Friday, April 10, 2015

যৌনতায় অর্গ্যাজম খুব জরুরি



অর্গ্যাজাম বা রাগমোচন এমনই একটা শব্দ যা দাম্পত্য সুখের শেষ রসদ। যৌন ক্রীড়ার শেষ বিন্দুতে রাগমোচন এক স্বতঃস্ফূর্ত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এইসময় শ্রোণী অঞ্চলের মাংসপেশির ছন্দোময় সংকোচনের মাধ্যমে দেহে চরম যৌনসুখ অনুভূত হয়। নারী এবং পুরুষ উভয়েরই রাগমোচন ঘটে থাকে যৌন ক্রীড়ার সময়। রাগমোচন সম্পূর্ণ ভাবে স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রাগমোচনের সময় শরীরে বিবিধ ক্রিয়া ঘটে।

যেমনঃ আনন্দ-চঞ্চল সংবেদন , শরীরের কোন কোন অংশের বিদ্যুতের মতো অনুভব এবং মুখে নানান ধরনের শব্দের উৎপত্তি। অরগ্যাজামের পরবর্তি সময়টি একটি অবসাদময় নিস্তেজ পরিস্থিতি হয়। যার মূল কারন হল অক্সিটোসিন, প্রোল্যাক্টীন এবং এন্ডোরফিন্স নামক নিউরোহরমোনের নিঃসরণ। রাগমোচন বা অরগ্যাজাম যেকোন ধরনের শারীরিক যৌন উদ্দীপনার মাধ্যমে হতে পারে, যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ (এক্ষত্রে বীর্যপাতের ঘটে থাকে ) এবং নারীর ক্ষেত্রে ভগাঙ্কুরের উদ্দীপনার মাধ্যমে। এই যৌন উত্তেজনা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নিজে নিজে করা যেতে পারে বা কোন সঙ্গীর সাহায্য অন্য যেকোন যৌন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে হতে পারে।

রাগমোচন কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এতে আনন্দের সাথে মিশে থাকে দেহ ও মনের এক ধরণের নিরুদ্বেগ শৈথিল্য। পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যস্খলনের সময়ই রাগমোচন লাভ হয়, এর পাশাপাশি পেশীর ক্রিয়ার কারণে তার লিঙ্গ কয়েকবার কেঁপে ওঠে এবং অণ্ডকোষ শক্ত হয়ে একটু উপরে উঠে আসে। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই রাগমোচনের পরেই পুনর্বার মৈথুন করা সম্ভব না, কেননা বীর্যপাতের সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গের উত্থান রহিত হয়ে যায়।

লিঙ্গের পুনরুত্থান বা পুনরায় সঙ্গমের জন্য কিছুটা সময় লাগে। স্ত্রীর ক্ষেত্রে ইউটেরিন ও যোনির দেয়ালের পেশীগুলোর মুহুর্মুহু সংকোচনের মাধ্যমে রাগমোচন ঘটে। এটা ক্ষেত্রবিশেষে একসাথে কয়েকবার হতে পারে আবার সামান্য সময়ের ব্যবধানে হতে পারে। অনেক স্ত্রীর ক্ষেত্রে পুরো দেহব্যাপী অনেকক্ষণের জন্য রাগমোচন ঘটতে পারে। পুরুষের চেয়ে নারীর রাগমোচন অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

    সুতরাং সঙ্গমের কালে অরগ্যাজাম বা রাগমোচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গমের সমাপ্তি তখনই সম্ভব যখন রাগমোচন ঘটে।

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home