারে।।

অন্যান্য দিকঃ

বিরল ক্ষেত্রে কোন পুরুষের হয়তো অতিমাত্রায় কাম রস নির্গত হতে পারে। যদি এমনটি দেখা যায় তবে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে পারেন আপনি। ডাক্তার ডায়াগনিসিস করে সঠিক কারন বলতে পারবে। তবে যদি কারো এ রস একটুও নির্গত না হয় তবে তা কোন বড় সমস্যা নয়। আলোচ্য ব্যাক্তি মিলন সহজ করার জন্য ঔষধের দোকানে প্রাপ্ত লুব্রিকেটর ব্যবহার করতে পারেন।
 কাম রসে সাধারনত কোন শুক্রানু থাকে না। তবে পুর্বের মিলন কিংবা হস্তমৈথুন এর পর যে কিছু শুক্রানু অন্ডকোষে রয়ে যায় তা মনির সাথে বেরিয়ে আসে। প্রস্রাবের সাথে সব শুক্রানু কিন্তু বেরিয়ে আসেনা।

ইসালামে কাম রসঃ

কাম রস মুলত শরীরকে নাপাক করে না। মানে বীর্য নিঃস্বরিত হলে পবিত্রতার জন্য যেমন পুর্ন গোসল করতে হয়, কিন্তু কাম রস নির্গত হলে গোসল করতে হয়না। শুধু যে অঞ্চলে কাম রস লেগেছে সে অঞ্চল ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।

Labels:

ইসলামে নিষিদ্ধ চারটি সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার


লেখাটি লিখবো কিনা এ নিয়ে দুমিনিট ভাবছি। কারণ জ্ঞানীরা বলে গেছেন, “ ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।“ ইদানীং নারী পুরুষের বিবাহিত সেক্সুয়াল লাইফ এ কিছু কিছু সমস্যা প্রকট আকারে সামনে চলে এসেছে। বিবাহিত জীবন গড়াচ্ছে ডিভোর্স পর্যন্ত। অস্বাভাবিক সেক্সুয়াল লাইফের বলি হিসেবে মহিলারা মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা পি, আই, ডিতে ভুগছেন। মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ফেইলুরের পর সার্জারি করেও শেষ রক্ষা হয়না। ব্যথা ময় এক জীবন বয়ে বেড়ান।

পুরুষ নারী নির্বিশেষে যৌন বাহিত অসুখবিসুখ তো আছেই। আর মনের উপর যে ভয়াবহ চাপ পড়ে মেন্টাল ট্রমা তৈরি হয় সে প্রসঙ্গ নাই বা বললাম, মনের ব্যাপারটাতো চির উপেক্ষিত আমাদের সমাজে।

কথা হল, একজন কনজারভেটিভ আর নতুন প্র্যাকটিসিং মুসলিম সর্বোপরি একজন ডাক্তার হিসেবে সমস্যাগুলো দেখে, রবি গুরুর ব্রজেশ্বরের মত জঞ্জাল দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যাব, নাকি সুকান্তের মত, “প্রাণ পণে সরাব জঞ্জাল”?

আসলে সময় এসেছে কিছু কিছু ব্যাপারে শালীনতার মধ্য থেকেই আলোচনা করার। কারণ আমরা অনেক কিছুই জানিনা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন, দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশুনা করে এইছ, এস, সি পাশ দিলেও কেউ না পারে ইহকালে রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করতে, আর না হয় তার নৈতিক জ্ঞান ,যা দিয়ে সে বাকি জীবন সঠিক ভাবে চলার দিক নির্দেশনা পাবে। মাছি মারা কেরানী ছাড়া আর কিছুই হতে পারিনা আমরা; পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় ও নৈতিক বিষয়টি কোন স্থান পায়না। তাই আমাদের জ্ঞানের অভাব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যতার উপরেই বর্তায়।

তবুও একটি আশাবাদী কথা দিয়েই শুরু করি। আপনি কি জানেন? মুসলিমদের সেক্সুয়াল লাইফকে মেডিকেলে খুবই এপ্রিশিয়েট করা হয়। গাইনি মেডিকেল বই এ মুসলিম সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের প্রশংসা করে লেখা থাকে, “মুসলিম ছেলেদের সারকামসেশন (মুসলমানি) করা থাকে তাই তাদের স্ত্রীর অমুক অসুখ কম হয়। অথবা সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স এ মুসলিম রা অমুক নিয়মটি ফলো করে তাই তাদের অমুক অসুখটি কম হয়।”

“মুসলিমদের কি সেক্সের আলাদা নিয়ম আছে?” ঝট করে প্রশ্নটি মনে জাগে।

আমার পরম শ্রদ্ধেয় সার্জারির প্রফেসরের উক্তি মনে পড়ে গেলো। সদা হাস্যময়ী স্যার বলেছিলেন, “Breast feeding (নবজাতকের মায়ের দুধ পান করা) & Sexual intercourse (সেক্স করা) reflexly মানুষ শিখে যায়, এটা কাউকে শিখাতে হয় না। “

এখানেই কথা আছে কিন্তু। রিফলেক্সলি ঠিক জিনিসটি শিখার আগেই প্রযুক্তির অকল্যাণে বিধ্বংসী কিছু পারভার্সন ঢুকে গেছে স্বাভাবিক যৌন জীবনে।

কিভাবে? ইন্ডিয়ার কিছু চটি সাইট আছে ওগুলোর মূল ভিজিটর বাংলাদেশি। আর ইন্ডিয়ান ভিজিটর বাংলাদেশের ভিজিটরের অর্ধেকের ও কম। আর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গুলোর মূল ভিজিটর আসে অশালীন রগরগে সংবাদগুলো থেকে। তারা দেশে এরকম সংবাদ না পেলে বিদেশ থেকে সংবাদ আমদানি করে।

লক্ষ্য করে থাকবেন এই রোজার মাসেও ভিজিটরের লোভে সানি লিওনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত হয়নি। মোবাইলে মোবাইলে অশালীন ভিডিও সহজে কিনতেও পাওয়া যায় যারা নেট ইউজ করেনা তাদের সুবিধার জন্য।

তাহলে বুঝাই যায় মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া শর্তেও পর্ণোগ্রাফী বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। আর পর্ণো পড়ার সময় বা দেখার সময় আমাদের কয়জনের মনে থাকে, এগুলি কিন্তু গুনাহ। চোখের ব্যভিচার।

এই সহজলভ্য পর্ণো আর চটিসাইট গুলো মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবন কে অস্বাভাবিকতা দিয়ে রিপ্লেস করে দিয়েছে। সংসার জীবনে নেমে এসেছে অশান্তি ।
 “ভালবেসে স্ত্রীর দিকে তাকালেও সোয়াব” এই সব হাদিস উঠে গিয়ে এসেছে, “LOVE করে আর লাভ নেই রে পাগলা।”

মানুষ সেক্সুয়াল লাইফ নিয়ে পুরোই বেদিশা। তারা শুধু ছুটছে। “কই আমিতো পর্ণো ছবির পুরুষ বা মহিলাটির মত আনন্দে আত্মহারা হলাম না। হয়ত আমার ওয়াইফ বা হাসবেন্ড ঠিক পারছে না। কোথায়? কোথায় আছে সেই সোনার হরিণ। কোথায় সেই আনন্দের ফোয়ারা? সবাই পায়, আমি পাই না কেন?”

বিবাহ বহির্ভূত সেক্স, হোমোসেক্সুয়ালিটি, এনাল সেক্স মহামারির মত ছড়িয়ে গেছে।
 দুনিয়াতে এত মজা নিলে আখেরাত কিন্তু অন্ধকার। আজ আমরা জানবো ইসলামে সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার এ ৪ টি নিষিদ্ধ ক্ষেত্র।
 EXtramerital sex
 Sexual intercourse during menstruation and Puerperium
 Homosexuality
 Anal Sex

# Extramerital sex
 বিবাহ বহির্ভূত সেক্স– এর কারণে সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, মোনিলিয়াসিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি সমস্যা আর তাদের কমপ্লিকেশন তো আছেই। সারভাইক্যাল ক্যন্সার (জরায়ু মুখের ক্যান্সার) যার মূল কারণ হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস তাও ট্রান্সমিট হয়। আর ঘাতক ব্যাধি এইডস তো আছেই।

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, “তোমরা ব্যভিচারের নিকটেও যেওনা , কারণ এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ।” ( সূরা বনী ইসরাইল, ৩২)

# যে মুহাররামাত মহিলার সাথে যিনা করবে তার হুকুম :

যে ব্যক্তি কোন মুহররামাত (যাদেরকে বিবাহ করা হারাম) যেমন– আপন, বোন, কন্যা ও বাবার স্ত্রী ইত্যাদি এর সাথে হারাম জানা স্বর্তেও যিনা করবে তাকে হত্যা করা ফরজ।

বারা ইবনে আজেব (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমার চাচাকে ঝান্ডা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বললাম কোথায় চলেছেন? তিনি বললেন-আমাকে রাসুল করিম (সাঃ) প্রেরণ করেছেন ঐ মানুষের নিকট যে তার বাবার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে। তিনি ( সাঃ ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য। (সহীহ হাদিস, তিরমিজি হাদিস নং ১৩৬২, নাসাঈ হাদিস নং ৩৩৩২)।

তাহলে ইনচেস্ট (Incest) ভর্তি পর্নো চটি সাইট গুলো আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য বাহী মূল্যবোধ সম্পন্ন সম্পর্ক গুলোকে কোথায় নিয়ে চলেছে?

# Homosexuality (সমকামিতা)
 লূত (আঃ) এর সময়ের আগে পৃথিবীতে হোমোসেক্সুয়ালিটি ছিলনা। সমকামিতা চরিত্র আর স্বভাব বিধ্বংসী এক জঘন্যতম অপরাধ ইসলামের দৃষ্টিতে। লূত (আঃ) এর জাতি এ অপকর্ম করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন। তাদের উপর পাথর বৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন। এ ছাড়া শেষ বিচারের দিনেও তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “এবং আমি লূতকে পাঠিয়েছি। যখন সে নিজ জাতিকে বলল- তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে গোটা বিশ্বের কেউ করেনি? তোমরাতো কামবশতঃ পুরুষের নিকট গমন কর মহিলাদের ছেড়ে। এবং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছো। [সূরা আরাফ ৮০-৮৪]

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন- “অবশেষে যখন আমার আদেশ পৌঁছল , আমি উক্ত জনপদকে উপুড় করে নীচ করে দিলাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর পাথর বর্ষণ করলাম। যার প্রতিটি তোমার রবের কাছে চিহ্নিত ছিল। এবং পাপিষ্ঠ দের কাছ থেকে বেশি দূরেও নয়। “(সুরা হূদ ৮২-৮৩)

আর রাসুল (সাঃ) বলেন, “তোমরা লূতের জাতির কর্ম অবস্থায় যাকে পাবে তার কর্তা এবং কর্ম উভয়কে হত্যা করবে।(সহীহ হাদিস আবু দাউদ হাদিস নং ৪৪৬২ , তিরমিযী হাদিস নং ১৪৫৬)

হোমোসেক্সুয়ালিটি জন্মগত ভাবে আসে, হোমোদের এমন আজব কথা তাদের নিজেদের আবিষ্কার।

# Anal sex
 Anus (মলদ্বার) অনেক রকম মাইক্রোওর্গানিজম দিয়ে পূর্ণ। আনহাইজিনিক সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের কারণে ফিমেল পার্টনার ভয়াবহ রকমের পি, আই, ডি তে আক্রান্ত হয়ে যায়। এনাল ফিসার, পাইলস হবার ঝুঁকি বাড়ে। এনাল স্ফিংটার এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়।

হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে এনাল সেক্স (নিতম্বে সহবাস) করবে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না ।”(নাসাঈ আল ইশ্রাহ ২/ ৭৭- ৭৮/১ ; তিরমিযী ১/২১৮)

হাদিসে আরো আছে, “যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করবে সে লা’নত প্রাপ্ত” (আবু দাউদ ২১৬২, আহমদ ২/ ৪৪৪, ৪৭৯)

# Sexual intercourse during menstruation and puerperium –(পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আর সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০ (৪৫) দিনের মধ্যে সহবাস)
 পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নরমাল ডিফেন্স মেকানিজম নষ্ট হয়ে যায়। মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একই ঘটনা ঘটে সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০-৪৫ দিন। আর এসময়ের সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রজনন অঙ্গ গুলোতে ভয়াবহ ইনফেকশন ঘটায় লোকাল অর্গানিজম।

স্ত্রীর হায়ে্য (পিরিয়ড) চলাকালীন তার সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য হারাম। (ফথুল কাদীর, ১/২০০)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তারা তোমার নিকট হায়ে্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে। তাহলে বলে দাও এটা অশুচি বা কষ্ট। কাজেই তোমরা হায়েয চলাকালীন সময় সহবাস থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাস করবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন তারা ভালোভাবে পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের নিকটে যাও যেভাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদের ভালবাসেন। (সুরা আল বাকারাহ ২২২)

এ প্রসঙ্গে রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি হায়েযাহ নারীর সাথে বা তার নিতম্বে সহবাস (এনাল সেক্স) করে, জ্যোতিষীর নিকট যায় আর জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে তাহলে সে মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতি কুফরি করল।”

তাহলে এই হল চারটি বিধি নিষেধ।

উপসংহার হিসেবে কয়েকটি কথা বলি। জাতি হিসেবে আমরা হীন মন্যতায় ভোগা জাতি। নিজের দেশ ভাল লাগে না। গরীব। নিজের ভাষা ভাল লাগে না। টিভি, এফ,এম রেডিওতে বাংরেজি ভাষায় কি যে কথা বলি আমরা নিজেদেরই বুঝতে কষ্ট। নিজের সংস্কৃতি ভাল লাগে না। সেদিন দেখলাম এক টিভি চ্যানেল নাম ৭১, ফিমেল নিউজ প্রেজেন্টার শার্ট, কোর্ট পরে খবর পড়ছেন। এটা কি আমাদের নতুন সংযোজিত বাঙ্গালী সংস্কৃতি কিনা জানি না। আমাদের নিজেদের ধর্ম ও ভাল লাগে না। দু কলম পড়াশুনা করে অনেকেই নিজের ধর্মকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে নামাজ, রোজাকে শিকেয় তুলে রেখেছেন। আমাদের ধর্ম বাস করে ঈদের বিপণী বিতানে, পোশাক কেনার মধ্যেই আমাদের ঈদ। কোরবানির সময় বড় ধার্মিকতার পরিচয় দিয়ে লাখ টাকার গরু, উট কুরবানি দিই নাকি জবাই দেই। শ্বশুর বাড়ি থেকে কি পশু পাঠাল কুরবানি দেয়ার জন্য তার হিসেব করি।

এই অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে নিজের পরিচয় নিয়ে গর্ব করার মানুষিকতা তৈরি হোক আমাদের। জন্মসূত্রে পাওয়া মুসলিম পরিচয় কে শানিত করে প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হয়ে উঠার তৌফিক আল্লাহ যেন আমাদের দেয়। ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে বাংলাদেশি প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হোক আমাদের পরিচয়।

অত্যন্ত ব্যথাতুর লাগছে এটা ভাবতেই যে পবিত্র রমজান মাস শেষের দিকে। এই পবিত্র সময়ে নিজের কাছে নিজেই অঙ্গীকার করি, ইসলামের আলোর নীচে আসার। দেখেন, চীনের মুসলিমদের এবার জোর করে রোজা ভাঙ্গানো হয়েছে। রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে দেশে। গাজায় শত শত মুসলিম মারা যাচ্ছে। শিশুদের সারি সারি লাশ দেখে দুঃখে মন ভরে যায়। আফগানিস্তানে ও দেশীয় সন্ত্রাসীদের হাতে শত শত মুসলিম মারা গেছে।

সে তুলনায় আমরা আল্লাহর করুণা ধারায় বাস করছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানানো দরকার। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা যে যে অবস্থায় আছি না কেন ,আল্লাহ যেন আমাদের উপর তাঁর রহমত বর্ষণ করেন। আমাদের দুঃখ দূর করে দেন। শান্তি ও কল্যাণের মধ্যে আমাদের রাখেন। বালা মুসিবত, অসুখ বিসুখ দূর করে দেন। আমাদের ঈমানী জোর বৃদ্ধি করেন। বিপদে ধৈর্যধারণের তৌফিক দেন। সারা জাহানের সমস্ত মানুষের কষ্ট দূর করে দিন। একজন জীবন্মৃত কে প্রাণচঞ্চলতা দান করুন। আমিন

Labels: ,

প্রথম মিলনে রক্তক্ষরন প্রসঙ্গেঃ ভুল ধারনা


সব সময় প্রথম মিলনে রক্ত বের হয় না। নারীর যৌনাঙ্গে স্বতিচ্ছদ নামের পর্দা৯/১০ বছর বয়সে সাঁতার কাটা কিংবা খেলাদুলা করার সময় আপনা থেকেই ফেটে যেতে পারে। তাই রক্ত বের হবার সাথে একজন নারীর স্বতিত্ব জড়িত নয়। আবার অনেকে মনে করেন প্রথমদিন স্ত্রী মিলনকালে কান্নাকাটি- চিল্লা-পাল্লা না করার মানেই হলো সে অভ্যস্থ ছিল (অর্থাৎ আগে অন্যের সাথে শাররীক সম্পর্ক ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি..) বিধাতা নারীর যৌনাঙ্গকে এমনভাবেসৃষ্টি করেছেন “যেন এটি যেকোন আকারের লিঙ্গকে গ্রহন করতে পারে”।একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীমোটা/চিকন/ লম্বা/খাটো সব লিঙ্গের চাপ সইতে পারেন। যদি মিলনের পুর্বে নারী ঠিক মত উত্তেজিত হয় তাহলে যোনীতে যে পিচ্ছিল রস নিঃসরন হয় তা মুলতঃ ব্যথামুক্ত মিলনের জন্যই হয়ে থাকে। যেখানে বিধাতা নারীকে ব্যথামুক্ত মিলনের জন্য এমন সৃষ্টি রহস্য জুড়ে দিয়েছেন সেখানে আপনি কেন চাইবেন যে মানুষটি সম্পুর্ন জীবন কাটানোর জন্য আপনার ঘরে এসেছে – তার শুরুটা হউক কষ্টকর অভিজ্ঞতা দিয়ে? অনেক নারীই মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। এমনকি বিয়ের ১০/১৫ বছর পরও। তবে সবাই চিৎকার চেচামেচী করেন না। নিরব থাকার মানে এটা নয় যে নারী আগে থেকে যৌনকাজে অভ্যস্থ। তবে অনেক নারী চালাকি করে প্রথমদিকে এমন ভাব করেন যেন তিনি সইতে পারছেন না!

অতএব ব্যথাপাওয়া না পাওয়ায় নারীর সতিত্ব প্রমান হয়না। আরো মজার ব্যপার হলো নারীর যোনী ৪৫ ডিগ্রি কৌনিক অবস্থায় থাকে এবং উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গও ৪৫
 ডিগ্রিতে উর্দ্ধমুখী উত্থান হয়। ফলে অনায়াসে মিলনকাজ সম্পর্ন করা যায়। এ নিখুত সৃষ্টি রহস্য বিধাতাই আমাদের শরীরে রেখেছেন।

সবাছে জরুরী যে বিষয়ঃ স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কে দুই জিনিস থাকলে সংসার টিকবে না – টিকলেও অশান্তির বাসা হবে।

১. অহংকার (যদি বউ মনে করে আমি তার চেয়ে বেশি যোগ্য – কিংবা স্বামী মনে করে সে আমার তুলনায় নিন্ম; এসব কারনেই ন্যান্সির মত গায়িকা-নায়ক-নায়িকাদের বিয়ে টিকেনা।)

২. অবিশ্বাস!!!!!!! !!!: অবিশ্বাসআর ভালবাসা একত্রে বসত করেনা। আমাদের দেশে অনেক মেয়ে বিয়ের সময় মুখে কবুলও বলেনা। আর কাগজে রেজিষ্ট্রি সমাজকে দেখানোর জন্য। বিয়ে মুলত হয় মনআরমনের।
 যে পৃরুষ বিয়ের দিনেই বউকে সামান্য ভুল ধারনার কারনে অবিশ্বাস করতে শুরু করে তার ভবিষ্যত কতটা অসুখের তা কল্পনা করতে গা শিউরে উঠছে! ভাই যাকে নিয়ে আমার সারা জীবন পথ চলতে হবে অজ্ঞতা বশত তাকে যদি সন্দেহ করা শুরু করি তবে বিয়ে করার কি দরকার ছিল?

সবকথার শেষ কথা “বিশ্বাস করতে এবং বিশ্বাস রাখতে শিখুন – সুখি থাকবেন” মেয়েরা – দয়াকরে মাত্র ১০/১৫ মিনিটের শাররীক আনন্দের জন্য সারাজীবনের জন্য কলঙ্কিত হবেন
 না। বিয়ের আগ পর্যন্তধৈর্য্য ধরুন। হ্যাঁ হয়তো একটি ছেলে ধরতে পারবে না আপনি সতী নাকি অসতী! কিন্তু বুকে হাত রেখে বলতে পারেন, আপনি অনুশোচনায় নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন?

Labels: ,

বাসর রাত ! প্রথমবার মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।


বাসর রাত
প্রেমের বিয়ে কিংবা বাবা-মায়ের ঠিক করা মেয়ের সাথে বিয়ে – অবস্থা যাই হোকনা কেন প্রথমদিকে যেকোনো মেয়ে লজ্জায় আড়ষ্ট থাকেবেই। বিশেষ করে পরিবারের ঠিক করা বিয়েতে অপরিচিত একজন পুরুষের সাথে একত্র বসবাস কেউ কি অতি সহজে নিতে পারবে? প্রথমবার শাররীক মিলনে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আপনি হয়তো দ্বিতীয় কিংবা পরের বারের মিলনগুলো খেয়াল রাখবেন না – কিন্তু প্রথম মিলন সব যুগলেরই মনে থেকে যায়। প্রথম মিলন আশ্চর্য্যজনক ভালো কিংবা ফ্লপ যাই হোক স্বামী-স্ত্রী প্রথম মিলনকে ট্রেজেডি হিসেবেই মনে রাখে।

সঠিক সংকেতের জন্য অপেক্ষা করুনঃ
প্রথম মিলন সর্বনাশা হতে পারে যদি মানসিক প্রস্তুতির সংকেত দেয়া-নেয়ায় ভুল বুঝাবুঝি থাকে। যেহেতু আপনারা দুইজনেই সারা জীবনের জন্য বিবাহের মাধ্যমে একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাই বাসররাতে কথা বলা কিংবা ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা এবং পরষ্পরের মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন। দুজন-দুজনের চিন্তা চেতনার একটি স্বরুপ জেনে নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না। আমাদের দেশে “বাসর রাতে বিড়াল মারা” বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। পুরুষ অনেকটা মরিয়া হয়ে যান নিজেকে বাঘ বলে জাহির করতে। কিন্তু বিড়াল মারার সুত্রটা আসলে আমাদের একপ্রকার ভুল ধারনার জন্ম দিচ্ছে। অনেক মেয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেনা – সেই অবস্থায় যদি স্বামী বিড়াল মারতে যায় তাহলে বিষয়টি রেপ করার মত হয়ে যায়। ( ইসলামের দৃষ্টিতে বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী শাররীক মিলন করা আবশ্যক , তবে মাসিক চলাকালিন সময়ে এটি করা গুনার কাজ । )  । তবে আপনি কিভাবে আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে স্বাভাবিক হবেন তা আপনার বিবেচনায় রাখবেন আগে থেকে।

জন্মনিরোধকের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুনঃ

প্রথমবারের শাররীক মিলনে বিবাহিত যুগলের জন্মনিরোধক ব্যবহার দুজনের জন্য সমানভাবে মঙ্গলজনক। হয়তো কনডম কিংবা খাবার বড়ি ব্যবহার না করার ফলে আপনাদের “যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ” কিংবা “গর্ভধারনের” ভয়ে মিলনের আসল আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। প্রথমদিন যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্য কনডম ব্যবহারই সবছে ভাল – যদিও এটি ১০০% আত্মরক্ষা মুলক নয়। তাছাড়া আপনার স্ত্রী হয়তো মা হবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। তাই বিয়ের পর পরষ্পরের শাররীক সমস্যার (যদি থাকে) ইতিহাস জেনে এবং সন্তান নেয়ায় দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী নিয়ন্ত্রনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।

কোন ভাবেই স্বয়ং-সম্পুর্ন মিলনের প্রত্যাশা করবেন নাঃ

৮০% থেকে ৯০% ক্ষেত্রে প্রথম মিলনে যুগলের বিন্দুমাত্রও সফলতা থাকেনা । তবে য়াদের শাররীক সমস্যা  আছে  , তারা  আগে ভাগেই চিকিৎসা করিয়ে  নিন । শাররীক মিলন যতটা না শরীরের; তার চেয়ে বেশি মানসিক মিলন। একজন মানুষ যখন অন্য মানুষের শরীর / ভাললাগার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুর্নমাত্রায় জানে – তখনি শুধু সুখকর যৌনমিলন সম্ভব। প্রথম মিলনে পরষ্পরের ভাললাগার অনুভুতিগুলোর সংমিশ্রন হয়না। তাছাড়া প্রথম মিলন সম্পর্কে পুরুষ/নারী এত বেশি দুশ্চিন্তা অথবা পুর্বপরিকল্পনা করে যে সে মূল কাজে এসে নার্ভাস হয়ে যায়। আর পরিকল্পনা অবস্থা/ব্যক্তি বেধে পার্থক্য হয় – তাই আগ থেকে করা প্ল্যান কার্যকর করা নাও যেতে পারে। তাই সময়ের সাথে চলুন। অন্তরঙ্গ মুহুর্তে অর্জিত ভাললাগাগুলো উপভোগ করুন। প্রথম রাতে আপনার প্রিয়জনের শরীর সম্পর্কে জানার চেয়ে বড় রোমাঞ্চকর আর কি হতে পারে। সম্পর্কে সময় দিন – পরষ্পরের শরীর সম্পর্কে যত জানবেন মিলন তত বেশি উপভোগ্য হবে।

গভীর নিঃশ্বাস নিনঃ
প্রথমবারের মত কারো সাথে শাররীক মিলন করতে গেলে চিন্তিত এবং অস্বত্বিতে পড়তে পারেন। আপনার শরীর এবং মনকে প্রশান্ত করার জন্য বড় করে নিঃশ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। ঠিকঠাক কাজ করার জন্য আপনার মস্তিস্কের প্রয়োজনীয় মাত্রায় অক্সিজেন দরকার। মানসিক চাপে ঠিকমত শ্বাস-প্রশ্বাস না নিলে অনেকগুলো সমস্যা যেমন মাথাধরা, মাথাব্যথা সহ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন। এটি খুবই লজ্জাজনক হবে যদি আপনি সামান্যতম যৌনমিলনও করতে না পারেন। স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিন – মনকে চিন্তামুক্ত রাখুন। প্রথম মিলেনে বিড়াল মারার আইডিয়া বাদ দিন। স্বাভাবিক আচরন করুন – আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে আছেন – যার সাথে আপনার সারাজীবন সামনে পড়ে আছে। প্রথম রাতকে স্বরনীয় করে রাখতে বিড়াল না মারলেও সমস্যা নেই। তাকে ভরসা দিন আপনি তার জন্য কতটা।

কোনভাবেই পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করবেন নাঃ

পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করা আপনার নিজের সাথে এবং আপনার সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করার শামিল। এটি হয়তো পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, কারন বস্তুত আপনি ভুল তথ্য আদান-প্রদান করেছেন “আপনার শরীর কি চায় এবং কিসে আপনাকে যৌন ক্ষুদার্ত করে তোলে?”

Labels:

পুদিনা-পাতার ওষধি গুণাবলি

পুদিনার পাতা
পুদিনার পাতা
আমরা সবাই কম-বেশি “পুদিনা পাতা” সম্পর্কে জানি, অনেক জানি না। তবে বেশিরভাগই মোটামুটি জানেন। তবেই পুদিনা পাতার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

কিন্তু মজার বেশি হল এটা সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জানলেও অনেকেই এটা দেখেন নি। আজ আমি আপনাদের জানাব এই ওষধি বৃক্ষ সম্পর্কে। চলুন আজ আমরা এই ওষধি গাছ সম্পর্কে জানব।

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে।

এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নাম— Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mentha Spicata। এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।

পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পুদিনার ভেষজগুণ

পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো

১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।

২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।

৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।

৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।

৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।

৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।

৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
তাহলে এবার থাকে বেশি করে “পুদিনা পাতা” ব্যবহার করুন আর নিজে ঠিক থাকুন।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels:

যেমন সহবাস বিপদজ্জনক!




যৌন মিলনের সময় নারীর ওপরে থাকা অনেকের কাছেই আনন্দদায়ক হলেও নতুন গবেষণা তথ্যানুযায়ী, এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

গবেষণার তথ্যানুযায়ী, মিলনের সময় নারী ওপরে থাকলে ভেঙ্গে যেতে গোপানাঙ্গের হাড়। সম্প্রতি ব্রাজিলের গবেষকদের প্রকাশিত অ্যাডভান্সেস ইন ইউরোলজি-তে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে জানা গেছে এ তথ্য।

গবেষকদের মতে যৌনতায় সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থান হলো ‘কাউগার্ল’ নামে পরিচিত একটি পজিশন। অনেকে একে ‘হর্সরাইডিং’-ও বলে থাকেন। এ পজিশনে নারী ওপরে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘কাউগার্ল’ পজিশনে যৌনতার সময় আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থানে পুরুষাঙ্গের হাড় ভাঙার সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি থাকে।

কাউগার্ল পজিশনে মূল সমস্যাটি হয় নিয়ন্ত্রণের ওপর। এ ক্ষেত্রে নারীর দেহের ওজন পুরুষাঙ্গের ওপর পড়ে, যার ফলে অনেক সময় সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ হয় না। ফলে এদিক-ওদিক হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অন্যদিকে সাধারণভাবে প্রচলিত যৌনতার আসনগুলো কিছুটা নিরাপদ। বিশেষ করে যে আসনে পুরুষের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাই একে নিরাপদ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

যৌনতার সময় যেসব আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে, সেগুলো এ গবেষণায় তালিকাবদ্ধ করা হয়। গত ১৩ বছরের পরিসংখ্যান এতে বিবেচনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আঘাতের ঘটনা ঘটে কাউগার্ল পজিশনে। এ অবস্থানে প্রায় অর্ধেক আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরের অবস্থান রয়েছে বহুল প্রচলিত ‘ম্যান অন টপ’ অবস্থান। এ অবস্থায় যৌনতায় ২১ ভাগ আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে।

যৌনতায় আঘাত পাওয়াদের গড় বয়স ৩৪ বছর। প্রাথমিকভাবে এ সমস্যায় পতিত ব্যক্তিরা হাড় ভাঙার মতো শব্দ ও যন্ত্রণার কথা জানান। এরপর সাধারণত ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যদি অবস্থার উন্নতি না হয় তখন তারা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels: ,

Friday, January 23, 2015

মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন-চিনি,গুড়,দই..ইত্যাদি বেশি খেলে কি "ডায়াবেটিস" হয়?

ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস
ডায়বেটিস একটি বংশগত রোগ। এই রোগ হলে অগ্নাশয়ে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায়, আর ইনসুলিন গ্লুকোজকে কোষের ভিতরে পরিবহনে সাহায্য করে। আমরা যখন চিনি বা কোনো শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করি তখন শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় সেটা গ্লুকোজে পরিণত হয় এবং যকৃতের মাধ্যমে রক্তে গমন করে। এখান থেকে রক্তনালীর মাধ্যমে এটা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কোষের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। সেখানে গ্লুকোজ ভেঙ্গে শক্তি উৎপন্ন হয়।

ডায়বেটিসের উপসর্গ হল রক্তে সুগার তথা গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যাওয়া। এটা হতে পারে ইনসুলিনের অভাবে। ইনসুলিন গ্লুকোজ অনূগুলোকে কোষাভ্যন্তরে ঢুকতে সাহায্য করে। কিংবা আরেকপ্রকার ডায়বেটিস হতে পারে যদি ইনসুলিন পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও অন্য কোনো জটিলতায় গ্লুকোজ কোষে ঢুকতে না পারে। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, চিনি খাওয়ার সাথে ডায়বেটিস সম্পর্কিত নয় বরং সম্পর্কিত হচ্ছে চিনির অনুগুলো কোষের ভিতরে ঢুকতে না পারার জটিলতা থেকে। তাই চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভবনা নেই। কিন্তু যদি কারো ডায়বেটিস হয়ে যায় তাখন চিনি জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রন করতে হবে। কেন না রক্তে চিনির পরিমান বেড়ে গেলে তা শরীরে নানারকম জটিলতা তৈরি করে।


সুত্র- বেশতো

Labels: ,

যে খাবার গুলো হতে পারে ঘুমের ওষুধ

যে খাবার গুলো হতে পারে ঘুমের ওষুধ
যে খাবার গুলো হতে পারে ঘুমের ওষুধ

ঘুম নিয়ে অনেকেই বেশ সমস্যায় থাকেন। রাত হলে সময়মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না কিছুতেই। ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাতের অর্ধেকটাই পার হয়ে যায় বিছানায় এপাশ ওপাশ ফিরে।

এমন অসহনীয় যন্ত্রণায় যারা আছেন তারা অনেকেই ঘুমানোর জন্য ঘুমের ওষুধের আশ্রয় নেন। কিন্তু ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

কিছু সাধারণ খাবার হতে পারে আপনার ঘুমের ওষুধের বিকল্প। এগুলোর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই ঘুম সমস্যার সমাধানের জন্য নির্ভয়ে এবং নির্বিঘ্নেই খেতে পারেন এসব খাবার। জেনে নিন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো হতে পারে আপনার ঘুমের ওষুধের বিকল্প।

পাকা কলা

কলা খেলে রাতে ভালো ঘুম হয়। কলাকে ঘুমের ওষুদের বিকল্পও বলা যেতে পারে। কলায় আছে ম্যাগনেসিয়াম যা মাংসপেশীকে শিথিল করে। এছাড়াও কলা খেলে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন নির্গত হয়ে শরীরে ঘুমের আবেশ নিয়ে আসে। তাই যাদের ঘুম হয় না তারা রাতের খাবারে কলা রাখতে পারেন।

হালকা গরম দুধ

হালকা গরম দুধ হতে পারে ঘুমের ওষুধের বিকল্প। অনেকেরই রাতের ঘুমে সমস্যা হয়। যারা রাতে ঠিক সময়ে ঘুমাতে পারছেন না কিংবা বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছেন তারা রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধ খেয়ে ঘুমাতে পারেন। দুধে আছে ট্রাইপটোফান ও এমিনো এসিড যা ঘুম ঘুম ভাব সৃষ্টি করে। এছাড়াও দুধের ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রাইপটোফান ব্যবহারে সহায়তা করে। এক গ্লাস দুধ খেলে আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায় এবং শরীর কিছুটা শিথিল হয়ে ঘুমে সহায়তা করে।

মধু

মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে যা মতিষ্ককে সচল রেখে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ প্রবেশ করে এবং ওরেক্সিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কিছুক্ষণের জন্য যা আপনাকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করবে।

আলু

সেদ্ধ আলু বা রান্না করা আলু আপনার রাতের ঘুমের সহায়ক একটি খাবার হতে পারে। আলু খেলে ট্রাইপটোফানের ফলে সৃষ্ট হাই তোলায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী এসিড নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আপনার মস্তিষ্ক বেশ দ্রুতই আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করতে পারে।

ওটমিল

যারা ওজন সমস্যায় থাকেন তারা অনেকেই ওটমিল খেয়ে থাকেন। ওটমিলে আছে ঘুমে সহায়ক মেলাটোনিন। তাই রাতের খাবার হিসেবে ওটমিল খেলে একদিকে আপনার ওজনটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, অন্য দিকে আপনার রাতের ঘুমটাও ভালো হবে।

বাদাম

রাতের ঘুমের জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো বাদাম। যাদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় তারা প্রতিদিন রাতের খাবারে ১০/১২ টি বাদাম খেলে রাতের ঘুম ভালো হবে।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels:

শীতে সুস্থ থাকতে ৫ ভিটামিন

শীতে সুস্থ থাকতে ৫ ভিটামিন
শীতে সুস্থ থাকতে ৫ ভিটামিন
শীত মানেই রকমারি সব্জি, ভরপেট খানা-পিনা। ঋতুটাকে চুটিয়ে উপভোগ করতে চাইলে মাথায় রাখতে হবে- তাপমাত্রার ওঠা-নামা আমাদের শরীরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তাই ডাক্তারদের পরামর্শ, ডায়েটে ভিটামিন সি, ডি, ই, বি কমপ্লেক্স আর ওমেগা- ৩ রাখতে পারলে গোটা মৌসুম সুস্থ থাকবেন। ভিটামিনগুলি কেন এত প্রয়োজনীয়?

১. ভিটামিন সি: শীতের শুরুতে সবাই কম-বেশি সর্দি-জ্বর-কাশির মতো সংক্রামক রোগে ভোগেন। ভিটামিন সি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এই ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনায় কমায়। একই সঙ্গে কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে জেল্লাদার ত্বক দেয় আপনাকে।

এছাড়া, ভিটামিন সি-তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। নিয়মিত খেলে রক্তে আয়রনের পরিমাণও বাড়বে। সব রকমের সাইট্রিক (টক) ফল যেমন, কমলালেবু, পাতিলেবু, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে এই ভিটামিন আছে। চাইলে ভিটামিন সি ট্যাবলেটও খাওয়া যেতে পারে।

২. ভিটামিন ডি: শুধু শীতে নয়, বছর ভর এই ভিটামিন শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি। বিশেষ করে হাড় মজবুত রাখতে এর জুড়ি নেই। অনেকেই ঠাণ্ডায় আর বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় গা-হাত-পায়ের জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন। সূর্যের আলোয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই রোজ দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোয় থাকতে পারলে এমনিতেই শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। এছাড়া, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ দুধ ও কিছু শস্যদানাতেও এটি পাবেন।

৩. ভিটামিন ই: ত্বকের খসখসে, রুক্ষ ভাব কমাতে চাইলে ডায়েটে ভিটামিন ই রাখতেই হবে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তার জন্য কী খাবেন? মাছ, মাংসের পাশাপাশি পালংশাক, বাদাম, তেঁতুল আর ব্রকোলিতেও ভিটামিন ডি আছে।

৪. ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: ত্বক, গোড়ালি এবং ঠোঁট ফাটা কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এতে ভিটামিন-১ থেকে ভিটামিন-১২-- সবটাই রয়েছে। ডিম, সবুজ পাতাওয়ালা সব্জি, চিকেন লিভার, মাছে এই ভিটামিন পাবেন।

৫. ওমেগা ৩: এটি আক্ষরিক অর্থে ভিটামিন না হলেও শরীরে কোলেস্টেরলে লিপোপ্রোটিনের (HDL) মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই অ্যাসিড শরীরকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ জয়েন্টে ব্যথা ও শক্তভাব কমাতে সাহায্য করে। বাদামী আখরোট, তেলতেলে মাছ যেমন, টুনা, ম্যাকারেল এবং ফ্লেক্সসিড-এ ওমেগা ৩ আছে।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels:

পুরুষদের জন্য ভেষজ জন্মনিরোধক ট্যাবলে

পুরুষদের জন্য ভেষজ জন্মনিরোধক ট্যাবলে
পুরুষদের জন্য ভেষজ জন্মনিরোধক ট্যাবলেট
এতদিন মহিলাদের গর্ভনিরোধক পিলের কথা শুনেছেন এবার তৈরি হয়েছে পুরুষের জন্যেই জন্মনিরোধক ট্যাবলেট ৷ সম্প্রতি গবেষকেরা পুরুষদের জন্য একটি নতুন ভেষজ জন্মনিরোধক ট্যাবলেট আবিষ্কার করেছেন ৷ গবেষকদের দাবি এই ট্যাবলেট বাস্তবে প্রায় ৯৯ শতাংশ কার্যকরী ৷ গবেষকেরা জানিয়েছেন, পুরুষের স্পার্মের মধ্যে এনজাইম রয়েছে তা এই ট্যাবলেটের সংস্পর্ষে এশে দুর্বল হয়ে যাবে ৷ এরফলে মহিলারাও গর্ভবতী হবেন না৷

ইন্দোনেশিয়ার এক বিশেষ উদ্ভিদ জেন্ডারুস গাছের রস দিয়ে তৈরি এই ভেষজ ট্যাবলেট ৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া দ্বীপের আদিবাসী পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের গর্ভধারণ রুখতে এই গাছের রস দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন ৷

১৯৮৫ সালে এয়ারলাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্যাংব্যাঙ্গ প্রাজোগো এই গাছটি প্রথম তার গবেষণাগারে গবেষণার জন্য এনেছিলেন৷ তারপর থেকেই এই ট্যাবলেট তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ তবে এই পিল খেলে যে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা একেবারেই শেষ হয়ে যাবে তা একেবারেই নয় ৷ একমাসের মধ্যেই পুরুষের শুক্রাণু আবার কার্যকরী ভূমিকায় চলে আসবে ৷ এই ওষুধের সুফলের পাশাপাশি একটি কুফলও চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা ৷ তারা জানিয়েছেন এই ওষুধ সেবনে পুরুষের ওজন একধাপে অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে ৷ তাই এক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত জরুরী ৷


 সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম


Labels: ,

সন্তান গ্রহণের আগে ছয় বিষয়ে প্রস্তুতি নিন

সন্তান গ্রহণ কোনো সহজ বিষয় নয়। এজন্য পিতামাতার আগে থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। সন্তান যেন পৃথিবীতে এসে বিপদের মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আর্থিক বিষয়সহ নানা বিষয় নিশ্চিত হয়ে তবেই সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

১. মনে রাখতে হবে সন্তান গ্রহণ ব্যয়বহুল

একজন সন্তান গ্রহণ মানেও বহু বাড়তি খরচের বোঝা। আর তাই সন্তান গ্রহণের আগে এ বাড়তি খরচের বিষয়টি সবারই মাথায় রাখা উচিত। সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে থেকেই শুরু হবে এ খরচের পালা। তারপর সন্তানের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত এ খরচ দিতে আপনি বাধ্য।

২. সন্তানের প্রথম বছরের বাজেট

সন্তান গ্রহণের আগেই প্রথম বছরের বাজেট সম্পর্কে ধারণা করে নেওয়া উচিত। আপনি যদি প্রথমবার সন্তান নিতে চান তাহলে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে খরচের বিস্তারিত জেনে নিন। সন্তান নেওয়ার আগেই আপনার বার্ষিক আয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। যদি আপনার আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয় তাহলে ব্যয় কমানোর কিংবা আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।

৩. দেখাশোনার ব্যবস্থা

সন্তান জন্মের প্রথম কয়েক বছর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করতে হয়। এ কারণে সন্তানের দেখাশোনার ব্যবস্থা আগেই ভেবে রাখতে হবে। পিতা কিংবা মাতার মধ্যে একজনকে সন্তানের সঙ্গে সব সময় বাসায় থাকা উচিত। সেটা সম্ভব না হলে পরিবারের কোনো জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বা টাকা খরচ করে কোনো বেবিসিটার নেওয়া যেতে পারে। আপনি যদি কর্মজীবী হন এবং সন্তান নিতে চান তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে কতোদিন ছুটি পাওয়া যাবে, সে সময় বেতন-ভাতা কেমন হবে, এসব বিষয় আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪. জরুরি তহবিল গড়ুন

আপনার সন্তান থাকলে আগের তুলনায় দায়িত্ব অনেক বাড়বে। আর যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য একটা তহবিল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি বা শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য এ তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জরুরি তহবিলের আকার হতে পারে আপনার ছয় মাসের আয়ের সমান।

৫. লাইফ ইন্স্যুরেন্স করুন

আপনার অবর্তমানে সন্তানের দেখাশোনা বা তার আর্থিক খরচ মেটানোর বিষয় নিয়ে ভেবেছেন কি? এজন্য সহজ একটি উপায় হলো লাইফ ইন্স্যুরেন্স করে রাখা। আপনার জীবনের বা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কোনো ক্ষতি হলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি আর্থিকভাবে সাহায্য করবে।

৬. সন্তানের শিক্ষা

আপনার সন্তান অশিক্ষিত হোক, তা নিশ্চয়ই চান না। শিক্ষা ক্রমে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। আর তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সন্তানের শিক্ষার জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করে রাখা উচিত। এজন্য সামান্য করে টাকা জমানো শুরু করতে পারেন সন্তান জন্মের সময় থেকেই।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels:

সন্তান নেওয়ার আগে যে ধরনের খাবার খাওয়া দরকার






সন্তান ধারণে দেরি হওয়া কিংবা সন্তান একেবারেই না হওয়া আজকাল খুব সাধারণ একটি সমস্যা, নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই। আমাদের স্ট্রেস ভরা জীবন যাপন, অস্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল, পরিবেশ দূষণ, ভেজাল খাদ্য, শরীরের যত্নের অভাব ইত্যাদি নানান কারণে সন্তান ধারণে অক্ষমতা দেখা যায় আজকাল। দেখা যায় অনেক মাস বা বছর চেষ্টার পর, নানান রকম চিকিৎসা করিয়ে তবেই সন্তান নিতে পারেন কোন দম্পতি। আপনিও কি এমন সমস্যায় ভুগছেন?

সন্তান নিতে চাইছেন কিন্তু হচ্ছে না? নারী-পুরুষ উভয়েই নিজের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো। এই ৭টি খাবার উর্বরতা বৃদ্ধি করে, নারীকে গর্ভবতী হতে সহায়তা করবে এবং পুরুষের জন্য সুস্থ বীর্য উৎপাদন করবে।

চিনে নিন সেই উপকারী খাবারগুলো।

১) কলা
সুপারফুড কলায় আছে ভিটামিন বি-৬ ছাড়াও আরও বেশ কিছু চমৎকার উপাদান, যা নারীদের মিন্সট্রেশন নিয়মিত রাখে। যারা সন্তান ধারণে চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য নিয়মিত একটি বা দুটি কলা খাওয়া ডিম্বাণু ও শুক্রানুর মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

২) বাদাম
পুরুষের শুক্রানুর মান উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে হরেক রকমের বাদাম। বিশেষ করে কাঠ বাদাম, চীনা বাদাম, পেস্তা ইত্যাদি। টানা ১২ সপ্তাহ প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খান্ম নিশ্চিত ফল পাবেন।

৩) অলিভ ওয়েল
নিজেদের খাবারে তেল বা ঘি এর বদলে আজ থেকেই শুরু করে দিন অলিভ ওয়েলের ব্যবহার। এই তেল রোজকার খাবারে নিয়মিত ব্যবহার করলে উর্বরতা ও গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে ৩ গুণ পর্যন্ত। নারী ও পুরুষ উভয়ের উর্বরতা বাড়াতেই এই তেল অত্যন্ত সহায়ক। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল ব্যবহার করবেন।

৪) সূর্যমুখীর তেল
এতে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই, যা উর্বরতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত সহায়ক। রান্নায় ব্যবহার করুন।

৫) অ্যাভোকাডো
শত গুণে ভরপুর এই ফলটি কেবল মজাদারই নয়, বরং উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। এই ফল নিয়মিত খেলে জননাঙ্গের ফাংশন উন্নত হয় এবং নারীদের সুস্থ ডিম্বাণু তৈরির হার বাড়ে।

৬) আদা
আদা যে কোন রূপেই পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। নারীরা অধিক উপকারিতা পেতে রোজ দুই কাপ পর্যন্ত আদা চা পান করুন মধু মিশিয়ে।

৭) ফ্লাক্স ওয়েল
এটা আরেকটি উপকারী তেল, যাতে আছে প্রচুর অমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। প্রতিদিন খাবারে ১ টেবিল চামচ ব্যবহার করুন বা এমনিতেও খেতে পারেন।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels: ,

গর্ভ নিরোধের পাঁচটি উপায়


পিল:অবাঞ্চিত প্রেগনেন্সি রোধ করেত কনট্রাসেপটিভ মেথড কমন।আগে যে কনট্রাসেপশন ব্যহার করা হত সেগুলিতে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকত।ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও থাকত বেশি।ওজন বাড়া,মুড সুইং-সহ নানা সমস্যা দেখা দিত।তবে আধুনিক কনট্রাসেপশনে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে বলে ওজন বাড়ার সমস্যাও কম দেখা দেয়।তাই যাঁরা এই মূহূর্তে সন্তান চাইছেন না ও যাঁদের হাইপারটেনশান, লিভার সমস্যা বা মাইগ্রনের সমস্যা নেই,তাঁদের পক্ষে ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল কিন্তু বেশ কার্যকারী।

কন্ডোম:কন্ডোম জাতীয় কনট্রাসেপশন ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়া কন্ডোম জন্মরোধের পাশাপাশি যৌন রোগ প্রতিরোধও সাহায্য করে।তবে অনেকের যৌনমিলনের সময় ল্যাটেক্স বা রবারের কন্ডোম ব্যবহার করলে জালা, যন্ত্রনা বা ব্যাথা হতে পারে।সেক্ষেত্রে অন্য কন্ডোম ব্যবহার করুন।তাছাড়া আজকাল মেয়েদেরও কন্ডোম বাজারে চলে এসেছ।যা তুলনা মূলক ভাবে দামে একটু বেশি।তবে একের অধিকবার ব্যবহার করা যায়।

ইনট্রাইউটেরাইন: ইনট্রাইউটেরাইন কনট্রাসেপটিভ (কপার টি) তাঁরাই ব্যবহার করেন,যাঁদের একটি বা দুটি সন্তান হয়ে গিয়েছে।

তবে কপার টি তুলনামূলক ভাবে নারী শরীরের পক্ষে কম ক্ষতিকর।কিন্তু যোনি পথের বাইরে তার চিহ্ন থেকে যায়।তাহলেও গর্ভনিরোধক হিসাবে নারী শরীরের পক্ষ্যে কপারটি সবথেকে সেফ।অবস্থান গত সুবিধার জন্য কপারটি মহিলাদের প্রথম পছন্দরের জন্ম নিরোধক হওয়া উচিত কিন্তু অনক মেয়েডের কপার টি তে অশ্বস্তি হয় বলে তাঁরা এটা পছন্দ করেন না।কারণ এটা যোণি ছিদ্র পথে একটি বাঁধা হিসাবে থাকে।অনেকের ক্ষেত্রেই এলার্জি জনিত সমস্যাও দেখা যায়।তাই আপনার গর্ভ নিরোধক ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নেটএন বা ডিপোপ্রোভেরা: নেটএন বা ডিপোপ্রোভেরার মতো হরমোন জনিত গর্ভ নিরোধক রয়েছে কিন্তু এসবের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।নেটএন বা ডিপোপ্রোভেরা হরমোনাল টাবলেট বা ইনজেকশানটি প্রতিস্থাপন করা হয় মেয়েদের শরীরে।তবে মেল কন্ডোম ছাড়াও পুরুষদের জন্য বিকিল্প কোন স্বাস্থ্যসন্মত ব্যবস্থা নেই।

মাইরিয়া:এটি একবার ব্যবহার করলে মোটামুটি পাঁচবছর পর্যন্ত প্রেগনেন্সি আসে না।তবে এর ফলে মাঝে মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডস হতে পারে সেক্ষেত্রে অনেক মহিলারাই ভাবতে পারেন তিনি বোধ হয় প্রেগনেন্ট হয়ে গেলেন।তবে সঠিক কাউনন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এই ভয় ভীতি লাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম



Labels: ,