Thursday, April 30, 2015

হাঁটুন, সুস্থ থাকুন

হাঁটুন, সুস্থ থাকুন
হাঁটুন, সুস্থ থাকুন
এতো সবাই জানেন একটি সুখী, সুস্থ শরীর মনের জন্য কোন ও না কোন ধরনের শরীরর্চ্চা প্রয়োজন। ব্যায়াম সে সঙ্গে সুমিত পানাহার হলো দীর্ঘ জীবনের রহস্য, শরীর মন তর-তাজা রাখার রহস্য। আদর্শ ওজন বজায় রাখা সবচেয়ে বড় কাজ। এছাড়া আনন্দে কালক্ষেপনের একটি ভালো উপায় হলো ব্যায়াম করা। সহজ সরল একটি ব্যায়াম আছে। হাঁটা। কম পরিশ্রমে উপযুক্ত একটি ব্যায়াম সব বয়সের মানুষের জন্য। নিখরচায়, শরীরচর্চা। যেখানে সেখানে করা যায় এই শরীরচর্চা। লেকের পার ধরে যে পায়েচলা পথ সেই পথ ধরে হাঁটার মধ্যে কত আনন্দ। ঝিরি ঝিরি বাতাস, বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে বড় আনন্দ। এমনকি বাসার চারধারে যে ফুটপাত সেখানে দশমিনিট হাঁটলেও কম কি? ইদানীং গবেষকরা বলছেন হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর সুস্থাস্থ্যের জন্য হাঁটা, জগিং ও দৌড়ানোর সমান সুফল আনে। বস্তুত: কারো কারো জন্য হাঁটা এর চেয়েও ভালো ব্যায়াম। কারণ হাঁটলে শরীরের উপর চাপ পড়েনা। দৌড়ালে অনেক সময় হাড়ের গিটে ব্যথা হয়, আহত হয় পেশী। বয়স্কদের জন্য বেশ ঝুকিপূর্ণ কিন্তু হাঁটা-হাঁটি করে আহত হওয়ার কথা শোনা যায়না। বড় সহজ এই হাঁটা। বিশেষ কোন পোষাক পরার দরকার নেই, ঘেমে নেয়ে উঠার প্রয়োজন নেই। আরামে আয়েশেও হাঁটা যায় যত্রতত্র। সপ্তাহে ছয়দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটাই যথেষ্ট। জগিং ও এরোবিকস এর মত কঠোর ব্যায়াম হার্টকে ঘোড়ার মত দৌড়াতে বাধ্য করে। রক্ত জোরে পাম্ল করতে থাকে। একপর্যায় পর্যন- এটি হিতকরী। তবে পেশি এত কঠোর শ্রম যেহেতু করে সেজন্য এর প্রয়োজন হয় প্রচুর অক্সিজেন। ব্যায়ামে তৈরী হয় ল্যাকটিক এসিড, অম্লতা রোধের জন্য চাই প্রচেষ্টা। ল্যাকটিক এসিড জমা হওয়াতে পেশী হয় শক্ত ও বেদনার্ত। হাঁটলে তেমন হয় না। হৃদপিণ্ড জোরে পাম্ব করে, বাড়ায় রক্তপ্রবাহ, তবে পেশীর উপর এত কঠোর প্রভাব ফেলেনা। শরীরে তৈরি হয় না এত ল্যাকটিক এসিড। তাই শরীরের উপর কম চাপ প্রয়োগ করেও রক্ত সংবহনতন্ত্রের উজ্জীবনে সাহায্য করে। দেহের সঞ্চিত মেদ অবমুক্ত হয়ে বিপাক হয়। শরীরের উপর যেহেতু এর চাপ কম সেজন্য যে কোনও কেউ পুরা সপ্তাহ ধরে হাঁটলেও খারাপ লাগেনা। অনেক অসুস্থ মানুষও হাঁটাকে ব্যায়াম হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। শুরু হোক ধীরে ধীরে। প্রথম দিন ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিট। এরপর গতি বাড়ান, সময় বাড়ান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট । এরপর শীতল হন ১০ মিনিট। ৫ থেকে ১০ মিনিটে ধীরে হেঁটে শীতল হন। ভীড-ভাট্টা, ব্যবহুল জিম থেকে নিখরচায় হাঁটা অনেক ভালো।

তথ্যসূত্র: বাংলা হেলথ
সূত্র:

Labels: ,

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home