Saturday, January 11, 2014

হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায় কী?

নিয়মিত হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ভালোতবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারেএটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবেযাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনে প্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করণীয় হতে পারে-
১. প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্তমৈথুন বা স্বমেহন কোন পাপ বা অপরাধ নয়এটা প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াএটা করে ফেলে কোন প্রকার অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধে ভুগবেন নাএমন হলে ব্যাপারটা সব সময় মাথার মধ্যে ঘুরবে এবং এ থেকে মুক্তি পেতে আবার এটা করে শরীর অবশ করে ফেলতে ইচ্ছে হবে
মনে রাখবেন আপনি মানুষআর মানুষ মাত্রই ভুল করেএটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন নানিজেকে শাস্তি দেবেন নাবরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন

২. যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন
যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুনপুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুনহার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিনইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন
কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন
কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুনবাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যানযেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেনযতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুনগোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানাসব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুনআগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন তারপর একের পর এক কাজ করে যানহস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না
যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করেএকা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানএকা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুনবন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান


৩. বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগানজীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুনসব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবেএই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবেনতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেন
সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুনলেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেন
নিয়মিত খেলাধূলা করুনব্যায়াম করুনএতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবে নিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেনবিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুন
স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খাবেনফলমূল-শাকসবজি বেশি খাবেন
নতুন কোন শখ বা হবি নিয়ে মেতে উঠুনবাগান করতে পারেন, নিজের রান্না নিজে করতে পারেন, আরো কত কিছু আছে করারআপনি যা করতে বেশি পছন্দ করেন, সেটাই করবেনকিছুদিন পর আবার আরো নতুন কিছু করতে বা জানতে চেষ্টা করুন
অফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুনদেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন

৪. ধৈর্য ধরতে হবেএকদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবেতখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন নাভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে
ভালো কাজ করলে নিজেকে নিজে নিজে পুরস্কৃত করবেনভালো কোন জায়গাত ঘুরতে যাবেনভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবেননিজেকে ছোট ছোট গিফট কিনে দেবেন এবং সেগুলো চোখের সামনে রাখবেন এবং মনে করবেন যে অমুক ভালো কাজের জন্য এই জিনিসটা পেয়েছিলেন


৫. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন নারাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুনবা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমানযখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়এখানে লজ্জার কিছু নাই
###########

কিছু টিপস:
১. ঘুমে সমস্যা হলে তখন সুগার ফ্রি মিন্টস্‌ বা ক্যাণ্ডি চিবাতে পারেন হালকা কিছু খেলেও তখন উপকার হয়তবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন
২. কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিনআজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যানঅথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিননিজে মনে রাখবেন না
৩. কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেনএতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে
৪. হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে নানিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেনঘনঘন নয়
৫. যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন
৬. যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন
৭. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন নাকিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন
৮. ভিডিও গেম খেলতে পারেনএটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে
৯. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেনজগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেনছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেনলাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন
১০. সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেনএধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না
১১. ছোট ছোট টার্গেট সেট করুনধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন নাদুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন
১২. যখন তখন বিছানায় যাবেন নাকোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন
১৩. বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন
১৪. যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন
১৫. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন নাতাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেননিজের মা বা বোন মনে করবেন
১৬. হাতের কব্জিতে একটা রাবারের ব্যান্ড লাগিয়ে নেবেনসেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন, পা দোলাতে পারেন- এতে কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে
১৭. যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
১৮. যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন
১৯. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান
২০. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেনযোগ ব্যায়াম করতে পারেন
২১. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন
২২. বাড়িতে বা রুমে কখনো একা থাকবেন না
২৩. কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন
২৪. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না
২৫. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না
২৬. গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না
২৭. ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন

Labels:

বিবাহিত জীবনে আপনি কি তৃপ্ত? সুখী? নাহলে কি করবেন !



অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন অরগাস্ম (orgasm) শব্দটির নাম।

অরগাস্ম এক এমন মানসিক অবস্থার নাম যখন কোন নারী বা পুরুষ অনুভব করেন, হ্যা, সত্যিই তিনি মিলনে পরিতৃপ্ত। মিলন বেলায় তারা সুখের সাগরে ভেসেছেন।

পুরুষেরা এই অরগাস্ম সুখ লাভ করেন তাঁদের পুরুষাঙ্গের উত্তেজনার মাধ্যমে। আর নারীরা তাঁদের ভগ্নাঙ্কুরের মাধ্যমে।

সাধারনত এই অরগাস্ম বা পূর্ণ রতি পরিতৃপ্তি স্বাভাবিক ভাবেই ঘটে থাকে। অরগাস্ম এক অতি বা চরম সুখ অনুভুতি।

পুরুষদের মধ্যে যারা এই চরম রতি সুখ অনুভব করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক পথ। এই চরম সুখ লাভের জন্য চাই এক আনুপাতিক উদ্বেগ মুক্তি আর উত্তেজনার সঠিক মিশ্রন। এর মানে আপনাকে রপ্ত করতে হবে কি করে উত্তেজনা আর উদ্বেগ মুক্তিকে ব্যাল্যান্স করতে হয় সেই বিদ্যা বা আর্ট।

নারীদের ক্ষেত্রে যারা এই চরমসুখকে উপভোগ করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক পন্থা। একইভাবে পুরুষদের মতো নারীদেরও জানতে হবে কিভাবে উত্তেজনা আর উদ্বেগ মুক্তির সমন্বয় করতে হয়। খুব কঠিন শোনাচ্ছে? মোটেও না। হয়তো যাদের কাছে এই বিষয়টি কঠিন মনে হচ্ছে সেক্ষেত্রে একটাই কারন, আপনি হয় এই সুখ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত অথবা দৈহিক মিলনে কোন মহাসুখ থাকতে পারে আপনি চিন্তাও করতে পারেন না।

কয়েকটি অতি সহজ স্টেপের (ধাপ) মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন সেই মহা-সুখানুভুতি। সেই চরম সুখানুভুতিতে আপনার সম্পূর্ণ দেহ মোচড় খেতে থাকবে আর সেই অনুভুতিতে আপনি অভিভুত ফিল করবেন।

নারীদের ক্ষেত্রে প্রথম যা করনীয় তা হল, নিজেকে চরম ভাবে উত্তেজিত (রাগ নয় প্রেম-উত্তেজনা) করা। আপনার মাংশ পেশীকে উত্তেজিত করা। আর সেই প্রথম স্টেপ আপনাকে ধীরে ধীরে চরম সুখনুভুতির দিকে টেনে নিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, আপনার কোমরের নিম্নাংশের পেশী-সংকোচন দিতে পারে আপনাকে সেই অতি-সুখনুভুতি পাওয়ার চাবি।

আপনার কোমরের নিচ অংশের মাংশপেশির সঙ্কচনের ফলে পুরো দেহে এবং যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে  যায়, আর তার ফলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনার; যা আপনাকে পেতে সাহায্য করে চরম সুখ যার নাম অরগাস্ম।

যখন আপনি চরম ভাবে উত্তেজিত, তখন প্রয়োজন শান্ত হওয়া। আপনি চরম যৌন উত্তেজনায় কেমন অনুভব করছেন সেই দিকে একটু খেয়াল করুন অর্থাৎ, চোখ বন্ধ করে নিজেকে প্রশ্ন করুন “আমি কেমন ফিল করছি” আর সেই দিকে গভীর মনোযোগ দিন।

বেশিরভাগ নারী, রতিক্রিয়া চলাকালীন সময়ে কোন না কোন চিন্তায় মগ্ন থাকেন। আর যদি রতিক্রিয়াটি হয় চরম সুখের, তবে, তখন সেই নারী হারিয়ে যান সুখের এক ফ্যান্টাসি বা কল্প জগতে। বাঁধা নেই, আপনিও আপনার সঙ্গীর সাথে হারিয়ে যান অন্য এক কল্প জগতে আর উপভোগ করুন চরম সুখানুভুতি বা অরগাস্ম। সামান্যতম দ্বিধা করবেন না। কারন, দ্বিধা আপনাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে সেই কল্পলোক বা ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড থেকে। হ্যা, যে কল্পলোক বা ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে আমরা বলছি, সে জগতে ঢোকা প্রাথমিক দিকে একটু কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু, একটু প্র্যাকটিস খুব চমৎকার ফলাফল এনে দিতে পারে।

যদিও রতিক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান মানুষের সহজাত, তবুও ক্ষেত্র বিশেষে চর্চার বা শিক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে এমন অনেক নারী আছেন যারা রতি-ত্রিপ্তি কখনোই উপভোগ করেননি। যেহেতু, বিবাহে যৌন সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, তাই এমন অনেক নারী আছেন যারা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীর সাথে একারনে মিলিত হন যে, এটা তার অধিকার। এখানে সুখ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। 

একটা কথা মনে রাখতে হবে, আপনি আপনার সঙ্গীকে পছন্দ করেন না, কিন্তু, সেই চরম সুখ উপলব্ধি করতে চান, সেক্ষেত্রে সেটা এক্কেবারে অসম্ভব না হলেও, প্রায় অসম্ভব। সুখ উপভোগ করার এক প্রস্তুতি বা readiness খুবই জরুরী।

মনে রাখতে হবে, কোন নারীর ঘুম পাচ্ছে আর তার স্বামী তাঁকে সেই মুহূর্তে চাইছেন, এমন ক্ষেত্রে নারীর সুখ লাভ করার চান্স প্রায় ০%। হ্যা, এক ধরনের সুখ তিনি হয়তো পাবেন, “আমি  আমার স্বামীর অনুরোধ রক্ষা করেছি” একই হতে পারে পুরুষের ক্ষেত্রেও। তিনিও ভাবতে পারেন “ আমি আমার স্ত্রীর অনুরোধ রক্ষা করেছি”

একটা বিষয় অত্যন্ত মনোযোগের সাথে খেয়াল করতে হবে, একজন নারীর চরম উত্তজনায় পৌছাতে বা সম্পূর্ণ জাগ্রত হতে ৪০-৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অবশ্য তা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিন্তু, যে নারীর সম্পূর্ণ জাগ্রত হতে বিলম্ব হয়, তাঁকে অতি অল্প সময়ে বা প্রয়োজনীয় সময়ের পূর্বেই রতিক্রিয়ায় আহ্বান জানালে, তৃপ্তির প্রশ্নই উঠেনা, পূর্ণ সুখ বা চরম সুখানুভুতি বা অরগাস্ম তো দুরের কথা !

মনে রাখতে হবে, আপনি প্রস্তুত এর মানে এই নয় যে আপনি ঝাপিয়ে পড়বেন যুদ্ধে। বরং, আপনার দৈহিক ক্ষুধা চরমে, অথচ, আপনি উপভোগ করছেন অতি ধৈর্যের সাথে, আপনি প্রায় নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনি বুঝে যাবেন অরগাসমের মর্ম।

ও হ্যা, আজ আপনি প্রথম বারের মতো সত্যিকার উত্তেজিত, কিন্তু এই মুহূর্তে একটা বিশেষ দিক আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আর তা হল নিশ্বাস বা প্রশ্বাস। আপনার ব্রিদিং এর উপর নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিন। মুচকি হাসি এ ব্যপারে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। জী হ্যা, আপনার সঙ্গীর দিকে তাকিয়ে একটু পরিতৃপ্তির বা সৌজন্যতার হাসি দিয়ে দেখুন; চমৎকার ফলাফল পাবেন।

ও হ্যা, সময় একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। তাড়াহুড়া যেন আপনাদের দুজনকে পেয়ে না বসে। স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে অভিব্যাক্তি বা এক্সপ্রেশন। জী, আপনি আপনার পার্টনারকে কানে কানে জানান আপনার কেমন বোধ হচ্ছে, এটা আপনার সুখের পরিমাণকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দিতে পারে ক্ষেত্র বিশেষে। হ্যা, তবে কিছু না বলতে ইচ্ছে করলে অর্থাৎ, ভাষা দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে মন না চাইলে শুধু সাউন্ড করে আপনি আপনার সুখ অনুভুতি জানিয়ে দিন আপনার সঙ্গীকে। কিন্তু, কোন ধরাবাঁধা নিয়ম মানবেন না। যা আপনার আসল অনুভুতি তাই এক্সপ্রেস করুন যে কোন ভাষায়।

মনে রাখবেন, এমন হতে পারে আপনারা নিজেরা নিজের অজান্তেই এমন টেকনিক আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন যা পরবর্তীতে প্রয়োগ করলে বুঝবেন, হ্যা, সত্যিই এক মহা আবিষ্কারক আপনি আর আপনার সঙ্গী।

এমনও দেখা গেছে, বিবাহিত দম্পতি বহু বছর সংসার করছেন, কিন্তু একজন আরেকজনের প্রতি তেমন কোন টান বোধ করেন না, কারন তারা কোন সুখই পান না। কিন্তু একটু ক্রিয়েটিভলি বিষয়টাকে নিয়ে চর্চা করে দেরিতে হলেও এখন তারা শুধুই দুজনে দুজনার এমন নজীর লক্ষ লক্ষ না থাকলেও অনেক আছে এতে কোন সন্দেহ নেই।

সুত্রঃ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এক্সপার্টের গবেষণা থেকে সংগৃহীত

Labels:

শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যাচার




যুগ যুগ ধরে সার্ভে রিপোর্টে দেখা গেছে, একজন পুরুষ প্রায় অকপটেই স্বীকার করেছেন পুরো জীবনে তার কয়জন নারী সঙ্গী ছিল এবং তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ছিল একথাও তারা স্বীকার করেছেন। কিন্তু, বেশীরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

জার্নাল অফ সেক্স রিসার্চ কিন্তু বলছে, যদি নারী পুরুষ উভয়কেই “লাই ডিটেক্টারের” মুখোমুখি করা হয়, কেউ কারো থেকে কম যান না; অন্তত গড়ে তো কোনভাবেই না।

গবেষনায় পাওয়া যায়, মিথ্যে বলে পার পেয়ে যাবেন এই আশায় মেয়েরা মিথ্যে বলেন। অনৈতিকতা বা লজ্জা দুটো কারণই থাকতে পারে এই মিথ্যে বলে পার পাওয়ার পেছনে। বেশীরভাগ নারীরাই জানেন, যদি তার ইচ্ছা প্রকাশ পায়, সেজন্য তাকে সামাজিক ভাবে হেয় করে দেখা হতে পারে। কিন্তু, পুরুষের ক্ষেত্রে বেশীরভাগই হয় ভিন্ন। কারন, একজন পুরুষের বহু নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক আছে, এটা তার পুরুষ শক্তির বহিঃপ্রকাশ।

অন্যান্য ক্ষেত্রে মানসিক আচরনের যথেষ্ঠ পরিবর্তন হলেও, এক্ষেত্রে হয়েছে খুব কমই। এক নতুন পরিসংখ্যান যার নাম, “বাস্টেড ৬ জেন্ডার মিথ ইন দ্যা বেডরুম এন্ড বিয়ন্ড”
প্রায় ৩০০ কলেজ ছাত্র এই গবেষনায় যোগ দেয়। পরিসংখ্যানে প্রশ্ন গুলো ছিল এমন যে, কত ঘন ঘন তারা ১২৪ রকমের বিভিন্ন আচরন প্রদর্শন করে। আচরন গুলোর মধ্যে রয়েছে, কোন কোন আচরনকে পুরুষালী আচরন বলে বিবেচনা করা হয়। নোংরা কাপড় বা নোংরা (ডারটি) কৌতুক বলতে কে বেশী পছন্দ করে। মেয়েলী আচরনের মধ্যে রয়েছে কবিতা লিখার অভ্যাস আর নিজের শরীরের ওজন কম করে বলা ইত্যাদি। প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার পর, ওদের একটি পলিগ্রাফ (লাই ডিটেক্টার) মেশিনের সামনা সামনি করা হয়। কিন্তু, ঐ পলিগ্রাফ মেশিনটি আসলে কাজ করছিলোনা। যে প্রশ্ন গুলোর সাথে যৌনতার কোন সম্পর্ক ছিলোনা, তার উত্তর দিতে কেউ সামান্য দ্বিধা করেন নি। বিশেষ করে মেয়েদের যখন প্রশ্ন করা হয়, পুরুষালী একটিভিটি যেমন, ভারোত্তোলন ইত্যাদি কেউ কখনো করেছে কিনা, সহজেই হ্যা বা না উত্তর দিয়েছে মেয়ে অংশগ্রহণকারী। কিন্তু, যখনই এসেছে শারীরিক সম্পর্কের প্রশ্ন, একটু দীর্ঘ সময় বা ইতস্থতা করেছে মেয়েরা।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, যখন পলিগ্রাফ মেশিনের সাথে ওদের যুক্ত করা হল, ছেলেরা বরং কম হিসেব দিয়েছে ওদের নারী সঙ্গীর ব্যাপারে, যেখানে, মেয়েরা বলেছে বেশী।
একটা জিনিষ খুব লক্ষণীয়, যৌনতা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সকলেই একটা জিনিসের প্রতি খেয়াল রাখেন, সে নারী বা পুরুষ এ ধারণা যেন বদলে না যায় তার উত্তরের কারনে। অর্থাৎ, কারো নারীত্ব বা পুরুষত্ব যেন হুমকির মুখে না পড়ে তার প্রশ্নোত্তরের কারনে।

পুরো গবেষণাটি সেক্স রোলস নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়।

Labels:

ফুলকপির অনেক গুণ

বাজারে উঠছে শীতের সবজি। এর মধ্যে  ফুলকপি ছোট-বড় সবারই প্রিয়। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও আছে অ্যান্টি-ক্যানসার বা ক্যানসার নিরোধক উপাদান।

মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যুক্তরাষ্ট্রের রসওয়েল পার্ক ক্যানসার ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত তিনবার ফুলকপি খেতে হবে।


মলাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক কমেসপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি এবং এ জাতীয় সবজি খেলে।
ফুলকপিতে আছে সালফোফেন নামের যৌগ, যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে।
গরুর দুধের চেয়েও প্রায় পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম।
রয়েছে ফুলকপিতে। ২০০ গুণ বেশি আয়রন।


ফুলকপি বেশি সেদ্ধ বা রান্না করলে এর সালফার যৌগ নষ্ট হয়ে যায় এবং এসব গুণাগুণ অনেকটাই বিনষ্ট হয়। সম্পূর্ণ গুণাগুণ পেতে ফুলকপিকে সামান্য ভাপ দিয়ে বা স্টিম করে খেতে হবে।

সূত্র: নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যানসার।

Labels:

সমস্যাটি একান্তই কিশোরীর



বয়ঃসন্ধিতে একজন কিশোরীর শরীর ও মনে ঘটে যায় নানা পরিবর্তন। এর মধ্যে অন্যতম হলো মেনার্ক বা মাসিকের সূত্রপাত। এ সময় এই বয়সে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কিশোরী মাসিকের সময় তলপেটে অসহ্য ব্যথার অভিযোগ করে থাকে। কেউ কেউ স্কুল বা কাজকর্ম ছেড়ে প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাসিক শুরুর প্রথম এক-দুই বছরে এ সমস্যা সবচেয়ে প্রকট থাকে।

মাসিকের সময় জরায়ুর পেশির অস্বাভাবিক সংকোচন এই ব্যথার জন্য দায়ী।

ব্যথা ও আনুষঙ্গিক উপসর্গ
কিশোরীরা মাসিক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে তলপেটে ব্যথা, যা কোমর ও ঊরুর ওপর অংশে ছড়ায়, সঙ্গে বমি ভাব, অরুচি, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়। কারও এক-দুই দিনের ডায়রিয়াও হতে পারে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ, যেমন আসন্ন পরীক্ষা, ভ্রমণ ইত্যাদি এই উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়।

দুশ্চিন্তার কিছু নেই
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক কমে যেতে থাকে এবং বেশির ভাগ উপসর্গ কমে আসে। এ ছাড়া সন্তান প্রসবের পর জরায়ুমুখ প্রসারিত হলেও ব্যথা চলে যায়। এ সমস্যার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার তেমন কোনো প্রয়োজন নেই। চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা। পুষ্টিকর খাবার ও প্রচুর তরল খাবার দিন এ সময়। স্বাভাবিক কাজকর্মে উৎসাহ দিন। তবে ব্যথা প্রচণ্ড ও দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

**************************
ডা. উম্মে রুমান |
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বারডেম হাসপতাল।
দৈনিক প্রথম আলো 

Labels:

পেটের চর্বি কমাতে আলাদা ব্যায়াম?


খাবার নিয়ন্ত্রণ করছেন, নিয়মিত হাঁটাহাঁটিও করছেন, ওজনও একটু একটু করে কমছে, কিন্তু পেটটা তো কিছুতেই কমছে না। অনেকেই এ অভিযোগ করে থাকেন। পেটের চর্বি বা মেদ দেহের অন্যান্য মেদের চেয়ে আলাদা এবং বেশি ক্ষতিকর।

শরীরের অন্য অংশের মেদ সাধারণত ত্বকের নিচে জমে থাকে। কিন্তু পেটের মেদ ত্বকের নিচে ও পাশাপাশি যকৃৎ, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের গায়ে লেগে থাকে। তাই পেটের চর্বির সঙ্গে হূদেরাগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।

অনেকেই পেটের চর্বি কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করে থাকেন। কারও ধারণা, পেটের চর্বি সাধারণ ব্যায়ামে কমে না। এর জন্য আলাদা ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু আলাদা ব্যায়ামে পেটের পেশির আকৃতি সুন্দর হলেও চর্বি কমাতে খুব একটা কাজে আসে না।   পেটের চর্বি কমাতে দেহের সার্বিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম এবং সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই যথেষ্ট।

সপ্তাহে চার দিন আধঘণ্টা অ্যারোবিক ব্যায়াম দেহের অন্যান্য মেদের সঙ্গে পেটের মেদকেও কমিয়ে আনবে। জগিং, ট্রেডমিল, সাইকেল চালানো ইত্যাদি হলো এ ধরনের ব্যায়াম। কেউ দ্রুত পেটের চর্বি ভাঙতে চাইলে আরেকটু বেশি ব্যায়ামের দরকার হতে পারে। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাঁটার পর দেহে সঞ্চিত চর্বি ভাঙতে শুরু করে এবং পেশি তা ব্যবহার করে। এই সময়ের পর আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট জগিং করলে বা জোরে হাঁটলে প্রতিদিন একটু একটু করে জমানো চর্বি কমতে থাকবে।

এর সঙ্গে চর্বি ও তেলযুক্ত খাদ্য পরিহার করে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় খাদ্য ও শাকসবজি গ্রহণ করতে হবে। পরিমিত আহার করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্রাম আঁশ খেতে হবে। মেদ কমানোর সাধারণ এসব উপায়ে দেহের অন্য অংশের মেদের সঙ্গে পেটের চর্বিও কমবে। এর জন্য আলাদা ব্যায়ামের দরকার হবে না। 

সূত্র: ওয়েবমেড।

Labels:

দাঁত শিরশির করে?



দাঁত শিরশির করা একটি বিরক্তিকর ও কষ্টকর সমস্যা। খাবার, বিশেষ করে ঠান্ডা বা গরম তরল কিছু পান করতে গিয়ে বা দাঁত ব্রাশ করা, এমনকি শ্বাস নিতে গেলে অনেক সময় দাঁত শিরশির করে ওঠে। টক বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে গেলেও একই অনুভূতি হতে পারে। কিন্তু কেন করে এই দাঁত শিরশির

এ অবস্থা কখন সৃষ্টি হয়?দাঁতে এনামেল ক্ষয় হয়ে গেলে
দাঁতে গর্তের সৃষ্টি হলে
অনেক দিনের পুরোনো ফিলিং থাকলে
মাড়ি ক্ষয় হয়ে দাঁতের রুট বা গোড়া বের হয়ে গেলে


**************************
ডা. মোখলেছুর রহমান|
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল।
দৈনিক প্রথম আলো 

Labels: