Sunday, January 11, 2015

গাজরের পুষ্টি গুন


 গাজর সহজলভ্য ও কম দাম হলেও অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ। বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে একে মিষ্টি মুলো বলে। এটা কাঁচা, রান্না ও সালাদ করে খাওয়া চলে। তবে কাঁচা চিবিয়ে খেলে বা সালাদ করে সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়। রান্নার পর পুষ্টি কিছুটা নষ্ট হয়। গাজরকে প্রকৃতি ও স্রষ্টার অমূল্য সৃষ্টি এবং পুষ্টির ভাণ্ডার বলা যায়। গাজর দুই প্রকার- দেশী ও বিলেতি। দেশী গাজর দেখতে কিছুটা মেরুন রঙের। এই জাতের গাজর আজ বিলুপ্ত। এখন শুধু বিলেতি জাতের গাজর পাওয়া যায়। এই জাতের গাজর কিছুটা কমলারঙের। গাজর শাকেরও উপকার আছে। গাজর দিয়ে আচার, হালুয়া, পায়েস ইত্যাদি তৈরি হয়। আয়ুর্বেদীরা বলেন, গাজর যদি সঠিক পরিমাণে খাওয়া যায়, তাহলে দামি ফলমূল শাকসবজির চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।এছাড়াও গাজরের অনেক পুষ্টি গুন রয়েছে, নিম্নে তা উপস্থাপন করা হলোঃ
১. গাজর খুদা বাড়ায় এবং সহজেই হজম হয়।
২. গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি ও সি আছে।
৩. গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়।
৪. গাজর শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. গাজরে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি আছে।
৬. শরীরের পুষ্টি উৎপাদন ও বুদ্ধির বিকাশে গাজর উপকারী।
৭. গাজর খেলে শরীরের রঙ ফর্সা হয় এবং মুখের সৌন্দর্য বাড়ে।
৮. গাজরে ফসফরাস আছে। জারা ব্রেনটের কাজ করেন, তাদের জন্য বিষণ উপকারী।
৯. গাজর শরীরে জ্বালা পেট ফাঁপা দূর করে।
এছাড়াও, মায়ের দুধের পরিবর্তে কৌটার দুধ খায়, এমন শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেবে গাজরের খিচুড়ি। শিশু গাজরের খিচুড়ি না খেলে দিতে পারেন গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। কারণ, চিনি থাকে হালুয়ায়। চিনি মানে গ্লুকোজ, যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। তাই আমাদের নিয়মিত কোন না কোন ভাবে গাজর খাওয়া উচিৎ। এতে আমাদের শারীরিক ভাবে অনেক উপকারে আসবে।

  সূত্র:shorir

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home