গবেষণাতে পর্দার অন্তরালে যৌনতা পায়ুকাম
পঞ্চাশের দশক হতে আলফ্রেড কিংসে মানুষের যৌনাবরণের উপর যে গবেষণা শুরু করেছিলেন, তা আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত নানান নতুন নতুন তথ্য উন্মোচিত করছে। তা আমাদেরকে এমন সব তথ্যের মুখোমুখি করছে যার অনেকগুলো আমরা কখনো কল্পনাতেই আনিনা। হোমোসেক্সুয়ালিটি বা সমকামিতা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? সবারই একদম বদ্ধমূল বিশ্বাস সমকামিরা পায়ুকাম চর্চা করে থাকে আর এটিই তাদের একমাত্র যৌনতা।
যৌনসমীক্ষকদের চালানো গবেষণাতে দেখা গেছে, পায়ুকাম কিন্তু সমকামিদের মুখ্য বা একমাত্র যৌনতা নয়, যে যৌনতা তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হল মাস্টারবেশন পক্রিয়াতে পরস্পরকে উত্তেজিত করে তোলা।
এটিকে যৌন বিজ্ঞানের পরিভাষাতে ‘মিউচুয়াল মাস্টারবেশন’ বলা হয়। সমীক্ষণে আরেকটি লক্ষণীয় দিক হলো পায়ুকাম চর্চা কেবলমাত্র সমকামীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ দম্পতিদের অনেকেই এটির কমবেশি চর্চা করে থাকেন। অন্তত গবেষণাতে এটি দেখা গেছে। সমকামীদের যে পারস্পরিক স্বমেহন বা মিউচুয়াল মাস্টারবেশনে-এটিতো পুরুষ আর নারী সমকামী দু’জনার বেলাতে সমভাবেই চর্চা করতে দেখা যায়। নারী সমকামিদের বেলায়তো পায়ুকামের কোনো অবকাশ নেই, সুতরাং ওদের নিয়ে আমাদের ধারণাটি নিয়ে পুনর্বার বিবেচনা করা উচিত।
সাধারণদের মাঝে যারা এ পায়ুকাম চর্চা করে থাকেন তারা কারা? তাদের সংখ্যাই বা কেমন? আমেরিকার বহুল প্রচারিত নারী পত্রিকা বেডবুক ম্যাগাজিন পরিচালিত গবেষণাতে এক লক্ষ মহিলার সমীক্ষণ নেয়া হয়। এতে অংশ নেয়া মহিলাদের তেতাল্লিশ শতাংশ স্বীকার করেছে তারা দাম্পত্য যৌনতায় অন্তত একবার এটির চর্চা করেছেন। যারা এটির চর্চা করেছেন তাদের চল্লিশ শতাংশের অভিমত- এ পায়ুকাম যৌনতা বেশ উপভোগ্য, অন্তত ভিন্ন স্বাদের। পঞ্চাশ শতাংশের ভাষ্য-তারা এর মাঝে কোনো বিশেষ স্বাদ পাননি। দশ শতাংশের অভিমত তারা নিতান্ত অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র স্বামীদের পীড়াপিড়িতে এতে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন। এ সমীক্ষণ তথ্য আশা করি পাঠকদের পর্দার অন্তরালের কিছু তথ্য সম্পর্কে অবগত করে তুলবে।
Labels: সেক্স
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home