Tuesday, January 13, 2015

বীর্য পরীক্ষা

কোনো দম্পতি যদি এক বছর চেষ্টা করার পরও সন্তান লাভে ব্যর্থ হন তাহলে তাদের বন্ধ্যত্ব সমস্যা আছে বলে ধারণা করা হয়। কোনো দম্পতির বন্ধ্যত্ব সমস্যার কারণ চিহ্নিত করার জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই পরীক্ষা দরকার হয়। পুরুষের যে পরীক্ষাটি করা হয় তাকে সিমেন এনালাইসিস বা বীর্য পরীক্ষা বলা হয়।

বীর্য পরীক্ষা

বীর্য পরীক্ষা কিভাবে করতে হয়

তিন থেকে পাঁচ দিন মেলামেশা বন্ধ রাখা বীর্য পরীক্ষার পূর্বশর্ত। যত্নের সঙ্গে পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করতে হয় বলে ভালো ও স্বীকৃত ল্যাবরেটরিতে গিয়ে পরীক্ষাটি করা উচিত।



বীর্য পরীক্ষা
বীর্য সংগ্রহের সময়

বীর্য পরীক্ষা রিপোর্টে কি কি দেখা হয়

শুক্রাণুর সংখ্যা : প্রতি মিলি বীর্যে কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকতে হবে। এর কম হলে তাকে Azoospermia বলে। আর যদি কোনো পুরুষের বীর্যে কোনো শুক্রাণুই না থাকে তবে Azoospermia বলে।
শুক্রাণুর নড়াচড়ার গতি : কমপক্ষে শতকরা ৪০ ভাগ শুক্রাণুর নড়াচড়ার গতি থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩২ ভাগ শুক্রাণুর অতি দ্রুতগতিতে নড়াচড়া প্রয়োজন। শুক্রাণুর নড়াচড়া কম হলে তাকে Asthenozoospermia বলে।
শুক্রাণুর গঠন : কমপক্ষে ৪০ ভাগ শুক্রাণু গঠনগত দিক দিয়ে ঠিক থাকতে হবে। অন্যদিকে শুক্রাণুর গঠনগত ত্রুটিকে Teratozoospermia বলে।এ ছাড়াও বীর্যের পরিমাণ, বীর্যে ইনফেকশন ইত্যাদি দেখা হয়। বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা, শুক্রাণুর নড়াচড়ার গতি বা গঠনগত ত্রুটি ইত্যাদির যে কোনোটির তারতম্য ঘটলে পুরুষের বন্ধ্যত্ব হতে পারে।
ডা. রেজাউল করিম কাজল সহযোগী অধ্যাপক,
বিএসএমএমইউ, ঢাকা।

 সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home