Wednesday, January 8, 2014

শীতকালে ৭ ব্যায়াম


শীত বাড়ছেযাঁরা বাইরে নিয়মিত হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে যান, তাঁরা পড়ছেন বিপাকেকুয়াশা, শিশির, ঠান্ডা হাওয়া কাবু করতে পারে এই সময়তাই বলে কি ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি বন্ধ থাকবে? শীতকালে বাইরে ব্যায়ামের জন্য সাত পরামর্শ:


১. খুব ভোরে বা সন্ধ্যার পর যাঁদের হাঁটার অভ্যেস, তাঁরা সময়সূচি পরিবর্তন করে নিতে পারেনএই দুই সময় ঠান্ডা হাওয়ার প্রকোপ বেশিসকালে একটু দেরিতে বা বিকেলের নরম রোদে হাঁটুন


২. পরতে পরতে কয়েকটি পোশাক পরে নিনএতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমেযেমন ভেতরে একটা ফুলহাতা গেঞ্জি, তার ওপর একটা হালকা পুলওভার বা পাতলা সোয়েটার, এর ওপর একটা হালকা জ্যাকেট পরে নিনদুটি পোশাকের মধ্যবর্তী অংশে আটকে থাকা বাতাস তাপ ধরে রাখেশর্টস বা ট্রাকস্যুট বা পাজামার নিচে লম্বা মোজা পরে নেবেনপ্রয়োজনে মাথায় ক্যাপ, স্কার্ফ বা মাফলার জড়িয়ে নিন



৩. জগিং, হাত-পা ছোড়াছুড়ি বা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হালকা ব্যায়াম করে শরীরটাকে আগে প্রস্তুত করে নিন


৪. হাঁপানি রোগীরা হাঁটতে যাওয়ার আগে দুই চাপ ইনহেলার নিতে পারেন


৫. হালকা সর্দি-কাশিতে হাঁটতে নিষেধ নেইতবে জ্বর বা তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে বাইরে হাঁটতে না যাওয়াই ভালো



৬. ঠান্ডা লাগলে রোগজীবাণুর আক্রমণ বাড়েরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খানগরম দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, পনির ইত্যাদি ঠান্ডায় তাপ ও শক্তি জোগায়


৭. বাড়ির ভেতর বা উঠানেও ব্যায়াম সেরে ফেলতে পারেন

সূত্র: ফিজিওনিউজ 24

Labels:

চকলেট খেলে কমে ওজন, বাড়ে আয়ু




চকলেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর। নতুন সমীক্ষায় উঠে এসেছে যারা চকলেট খান তারা, যারা চকলেট খান না তাদের থেকে অনেক সহজে ওজন ঝরাতে পারেন।


ইয়গভ নামের একটি এজেন্সির করা সমীক্ষায় দেখা গেছে ৮৬% ক্ষেত্রে স্লিম চেহারার যারা চকলেটের স্বাদ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করেননি তারা সহজে ওজনও কমিয়েছেন। 

 ২১০০ জনের উপর করা সমীক্ষাতে দেখা গেছে ৯১% মানুষ যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করেছেন কিন্তু চকলেট খাওয়ার পরিমাণ একটুও কমাননি তাদের ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়ায় তারা সহজে এবং দ্রুত রোগা হয়েছেন। 

 এই সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা নিট্রিশিয়ন বিজ্ঞানী জ্যানেট অ্যালোট জানিয়েছেন এই সমীক্ষা প্রমাণ করেন ওজন কমানোর জন্য খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়াটা মোটেই বুদ্ধির কাজ না। নিজেদের চকলেটের স্বর্গীয় স্বাধ থেকে বঞ্চিত করে ওজন কমানোর চেষ্টায় মোটেও ফল পাওয়া যায় না।

 অন্যদিকে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে চকলেট খেলে বাড়ে আয়ুও। ৬৫ বছর ধরে ৮০০০ মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে মাসে যারা অন্তত তিনবার পরিমিত পরিমাণের চকলেট খান তাদের আয়ু, যারা চকলেট খান না তাদের তুলনায় প্রায় এক বছর বেশী হয়।

সূত্র: জিনিউস ডট ইন্ডিয়া 

Labels:

কোল্ডড্রিঙ্ক বাড়িয়ে দেয় কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা




আপনি কি অতিরিক্ত কোল্ডড্রিঙ্ক প্রেমী?





 গরমের হাত থেকে বাঁচতে অথবা নেহাতই শখে কোল্ডড্রিংক আপনার রোজকার ডায়েটের অবিচ্ছেদ্দ্য অঙ্গ কোল্ডড্রিংক? তাহলে এবার একটু সাবধান হন। সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ্যে এসেছে কোল্ডড্রিংক (যে কোনও সফট ড্রিঙ্ক) আপনার কিডনির পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনিও কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।

জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাঁদের সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন দিনে দু`বোতল কোল্ডড্রিঙ্ক প্রোটিনিউরিয়ার (মূত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোটিনের নির্গমন) কারণ হয়। প্রোটিনিউরিয়া কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার নির্দেশক।

ওহেই ইয়ামোতোর নেতৃত্বাধীন একটি গবেষক দল তিন ধাপে স্বাভাবিক কিডনি ক্ষমতাযুক্ত ৩৫৭৯জনকে, ৩০৫৫ জনকে ও ১৩৪২ জনকে পর্যায়ক্রমে দিনে শূন্য, এক, একাধিকবার কোল্ডড্রিঙ্ক খাইয়ে দেখেছেন প্রথম ক্ষেত্রে ৮.৪%, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৮.৯% ও তৃতীয় ক্ষেত্রে ১০.৭% প্রোটিনিউরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ব্যাপী এই পরীক্ষাটি চলেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন কোল্ডড্রিংকে মিষ্টি স্বাদ তৈরি করার জন্য যে পরিমাণ ফ্রুকটোস সিরাপ ব্যবহার করা হয় তা কিডনি বিকল করতে যথেষ্ট। কিডনির কোষ গুলি অতিরিক্ত নুন পুনঃশোষণ করে। এছাড়া এর ফলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, হাইপার টেনশনও ব্যপক হারে বৃদ্ধি পায়।

সূত্র: জিনিউস ডট ইন্ডিয়া 

Labels:

সুস্থ থাকুন তিন কাপ চায়ে




সুদূর চিন থেকে ইংরাজরা যখন এদেশে চা নামক পাতার পানীয় সুখ নিয়ে এল তখন তারাও বোধহয় জানত না বঙ্গ জীবনে কী অপার সুখের সন্ধান দিল তারা। এতদিন চায়ের মনভোলানো স্বাদে যদি আপনি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন এবার তাহলে তার গুণ গুলোর সঙ্গেও পরিচিত হয়ে নিন।



 সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে দিনে মাত্র তিন কাপ চা ম্যাজিকের মত বহু গুণ কমিয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের সম্ভাবনা। শুধু তাই নয়, দাঁত ক্ষয় রোধ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও চায়ের জুড়ি মেলা ভার। 

 লাল চায়ের (দুধ, চিনি ছাড়া) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্ষমতা সুস্থ রাখে হার্ট। এমনকী চিনির মিশেও চা তার গুণাবলী মোটেও হারিয়ে ফেলে না। মাড়ি ও দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকর দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সেই চা। দিন রাত মোটা হওয়ার আতঙ্ক যাদের তারা করত তাদের জন্যও সুখবর। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও এই গরম পানীয়ের জুরি মেলা ভার। চায়ের মধ্যে ফ্লাভনয়েড নামের যে উপাদান ফ্যাট বার্নিংয়ে সাহায্য করে। এমনকি কমিয়ে দেয় শরীরের ফ্যাট শোষণের ক্ষমতাও।


সূত্র: জিনিউস ডট ইন্ডিয়া 



Labels:

শসা খান সুস্থ থাকুন



সারা বিশ্বে আবাদ হওয়ার দিক থেকে নম্বরে রয়েছে যে সবজিটি, সেটি হলো শসা। শসার রয়েছে হরেক গুণ। রূপচর্চা মেদ নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির।সুতরাং শসা খান সুস্থ থাকুন

শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা আসুনএকবার নজর বোলাই:



শসা দেহের পানিশূন্যতা দূর করে

ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে পানি নেই, কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণ, শসার ৯০ শতাংশই পানি

শসা দেহের ভেতর বাইরের তাপ শোষক করে

কখনো কখনো আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন।এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন

শসা আমাদের দেহের বিষাক্ততা দূর করে

শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়

শসা আমাদের প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে

প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন , বি সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে

শসা ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী

শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়
শসা হজম ওজনহ্রাসে সহায়ক
শসায় উচ্চমাত্রায় পানি নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যাঁরা দেহের ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা স্যুপ সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়
চোখের জ্যোতি বাড়ায়
সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন।এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে

ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে

শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল পিনোরেসিনোল তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। জরায়ু, স্তন মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলস্টেরল কমায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

মুখ পরিষ্কার রাখে
দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণে আক্রান্ত মাড়ির চিকিসায় শসা দারুণ কাজ করে। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধা মিনিট রাখুন। শসার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস

চুল নখ সতেজ করে
শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল নখকে সতেজ শক্তিশালী করে তোলে। ছাড়া শসার সালফার সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে

গেঁটেবাত থেকে মুক্তি
শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতি
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর সমস্যা থাকবে না


কিডনি সুস্থ রাখে
শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ সতেজ

Labels: