পেয়াজের ঔষধি গুন
পেয়াজ আমোরা প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে খেয়ে থাকি। রান্নার ক্ষেত্রে মসলা হিসেবে পেয়াজের রয়েছে বিশেষ উপযোগিতা। রান্না করার সময় প্রায় সকল দেশের মানুষেরাই পেয়াজ ব্যবহার করে থাকে। মুখ রোচক রসনা পণ্য ছাড়াও পেয়াজের রয়েছে বিভিন্ন ঔষধী গুন। সবার কাছে সমাদৃত এই পণ্যটির একটি বিশেষ অসুবিধা রয়েছে।পেয়াজ কাটার সেই সমস্যাটি হচ্ছে, পেয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা-পোড়া করে ও চোখে পানি আসে। এছাড়াও পেঁয়াজের
রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুন নিম্নে টা উপস্থাপন করা হলো-
১. পেয়াজের রস চুলে দিলে তা উকুন নাশক হিসেবে কাজ করবে পাশাপাশি চুল পরা কমাতেও সাহায্য করবে।
২. দৈনিক পেয়াজ খেলে তা আপনার যৌন সমস্যাগুলো দূর করবে।
৩. লাল পেঁয়াজ মাসিক রোগ সংশোধন করতে সাহায্য করে। মসিক হওয়ার কিছু দিন আগে লাল পেয়াজ খান। এতে অনেক উপকার পাবেন।
৪. কারো নাক দিয়ে রক্ত পরলে কাচা পেয়াজ কেটে তার ঘ্রাণ নিতে দিন।
৫. প্রতিদিন একটা পেঁয়াজ আপনার ঘুমের অভাব দূর করবে।
৬. পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন।
৭. সাদা পেয়াজ piles থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ করবার জন্যেও সুপারিশ করা হয়।
৮. পেয়াজ হজম শক্তি বাড়ায়।
৯. শরীর থেকে অবাঞ্ছিত কলেস্টেরল সরিয়ে সাহায্য করে।
১০. দৈনিক একটি লাল পেঁয়াজ করোনারি হার্ট রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।
১১. পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
১২. জয়েন্ট পেইন দূর করে।
১৩. হলুদের সাথে পেয়াজের রস মিশ্রিত করে শরীরে কোন কাল দাগ থাকলে সেখানে ব্যবহার করুন।
১৪. দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
১৫. আপনার শিশুর কৃমি সমস্যা থাকলে এক চামচ পেঁয়াজের রস খেতে দিন।
১৬. পেয়াজ মেমরি ও স্নায়ুর উন্নতি ঘটায়।
১৭. কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
১৮. প্রতিদিন চিনি দিয়ে পেয়াজ খেলে তা শিশুদের উচ্চতা লাভ করতে সাহায্য করে।
১৯. ঠাণ্ডা লেগে মাথাব্যথা হলে ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দ্বিগুণ Mপানি মিশিয়ে একবার খেলে ব্যথা কমে যাবে।
২০. বমি বমি ভাব হলে পেয়াজের রস পানির সাথে খেলে তা দূর হয়ে যায়।
এছাড়াও পেয়াজ আমাদের শারীরিক ভাবে অনেক উপকার করে থাকে। তাই আমাদের শারীরিক উপকারের স্বার্থে নিয়মিত কোন না কোন ভাবে আমাদের পেয়াজ খাওয়া উচিৎ।
সূত্র:shorir
Labels: খাদ্য-ও-পুষ্টি
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home