Saturday, January 31, 2015

গবেষণাতে পর্দার অন্তরালে যৌনতা পায়ুকাম

পঞ্চাশের দশক হতে আলফ্রেড কিংসে মানুষের যৌনাবরণের উপর যে গবেষণা শুরু করেছিলেন, তা আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত নানান নতুন নতুন তথ্য উন্মোচিত করছে। তা আমাদেরকে এমন সব তথ্যের মুখোমুখি করছে যার অনেকগুলো আমরা কখনো কল্পনাতেই আনিনা। হোমোসেক্সুয়ালিটি বা সমকামিতা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? সবারই একদম বদ্ধমূল বিশ্বাস সমকামিরা পায়ুকাম চর্চা করে থাকে আর এটিই তাদের একমাত্র যৌনতা।

 যৌনসমীক্ষকদের চালানো গবেষণাতে দেখা গেছে, পায়ুকাম কিন্তু সমকামিদের মুখ্য বা একমাত্র যৌনতা নয়, যে যৌনতা তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হল মাস্টারবেশন পক্রিয়াতে পরস্পরকে উত্তেজিত করে তোলা।

 এটিকে যৌন বিজ্ঞানের পরিভাষাতে ‘মিউচুয়াল মাস্টারবেশন’ বলা হয়। সমীক্ষণে আরেকটি লক্ষণীয় দিক হলো পায়ুকাম চর্চা কেবলমাত্র সমকামীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ দম্পতিদের অনেকেই এটির কমবেশি চর্চা করে থাকেন। অন্তত গবেষণাতে এটি দেখা গেছে। সমকামীদের যে পারস্পরিক স্বমেহন বা মিউচুয়াল মাস্টারবেশনে-এটিতো পুরুষ আর নারী সমকামী দু’জনার বেলাতে সমভাবেই চর্চা করতে দেখা যায়। নারী সমকামিদের বেলায়তো পায়ুকামের কোনো অবকাশ নেই, সুতরাং ওদের নিয়ে আমাদের ধারণাটি নিয়ে পুনর্বার বিবেচনা করা উচিত।
সাধারণদের মাঝে যারা এ পায়ুকাম চর্চা করে থাকেন তারা কারা? তাদের সংখ্যাই বা কেমন? আমেরিকার বহুল প্রচারিত নারী পত্রিকা বেডবুক ম্যাগাজিন পরিচালিত গবেষণাতে এক লক্ষ মহিলার সমীক্ষণ নেয়া হয়। এতে অংশ নেয়া মহিলাদের তেতাল্লিশ শতাংশ স্বীকার করেছে তারা দাম্পত্য যৌনতায় অন্তত একবার এটির চর্চা করেছেন। যারা এটির চর্চা করেছেন তাদের চল্লিশ শতাংশের অভিমত- এ পায়ুকাম যৌনতা বেশ উপভোগ্য, অন্তত ভিন্ন স্বাদের। পঞ্চাশ শতাংশের ভাষ্য-তারা এর মাঝে কোনো বিশেষ স্বাদ পাননি। দশ শতাংশের অভিমত তারা নিতান্ত অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র স্বামীদের পীড়াপিড়িতে এতে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন। এ সমীক্ষণ তথ্য আশা করি পাঠকদের পর্দার অন্তরালের কিছু তথ্য সম্পর্কে অবগত করে তুলবে।

Labels:

ভাত খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে ৭ অভ্যাস

 ভাত খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে ৭ অভ্যাস
 ভাত খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে ৭ অভ্যাস
বেঁচে থাকার জন্য আমরা খাদ্য খাই। ফলে আমরা সুস্থ থাকি। কিন্তু এমন কিছু বদঅভ্যাস রয়েছে যেগুলো আমাদেরকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে অসুস্থ করে তোলে।
আর তাই সেসব অভ্যাস পরিত্যাগ করাই ভাল। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। কেউ দুই বেলা আবার কেউবা তিন বেলাও ভাত খায়। ভাত খাবার পর কিছু কিছু কাজ করতে মানা। এ অভ্যাসগুলো শরীরে নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে।
১. খাবার খাওয়ার পরপরই অনেকে ফল খায়। এটা একদম ঠিক নয়। কারণ এতে বাড়তে পারে এসিডিটি। খাবার গ্রহণের দু’এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া ভাল।
২. অনেকে দেখা যায় খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই ধূমপান শুরু করে। এটা খুবই মারাত্মক খারাপ অভ্যাস। চিকিৎসকরা বলেন, অন্য সময় ধূমপান যতটুকু ক্ষতি করে খাবার খাওয়ার পর ধূমপান করলে তা ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকর।
৩. খাবার গ্রহণের পর পরই গোসল করবেন না। কারণ খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে পাকস্থিলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা পরিপাকতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে। ফলে খাবার হজমের স্বাভাবিক সময়কে ধীরগতি করে দেয়।
৪. অনেকে দেখা যায় খাবার গ্রহণের সময় বা পরপরই কোমড়ের বেল্ট কিংবা কাপড় ঢিলা করে দেয়। এটা ঠিক নয়। কারণ কোমরের বেল্ট বা কাপড় ঢিলা করলে খুব সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনারীর নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে বা পেঁচিয়ে যেতে পারে বা ব্লক হয়ে যেতে পারে। এ সমস্যাকে ইন্টেসটাইনাল অবস্ট্রাকশন বলে।
৫. খাবার পরপরই ব্যয়াম করা ঠিক নয়।
৬. ভাত খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়া খুবই খারাপ অভ্যাস। এর ফলে শরীরে মেদ জমে যায়।
৭. খাবার পরেই অনেকে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে বসে যান। চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড যা খাদ্যের প্রোটিনকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। এতে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই কিছু সময় অপেক্ষা করার পর চা পান করুন।

Labels:

কেন খাবেন লেটুস পাতা?

লেটুস পাতা
লেটুস পাতা
সালাদের উপাদান হিসেবেই লেটুস পাতা বেশি পরিচিত। ফাস্টফুড খাবারেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। লেটুস পাতায নানা রকম ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে কম ক্যালরি। তাই প্রতিদিন এর ব্যাবহারে কি কি পুষ্টিগুণ পেতে পারেন জেনে নেওয়া যাক।
১. লেটুস আঁশযুক্ত সবজি বলে এটা খাবার দেহের জন্য উপকারী। এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুসে অতি অল্প পরিমাণে কোলেস্টরেল রয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
২. সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস ব্যবহার করুন।
৩. প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন পেতে লেটুস একটি উপায় হতে পারে। তাই সালাদে শিমের বীচির সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাবেন।
৪. লেটুস পাতায় কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন।
৫. লেটুসে কয়েক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে।
৬. পটাসিয়াম রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। লেটুস পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়।

Labels:

পিরিয়ডের সময় যে কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকবেন

পিরিয়ডের সময়
পিরিয়ডের সময়
একজন নারী যে শারীরিকভাবে সুস্থ এবং গর্ভধারণে সক্ষম, তার অন্যতম চিহ্ন হলো নিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড। পিরিয়ডের দিনগুলো অন্য স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন রকম থাকে। হরমোনাল কারণে কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সাধিত হয়। পিরিয়ডের সময় নারীদের শরীর অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি নাজুক থাকে। অনেকের জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে, তলপেট স্ফীত হয়, ব্যথা করে, এমনকি বমিও হয়। কিছু কাজ রয়েছে যা এ সময়ে করলে শরীরের অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে। এ সময়ে করা যাবে না এমন কোনো কাজ যা শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

উপুড় হয়ে শোয়া
অনেকেরই পেটে ভীষণ ব্যথা থাকে বলে পেটে চাপ দিয়ে শুয়ে থাকেন। উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে তা পেটে এমনভাবে চাপ ফেলে যে সেটা মোটেও ভালো নয়। এছাড়া এ সময় উপুড় হয়ে শুলে হার্ট রেটে তারতম্য হয়, রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং অক্সিজেন ঠিকমতো সরবরাহ হয় না বলে মাথা ঝিমঝিম বা ব্যথা করে।

ভারী জিনিস তোলা
নারীদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ থাকে তাদের পেটে। যেমন জরায়ু বা ডিম্বাশয়। তাই খুব বেশি ভারী জিনিস টেনে তোলা নারীদের জন্য ভালো নয়। আর পিরিয়ডের সময় তো একেবারেই নয়।

ভারী ব্যায়াম
পিরিয়ডের সময় ভারী কোনো ব্যায়াম করা একেবারেই উচিত নয়। পিরিয়ডের সময় করার জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে, সেগুলো করতে পারেন। যোগব্যায়ামের কিছু আসন পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে খুবই কাজে দেয়।

প্রস্রাব আটকে রাখা
এই বদঅভ্যাসটা অনেকরই আছে। প্রস্রাব পেলে তা আটকে রাখা কখনোই উচিত নয়। এটি কিডনির ওপরে ভয়াবহ রকমের চাপ ফেলে। বারবার প্যাড পাল্টানোর ভয়ে অনেকেই পিরিয়ডের সময় প্রস্রাব চেপে রাখেন। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এ সময়ে এইকাজ তলপেটের ওপর চাপ ফেলে এবং ব্যথা দীর্ঘসময় ধরে থাকে।

জোরে চিৎকার করা
পিরিয়ডের সময় রাগ, বিরক্তি, জেদ তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। রেগে গিয়ে জোরে চিত্‍কার চেঁচামেচি করবেন না। এর ফল হবে ভয়ানক। এটি সরাসরি তলপেটে চাপ ফেলে। কাউকে ডাকতে গিয়েও জোরে চিৎকার করবেন না। চিৎকার করতে শরীরের যেসব পেশীর ওপর জোর দিতে হয় তার মধ্যে পেটের পেশীও আছে।

পানি কম খাওয়া
ঘন ঘন প্রস্রাব লাগবে ভেবে অনেকেই এ সময় পানি কম খান। অথচ পিরিয়ডের সময়েই বেশি করে পানি খাওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে পানি পান শরীরকে দুর্বল হবার হাত থেকে বাঁচায়। এছাড়া রক্তের তরল্যের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যেও এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়া উচিত।

Labels:

সম্পর্ক যখন ভাঙনের মুখে, তখন তা জুড়তে পারে পর্ন সিনেমা

 সম্পর্ক যখন ভাঙনের মুখে, তখন তা জুড়তে পারে পর্ন সিনেমা
 সম্পর্ক যখন ভাঙনের মুখে, তখন তা জুড়তে পারে পর্ন সিনেমা
 পর্ন ছবি দেখলে নারী-পুরুষের যৌনজীবনে দুর্দশা নেমে আসে, বেশ কয়েকটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে বিপরীত কথা। সম্পর্ক যখন ভেঙে যাচ্ছে, এমন অবস্থায় পুরনো অবস্থায় ফিরে যেতে পর্ন ছবি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানানো হয় ওই গবেষণায়। অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্ন সিনেমা দেখাটা অনৈতিক হতে পারে। কিন্তু এর ভালো দিকের খোঁজ করতেই গবেষণা পরিচালিত হয়।

আমেরিকার সালোন মিডিয়া গ্রুপের এক কলামিস্ট ট্রেসি ক্লার্ক-ফ্লোরি সম্প্রতি একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন। পর্ন ছবি কি আসলেই সম্পর্ক নষ্ট করে? এ জন্য বড় ধরনের একটি জরিপ চালান তিনি। এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব ছবি পুরুষের মাঝে যৌনতার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্ম দেয়। অথবা নারীদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় ইত্যাদি। কিন্তু ট্রেসি দেখেছেন, অনেক সময় ভালো না লাগলেও পর্ন সিনেমা মাঝে মাঝে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গিজমোডো নামের একটি প্রতিষ্ঠান জানায়, ২৫ শতাংশ সার্চ ইঞ্জিন পর্ন সিনেমাকেন্দ্রিক এবং প্রতিদিন ৬ কোটি ৮০ লাখ সার্চ ঘটে পর্ন সিনেমার জন্যে।

কসমো তাদের এক জরিপে জানায়, পর্ন সিনেমা আত্মবিশ্বাস বা যৌনজীবনে তেমন ক্ষতি করে না। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং বিশেষ মানসিকতায় সঙ্গী-সঙ্গিনীর একযোগে পর্ন দেখা সম্পর্কে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে।
‘রিসিকিউরেকটিং সেক্স : সলভিং সেক্সুয়াল প্রবলেমস অ্যান্ড রিভোলিউশোনাইজিং ইওর রিলেশনশিপ’ বইয়ের লেখক মনোবিজ্ঞানী ডেভিড শানার্ক বলেন, পর্ন সিনেমা মূলত নারী-পুরুষের মাঝে প্রেম এবং যৌনজীবনে আকর্ষণ তৈরি করে। যৌনতা যখন স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো, সেখানে পর্ন সিনেমা মানুষকে যৌনজীবন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারে। পর্ন সিনেমা এমন এক বিষয়, যা দেখে দুজন মানুষ একে অপরের সঙ্গে নানা গোপন বিষয় শেয়ার করতে পারেন।

আবার, দম্পতির একসঙ্গে পর্ন সিনেমা দেখা এবং যার যার মনের ইচ্ছা প্রকাশ করার মাধ্যমে একের প্রতি অপরের সততা ফুটে ওঠে এবং বহু গোপন বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়।

Labels: ,

স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ১০ সুফল

 স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ১০ সুফল
 স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ১০ সুফল

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার এটি শারীরিক প্রয়োজনীয়তার এক প্রকার বহিঃপ্রকাশও বটে। কিন্তু আমাদের সমাজে যৌন শিক্ষার সম্যক জ্ঞানের অভাবে অনেক কিছুই অনেকের জানা নেই। এ কারণে এই আলট্রামডার্ন ক্যারিয়ারমুখী জীবনে আপনি হয়তো সঙ্গীর কথা বেমালুম ভুলেই গেছেন। রাতদিন শুধু ক্যারিয়ার আর ক্যারিয়ার। এভাবে সঙ্গীকে দীর্ঘ অবহেলার কারণে বিষয়টি সংসারে নানা অশান্তি এমনকি বিচ্ছেদও ডেকে আনতে পারে। আসক্তি জন্মাতে পারে মাদকে, অপকর্মে কিংবা অন্য কোনো অপরাধে। এ তো গেলো শারীরিক মিলন নিয়মিত না করার সামান্য কুফল, এর চেয়ে ভয়াবহ পরিণতিও আসতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক, শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও স্বামী স্ত্রীর যৌন মিলনের আর কি কি গুণ আছে সেসব সম্পর্কে।
১। ভালো ব্যায়াম
স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলনে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালোভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি ৩০ মিনিট ব্যয় করলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে বা আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও সুদৃঢ় হয়৷।
৩। জীবনকাল বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিনবার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়৷
৪। ব্যাথা থেকে মুক্তি
বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে, স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিঃসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান৷
৫। পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কমে
যেসব স্ত্রীদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণতঃ পিরিয়ডের সময় নারীদের (সবার নয়) খুব বেশী ব্যাথা হয়ে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে নারীদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷
৬। মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি
স্বামী স্ত্রীর মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সব থেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷
ভালোবাসা বাড়ে শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকারিতা ভীষণ জরুরি৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷ যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উন্নতমানের তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন৷
৭। কর্ম ক্ষমতা বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷ এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
৮। ভালো ঘুম হয়
শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে উপকার পাবেন৷
আত্মবিশ্বাস বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির মনে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতরকার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷
৯। ওজন কমে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয়, তার ফলে ব্যক্তির ওজন কমে৷ নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা হ্রাস পায়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷ অনেকে লাখো টাকা ব্যয় করেন ওজন কমানোর পেছনে। এ ক্ষেত্রে তারা উপকার পাবেন।
১০। সৌন্দর্য্য বাড়ে
স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনকালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর৷ এতে সৌন্দর্য্যর রক্তিমচ্ছটা ছড়িয়ে পড়ে। আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে বিশেষ আভা আর কমনীয়তা আনে৷ শারীরিক মিলন কালে নারীদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷
শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার স্পা চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷
এছাড়াও
স্বামীদের প্রোস্টেটে ক্যান্সার প্রবণতা কমে, হাঁপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি, যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷ কারণ জ্বরও এক ধরণের উত্তেজনা। উত্তেজনায় (ফেভার) উত্তেজনা প্রশমন করে। যেমনটা বিষে বিষ কাটে।

Labels: ,

অবসাদ কাটানোর ৭টি উপায়


ওয়েব ডেস্ক: আমরা সকলেই জীবনে কখনও না কখনও অবসাদে ভুগেছি। কখনও কাজের চাপে অবসাদ, কখনও চাকরি না পাওয়ার অবসাদ, কখনও বৈবাহিক জীবনে অশান্তির কারণ আসা অবসাদ, কখনও বা জীবনে উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়ার অবসাদ, কখনও অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়, হতাশা থেকে আসা অবসাদ। জীবনে যে কোনও স্তরে যে কোনও কারণে আমাদের ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ।

কখনও এই অবসাদই ধারণ করে চরম আকার। দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগে মানুষ বেছে নেয় আত্মহত্যার মতো অবাঞ্ছিত রাস্তা। অবসাদ কাটাতে চিকিত্‍সকদের সাহায্য পাওয়া গেলেও নিজেকে নিজে সাহায্য না করলে অবসাদ কাটানো কখনই সম্ভব নয়। কিছু জিনিস মেনে চললে কাটতে পারে অবসাদ। তেমনই কিছু উপায়-
মনযোগী হন-অবসাদে ভুগলে মনে সবসময় ভুলভাল ও অপ্রয়োজনীয় ভাবনা ভিড় করে থাকে। এই ধরণের নেগেটিভ চিন্তা অবসাদগ্রস্ত মানুষকে কোনওভাবে সাহায্য তো করতেই পারে না, বরং ঠেলে দেয় আরও গভীর অবসাদের দিকে। নিজের ইন্দ্রিয়কে সজাগ রেখে দৃশ্য, স্পর্শ, শব্দ, স্বাদের ব্যাপারে মনযোগী থাকুন। নিজেকে মনযোগী করে কাজের মধ্য ব্যপ্ত থাকলে নেগেটিভ চিন্তা মাথায় আসবে না।

গান শুনুন-অবসাদ কাটানোর জন্য খুব উপযোগী গান শোনা। তবে দুঃখের গান নয়, এমন গান শুনুন যা মনকে শান্তি দেবে, খুশি রাখবে আপনাকে। পজিটিভ গান চালালে চারপাশটাই পজিটিভ এনার্জিতে ভরে ওঠে। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করে অবসাদ দূরে রাখতে পারে গান।

নেগেটিভ কথা বলা বন্ধ করুন-অবসাদে ডুবে থাকা মানুষ নিজের চারপাশে সবসময়ই হতাশা দেখে। কথাবার্তার মধ্যেও ফুটে ওঠে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা। নিজের সম্পর্কে সংশয়, নিজেকে মূল্যহীন ভাবেন অবসাদে ভোগা মানুষ। এইসময় মানুষ খারাপ কিছু ঘটলে নিজেকে দোষ দেয়, ভাল কিছু ঘটলে ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানায়। নেগেটিভ চিন্তা, নেগেটিভ কথাবার্তা থেকে দূরে থাকা উচিত্‍ অবসাদে ভোগা মানুষের।

ক্ষোভ-অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ভাবা ও প্রয়োজনের থেকে বেশি চিন্তা করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এইসব ক্ষোভ, ভাবনা চিন্তাই আপনার সবথেকে বড় শত্রু। এরাই আপনাকে অবসাদের গভীরে নিয়ে যায়। বই পড়ে বা পাজল সলভ করে সময় কাটালে অবসাদ থেকে দূরে থাকা যাবে।

ভাল করে ঘুমোন-অবসাদে ভুগলে মানুষের ঘুম করে যায়। সবসময় অস্বস্তি ও মানসিক চাপের কারণে টানা ঘুম হয় না ভাল। কিন্তু শারীরিক বা মানসিক সুস্থতার জন্য ভাল ঘুম খুব জরুরী।

শরীরচর্চা-অবসাদ কাটাতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। শরীরচর্চার ফলে শরীর থেকে এনডোরফিন বেরিয়ে যায়। ফলে আমাদের মন ভাল থাকে। মন ভাল রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকায় রোগভোগও অনেক কম হয়। বাড়ে আত্মবিশ্বাস। সকল মানুষেরই প্রতিদিন আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত্‍।

মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন-অবসাদে ভুগলে মানুষ অনেক সময় নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। কিন্তু এই সময় সবথেকে খারাপ একা থাকা। বাড়ির বাইরে বেরোতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এই সময় অনীহা দেখা যায়। একা সময় কাটাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, সময় কাটান। জীবন উপভোগ করুন।

Labels: ,

যৌবনের শান্তির ঘুম বার্ধক্যে টাটকা রাখে স্মৃতি

যৌবনের শান্তির ঘুম বার্ধক্যে টাটকা রাখে স্মৃতি
 ওয়েব ডেস্ক: অল্পবয়সে শান্তির ঘুম ৭০ টপকে গেলেও স্মৃতি শক্তি টাটকা রাখতে সাহায্য করে।
বেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইকেল কে স্কুলিনের গবেষণাপত্র অনুযায়ী, যৌবনে অবিচ্ছিন্ন সময়ের ঘুম মস্তিষ্কে বয়সজনিত স্মৃতি শক্তি হ্রাসকে ঠেকিয়ে রাখে। অল্প বয়সের 'ডিপ স্লিপ' বা 'স্লো (ব্রেন) ওয়েভ স্লিপ' কোনও নির্দিষ্ট দিনের অভিজ্ঞতা বা স্মৃতিকে বহুদিন পর্যন্ত ঠিকঠাক মনে রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্যে যথাযথ স্মৃতিচারণে সহায়তা করে।

মধ্যবয়সীদের ক্ষেত্রে আবার ঘুমের সময়কাল বৃদ্ধি বা দুপুরের ঘুম স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে।
বয়স বাড়লে ঘুমের সমস্যা কম বেশি প্রায় সব মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এই সময় মস্তিষ্কের যথাযথ কাজের জন্য যৌবন বা কৈশরের জমাটি ঘুম অত্যন্ত কার্যকরী।

১৯৬৭ সাল থেকে গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। ২০০ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন তাঁরা। ১৮ থেকে ২৯ বছরকে যৌবন, ৩০-৬০ বছরকে মধ্যবয়স ও ৬০ এর বেশি বয়সকে বার্ধ্যকের আওতায় এনেছেন তাঁরা।
এই ২০০জনকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে দিনে গড়ে তাঁরা কতক্ষণ ঘুমান, ঘুম আসতে কতক্ষণ সময় লাগে, রাতে কতবার তাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন এবং সারা দিনে কখন বা কতবার তাঁদের নিদ্রালু লাগে।

Source: Perspectives on Psychological Science

Labels: