পুরুষের শ্যানক্রয়েড জনিত সমস্যা
শ্যানক্রয়েড সাধারণত পুরুষদের সংক্রামণ জনিত রোগ। এর ফলে যৌনাঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক ঘা হয়। যা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক এবং অসহনীয়। এটি ছোঁয়াচে রোগ নয় কিন্তু যৌন সংসর্গের মাধ্যমে শ্যানক্রয়েড একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।
শ্যানক্রয়েড রোগের কারণ ও লক্ষণঃ
শ্যানক্রয়েড সাধারণত একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। ‘হিমোফাইলাস ডুকরে’ নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের ফলে এই রোগটি হয়ে থাকে। এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি প্রভাব দেখা যায়। যার কারনের সাথে যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দেরদের সম্পর্ক রয়েছে।খৎনা করানো পুরুষদের চেয়ে খৎনা না করানো পুরুষদের শ্যানক্রয়েডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বেশি। শ্যানক্রয়েডের রোগীদের এইডস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।নিম্নে এর কিছু লক্ষণ উপস্থাপন করা হলঃ
১. ঘাটি আকারে আকার ৩ থেকে ৫০ মি.মি. (১/৮ ইঞ্চি থেকে দু’ ইঞ্চি) হয়।
২. ক্ষতের কিনারাগুলো তীক্ষ্ণ এবং নিচের দিকে দাবানো হয়।
৩. গোড়া ধূসর কিংবা হলুদাভ ধূসর পদার্থ দিয়ে আবৃত থাকে।
৪. ব্যথাপূর্ণ হয়।
৫. সংক্রমিত প্রায় অর্ধেক পুরুষের কেবল একটি একক ঘা থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে চারটি বা তার বেশি ঘা দেখা যায়, সেইসাথে অল্প কিছু উপসর্গ থাকে। ঘাগুলো নির্দিষ্ট জায়গাতে হয় যেমন পুরুষের খৎনা না করানো লিঙ্গমুণ্ডুর করোনাল সালকাসে কিংবা মহিলাদের যোনির ক্ষুদ্র ওষ্ঠে।
সংক্রামণ জনিত স্থানঃ
পুরুষ-
১. লিঙ্গের শরীর
২. লিঙ্গের মাথার পেছনের কাটা খাঁজ (করোনাল সালকাস)
৩. লিঙ্গের মাথার পেছনের কাটা খাঁজ (করোনাল সালকাস)
মহিলাদের-
১. মহিলাদের সাধারণত ল্যাবিয়া মেজোরাতে ঘাটি দেখা যায়।
২. পায়ু এলাকা
৩. উরুর ভেতরের দিক।
চিকিৎসা
সাধারণত একক মাত্রায় মুখে অ্যাজিথ্রোমাইসিন অথবা মাংসপেশি পথে একক মাত্রায় সেফট্রায়াক্সন অথবা সাত দিন মুখে ইরাথ্রোমাইসিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে এর মাধ্যমে যদি কোনো সমাধান না পাওয়া যায়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Labels: পুরুষের-স্বাস্থ্য
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home