Saturday, January 24, 2015

কাম রস কি ? এবং কেন ?

কাম রস হচ্ছে প্রাক-চরমানন্দ-তরল। এটি স্বচ্ছ পানির রঙের আঠালো তরল, যা যৌন চিন্তা/লিঙ্গত্থানের পর পুরুষাঙ্গ থেকে নিঃস্বরিত হয়। কাম রসকে ইংরেজীতে প্রি-কাম, ডগ ওয়াটার কিংবা স্পিড ড্রপ ও বলা হয়। কাম রস এবং বীর্য প্রায় একই প্রকার তরল। এতে শুধু কিছু রাসায়নিক পার্থক্য আছে। এই তরলের পরিমান ব্যক্তিভেদে পার্থক্য হয়। অনেক পুরুষের এটি বিন্দুমাত্রও নির্গত হয়না আবার অনেকের তা ৫ মিঃলিঃ পর্যন্ত হতে পারে।

কাম রসের কাজ সমুহঃ

অম্লিক পরিবেশ শুক্রানুর জন্য ক্ষতিকর। প্রস্রাবের ফলে মুত্রনালীতে কিছুটা রাসায়নিক পদার্থ থেকে যায়। কাম রস সেসব অপ্রয়জোনীয় রাসায়নিক পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে শুক্রানুর জন্য নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে।
 অপরদিকে নারী যোনী সাধারনত অম্লিয় (এসিডিক), তাই মুল বীর্যপাতের আগে এ তরল যোনীতে প্রবেশ করে যৌনাঙ্গের ভিতরের পরিবেশকে স্বাভাবিক করে যাতে বীর্যের সাথের শুক্রানু যোনীতে জীবিত থাকে।
 এটি যোনীপথকে পিচ্ছিল করার জন্য লুব্রিকেটর হিসাবে কাজ করে।

সমস্যা সমুহঃ

যদিও কাম রস পরিমানে অতি সামন্য তবুও এর সাথে পুর্বের কিছু শুক্রানু (এমনকি একদিন পুরানো) বেরিয়ে আসতে পারে। তাই নারী-পুরুষের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ যে কাম রস যোনীতে প্রবেশ করলে এর থেকেও গর্ভধারন হয়ে যেতে পারে।
 কাম রস থেকেও এইডস সহ অন্যান্য যৌন বাহীত রোগ (STD) ছড়াতে পারে।।

অন্যান্য দিকঃ

বিরল ক্ষেত্রে কোন পুরুষের হয়তো অতিমাত্রায় কাম রস নির্গত হতে পারে। যদি এমনটি দেখা যায় তবে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে পারেন আপনি। ডাক্তার ডায়াগনিসিস করে সঠিক কারন বলতে পারবে। তবে যদি কারো এ রস একটুও নির্গত না হয় তবে তা কোন বড় সমস্যা নয়। আলোচ্য ব্যাক্তি মিলন সহজ করার জন্য ঔষধের দোকানে প্রাপ্ত লুব্রিকেটর ব্যবহার করতে পারেন।
 কাম রসে সাধারনত কোন শুক্রানু থাকে না। তবে পুর্বের মিলন কিংবা হস্তমৈথুন এর পর যে কিছু শুক্রানু অন্ডকোষে রয়ে যায় তা মনির সাথে বেরিয়ে আসে। প্রস্রাবের সাথে সব শুক্রানু কিন্তু বেরিয়ে আসেনা।

ইসালামে কাম রসঃ

কাম রস মুলত শরীরকে নাপাক করে না। মানে বীর্য নিঃস্বরিত হলে পবিত্রতার জন্য যেমন পুর্ন গোসল করতে হয়, কিন্তু কাম রস নির্গত হলে গোসল করতে হয়না। শুধু যে অঞ্চলে কাম রস লেগেছে সে অঞ্চল ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home