Wednesday, April 22, 2015

হাত বাড়ালেই উত্তেজক সিরাপ


জেলা ও উপজেলার হাটবাজারগুলোতে সয়লাব হয়ে গেছে অনুমোদনহীন ক্ষতিকর ও যৌন উত্তেজক কোমল পানীয় সিরাপ।
বোতল বা ক্যানের গায়ে আঠারোর্ধ বা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিক্রির কথা থাকলেও শিক্ষার্থীসহ অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীরা হাতের নাগালে পাওয়ায় এ সিরাপ সেবনে নেশা করছে। উঠতি বয়সিদের টার্গেট করে বেশি লাভের আশায় দোকানিরা এসব পানীয় নিয়ে এসেছেন জেলাসহ রায়পুর উপজেলায়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ পানীয় নির্বিঘ্নে বেচাকেনা হলেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চা দোকান, পানের দোকান, কনফেকশনারি ও মুদির দোকানে উত্তেজক সিরাপ প্রকাশ্যে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এসব পণ্যের গায়ে বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের (বিএসটিআই) অনুমোদনের কথা উল্লেখ নেই।
এরকম কয়েকটির নাম হলো- জিনসিন প্লাস, আঠারো প্লাস, ডাবল হর্স, পাওয়ারম্যান প্লাস, পাগলু ২ ফিলিংস, হান্ড্রেড পার্সেন্ট চার্জ, পাওয়ারআপ, লিডার ফিলিংস, সেভেন হর্স, কস্তরি হারবাল সিরাপ ও নাইট পাওয়ার। এসব সিরাপ দোকানিরা তরুণ-তরুণীর কাছে বিক্রি করছে। এগুলো ছাড়াও কয়েকটি বোতলের মোড়কে নারী-পুরুষের আপত্তিকর ছবিও দেয়া আছে।
এসব সিরাপের গায়ে উৎপাদন বা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের সঠিক ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ড্রাগ লাইসেন্স নম্বরও পাওয়া যায়নি। কোনোটির মোড়কে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর। বেশির ভাগের ঠিকানা দেয়া রয়েছে ঢাকা, বাংলাদেশ। উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ নেই। এগুলোর মধ্যে ‘পাবনার তৈরি লিডার ফিলিংস’ নামে একটি বোতলের গায়ে বর্ণনা দেয়া হয়েছে এভাবে-‘ইউনানি এ হারবাল দেহের প্রধান অঙ্গসমূহের শক্তি বৃদ্ধি করে। তৃষ্ণা মেটায়, কর্মক্লান্তি দূর করে এবং মনের প্রফুল্লতা আনয়ন করে।’ কোম্পানির নাম লেখা আছে এসএমজি ফুড প্রডাক্টস্।
এছাড়া ‘লিডার ফিলিংস’ মিক্সড ফ্রুট ড্রিংকস, পাবনা, বাংলাদেশ। খাওয়ার আগে বোতল ঝাঁকিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
লিডার নামে একটি সিরাপের লেবেলে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইহা একটি মিক্সড ফ্রুটস (ফলের মিশ্রণ) হারবাল সিরাপ। বিসিআইআরের (এ নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই) উদ্ভাবিত এবং পরীক্ষিত। নন কার্বোনেট, নন অ্যালকোহল। খুচরা মূল্য ৬০ টাকা।’ বোতলের গায়ে এসএমজি ফুড প্রডাক্টস্ হারবাল কোম্পানির নাম থাকলেও বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ওই পণ্যের বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, এতে রয়েছে রেড মাশরুম, স্যাফ্রন, প্রসেস ন্যাচারাল মিক্সড ফ্রুট নির্যাস, চিনি, লিকুইড গ্লুকোজ, কাজু বাদাম, মধু, পারমিটেড ফুড কালার ও ফ্লেভার। আরো বলা হয়েছে, ইহা কোনো ঔষধ নয়, সম্পূরক খাদ্যমাত্র।
বাসস্ট্যান্ড, মধ্যে বাজার, তাজমহল সিনেমা হল সড়কসহ নতুন বাজার, হাসপাতাল সড়ক ও পুরাতন বাজারে সরেজমিন ঘুরে একই দৃশ্য চোখে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদর, রামগঞ্জ উপজেলায়ও এসব অনুমোদনহীন সিরাপ দেদার বিক্রি হচ্ছে। জেলা উপজেলা ছাড়াও সবচে বেশি বিক্রি হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের হাট-বাজারে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী দাবি করেন, এসব পণ্য ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ভোলা ও চৌমুহনীসহ বিভিন্ন কারখানায় গোপনে তৈরি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরবরাহকারী জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় হারবাল সিরাপের নামে যৌন উত্তেজক জুস। এরপর বোতলজাত করে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে আশপাশের জেলা ও উপজেলায়।
বাংলা বাজারের ফিড ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে শখে কস্তরি হারবাল সিরাপ অর্ধেক পান করে। এর কিছুক্ষণ পর তার প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়। টানা দুই দিন তার মাথাব্যথা ছিল। দোকানের মধ্যে তার মাথায় পানি দিতে হয়েছে।
থানা সড়কের মুদি ব্যবসায়ী নিপু জানান, হারবাল সিরাপের চাহিদা ভালো। অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে স্লিপ পাঠিয়ে কিনে নেন। তরুণদের কাছে এর চাহিদা বেশি। দিনে অন্তত কয়েকশ বোতল বিক্রি হয়। তাই দোকানীদের লাভও ভালো হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক ব্যবসায়ী জানান, ভাল-খারাপ বুঝিনা এগুলো কিনে নিচ্ছেন তরুণ-যুবকরা। সবাই বিক্রি করে, তাই আমিও বাজার ধরে রাখার জন্য বিক্রি করি।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা খালেদ বলেন, ‘উত্তেজক হারবাল সিরাপের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এসব সিরাপ স্নায়ুকে সাময়িক উত্তেজিত করে। কিন্তু বাস্তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়াবহ। আছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগীরা এটা সেবন করলে মৃত্যুর মুখে পড়তে পারেন। এছাড়াও সেবনকারীরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পাকস্থলী ও যকৃতের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
বিএসটিআইয়ের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিদর্শক মো.আব্দুর রশিদ মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি তাদের নজরে আছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন কোমল পানীয়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই জোরালো অভিযান চালানো হবে।

Labels: ,

হস্তমৈথুন এর ভয়ানক ক্ষতিকারক দিক সমূহ


লাখ লাখ যুবকের উপর চালিত পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে যে, হস্তমৈথুন এমন এক সমস্যা যাতে একবার কেউ আসক্ত হয়ে পড়লে প্রপার ট্রিটমেন্ট ছাড়া এ থেকে রেহাই পাওয়ার অন্য কোনো কার্যকর উপায় থাকে না বললেই চলে। আপনি অনলাইন সার্চ করলে হস্তমৈথুন অভ্যাস পরিত্যাগের বিষয়ে ভুরি ভুরি উপদেশ বাণী পেয়ে যাবেন। যার সবগুলিই অকার্যকর। তারপরও তাদের উপদেশ বাণীর যেন কোনো শেষ নেই।
একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো :-
অনেকেই শীতপ্রধান দেশের বিশেষজ্ঞদের গবেষণালব্ধ ফলাফল আমাদের উপমহাদেশের অর্থাৎ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বেলায় চালাতে চান। এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের বাস্তবতা উপলগ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেদের ১০-১২ বছরের মধ্যেই যৌন পরিপক্কতা চলে আসার কারণে তারা অনেকেই তখন থেকেই হস্তমৈথুন করা শুরু করে এবং বিয়ের সময় অর্থাৎ বয়স ২০-৩০ বছর হওয়ার পর দেখা যায় তারা নানা প্রকার যৌন সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেছেন।
কিন্তু শীতপ্রধান দেশগুলির বিষয়টা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ উল্টো। ঐসব দেশে ছেলেদের যৌন পরিপক্কতা আসে অনেক দেরিতে, অনেকের ১৬-১৮ বছর হয়ে যায়। তাছাড়া তারা যে কারো সাথে মেলামেশার সুযোগ পেয়ে থাকার কারণে হস্তমৈথুন ততটা করে না। তাই তারা এর জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয় না বললেই চলে। তাই আপনাদের অবশ্যই এ বিষয়টা বুঝতে হবে এবং তাদের ক্ষেত্রে যে থিওরি তাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন তা আমাদের দেশের ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তারা যদি আমাদের দেশের ছেলেদের মত হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে এটা করতে থাকত তাহলে তারাও এর কুফল গুলির সম্মুখীন হত।

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক দিক সমুহ :-

ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম এবং কবীরা গুনাহ। শরীয়ত অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন করে তারা সীমালংগনকারী।
পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যে্সব সমস্যায় ভুগতে পারে সেগুলি হলো :-
পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক (Impotent) হয়ে যায়। অর্থাৎ যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায় ।
আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না ।
অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । (যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত । স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না। )
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।
Dr.Liu বলেন – “There is a huge change in body chemistry when one masturbates excessively”
হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয় :-
Nervous system, heart, digestive system, urinary system এবং আরো অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ – বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় ।
মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে।
স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং চোখেরও ক্ষতি হয় ।
আরেকটি সমস্যা হল সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া যাকে বলা হয় Leakage of semen । ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে কষ্ট হয়।
মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের দূরে রাখে হস্তমৈথুন। রসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেন-
“যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুইপায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব । “
-(বুখারী ও মুসলিম)
তাই কাউকে হস্তমৈথুন করার উপদেশ দিয়ে আপনি নিজে কবিরা গুনাহ বা মহাপাপের অংশীদার হবেন না। পারলে কেউ এতে আসক্ত হলে যথাযথ চিকিত্সার মাধ্যমে তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনুন।
যারা হস্তমৈথুন করাকে ক্ষতিকর না বলে ভালো বলে থাকেন তাদের কাছে প্রশ্ন ????
সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হলো ইসলাম, যাকে বলা হয়ে থাকে *A complete code of life.* এ বিষয়ে হয়ত আপনারা সবাই আমার সাথে একমত হবেন আশা করি যদি আপনি মুসলিম হন। হস্তমৈথুন করাটা যদি মানুষের জন্য উপকারীই হত তাহলে সেই সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম কেন এটা করাকে কবিরা গুনাহ বা মহা পাপ বলে অবহিত করলো।
আশা করি বিষয়টি নিয়ে আর বেশি দূর বলার প্রয়োজন নেই। জেনে রাখুন হস্তমৈথুন অভ্যাসটা এমন কিছু মারাত্মক সমস্যার জন্ম দেয়, যা এক সময় একজন পুরুষের যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলে। এটা যুবকদের শারীরিক এবং মানুষিক উভয় সমস্যারই সৃষ্টি করে থাকে।

Labels:

মহিলাদের কাছেও সহবাস সমান গুরুত্বপূর্ণ


জীবনে যৌন সম্বন্ধ শুধুমাত্র যে পুরুষের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ তা একেবারেই নয়, মহিলাদের কাছেও এটি সমান গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু মহিলারা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননা৷ সহবাসের একটি গবেষণায় এমনই কথা প্রকাশ্যে এসেছে৷ যদিও গত এক দশকের কথা বললে বর্তমানে পরিস্থিতিতে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে৷

এই গবেষণায় সকলেই কাছেই একটি প্রশ্ন তুলে ধরা হয়৷ সহবাস গুরুত্বপূর্ণ কিনা? এই প্রশ্নের উত্তের ৯১ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তাদের কাছে সহবাস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে এমনই উত্তর দিয়েছেন ৮৬ শতাংশ মহিলা৷ কিন্তু এক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন হল এক দশক আগেও গুরুলাদের ক্ষেত্রে সহবাসের গুরুত্ব প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল৷

এই গবেষণায় আরও একটি প্রশ্ন করা হয় যে, তারা নিয়মিত বা সপ্তাহে অন্তত একবার সহবাস করেন কিনা৷ এই প্রশ্নের উত্তরে সম্মতি জানিয়েছেন প্রায় ৪৬ শতাংশ নারী৷ কিন্তু এক্ষেত্রে পুরুষের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪২ শতাংশ৷

বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বোঝা যায়, বর্তমানে মহিলারা আর তাদের যৌন বাসনাকে চেপে রাখতে চাননা৷ তারা খোলামেলা ভাবেই সহবাসের আনন্দ নিতে চান৷ এছাড়াও বর্তমানে নারী এখন অনেকটাই মর্ডান৷ তারা প্রকাশ্যে সহবাস নিয়ে কথা বলতেও দ্বিধা বোধ করেননা৷

Labels:

গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগের রাতে কেন সহবাস জরুরি জেনে নেই


কাজের চাপে এখন প্রায় সকলেরই নাস্তানাবুদ হওয়ার জোগাড়৷ কারণ এখন আমরা সবাই কম-বেশি কেরিয়ারিস্ট৷আর অফিসে প্রেজেন্টেশন বা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে টেনশন কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক৷আর এমতাবস্থায় অ্যান্টি অ্যাংজাইটি ওষুধের থেকে বেশি কার্যকরী আগের রাতে পার্টনারের সঙ্গে সেক্স তথা সহবাস৷ কেন?

১) পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, অফিসে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগের দিন সহবাস আপনার ব্লাড প্রেশার লেভেল কমিয়ে আপনাকে রাখবে টেনশন ফ্রি৷ আপনার মস্তিষ্কের নার্ভ থাকে শান্ত৷ ফলে অকারণ দুশ্চিন্তা আপনার কাছে ঘেঁষতে পারে না৷

২) একবারের সফল সহবাসে প্রায় ১০০০-১২০০ ক্যালোরি খরচ হয়৷ আর আপনি ক্লান্তও থাকেন৷ ফলে গাঢ় ঘুম হয়ে পরদিন সকালে উঠেই নিজেকে দেখবেন অনেক ফ্রেশ লাগছে৷

৩) রাতে যদি সহবাস না-ও হয়, তবে মিটিংয়ের আগের দিন সকালেও করতে পারেন তা৷ কারণ সকালে শুধু যে আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন ও এনার্জি লেভেল হাই থাকে ( এ দুটোরই সহবাসে প্রয়োজন) তাই-ই নয়৷ বরং অক্সিটোসিন ও এন্ডেরফিন হরমোনের ঠিকঠাক নিঃসরণ আপনাদের দুজনেরই মুড রাখে ফুরফুরে৷ ফলে কাজেও আসে গতি৷

৪) এমনকী গবেষণায় এমনটাও দেখা গিয়েছে, কোনও গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগের রাতে সহবাস করলে, পরের দিন বক্তারা অনেক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিটিংয়ে কথা বলতে পারেন এবং অন্যকেও অচিরেই নিজের যুক্তি দিয়ে প্রভাবিত করতে পারেন৷
৫) সারাদিন কাজের চিন্তা আর রাতেও শুয়ে শুয়ে কাজের চিন্তায় মগ্ন থাকলে দেখা যায়, প্রেজেন্টেশনের সময় সব কিছু মাথার মধ্যে কেমন তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে৷ তা বলে শুধুই সেক্স করলে এর সমাধান হবে এমনটা নয়৷ কিন্তু মনটা অন্যদিকে ঘোরানোর বিকল্প হিসেবে অনেক চিকিৎসকই এখন সহবাসের পরামর্শ দেন৷

৬) এতে আপনার ছটফটে ভাব কেটে গিয়ে বাড়বে মনঃসংযোগও৷

Labels: ,

ছেলে ও মেয়েদের শরীরের স্পর্শ কাতর অংশে দুর্গন্ধ, জেনে নিন কী করবেন?

গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যাটা অনেকেরই আছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশী। এবং এটা এতই বিব্রতকর একটি সমস্যা যে কাউকে বলাও যায় না। আবার সহ্যও করা যায় না। আর এমন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবার কথা তো কোন নারী চিন্তাও করেন না। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার স্বাভাবিক যৌন জীবনে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধ।
দুর্গন্ধ দূর করার চেষ্টা করেও বারবার বিফল হয়েছেন? আসুন জেনে নেই শরীরের স্পর্শ কাতর সেই অংশের দুর্গন্ধ দূর করার কার্যকরী উপায়।
প্রতিটি মানুষের শরীরে স্বাভাবিক একটি ঘ্রাণ আছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় খুব সুক্ষ্মভাবে ঘ্রাণটি পরিবর্তিত হয়ে যায়। এছাড়াও মানুষের বগল, পায়ের পাতা কিংবা শরীরের অন্যান্য ভাঁজের জায়গায় দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। গোপন অঙ্গটিও বাদ যায় না। তবে গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধ হবার পেছনে আছে বেশ কিছু কারণ। যেমন,
-আপনার যদি স্বাস্থ্য ভালো হয়ে থাকে, তাহলে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে ঘাম জমে যায়। সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
-এছাড়া গোপন অঙ্গে ইস্ট বা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন থেকে হতে পারে খুবই বাজে দুর্গন্ধ।
-গোপন অঙ্গ সঠিক ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা, পিরিয়ডের সময় এক প্যাড দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করা ইত্যাদি কারণেও জন্ম নেয় দুর্গন্ধ।
-এছাড়া খুব বেশী টাইট পোশাক দীর্ঘসময় পরিধান করলেও ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। অনেকের প্রস্রাব লিক করার সমস্যা থাকে। সে কারণেও গন্ধ হতে পারে।
কী করবেন?
-প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো পরিষ্কার পরিচ্ছনতা রক্ষা করা। নিজের গোপন অঙ্গের যত্ন খুব ভালোভাবে নিন। সর্বদা পরিষ্কার থাকুন। ভালো অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন।
-বাজারে গোপন অঙ্গ পরিষ্কার করার জন্য ভালো কোম্পানির বিশেষ ধরণের সাবান ও বডি ওয়াশ কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করুন।
-গোপন অঙ্গে পাউডার ব্যবহার করতে হলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও সুগন্ধী পাউডার ব্যবহার করুন। তবে দীর্ঘসময় একই স্থানে পাউডার দিয়ে রাখবেন না।
-নিজের প্যানটি পরার আগে পারফিউম ছিটিয়ে নিন।
-বেশী টাইট পরবেন না পোশাক। গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধ হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরাই সবচাইতে ভালো।
-ভালো করে খেয়াল করুন। চুইয়ে চুইয়ে প্রশ্রাব এসে কি প্যানটি ভিজে যায়? এমন সমস্যা অনেক নারীরই থাকে। যদি তা হয় তো অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।
-ভালো কোম্পানির স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। পিরিয়ডের সময় বাড়তি পরিছন্ন থাকুন।
-গোপন অঙ্গ পরিষ্কার করতে উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন। যতবার টয়লেট ব্যবহার করবেন, প্রতিবার ভালো করে সাবান দিয়ে পরিছন্ন হোন।
এসবের পরেও যদি গোপন গঙ্গের গন্ধ দূর করতে না পারেন, অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। এটা হতে পারে অন্য কোন শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত! লজ্জায় নিজের শরীরকে অবহেলা করবেন না। দেশে অনেক ভালো ভালো গাইনি ডাক্তার আছেন। অবশ্যই তাদের পরামর্শ নিন।

Labels: ,

স্তন আকারে বড় হলে কি বিয়ের পর সমস্যা হয়? হলে সেগুলো কী কী জেনে নিন ।

ভারী স্তনের ব্যাপারটি জিনের ওপরে নির্ভর করে, এবং আমাদের দেশের নারীদের স্তন স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমা দেশের মেয়েদের তুলনায় ভারী হয়ে থাকে। অনেক নারীরই বিয়ের আগে স্তন অতিরিক্ত ভারী হতে পারে। এবং এই স্তন নিয়ে বিয়ের আগে, পরে কিংবা বেশি বয়সে- সবক্ষেত্রেই দেখা দিতে পারে নানান  রকম সমস্যা। 

এই সমস্যাগুলো দেয়া হলো নিচে:
-বেশি ভারী স্তনের জন্য পিঠে ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। আজকাল অনেক নারীই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে স্তন বড় করান। এতে তাঁদের মেরুদণ্ডে তথা পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণে।
– একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর স্বাভাবিকভাবেই নারীদের স্তন ঝুলে যেতে থাকে। বেশি বড় স্তন হলে খুব বাজে ভাবে শেপ নষ্ট হয়ে যায় স্তনের, যা শত চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনা যায় না।
– তরুণী বয়সেই বেশি ভারী স্তন হলে নির্দিষ্ট বয়সের আগেই স্তনের আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়।
– বেশি ভারী স্তনে অনেক ক্ষেত্রেই আকৃতি সুডৌল হয় না, ত্বকে টাইট ভাব থাকে না। ফলে সৌন্দর্য হানি হয়।
– বেশি ভারী স্তনের কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে।
– সন্তান হবার পর স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি পায়। কম বয়সে বেশি ভারী স্তন হলে সন্তান জন্মের পর স্তন খুব বেশি বড় হয়ে যায় যা দৃষ্টিকটু লাগে ও নানানরকম সমস্যা তৈরি করে।
ভারী স্তনে মোটামুটি এই সমস্যা গুলোই হয়। তবে শারীরিক সমস্যা ছাড়াও হতে পারে কিছু সম্পর্কগত সমস্যা। যেমন, স্তনের সুডৌল ভাব নিয়ে স্বামীর আপত্তি থাকতে পারে। বা তিনি মনে করতে পারেন যে আপনার বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ছিল।


Labels:

বিয়ের আগে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ জেনে নিন! কিন্তু কেন?

অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাকেই দেখা যায় পরস্পরের ব্লাড গ্রুপ নিয়ে চিন্তিত হতে। বেশিরবাগ মানুষেরই ধারণা বর ও কনের ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে হতে পারে নানান রকম সমস্যা? আসলেই কি তাই? না, ধারণাটি একদম ভুল। ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে কোনো সমস্যা নেই। তবে বিয়ের আগে বর ও কনের ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কেন এটা এত জরুরী? আসুন, জেনে ও বুঝে নেই সেই বিষয়টি।

জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরী কিছু তথ্যঃ
স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত ব্লাড গ্রুপ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।

ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ
A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve. জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে?

কেন টেস্ট করাবেন?
যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবারে সাধারণত কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে। ফলে রোগী যদি আবার কখনও পজেটিভ ব্লাড শরীরের নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এবং মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility।

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ blood group নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে।
কিন্তু স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীকেও পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের একজন হতে হবে। কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। অর্থাৎ একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারী কেবলই একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষকে বিয়ে করাই নিরাপদ।

যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে ভিন্ন ব্লাড গ্রুপে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয়, তাহলে সন্তান জন্মের সময়ে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়।
যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুন), তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। 

কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরী করবে। এবং সমস্যা হবে দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে।
যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয় তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সাথে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে। অর্থাৎ শিশুটি মারা যাবে।

অর্থাৎ পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষ নেগেটিভ গ্রুপের মহিলাকে বিয়ে করলে তাঁদের একটিই সন্তান থাকার সম্ভাবনা বেশি। কোন কারণে প্রথম সন্তানটি জন্ম না নিলে পরবর্তীতে তারা নিঃসন্তান থেকে যাবার সম্ভাবনাও অত্যন্ত বেশি।

Labels: ,