Saturday, January 11, 2014

শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যাচার




যুগ যুগ ধরে সার্ভে রিপোর্টে দেখা গেছে, একজন পুরুষ প্রায় অকপটেই স্বীকার করেছেন পুরো জীবনে তার কয়জন নারী সঙ্গী ছিল এবং তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ছিল একথাও তারা স্বীকার করেছেন। কিন্তু, বেশীরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

জার্নাল অফ সেক্স রিসার্চ কিন্তু বলছে, যদি নারী পুরুষ উভয়কেই “লাই ডিটেক্টারের” মুখোমুখি করা হয়, কেউ কারো থেকে কম যান না; অন্তত গড়ে তো কোনভাবেই না।

গবেষনায় পাওয়া যায়, মিথ্যে বলে পার পেয়ে যাবেন এই আশায় মেয়েরা মিথ্যে বলেন। অনৈতিকতা বা লজ্জা দুটো কারণই থাকতে পারে এই মিথ্যে বলে পার পাওয়ার পেছনে। বেশীরভাগ নারীরাই জানেন, যদি তার ইচ্ছা প্রকাশ পায়, সেজন্য তাকে সামাজিক ভাবে হেয় করে দেখা হতে পারে। কিন্তু, পুরুষের ক্ষেত্রে বেশীরভাগই হয় ভিন্ন। কারন, একজন পুরুষের বহু নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক আছে, এটা তার পুরুষ শক্তির বহিঃপ্রকাশ।

অন্যান্য ক্ষেত্রে মানসিক আচরনের যথেষ্ঠ পরিবর্তন হলেও, এক্ষেত্রে হয়েছে খুব কমই। এক নতুন পরিসংখ্যান যার নাম, “বাস্টেড ৬ জেন্ডার মিথ ইন দ্যা বেডরুম এন্ড বিয়ন্ড”
প্রায় ৩০০ কলেজ ছাত্র এই গবেষনায় যোগ দেয়। পরিসংখ্যানে প্রশ্ন গুলো ছিল এমন যে, কত ঘন ঘন তারা ১২৪ রকমের বিভিন্ন আচরন প্রদর্শন করে। আচরন গুলোর মধ্যে রয়েছে, কোন কোন আচরনকে পুরুষালী আচরন বলে বিবেচনা করা হয়। নোংরা কাপড় বা নোংরা (ডারটি) কৌতুক বলতে কে বেশী পছন্দ করে। মেয়েলী আচরনের মধ্যে রয়েছে কবিতা লিখার অভ্যাস আর নিজের শরীরের ওজন কম করে বলা ইত্যাদি। প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার পর, ওদের একটি পলিগ্রাফ (লাই ডিটেক্টার) মেশিনের সামনা সামনি করা হয়। কিন্তু, ঐ পলিগ্রাফ মেশিনটি আসলে কাজ করছিলোনা। যে প্রশ্ন গুলোর সাথে যৌনতার কোন সম্পর্ক ছিলোনা, তার উত্তর দিতে কেউ সামান্য দ্বিধা করেন নি। বিশেষ করে মেয়েদের যখন প্রশ্ন করা হয়, পুরুষালী একটিভিটি যেমন, ভারোত্তোলন ইত্যাদি কেউ কখনো করেছে কিনা, সহজেই হ্যা বা না উত্তর দিয়েছে মেয়ে অংশগ্রহণকারী। কিন্তু, যখনই এসেছে শারীরিক সম্পর্কের প্রশ্ন, একটু দীর্ঘ সময় বা ইতস্থতা করেছে মেয়েরা।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, যখন পলিগ্রাফ মেশিনের সাথে ওদের যুক্ত করা হল, ছেলেরা বরং কম হিসেব দিয়েছে ওদের নারী সঙ্গীর ব্যাপারে, যেখানে, মেয়েরা বলেছে বেশী।
একটা জিনিষ খুব লক্ষণীয়, যৌনতা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সকলেই একটা জিনিসের প্রতি খেয়াল রাখেন, সে নারী বা পুরুষ এ ধারণা যেন বদলে না যায় তার উত্তরের কারনে। অর্থাৎ, কারো নারীত্ব বা পুরুষত্ব যেন হুমকির মুখে না পড়ে তার প্রশ্নোত্তরের কারনে।

পুরো গবেষণাটি সেক্স রোলস নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়।

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home