Friday, April 10, 2015

নারীদের পার্শ্ববর্তী যৌনাঙ্গ নিয়ে কিছু কথা।




মহিলাদের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাইরে পুরুষের চেয়ে নারীর ব্যক্তিগত কিছু যৌনাঙ্গ রয়েছে, প্রথমত এটি হচ্ছে স্তন বা ব্রেস্ট নারীর স্তন যুগল এক সাথে নারীর ত্বকে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি যৌন জীবনে এবং মাতৃত্ব কালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে, নারীর নারীত্ব পূর্ণ মাত্রায় ফুটে উঠে তার স্তনের বিকাশের সাথে সাথে।

পুরুষের নারীর মতো স্তন নেই তবে স্তনের স্পর্শে পুরুষেও আবেদিত বা উত্তেজিত হয়। যৌন জীবনের প্রধান ভূমিকা রাখে নারীর স্তন, স্তনের স্পর্শের দ্বারা নারী সবচেয়ে মৌলিক এবং চূড়ান্ত যৌন উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

নারীর পার্শ্ববর্তী যৌনাঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে আবেদনশীল যৌনাঙ্গ হলো তার ভগাঙ্কুর। এটি নারীর বাইরের যৌনাঙ্গ ভগাঙ্কুর বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ভগাংকুরের দৈঘ্য এবং প্রস্থ সব নারীর এক রকম সমান নাও হতে পারে, তবে সব নারীর ক্ষেত্রে ভগাংকুরের স্পর্শের আনন্দ অপরিসীম।

ভগাঙ্কুর এর মাথা নরম চামড়ার দ্বারা বা ত্বকের আবৃত থাকে একে কিটোরাল হুড বা ভগাঙ্কুরের আবৃত মাথা বলা যেতে পারে, এই মাথাকে আস্তে সরিয়ে নিলে লালচে কিংবা সাদা যে নরম মাংসের ছোট পিন্ড দেখা যাবে সেটি হলো ভগাঙ্কুর।

নারী এখানে স্পর্শে আনন্দ অনুভব করে এই আনন্দ চরম পলকের মতো আনন্দ দিতে পারে, কোনো কোনো নারীকে দেখা যায় যে তারা যৌন মিলনের আনন্দের চাইতে ভগাঙ্কুরের স্পর্শে আনন্দ উপভোগ করে বেশি এবং জীবন ব্যাপী তারা যৌন আনন্দ এর মাঝে খুজে পায়।

ভগাঙ্কুরে যদি নিজ হাতে স্পর্শ করে শারীরিক আনন্দ পাওয়া যায় তবে তাকে হস্তমৈথুন বলা যেতে পারে কিন্তু স্বামির যৌন সঙ্গীর স্পর্শে উক্ত শারীরিক আনন্দ পেলে তাকে আউটার কোর্স বা বাইরের যৌনতা বলা হয়।

ভগাঙ্কুরের পরে নারীর পার্শ্ববর্তী যৌনাঙ্গের মধ্যে যৌনির মুখ এবং যৌনির ঠোঁটের ব্যাপারটি চলে আসে, নারীর যোনির অর্থাৎ যৌন মিলনের প্রধান অঙ্গের উপর ভাগে দুটো ঠোঁট থাকে এর একটির নাম ল্যাবিয়া ম্যাজোরা এবং অন্যটির নাম ল্যাবিয়া ম্যানোরা, ল্যাবিয়া ম্যাজোরা হলো অপোকৃত বড় ঠোঁটটির নাম এবং ল্যাবিয়া ম্যানোরা হলো অপোকৃত ছোট ঠোঁটটির নাম।

যৌন উত্তেজনার সময় যোনির এই দুটি ঠোঁট এমনিতে একটু ফাঁক হয়ে যায় বা সরে যায়, ভগাঙ্কুরের নিচে মূত্র নালীর একটি জায়গা আছে এখান দিয়ে নারীর মূত্র ত্যাগ করতে হয়, মোটা-মোটি নারীর পার্শ্ববর্তী যৌনাঙ্গের ধারণা হলো এমন নারীর এই পার্শ্ববর্তী যৌনাঙ্গের পুরো অঞ্চলটিকে বলা হয় ভাবলা এই অঞ্চলে প্রচুর যৌন কেশ বা যৌন লোমের বিকাশ ঘটে।

Labels: ,

যৌনতায় অর্গ্যাজম খুব জরুরি



অর্গ্যাজাম বা রাগমোচন এমনই একটা শব্দ যা দাম্পত্য সুখের শেষ রসদ। যৌন ক্রীড়ার শেষ বিন্দুতে রাগমোচন এক স্বতঃস্ফূর্ত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এইসময় শ্রোণী অঞ্চলের মাংসপেশির ছন্দোময় সংকোচনের মাধ্যমে দেহে চরম যৌনসুখ অনুভূত হয়। নারী এবং পুরুষ উভয়েরই রাগমোচন ঘটে থাকে যৌন ক্রীড়ার সময়। রাগমোচন সম্পূর্ণ ভাবে স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রাগমোচনের সময় শরীরে বিবিধ ক্রিয়া ঘটে।

যেমনঃ আনন্দ-চঞ্চল সংবেদন , শরীরের কোন কোন অংশের বিদ্যুতের মতো অনুভব এবং মুখে নানান ধরনের শব্দের উৎপত্তি। অরগ্যাজামের পরবর্তি সময়টি একটি অবসাদময় নিস্তেজ পরিস্থিতি হয়। যার মূল কারন হল অক্সিটোসিন, প্রোল্যাক্টীন এবং এন্ডোরফিন্স নামক নিউরোহরমোনের নিঃসরণ। রাগমোচন বা অরগ্যাজাম যেকোন ধরনের শারীরিক যৌন উদ্দীপনার মাধ্যমে হতে পারে, যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ (এক্ষত্রে বীর্যপাতের ঘটে থাকে ) এবং নারীর ক্ষেত্রে ভগাঙ্কুরের উদ্দীপনার মাধ্যমে। এই যৌন উত্তেজনা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নিজে নিজে করা যেতে পারে বা কোন সঙ্গীর সাহায্য অন্য যেকোন যৌন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে হতে পারে।

রাগমোচন কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এতে আনন্দের সাথে মিশে থাকে দেহ ও মনের এক ধরণের নিরুদ্বেগ শৈথিল্য। পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যস্খলনের সময়ই রাগমোচন লাভ হয়, এর পাশাপাশি পেশীর ক্রিয়ার কারণে তার লিঙ্গ কয়েকবার কেঁপে ওঠে এবং অণ্ডকোষ শক্ত হয়ে একটু উপরে উঠে আসে। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই রাগমোচনের পরেই পুনর্বার মৈথুন করা সম্ভব না, কেননা বীর্যপাতের সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গের উত্থান রহিত হয়ে যায়।

লিঙ্গের পুনরুত্থান বা পুনরায় সঙ্গমের জন্য কিছুটা সময় লাগে। স্ত্রীর ক্ষেত্রে ইউটেরিন ও যোনির দেয়ালের পেশীগুলোর মুহুর্মুহু সংকোচনের মাধ্যমে রাগমোচন ঘটে। এটা ক্ষেত্রবিশেষে একসাথে কয়েকবার হতে পারে আবার সামান্য সময়ের ব্যবধানে হতে পারে। অনেক স্ত্রীর ক্ষেত্রে পুরো দেহব্যাপী অনেকক্ষণের জন্য রাগমোচন ঘটতে পারে। পুরুষের চেয়ে নারীর রাগমোচন অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

    সুতরাং সঙ্গমের কালে অরগ্যাজাম বা রাগমোচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গমের সমাপ্তি তখনই সম্ভব যখন রাগমোচন ঘটে।

Labels:

নারীদের যৌনতায় পরিতৃপ্তি নষ্ট করে দেয় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি



নতুন এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি নারীদের যৌন অনুভূতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।  ব্রিটেন, স্কটল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকের এক যৌথ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ‘সাইকোলজিক্যাল’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণা দলের প্রধান স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব স্টিরলিং এর গবেষক ক্রেইগ বরার্টস বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে যে সকল নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে আসছেন, যৌনকর্মে তাদের তৃপ্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, যারা কিছু সময় পর্যন্ত খেয়েছেন এবং খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, তাদেরও যৌনতৃপ্তি অনেক বেশি থাকে। এর আগে এক গবেষণায় দেখা গেছে, যৌন মিলনের পর পুরুষরা তার সঙ্গিনীর জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এই বড়ি নিয়মিত সেবনের পর দেখা যায়, পুরুষ সঙ্গীর কাছে তিনি আগে যতোটা আকর্ষণীয় ছিলেন বেশ কিছু দিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ার পর আর ততোটা আকর্ষণীয় থাকেন না।
নতুন গবেষণায় দেখা যায়, জন্মনিয়ন্ত্রণের এসব ওষুধ সেবনে জন্মনিরোধক হরমোনের নিঃস্বরণ ঘটে। ফলে তাদের দৈহিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং একইসঙ্গে যৌনতার প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে।

এর আগে ২০১১ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, যে সকল নারীরা নিয়মিত এসব ওষুধ খান তারা যৌন সঙ্গী হিসেবে কম আকর্ষণীয় পুরুষকে বেছে নেন।
কাজেই দীর্ঘ দিন ধরে যারা পিল খাচ্ছেন তারা ব্যাপকভাবে যৌনকর্মে অতৃপ্ততায় ভুগছেন, জানান রবার্টস।

তথ্যসূত্রঃ কালের কণ্ঠ

Labels:

খিদে-ঘুমের মতোই যৌনতার চাহিদা পুরুষদের



খিদে পাওয়া বা ঘুম পাওয়াটা যেমন মানুষের নিত্য চাহিদা, পুরুষেরা তেমনই ভাবেন যৌনতা নিয়ে। শতকরা ৭০ শতাংশ পুরুষেরাই নিরন্তর যৌনতা নিয়ে ভাবতে থাকেন। অন্যদিকে মহিলাদের মধ্যে শতকরার হিসেবে সংখ্যাটা মাত্র ১০-২০ শতাংশ।

ব্রিটেনের এক নামী সাইকোলজিস্টর ধারণা অন্তত এমনটাই। এমিলি নাগস্কি, ম্যাসাচুসেটস-এর স্মিথ কলেজের এই অধ্যাপিকা বলছেন, “পুরুষদের কাছে সেক্স হল মারণ-বাঁচন সমস্যা।

তাঁরা মনে করে, মিলিত না হলে তাঁরা মরে যাবেন!” পুরুষদের জন্য এই অধ্যাপিকার পরমার্শ, সঙ্গিনী আপনার মতো ভাবেন না বলে হীনমন্যতায় ভুগবেন না। কারণ মহিলাদের কাছে সেক্সুয়াল প্লেজারের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল রোম্যান্স।

এমিলির গবেষণাপত্রটি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত হয়েছে যেখানে তিনি দাবি করেছেন, পুরুষেরা খিদে-ঘুমের মতো অনুভূতির মতোই ভাবেন সেক্সকে।

Labels: