Saturday, May 16, 2015

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খান কলা, জেনে নিন কলার অজানা উপকারিতা

আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তি তা ছাড়াও যে প্রচুর কাজ করে কলা। জেনে নিন কলার বহুগুণ-

অবসাদ
অবসাদে ভোগা কিছু মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলা খেলে ভাল বোধ করেন তারা। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

অ্যানিমিয়া
কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা কমে। এমনকী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।

রক্তচাপ
কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।

মস্তিষ্ক
টানা ১ বছর ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের টুইকেনহ্যাম স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়ার ওপর। পরীক্ষার আগে টানা ব্রেকফাস্ট, ব্রাঞ্চ ও লাঞ্চে কলা খাওয়ানো হয় তাদের। দেখা গিয়েছিল কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম তাদের মনসংযোগ বাড়ানোর ফলে অন্যদের থেকে পরীক্ষায় ভাল করেছিলেন ওই ২০০ জন পড়ুয়া।

কনসটিপেশন
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।




হ্যাংওভার
আগের রাতের অতিরিক্ত মদ্যপানের হ্যাংওভার কাটাতে বানান মিল্কশেকের কোনও তুলনা নেই। সঙ্গে যদি থাকে ১ চামচ মধু। কলা শরীরের অস্বস্তি কমায়, দুধ পেট ঠান্ডা করে ও মধু বজায় রাখে রক্তে শর্করার মাত্রা।
ফলে অম্বলের হাত থেকেও রেহাই পায় শরীর।

মর্নিং সিকনেস
কাজের চাপ, মানসিক চাপে অনেক সময়ই সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করি আমরা। রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় কম থাকে এনার্জির মাত্রাও। এই সময় কলা বজায় রাখতে রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা।

মশার কামড়
মশার কামড়ে ফুলে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করার আগে কলার খোসা ঘষে দেখুন ত্বকের ফুলে ওঠা অংশে।

স্নায়ু
কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

আলসার
নরম ও মিহি হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী খাবার কলা। অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ
অনেক দেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কলা ব্যবহার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের বদলে খাওয়ানো হয় কলা। তাইল্যান্ডে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।


তথ্যসূত্র  : zeenews.india.com


Labels: ,

Monday, May 11, 2015

কন্ডোম পুরাকালে সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি হত


লাইগেশন বা ফিমেল স্টেরিলাইজেশন

স্থায়ী গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা মেয়েদের শরীরে বন্ধ্যাত্ব এনে দেয় | জরায়ুর সংলগ্ন দু’ধারে দু’টি ফ্যালোপিয়ান টিউব থাকে | এই নল দুটির যে দিকটায় সেই দিকের একটু আগে অর্থাৎ সমগ্র নলতিকে চার ভাগ করলে তৃতীয় ভাগের জায়গায় কেটে সুতো দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় | এই অপারেশন খুবই নিরাপদ ও সহজ | আগে পেট কেটে এই অস্ত্রোপচার করা হত, সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে | আজকাল করা হয় ল্যাপারোস্কোপের সাহায্যে, পেট সামান্য ফুটো করে | অজ্ঞান করতে লাগে না, লোকাল অযানাসথেসিয়াতেই করা যায় | রোগী সেইদিনই বাড়ি ফিরতে পারে, সেলাই কাটার ব্যাপার নেই | ৩-৪ দিনেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যাওয়া যায়, প্রসবের ৬ সপ্তাহের মধ্যে বা বাচ্চা নষ্ট করিয়ে সঙ্গে সঙ্গে লাইগেশন করানো অনেক নিরাপদ | সবার জানা উচিত, যখন পেটে সন্তান নেই, তখন প্রতিষেধক ব্যবস্থা নিলে অনেক উপসর্গ ও বিপদ এড়ানো যায় |

অপরিণত মন নিয়ে অনুরোধ বা টাকার লোভে অল্পবয়সী (২০ থেকে ২৫ বছর) মেয়েদের ১টি বাচ্চার পরেই এই অপারেশন করানো ঠিক না | এত কম বয়সে সন্তানধারণের ক্ষমতা ব্যাহত হলে মানসিক অবসাদ, জরায়ু ও ওভারির কাজে বাধা ইত্যাদি অসুবিধা দেখা দিতে পারে | সাধারণত লাইগেশন অপারেশনে রোগীর বয়স ৩০-এর এধার ওধার হওয়া উচিত | যে মহিলার দুটি বাচ্চা আছে এবং দ্বিতীয় বাচ্চাটিকে সব কটি সংক্রামক অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে (অর্থাৎ তার বয়স বছর দেড়েক), সেই মাকে অপারেশনের উপযুক্ত বলে মনে করা হয় | কোনও ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে লাইগেশনের পর মায়ের দুটি বাচ্চাই মারা গিয়েছে | সেক্ষেত্রে রিক্যানালাইজেশন অপারেশন করে টিউব আবার জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে | স্বামীর অজ্ঞাতসারে বা অবিবাহিতা মহিলার কখনওই লাইগেশন করা উচিত নয় | আবার দ্বিতীয় বা তৃতীয় সিজারিয়ানের ক্ষেত্রে, যেখানে পেট খুলতেই হচ্ছে, সেখানে দম্পতির অনুমতি নিয়ে লাইগেশন করে নেওয়াই ভাল | অনেক সময় দেখা যায়, স্বামীর রোজগার নেই, চাকরি চলে গিয়েছে, স্বামীকে না জানিয়ে মহিলা লাইগেশন করিয়ে নিলেন | সে ক্ষেত্রে আইনের দিকটিও ভাবতে হবে | তবে আশার কথা, মেয়েদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আইন এখন অনেকটাই মেয়েদের দিকে | লাইগেশন করলে শরীর কমজোরি হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় | শারীরিক মিলনের আগ্রহ ও ক্ষমতা লোপ পায় — এমন অনেক ভিত্তিহীন ধারণা আমাদের সমাজে আজও প্রচলিত আছে যার কোনওটিই ঠিক নয় | বরং নিশ্চিন্ত নিরাপদ জীবন মেয়েদের শরীর-মনে আলাদা আনন্দের স্বাদ এনে দেয়, নতুন করে বাঁচার রসদ জোগায় |

গর্ভনিরোধের ইতিহাস
সম্ভবত উত্তর আমেরিকার কোনও অঞ্চলে বার্থ কন্ট্রোলের ভাবনার সূত্রপাত | যদি মেয়েরা ভাবে আমি মা হব কখন এবং কবে, সেটা তাদেরই চিন্তা-ভাবনার বিষয় হওয়া উচিত — এইভাবে চিন্তা শুরু হয়েছিল্ | আরও পরে ১৮৩০ সালে ইংল্যান্ডে ও নাইট সোস্যালিস্টদের মধ্যে গর্ভনিরোধের ভাবনার উদয় হয়েছিল আর সেটা সারা পৃথিবীতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছিল |
১৮৫০ সালে মধু, গঁদের আঠা, কুমিরের বিষ্ঠা এই সকল পদার্থ মেয়েদের শরীরে ঢুকিয়ে রাখা হত গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে | তখনকার দিনে মায়েরা দুধ অনেকদিন ধরে বাচ্চাকে খাইয়ে যেতেন পুনরায় গর্ভসঞ্চার বন্ধ করার জন্য, তবে এই প্রক্রিয়া যে কর্যকরী নয় তা আগেই আলোচিত হয়েছে | ২০ শতকের প্রথম দিকে মারি স্টোপস গর্ভনিরোধক ব্যবস্থার কথা বিশেষভাবে ভাবেন | ১৬০০ সালে ডাঃ কন্ডোম Sheath-এর কথা ভেবেছিলেন | মারি স্টোপস ক্লিনিক, কন্ডোম ইত্যাদি শব্দগুলি সেই থেকেই এসেছে |

শোনা যায় বহু আগে শুকনো গোবর আর মধু প্রসবদ্বারে রাখা হত গর্ভসঞ্চার বন্ধ করার জন্য | এও শোনা যায় ভারতে নাকি গাজরের বীজ খেতে দেওয়া হত গর্ভনিরোধক বড়ি হিসাবে | ১৪০০ শতাব্দীতে আবার বলা হয়েছিল যদি কোনও মহিলা মৌমাছি খেয়ে নেয় তাহলে সে গর্ভবতী হবে না |
৪০০০ বছর আগে পুরনো কাহুন প্যাপিরাস (গাছের পাতা) হল সবচেয়ে প্রাচীন লিখিত নিদর্শন | এতে লেখা আছে জন্ম সঙ্কোচন ব্যবস্থার ওপর | এখানেও কুমিরের বিষ্ঠার উল্লেখ আছে | আরবে প্রথম আই ইউ ড (ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস) প্রবর্তিত হয়েছে মেয়ে উটদের জরায়ুতে ছোট পাথর ঢুকিয়ে দিয়ে — যাতে মরুভূমিতে উট হঠাৎ গর্ভবতী না হয় |

কন্ডোম পুরাকালে ছিল ভেড়া, ছাগল এমনকি সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি, পাতলা কাপড়ের কথাও শোনা যায় | পাতিলেবুর রসে কাপড় ভিজিয়ে মেয়েদের শরীরের ভিতরে রাখার কথাও শোনা যায়, পাঞ্জাবি পরিবারে ৩০/৪০ বছর আগে পর্যন্ত একইঅভাবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহৃত হত | আর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আজও এসব চালু আছে | শুঁটকি মাছের লেইও ব্যবহৃত হত |

সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার যেমন পরিবর্তন হয়েছে, আয়ুও তেমন বাড়ছে | জনবিস্ফোরণের সমুদ্রের ঢেউ কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না | সর্বক্ষণই মেয়েদের ওপর বলির খাঁড়া — গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা তাকেই নিতে হবে | এত যে আন্তর্জাতিক মানের সমীক্ষা হচ্ছে, ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে পরিবারগতভাবে প্রতিটি মহিলা জন্মসূত্রে তার জননস্বাস্থ্যের জন্য এই কনট্রাসেপটিভ ব্যবস্থার মধ্যে থাকছে | জন্মের হার, পরিবারের মাপ, জনবিস্ফোরণ নির্ভর করে জলবায়ু, পুষ্টির মান, জনস্বাস্থ্য, বিয়ের বয়স, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, পুত্রসন্তানের চিন্তা, সম্পত্তির আইনগত দিক, ধর্ম, রাজনীতি, যুদ্ধের সমস্যা , শিক্ষর মান, সর্বশেষে শিশুমৃত্যুর হারের ওপর |

যেখানে স্বামী বা স্ত্রীর কোনও জটিল ও দুরারোগ্য অসুখ আছে সেখানে তখন সেই সময় গর্ভ সঞ্চার না হওয়াই ভাল | মেয়েটির যদি টিউবারকিউলেসিস, নেফ্রাইটিস, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদযন্ত্রের অসুখ, মানসিক বৈকল্য, থ্যালাসিমিয়া ইত্যাদি থাকে, তা হলে গর্ভাবস্থা ও প্রসব মেয়েটির জীবনের আশঙ্কা এনে দেয় | বারংবার গর্ভপাত, সিজারিয়ান সেকশন, জরায়ুতে টিউমার, এপিলেপসি — মেয়েটি যদি এই সকলের শিকার হয় তবে পুনরায় গর্ভবতী হবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই দরকার | ছোট বয়সে বিয়ে হলে তাড়াতাড়ি সন্তান কিছুতেই নয় | আবার অনেক সময় দেখা যায় সন্তানধারণ সম্পর্কে মেয়েটির কোনও ধারণাই নেই |

যে কোনও মেয়ের ঋতুস্রাব শুরু হওয়া (মেনার্ক) থেকে বন্ধ হওয়া (মেনোপজ) পর্যন্ত গর্ভসঞ্চারের ভয় থেকেই যায় আর reproductive age হল ১৫ থেকে ৪৪ বছর | অবাঞ্চিতও গর্ভসঞ্চারের হাত থেকে বাঁচতে হলে চাই পরিবার, স্বামী, সমাজ ও চিকিৎসকের সাহায্য,ওষুধের অপব্যবহার সেখানে সাহায্যের মাপকাঠি নয় |

 তথ্যসূত্র :বাংলালাইভ

Labels:

ফ্রান্সে-পুরুষ-সমকামীদের-রক্তদানে-নিষেধাজ্ঞা


ফ্রান্সের পুরুষ সমকামীরা রক্ত দান করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের তরফে এইচআইভির মতো রোগ প্রতিরোধে এ নিষেধাজ্ঞাকে ন্যায়সঙ্গত বলে নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সে পুরুষ সমকামীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ওই নিষেধাজ্ঞাকে ন্যায়সঙ্গত বলে নতুন করে নির্দেশনা জারি করেছে দি ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে)।

নির্দেশনায় বলা হয়, পুরুষ সমকামীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা ন্যায়সঙ্গত। তবে শুধু তখনই রক্তদান করা যাবে যখন বিকল্প কোনো উপায় থাকবে না।

ইসিজে জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে ‘কম কষ্টসাধ্য’ নীতি বিবেচনা করতে হবে। কারণ কোনো নিষেধাজ্ঞা ন্যায্য হতে হলে ‘কম কষ্টসাধ্য’ নীতি প্রক্রিয়া থাকতে হবে এমন কথা নাই।

আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, পুরো ইউরোপে সক্রিয় পুরুষ সমকামীদের মধ্যে মরণব্যাধী এইচআইভির হার সবচেয়ে বেশি ফ্রান্সে।

ফলে বাস্তব পরিসংখ্যানের দিক থেকে সরাসরি এই নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতার ব্যাপারটি যদি আনুপাতিক হয় তবে ফ্রান্সের আদালত এ ক্ষেত্র্র্রে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এইডস বা এইচআইভির জন্য পুরুষ সমকামীর রক্ত কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ তার উপর ভিত্তি করে দেশটির আদালত সিদ্ধান্ত দেবে।

২০০৯ সালে ফ্রান্সের জিওফারি লেগার নামের এক পুরুষ সমকামীকে চিকিৎসক রক্তদানের অনুমতি না দিলে আদালতে তিনি মামলা করেন। ইসিজে এই মামলাকে আমলে নিয়ে বুধবার পুরুষ সমকামীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞাকে ন্যায়সঙ্গত বলে এই নির্দেশনা দেন।

তবে এক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেই শুধু এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে।

Labels:

মেনোপজের সময় অনেক মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা বেড়ে যায়

মেনোপজের সময় অনেক মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা বেড়ে যায়
কাকে বলে মেনোপজ
মেয়েদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন অনেকটা জোয়ার-ভাটার মতো | এরোপ্লেন ওড়বার সময় ও নামার সময় যেমন খানিকটা ঝাঁকুনি লাগে তেমনি নারীজীবনে বয়ঃসন্ধি ও ঋতুনিবৃত্তি এই দুই অধ্যায়ে শারীরিক ও মানসিক চাঞ্চল্য ও উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা | সাধারণভাবে প্রোঢ়ত্বের শেষে ৪৮ থেকে ৫২ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপজ হয় | এই বয়সে যদি সম্পূর্ণ এক বছর টানা পিরিয়ড বন্ধ থাকে তাহলেই তাকে বলা হবে মেনোপজ | জীবনের অপরাহ্নে যখন যৌবনের রূপলাবণ্যে খানিকটা ভাটা পড়ে তখন অনেক উচ্চশিক্ষিতাও এ সময়কার বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন মেনে নিতে পারেন না, অকারণ অহেতুক সচেতন ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, মানসিক দ্বন্দ্ব ও আত্মনিপীড়নে ভোগেন | ছেলে, মেয়ে, জামাই, পুত্রবধূ ও অন্যান্য অল্পবয়স্ক আত্মীয়স্বজন থেকে মানসিক দূরত্ব সম্পর্কে অনাবশ্যক ভাবনায় সহজেই ব্যথিত হন এবং ক্লান্তি ও বিষাদে মন ভারাক্রান্ত করে ফেলেন | অথচ এই সময়কার পরিবর্তন জীবনের আর একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ভেবে নিয়ে উপযুক্ত পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহণ করলে বিগত যৌবনের জন্য আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগ ভুলে যাওয়া সহজ হয় | পিরিয়ডের ঝামেলা নেই, কম বয়সের সংগ্রাম নেই, সন্তানরা বড় হয়ে গেছে — এখনও তো জীবন উপভোগ করার আসল সময় | স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক দাম্পত্য সম্পর্কও বিঘ্নিত হওয়ার কারণ নেই, বরং নিশ্চিন্ত কারণ সন্তান সম্ভাবনার ভয় থাকে না | এটা হৃদয়ঙ্গম করা সবচেয়ে দরকার যে পরিণত বয়সের একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে — ঠিকমতো রুটিন ও যত্নে থাকলে চেহারা খারাপের ভয়ও থাকে না — বরং ভাবুন না কেনে হেমা মালিনী, রেখা বা অপর্ণা সেনের কথা, এনারা যেন এখন আরও বেশি সুন্দরী, আরও আকর্ষণীয়া | তাই বলি এই বয়সে মনকে অকারন মোহ বা আক্ষেপ থেকে মুক্ত করা দরকার |

কি কি পরিবর্তন হয়
পরিপূর্ণভাবে ঋতুনিবৃত্তি বা Menopause হয়ে গেলে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা থাকে না, দারুণ বাঁচোয়া | এ সময় কিছু কিছু দৈহিক পরিবর্তন হয়, হাতে, পায়ে, ঘাড়ে, নিতম্ব ও থাইতে চর্বি জমার সম্ভাবনা থাকে, ওজন বেড়ে যেতে পারে, কেউ কেউ আবার বেশি রোগা হয়ে যায়, কারও ত্বকের মসৃণতা কমে যায়, বলিরেখা পড়তে পারে | শরীরে কোথাও ব্যাথা অনুভূত হতে পারে | এই সকল অস্পষ্ট উপসর্গে মানসিক দুর্বলতা ও আত্মগ্লানি দেখা দেওয়া সম্ভব | উদ্বেগ, রাগ ও শুচিবাই দেখা দিতে পারে, ম্যানিয়া হতে পারে | যে কথা হয়তো বলতে চাই না কোনওমতেই, আবেগের বশে সেই কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে |
রক্ত চলাচলের ক্রিয়ায় পরিবর্তন হয় তাই মাঝে মাঝে আকস্মিক গরম বা শীতলতার অনুভূতি সারা অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে | দিনে দিনে চার-পাঁচবর শরীর ঘেমে ওঠে, যাঁদের হাই ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবিটিস আছে, তাদের এসব উপসর্গ বেশি হয় | এই সময় শরীরে হরমোন নিঃসরণের ক্রিয়ার বিশেষ পরিবর্তন হয় | ওভারি শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়, ডিম্বাণুও থাকে না, তাই স্বভাবতই ওভারি থেকে নিঃসৃত স্ত্রী হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে — তাই যৌবনশ্রী কমে যায় | ওভারির নিঃসৃত হরমোন হ্রাস পাওয়ার ফলে পিটুইটারি ও অ্যাডরেনাল গ্রন্থিসমূহের হরমোন বৃদ্ধি পায়, তাই কারও কারও মুখে বা চিবুকে চুলের মতো লোম দেখা দিতে পারে| এই সকল উপসর্গ কিন্তু সকলের হয় না | যাঁরা ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও মানসিক পূর্ণতার সঙ্গে এসব পরিবর্তন গ্রহণ করেন তাঁদের মেনোপজ আবার আবার উপসর্গবিহীন হতে পারে | ২-৩ বছরের মধ্যেই শরীরের গতি স্থিতিলাভ করে |

চিকিৎসা
অনেকেরই তেমন কোনও চিকিৎসা দরকার হয় না, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে | শরীরের যত্ন, ত্বকের যত্ন, ব্যায়াম এই তিনটি ব্যাপার বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে | সুষম আহার, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা আর ঠিকঠাক ঘুম দরকার | নিয়মিত হেলথ চেক আপ জরুরি | খুব বেশি উপসর্গ থাকে যাঁদের, যেমন বার বার কান মাথা জ্বালা করছে, কমছে না বা গাঁটে গাঁটে খুব ব্যথা যা একেবারে ঘুম হচ্ছে না, অসম্ভব টেনশন, সেই সকল ক্ষেত্রে HRT বা hormone replacement therapy দরকার হতে পারে তাও Short term অর্থাৎ অল্পদিনের জন্য | এছাড়া এই সময় স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জরা ত্বক, চুল ও শরীর ভাল রাখার জন্য কয়েকটি ওষুধ দিয়ে থাকেন — ক্যালসিয়াম ব্যবহারও দরকার, হাড়ের ক্ষয় রোধের জন্য তবে তা একেবারেই চিকিৎ্সকের নির্দেশের অধীন |

কয়েকটি তথ্য
মেনোপজ হঠাৎ একদিন হয় না — প্রথমে হয়তো তিন মাস বন্ধের পর আবার একবার হল, তারপর আবার কিছুদিন বন্ধ থেকে একমাসে দু-বার পিরিয়ড হল, আবার বন্ধ এইভাবে ক্রমশ একেবারে বন্ধ হয়ে যায় | এসময় যদি অত্যধিক ব্লিডিং হয় তাহলে বা তা না হলেও গাইনোকোলজিস্ট দেখিয়ে নেবেন — কারণ এই বয়সে মেনোপজ ছাড়াও জরায়ুর টিউমার বা অন্য অসুখ হতে পারে | মা, মাসী বা দিদিদের যদি কম বয়সে অর্থাৎ ৪০-এর নীচে মেনোপজ হয়ে থাকে তাহলে সেই মহিলারাও early menopause হতে পারে (genetic make up)| গরম দেশের মহিলাদের মেনোপজ আগে হয়, ঠান্ডার দেশগুলিতে আবার মেনোপজের বয়স বেশি | আজকাল মেয়েদের ১০ বছর বয়সের আগেই পিরিয়ড হয়ে যায়, তার মানে কিন্তু এই নয় যে তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়ে যাবে, আবার এও বলা যায় না যে যাদের প্রথম পিরিয়ড শুরু হয়েছে দেরিতে, তাদের মেনোপজ আরও দেরিতে হবে | delayed menopause হলে তলপেটের অন্য কোনও অসুখ আছে কিনা দেখতে হয় |ডায়বেটিস থাকলে মেনোপজের দেরি হতে পারে |আগেই বলেছি menopause-এর কারণে স্বাভাবিক শারীরিক মিলন বাধাপ্রাপ্ত হয় না | আসল কথা পারিপার্শ্বিকতা, মনন | দেখা গিয়েছে মেনোপজের সময় অনেক মহিলাদের sexual desire বেড়ে যায় — অনেক পরের দিকে হয়তো কমতে পারে |এখন আলট্রাসোনোগ্রামের মাধ্যমে মেনোপজের ডায়াগনসিস খুব সহজে করা যায় |এ সময় মহিলারা নিয়মিত পার্লার ও জিমে যাবেন — তা না হলে আত্মবিশ্বাস যাবে চলে |
মনে রাখবেন মনের জোর ও সঠিক চিকিৎসায় মেনোপজের উপসর্গগুলি অতিক্রম করা যায় এবং নিশ্চিন্ত দাম্পত্যজীবন কাটানো যায় |
  
 তথ্যসূত্র :বাংলালাইভ

Labels:

মশা তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকা

মশা তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকা

মশক বাহিনীকে দূরে রাখার আট উপায়-

১) নিম তেল : নিম তেল লাগালে শরীর থেকে একটা গন্ধ বের হয় | যা মশাদের দূরে রাখে | নিম তেল আর নারকেল তেল সমান পরিমাণে মিশিয়ে গায়ে মেখে নিন (শরীরের খোলা অংশে) | অন্তত আট ঘণ্টা আপনাকে আর মশা কামড়াবে না |

২) ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেল: ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেলে একধরনের উপাদান পাওয়া যায় যার নাম ‘cineole’ | এর ফলে যে কোনও পোকামাকড় আপনার থেকে দূরে থাকবে | আর সব থেকে বড় কথা‚ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি মশা তাড়াতে পারবেন | এটা ব্যবহার করার জন্য সম পরিমাণে ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেল নিন | ভাল করে মিশিয়ে গায়ে লাগিয়ে নিন |

৩) কর্পূর: এটা মশা তাড়ানোর জন্য খুব উপকারী | অন্য যে কোনও প্রাকৃতিক মশা তাড়ানোর উপাদানের থেকে সব থেকে ভাল কাজ করে এটা | ঘরের এক কোণায় কর্পূর জ্বালিয়ে ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে দিন | ১৫, ২০ মিনিট পর ঘরে গিয়ে একটাও মশা খুঁজে পাবেন না |

৪) তুলসী: তুলসী মশার ডিম এবং মশা মেরে ফেলে | জানালার কাছে তুলসী গাছ লাগান | বাড়ির কাছে তুলসী গাছ থাকলে মশা ঘরের ভিতর ঢুকবে না আর মশা জন্মাতে দেবে না |

৫) পুদিনা : পুদিনাও মশা দূরে রাখে | পুদিনাকে অনেকরকম ভাবে ব্যবহার করা যায় মশা তাড়ানোর জন্য | পুদিনার তেল ভেপোরাইজারে ব্যবহার করতে পারেন | বাড়ির বাইরে পুদিনা গাছ লাগালেও মশা মাছি দূরে থাকবে | এমনকি মিন্ট দেওয়া মাউথ ওয়াশ জলের সঙ্গে মিলিশে ঘরে স্প্রে করতে পারেন |

৬) ল্যাভেন্ডার : মন মাতানো গন্ধ ছাড়াও মশা কামড়াবে না এটা ব্যবহার করলে | ল্যাভেন্ডার অয়েল লাগাতে পারেন বা ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন |

৭) রসুন: মশা তাড়ানোর এটা খুব ভাল উপায় | রসুনের গন্ধে মশা আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না | কয়েকটা রসুনের কোয়া একটু থেঁতো করে জলে ফুটিয়ে নিন | এরপর এই জল ঘরে স্প্রে করুন |

৮) টি-ট্রি অয়েল: এই তেলের গন্ধ আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি মশা তাড়িয়ে দেয় | টি-ট্রি অয়েল শরীরের খোলা অংশে লাগাতে পারেন বা কয়েক ফোঁটা তেল ভেপোরাইজারে দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন |

Labels: ,

উষ্ণ ও রঙিন যৌনজীবনের জন্য অপরিহার্য আমলকি

উষ্ণ ও রঙিন যৌনজীবনের জন্য অপরিহার্য আমলকি

আমলকির অসংখ্য গুণাগুণ আছে | তার মধ্যে একটা হল‚ এই ফল রিপ্রডাক্টিভ হেল্থ বা প্রজনন ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় |

আমলকি natural aphrodisiac -এর কাজ করে (কামনাকে বাড়িয়ে দেয়) | ফলে আপনার সেক্স লাইফের উন্নতি ঘটে | এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট বাড়িয়ে দেয় | তাই যাঁরা low sperm count এর সমস্যায় ভুগছেন নিয়মিত আমলকি খেলে উপকার পাবেন | দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার লিবিডো অনেকটা বেড়ে যাবে | এই ফল sexual vigor and virilityরও উন্নতি ঘটায় | এর প্রধান কারণ আমলকিতে আছে আয়রন আর জিঙ্ক |

শুধু পুরুষরা নয়‚ যে মহিলারা white discharge-এর সমস্যায় ভোগেন‚ আমলকি শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে মধু দিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন |
পুরুষরা আমলকির জুস সকালে খালি পেটে বা সন্ধেবেলায় খেতে পারেন | সেক্স লাইফ উষ্ণ এবং রঙিন করতে আমলকি পাউডার মিশিয়ে দুধ খেতে পারেন |
কিন্তু অবশ্যই একটা জিনিস মনে রাখবেন | এগুলো শুধুমাত্র ঘরোয়া টোটকা | যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না |

Labels: ,

Friday, May 1, 2015

ক্যান্সারের ওষুধ হলুদ থেকে তৈরি করল ইরান

ক্যান্সারের ওষুধ হলুদ থেকে তৈরি করল ইরান
হলুদ থেকে ক্যান্সারের ন্যানো ওষুধ তৈরি করেছেন ইরানি গবেষকরা ।  ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ওষুধের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা গেছে ।  তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভাগের ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্র এ ওষুধ তৈরি করেছে ।
ইরানি গবেষকদের তৈরি পলিমারভিত্তিক ন্যানো বাহকের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কোষকলায় পৌঁছে দেয়া হবে ক্যান্সারবিরোধী ওষুধ কারকিউমিন। হলুদের এ উপাদানের ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকলা ধ্বংস এবং ক্যান্সার প্রতিহত করার ক্ষমতা আছে। এ ছাড়াও, জারণ ও প্রদাহ প্রতিহত করার ক্ষমতাও আছে হলুদের এ উপাদানের । 
বিষাক্ত প্রভাবক ব্যবহার না করে এই ন্যানো বাহক তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে ইরানের ন্যাটোটেকনোলজি ইনিশিয়েটিভ কাউন্সিলের ডা. আলীরেজা মোহাম্মদ আলীজাদেহ জানান, পরীক্ষা চলাকালে অনেক রোগীকে এ ওষুধ দেয়ার পর এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে ।
প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অতি উচ্চমাত্রায় প্রয়োগ করা সত্ত্বেও এ ওষুধের কোনো বিষক্রিয়া রোগীর দেহে দেখা যায় নি। ওষুধরোধী স্তন ও পরিপাক নালীর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ওপর চালানো দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে ।
ন্যানো-কারকিউমিন তৈরির মৌলিক সব উপাদানই দেশেই পাওয়া যায় এ কথা উল্লেখ করে ডা. আলীরেজা বলেন, ক্যান্সার বিধ্বংসী এ ওষুধের গণ-উৎপাদন ইরানেই সম্ভব ।


 তথ্যসূত্র: এটি নিউজ

Labels: ,

লিভার ভাল রাখার ৪ টি সহজ উপায়

লিভার ভাল রাখার ৪ টি সহজ উপায়

লিভার ভাল রাখার ৪ টি সহজ উপায়

লিভার আমাদের দেহের সবচাইতে বড় কাজটি করে থাকে। দেহের যতো ক্ষতিকর টক্সিন জমে তা শুধুমাত্র লিভারের মাধ্যমেই দেহ থেকে বের হতে পারে। এই লিভার যদি তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে কী হতে পারে একবার ভেবে দেখেছেন? আপনার দেহে জমে যাওয়া টক্সিন একেবারেই দূর হবে না যার কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একে একে বিকল হয়ে যেতে থাকবে।

তাই লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। আর লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা তখনই নিশ্চিত করা যায় যখন লিভার পরিষ্কার থাকে। আজ শিখে নিন লিভারের সুস্থতায় জরুরী লিভার পরিষ্কার রাখার খুব সহজ উপায়।

১) লেবু গরম পানি

বায়োলজিক্যাল আয়োনাইজেশনের লেখক এ. এফ. বুড্ডে তার বইয়ে উল্লেখ করেন, ‘অন্যান্য খাবারেরত তুলনায় কুসুম গরম পানিতে লেবু চিপে খাওয়ার অভ্যাস লিভারে অনেক বেশি এনজাইম উৎপাদনে সহায়তা করে, এছাড়াও ভিটামিন সি গ্লুটেথিয়ন নামক যে এনজাইম উৎপন্ন করে তা লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে’।
তাই অন্যান্য পানীয়ের চাইতে সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লেবু চিপে পান করুন। এতে করে লিভার পরিষ্কার থাকবে।

২) গ্রিন টি

গ্রিন টিয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ফ্রি র্যািডিকেল টক্সিসিটি দূর করে এবং আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১-২ কাপ গ্রিন টি পান করার ফলে লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায় এবং পুরো দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।

৩) রসুন

রসুনে রয়েছে সালফারের উপাদান যা লিভারের এঞ্জাইমের সঠিক কাজে সহায়তা করে। এছাড়াও রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কারের পাশাপাশি লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। তাই খাবারে প্রতিদিন রসুন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়াও কাঁচা রসুন খেলেও ভালো ফলাফল পাবেন।

৪) পর্যাপ্ত পানি পান করুন

দিনে প্রায় ৭-৮ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমাদের দেহের প্রায় ৭০% পানি। এই পানিই দেহের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে বের করতে সহায়তা করে। যখনই দেহে পানির অভাব হয় তখন লিভারে ও দেহে জমতে থাকে টক্সিন যা ক্ষতি করে অন্যান্য অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস রাখুন লিভারের সুস্থতায়।
  

তথ্যসূত্র: হেলথ বার্তা

 সৌজন্যে- প্রিয়.কম

Labels: , ,

ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার – প্রস্রাব আটকে যাবার রোগ

ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার

ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার – প্রস্রাব আটকে যাবার রোগ

মূত্রনালী সরু বা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়াকে স্ট্রিকচার ইউরেথ্রা বলে। এটি অত্যন্ত প্রাচীন একটি রোগ। এই রোগের বর্ণনা প্রাচীন গ্রীক চিকিত্সা বিজ্ঞানে উল্লেখ দেখা যায়। ইউরেথ্রা বা প্রস্রাবের নালী পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫ সেঃমিঃ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ সেঃমিঃ লম্বা হয়। এটি প্রস্রাবের থলি থেকে প্রস্রাব দেহের বাহিরে নিঃসরণ করে। এটি মোটামুটিভাবে ক্লিনিক্যালি দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়। এন্টেরিয়র ইউরেথ্রা ও পোষ্টেরিয়ির ইউরেথ্রা। এন্টেরিয়র ইউরেথ্রা প্রস্রাবের নালীর মুখ, পেনাইল ইউরেথ্রা ও বালবার ইউরেথ্রা নিয়ে গঠিত। পোষ্টেরিয়র ইউরেথ্রা মেম্রেনাস ইউরেথ্রা ও প্রোষ্টেটিক ইউরেথ্রা নিয়ে গঠিত।
ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার – প্রস্রাব আটকে যাবার রোগ
 
ইউরেথ্রা করপাস স্পনজিওসামের মধ্যে থাকে এর দু’পার্শ্বে আরও দ’টি অংশ আছে যাদেরকে বলা হয় করপাস ক্যাভারনসাম। ইউরেথ্রাতে সংক্রমণ, রক্ত চলাচলে স্বল্পতা বা আঘাত জনিত কারণে ইউরেথ্রা সরু হতে থাকে যা প্রস্রাব নির্গমণে বাধা সৃষ্টি করে। পোষ্টেরিয়র ইউরেথ্রাতে সাধারণত আঘাত জনিত কারণে স্ট্রিকচার হয়। ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার কারণগুলোর  মধ্যে রয়েছে আঘাত, সংক্রমণ, ক্যান্সার বা জন্মগত। সংক্রমণের মধ্যে গণোরিয়া উল্লেখযোগ্য। এই রোগী সাধারণত প্রথমদিকে ধীরে ধীরে অনেকক্ষণ ধরে চাপ দিয়ে প্রস্রাব করে থাকে। এদের প্রস্রাবে সংক্রমণও এক পর্যায়ে প্রস্রাব আটকে যেতে পারে। রোগীর উপসর্গ সমূহ মারাত্মক আকার ধারণ করলে, প্রস্রাবের থলিতে পাথর হলে, প্রস্রাব পরবর্তী মূত্রথলিতে অতিরিক্ত প্রস্রাব জমা থাকলে যখন ওষুধ প্রয়োগে নিরাময়ের সম্ভবনা থাকে না তখন শল্য চিকিত্সার প্রয়োজন হয়। যদি সংক্রমণ থাকে তবে তা শল্য চিকিত্সার পূর্বে চিকিত্সা করে নিতে হবে।
এই রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর রোগের ইতিহাস, কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা যেমন ইরোফ্লোমিট্রি বা প্রস্রাবের ধারা পরীক্ষা, মূত্র নালীর বিশেষ ধরণের এক্স-রে যাকে বলা হয় RGU & MCU এবং প্রস্রাবের রাস্তার আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষাপ্রয়োজন। এছাড়া সরাসরি যন্ত্রের মাধ্যমে দেখে এই রোগ নির্ণয় করা যায় একে বলা হয় ইউরোথ্রো সিসটোস কপি। শল্য চিকিত্সার মধ্যে রয়েছে ইউরেথ্রাল ডাইলেটেশন, ইন্টারনাল ইউরোথ্রোটমি, প্রাইমারী রিপেয়ার, রিপেয়ার উইথ টিস্যু ট্রান্সফার ও পারমানেন্ট স্টেন্ট। ইউরেথাল ডাইলেটেশন এর মধ্যে রয়েছে রিজিড ডাইলেটেশন ও সেলফ্ ডাইলেটেশন পদ্ধতি।

রিজিড ডাইলেটেশন ও সেলফ্ ডাইলেটেশন পদ্ধতি

 রিজিড ডাইলেটেশনে অভিজ্ঞ চিকিত্সক বিশেষ ধরণের মেটালিক বুজি দিয়ে ইউরেথ্রার সরু অংশ মোটা করে দিয়ে থাকেন। এটি একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর করতে হয়। অপটিক্যাল ইউরোথ্রটমি বা রিজিড ডাইলেটেশনের পর নিজে নিজে একটি পরিস্কার ক্যাথেটার দিয়ে প্রতিদিন প্রস্রাবের রাস্তায় প্রবেশ করানোকে সেলফ্ ডাইলেটেশন বলে। ইন্টারনাল উইরেথ্রোটমি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে প্রস্রাবের নালীর ভিতর দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। এরপর ৩-৫ দিন ক্যাথেটার দিয়ে রাখা হয়।

 রাইমারী রিপেয়ারের ক্ষেত্রে চিকন হয়ে যাওয়া অংশ কেটে ফেলে দিয়ে জোড়া লাগানো হয়। সাধারণত সরু অংশ ১-২ সেঃমিঃ হলে ভাল হয়। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে ৩-৪ সেঃমিঃ পর্যন্ত করা যায়। টিস্যু ট্রান্সফার পদ্ধতিতে সাধারণত অন্য স্থানের চামড়া নিয়ে সরু হয়ে যাওয়া অংশে লাগানো হয়। সাধারণত মুখ গহবরের ভিতরের চামড়া নিয়ে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়। পারমানেন্ট ইউরেথ্রাল ষ্টেন্ট সাধারণত অপারেশনের অনুপযোগী রোগী যাদের বালবার ইউরেথ্রাতে স্বল্প দৈর্ঘ্য ষ্ট্রিকচার আছে তাদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে। স্ট্রিকচার ইউরেথ্রা একটি বাজে  ধরণের রোগ। কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে পরিপূর্ণ নিস্কৃৃতি পাওয়া দুস্কর। বারে বারে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।


ডাঃ মুহাম্মদ হোসেন
সহযোগী অধ্যাপক, ইউরোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বার: ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা

সূত্রঃ  হেল্থ বাংলা

 

Labels: , ,