Saturday, January 11, 2014

বিবাহিত জীবনে আপনি কি তৃপ্ত? সুখী? নাহলে কি করবেন !



অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন অরগাস্ম (orgasm) শব্দটির নাম।

অরগাস্ম এক এমন মানসিক অবস্থার নাম যখন কোন নারী বা পুরুষ অনুভব করেন, হ্যা, সত্যিই তিনি মিলনে পরিতৃপ্ত। মিলন বেলায় তারা সুখের সাগরে ভেসেছেন।

পুরুষেরা এই অরগাস্ম সুখ লাভ করেন তাঁদের পুরুষাঙ্গের উত্তেজনার মাধ্যমে। আর নারীরা তাঁদের ভগ্নাঙ্কুরের মাধ্যমে।

সাধারনত এই অরগাস্ম বা পূর্ণ রতি পরিতৃপ্তি স্বাভাবিক ভাবেই ঘটে থাকে। অরগাস্ম এক অতি বা চরম সুখ অনুভুতি।

পুরুষদের মধ্যে যারা এই চরম রতি সুখ অনুভব করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক পথ। এই চরম সুখ লাভের জন্য চাই এক আনুপাতিক উদ্বেগ মুক্তি আর উত্তেজনার সঠিক মিশ্রন। এর মানে আপনাকে রপ্ত করতে হবে কি করে উত্তেজনা আর উদ্বেগ মুক্তিকে ব্যাল্যান্স করতে হয় সেই বিদ্যা বা আর্ট।

নারীদের ক্ষেত্রে যারা এই চরমসুখকে উপভোগ করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক পন্থা। একইভাবে পুরুষদের মতো নারীদেরও জানতে হবে কিভাবে উত্তেজনা আর উদ্বেগ মুক্তির সমন্বয় করতে হয়। খুব কঠিন শোনাচ্ছে? মোটেও না। হয়তো যাদের কাছে এই বিষয়টি কঠিন মনে হচ্ছে সেক্ষেত্রে একটাই কারন, আপনি হয় এই সুখ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত অথবা দৈহিক মিলনে কোন মহাসুখ থাকতে পারে আপনি চিন্তাও করতে পারেন না।

কয়েকটি অতি সহজ স্টেপের (ধাপ) মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন সেই মহা-সুখানুভুতি। সেই চরম সুখানুভুতিতে আপনার সম্পূর্ণ দেহ মোচড় খেতে থাকবে আর সেই অনুভুতিতে আপনি অভিভুত ফিল করবেন।

নারীদের ক্ষেত্রে প্রথম যা করনীয় তা হল, নিজেকে চরম ভাবে উত্তেজিত (রাগ নয় প্রেম-উত্তেজনা) করা। আপনার মাংশ পেশীকে উত্তেজিত করা। আর সেই প্রথম স্টেপ আপনাকে ধীরে ধীরে চরম সুখনুভুতির দিকে টেনে নিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, আপনার কোমরের নিম্নাংশের পেশী-সংকোচন দিতে পারে আপনাকে সেই অতি-সুখনুভুতি পাওয়ার চাবি।

আপনার কোমরের নিচ অংশের মাংশপেশির সঙ্কচনের ফলে পুরো দেহে এবং যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে  যায়, আর তার ফলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনার; যা আপনাকে পেতে সাহায্য করে চরম সুখ যার নাম অরগাস্ম।

যখন আপনি চরম ভাবে উত্তেজিত, তখন প্রয়োজন শান্ত হওয়া। আপনি চরম যৌন উত্তেজনায় কেমন অনুভব করছেন সেই দিকে একটু খেয়াল করুন অর্থাৎ, চোখ বন্ধ করে নিজেকে প্রশ্ন করুন “আমি কেমন ফিল করছি” আর সেই দিকে গভীর মনোযোগ দিন।

বেশিরভাগ নারী, রতিক্রিয়া চলাকালীন সময়ে কোন না কোন চিন্তায় মগ্ন থাকেন। আর যদি রতিক্রিয়াটি হয় চরম সুখের, তবে, তখন সেই নারী হারিয়ে যান সুখের এক ফ্যান্টাসি বা কল্প জগতে। বাঁধা নেই, আপনিও আপনার সঙ্গীর সাথে হারিয়ে যান অন্য এক কল্প জগতে আর উপভোগ করুন চরম সুখানুভুতি বা অরগাস্ম। সামান্যতম দ্বিধা করবেন না। কারন, দ্বিধা আপনাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে সেই কল্পলোক বা ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড থেকে। হ্যা, যে কল্পলোক বা ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে আমরা বলছি, সে জগতে ঢোকা প্রাথমিক দিকে একটু কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু, একটু প্র্যাকটিস খুব চমৎকার ফলাফল এনে দিতে পারে।

যদিও রতিক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান মানুষের সহজাত, তবুও ক্ষেত্র বিশেষে চর্চার বা শিক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে এমন অনেক নারী আছেন যারা রতি-ত্রিপ্তি কখনোই উপভোগ করেননি। যেহেতু, বিবাহে যৌন সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, তাই এমন অনেক নারী আছেন যারা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীর সাথে একারনে মিলিত হন যে, এটা তার অধিকার। এখানে সুখ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। 

একটা কথা মনে রাখতে হবে, আপনি আপনার সঙ্গীকে পছন্দ করেন না, কিন্তু, সেই চরম সুখ উপলব্ধি করতে চান, সেক্ষেত্রে সেটা এক্কেবারে অসম্ভব না হলেও, প্রায় অসম্ভব। সুখ উপভোগ করার এক প্রস্তুতি বা readiness খুবই জরুরী।

মনে রাখতে হবে, কোন নারীর ঘুম পাচ্ছে আর তার স্বামী তাঁকে সেই মুহূর্তে চাইছেন, এমন ক্ষেত্রে নারীর সুখ লাভ করার চান্স প্রায় ০%। হ্যা, এক ধরনের সুখ তিনি হয়তো পাবেন, “আমি  আমার স্বামীর অনুরোধ রক্ষা করেছি” একই হতে পারে পুরুষের ক্ষেত্রেও। তিনিও ভাবতে পারেন “ আমি আমার স্ত্রীর অনুরোধ রক্ষা করেছি”

একটা বিষয় অত্যন্ত মনোযোগের সাথে খেয়াল করতে হবে, একজন নারীর চরম উত্তজনায় পৌছাতে বা সম্পূর্ণ জাগ্রত হতে ৪০-৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অবশ্য তা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিন্তু, যে নারীর সম্পূর্ণ জাগ্রত হতে বিলম্ব হয়, তাঁকে অতি অল্প সময়ে বা প্রয়োজনীয় সময়ের পূর্বেই রতিক্রিয়ায় আহ্বান জানালে, তৃপ্তির প্রশ্নই উঠেনা, পূর্ণ সুখ বা চরম সুখানুভুতি বা অরগাস্ম তো দুরের কথা !

মনে রাখতে হবে, আপনি প্রস্তুত এর মানে এই নয় যে আপনি ঝাপিয়ে পড়বেন যুদ্ধে। বরং, আপনার দৈহিক ক্ষুধা চরমে, অথচ, আপনি উপভোগ করছেন অতি ধৈর্যের সাথে, আপনি প্রায় নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনি বুঝে যাবেন অরগাসমের মর্ম।

ও হ্যা, আজ আপনি প্রথম বারের মতো সত্যিকার উত্তেজিত, কিন্তু এই মুহূর্তে একটা বিশেষ দিক আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আর তা হল নিশ্বাস বা প্রশ্বাস। আপনার ব্রিদিং এর উপর নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিন। মুচকি হাসি এ ব্যপারে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। জী হ্যা, আপনার সঙ্গীর দিকে তাকিয়ে একটু পরিতৃপ্তির বা সৌজন্যতার হাসি দিয়ে দেখুন; চমৎকার ফলাফল পাবেন।

ও হ্যা, সময় একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। তাড়াহুড়া যেন আপনাদের দুজনকে পেয়ে না বসে। স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে অভিব্যাক্তি বা এক্সপ্রেশন। জী, আপনি আপনার পার্টনারকে কানে কানে জানান আপনার কেমন বোধ হচ্ছে, এটা আপনার সুখের পরিমাণকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দিতে পারে ক্ষেত্র বিশেষে। হ্যা, তবে কিছু না বলতে ইচ্ছে করলে অর্থাৎ, ভাষা দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে মন না চাইলে শুধু সাউন্ড করে আপনি আপনার সুখ অনুভুতি জানিয়ে দিন আপনার সঙ্গীকে। কিন্তু, কোন ধরাবাঁধা নিয়ম মানবেন না। যা আপনার আসল অনুভুতি তাই এক্সপ্রেস করুন যে কোন ভাষায়।

মনে রাখবেন, এমন হতে পারে আপনারা নিজেরা নিজের অজান্তেই এমন টেকনিক আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন যা পরবর্তীতে প্রয়োগ করলে বুঝবেন, হ্যা, সত্যিই এক মহা আবিষ্কারক আপনি আর আপনার সঙ্গী।

এমনও দেখা গেছে, বিবাহিত দম্পতি বহু বছর সংসার করছেন, কিন্তু একজন আরেকজনের প্রতি তেমন কোন টান বোধ করেন না, কারন তারা কোন সুখই পান না। কিন্তু একটু ক্রিয়েটিভলি বিষয়টাকে নিয়ে চর্চা করে দেরিতে হলেও এখন তারা শুধুই দুজনে দুজনার এমন নজীর লক্ষ লক্ষ না থাকলেও অনেক আছে এতে কোন সন্দেহ নেই।

সুত্রঃ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এক্সপার্টের গবেষণা থেকে সংগৃহীত

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home