আমলকীর পুস্তি গুণ
আমলকী অনেক পুষ্টিকর একটি ফল। যা আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায় এবং সর্বত্র। আমলকীর ফল থেকে শুরু করে পাতা ও ছাল ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার জন্য উপকারি।
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা, শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন মিটাতে সক্ষম। ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে যেসব রোগ হয় যেমন স্কার্ভি,মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকী খেলে উপকার পাওয়া যায়। আমলকী খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এছাড়া লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
হার্টের রোগীর জন্য আমলকী খুবই উপকারি রোগীরা আমলকী খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকী খেলে তৃষ্ণা মেটে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে। আমলকী খেলে মুখে রুচি বাড়ে।এছাড়া আমলকী ক্ষুধা বাড়ায় ও শরীর ঠাণ্ডা রাখে। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশির জন্যও খুবই উপকারী। পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকী খেলে উপকার হয়। বারবার বমি হলে শুকনো আমলকী এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টা দুই পর সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
আমলকী ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি একটি ফল। নিয়মিত আমলকী খেলে ব্রণের দাগ দূর করে সেইসঙ্গে দেয় সতেজ ও মসৃণ ত্বক। কাঁচা আমলকী বেটে চুলে লাগালে চুলের গোড়া শক্ত হয় সেইসঙ্গে অকাল পক্কতা দূর হয়। এছাড়া চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুলের রং কালো হয়। আমলকী বেটে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রাতে ভালো ঘুম হয় ও মাথা ঠাণ্ডা থাকে। রাতে আমলকী র সঙ্গে বহেরা ও হরতকী মিশিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরেরদিন সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিন থেকে চার গ্রাম শুকনো আমলকীর গুড়া এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে বহু মুত্র রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমলকী বেটে তার সঙ্গে সাদা চন্দন ভালভাবে মিশিয়ে কপালে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪/৫ গ্রাম আমলকী পাতার রসের সঙ্গে পরিমান মতো চিনি মিশিয়ে একমাস খেলে চিরতরে অম্ল রোগ ভালো হয়ে যায়।
সূত্র:shorir
Labels: খাদ্য-ও-পুষ্টি
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home