Sunday, January 11, 2015

বেগুনের উপকারিতা


বেগুন একটি মৌষমি সবজি। এটি সাধারণত শীতের সময়ে বেশি পাওয়া যায়। বেগুন সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। সহজলভ্য ও সারা বছরই মেলে এটি। মধ্য যুগে ইউরোপে যেসব বেগুন পাওয়া যেত সেগুলোর আকৃতি অনেকটাই মুরগির ডিমের মতো ছিল। এ কারণেই বোধহয় ইংরেজিতে বেগুনের নাম এগপ্ল্যান্ট। খোসাসহ বেগুন অনেক সময় তেতো স্বাদের হয়। এর কারণ, এর বয়সকাল অর্থাৎ খুব বড় হয়ে যাওয়া। তাই তাজা, টাটকা এবং কচি বেগুন খাওয়া ভালো। এতে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দুটোই ঠিক থাকে। উল্লেখ্য, বেগুনের ত্বক পুষ্টি উপাদানের একটি ভালো উৎস। তাই বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে রান্না করা উচিত নয়। সুস্বাদু এই সবজিটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

বেগুনের উপকারিতাঃ
– বৃষ্টি-বাদলার এই মৌসুমে সর্দি, কাশি, কফ দূর করে বেগুন।
– বেগুনের ফোলেট রক্ত গঠনে এবং এর পটাশিয়াম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বেগুনের উদ্ভিজ্জ আমিষ শরীরের হাড় শক্ত করে।
– ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এডমা (Edma) প্রতিহত করে। প্রতিহত করে দেহের সাধারণ ব্যথা।
– বেগুনে নাসুনিন নামে একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়। মস্তিষ্কের রক্তে অঙ্েিজনের মাত্রা ও সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় ফলে কর্মোদ্দীপনা বাড়ে।
– কম ক্যালরি-সমৃদ্ধ বলে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা খাদ্য তালিকায় বেগুন যোগ করতে পারেন।
– বেগুনে রয়েছে উচ্চমাত্রার আঁশ। তাই এটি বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
– চার সপ্তাহ বা এরও কম সময়ে বেগুন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে।
– বেগুনের অ্যান্টি-ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য আছে, ফলে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায় এবং দেহকে নির্বিষকরণে সহায়ক। এটি ত্বকের ক্যান্সার রোধেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
– যেসব মহিলা নিয়মিত শাকসবজি, বিশেষত বেগুন খান তাদের ঋতুস্রাবের সমস্যা হয় তুলনামূলকভাবে কম।

বেগুনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

কাঁচা বেগুন খাওয়া উচিৎনয়, তাতে পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তা দের জন্য বেগুন ভীষণ ক্ষতিকর। এছাড়াও, যাঁরা আর্থ্রাইটিস বা সন্ধিপ্রদাহে ভুগছেন, বেগুন তাঁদের জন্য ক্ষতিকর। বেগুন অনেকের গলদেশ ফোলা, বমি ভাব, চুলকানি এবং চামড়ার ওপর ফুসকুড়ির সমস্যা তৈরি করে থাকে। তাই মায়েদের উচিত বেগুন খাওয়ানোর সময় বাচ্চাদের ওপর এর প্রভাব লক্ষ করা।

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home