Sunday, January 11, 2015

চোখের-নিচের-কালো-দাগ



আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করি আমাদের চোখের নিচে কালো দাগ পরেছে।তবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দ্রুত এর সমাধান পাওয়া সম্ভব।

বিশেষজ্ঞগণ চোখের নিচের কালো দাগের কিছু কারণ খুজের বের করেছেন। যেমনঃ-
১.জন্মগত।
২.নিদ্রাহীনতা।
৩.অ্যালার্জি।
৪.রক্তস্বল্পতা।
৫.গর্ভাবস্থা বা ঋতুচক্রের সময়।
৬.বয়সের প্রভাব ইত্যাদি সমস্যার কারনে চোখের নিচে কালো দাগের দেখা দিতে পারে।

যেহেতু বিশেষজ্ঞগণ সমস্যা গুলো খুঁজে বের করেছেন, তেমনি এর সমাধানও দিয়েছেন।

১.নিয়মিত সঠিক পরিমাণে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
২. নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে রাতে ঘুমানোর আগে একটু বেশি পানি পান করে ঘুমাতে হবে।
৩.  দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। ধূমপান ও অন্যান্য নেশা জাতীয়  দ্রব্য  থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. পাতলা করে কাটা শসা চোখে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ রাখুন।
৫. ব্যবহূত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখে রাখুন।
৬.  আলু ও শসা সমপরিমাণে মিশিয়ে চোখের চারপাশে ক্রিম হিসেবে লাগাতে পারেন।


এইসব পরামর্শ গুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে আপনি চোখের কালো দাগ থেকে মুক্তি পাবেন।যদি এই পরামর্শ অনুযায়ী কোন পরিবর্তন না হয়। তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Labels: ,

সঠিক ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ


আমরা সাধারনত সবাই ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করি। ফেইস ওয়াশ ব্যবহার আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এর অস্বাভাবিক ব্যাবহারের ফলে আমাদের ত্বকের ভীষণ ক্ষতি হতে পারে। তাই এর জন্য আমাদের এর সঠিক ব্যাবহার জানা দরকার।
 
১. সকাল ও সন্ধ্যা, দিনে দুবার ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করুন। এর বেশী ব্যবহার করবেন না, কেননা অতি ব্যবহার আপনার ত্বককে শুষ্ক করে তুলবে।
২. ফেইস ওয়াশ বেশী সময় মুখে রাখলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পরবে, তাই এক মিনিটের বেশী সময় ফেইস ওয়াশ মুখে রাখবেন না।
৩. মুখে ফেইস ওয়াশ ম্যাসেজ ও ধোয়া, পুরো প্রকৃয়া দেড় মিনিটে শেষ করবেন।

ত্বকের উপযোগী সঠিক ফেইস ওয়াশঃ
– আপনার যদি মুখে ব্রণ থেকে থাকে তবে স্যালিসাইলিক এসিড যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করুন। এটি তেল জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
– ব্রণ যুক্ত মুখে কখনোই স্ক্র্যাবার যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করবেন না। স্ক্রাবারে থাকা বিডস ব্রণের মাথা ভেঙ্গে ব্রণের জীবানু চারিদিকে ছড়িয়ে পরতে সহায়তা করে।
– শুষ্ক ত্বকে ফেইস ওয়াশের বদলে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করুন। সপ্তাহে একদিন চাইলে কোন ক্রীম বেইসড স্ক্রাবার যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্র্যাবার আপনার মুখের মৃত কোষ ঝরে যেতে সহায়তা করবে। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার করবেন না কারণ তা আপনার শুষ্ক ত্বকে সহজেই আচর ফেলতে পারে।
– বলিরেখাযুক্ত ত্বকে alpha hydroxyl acid (AHA) যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে টানটান করে বলিরেখা কে কম দৃশ্যগ্রাহ্য করে তোলে।
– যারা ত্বকের বুড়োটে ভাব কমাতে চান, সপ্তাহে একবার গ্রীন টি স্প্যাশ ব্যবহার করুন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে কাপে ঢেলে নিন। এরমধ্যে দুটি গ্রীন টি এর ব্যাগ ছেড়ে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

ফেইস ওয়াশ ব্যবহারের নিয়মঃ

– হাতের চেটোয় অল্প ফেইস ওয়াশ নিয়ে, দুই হাতের তালু দিয়ে ঘষে মাখিয়ে নিন।
– এরপর হাতের তালু মুখে আলতো করে বুলিয়ে ফেইস ওয়াশ মুখে লাগিয়ে নিন।
– এবার আঙ্গুল দিয়ে চক্রাকারে আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করুন।
– কপাল থেকে শুরু করে একে একে গাল, নাক, চিবুক ম্যাসেজ করুন।
– কপাল ও নাকে ম্যাসেজ করতে বেশী সময় নিন, কেননা এখানেই তেলের পরিমাণ বেশী।
– বেশ অনেকবার পানির ঝাপ্টা দিয়ে ফেইস ওয়াশ ধুয়ে ফেলুন, যাতে এর কোন অংশই মুখে লেগে না থাকে।সম্ভব হলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।

সঠিক ফেইস ওয়াশ ব্যবহার ফলে আপনি এর সঠিক উপকারটি পাবেন। এছাড়াও আপনার ত্বকের জন্য কোন ফেইস ওয়াশটি উপজুগি তা আপনি একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।

Labels: ,

জরায়ুর টিউমার ও চিকিৎসা



নারীদের হাজার সমস্যার মধ্যে তলপেটে ব্যাথা একটি। প্রতি মাসের বিশেষ দিনগুলিতে প্রায় লাগামছাড়া হয়ে যায়। এর সঙ্গে রয়েছে অতিরিক্ত ব্লিডিং, যা থেকে রক্তশূন্যতাও হতে পারে। তবে এর থেকে যে দুটো সম্ভাবনার কথা মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে তা হলো বন্ধ্যাত্ব এবং ক্যানসার। তবে জরায়ুতে হওয়া ফাইব্রয়েডের থেকে ক্যানসার প্রায় হয়ই না। বিশেষ কিছু অবস্থা ছাড়া ভবিষ্যতে প্রেগনেন্সিতেও কোন সমস্যা হয় না।

মহিলাদের প্রজননক্ষম বয়সে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি যে টিউমারটি হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা মায়োমা। জরায়ুর পেশির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এই টিউমারের সৃষ্টি হয়। ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশই এই সমস্যায় আক্রান্ত। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যানসার বা বিপজ্জনক কিছু নয়।
এখন বুঝবেন কি করে যে আপনার শরীরে বাসা বেধেঁছে এই অসুখটি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী নিজে বুঝতেই পারেন না যে তিনি ফাইব্রয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। তাই কয়েকটি লক্ষণ অবহেলা করা উচিত হবে না। যেমনঃ
পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং,তলপেটি যন্ত্রণা,পিরিয়ড দীর্ঘস্থায়ী হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

তলপেট চাপ ধরে থাকে,ইউরিন সমস্যা ইত্যাদিও থাকতে পারে।ইউরিন ও স্টুল বন্ধ হয়ে যায়।
তলপেট এ লাম্প হতে পারে। তলপেটি আকারে বড় যায় বলে প্রেগনেন্সির মতো দেখতে লাগে।
পূর্বাভাস যাই হোক না কেন নিশ্চিত হতে গেলে প্রয়োজন কিছু পরীক্ষা নিরাক্ষা।
সমস্যা থাকলে সমাধানও নিশ্চয়ই আছে।

চিকিৎসা : মূলত অস্ত্রোপচারই ফাইব্রয়েড টিউমারের প্রধানতম চিকিৎসা। ওষুধের মাধ্যমে এর স্থায়ী চিকিৎসা হয় না। অস্ত্রোপচার প্রধানত দুই ধরনের। ১. বয়স ৪৫-এর বেশি ও Family Complete অর্থাৎ আর বাচ্চা নেওয়ার ইচ্ছা না থাকলে জরায়ু ফেলে দেওয়া। ২. প্রজননক্ষম বয়স এবং যাদের বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মায়োমেটমি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফাইব্রয়েডকে জরায়ুর দেয়াল থেকে তুলে এনে আবার তা সেলাই করে দেওয়া হয়। এতে জরায়ু কেটে ফেলার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এই অস্ত্রোপচার পেট কেটে বা ছিদ্র করে উভয় পদ্ধতিতেই করা হয়।

যা জেনে রাখা জরুরি : ১. এই অস্ত্রোপচারে বেশ রক্তপাত হতে পারে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সময় জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। ২. অস্ত্রোপচারের পর আবার ফাইব্রয়েড হওয়ার সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ ভাগ। ৩. অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ। এটি নির্ভর করে ফাইব্রয়েড টিউমারের সংখ্যা, আকার এবং অস্ত্রোপচারের সফলতার ওপর। ফাইব্রয়েড অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণ করলে অবশ্যই ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে এমন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে হবে।
সূত্র:shorir

Labels:

জরায়ুমুখের ক্যানসার


জরায়ুমুখের ক্যানসার মহিলাদের জন্য খুব যন্ত্রণা দায়ক এবং খারাপ একটি রোগ। রোগটি সাধারনত ধিরে ধিরে সংক্রামিত হতে থাকে এবং এক সময় প্রকট আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে ক্যানসারে রুপ নেয়। ক্যানসার থেকে দ্রুত পিণ্ডের আকারে বেড়ে যায় এবং জরায়ুমুখে ক্ষত সৃষ্টি করে। আসতে আসতে দিক খারাপ অবস্থায় যেতে থাকে এবং একসময় তা আর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকেনা।

জরায়ুমুখের ক্যানসার রোগে সাধারণত ৩৫ থেকে ৫৫ বয়সী নারীরা আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে এর নিচে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ৬০ বছরে এই রোগ আক্রান্ত করতে পারে তাদের সংখ্যা তুলনা মূলক ভাবে কম।
জরায়ুমুখের ক্যানসার তেমন কোন সঠিক লক্ষণ দেখা যায়না। তবে ধীরগতিতে সৃষ্টি হওয়ায় খুব সহজেই এবং কম খরচে ক্যানসার-পূর্ব অবস্থায় রোগ শনাক্ত করা যায়। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রতীকার করা সম্ভব।

জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণঃ
১. বেশির ভাগ সময়ে আল্প বয়সে যৌনসম্পর্কের এবং একাধিক যৌনসাথির কারনেই হয়ে থাকে।
২. আল্প বয়সে ঘন ঘন সন্তানধারণ।
৩. প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেশা জাতীও দ্রব্য গ্রহন করার ফলে।
৪. হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের আক্রমণের কারনে হয়ে থাকে।এছাড়াও আরো অনেক কারনে জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়ে থাকে।

পেপস স্মেয়ার টেস্টঃ এই টেস্টের মাধ্যমে জরায়ুমুখ থেকে রস নিয়ে আণুবীক্ষণিক (মাইক্রোস্কোপিক) যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মধ্যমেই শনাক্ত করাহয় ক্যানসার, ক্যানসার হওয়ার পূর্বাবস্থা ও জরায়ুমুখের অন্যান্য রোগ। এই টেস্টে ব্যবহুল কম। তাই বিবাহিত নারিদের ২১ থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিন বছর পর পর এ টেস্ট করা উচিত।

জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রতিরোধ
বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে নারীরা জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত। সেই তুলনায় বাংলাদেশ প্রথম। বাংলাদেশে প্রতি চারজন ক্যানসার রোগীর মধ্যে একজন জরায়ুমুখের ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। এর প্রতীকারের জন্য প্রথমে নারীদের সচেতন হতে হবে।

 নিম্নে কীভাবে জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রতিরোধ করা যায়, তার কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করা হলঃ
১. বাল্যবিবাহ আমাদের দেশের একটি প্রচলিত সমস্যা। এর জন্য আমদের বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে।
২. অধিক সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. ধূমপান থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. পানের সঙ্গে জর্দা ও সাদা পাতা খাওয়া ও দাঁতের গোড়ায় গুল (তামাকের গুঁড়া) লাগানো ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
৫. পুষ্টি জনিত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য প্রতিদিন তিন থেকে চার বার ফল, শাকসবজি ও তরকারি গ্রহণ করা যেতে পারে।
৬. সব সময় পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৭. সঠিক সময়ে এইচপিভি টিকা নিতে হবে।
উপস্থাপিত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে পালন করতে হবে এবং অন্যজনকে মানার তাগিদ দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ থেকে জরায়ুমুখের ক্যানসার জনিত মৃত্যুর হার অনেকটা কমে আসবে।

Labels:

সুগঠিত স্তন পাওয়ার ব্যায়াম



সুগঠিত স্তন কে না পছন্দ করে। অনেক সময় আমরা অনেক ধরণের চেষ্টাও করি। কিন্তু সঠিক উপায় গুলো না জানার কারনে। আমাদের চেষ্টার কোন ফলাফল পাইনা। তাই সুগঠিত স্তন পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের কিছু নিয়মাবলী উপস্থাপন করা হল।

১. হাতের ব্যায়াম
অন্যসব ব্যায়াম করার প্রথমে হাতের ব্যায়াম করতে হবে। কারণ হাতের ব্যায়ামের মাধ্যমে রক্তের চলাচল দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। এতে অন্যান্য ব্যায়াম গুলোর ঝুকি কমিয়ে দেয় এবং কব্জিতে প্রচুর শক্তি যোগায়। যার ফলে অন্যান্য ব্যায়াম গুলো করতে সোজা হয়ে যায়।
কব্জির ব্যায়ামের জন্য প্রথমে কোন একটি সুবিধা জনক সমতল স্থানে বসতে হবে। তারপর একটি হাত সোজা নাক বরাবর সামনে নিতে হবে এবং অন্য আরেকটি হাত দিয়ে আগুল গুলোর উপরের স্থানে ধরে ধিরে ধিরে পিছনে টানতে হবে। এই ভাবে দুহাত নিয়মিত তিনবার করে করতে হবে।

২. কব্জি মোচর ব্যায়াম
কব্জি মোচর ব্যায়াম জন্য ডামবেল এবং একটি সমতল চেয়ারের প্রয়োজন। প্রথমে সমতল চেয়ারটিতে ঝুকে বসুন। ডামবেলটি নিয়ে হাতের তালুটি উল্টো করুণ। পরবর্তীতে শুধু কব্জিটিকে উপর নিচ করুণ। এই ভাবে দুহাত ১৫টি করে ৩বার মারতে হবে।

৩. মুঠি ব্যায়াম
মুঠি ব্যায়ামের জন্য স্ট্রেচ বলের প্রয়ো্যজ। প্রথমে স্ট্রেচ বলটি হাতে নিন। হাতে নেওয়ার পর চাপ দিয়ে ১০সেকেণ্ড ধরে রাখুন এবং আসতে আসতে মুঠি খুলুন। আইভাবে যতক্ষণ মন চায় করতে পারেন।

৪. চেয়ার ডিপ

চেয়ার ডিপের জন্য কোন রকম মেশিনারির প্রয়োজন নেই। শুধু একটি শক্ত চেয়ারই যথেষ্ট। প্রথমে চেয়ারের শেষ কিনারের অংশটুকু চেপে বসবেন। পা দুটো সমান ভাবে টান টান অবস্থায় থাকবে। দুই হাতের দূরত্ব কাঁধের দুরত্বের সমান হবে। এরপর হাতের উপর ভর দিয়ে, কনই ৯০ ডিগ্রী পর্যন্ত বাঁকা করে উঠা নামা করুণ। উঠার সময় কনই টান করে উঠতে হবে। এভাবে যতবার সম্ভব করুণ। করার মাঝে ২মিনিট বিশ্রাম নিন।

উক্ত ব্যায়াম গুলো করার মাধ্যমে আপনার স্তন সুগঠিত হতে থাকবে। তবে লক্ষণীয় বিষয় হল, আপনাকে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ব্যায়াম সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা। এছাড়াও আপনি সুগঠিত স্তনের জন্য আর পরামর্শের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

 সূত্র:shorir

Labels:

সঠিক ভাবে শিশুকে বুকের দুধ খওয়ানোর কিছু পদ্ধতি


শিশুর সঠিক পুষ্টির জন্য সঠিক ভাবে দুধ খাওয়ানো জরুরি।শিশু সঠিক ভাবে দুধ পেলে খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। এর জন্য মাকে কিছু সঠিক পদ্ধতি অবলম্ভন করতে হবে।

দুধ খওয়ানোর সঠিক স্থানঃ সঠিক স্থান বলতে, শিশুকে মায়ের কোলে নিশ্চিত ও আরাম দায়ক ভাবে দুধ খাওয়াতে হবে। যদি কখনো শুয়ে খাওয়াতে চান তাহলে মা শিশুকে নিজের দিকে যথাসম্ভব বুকের কাছাকাছি টেনে নেবেন যেন শিশুর পেট, বুক মায়ের পেট ও বুকের সঙ্গে লাগানো থাকে এবং শরীরের পেছন অংশ একটি সরলরেখায় থাকে।

বসে দুধ খওয়ানোর সঠিক নিয়মঃ মা বসে খাওয়ানোর ইচ্ছে হলে সোজা হয়ে পিঠের পেছনে একটি বালিশ নিয়ে বসবেন, যাতে কোমর বাঁকা না হয় এবং হাতের নিচে একটি বালিশ দেবেন, যাতে হাত ঝুলে না থাকে। যদি বালিশ পিছনে না রাখা হয়, তাহলে মা বেশিক্ষণ সঠিকভাবে বসে থাকতে পারবেননা, তাতে দুধ বাধা প্রাপ্ত হতে পারে। সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে শিশু সম্পূর্ণ দুধ খেয়ে নেয়। কারণ দুধ থেকে গেলে পরবর্তী দুধ জমতে বাধা প্রাপ্ত হয়।

লক্ষণীয় বিষয় গুলোঃ দুধ খাওয়ানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে করে শিশু পুরোপুরি তাঁর দিকে ঘুরিয়ে যথাসম্ভব বুকের কাছাকাছি থাকে, যেন শিশুর পেট মায়ের পেটে এবং শিশুর বুক মায়ের বুকে লেগে থাকে। শিশু ও মায়ের শরীরের গঠন একটি সরল আকৃতিতে থাকতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে খাওয়ার সময় শিশুর ঘাড় যাতে বাকা না থাকে। প্রয়োজনে শিশুর ঘাড়ের নিচে হাত দিতে পারেন। কিন্তু কখনোই মাথায় হাত দেওয়া যাবে না।

সর্বশেষ কাজঃ যখন দুজনই সঠিক অবস্থানে আসবেন, তখন মা স্তনের বোঁটা শিশুর ওপরের ঠোঁটে কয়েকবার লাগাবেন, এতে শিশু বড় করে হাঁ করবে এবং একসময় বোঁটাসহ স্তনের কালো অংশ শিশুর মুখে দিতে হবে। কেননা পেছনের কালো অংশের মধ্যে দুধ জমা থাকে।

এইভাবে শিশুকে দুধ খাওয়ালে, শিশু সঠিক পরিমাণে দুধ পাবে। প্রথম অবস্থায় কিছুদিন এইরকম ভাবে করারপর শিশুকে বুকের কাছে নেওয়া মাত্রই সে বুকের সঠিক স্থান চুষে খেতে পারবে। যথাসম্ভব, পদ্ধতিটি অনুস্মরণ করার চেষ্টা করুণ। শিশুকে দুধের সঠিক পুষ্টি পেতে সাহায্য করুন।

 সূত্র:shorir

Labels:

স্তন ক্যান্সার প্রতিকারে করনীয় বিষয়


অনেক সময় মেয়েদের স্তন ক্যানসারের দেখা দেয়।নারীর এই স্তন ক্যান্সার মরণব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে যে কোন সময় এবং সচেতন না হলে কেড়ে নিতে পারে আপনার মহামূল্যবান প্রাণ।

ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার কারণ-
স্তন ক্যানসারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি।তবে বিশেষজ্ঞগন এর কিছু সাধারণ কারণ নির্দেশিত করেছেন-
-মা-খালা এদের থাকলে সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
-অবিবাহিতা বা সন্তানহীনা মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি।
-যারা সন্তানকে কখনো স্তন্য পান করাননি তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশি হয়।
-৩০ বছরের পরে যারা প্রথম মা হয়েছেন তাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা একজন কমবয়সী মা হওয়া মহিলাদের থেকে অনেক বেশি।
-বয়স যত বাড়ে স্তন ক্যান্সার এর ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পায়।
-অল্প বয়সে বাচ্চা নিলে, দেরীতে মাসিক শুরু হলে, তাড়াতাড়ি মাসিক বন্ধ হয়ে স্তন ক্যান্সার প্রকোপ বেড়ে যায়।
-একাধারে অনেক দিন জন্ম নিরোধ বড়ি খেলে ও স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উপরোক্ত কারণগুলো ব্রেস্ট ক্যান্সারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে এগুলোই একমাত্র কারণ নয়।

স্তন ক্যান্সার বুঝবেন কিছু লক্ষণঃ
১. সাধারণত ৩০ বছর-এর পূর্বে এই রোগ কম হয়।
২. বেশিরভাগ রোগী বুকে চাকা নিয়ে ডাক্তার-এর শরণাপন্ন হয়।
৩. বুকে চাকা সেই সাথে কিছু কিছু রোগী ব্যথার কথাও বলে থাকে।
৪. কখনো কখনো বুকে চাকা বগলেও চাকা নিয়ে রোগী আসতে পারে।
৫. নিপল ডিসচার্জ এবং নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়াও এ রোগের লক্ষণ হিসাবে দেখা দিতে পারে।
৬. কিছু কিছু রোগী বুকে ফুলকপির মত ঘা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে।
৭. অনেক সময় যে বুকে ব্যথা সেদিকের হাত ফোলা নিয়েও আসতে পারে।
৮. এগুলো ছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার দূরবর্তী কোথাও ছড়িয়ে পড়েছে এমন উপসর্গ নিয়ে আসে যেমন-হাড়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও জন্ডিস ইত্যাদি।

কিভাবে রোগ নির্ণয় করা যাবেঃ

১. মেমোগ্রাম বা স্তনের বিশেষ ধরনের এক্সরে।
২. স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম
৩. চাকা বা টিউমার থেকে রস (ঋঘঅঈ) নিয়ে পরীক্ষা করলে এই রোগ ধরা পড়বে।

প্রতীকারঃ
যেহেতু রোগটির নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি। তাই এই রোগ এড়ানোর জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়ঃ
-ধূমপান ও এলকোহল পরিহার করুন।
-টাটকা শাক-সবজি ও ফল খান।
– ৩০ বছর বয়স থেকে নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করুন।
-সন্তানকে বুকের দুধ পান করান।
– রিক্স ফ্যাক্টর থাকলে সে ক্ষেত্রে মেমোগ্রাফি করুন। যেমন-ফ্যামিলিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার থাকলে।
স্তন ক্যানসারের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সব সময় মনে রাখবেন প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নিরূপণ করলে এবং চিকিৎসা করলে আপনি অনেকদিন সুস্থ থাকবেন। সার্জারি করার সময় টিউমারটি বগলে লসিকা গ্রন্থিসহ অপসারণ করলে এই রোগ পুনর্বার দেখা দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অসম্পূর্ণভাবে টিউমার অপসারণ করলে এই রোগ আবার হতে পারে। বর্তমানে অপারেশন টেকনোলজি অনেক উন্নতি লাভ করেছে যার ফলে এই রোগের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। তাছাড়া এডভান্স ব্রেস্ট ক্যান্সারে এখন টিউমার ফেলে দিয়ে ব্রেস্ট এরিয়া রিকস্ট্রাকশনও করা হচ্ছে।
 সূত্র:shorir

Labels:

নারীর পিরিয়ড রোগ ও তার চিকিৎসা



কিশোরীরা যখন ১২ থেকে ১৪ বছরে পা দেয়, তখন তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হওয়া শুরু করে। অন্যান্য পরিবর্তন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণন হল মারসিক। যা প্রতি মাসে বা একমাস পর পর হয়ে থাকে। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়।আবার কখনো কখনো অতি অল্প বা খুব বেশি রক্তস্রাব হতে পারে। মাসিক নিয়মিত হওয়ার জন্য সঠিক ওজন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, আবহাওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তন ও শরীরের ভেতরের বিভিন্ন গ্রন্থির পরিমাণমতো নিঃসৃত হরমোন প্রয়োজন। এসব গ্রন্থির মাঝে রয়েছে থাইরয়েড, অ্যাডরেনাল ও ওভারি। অনিয়মিত ও অস্বাভাবিক মাসিকের সম্ভাব্য কোনো কারণ জানা না থাকলে তাকে ডিইউবি বা ডিসফাংশনাল ইউটেরাইন ব্লিডিং বলা হয়। বয়স অনুসারে ডিইউবিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে—

১. বয়ঃসন্ধিকালঃ মারসিক হওয়া শুরু থেকে এই সময় শুরু হয়। এই সময়ে মেয়েরা অভিভাবকের প্রচণ্ড চাপের মাঝে থাকে। এর ফলে শরীর খুব শুকিয়ে যেতে পারে বা মাত্রাতিরিক্ত স্থূল হতে পারে। আবার অতিরিক্ত রক্ত যাওয়ার জন্য রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে।

২. প্রজননকালীন সময়ঃ এই সময়ে ১০ থেকে ১২ দিন পর পর বাঁ সারা মাসেই আল্প আল্প রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে।

৩. রজোনিবৃত্তির সময়ঃ সাধারণত মারসিক বন্ধ হওয়ার আগে ৪০-৪৮ বয়সের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়।

কারণঃ জরায়ুতে রক্ত সরবরাহ করা ও রক্ত বন্ধ করার জন্য শারীরবৃত্তিক সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। যদি কোনো কারণে সমন্বয়হীনতা হয় বা অনেক সময় অতিরিক্ত আবেগ, দুশ্চিন্তা (যেমন পরীক্ষার আগে), অতিরিক্ত দুঃখবোধ (আত্মীয় বিয়োগ) বা বিবাহিতদের যৌন অসহযোগিতার কারণে এ রকম হতে পারে।

প্রতিকার: বয়স অনুযায়ী কাউন্সেলিং করে আবেগতাড়িত কারণ, যেমন দুশ্চিন্তা ও দুঃখ, যৌন কারণগুলো কিছুটা লাঘব করা যেতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধগুলো নিয়মিত সেবন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায়। ওজন বেশি হলে তা কমাতে হবে।

চিকিৎসাঃ একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, প্রকৃত চিকিত্সা দেওয়ার আগে উপযুক্ত ইতিহাস ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে অস্বাভাবিক রজঃস্রাবের কারণ বের করতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিত্সা অবশ্যই ধাপে ধাপে দিতে হবে। নারীর পিরিয়ডের সমস্যা এবং প্রতিকার কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ নারী হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়। আবার কখনো কখনো অতি অল্প বা খুব বেশি রক্তস্রাব হতে পারে। মাসিক নিয়মিত হওয়ার জন্য সঠিক ওজন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, আবহাওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তন ও শরীরের ভেতরের বিভিন্ন গ্রন্থির পরিমাণমতো নিঃসৃত হরমোন প্রয়োজন।

এসব গ্রন্থির মাঝে রয়েছে থাইরয়েড, অ্যাডরেনাল ও ওভারি। অনিয়মিত ও অস্বাভাবিক মাসিকের সম্ভাব্য কোনো কারণ জানা না থাকলে তাকে ডিইউবি বা ডিসফাংশনাল ইউটেরাইন ব্লিডিং বলা হয়। বয়স অনুসারে ডিইউবিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে— ১. বয়ঃসন্ধিকালীন: এটা মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকে রক্ত যাওয়া চলতেই থাকলে মেয়েরা ও তাদের অভিভাবকেরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকে। ফলে শরীর খুব শুকিয়ে যেতে পারে বা মাত্রাতিরিক্ত স্থূল হতে পারে। আবার অতিরিক্ত রক্ত যাওয়ার জন্য রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে। ২. প্রজননকালীন: এ সময় মাসে মাসে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় বা ১০-১২ দিন পরপর বা সারা মাসেই অল্প অল্প রক্ত যেতে পারে। ৩. প্রিমেনোপোজাল বা রজঃনিবৃত্তির আগে: সাধারণত মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে ৪০ থেকে ৪৮ বছর বয়সে এ ধরনের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দেয়। কেন এমন হয়? জরায়ুতে রক্ত সরবরাহ করা ও রক্ত বন্ধ করার জন্য শারীরবৃত্তিক সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। যদি কোনো কারণে সমন্বয়হীনতা হয় বা অনেক সময় অতিরিক্ত আবেগ, দুশ্চিন্তা (যেমন পরীক্ষার আগে), অতিরিক্ত দুঃখবোধ (আত্মীয় বিয়োগ) বা বিবাহিতদের যৌন অসহযোগিতার কারণে এ রকম হতে পারে। রোগ নির্ণয় সঠিক ইতিহাস ও উপযুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা কারণগুলো বাদ দিয়ে ডিইউবি শনাক্ত করতে হবে।

রোগীর কোনো রক্তক্ষরণজনিত রোগ বা আঘাতজনিত রক্তপাত হচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে। রোগীকে পূর্ণাঙ্গ শারীরিক ও প্রয়োজনে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করাতে হবে, যেমন রক্তের সিবিসি, বিটি, সিটি, প্রথ্রম্বিন সময়, আলট্রাসনোগ্রাম ও সম্ভাব্য ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্রন্থির টি-থ্রি, টি-ফোর, টি-এসএইচ পরীক্ষা করতে হবে। সুযোগ-সুবিধা থাকলে প্রয়োজনে হিস্টারোস্কপির সাহায্যে রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সা দুটোই সম্ভব। চিকিত্সা প্রতিকার: বয়স অনুযায়ী কাউন্সেলিং করে আবেগতাড়িত কারণ, যেমন দুশ্চিন্তা ও দুঃখ, যৌন কারণগুলো কিছুটা লাঘব করা যেতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধগুলো নিয়মিত সেবন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায়। ওজন বেশি হলে তা কমাতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। রক্তশূন্যতার জন্য লৌহযুক্ত খাবার, ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ খেতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রক্ত নিতে হবে। একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, প্রকৃত চিকিত্সা দেওয়ার আগে উপযুক্ত ইতিহাস ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে অস্বাভাবিক রজঃস্রাবের কারণ বের করতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিত্সা অবশ্যই ধাপে ধাপে দিতে হবে।

Labels:

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর যেভাবে একজন মা সুস্থ থাকবেন?


গর্ভধারণ আর প্রসব একজন নারীর জন্য অসাধারণ এক কষ্টের কাজ। এক নতুন জীবনের জন্ম অর্থাৎ নবজাতকের আগমন একটি পরিবারের জন্য সীমাহীন আনন্দ বয়ে আনে। সন্তান জন্ম দেওয়ার জটিল দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর মাকে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হয়। দীর্ঘ সময় সন্তান গর্ভধারণ করার পর মায়ের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। সন্তান জন্মের পর এ পরিবর্তনকে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে নানা ধাপ অনুস্মরণ করতে হয়।চলুন জেনে নেওয়া জাক কীভাবে একজন মা আবার সকল স্বাস্থ্যগত সমস্যা পিছনে ফেলে স্বাভাবিক জীবনে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেন।

ধীরে শুরু করুণঃ প্রসূতি মা এবং সন্তান জন্মদান মানব জীবনের জন্য একটি জটিল সময়ের আবর্তন, এসময়ে মা কে নানা মানুষিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যখন একজন মা তার সন্তান প্রসব করেন এর পর তাকে স্বাভাবিক হতে হলে সবার আগে তাকে যা করতে হয় প্রসবকালীন সকল বাড়তি ওজন কমাতে হয়। পাশাপাশি বিশ্রাম অত্যাবশ্যকীয়। তবে ওজন কমাতে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল করতে হবে যদি আপনি সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদেন তবে প্রথম দশ সাপ্তাহ অবশ্যই আপনি ব্যায়াম করতে পারবেন না। তবে হালকা ব্যায়াম মেরিটেশান চালিয়ে যান।
রুটিন মেনে চলুনঃ আপনার যখন একটি সন্তান থাকবে তখন আপনাকে অবশ্যই সন্তানের বিষয়ে খেয়াল রেখে নিয়মিত রুটিন অনুস্বারে মেনে চলতে হবে । নবজাতককে খাওয়ানোর পুষ্টি কথা থেকে আসে? মায়ের শরির থেকে আসে, এই সব কারনে প্রসবোত্তর বিশ্রামের মাসে যথেষ্ট পুষ্টি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । জন্মের প্রথম চার মাস আপনার শিশু বেশির ভাগ সময়ে ঘুমিয়ে কাটাবে, এসময় আপনি খাওয়া দাওয়া করুণ, পরিষ্কার পরিছন্ন থাকার চেস্তা করুণ এবং স্বামীর সাথে হাসি খুশি সময় কাটান। যেকোনো প্রয়োজনে সকল প্রকার সাহায্য নিন আপনার স্বামী, আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধব থেকে।

যেসকল বিষয় মনে রাখতে হবেঃ
১. ধীরে ধীরে শরীর চর্চা করুণ।
২. প্রতিদিন ২০মিনিট করে হাঁটুন।
৩. সাঁতার জানলে প্রতিদিন কিছু সময় সাঁতার কাটুন।
৪. কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত হবেন না।
৫. সব সময় আসে পাশে এক বোতল পানি রাখুন নিজেকে হাইড্রেড রাখার চেষ্টা করুণ।
৬. কি ধরনের ব্যায়াম আপনি করতে পারবেন বা পারবেন না সে বিষয়ে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
 সূত্র:shorir

Labels:

আনারসের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা


আনারস আমাদের সবার কাছেই প্রিয় একটি ফল। এটি খুবই রসালো সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এটি গ্রীষ্মের সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। শহর কিংবা গ্রামে সব বয়সীর কাছে এটি একটি জনপ্রিয় ফল। এটি দেখতেও খুব চমৎকার। আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম আনানাস স্যাটিভাস। আকর্ষণীয় সুগন্ধ ও অম্ল মধুর স্বাদের জন্য আনারস অনেকের কাছেই সমাদৃত। আনারসের উৎপত্তিস্থল হলো দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চল। বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায়। বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমানে চাষ হয় এ ফল। বাংলাদেশে সাধারণত চার জাতের আনারস চাষ করা হয়। জায়েন্ট কিউ, কুইন, হরিচরণ ভিটা ও বারুইপুর। বাংলাদেশে ঘোড়াশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় এসব জাতের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। আনারস একটি রসালো, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল।

আনারসের পুষ্টিগুণঃ
-আনারসে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অ্যানজাইম ব্রোমেলেইন।
-আনারসকে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ‘সি’-পাওয়া যায়।
-আনারসকে ম্যাঙ্গানিজ নামক খনিজ উপাদান, যা দেহের এনার্জি বাড়ায়।
-এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন বি১, যা শরীরের জন্য একান্ত অপরিহার্য।
-এটি খুব কম ক্যালরি দেয়। ১০০ গ্রাম আনারস থেকে পাওয়া যায় মাত্র ৫০ কিলোক্যালরি।
-এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই।
-এতে আছে পেকটিন নামক গুরুত্বপূর্ণ ডায়েটরি ফাইবার।
-এতে আছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্সের ফলেট, থিয়ামিন, পাইরিওফিন, রিবোফ্লাভিন।
– খনিজ উপাদান হিসেবে আছে কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাসিয়াম।

উপকারিতাঃ
-আনারস দেহের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
-গয়টার অর্থাৎ থাইরয়েড গ্রন্থির স্ফীত হওয়ার ক্ষেত্রে এটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
-আনারস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক উপকারী।
-আর্থ্রাইটিস রোগ উপশমে সহায়তা করে।
-ক্ষুদ্রান্ত্রের জীবাণু ধ্বংসে আনারস খুবই উপকারী।
-কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং মর্নিং সিকনেস অর্থাৎ সকালের দুর্বলতা দূর করে।
-এটি ওভারিয়ান, ব্রেস্ট, লাং, কোলন ও স্কিন ক্যান্সারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-বার্ধক্যজনিত চোখের ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
-এছাড়া আনারস জ্বরের ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী।

এছাড়া আনারস ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী যেমন- তৈলাক্ত ত্বক,ব্রণসহ সব রুপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে। চুলের যত্নেও আনারসের রস যথেষ্ট উপকারি। মোট কথা, দেহের পুষ্টি সাধন এবং দেহকে সুস্থ সবল ও রোগ নিরাময় রাখার জন্য আনারসকে একটি অতুলনীয় এবং কার্যকরী ফল বলা চলে। তাই আমাদের প্রচুর পরিমানে আনারস খাওয়া উচিৎ।

Labels:

পেয়াজের ঔষধি গুন



পেয়াজ আমোরা প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে খেয়ে থাকি। রান্নার ক্ষেত্রে মসলা হিসেবে পেয়াজের রয়েছে বিশেষ উপযোগিতা। রান্না করার সময় প্রায় সকল দেশের মানুষেরাই পেয়াজ ব্যবহার করে থাকে। মুখ রোচক রসনা পণ্য ছাড়াও পেয়াজের রয়েছে বিভিন্ন ঔষধী গুন। সবার কাছে সমাদৃত এই পণ্যটির একটি বিশেষ অসুবিধা রয়েছে।পেয়াজ কাটার সেই সমস্যাটি হচ্ছে, পেয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা-পোড়া করে ও চোখে পানি আসে। এছাড়াও পেঁয়াজের

রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুন নিম্নে টা উপস্থাপন করা হলো-
১. পেয়াজের রস চুলে দিলে তা উকুন নাশক হিসেবে কাজ করবে পাশাপাশি চুল পরা কমাতেও সাহায্য করবে।
২. দৈনিক পেয়াজ খেলে তা আপনার যৌন সমস্যাগুলো দূর করবে।
৩. লাল পেঁয়াজ মাসিক রোগ সংশোধন করতে সাহায্য করে। মসিক হওয়ার কিছু দিন আগে লাল পেয়াজ খান। এতে অনেক উপকার পাবেন।
৪. কারো নাক দিয়ে রক্ত পরলে কাচা পেয়াজ কেটে তার ঘ্রাণ নিতে দিন।
৫. প্রতিদিন একটা পেঁয়াজ আপনার ঘুমের অভাব দূর করবে।
৬. পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন।
৭. সাদা পেয়াজ piles থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ করবার জন্যেও সুপারিশ করা হয়।
৮. পেয়াজ হজম শক্তি বাড়ায়।
৯. শরীর থেকে অবাঞ্ছিত কলেস্টেরল সরিয়ে সাহায্য করে।
১০. দৈনিক একটি লাল পেঁয়াজ করোনারি হার্ট রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।
১১. পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
১২. জয়েন্ট পেইন দূর করে।
১৩. হলুদের সাথে পেয়াজের রস মিশ্রিত করে শরীরে কোন কাল দাগ থাকলে সেখানে ব্যবহার করুন।
১৪. দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
১৫. আপনার শিশুর কৃমি সমস্যা থাকলে এক চামচ পেঁয়াজের রস খেতে দিন।
১৬. পেয়াজ মেমরি ও স্নায়ুর উন্নতি ঘটায়।
১৭. কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
১৮. প্রতিদিন চিনি দিয়ে পেয়াজ খেলে তা শিশুদের উচ্চতা লাভ করতে সাহায্য করে।
১৯. ঠাণ্ডা লেগে মাথাব্যথা হলে ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দ্বিগুণ Mপানি মিশিয়ে একবার খেলে ব্যথা কমে যাবে।
২০. বমি বমি ভাব হলে পেয়াজের রস পানির সাথে খেলে তা দূর হয়ে যায়।

এছাড়াও পেয়াজ আমাদের শারীরিক ভাবে অনেক উপকার করে থাকে। তাই আমাদের শারীরিক উপকারের স্বার্থে নিয়মিত কোন না কোন ভাবে আমাদের পেয়াজ খাওয়া উচিৎ।  
সূত্র:shorir

Labels:

রূপচর্চায় স্ট্রবেরি উপকারিতা


স্ট্রবেরি আমাদের সবার কাছেই পছন্দনীয়। এই রসালো ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকর। তবে খাওয়ার পাশাপাশি রূপচর্চায়ও এই ফলের সমান কদর। আর তা হবেই না বা কেন? স্ট্রবেরিতে রয়েছে ভিটামিনস, মিনারেলস, নিউট্রিয়েন্টস এবং এন্টি অক্সিডেন্ট এর বিশাল সমাহার যা শারীরিক বিভিন্ন উপকারের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের সুরক্ষায়ও বেশ কার্যকরী। তাই ত্বকের এবং চুলের যত্নে স্ট্রবেরির উপকারিতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদের জানাতে আজকের এই লেখা।

রূপচর্চায় স্ট্রবেরি উপকারিতাগুলোঃ
১. স্ট্রবেরিতে রয়েছে কার্যকর ক্লিনজিং প্রপার্টিস। বিভিন্ন বিখ্যাত ব্র্যান্ড গুলোর ক্লিনজার, ফেইসওয়াশ, ফেইস মাস্ক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই স্ট্রবেরির নির্যাস। স্ট্রবেরিতে থাকা ভিটামিন সি, স্যালিসাইলিক এসিড এবং এক্সফলিয়েন্টস মুখের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং মুখের রোমকূপ টাইট করতে সাহায্য করে। এতে থাকা এলাজিক এসিড নামক এক ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের ড্যামেজ প্রতিরোধ করে ত্বককে সজীব এবং যৌবনদীপ্ত করে তোলে।
১. মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করতে স্ট্রবেরি বেশ কার্যকরী। এতে রয়েছে স্কিন লাইটেনিং প্রপার্টিস যা অসমান স্কিনটোন দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। স্ট্রবেরি ব্লেন্ড করে এর রস আলাদা করে একটি পাত্রে নিন। তুলার সাহায্যে রস ভালো মতো মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে পানিদিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে পেলবেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল এবং দাগমুক্ত হবে।
৩. স্ট্রবেরি স্কিন টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ২ চা চামচ স্ট্রবেরি জুসের সাথে ৫০ মিলি গোলাপ জল ভালো মত মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন স্ট্রবেরি স্কিন টোনার। এই টোনার ত্বকের বলিরেখা, ব্রণের দাগ দূর করতে খুব কার্যকরী। এটি ফ্রিজে ১০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন।
৪. ২টি স্ট্রবেরি ২-৩ চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে একে উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে তোলে।
৫. স্ট্রবেরিতে থাকা ফলিক এসিড, ভিটামিন B5 এবং ভিটামিন B6 চুল ঝরা রোধ করতে খুব কার্যকর। এক চা চামচ মধু, ৪-৫টি স্ট্রবেরি এবং ৭-৮চা চামচ টক দই ভালো মতো ব্লেন্ড করে এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। এই হেয়ার মাস্কটি চুলের রুক্ষভাব দূর করে এবং চুল ঝরা রোধ করতে সাহায্য করে।

Labels: ,

গাজরের পুষ্টি গুন


 গাজর সহজলভ্য ও কম দাম হলেও অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ। বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে একে মিষ্টি মুলো বলে। এটা কাঁচা, রান্না ও সালাদ করে খাওয়া চলে। তবে কাঁচা চিবিয়ে খেলে বা সালাদ করে সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়। রান্নার পর পুষ্টি কিছুটা নষ্ট হয়। গাজরকে প্রকৃতি ও স্রষ্টার অমূল্য সৃষ্টি এবং পুষ্টির ভাণ্ডার বলা যায়। গাজর দুই প্রকার- দেশী ও বিলেতি। দেশী গাজর দেখতে কিছুটা মেরুন রঙের। এই জাতের গাজর আজ বিলুপ্ত। এখন শুধু বিলেতি জাতের গাজর পাওয়া যায়। এই জাতের গাজর কিছুটা কমলারঙের। গাজর শাকেরও উপকার আছে। গাজর দিয়ে আচার, হালুয়া, পায়েস ইত্যাদি তৈরি হয়। আয়ুর্বেদীরা বলেন, গাজর যদি সঠিক পরিমাণে খাওয়া যায়, তাহলে দামি ফলমূল শাকসবজির চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।এছাড়াও গাজরের অনেক পুষ্টি গুন রয়েছে, নিম্নে তা উপস্থাপন করা হলোঃ
১. গাজর খুদা বাড়ায় এবং সহজেই হজম হয়।
২. গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি ও সি আছে।
৩. গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়।
৪. গাজর শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. গাজরে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি আছে।
৬. শরীরের পুষ্টি উৎপাদন ও বুদ্ধির বিকাশে গাজর উপকারী।
৭. গাজর খেলে শরীরের রঙ ফর্সা হয় এবং মুখের সৌন্দর্য বাড়ে।
৮. গাজরে ফসফরাস আছে। জারা ব্রেনটের কাজ করেন, তাদের জন্য বিষণ উপকারী।
৯. গাজর শরীরে জ্বালা পেট ফাঁপা দূর করে।
এছাড়াও, মায়ের দুধের পরিবর্তে কৌটার দুধ খায়, এমন শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেবে গাজরের খিচুড়ি। শিশু গাজরের খিচুড়ি না খেলে দিতে পারেন গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। কারণ, চিনি থাকে হালুয়ায়। চিনি মানে গ্লুকোজ, যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। তাই আমাদের নিয়মিত কোন না কোন ভাবে গাজর খাওয়া উচিৎ। এতে আমাদের শারীরিক ভাবে অনেক উপকারে আসবে।

  সূত্র:shorir

Labels:

লবঙ্গের উপকারিতা



লবঙ্গ এটি সাধারনত গরম মসলার মধ্যে থাকে। আমোরা তা রান্না সুস্বাদু করার জন্য লবঙ্গ ব্যাবহার করে থাকি।তা রান্নার স্বাদ বাড়ায়। এছাড়া লবঙ্গের আরও বিশেষ কিছু গুণ আছে, যা আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ ফলদায়ী। চলুন সেগুলো জেনে নিই।

লবাঙ্গের উপকারিতা গুলোঃ
১. খিদে বাড়ায়।
২. হজমে লবঙ্গ সহায়তা করে।
৩. লবঙ্গ কফ-কাশি দূর করে।
৪. পেটের কৃমি নাশ করে দেয়।
৫. মুখে দুর্গন্ধ দূর করে লবঙ্গ।
৬. এটা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে। হাঁপানির মাত্রা কম করে।
৭. চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লবঙ্গ পিষে লাগালে ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর হয়ে যায়।
৮. লবঙ্গ পিষে মিশ্রি বা মধুর সঙ্গে খাওয়া ভীষণ ভালো। এতে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়।
৯. পানির পিপাসা পেলে লবঙ্গ খাওয়া দরকার। তাতে পিপাসা মেটে।
১০. বুকে অস্বস্তি হলে লবঙ্গ খাওয়া দরকার। শরীরে স্বাভাবিক অনুভূতি ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
এছাড়াও, লবঙ্গ একটু থেঁতো করে ব্যথার স্থানে দিয়ে রাখুন। কিংবা আক্রান্ত দাঁত দিয়ে খানিকটা চিবিয়ে চেপে ধরে রাখুন। লবঙ্গের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যথা কমিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণের মাঝে আর ইনফেকশনটাও অনেকটাই কমে আসবে। লবঙ্গ আমাদের শারীরিক ভাবে অনেক উপকার করে থাকে। তাই আমাদের নিয়মিত কোন না কোন ভাবে লবঙ্গ খাওয়া খুবই জরুলি।
 
 সূত্র:shorir

Labels:

রসুনের কিছু উপকারিতা



রসুন হল একটি প্রাচীন ওষধি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাবিশেষ হিসেবে পরিচিত৷ এটি শুধু যে খাবার স্বাদ এনে দেয় তা নয়, এটি শরীরে সেলেনিয়াম ও ভিটামিন সি-য়ের মাত্রাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা শরীর পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী৷নিম্নে

রসুনের কিছু উপকারিতা উপস্থাপন করা হলোঃ
১. যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তারা রসুন খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
২. রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান।
৩. আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানাতে রসুন ব্যবহূত হয়। ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক প্যাকেট বানাতেও ব্যবহূত হয় রসুন।
৪. সর্দি কাশিতেও রসুন উপকারী।
৫. শরীরের ব্যথা কমায় রসুন। রসুন হচ্ছে ন্যাচারাল পেইন কিলার। শিশু কিংবা বড়দের দাঁতে ব্যথা হলে একে কোষ রসুন চিবালে দাঁতে ব্যথা উপশম হবে।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে রসুন।
৭. রসুনে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি।
৮. হূদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক রসুন।
৯. নিয়মিত রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
১০. আমেরিকান ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানান, নিয়মিত রসুন খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। কাঁচা রসুন এন্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।

এছাড়াও রসুন শারীরিক ভাবে আমাদের নানা উপকার করে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে এবং আরো কত কি। তাই আমাদের কোন না কোন ভাবে নিয়মিত রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী।
 সূত্র:shorir

Labels:

পেয়ারার উপকারিতা


বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমি ফল পেয়ারা। সবুজ এ ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু, পুষ্টিগুণেও তেমনি অতুলনীয়। পেয়ারার বৈজ্ঞানিক নাম Psidiun guajava। পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানে পেয়ারা বেশি জন্মে। আমাদের দেশেও বর্তমানে প্রচুর পেয়ারার ফলন হচ্ছে। 

নিম্ন পেয়ারার কিছুন উপকারিতা উল্লেখ্য করা হলো-
১. কাঁচা পেয়ারা হ্রদ রোগের উপকার করে।
২. কাঁচা পেয়ারা লবণ দিয়ে খেলে কাশের জন্য উপকারি।
৩. কাঁচা পেয়ারা রক্ত বর্ধক।
৪. পেয়ারা বাত, পিত্ত, কফ নাশক।
৫. শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য কাঁচা পেয়ারা অনেক উপজুগি।
৬. জাদের হাতে/পায়ে জ্বালা পুড়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য পেয়ারা অনেক উপজুগি।
৭. পেয়ারা দাতের মাড়ির ব্যথা সাড়াতে বিশেষ উপকার করে।
৮. জ্বর ভালো হওয়ার জন্য তুলশী গিলই এবং পেয়ারার পাতা সেদ্ধ করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৯. কাঁচা পেয়ারা খুবই সুস্বাদু।
১০. নেশা থকে মুক্তির জন্য কাঁচা পেয়ারা সিদ্ধ করা জল ভালো উপকারে আসে।

Labels:

ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে বাতাবি লেবু


 লেবু আমাদের সবার কাছে খুবই পরিচিত। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে লেবু পায়া যায়। অনেক জাতের লেবু রয়েছে, জেমনঃ কাগুজি লেবু, গোড়া লেবু, এলাচি লেবু ইত্যাদি। আরো এক ধরনের লেবু আছে। এর নাম বাতাবি লেবু। সাধারণ লেবু দিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরবত বানানো হয়। ভাতের সাথেও খাওয়ার প্রচলন আছে। আর বাতাবি লেবু খাওয়া যায় সরাসরি। এটি টক-জাতীয় ফল। তবে টক-মিষ্টি বাতাবি লেবুই বেশি পছন্দের। বাতাবি লেবুর কোষ লবণ, কাঁচামরিচ, সামান্য চিনি মিশিয়ে ভর্তার মত করে খাওয়া যায়। এ ধরনের খাবার খুবই মজাদার। যারা টক বেশি পছন্দ করেন তাদের কাছে এ খাবারটি খুবই প্রিয়। কোনো কিছুর সঙ্গে না মাখিয়ে বাতাবি লেবুর খোসা ছাড়িয়ে এর কোষগুলো সরাসরিও খাওয়া যায়।

এটি একটি গরমের দিনের ফল। জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এ ফল পাওয়া যায় বেশি। এতে প্রচুর পরিমাণে আছে ভিটামিন-সি, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-বি ইত্যাদি। বাতাবি লেবু গর্ভস্থ মহিলা, স্তন্যদানকারী মা ও সন্তান দিতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য খুবই উপকারী ফল। এই ফলে আছে লিমোনোয়েড সংশ্লিষ্ট খবর নামের এক ধরনের উপকরণ। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, এই উপকরণ ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে। এই লেবুর রস পরিমাণমতো ও নিয়মিত খেলে শরীরের বাড়তি আমিষ ও চর্বি কমিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। অর্থাৎ স্থূলতা কমায় এ ফল। চিকিৎসকরা বলেছেন, এইফল নিয়মিত খেলে চর্বি জমতে পারে না শিরা-উপশিরার দেয়ালে। এ ফল দূর করে বার্ধক্যও। ত্বক, মুখ ও জিহবার ইনফেকশনজনিত সমস্যা কমিয়ে দেয়া বা দূর করে।

এর রস খাবার হজম করায়। কারণ এতে হজমকারী এনজাইম আছে। ফোড়া, খোস-পাচড়া বা চর্মরোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এর রস। অস্ত্রোপচারের রোগীর অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ দেয় বাতাবি লেবুর রস। যাদের গরম, ঠান্ডা ইত্যাদির সমস্যা বা প্রবণতা বেশি তাদের বেশি করে খাওয়া দরকার বাতাবি লেবু। জ্বরের সময় বাতাবি লেবু খেলেও কমবেশি উপশম হয়। এ লেবু গাছের কচিপাতাও শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। মোট কথা, শরীর সুস্থ রাখতে বাতাবি লেবু খুবই উপকারী একটি ফল। রুচি-বাড়ায় এর রস।
 সূত্র:shorir

Labels:

ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে ও স্বাস্থ্যরক্ষায় পালং-শাকের উপকারিতা


আমাদের ত্বক থেকে বয়সের ছাপ লুকানোর জন্য আমরা কতকিছুই না করি। অনেক সময় মুখে দামি দামি ক্রিম মাখা থেকে শুরু করে শাকসবজির ট্রিটমেন্টও নিচ্ছে অনেকেই। অথচ শীতকালের শাকসবজির প্রাকৃতিক ট্রিটমেন্ট পালং শাকেই আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যার কাজ হলো কোষে অক্সিডেন্ট যোগানো। অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষয় রোধ করে ত্বক সুস্থ শবল রাখে।অর্থাৎ বার্ধক্যকে জয় করতে পালং-শাকের ভূমিকা অনেক।

এছাড়া সহজলভ্য এ শাকটির রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। ভিটামিন ‘ডি’ ছাড়া বাকি সব ভিটামিনই এতে রয়েছে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘ই’ এবং ভিটামিন ‘সি’র উৎস পালং শাক। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রনসহ বেশকিছু প্রয়োজনীয় মিনারেল রয়েছে এতে।
পালং-শাকের এন্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষ গুলকেও সতেজ এবং কর্মক্ষম রাখে। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। তাছাড়া পালং শাকের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। সব মিলিয়ে পালং শাক শীতের এক অসাধারণ সবজি!

স্বাস্থ্যরক্ষায়ঃ

১. এনিমিয়া বা রক্তশুন্যতা প্রতিরোধে পালং শাক বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। পালং শাকে থাকা প্রয়োজনীয় ভিটামিনস এবং নিউট্রিয়েন্টস শরীরের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে যার ফলে রক্তশুন্যতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় অনেকখানি।

২. যেহেতু পালং শাক ফাইবারে সমৃদ্ধ তাই এটি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, বদ হজম ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

৩.গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পালং শাক অত্যন্ত উপকারী। গর্ভে থাকা শিশুর ঠিক মতো বেড়ে উঠার জন্য পালং শাক প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস যোগায়। এছাড়াও নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার মাধ্যমে মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ এবং গুণমান অনেক বেড়ে যায়।

৪. পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ক্যারিটনয়েডস দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।

৫. নিয়মিত পালং শাক খান এবং হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এটি হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর।

এছাড়াও পালং-শাক আমাদের অনেক ভাবে শারীরিক উপকার করে থাকে। আমাদের শরীরকে অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। এই পরিপেখিতে পালং-শাকের পুষ্টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। তাই আমোরা নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার চেষ্টা করবো।
 সূত্র:shorir

Labels: ,

কীভাবে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন

অ্যাসিডিটিতে কোন মারাত্মক রোগ নয়। এটি একটি সাধারণ ঘটনা মাত্র। সাধারনত পেটের গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ডগুলো করতে থাকলে অ্যাসিডিটির সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অ্যাসিড নিঃসরিত আমোরা সাধারণভাবে বুকজ্বালা অনুভব করি। বিশেষ করে মসলাযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করলে এটা দেখা যায়। তবে এ অবস্খা থেকে রেহাই পাওয়া যায় সহজেই। কলা, তরমুজ, শসা, ডাবের পানি ইত্যাদি অ্যাসিডিটি হ্রাস করে। এ ছাড়া মৃদু গরম পানি, দুধ ইত্যাদি প্রতিদিন এক গ্লাস করে পান করলেও উপকার পাওয়া যায়। দীর্ঘ বিরতিতে খাবার গ্রহণ করলেও অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। তাই দীর্ঘ বিরতি পরিহার করা উচিত। মসলা জাতীয় খাবার, কফি ইত্যাদিও পরিহার করা দরকার।এক টুকরা লবঙ্গও তাৎক্ষণিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে।

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্ত থাকার কিছু উপায়ঃ
১। নিয়মিত প্রায় একই সময়ে দিনের ৩ বেলার খাবার গ্রহণ করুন।
২। যথাসম্ভব তৈলাক্ত খাবার বর্জন করুন। যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তখন তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তৈলাক্ত খাবার খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান।
৩। মাংস, ডিম, বিরিয়ানী, মোঘলাই, চাইনিজ খাবার যাই খান না কেন; সেটা দুপুরের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবার হালকা হওয়াই শ্রেয়। শাক-সবজি, ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেনুতে রাখুন।
৪। সাইনাসের সমস্যা না থাকলে ঠান্ডা পানি খান। খুব বেশী ঠান্ডা পানি যেন না হয়। গরম পানি না খাওয়াটাই মঙ্গলজনক।
৫। ভাত খাওয়ার কিছু সময় পূর্বে এক বা দু গ্লাস পানি খেয়ে নিন। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশী পানি খাওয়ার প্রবণতা বর্জন করুন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খান।
৬। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এতে গ্যাস তৈরী হবেনা। যেমন- শাক-সবজি, কলা, পেপে, ঢেড়শ ইত্যাদি।
৭। সরাসরি গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান। তাও যদি খেতে হয় চেষ্টা করুন চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করতে।
৮। বাজারজাতকৃত সমস্ত জুস যথাসম্ভব বর্জন করুন।
৯। অনেকেই দেশে তৈরী আইসক্রীম রাতে খাওয়ার পরে খেতে পছন্দ করেন। এটা বর্জন করাই শ্রেয়।
১০। দিনে কিংবা রাতে- খাওয়ার পরপরই আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। খাবার গ্রহণের অন্তত ৩০ মিনিট পর বিছানা যাবেন।

উক্ত নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করুন। কিছুদিনের মধ্যেই ইতিবাচক ফলাফল পাবেন।যদি অ্যাসিডিটি ফলে অন্যরকম দিক নির্দেশনা লক্ষ্য করেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র:shorir

Labels: ,

মসুর ডালের পুস্তি গুন

ডাল ভাত বাঙ্গালির পরিচয় বহন করে। ডাল আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। আমাদের দেশে এমরা বিভিন্ন ধরনের ডাল আমরা খেয়ে থাকি। যেমন – মুগ, মসুর, অড়হড়, মাষকলাই, বুটের ডাল ইত্যাদি। ডাল হচ্ছে শিম গোত্রের খাদ্যশস্য। এগুলো মূলত শুঁটিজাতীয় মৌসুমি ফলের শুকনো বীজ। ডাল রবিশস্য হলেও সারা বছরই নানান ডাল পাওয়া যায়। তবে তুলনামূলকভাবে মসুর ডালটাই বেশি জনপ্রিয়। মসুর ডালের ইংরেজি নাম হলো Red lentil। মসুর ডাল সহজপাচ্য এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বাধিক।

প্রতি ১00 গ্রাম মসুর ডালের পুষ্টিগুণঃ
জলীয় অংশ ১২.৪ গ্রাম
খনিজ পদার্থ ২.১ গ্রাম
আস ০.৭ গ্রাম
খাদ্য শক্তি ৩৪৩ কিলোক্যালরি
আমিষ ২৫.১ গ্রাম
চর্বি ০.৭ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম
লৌহ ৪.৮ মিলি গ্রাম
ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বি২ ০.৪৯ মিলিগ্রাম
শর্করা ৫৯.০ গ্রাম

সাধারণভাবে মসুর ডাল রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি এটা দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকমের পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। যেমন- ডালের চর্চরী, ডালনা, নিরামিষ, পিঁয়াজু, ডালপুরি, ডালের স্যুপ, আম ডাল, পুঁই ডাল ইত্যাদি। মসুর ডাল প্রোটিনের আধার বলে একে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ধরা হয়।
খাওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্যচর্চাতেও রয়েছে মসুর ডালের ব্যবহার। ত্বক ও চুল উভয়ের মধ্যেই মসুর ডাল ব্যবহৃত হয়। যেমন-
– রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
– ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, চন্দন, সামান্য কাঁচা দুধ ও মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি ত্বকে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্ট নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের দাগ কমে যাবে।
– কাঁচা হলুদ ও মসুর ডাল একত্রে বেটে নিয়ে সাথে মুলতানি মাটি ও গোলাপজল সহযোগে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
– মসুর ডাল ক্র্যাবার হিসেবেও অতুলনীয়। শুকনো মসুর ডাল গুঁড়ো করুন। এর সাথে চালের গুঁড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে সারা শরীরে লাগান এবং মাসাজ করুন। এটা মরা কোষ পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করবে।
– চুল ঝরঝরে ও রেশমী করে তুলতে মসুর ডালবাটা চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করবেন না। চুল শুকানোর পর মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে চুল আঁচড়ে বাড়তি ডালগুলো ঝরিয়ে ফেলুন। এটা সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন। চুল সহজে জট লাগবে না এবং চুল তার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।

 সূত্র:shorir

Labels:

তেঁতুলের উপকারিতা

অনেকেই মনে করে তেঁতুল মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। কিন্তু আসলে এই ধারনাটি সঠিক নয়। তেঁতুল মস্তিষ্কের জন্য উপকারি। তেঁতুলের এসকর্বিক এসিড খাবার থেকে আয়রন আহরণ, সংরক্ষণ এবং তা বিভিন্ন কোষে পরিবহন করে। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব প্রয়োজন। মস্তিষ্কে আয়রনের পর্যাপ্ত সরবরাহ চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি করে।
তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস (কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সব কিছুই উপকরী। এর কচিপাতায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড। পাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজ দেয়।

তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে। তবে তা দেহের কোষে নয়, রক্তে। এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
দেখা যায়, পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। যদি পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে এবং বদহজম হয়, তাহলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হয়। আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।

প্রয়োজনে টমেটোর সসের পরিবর্তে তেঁতুলের সস বা আচার খাওয়া যেতে পারে। যদি তেঁতুলের সঙ্গে রসুনবাটা মেশানো যায়, তাহলে রক্তের চর্বি কমানোর কাজে ভালো ফল দেয়।
 সূত্র:shorir

Labels:

আমলকীর পুস্তি গুণ

আমলকী অনেক পুষ্টিকর একটি ফল। যা আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায় এবং সর্বত্র। আমলকীর ফল থেকে শুরু করে পাতা ও ছাল ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার জন্য উপকারি।

আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা, শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন মিটাতে সক্ষম। ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে যেসব রোগ হয় যেমন স্কার্ভি,মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকী খেলে উপকার পাওয়া যায়। আমলকী খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এছাড়া লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

হার্টের রোগীর জন্য আমলকী খুবই উপকারি রোগীরা আমলকী খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকী খেলে তৃষ্ণা মেটে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে। আমলকী খেলে মুখে রুচি বাড়ে।এছাড়া আমলকী ক্ষুধা বাড়ায় ও শরীর ঠাণ্ডা রাখে। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশির জন্যও খুবই উপকারী। পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকী খেলে উপকার হয়। বারবার বমি হলে শুকনো আমলকী এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টা দুই পর সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
আমলকী ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি একটি ফল। নিয়মিত আমলকী খেলে ব্রণের দাগ দূর করে সেইসঙ্গে দেয় সতেজ ও মসৃণ ত্বক। কাঁচা আমলকী বেটে চুলে লাগালে চুলের গোড়া শক্ত হয় সেইসঙ্গে অকাল পক্কতা দূর হয়। এছাড়া চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুলের রং কালো হয়। আমলকী বেটে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রাতে ভালো ঘুম হয় ও মাথা ঠাণ্ডা থাকে। রাতে আমলকী র সঙ্গে বহেরা ও হরতকী মিশিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরেরদিন সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিন থেকে চার গ্রাম শুকনো আমলকীর গুড়া এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে বহু মুত্র রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আমলকী বেটে তার সঙ্গে সাদা চন্দন ভালভাবে মিশিয়ে কপালে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪/৫ গ্রাম আমলকী পাতার রসের সঙ্গে পরিমান মতো চিনি মিশিয়ে একমাস খেলে চিরতরে অম্ল রোগ ভালো হয়ে যায়।
 সূত্র:shorir

Labels:

আলুর পুষ্টি গুন

আমাদের সবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার পছন্দের একটি সবজি আলু।নিয়মিত তা আমোরা কোন না কোন ভাবে গ্রহণ করে থাকি। মানবদেহের পুষ্টিগুণের দিক থেকে আলু যেমন উপকারি রুপচর্চায় ও অতুলনীয়।
আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করা রয়েছে। এতে একদিকে ভাতের চাহিদা পুরন করতে পারে, আবার সবজির মতো খাবার আঁশ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আছে।
আলু পুষ্টি উপাদানঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে
শর্করা ১৯ গ্রাম,
খাবার আঁশ ২.২ গ্রাম,
উদ্ভিদ প্রোটিন ২ গ্রাম,
খনিজ লবণ ৪২.০ গ্রাম,
পটাশিয়াম লবণ ৫২.০গ্রাম এবং
ভিটামিন ০.২ গ্রাম রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
আলু শরীরের ভেতরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আলুতে থাকা ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি আমাদের শরীরের দুর্বলতা সারাতে সাহায্য করে। আলুতে কোনো চর্বি বা ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ এতে আছে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। এই দু’টি খনিজ উপাদান হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। আলু রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী খাদ্য। আবার এক ধরনের প্রোটিনেস ইনহিবিটর থাকায় এটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। নিয়মিত আলু খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া থাকে না। আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। তাই শারীরিক ব্যয়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য। আলু কম মাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত, প্রায় ফ্যাটমুক্ত ও সহজে হজমযোগ্য । আলুকে বলা হয় স্কার্ভি ও রিউমেটিক প্রতিরোধক। আলুর প্রোটিন কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়রিয়া হলে আলু খেলে সহজে ঘাটতি পূরণ হয় এতে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকার কারণে। শিশুদের জন্য আলু খুবই সহায়ক খাদ্য।
রুপচর্চা:
আলুতে জিংকসহ অন্যান্য উপাদান থাকায় তা ত্বকের যত্নে বিশেষ উপযোগী। আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখ ও শরীরে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের দাগও দুর করে। বিভিন্ন ধরনের ব্রণ নির্মূলেও বিশেষ সহায়ক।

Labels:

বেগুনের উপকারিতা


বেগুন একটি মৌষমি সবজি। এটি সাধারণত শীতের সময়ে বেশি পাওয়া যায়। বেগুন সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। সহজলভ্য ও সারা বছরই মেলে এটি। মধ্য যুগে ইউরোপে যেসব বেগুন পাওয়া যেত সেগুলোর আকৃতি অনেকটাই মুরগির ডিমের মতো ছিল। এ কারণেই বোধহয় ইংরেজিতে বেগুনের নাম এগপ্ল্যান্ট। খোসাসহ বেগুন অনেক সময় তেতো স্বাদের হয়। এর কারণ, এর বয়সকাল অর্থাৎ খুব বড় হয়ে যাওয়া। তাই তাজা, টাটকা এবং কচি বেগুন খাওয়া ভালো। এতে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দুটোই ঠিক থাকে। উল্লেখ্য, বেগুনের ত্বক পুষ্টি উপাদানের একটি ভালো উৎস। তাই বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে রান্না করা উচিত নয়। সুস্বাদু এই সবজিটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

বেগুনের উপকারিতাঃ
– বৃষ্টি-বাদলার এই মৌসুমে সর্দি, কাশি, কফ দূর করে বেগুন।
– বেগুনের ফোলেট রক্ত গঠনে এবং এর পটাশিয়াম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বেগুনের উদ্ভিজ্জ আমিষ শরীরের হাড় শক্ত করে।
– ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এডমা (Edma) প্রতিহত করে। প্রতিহত করে দেহের সাধারণ ব্যথা।
– বেগুনে নাসুনিন নামে একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়। মস্তিষ্কের রক্তে অঙ্েিজনের মাত্রা ও সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় ফলে কর্মোদ্দীপনা বাড়ে।
– কম ক্যালরি-সমৃদ্ধ বলে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা খাদ্য তালিকায় বেগুন যোগ করতে পারেন।
– বেগুনে রয়েছে উচ্চমাত্রার আঁশ। তাই এটি বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
– চার সপ্তাহ বা এরও কম সময়ে বেগুন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে।
– বেগুনের অ্যান্টি-ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য আছে, ফলে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায় এবং দেহকে নির্বিষকরণে সহায়ক। এটি ত্বকের ক্যান্সার রোধেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
– যেসব মহিলা নিয়মিত শাকসবজি, বিশেষত বেগুন খান তাদের ঋতুস্রাবের সমস্যা হয় তুলনামূলকভাবে কম।

বেগুনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

কাঁচা বেগুন খাওয়া উচিৎনয়, তাতে পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তা দের জন্য বেগুন ভীষণ ক্ষতিকর। এছাড়াও, যাঁরা আর্থ্রাইটিস বা সন্ধিপ্রদাহে ভুগছেন, বেগুন তাঁদের জন্য ক্ষতিকর। বেগুন অনেকের গলদেশ ফোলা, বমি ভাব, চুলকানি এবং চামড়ার ওপর ফুসকুড়ির সমস্যা তৈরি করে থাকে। তাই মায়েদের উচিত বেগুন খাওয়ানোর সময় বাচ্চাদের ওপর এর প্রভাব লক্ষ করা।

Labels:

তরমুজরে গুণাবলী

তরমুজ সাবারি পছন্দনীয় একটি ফল। তবে গরমের মধ্যে এর কদর একটু বেশি থাকে।তরমুজ সাধারণত প্রচুর মিষ্টি হয়ে থাকে। মিষ্টি ও ঠাণ্ডা প্রকৃতির এই ফলটি গরমের দিনে দেহের তাপ কমায়, তৃষ্ণা ও ঘাম নিবারণ করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং শারীরিক উদ্দীপনা বাড়ায়। এর বিভিন্ন ভিটামিন দেহের নানা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। তরমুজের পটাশিয়াম দেহের প্রতিটি কোষের অভ্যন্তরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। তরমুজের রসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন-
– এ ফলটি দেহের পানির ঘাটতি দূর করে।
– তরমুজ জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি কমায় এবং যক্ষ্মা নিরাময়ে সাহায্য করে।
– পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তরমুজ প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, পেটের আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
– তরমুজের শরবত টাইফয়েড জ্বরের তীব্রতা কমাতে এবং জ্বর-পরবর্তী অস্থিরতা ও ক্লান্তি দূর করে।
– তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ‘বি’। এ উপাদানগুলো দেহের রোগ-জীবাণু ধক্ষংস করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
– দেহের তাপ কমায়, তৃষ্ঞা ও ঘাম নিবারন করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং শারীরকি উদ্দীপনা বাড়ায়।
– এর বিভিন্ন ভিটামিন দেহের রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
– তরমুজের পটাসশয়াম দেহের প্রতিটি কোষের অভ্যন্তরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে।
– গ্রীষ্মের রোদে ঘুরে জ্বর এলে তরমুজের রস খেলে জ্বর দ্রুত নেমে যায়।
– তরমুজের রস খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর হয়।
– ঘন ঘন টক ঢেঁকুর বন্ধ করতে তরমুজের রসে গোলমরিচ গুঁড়ো, সৈন্ধব লবন, ও বিট লবন মিশিয়ে খেতে পারেন।

Labels:

টমেটোর পুষ্টি গুন


টমেটো একটি সবজি হিসাবে।তা আমরা প্রতিদিনি কোন না কোন কিছুর সাথে খেয়ে থাকি যেমন- খাই কাঁচা, সালাদে। আর রান্না করে তরকারিতে। টমেটো ঈষত্ টক। তবে যে জাতের টমেটো পানিতে ডুবে যায় সেগুলো একটু মিষ্টি জাতের। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে: ভিটামিন এ ১০০০ আই ইউ, ভিটামিন- সি ২৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৬ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৬০ মিলিগ্রাম, এবং প্রোটিন ১ গ্রাম। আছে নিকোটিনিক এসিড ও প্রচুর গ্লুটামিক এসিড (৮৬-১৪০ গ্রাম)। একশো গ্রাম টমেটো থেকে শক্তি পাওয়া যায় প্রায় ২০ ক্যালরি। টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। টমেটো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর ভিটামিন-এ ত্বককে সুন্দর রাখে। ভিটামিন সি স্কার্ভি প্রতিরোধ করে। ভিটামিন কে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। নিকোটিনিক এসিড রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, তাই হূদরোগ প্রতিরোধে টমেটো সহায়ক। গ্লুটামিক এসিড মস্তিস্ককে রাখে সুস্থ। টমেটোর পটাশিয়াম স্ট্রোক প্রতিরোধে কার্য়করী। হনলুলুর কুইন্স মেডিকেল সেন্টারের নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের ডাঃ দেবোরা এম গ্রীন এক গবেষণায় দেখেছেন, খাদ্যে পটাশিয়াম কম থাকলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি। যে সব লোক দৈনিক ২.৪ গ্রামের চেয়ে কম পটাশিয়াম খান তাদের, দৈনিক ৪ গ্রামের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম গ্রহণকারীদের তুলনায় স্ট্রোকের সম্ভাবনা দেড় গুণ বেশি। ‘লাইকোপিন’ নামক এক ধরনের শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে টমেটোর রং লাল। টমেটোর ন্যায় এত অধিক লাইকোপিন আর কোন ফল বা সবজিতে আছে বলে জানা নাই। লাইকোপিন শরীরের ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে নষ্ট করে দিয়ে কোষগুলোকে হেফাজত করে। লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। জরায়ুর মুখ, প্রষ্টেট, বৃহদন্ত্র, মলাশয়, পাকস্থলি, গ্রাসনালী, ইত্যাদি অংঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো সহায়ক বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ। লাইকোপিন শরীরে তৈরি হয়না, তাই বাইরে থেকে এর সরবরাহ প্রয়োজন। সুতরাং টমেটো আমাদের চাই-ই। রান্নায় লাইকোপিন নষ্ট হয়না, বরং বাড়ে। তাই টমেটো তরকারীতে দিয়ে রান্না করে খাওয়ায়ও বাড়তি উপকার। দৈনিক কয়টা টমেটো খেলে এসব উপকার পাওয়া যাবে? এক গ্লাস রস হয়- এই পরিমাণ। অর্থাত্ দিনে তিন থেকে চারটি টমেটো তো লাগবেই।

Labels:

ডিম থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়ার কিছু পরামর্শ

ডিম আমাদের অনেকেরি প্রিয় খাবার। মোটা মুটি আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম থাকেই। ডিমে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিছু কিছু অসচেতনতার ফলে আমোরা ডিমের পর্যাপ্ত পুষ্টি ধরে রাখতে পারিনা। কীভাবে ডিমের পর্যাপ্ত পুষ্টি ধরে রাখা যায় এর কিছু পরামর্শ-

– ডিম কড়া সিদ্ধ খাবার চাইতে আধা সিদ্ধ বা পানি পোঁচ খাওয়ান বাচ্চাদের। এতে পুষ্টি বেশি পাওয়া যাবে।
– অনেক সময়েই ডিমের খোসা ছিলতে গেলে ভেঙ্গে যায় ডিম, খোসার সাথে সাদা অংশটাও উঠে আসে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দেবেন ডিম সিদ্ধ এর পানিতে।

– ডিমের সরু অংশটা উপরের দিক করে ডিম রাখুন কেসের মাঝে। ডিম ভালো থাকবে অনেকদিন।
– অমলেট করার সময় সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে দিতে পারেন। অমলেট নরম আর ফুলকো হবে।
– রুক্ষ চুলের জন্য ডিম অসাধারণ এক প্রোটিন প্যাক। কেবল ফেটিয়ে নিয়ে চুলে মাখুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

– ডিমের সমস্ত ক্যালরির বেশিরভাগ থাকে তার কুসুমে। একটা ডিমের সাদা অংশে মাত্র ৫০ ক্যালোরি।
– চুনের পানিতে ডিম চুবিয়ে রাখলে ডিম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। ফ্রিজে রাখলে থাকে আরও বেশিদিন।
– ডিম পোঁচ করার সময় তেলের মাঝে আগে একটু লবণ দিন, তারপর ডিম। তাহলে আর প্যানে লেগে যাবে না।
– সিদ্ধ ডিম তেলে ভাজার সময় কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচে নিন। নাহলে ফুটে উঠে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
– আগুনে পুড়ে গেলে সাথে সাথে ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে দিন। আরাম তো হবেই, ফোসকা পড়বে না এবং দ্রুত সেরেও যাবে।

Labels:

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা

মিষ্টিকুমড়া আমাদের সবারি অনেক পরিচিত সবজি।যা আমোরা অনেক সহজ ভাবে পেয়ে থাকি। কাঁচা ও পাকা মিষ্টিকুমড়া সারা বছর মিষ্টিকুমড়ার যত গুণ সব পাওয়া যায়।তবে কাঁচা অপেক্ষা পাকা মিষ্টিকুমড়ার চাহিদা বেশি।পাকা মিষ্টিকুমড়া রান্না করলেও স্বাদ মিষ্টই থাকে।চিকিৎসকদের মতে, এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে।বিটা ক্যারোটিনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভিটামিন ‘এ’তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের জন্য খুবই উপকারী।

এটা ফাইবার ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ।আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন।ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ।পুষ্টিবিদরা বলেন,মিষ্টিকুমড়া রান্না করলে অধিক পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড ও ভিটামিন পাওয়া যায়। কারণ রান্না করলে এর জলীয় অংশ চলে যায়। মিষ্টিকুমড়া কেটে এর সাথে কনডেন্স দুধ মিশিয়ে পুরি তৈরি করে খাওয়া যায়। এতে পুষ্টি একটুও কমে না।তা ছাড়া তা সেদ্ধ করে পিষে ঝাল মসলা দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়।শিশুদের পুষ্টি সরবরাহে মিষ্টিকুমড়া বিশেষ ভূমিকা রাখে।

-মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।
-মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। বিটাক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি তাই চোখের জন্য খুবই ভালো।
-মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি নেই।

-মিষ্টি কুমড়াতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। তাছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ দূরে রাখে।
-মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

Labels:

আমড়ার পুষ্টিগুণ

আমড়া আমাদের দেশের একটি সুপ্রিয় ফল।যা অনেক সহজেই আমাদের দেশে পাওয়া যায়। আমড়াতে রয়েছে অনেক পুষ্টি যা প্রায় তিনটি আপেলের পুষ্টির সমান। আপেলের চাইতে আমড়াতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ বেশি রয়েছে।

 পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী আমড়াতে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো-
শর্করা ১৫ গ্রাম,
আমিষ ১ গ্রাম,
চর্বি ১০ গ্রাম,
ক্যালসিয়াম ১৫৫ মিলিগ্রাম,
আয়রন ৩৯মিলিগ্রাম,
ক্যারোটিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম,
ভিটামিন বি১০ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন বি ২০ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন সি৯২ মিলিগ্রাম,
অন্য খনিজ পদার্থ ৬০ গ্রাম,
খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি।

আমড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। ভিটামিন সি দেহের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। এ রোগে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, দাঁতের গোড়া থেকে পুঁজ ও রক্ত পড়ে, মাড়িতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, খাবার খেতে অসুবিধা হয়, অকালে দাঁত ঝরে যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস ইনফেকশন, সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় ভিটামন সি অত্যন্ত উপকারী। ক্যালসিয়ামের অভাবে মাংশপেশিতে খিঁচুনি হয়, শিশুদের দৈহিক গঠন দুর্বল হয়। আমড়াতে প্রচুর আয়রন থাকায় রক্ত স্বল্পতায় খেলে এর অভাব পূরণ হয়।

আমড়ার পুষ্টিগুণ ছাড়াও কিছু ভেষজগুণ রয়েছে। আমড়া পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে অরুচিভাব দূর হয়। মুখে রুচি ফিরে আসে, ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। বদহজম ও কোষ্ঠ- কাঠিন্য রোধে আমড়া উপকারী। কাঁচা আমড়া গুঁড়ো মরিচ, লবণ ও মসলা দিয়ে খাওয়া হয় বা অত্যন্ত মুখরোচক এবং এতে ভিটামিন।

সি পুরোপুরি পাওয়া যায়। আমড়া খেলে পাকস্থলী সুস্থ থাকে। আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং খাদ্যে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং ই এর সাথে হয়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে যা ক্যান্সারসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।

Labels:

কাঁচা মরিচের উপকারিতা


কাঁচা মরিচ খুব সহজ লভ্য ও অনেক পুষ্টিকর সবজি। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ঝাল আছে। ক্যাপসিকাম অ্যানাম জাতের একটি সবজি হলো এই কাঁচা মরিচ। আমাদের এই উপমহাদেশের বাইরে মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকায় এর সবচেয়ে বেশি কদর। খাবারে স্বাদ আর ঝাঁজ আনতে কাঁচা মরিচের তুলনা নেই।

আমোরা নিয়মিত কোনো না কোনো ভাবে তা গ্রহণ করে থাকি। আর যাদের ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মরিচকে ঝাল ক্যাপসাইকিন উপাদান উৎপন্ন করে। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।

কাঁচা মরিচের যে সব উপকারিতা রয়েছে-

-কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
-নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
-গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।
-প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
-নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
-কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
-কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
-কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
-কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
-নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
-প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
-কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
-কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী।

Labels:

পেঁপের নানা গুণাবলী


কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের পেঁপেই শরীরের জন্য উপকারী। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন ও কাইমোপ্যাপেইন নামের প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এ উপাদান আমিষ ভাঙতে ও হজমে সাহায্য করে। তাই গরু, খাসি বা মুরগির মাংসের সঙ্গে কাঁচা পেঁপে বা রান্না করা পেঁপে খেলে বদহজম কম হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। মাংস রান্নায় পেঁপের ব্যবহারে চর্বির পরিমাণও কমায়।

প্রচুর ভিটামিন এ ও সি রয়েছে পাকা পেঁপেতে। ভিটামিন এ ও সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যুদ্ধ করে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে, দাঁত, চুল, ত্বকের সুরক্ষা করে। তা ছাড়া কেরোটিন, ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভোনয়েড হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার ও হূদেরাগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর ফলিক অ্যাসিড হোমোসিস্টিনকে ভেঙে হূদেরাগের ঝুঁকি কমায়। পেঁপে এমন একটি ফল, যাতে কোলেস্টেরল ও চর্বির পরিমাণ প্রায় শূন্য শতাংশ।

পেপের কিছু ঔষধি গুণ
১.কাঁচা পেঁপে বা পেঁপে গাছের আঠা পেটের অসুখ, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।

২.প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এবং রাতে ভাত বা রুটি খাওয়ার পর এক টুকরা কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে   খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়।

৩.যেসব মায়ের সদ্য বাচ্চা হয়েছে কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে তাদের স্তনের দুধ বাড়বে।

৪.কাঁচা পেঁপের আঠা বা দুধের আর একটি গুণ হলোÑ হজম সম্পর্কিত যে কোনো অসুখেই এটি কাজ দেয়।

৫.আমাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার অদ্ভুত শক্তি আছে কাঁচা পেঁপের আঠায়।

Labels:

মানব দেহের পুষ্টি পূরণে কলা

কলা পুষ্টিকর একটি ফল।এটি আমোরা সারা বছর কমবেশি পেয়ে থাকি। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরীর একটি ভাল উৎস। এতে কঠিন খাদ্য উপাদান এবং সেই সাথে পানি জাতীয় উপাদান সমন্বয় যে কোন তাজা ফলের তুলনায় বেশি। একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশী শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। এই শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। গবেষকরা জানান, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে দেহে পটাসিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও দেহে পটাসিয়ামের আদর্শ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও। আর এই উপকারী পটাসিয়াম কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে। গবেষকরা দেখেছেন, একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাওম পটাসিয়ামের যোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে ১০ লাখ মানুষ।

 নিম্নে কলার কিছু পুষ্টি গুন উপস্থাপন করা হলো-
১. কলাতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ রয়েছে।
২. এর মধ্যে সামান্য আমিষ, কিঞ্চিত ফ্যাট, পর্যাপ্ত খনিজ লবণ ও যথেষ্ট আঁশ রয়েছে। খনিজ লবনের মধ্য আছে পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ।
৩. কলায় ভিটামিন এ, বি ও কিছুটা সি রয়েছ।
৪. একটি কলা প্রায় ১০০ ক্যালোরির শক্তির যোগান দেয়।
৫. কলায় রয়েছে হজম যোগ্য শর্করা, যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তি দুর করতে সহায়ক।
৬. কলা হজমে সাহায্য করে।
৭. গ্রাষ্টিক ও আলসারের রোগীদের জন্য কলা ভীষণ উপকারী।
৮. কলা কোষ্ঠকাঠিন্য, পাতলা পায়খানা দুরকরতে উপযোগী।
৯. কালা রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
১০. বাতের ব্যথা নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Labels:

অতিরক্ত শক্তি পাওয়া যাবে এমন কিছু খাদ্য

জিঙ্ক সমৃদ্ধ এবং  ভিটামিন বি ও অত্যাবশ্যক ফ্যাটি খাদ্য খাবেন, যা যৌন হরমোন উৎপাদন ও প্রজনন ফাংশন জন্য প্রয়োজনীয়।
কাজুবাদাম
ওমেগা -3 চর্বির জন্য একটি চমৎকার উৎস, যা টেসটোসটের, উর্বরতা এবং একটি সুস্থ যৌন ড্রাইভ উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।
কলা
প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন এবং পটাসিয়াম পাওয়া যায়।যা পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে সুস্থ কামশক্তি জন্য এবং প্রয়োজনীয় সেক্স হরমোনের উৎপাদনের সহায়তা করে।
আভাকাডো
ফলিক অ্যাসিড, B6 এবং পটাসিয়াম, পুরুষের প্রয়োজনীয় সকল হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কামশক্তি উন্নত থাকে।
ঝিনুক
জিঙ্কের, যা টেসটোসটের জড়িত কি পুষ্টির একক, শুক্রাণু উত্পাদন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এর একটি সমৃদ্ধ উৎস।
কুমড়ো বীজ
দস্তা ও ওমেগা -3 চর্বি এর মধ্যে সমৃদ্ধ,দুই অত্যাবশ্যক পুষ্টি টেসটোসটের উৎপাদন ও প্রজনন স্বাস্থ্য জন্য প্রয়োজনীয়।

Labels:

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রনকারী ৫টি ভালো খাবার

একটি সুপরিচিত খাদ্য  তালিকা সব বয়সের মানুষের চাহিদা মেটাতে পারে। সেরা খাদ্য তালিকা সব বয়সের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করে। একটি সেরা খাদ্য তালিকা সবার থাকা প্রয়োজন যা কিনা যেকোনো রোগ প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করে। কেউ যদি একটি সুখী এবং সুস্থ স্বাস্থ্য  পেতে চায়, তাহলে তাকে সুষম খাদ্য ধারণকারী খাবার খেতে হবে। সুষম খাদ্য ধারণকারী অনেক ধরনের খাবার আছে। তারমধ্যে ৫টি খাবার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হচ্ছেঃ

শাকসবজিঃ সমস্ত সুষম খাদ্য খাবারের মধ্যে শাকসবজি সবার চেয়ে ভালো। শাকসবজির মধ্যে প্রচুর পরিমানে  পুষ্টি রয়েছে। এটি যে কারো জন্য খুবই অপরিহার্য কারন ইহা যে কোন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি  থাকে যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, প্রোটিন, ভিটামিন ডি। এই পুষ্টি আমাদের শরীরের অনেক ধরনের অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। সুষম খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখা একটি ভালো উপায়।

গোশতঃ গোশত প্রোটিনের প্রয়োজনে একটি আদর্শ খাদ্য। এটা একটি মানুষের  পেশী, অঙ্গ ও হাড়ের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা হয়। গোশত এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রোটিনের পরিমাণ উপলব্ধ করা যায়। এটা শুধু  পেশী গঠনে করতে না বরং এটি অনেক রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে থাকে। এটি একটি মানুষকে তার দেহের রক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। সুতরাং, সবার অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে  গোশত গ্রহন করা উচিত।

দুধঃ পুষ্টি পাওয়ার অন্য উপায় হল দুধ পান করা। দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমানে  পুষ্টি রয়েছে।এটি মানুষের জন্য একটি ভাল সুষম খাদ্য পেতে অবদান রাখে। দুধ শরীরের গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে ভিটামিন সব ধরণের সঙ্গে প্রয়োজন বোধ করা হয়। দুধ গ্রহণ করার ফলে শরীরের গঠন বা মস্তিষ্ক পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। তাই, কারোর দৈনন্দিন দুধ ছাড়া খাদ্য গ্রহণ করা উচিত  নয়।

মাছঃ খাবারের সাথে মাছ গ্রহন করা ভালো। মাছ গ্রহণ করে বিপুল পরিমানে পুষ্টি পাওয়ার আরেকটি উপায় হল মাছ গ্রহণ করা। মাছের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন থাকে যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, ডি।এই সব ভিটামিন ছাড়া মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ছোট মাছ বড় মাছ থেকে বেশী পরিমান পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। তাই, সবার প্রতিদিন খাবারের সাথে অবশ্যই মাছ গ্রহন করা দরকার।

ফলঃ অধিকাংশ ভিটামিন বিভিন্ন ধরণের ফলের মধ্যে বিদ্যমান। ফল মানুষের জন্য অনেক পুষ্টি প্রদান করতে পারে। অনেক পুষ্টির মধ্যে  যেমন প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, দস্তা, লোহা এগুলো ও বিদ্যমান।এই পুষ্টি একটি মানব দেহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ফল যেমন আপেল, কমলা, আম কলা এই সব মানুষের শরীরের কার্যক্রম ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য খুব দরকারী।অনেক ধরণের রোগ আটকাতে অনেক ধরনের ফল গ্রহণ করা উচিত। একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ১৫০ গ্রাম ফল গ্রহণ করা প্রয়োজন। ফল গ্রহণ করে একজন মানুষ সুষম খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
সব শেষে বলা যায় যে, বিভিন্ন ধরণের প্রোটিনযুক্ত খাবার একটি সুষম খাদ্য তালিকা বজায় রাখার জন্য সহায়ক। উপরে উল্লেখিত খাবার মানুষের যেকোনো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

Labels:

গর্ভবতী-মায়ের-খাদ্য

আমাদের দেশে গুরুজনরা বলে থাকেন মহিলাদের গর্ভবতী অবস্থায় একজনের নয় বরং দুজনের জন্য খাবার খেতে হয়। নারীর পূর্ণতা মাতৃত্বে। গর্ভকালীন সময় প্রতিটি মেয়ের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময়ে নিজের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বজায় রাখা ও গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য, গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি চাহিদা বৃদ্ধি পায়। হ্যাঁ, কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনাদের দুজনের জন্য আপনি কী খাবেন? প্রতিদিন আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল খেতে হবে।

মায়ের সব ধরনের খাদ্যই একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত।এছাড়া গর্ভবতী হওয়ার আগে থেকেই আপনার স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি প্রিন্যাটাল ভিটামিনসমৃদ্ধ (গর্ভকালীন চাহিদাকৃত ভিটামিন) খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাই পরিবারের সবাইকে গর্ভবতী মায়ের খাবার দাবারের দিকে নজর রাখতে হবে। স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী খাবার ও কমপক্ষে ২ঘন্টা বিশ্রাম নিতে দিতে হবে। প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন-শস্য, আলু, তেল ইত্যাদি একটু বেশি খেতে হবে।

এছাড়া ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন ব্রকলি (এক ধরনের সবুজ ফুলকপি) ও কম স্নেহযুক্ত দুধ প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। এতে বাড়ন্ত ভ্রূণের বা শিশুর হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধি সাধিত হবে। তাছাড়া চর্বিবিহীন মাংস যেমন মুরগির মাংস নিয়মিতভাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। গর্ভকালীন নিম্নোক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত-কাঁচা মাছ, অপাস্তুরিত দুধ এবং পনির জাতীয় খাবার। কেননা এসব খাবারে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা গর্ভাশয়ে প্রবেশের ফলে ভ্রূণের ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রামক রোগ এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। এছাড়া অর্ধসিদ্ধ মাংস দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ জাতীয় খাবারে লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়া থাকার আশঙ্কা থাকে বিধায় তাও পরিহার করা উচিত।
মনে রাখতে হবে, গর্ভকালীন সময়ের প্রথম তিন মাস ভ্রুনের বৃদ্ধি খুব সামান্যই হয়। এ সময়ে পুষ্টি চাহিদার পরিমাণ খুব বেশি থাকে না। তবে মায়ের প্রথম থেকেই পুষ্টি সচেতন হওয়া উচিত। গর্ভবতী মায়ের যত্নে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারের সবাইকে। প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন-শস্য, আলু, তেল ইত্যাদি একটু বেশি খেতে হবে।

গর্ভকালীন সময়ে মোট ওজন ১০-১২ কেজি পর্যন্ত বাড়তে পারে। এসময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
এছাড়া অন্যান্য খাদ্যের মধ্যে প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ খেতে হবে।
পর্যাপ্ত শাক সবজি এবং ফল খেতে হবে। ডিম, মাছ, ডাল, মাংস, লৌহ ও ফলিক এসিডের জন্য কলিজা এবং সামুদ্রিক মাছ খাওয়াও প্রয়োজন।
অন্য ফলের পাশাপাশি বাদাম এবং শিমের বিচি খেতে হবে। খাদ্য তালিকায় সব ধরনের খাবারই পর্যায়ক্রমে রাখতে হবে। সব সময় দামী খাবার থেকেই পুষ্টি পেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সাধারন খাবারের মধ্যেও যথেষ্ট পুষ্টিগুন থাকে।
মনে রাখতে হবে, গর্ভকালীন সময়ে মায়ের যত্নের ওপরই নির্ভর করে ভবিষ্যতের শিশুর সুস্থতা।


সূত্র: shorir

Labels:

নিমপাতার ঔষধিগুন


নিমপাতার ঔষধিগুন স্বাস্থ্য এবং রুপচর্চায় খুবই উপকারী এবং তা খুব সহজে ব্যাবহার করা যায়। নিমপাতাকে শহুরে লোকেরা অনেকটা উপেক্ষা করলেও এটি ৪ হাজার বছরের বেশী সময় ধরে আয়ুর্বেদ-এ ব্যাবহার হয়ে আসছে।

পানি বিশুদ্ধকরণঃ দুই লিটার পানির মধ্যে ৫০টি নিমপাতা সিদ্ধ করতে হবে। পাতাগুলো নরম ও বিবর্ণ না হওয়া পর্যন্ত পানি ফুটাতে হবে। পানি সবুজ রং ধারণ করলে নামিয়ে বোতলে ঢেলে রাখতে হবে। প্রতিদিন গোছলের পানিতে ১০০মিলি পরিমাণের নিমপাতার পানি মিশিয়ে গোছল করলে চামড়ার ইনফেকশন দূর হবে। এছাড়া ব্রণ এবং হোয়াইট হেডস দূর হবে।

স্কিন টোনারঃ নিমপাতা স্কিন টোনার হিসেবেও ব্যাবহার করা যায়। প্রতিরাতে তুলার নরম বল নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এতে ব্রণ, ক্ষত চিহ্ন, মুখের কালো দাগ দূর হবে। একইভাবে চুলে ব্যাবহার করলে খুশকি এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হবে।

ফেসপ্যাকঃ ১০টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলা খোসা ছাড়িয়ে অল্প পরিমাণ পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। উপকরণগুলো মসৃণ করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ পেস্টে মেশাতে হবে। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিনবার ব্যাবহার করা যাবে। এটি ত্বকের ব্রুণ, কালো দাগ, চেহারায় ক্ষতের গর্ত দূর করবে। মধু এবং নিম উন্নতমানের ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

কন্ডিশনারঃ নিমপাতা সিদ্ধ পানি ও মধুর একটি পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান। এটি একটি ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া খুশকি দূর করতেও কাজে লাগে।
চিকিৎসাঃ শরীরে ব্যাথা, কেঁটে গেলে, পুড়ে গেলে, কান ব্যাথা, মচকানো, মাথা ব্যাথা, জ্বর কমাতে নিমপাতা ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

নিমের শিকড়ঃ নিমগাছের বাকল ও শিকড় ঔষধি গুণসম্পন্ন। চুলের উকুন ও খুশকি দূর করতে এসব ব্যাবহার করা যায়। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। চামড়ার ইনফেকশন রোধে এছাড়া ব্রুণ, চুলকানি ও এলার্জি রোধে নিমপাতা কার্যকর।

নিমের প্রসাধনিঃ নিমের তেল, সাবান, ট্যালকম পাউডার, শ্যাম্পু, লোশন, ক্রীম, টুথপেস্ট, পাতার ক্যাপসুল বেশ প্রচলিত পণ্য। নিমের এসব পণ্য ত্বককে মসৃণ করে ও ইনফেকশনের হাত থেকে দূরে রাখে।

Labels:

ব্রনের দাগ দূর করার ৮ টি সহজ উপায়


ব্রন খুবই অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। কম বেশি সবাই এ সমস্যায় ভোগেন। তবে মুখে ব্রন উঠে যতটা না অস্বস্তিতে ফেলে তার থেকে বেশি অস্বস্থি হয় যখন ব্রনের দাগ মুখে গেড়ে বসে। আর তখনই ভর করে দুশচিন্তার। যার কারনে ব্রনের প্রকপ আরও বেড়ে যায় এবং তার থেকে সৃষ্টি হয় দাগের। তাই ব্রন ও ব্রনের দাগের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ব্রনের দাগ দূর করার সহজ ৮ টি উপায়। চলুন জেনে নেই ব্রনের দাগ দুর করার উপায়গুলি -

১. ব্রনের দাগ দূর করতে মধু একটি কার্যকারি উপাদান। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে মধু লাগান। সারারাত তা রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে তা ধুয়ে ফেলুন।

২. মধুর সাথে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে শুধুমাত্র দাগের উপর লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে সারারাতও রাখতে পারেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মুখের দাগ দূর হয়ে গোছে।

৩. ২-৩ টি এস্পিরিন ট্যাবলেট এর সাথে ২ চামচ মধু ও ২-৩ ফোঁটা পানি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এস্পিরিন এর স্যালিসাইলিক এসিড ব্রণের দাগ দূরের জন্য খুবই সহায়ক।

৪. ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য পানি একসাথে মিশিয়ে মুখে ২-৩ মিনিট ঘষুন এবং শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে এর উপর কোনও ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা অলিভ অয়েল লাগান। সপ্তাহে অন্তত দু'দিন এটি ব্যাবহার করুন, ভালো ফল পাবেন।

৫. দিনে দুইবার অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধুমাত্র ব্রণের দাগই দূর করবে না, বরং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং টানটান হবে।

৬. একটি লাল টমেটোর কিছু অংশ নিয়ে তার রস নিন। এরপর তা শশার রসের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ বার এই প্যাকটি লাগান। ব্রণের দাগ দূর তো হবেই সেই সাথে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৭. লেবু একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে একটি তুলার বলের সাহায্যে তা মুখে ৩-৪ মিনিট ঘষুন। যদি সেনসিটিভ স্কিন হয় তাহলে এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিবেন। সম্ভব হলে ১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

৮. ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ আমন্ড তেল, ২ টেবিল চামচ দুধ একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। একটানা ৭-১০ দিন এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্রণ থাকা অবস্থায় দুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

সূত্র: বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels: ,

মধুর মাধুর্য

"মধু মাখা মুখ",কিংবা "মধুর বচন" আমাদের দেশে খুব প্রচলিত কথা। এর মানে হল,বাল্যকালে যে যত বেশী মধু খাবে, তার বচন তত মিষ্ট হবে।
এটা আমাদের দেশের একটা প্রতিষ্ঠিত গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। আজকাল এই আজব ধরনের গুজবটি নিয়ে আমাদের আধুনিক মন্য চিকিৎসক ও মধুপ্রেমী নানী দাদীদের মতবিরোধ কিছুটা সাংঘর্ষিক পর্যায়ে চলে গেছে।
সদ্য জন্মানো শিশুটিকে চিকিৎসক যখনি মধু খাওয়াতে মানা করবেন,অমনি ইনারা পণ করে বসবেন,যে করেই হোক খাওয়াতেই হবে। আর এই মতবিরোধের অবসান ঘটাতে হলে জানতে হবে মধুর প্রাকৃতিক গুন,উপকারী ও অপকারী দিকগুলো সম্পর্কে। চলুন জেনে নেয়া যাক দেহের জন্যে উপকারী মধুর কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়.....

১.মধু সংগ্রহের সময় বিভিন্ন বিষাক্ত ফুলের মধুও চলে আসে। আবার এতে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনাও থাকতে পারে। অপেক্ষাকৃত বড় শিশু এবং বয়স্করা এটির প্রতিরোধ
ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সদ্যজাত শিশুর মাঝে তা থাকে না। তাই সহজেই এতে আক্রান্ত হয়ে যায়। তাই এক বছর বা তার কমবয়সী শিশুকে মধু দেয়া উচিত নয়।

২.একটি গবেষনায় দেখা যায় যে,মধু সর্দি কাশির জন্য খুবই উপাদেয়। বিশেষ করে যে সমস্ত শিশুরা কাশির দমকে রাতে ঘুমোতে পারে না,তাদের উপর প্রয়োগ করে বিশেষ ফল পাওয়া গেছে।

৩.মধুতে পানির একটি অংশ থাকে যা মানবদেহের ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। তবে মনে রাখা ভাল,এক চা চামচ মধুতে ৬৪ কি.গ্রাম ক্যালরি থাকে। তাই অতিরিক্ত খাবার ফলে নানা সমস্যাও হতে পারে।

৪.এছাড়াও মধু নানা রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যেমন ব্যাকটেরিয়া জনিত কারনে যে সমস্ত হার্টের রোগ, আলসার,ক্যান্সার হয়ে থাকে সেগুলোর প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে মধু। আবার ডায়রিয়াকে দীর্ঘস্থায়ী হওয়া থেকে রোধ করে মধু।

৫.যদিও মধু প্রধান একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি জাতীয় খাদ্য,এতে ৬৯% গ্লুকোজ ও ফ্রাক্টোজ থাকে যা আপনার রক্তে চিনির পরিমান স্বাভাবিক রাখবে। সাধারন চিনি বা রোগীদের জন্য যে কৃত্রিম চিনি তার চাইতে বহুলাংশে স্বাস্থের জন্যে উপকারী হল মধু।

৬.এছাড়াও মধুতে ভিটামিন সি, কালসিয়াম ও আয়রন থাকে। ফলে মধু ক্ষত বা আঘাতজনিত ইনফেকশন রোধে সহায়তা করে।

৭.আয়ুর্বেদিক চিকিতসা হিসেবেও মধু ব্যাপক জনপ্রিয়। দুধ ও মধুর মিশ্রন ত্বক উজ্বল,মসৃন,ও ঝকঝকে হতে সাহায্য করে। মধু রান্না করে খাওয়া যায় কিনা,এ নিয়ে অনেকে অনেক সময় দ্বিধায় ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে রান্না না করাই শ্রেয়, কারন রান্না করার ফলে মধু এত আঠাল পদার্থে পরিনত হয়, যা হজমশক্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়।

সবচাইতে বড় কথা হল,মধু খাবার উপকারী দিক রয়েছে বটেই,কিন্তু তা বয়স সাপেক্ষে। আর মধু কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে কিনা।

নতুবা হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।

(তথ্যসুত্র :অয়েব এমডি ডট কম)

Labels: