Friday, January 2, 2015

পুরুষত্বে সমস্যা – ঘরোয়া সমাধান

বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌণ ইচ্ছা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে আপনি সচেতন হয়ে যান৷ জেনে নিন কেন আপনার মধ্যে থেকে এই চাহিদা ক্রমঃ ক্ষয়মান৷

বিজ্ঞাপন
হরনি গোট উইড - দাম্পত্য সুখের জন্য
এই কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে কুন্ঠিত বোধ করছেন? তবে চিন্তা করবেন না কারণ এর চিকিত্সা আপনি এখন আপনার বাড়িতেও করতে পারেন৷ আর আপনি একবার এই সমস্যার সন্মুখীন হলে পরবর্তী সম্পূর্ণ জীবন আপনাকে এভাবে কাটাতে হবে এমন কোন আশঙ্কাতে আপনি থাকবেন না৷

হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবে মাত্র দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিত্সা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷

এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিত্সাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কিকি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার সাধিত হয়–

রসুন :
যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতিঅ সহজলভ্য সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়্ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷

..

প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷

পেঁয়াজ :
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকে ই ব্যবহূত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কিভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখন ও পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যায় নি৷

সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন (যাকে এক কথায় spermatorrhea বলা হয়) ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷

এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এঅটির নিয়্মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷

গাজর :
150গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷

কাজেই এখন আর দুধ্চিন্তা করবেন না৷ সমস্যার একেবারে প্রথম ধাপে আপনি বাড়িতে এই পদ্ধতি গুলি মেনে চলে দেখুন হয়তঃ প্রাথমিক ধাপে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷

Labels: ,

স্বাস্থ্যকর যৌন জীবনের জন্য খাদ্য

যৌন সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত পাচ্ছি ফোন কল, চেম্বারে আসছেন ভুক্তভোগীরা। এদের মাঝে শতকরা ৯৯ ভাগই পুরুষ। সকলেই কমবেশি একই ধরনের সমস্যার কথা বলেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। প্রত্যেকেই মনে করেন তার সমস্যা আর কারো হয় না এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি নেই। দুসচিন্তার কারনে শারীরিক সমস্যার থেকে বড় হয়ে দেখা দেয় মানসিক সমস্যা। অথচ কিছু সাধারণ খাবারেই আছে অধিকাংশ যৌন সমস্যার ভালো সমাধান।

সমস্যায় পড়লে আমরা ওষুধের মাঝে খুঁজি মুক্তি, অথচ আশেপাশের কত খাবারে যে রয়েছে জাদুকরী কেরামতি সেটা আমরা জানি না।

সবুজ শাকপাতা দিয়ে শুরু করা যাক। দেশি সবুজ শাক, পালং শাক, লাল শাক ইত্যাদি পাতা অবহেলা করবেন না। ব্রুকলি, স্পিনেচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি এসব সবজীতে রয়েছে ভিটামিন বি সহ অন্যান্য এন্টি অক্সিডেন্ট যেগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অপরিহার্য।

ডিম খাবেন। ডিমে পাবেন শরীরের বৃদ্ধির জন্য আমিষ এবং বিভিন্ন ভিটামিন। সুস্থ যৌন জীবন যাপনে আমিষের প্রয়োজন রয়েছে। আমিষ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ হয় না।

প্রতিদিন ফল খেতে হবে। দেশি টক ফল খেতে পারেন। লেবু, বাতাবি লেবু, কমলা লেবু, মাল্টা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল প্রয়োজন প্রতিদিন। গরমের দিনে খাবেন তরমুজ। তরমুজে রয়েছে মহা উপকারী এক রাসায়নিক সিট্রুলিন; পুরুষের জন্য যার ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত। দেশি জাম, বিদেশি স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফলেও রয়েছে এধরণের গুণাবলী।

চা পান করবেন প্রতিদিন। দিনে এক বা দুই কাপ চা পান করলে দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন এন্টি অক্সিডেন্ট  যারা পুরুষের নানা সমস্যার সমাধানে সিদ্ধহস্ত।

পুরুষের সক্ষমতার পেছনে জিঙ্ক বা দস্তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। মাংসে পাবেন জিঙ্ক। অনেকেই খাবারের মেনু থেকে প্রাণীজ আমিষ তথা মাংস বাদ দিয়ে দেন, এটা ঠিক না। মাংস খাবেন পরিমিত পরিমাণে। এর সাথে সুষম খাদ্য দুধ পান করবেন। দুধেও পাবেন জিঙ্ক।

নিয়মিত বাদাম খাওয়া খুব ভালো একটা অভ্যাস। বাদামের তেল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। এটা পুরুষদের জন্য খুব উপকারী। দেশি বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি যেকোনো বাদামেই এই উপকার পাবেন। বাদামে  আরো রয়েছে ভিটামিন ই যার সুনাম রয়েছে বার্ধক্যের সাথে যুদ্ধে।

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ জীবনের অন্যতম উপাদান। জাতীয় মাছ ইলিশ এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে ভরপুর, অন্যান্য সামুদ্রিক মাছেও পাবেন প্রচুর পরিমাণে এই তেল। মাছে আরো রয়েছে আরজিনিন নামে একধরনের যৌগ যার একটি কাজ হচ্ছে পুরুষদের সক্ষমতায় সহায়তা করা।

চকোলেটের মাঝে ডার্ক বা কালো রঙের চকোলেটে রয়েছে ফেনথায়লামিন নামের রাসায়নিক পদার্থ যা বাড়তি উদ্দিপনা যোগায় শরীরে।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই খাবারগুলো আমরা সহজেই পেতে পারি হাতের নাগালে। একটা কথা মনে রাখবেন, পুরুষদের অধিকাংশ যৌন সমস্যা আসলে কোন সমস্যা নয়, আত্মবিশ্বাসের অভাবই মূল কারণ। নিজের ওপরে আস্থা রাখুন আর স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। সুখী দাম্পত্য জীবনের স্বাদ গ্রহণ করুন সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে।

ডা. রায়হান কবীর খান

Labels: ,

শারীরিক মিলনের নানা দিক

ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷ কিন্তু আপনি জানেন কি শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে যার ফলে আপনার ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে—

* ভালো ব্যায়াম : শারীরিক মিলনের সময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালো ভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি 30 মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার 85 ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে 75 মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায় : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অর্থাত আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে আমদের শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয়৷

* জীবন কাল বাড়ে : নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়৷

* ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় : বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিংসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান৷

* পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয় : যে সব মহিলাদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণতঃ পিরিয়ডের সময় মহিলাদের খুব বেশী ব্যাথা হযে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷

* মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি : মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সবথেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷

বিজ্ঞাপন
হরনি গোট উইড - দাম্পত্য সুখের জন্য
* ভালোবাসা বাড়ে : শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকারীতা ভীষণ জরূরী৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷ যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উন্নতমানের তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন৷

* কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে : শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷ এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷

* ভালো ঘুম হয় : শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন৷

* আত্মবিশ্বাস বাড়ে : শারীরিক মিনলের ফলে ব্যক্তির মনে স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতর কার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷

* ওজন কমে : শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয় তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷

* সৌন্দর্য্য বাড়ে : শারীরিক মিলন কালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরে৷ তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে৷ শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷

* ভালো ত্বক : শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার ম্যাসাজ চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷

* প্রোস্টেটে ক্যান্সার প্রবণতা কম হয় : নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷

* হাপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি : শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যাণ্টি হিস্টামাইন রূপে দেখা হয়৷ এর দ্বারা নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যায়৷ আর যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷

* কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি : মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে৷

* বিস্বস্ত তা বাড়ে : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলনের বোঝা পড়া ঠিক থাকলে তার একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না৷

* রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় : শারীরিক মিলনের সময় ব্যক্তির উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়৷

সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম

Labels:

দ্রুত বীর্য পাত বা প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের সহজ বাংলা হলো দ্রুত বীর্যপাত হওয়া। মাঝে মাঝে অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের নিজেদের অথবা তাদের যৌনসঙ্গিনীর চাহিদার তুলনায় দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন। যদি এটা কদাচিৎ ঘটে তাহলে তেমন সতর্ক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিতভাবে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরু করার একটু পরে আপনার বীর্যপাত
ঘটে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

 প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। পরিসংখ্যানে ভিন্নতা রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। যদিও এটি একটি সাধারণ সমস্যা যার চিকিৎসা রয়েছে কিন্তু অনেক পুরুষ এ বিষয়ে তাদের চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে কিংবা চিকিৎসা নিতে সঙ্কোচ বোধ করেন।

 এক সময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়গুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে।

 আপনি আর দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে জীবন কাটাবেন না বর্তমানে অনেক চিকিৎসা বেরিয়েছে যেমন বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলিং এবং বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো আপনার বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে।

 উপসর্গ
 একজন পুরুষ বীর্যপাত করতে কতটা সময় নেবেন সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনো আদর্শ মাপ নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এমনকি হস্তমৈথুনের সময়ও কিংবা শুধু অন্যের সাথে যৌনমিলনের সময়।

 প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা হয়ঃ

 এক. প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এটা হলো আপনি যৌন সক্রিয় হওয়া মাত্রই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া।

 দুই. সেকেন্ডারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এ ক্ষেত্রে আগে আপনার যৌনজীবন তৃপ্তিদায়ক ছিল, কিন্তু বর্তমানে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে।

 কারণ
 কী কারণে বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় ধারণা করা হতো যে এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে আমরা জানি, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল ব্যাপার এবং এর সাথে মানসিক ও জৈবিক দু’টিরই সম্পর্ক রয়েছে।

 মানসিক কারণ
 কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রাথমিক বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি ধরনে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, পরবর্তী জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন­
 লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
 অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়।
 অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

 এর মধ্যে রয়েছে­
 পুরুষত্বহীনতা
 যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন সেসব পুরুষের দ্রুত বীর্যস্থলন ঘটে।

 দুশ্চিন্তা
 দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে।

 দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

 জৈবিক কারণ
 বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে

 হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
 মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
 বীর্যস্খলন ব্যবস্থার অস্বাভাবিক ক্রিয়া
 থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
 প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ এবং সংক্রমণ
 বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
 খুব কম ক্ষেত্রে নিচের কারণগুলোর জন্য দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে
 সার্জারি কিংবা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হওয়া।

 নারকোটিকস বা মাদক কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।

 যদিও অধিকাংশ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক দু’টি বিষয়ই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে দায়ী হলো শারীরিক কারণ যদি সেটা জীবনভর সমস্যা হয়ে থাকে (প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন)।

 ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ বিভিন্ন বিষয়ে আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন­
 পুরুষত্বহীনতাঃ যদি আপনার লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হয়, কিংবা মাঝে মাঝে উত্থিত হয় কিংবা উত্থিত হলেও বেশিক্ষণ উত্থিত অবস্থায় না থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যৌন সঙ্গমের সময় আপনার লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না এমন ভয় আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনের এ ধরনের লিঙ্গোত্থান সম্পর্কিত দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থাকে।

 স্বাস্থ্য সমস্যাঃ যদি আপনার এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে আপনি যৌন মিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করেন, উদাহরণ স্বরূপ যদি আপনার হৃদরোগ থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

 মানসিক চাপঃ আপনার জীবনে আবেগজনিত কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

 ওষুধঃ কিছু ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটাতে পারে।
 কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেনঃ বেশির ভাগ যৌনমিলনের সময় যদি আপনি আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর আকাঙ্ক্ষার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। আপনার যৌন জীবন মধুর করার জন্য আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ঃ চিকিৎসক আপনার বিস্তারিত যৌন ইতিহাস জেনে, তার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত বীর্যপাত রোগ নির্ণয় করেন। চিকিৎসক আপনাকে অনেক একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং আপনার সঙ্গিনীকেও উপস্থিত থাকতে বলতে পারেন। যদিও সেক্স সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলতে আপনাদের দু’জনেরই অস্বস্তিবোধ হতে পারে। তবুও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনার চিকিৎসক আপনার সমস্যার কারণ নিরূপণ করতে সাহায্য করবেন এবং সবচেয়ে ভালো চিকিৎসাটা দিতে পারবেন।

 আপনার চিকিৎসক আপনার স্বাস্থ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তিনি আপনার সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন।

 আপনার চিকিৎসক আপনার কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেনঃ

 কত দ্রুত আপনার বীর্যপাত ঘটে?

 একজন বিশেষ সঙ্গিনীর বেলায় কি আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়?

 আপনি যতবার যৌনমিলন করেন, ততবারই আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে?

 আপনি কতবার যৌনমিলন করেন?

 দ্রুত বীর্যপাত আপনার যৌন আনন্দ লাভে এবং আপনার সার্বিক জীবনে কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলে?

 আপনার লিঙ্গ উত্থান হতে কি দীর্ঘ সময় উত্থান অবস্থায় থাকতে কি সর্বদা সমস্যা হয়?
 আপনি এ সমস্যার জন্য কী কী ওষুধ গ্রহণ করেন?

 আপনার দ্রুত বীর্যপাতের কারণ উদঘাটন করতে আপনার কিছু মানসিক বিষয়ও জানা প্রয়োজন। আপনার চিকিৎসক আপনার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেনঃ

 আপনার ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষা

 আপনার প্রাথমিক যৌন অভিজ্ঞতা

 আপনার অতীত ও বর্তমানের যৌন সম্পর্ক

 আপনার বর্তমান সম্পর্কের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ

 যদি আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে থাকে এবং আপনার লিঙ্গোত্থানে সমস্যা হয় তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনার পুরুষ হরমোনের মাত্রা (টেসটোসটেরন) দেখার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্ষা করতে দিতে পারেন।

 জটিলতাঃ যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিন্তু এটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন

 সম্পর্কে টানাপড়েনঃ দ্রুত বীর্যপাতের সবচেয়ে সাধারণ জটিলতা হলো যৌন সঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি। যদি দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনার সঙ্গিনীর সাথে মনোমালিন্য চলে, আপনি দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আপনার চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে দ্বৈত থেরাপিও থাকবে।

 বন্ধ্যত্ব সমস্যাঃ দ্রুত বীর্যপাত মাঝে মাঝে আপনার বন্ধ্যত্ব ঘটাতে পারে।
যেসব দম্পতি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন সেটা অসম্ভব হতে পারে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর দু’জনেরই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।



Labels:

যৌন সেক্সের প্রশ্ন উত্তর সেক্সের প্রশ্ন উত্তর

সেক্স সম্পর্কে জানা মানেই হচ্ছে নিজের সম্পর্কে জানা। অথচ লজ্জা বা আড়ষ্ঠতার কারণে অনেকেই সেক্স নিয়ে খুব একটা ভাল ধারণা রাখেন না। ফলে ব্যক্তিগত যৌনজীবন হয়ে পড়ে একঘেয়েমীপূর্ণ এবং বৈচিত্র্যহীন। আবার অজ্ঞতার কারণে বিভিন্ন রকম যৌন সমস্যায় পতিত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এসব সমস্যা থেকে উত্তীর্ণ হতে সেক্স সিক্রেট জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছেন- কাজী মারুপ আহমেদ।
১) কারো শরীর দেখে কি সেক্সচুয়াল সক্ষমতা বোঝা সম্ভব?: না।
 ২) অনেক দূরে থাকা প্রিয়জনের সাথে ফোন সেক্স করতে চান অথচ বলতে লজ্জা পাচ্ছেন, লজ্জা ভাঙ্গবেন কীভাবে?: প্রথমে তাকে মজার এসএমএস পাঠান। দেখবেন আস্তে আস্তে ইজি হয়ে যাবেন তার সাথে।
 ৩) পানির নিচে কনডম কতটা কার্যকর?: তা এখনো পরীক্ষা করা হয়নি তাই বিশ্বস্ততার স্বার্থে সতর্ক হওয়া উচিত।
 ৪) পছন্দের ব্যক্তির কাছে নিজেকে বিশ্বস্ত করার জন্য সবচেয়ে ভালো গান কি হতে পারে।: জাস্টিফাই মাই লাভ বাই ম্যাডোনা।
 ৫) যদি পার্টনার আপনার চেয়ে অনেক বেশি লম্বা হয় তবে শারীরিক সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে কি করবেন।: এমন স্থান এবং আসন নির্বাচন করা উচিত যেখানে আপনি স্পিড কন্ট্রোল করতে পারবেন। যেমন মেয়ে পার্টনার উপরে থাকা।
 ৬) ব্লো জব এর সময় অনেকেই দাঁত ব্যবহার করে, আপনি কতটা জানেন।: খুব কম সংখ্যক যুগলই এমনটা করে থাকে। তবে ব্লো জবের সময় এটা করতে চাইলে অবশ্যই পার্টনারকে জিজ্ঞাস করে নিবেন।
 ৭) প্রিয়জনের সঙ্গে যখন যৌন উত্তেজনা চরমে তখন সে আপনাকে কিছুই করতে দেয়না। এখানে কি ভুলবোঝাবুঝির অবকাশ আছে?: এটা সকলের ক্ষেত্রে হয়না ।
 ৮) পুরুষের কমন ফ্যান্টাসি কী?: একাধিক নারীর সঙ্গে সমানতালে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া।
 ৯) উত্তেজনার সময় পুরুষের বিশেষ অঙ্গ কিছুটা বেঁকে যায, এতে কি উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে?: মাঝে মাঝে বেঁকে যাওয়া সাধারণ ঘটনা। তবে আঘাত জনিত কারণে ঘটলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
 ১০) পিরিয়ড-এর সময় রুক্ষ্ম এবং শুষ্ক অনুভূতি হওয়ার কারণ কী?: কারণ ঐ সময় গর্ভ সঞ্চার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
 ১১) সেক্স নিয়ে ভাবলে কি মেয়েদের অরগাজম হয়?: এটা মাত্র ২ শতাংশ নারীর হয় এবং তারা অবশ্যই ভাগ্যবান।
 ১২) ছত্রাক জাতীয় ইনফেকশনে আক্রান্ত হলে কি সেক্স করা উচিত?: পার্টনারও এই ছত্রাক জাতীয় রোগে আক্রান্ত হতে পারে তাই অধিক সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
 ১৩) প্রত্যেকেরই কি জি-স্পট থাকে?: হুম। এটা প্রত্যেক স্তন্যপায়ী প্রানীরই থাকে।
 ১৪) শুষ্ক অবস্থায় সেক্সের ভালো উপায় কি হতে পারে?: এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে এমটি হতে পারে। তাই এটি গ্রহণ না করে এবং ওয়াটার বেস লুব ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান হতে পারে।
 ১৫) সেক্সুয়ালি টেন্সমিটেড ডিজিজ পরীক্ষা কি ঘরেই করা সম্ভব, না ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত?: ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিশ্চিত হওয়াই উত্তম।
 ১৬) কীভাবে পেরিনিয়ামকে সর্বোচ্চ উত্তেজিত করা যায ?: আলতোভাবে দু্‌ই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দেয়া যেতে পারে।
 ১৭) ব্লু বল কি সত্যিকারে আছে?: দীর্ঘস্থায়ী মিলনের কারণে অন্ডকোষ এবং পেরিনিয়ামে অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে তবে কোন ব্যথা অনুভূত হয় না ।
 ১৮) সেক্সের সময় ভাইব্রেটর ইউস করার উত্তম পদ্ধতি কি?: সেক্সের ক্ষেত্রে ভাইব্রেটর ইউস করার সময় সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।
 ১৯) পার্টনারকে আরো বেশি কাছে পাওয়ার জন্য কি ধরনের ভাষা ব্যবহার করা যেতে পারে?: আমি তোমাকে সব সময়ই অনুভব করি যা তুমি নিজেও কর আমার প্রতি। তুমি সব সময়ই সব অবস্থাতে অনেক বেশি উত্তম।
 ২০) আপনি যা করতে চান সে বিষয়ে পার্টনারের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার উপায় কী?: পেট কিংবা তার বুকে সেক্সের দৃষ্টিতে তাকান। যদি তাতেও না হয় তবে তাকে বলতে পারেন আপনার অনুভূতির কথা।
 ২১) ছোট্ট ভগঙ্কুর সমস্যা আছে। এটা কি অর্গাজমের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে?: এক্ষেত্রে কখনোই অতিরিক্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে না যাওয়াই ভাল।২২) পার্টনারের সঙ্গে অরগাজম উপভোগ করতে পারছি না। এটা কি কোন সমস্যা?: না, এটা কোন সমস্যা না।
 ২৩) যদি পার্টনার এবং নিজে একই ধরনের যৌন রোগে আক্রান্ত হয় এক্ষেত্রে কি কনডম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক?:না, এক্ষেত্রে দু’জনের একই চিকিৎসা নেয়া যেতে পারে। এন্টিবায়োটিক বেশি ফল দিবে।
 ২৪) সেক্সের ক্ষেত্রে পুরুষের লং লাস্টিং কীভাবে সম্ভব?: বেশির ভাগ সময়ই পার্টনারকে সুইস অবস্থায় রাখতে হবে। এতে করে লং লাস্টিং সম্ভব হবে।
 ২৫) সেক্সে পরিপূর্ণ তৃপ্তির জন্যর জন্য কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে কি?: রসুন এবং এসপারাগাস এবং বেশি করে আনারস খেতে পারেন।
 ২৬) স্পর্শ করা আগেই কি পরিপক্ক ব্যক্তি তার পার্টনারের সেক্সচুয়াল সক্ষমতা জানতে পারে?: নিশ্চয়ই সেক্সকে জুয়া খেলা কিংবা প্রজাপতির মত নয়।
 ২৭) সুইস অবস্থায় পার্টনার অমনোযোগী হওয়াটা কি কোন ভুল?: না, তবে তাকে এ অবস্থায় থাকার জন্য পুরুষকে সহযোগিতা করা উচিত।
 ২৮) নারীরা কি সেক্সের সময় নিপলকেও সমানে সমানে চালাতে পছন্দ করে।: কেউ কেউ করতে চায়, আবার ব্যতিক্রমও আছে। এক্ষেত্রে পার্টনারকে মূল্যায়ন করুন।
 ২৯) একই সময়ে একজন নারীর কতবার অরগাজম হতে পারে?: এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না, তবে নিজের অবস্থার রেকর্ড করলে হয়ত জানা যাবে।
 ৩০) নারীর অরগাজম যদি দ্রুত হয় তবে নারী এবং পুরুষের অরগাজম কি একই সময়ে ঘটানো সম্ভব?: নিজের বিরতির সময়ই আরগাজম নিজ গতিতে চলতে থাকে। তাই প্রথম বার না হলেও ২য় বার চেষ্টা করা যেতে পারে।
 ৩১) অ্যানল করার চেষ্টা করার সময় ভয় হয়, কোন আঘাত লাগে কি না, এটাকে আনন্দদায়ক করার জন্য কি করা যেতে পারে?: প্রথমত পরিপূর্ণ লুব ব্যবহার করুণ এবং আঙ্গুল দিয়ে প্রথমে পরীক্ষা করুন তারপর ধীরে ধীরে প্রবেশ করান।
 ৩২) কি করলে খুব সহজে যৌন কামনা সৃষ্টি করা যায়?: মনে মনে সেক্সি ভাবনায় তা অনেক সহজ হয়।
 ৩৩) যদি দীর্ঘ সময় যাবত ভায়াগ্রা ব্যবহার করা হয় তবে তা কি কোন সমস্যার সৃষ্টি করবে?: এটা এখনো জানা সম্ভব হয়নি, তবে দীর্ঘ দিন ব্যবহার করলে শারীরিকভাবে এর প্রতি নির্ভরশীল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
 ৩৪) কোন সিরিয়াল কিসারের সাথে ডেটিং করলে কি বুঝতে হবে তার চুষার অভ্যাস খুব বেশি?: হতেও পারে।
 ৩৫) আমি কিভাবে পার্টনারকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ভাবে পেতে পারি?: পার্টনারকে একাজে প্রলুব্ধ করতে হবে, তার শরীরে আলতোভাবে স্পর্শ করা যেতে পারে, যা অনেক বেশি আকর্ষণ করবে।
 ৩৬) সেক্স করার পর কেন পার্টনার অনেক বেশি দূরে চলে যায়?: তখন ঐসব চিন্তা তার মাথায় না থাকায় দূরে সরতে চায়।
 ৩৭) মিলিত হওয়ার পর কি মুখের স্পর্শ প্রয়োজন হয়?: না, এটা শুধু মিলিত হওয়ার আগেই স্পর্শকাতর স্থানে করা যেতে পারে।
 ৩৮) একজনের পক্ষে কি অনেক বেশি মাস্টারবেশন করা সম্ভব?: এটা নিজের মনোযোগের ব্যাপার।
 ৩৯) ইজিকুলেট ছাড়াই কি অরগাজম হতে পারে?: হ্যাঁ
 ৪০) সেক্সের সময় কিভাবে পিউবোকক্কিজিয়াস মাসেল ব্যবহার করা যায়?: মিলনরত অবস্থায় নমনীয় হতে হবে এবং প্রকাশ করতে হবে। বিভিন্ন ভাবেই এটা করা যেতে পারে।
 ৪১) সেক্সের সময় এমন কিছু কি আছে যা অধিক আর্দ্র করে?: না৪২) কখন দ্রুত ইজিকুলেট হয়?: যদি অধিক সময় আশা না করে বা মিলনের সময় বাজে চিন্তা করে।
 ৪৩) আপনি হয়ত নিয়ম মানেন কিন্তু করলেন ভিন্ন যেমন ছাত্রী শিক্ষক প্রেমের সম্পর্ক, এছাড়াও বেডরুমে ফেন্টাসি আর কি হতে পারে?: চোর – পুলিশ, ব্রেড – অ্যানজেলিনা।
 ৪৪) সেক্সের সময় প্রস্রাব বোধ হয় কেন?: কারণ মুত্রথলির কাছাকছি যৌনাঙ্গ চলে আসে। এটা সত্যিকার অর্থেই হতে পারে।
 ৪৫) নারীদের কি সেক্সচ্যুয়াল সক্ষমতা বেশি?: এটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 ৪৬) জঠর নিয়ে সচেতন কিন্তু ঢেকে রাখতে না চাইলে সেক্সের সময় কি করা উচিত?: এটাকে ডগিং স্টাইলে করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
 ৪৭) স্পাঙ্ক করতে চান, কিভাবে পার্টনারকে বুঝাবেন?: প্রথমেই স্পাঙ্ক করুন।
 ৪৮) ভাইব্রেটর ইউস করলে কি উত্তেজনা কমে?: সাময়িকভাবে এটা হতে পারে।
 ৪৯) হ্যান্ড জব করার সময় কিভাবে উত্তেজনা ধরে রাখা যায়?: চিন্তা করুন কি ধরনের শক্ত জিনিস ব্যবহার করে করতে সক্ষম হবেন।
 ৫০) সেক্সের পরের ব্যথা হলে কি করতে হবে?: ভালো লুব ব্যবহার করা যেতে পারে, আঘাত পেলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
 ৫১) সেক্স টয় কিভাবে পরিস্কার করতে হয়?: গরম পানিতে মিল্ড সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
 ৫২) কনডম লাগানো উত্তম পদ্ধতি কি?: মুখ এবং হাতের স্পর্শে মাথা থেকে লাগাতে হয়।
 ৫৩) পুরুষাঙ্গ যদি ছোট হয় তবে কিভাবে তা বড় অনুভব সম্বব?: ডগি স্টাইল সেক্স।
 ৫৪) দীর্ঘপুচ্ছ না হলে কি করা উচিত?: হাতের কাছে সব সময় টিস্যু রাখতে হবে এবং আলতোভাবে মুখে ঘষতে হবে।
 ৫৫) পার্টনারকে না জানিয়েও কিভাবে তার যৌন সমস্যা (এসটিডি) পরীক্ষা করা যায়?: পার্টনারকে আদর করার সময় সতর্কতার সাথে তা পরীক্ষা যেতে পারে।
 ৫৬) পিছন থেকে চাইলে কিভাবে করতে হবে?: হাত দিয়ে আলতো ভাবে ঘষতে হবে তারপর আস্তে আস্তে প্রবেশ করা যাবে।
 ৫৭) বিশেষ মূহুর্তে যদি কনডম ছিদ্র হয়ে যায় তবে কি করা উচিত?: যদি পিল নেয়া অবস্থায় না থাকে তবে এসটিডি টেষ্ট করা দরকার।
 ৫৮) কনডম না ফুঁটা হওয়ার কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে কি?: না, নিজের প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব।
 ৫৯) গরম টিউবে করা কি উচিত হবে?: না
 ৬০) প্রিয়জনকে বন্ধনে রাখার জন্য কি করা যেতে পারে?: নিজের অতি নিকটে প্রিয়জনকে রাখা এবং নিজের প্রতি তাকে নির্ভরশীল করে নিতে হবে।
 ৬১) পার্টনারকে সেক্সের আগে পরিস্কার হয়ে আসার কথা বলা উচিত?: না, তবে সেপ্টির জন্য তাকে বলতে পারেন।
 ৬২) সেক্সের সময় গর্ভাশয়ের সংকীর্ণ অংশে আঘাতে সন্তান মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এ অবস্থায় কি করা উচিত?: এঅবস্থায় সতর্কতার সাথে আলতোভাবে প্রবেশ করানো উচিত।
 ৬৩) ক্লিটোরাল উত্তেজনায় উত্তম পদ্ধতি কি?: পুরুষ উপরে থাকলে ভাল।
 ৬৪) সিএটি পজিশন বলতে কি বুঝায়?: কইটাল ইলিগমেন্ট পদ্ধতি।
 ৬৫) মরনিং উড মানে কি সকালে সেক্স বুঝায়?: না, তবে ঐসময় সে খুশি থাকে।
 ৬৬) সহবাস না করেও ফেন্টাসি আছে এটা কিভাবে বলা উচিত?: পার্টনারকে বলুন আপনার একটা যৌন স্বপ্ন আছে, সে শুনতে চায় কিনা জিজ্ঞাস করাই উত্তম।
 ৬৭) বেশি বেশি মিলিত হওয়ার ইচ্ছে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়?: এক্ষেত্রে পার্টনারের ফিটনেস এবং ইচ্ছেটা তৈরি করা জরুরি।
 ৬৮) মিলিত হওয়ার সময় কাতুকুতু লাগলে কি করা উচিত?: পেশিকে আরামে রাখতে হবে। যা করছেন তার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিন।
 ৬৯) পুরুষ ও নারীর অরগাজমের অমিল কেন?: কারণ পুরুষ ব্যাটারির পাওয়ারে চলেন না।
 ৭০) পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্ন সেক্স কীভাবে করা যায়?: ঝরনার নিচে কিংবা নিজের নিচে তোয়ালে দিয়ে।
 71-৬৯ পদ্ধতির জন্য ভাল পদ্ধতি কি?: নিজে উপরে থাকা অথবা সাইড বাই সাইড।
 ৭২) পাবলিক স্থানে কিন্তু অধিক পাবলিক স্থানে নয় এমন জায়গা কি হতে পারে?: শান্ত রাস্তার পাশে প্রাইভেট কারে করা যেতে পারে।
 ৭৩) পার্টনার ড্রিংক করা অবস্থায় যৌনতা ভুলে যায়, কি করা উচিত?: বেশি পরিমাণ ড্রিংক বন্ধ করতে হবে।
 ৭৪) মাত্রাতিরিক্ত সেক্স করা কি সম্ভব?: না
 ৭৫) শরীরের কোন কোন অঙ্গ অজানা যৌন উত্তেজক?: মাথার ত্বক এবং নাসারন্ধ্র।
 ৭৬) উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কত ?: ৫.৫ থেকে ৬.২ ইঞ্চি৭৭) প্রিয়জন নিজের থেকে প্রায় ১ ফুট লম্বা এবং বেডরুমে সব সময় লাইনআপ করা যায় না । ভাল পজিশন কি হতে পারে?: পা ফাঁক করে ভাল পজিশন তৈরি করা যেতে পারে।
 ৭৮) পুরুষের এসটিডি টেস্ট করার ভাল পদ্ধতি কি হতে পারে?: দুজনে একসাথে এসটিডি করা।
 ৭৯) ওরাল করার পর বিরতিতে কি করা উচিত?: নিজের হাত চাটা এবং তার উরু এবং পেটে কিস করা যেতে পারে।৮০) অপ্রকাশিত অনলাইন সেক্স কি চ্যাটিং হিসাবে গণ্য হবে?: যদি সে না প্রকাশ করে তবে তার জন্য হ্যাঁ হবে।
 ৮১) সেক্সের সময় যদি অরগাজম না হয় তার মানে কি বুঝতে হবে?: সে মনকষ্টে ভুগতে পারে। তাই তার মনকষ্ট লাগবে তার সাথে কথা বলা উচিত।
 ৮২) প্রিয়জনের সাথে যৌন দৃশ্যের ভিডিওতে অংশ নেয়ার সময় কি মনে রাখা উচিত?: ওয়াইড শর্ট এবং শর্ট লাইটিং ব্যবহার করা দরকার।
 ৮৩) কনডম সাইজ কি আসলেই একটা বড় ব্যাপার?: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সকল পুরুষের জন্য কনডম সাইজ একই হয়, তবে কমফোর্ট ফিল করার জন্য বড় সাইজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
 ৮৪) সেক্স করার পর পুরুষের ঝাকুনি মারার কারণ কি?: এটা অরগাজমের কারণে হয়।
 ৮৫) ফিমেল কনডম এবং মেল কনডম কি একই ভাবে নিরাপদ?: এসব অপেক্ষাকৃত কম ইফেকটিভ এবং অনেক বেশি ঝুকিপূর্ণ।
 ৮৬) কনডমের সেপটি না জেনে ব্যবহার করা উচিত হবে কিনা ?: ইনফেকশন তৈরী করতে পারে এবং সেই সাথে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
 ৮৭) পার্টনারের পুরুষাঙ্গ অনেক বড় এরকম অনুভব করা কি কল্পনা ?: হতে পারে।
 ৮৮) দুজনেই সেক্স টয় ব্যবহার করে কি পার্টনারকে আরাম দেয়া যায়?: পার্টনারের উপর নির্ভর করবে।
 ৮৯) মাঝে মাঝে সেক্সের সময় কুইফ হতে হয়। শুরুতে করা কি উত্তম?: এক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।
 ৯০) মেয়েদের গোপন অঙ্গের সাইজটা কোন ফ্যাক্ট কিনা?: টাইটনেসে কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে এটা কোন ফ্যাক্ট না।
 ৯১) খৎনা না করা পুরুষাঙ্গ কিভাবে পরিচালনা করতে হয়?: কেউ কেউ বিষয়টিকে অনেক বেশি সেনসেটিভ ভাবে ।
 ৯২) হ্যান্ড জবে পূর্ব অভিজ্ঞরা কি মাঝে মাঝে তা করে?: হ্যাঁ
 ৯৩) কনডম ব্যবহার সত্ত্বেও নিজেকে নিরাপদ মনে হয়না। পার্টনারকে এটা কিভাবে বোঝাতে হবে?: পার্টনারের চরম যৌন উত্তেজনা না আসার আগেই তাকে বলতে হবে।
 ৯৪) পুরুষাঙ্গ কি ভাঙ্গতে পারে?: এটা মেরুদন্ডের মত ভাঙ্গবে না তবে আঘাতের ফলে থেতলে যেতে পারে। মেডিক্যাল চিকিৎসায় সমাধান সম্ভব।
 ৯৫) একই সাথে একাধিক নারীর সাথে ঘুমানো অস্বাস্থ্যকর কিনা?: যদি দুজনের সাথে সেফ সেক্স করা হয় তবে অস্বাস্থ্যকর নয়।
 ৯৬) অনেকের মতে কনডম উত্তেজনা কমিয়ে দেয় কি করা উচিত?: অনেক বেশি পাতলা কনডম ব্যবহার করলে সমাধান পাওয়া যাবে।
 ৯৭) বেশির ভাগ লুব বিরক্তিকর। প্রাকৃতিক কোন ভিন্ন পদ্ধতি আছে কিনা?: কৃত্রিমতামুক্ত ফায়ার ফ্লাই এবং সিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
 ৯৮) ওরাল সেক্সের পর যদি কিস করতে না চায় তবে কি করা উচিত?: তার বুক থেকে নিচ পর্যন্ত কিস করা যেতে পারে।
 ৯৯) সেক্সের সময় কি পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হয়?১২০ পাউন্ড ওজনের একজন মহিলা প্রতি ৩০ মিনিটে ১১৫ ক্যালরি ক্ষয় করে।
 ১০০) বেশির ভাগ পুরুষ নারীর মাষ্টারবেশন অথবা অশ্লীল দেখতে চায় কি না?: হ্যাঁ।

Labels:

যৌন দূর্বলতা

পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা অনেক সময় প্রকট হয়ে উঠে তা হলো যৌন দূর্বলতা, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। অনেক অবিবাহিত এমনকি যৌন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করেনি এমন অনেকেও কিন্ত এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন। আসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকার কারণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি অনেক অপসংস্কার বা কুসংস্কার এই দূর্বলতার কারণে সমাজে বাসা বেধে আছে।
 যৌন দূর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে তবে যৌন কার্যে নারীর ভূমিকা অনেক খানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এই সমস্যা নিয়ে বেশী উদবিগ্ন হতে দেখা দেয়। নারী পুরুষ মিলিয়ে এ ধরণের রোগির সংখ্যা শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ। একটু ভেবে দেখলে বোঝা যাবে এটা মোটেই ফেলে দেবার মতো কোনো সংখ্যা নয়।
 প্রথমে পুরুষের ব্যধি নিয়ে আলাপ করা যাক। এজন্য প্রথমেই জেনে নিতে হবে একজন পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজ গুলো কি কি। ১- যৌন ইচ্ছা (Libido-লিবিডো) বা সেক্সুয়াল ডিজায়ার থাকা। ২- লিঙ্গত্থান বা ইরেকশন (Irection) হওয়া, যা পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবার কারনে হয়। ৩-পুরুষাঙ্গ দিয়ে ধাতু (semen-সিমেন) নির্গমন (Ejaculation)। এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি term ও জেনে নেয়া যেতে পারে আর তা হলো Detumescence বা পুরুষাঙ্গের শিথিলতা।
 এসব কিছুর মধ্যে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা বা ইরেকটাইল ডিজফাংশন টিই প্রকট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত।এই সমস্যাটি নানাবিধ কারনে হতে পারে।এর বড় একটা কারন হলো মনস্তাত্বিক, এছাড়া কিছু হরমোনের অভাব অথবা মস্তিস্কের রোগের কারনেও এমনটি হতে পারে।পুরুষাঙ্গের ধমনি (রক্তনালী)সরু হয়ে যাওয়া কিংবা শিরার যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত ধারণ করতে না পারাটাও এমন সমস্যার জন্ম দেয়।
 কারন গুলোকে ঠিকভাবে চিহ্নিত করলে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যেতে পারে
 ১. বার্ধক্যঃ আসলে বয়স বাড়াটা লিঙ্গোত্থানের ব্যর্থতার কোনো সমস্যা নয়, বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরবৃত্তীয় এবং মানসিক যেসব পরিবর্তন হয় তা অনেক সময় এতে প্রভাব ফেলে।
 ২. কিছু কিছু রোগের কারনে পুরুষের এমন সমস্যা হতে পারে যেমন- ডায়াবেটিস হওয়া, স্থুলতা, অন্য এন্ডোক্রাইন বা হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়া, প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হওয়া ইত্যাদি।
 ৩. ধুমপানঃ ধুমপান একদম প্রত্যক্ষ ভাবে লিঙ্গত্থান ব্যর্থ হবার একটি বড় কারন।
 ৪. অসুধঃ কিছু কিছু অসুধ আছে যা পুরুষের অমন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এর মধ্যে আছে মানসিক রোগের অসুধ, কিছু স্টেরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের অসুধ, নেশা উদ্রেককারী অসুধ যেমন কোকেন, গাজা, অধিকমাত্রায় এলকোহল সেবন ইত্যাদি।
 ৫. মেরুদন্ডের অভ্যন্তরে যে মজ্জা থাকে (spinal cord) তাতে আঘাত পেলে কিংবা তা রোগাক্রান্ত হলেও এমন সমস্যা দেখা দেয়।
 ৬. পুরুষাঙ্গের নিকটবর্তী স্থানে রেডিওথেরাপী দিলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
 ৭. এছাড়া ডিপ্রেসন, এঙ্গার কিংবা বিভিন্ন মানসিক চাপ বা উত্তেজনার কারনেও লিঙ্গোত্থানে সমস্যা দেখা দেয়।

 চিকিৎসাঃ
 যৌন দূর্বলতার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের কারণের উপড়। পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারনে হয় তা হলে অবশ্যই ঐ রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। তবে সচরাচর এই রোগের জন্য কিছু অসুধ ব্যবহৃত হয় তার একটি হলো সিলডেনাফিল (sildenafil) যা অনেকের কাছেই ভায়াগ্রা নামে পরিচিত। এছাড়া এনড্রোজেন জাতীয় হরমোন এবং পুরুষাঙ্গের অভ্যন্তরীস্থ মূত্রনালীতে প্রয়োগ করা হয় এমন কিছু অসুধ ও রয়েছে।
 অপারেশনের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রসথেসিস (prosthesis) স্থাপন করেও এই সমস্যা থেকে স্থায়ী পরিত্রান পাওয়া যায়। ইউরোলজিষ্ট সার্জন গন এই প্রসথেসিস লাগিয়ে থাকেন।
 পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা বলতে অনেকে আবার দ্রুত বীর্য স্খলন কেও বুঝে থাকেন। একে বলা হয় প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন (premature ejaculation)। এটি ভিন্ন একটি সমস্যা আর এর চিকিৎসাও ভিন্ন রকম।

Labels:

ছেলে মেয়েদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা এবং তার সহজ মেডিকেল সমাধান

ছেলে এবং মেয়েদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা এবং তার সহজ মেডিকেল সমাধান...!!

 বাংলাদেশ একটি কনসারভেটিভ দেশ, তবে বর্তমানে এদেশের সেক্স কালচার অনেক ফাস্ট, অনেক কম বয়স থেকেই ছেলে মেয়েরা সব কিছু জানে, বুঝে এবং করে ( বিশেষ করে শহরে )।, কিন্তু সেক্সের এট্রাকটিভ দিক গুলোতেই সবার সাভাবিক ভাবেই আকর্ষন বেশি এবং এসব সমন্ধে জানার আগ্রহ থাকে, বেশি। তবে সেকসু্যাল সমস্যার বেপারে রয়ে গেছে ভয়ানক অগ্যতা, এবং যা জানা থাকে তার বেশিরভাগি ভুল তথ্য। আমি এই পোস্টে এইডস এর বেপারে কোনো আলোচনা করবো না কারন বিদেশি ফান্ডের সুবাদে এই সমন্ধে যথেষ্ঠ প্রচারনা হয়। কিন্তু এইডস হচ্ছে একটি রেয়ার প্রবলেম, এর থেকে কমন কমন সমস্যা সমন্ধে বেশিরভাগ মানুষের কোন আইডিয়া নাই, যেসব সমস্যা ঘরের কাছের সমস্যা। আর কমন সমমস্যার নিয়ে অনেক আরটিকেল পেপার মেগাজিনে পরলেও এর সঠিক মেডিকাল সমাধান খুব কমি পরসি। তাই আমি চেষ্টা করবো কমন লেংগুয়েজে শুধু মাত্র মোস্ট কমন কারোন গুলো উল্যেখ করার এবং সহজ সমাধান গুলো তুলে ধরার চেস্টা করলাম। ছেলেদের কমন সেকসুয়াল সমস্যা এবং তার সমাধান।
 মেইল ইমপোটেন্স:
 ছেলেরা যেই বেপারে সবচাইতে বেশি চিন্তিত থাকে সেটা হচ্ছে ইরেকশন প্রবলেম। যদিও এই সমস্যা মধ্যবয়সিদের মাঝে বেশি দেখা দেয়, কিন্তু অনেকগুলো কারোনের জন্য দেশের যুবক শ্রেনিদের মাঝেও এখন এই সমস্যা টা একটি বরো সমস্যা।
 ধুমপান: ইউথ ইমপোটেন্স বা যুবকদের যৈন অক্ষমতার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ধুমপান, বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই ধুমপান করে যা নাকি ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দা হাইয়েস্ট। দেশে অনেক আজিরা কথা প্রচলিত আছে যেমন গোল্ড লিফ খেলে সেক্স পাওয়ার কমে যায়, আর বেনসন খেলে তেমন একটা খতি হয় না। ইটস আ বুলশিট। নিকোটিন সব সিগারেটেই আছে কম বেশি আর সিগারেটের অন্যান্য খতিকারক কেমিকাল গুলো সব সিগারেটেই সমপর্যায়ে থাকে। যেসবের কারনে পেনিসের রক্তনালি সংকচিত হতে থাকে।
 স্ট্রেস: এটি পশ্চমা দেশ গুলোতে ইমপোটেন্সের প্রধান সমস্যা তবে দেশেও এটি একটি উল্যেখযোগ্য কারন। বিভিন্য কারনে যদি মাথায় বিভিন্য ধরনের টেনশন থাকে তাহলে ব্রেইন সেক্সের দিকে যথেষ্ঠ এটেনশন দিতে পারেন না। আপনার যদি সেক্স করার সময় ( এনাফ ) ইরেকশন না হয়ে থাকে, কিন্তু মর্নিং ইরেকশন ঠিক থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ফিসিকাল পাওয়ার ঠিকি আছে কিন্তু স্ট্রেস বা অন্য কোন মানসিক সমস্যার কারনে মেন্টাল কনসেনট্রেশন টা নেই। ড্রাগস: ড্বাগসের মধ্যে বিশেষ করে হেরোইন এর জন্য ইমপোটেন্স হতে পারে। কোকেইন সেবনে প্রথম দিকে সাময়িক ইরেকশন হলেও পরে সেটা আর হয় না এবং উল্টো খতি করে।
 ওভার এক্সপেকটেশন: এটি আসলে কোন সমস্যা না। এটি ভুল বুঝা বা জানার জন্য হয়। সেক্স কালচার বেশি অপেন হওয়াতে পর্ন দেখে বা মৈখিক মিথ্যরচনার কারনে দেশ বিদেশ সব খানেই সেক্স পাওয়ার সমন্ধে ৯০ ভাগ মানুশের একটি ভুল ইমেজ তৈরি হয়েছে। এই বেপারে দেখা যায় যে মানুশ মনে করে তার হয়তো সেক্স পাওয়ার কম, কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে কোনকিছু ধরা পরে না ( যদিও দেশের ডাক্তাররা অযথা অনেক টেস্ট করাবে)।, ডাক্তার জিগ্যেশ করার পর দেখা যায় তার সেক্সয়াল একটিভিটি নর্মালি আছে, কিন্তু পেশেন্ট সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। মানুস মনে করে যে ডেইলি এবং লং এনাফ সেক্স করতে না পারাটাই অক্ষমতার লক্ষন। আবার অনেকে তার পেনিসের লেনথ নিয়ে খুশি নয়। এসব হচ্ছে অযথা টেনশন, পর্ন মুভিতে যা দেখানো হয় সেটা নর্মাল সেকসুয়াল একটিভিটি নয়। আপনার বউ ( সেক্সুয়াল পার্টনার) কে জিগ্গেশ করুন যে সে সেটিসফাইড নাকি, তাহলেই কিস্সা খতম। এক্সেসিভ পর্ন দেখার বদৈলতে আবার নিজের বউ বা সেকসুয়াল পার্টনারের প্রতি এট্রাকশন কমে যায় অনেকের।
 জেনে রাখা ভালো, এভারেজ সেক্সয়াল ফ্রিকয়েন্স হলো সপ্তাহে ৩ বার।
 ডিইরেশন ১৫ মিন। পেনিস লেনথ রেস অনুযায়ি ভেরি করে। ইউরোপ এমেরিকা: ১৪,৫ সে. মি. চায়না/ জাপান: ১২ সে.মি. সাবকন্টিনেন্ট ( ইন্ডিয়া/ বাংলাদেশ): ১৩ সে.মি. থেরাপি:
 সবচে এফেকটিভ থেরাপি হচ্ছে চেন্জ অফ লাইফ স্টাইল
 -ধুমপান বন্ধ করুন। বেপারটি খুবি কঠিন, এই বেপারেও আপনি সঠিক মেডিকাল গাইড পেতে পারেন আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে।
 -যথেষ্ঠ বেয়াম করুন। ফিসিকাল মুগমেন্ট ভায়াগরা বা অন্যান্য অষুধ থেকে অনেক বেশি এফেকটিভ, বিশেষ করে ইয়াং দের জন্য। -সেক্স বেপারটাকে স্পোর্টসের মতন দেখবেন না যে এটা তে আপনাকে ফার্সট প্রাইজ আনতেই হবে। বাট হালকা / রিলেক্স ভাবে নেন দেখবেন ফার্সট প্রাইজ থেকা বেশি এনজয় পাচ্ছেন।
 -ভায়াগ্রা থেরাপি ডাক্তারের পরামর্শ ছারা শুরু করবেন না। এতে সাময়িক উপকারিতা পেলেও লং টার্মের জন্য এফেকটিভ থেরাপি নয়। -আল্টারনেটিভ ( ফুটপাথের সপ্নে পাওয়া ) ওৈষধ থেকে ১০০ মাইল দুরে থাকুন )
 মেয়েদের কমন যৈন অক্ষমতার সমস্যা:
 মেয়েদের যৈন অক্ষমতার বেপারে রয়েছে আরো বেশি নলেজের অভাব। এটা যে হয় সেটাই ৯০ ভাগ মানুশ জানে কিনা সন্দেহ আছে, এমনকি স্বয়ং মেয়েরাও জানে না অনেক সময়। দেশে আমি এই পর্যন্ত কোথাও এই বেপারে কোনো আরটিকেল দেখি নাই।
 ভাজাইনাল ড্রাইনেস এবং পেইনফুল ইন্টারকোর্স:
 মেয়েদের বেলায় সেক্সুয়াল এরাউসালের ( যৈন উত্যেজনার ) সময় লুব্রিকেশন (যোনিরস) হয় যার ফলে ভাজায়না ভিজে যায় এবং সেক্স করতে ( পেনিস ঢুকতে ) সুবিধা হয়। লুব্রিকেশনের বেশির ভাগ ফ্লুইড (রস) ভাজাইনার দেয়াল থেকে নির্গত হয় তবে ছোট একটি গ্লেন্ড ( থলি )থেকেও কিছু বর হয়। অনেক মেয়েদের সমস্যা দেখা দেয় যে লুব্রিকেশন হয়না বা সময়মত হয়না, যার ফলে সেক্স এনজয়ের বদলে পেইনফুল হয় ( পেইনফুল ইন্টারকোর্স)।,বেশিরভাগ মেয়েরা সেটা তার হাসবেন্ড কে জানায় না নিজের অক্ষমতা মনে করে। কিনতু এখানে খোলামেলা কথা না বললে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ভাজাইনাল ড্রাইনেসের সবচে বরো কারনটা আসলে ছেলেদেরই দোষ। ইন্টারকোর্স ( ভাজিনাতে পেনিস প্রবেশে) এর পুর্বে যথেষ্ঠ স্টিমুলেশন ( যৈন উত্যেজনা ) না থাকলে লুব্রিকেশন সময় মতন হয় না। ইন্টারকোর্সের আগে যথেষ্ঠ সময় আর এটেনশন নিয়ে সেক্সয়াল স্টিমুলশন ( কিসিং, সাকিং ) করলেই বেশিরভাগ বেলায় এর সমাধান সম্ভব। ছেলেদের যেমন পেনিসে রক্তনালিতে ফেট ( চর্বি ) জমার কারনে ইমপোটেন্সি হয় তেমনি মেয়েদের বেলাতেও তেমনি ভাজাইনাল ব্লাড ভেসেলের ( রক্তনালিতে ) চর্বি জমলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই ব্লাড ভেসেলের চর্বি কমানোর চেস্টা করতে হবে। ফেট কম খাওয়া, বেয়াম করা, সিগারেট না খাওয়া হল এর উপায়।
 আর্টফিসিয়াল লুব্রিকেশন: এরপরেয় যদি এনাফ লুব্রিকশন না হয় এবং সেক্স পেইনফুল হয় তাহলে আর্টিসিয়াল লুব্রিকেশন ( নকল যোনিরস) ইউজ করা যায়। দেশের মেয়েরা সাধারনত তেল বা ভেসলিন ইউজ করে থাকে কিন্তু এতে সমস্যা হচছে যে বেশি ইউজ করলে ভাজাইনার নরমাল বেকটেরিয়াল ফ্লোরা ( শরিরের জন্য উপকারি বেকটেরিয়া ) নষ্ট হয় এবং তাতে ঘন ঘন ভাজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে। এর জন্য স্শেপয়াল আর্টিফিসিয়াল লুব্রিকেশন পাওয়া যায় যা নাকি ঘন পানির মতন হয়। ( বাংলাদেশে আছে কিনা জানিনা )।, যদি তেল বা ভেসেলিন ইউজ করা হয় তাহলে সেটা সেক্সের পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

Labels:

পুরুষত্বহীনতা


পুরুষত্বহীনতা পুরুষত্বহীনতা হলো একজন পুরুষের যৌনমিলন করতে তার পুরুষাঙ্গের উথানের যতটা প্রয়োজন হয়, সেটুকু উথান রাখতে অসমর্থতা। যদিও পুরুষত্বহীনতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে। তবে এ সমস্যা যেকোনো বয়সে ঘটতে পারে। মাঝে মাঝে লিঙ্গোথানের এ সমস্যা হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এ অবস্খা চলতে থাকলে তা মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে। এ অবস্খা আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরায়।
 পুরুষত্বহীনতাকে আগে বলা হতো ইমপোটেন্স, বর্তমানে একে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বলা হয়। এক সময় এটা নিয়ে কেউ আলোচনা করতে চাইত না। যেন এটা নিষিদ্ধ কোনো বিষয়। ধারণা করা হতো এটা একটি মানসিক বিষয় কিংবা বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা একটি প্রাকৃতিক পরিণতি। এসব ধারণা বর্তমানে পরিবর্তিত হয়েছে। এখন জানা গেছে যে পুরষত্বহীনতা মানসিক সমস্যার চেয়ে শারীরিক সমস্যার কারণে সবচেয়ে বেশি হয়, আর অনেক পুরুষের ৮০ বছর বয়সেও স্বাভাবিক লিঙ্গোথান হয়।
 যদিও যৌন বিষয় নিয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলাটা অনেকে লজ্জাজনক মনে করতে পারেন, তবু এ অবস্খার উন্নতি করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অধিকাংশ পুরুষের যৌনক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ চিকিৎসায় ওষুধ থেকে শুরু করে সার্জারিরও প্রয়োজন হতে পারে। কখনো কখনো অন্য কারণ যেমন হৃদরোগ পুরুষত্বহীনতা ঘটায়। সুতরাং পুরুষত্বহীন সমস্যাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। কারণ এটা মারাত্মক স্বাস্খ্য সমস্যার উপসর্গ হতে পারে।
 উপসর্গ
 পুরুষত্বহীনতার প্রধান উপসর্গ হলো যৌন মিলনের জন্য পুরুষাঙ্গের পর্যাপ্ত উথানে অসমর্থতা। এ সমস্যা একজন পুরুষের জীবনের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ সময়ে দেখা দিলে সে পুরুষকে পুরুষত্বহীন বলা হয়।
 অধিকাংশ পুরুষের লিঙ্গোথানে মাঝে মাঝে সমস্যা হতে পারে এবং সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু লিঙ্গোথানের সমস্যা একটানা চলতে থাকলে সেটা পুরুষত্বহীনতার চিহ্ন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এর মূল্যায়ন করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতা অন্য স্বাস্খ্যসমস্যার প্রথম চিহ্ন যার চিকিৎসা প্রয়োজন।
 কারণ
 পুরুষের যৌন উত্তেজনা একটি জটিল প্রক্রিয়া যার সাথে মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, মাংসপেশি এবং রক্তনালী জড়িত। যদি এসব তন্ত্রের কোনোটি আক্রান্ত হয় কিংবা কোনোটির ভারসাম্য নষ্ট হয় তাহলে পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে।
 লিঙ্গোথান সম্পর্কে ধারণা
 লিঙ্গে দু’টি সিলিন্ডারের আকৃতি বিশিষ্ট স্পঞ্জের মতো কাঠামো থাকে (করপাস কেভারনোসাম) যা লম্বালম্বিভাবে মূত্রনালীর সমান্তরাল অবস্খান করে। (মূত্রনালী বীর্য ও প্রস্র্রাব বহন করে)।
 যখন একজন পুরুষ যৌন উত্তেজিত হয়, স্নায়ুর উদ্দীপনা সিলিন্ডারে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি রক্ত প্রবাহ ঘটায়। এই হঠাৎ রক্তের আগমন স্পঞ্জের মতো কাঠামোকে প্রসারিত করে এবং লিঙ্গকে সোজা ও শক্ত করার মাধ্যমে উথান ঘটায়।
 অবিরাম যৌন উত্তেজনা লিঙ্গে উচ্চমাত্রার রক্তপ্রবাহ অক্ষুণí রাখে এবং লিঙ্গের বাইরে রক্ত বেরিয়ে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। ও লিঙ্গকে শক্ত রাখে। বীর্যপাতের পরে কিংবা যৌন উত্তেজনা প্রশমিত হলে অতিরিক্ত রক্ত স্পঞ্জটির বাইরে চলে যায়, অত:পর লিঙ্গ তার শিথিল আকৃতিতে ফিরে আসে।
 পুরুষত্বহীনতার শারীরিক কারণ : এক সময় চিকিৎসকরা ধারণা করতেন পুরুষত্বহীনতার প্রাথমিক কারণ হলো মানসিক। কিন্তু তা সত্য নয়। যদিও লিঙ্গোথানের ক্ষেত্রে চিন্তা ও আবেগ সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কিছু শারীরিক ব্যাপার যেমন দীর্ঘস্খায়ী স্বাস্খ্যসমস্যা কিংবা কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত পুরুষত্বহীনতা ঘটায়।
 লেখক : জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন। চেম্বার : কমপ্যাথ লিমিটেড, ১৩৬ এলিফ্যান্ট রোড (বাটা সিগনাল ও হাতিরপুল বাজারের সংযোগ সড়কের মাঝামাঝি), ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১৬২৮৮৮৫৫

 পুরুষত্বহীনতার সাধারণ কারণগুলো : হৃদরোগ, রক্তনালীতে প্রতিবìধকতা হলে (অ্যাথেরোসক্লেরোসিস), উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্খূলতা এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় সমস্যা।
 পুরুষত্বহীনতার অন্য কারণগুলো : কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ, তামাকের ব্যবহার, মদ্যপান ও মাদক সেবন, প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা, পারকিনসন’স রোগ, মাল্টিপল স্কেõরোসিস, হরমোনজনিত অস্বাভাবিকতা যেমন টেসটোসটেরনের মাত্রা কমে যাওয়া (হাইপোগোনাডিজম), পেরোনি’জ রোগ, তলপেটে কিংবা স্পাইনাল কর্ডে অপারেশন বা আঘাত।
 কিছু ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতাকে গুরুতর স্বাস্খ্য সমস্যার এক নম্বর চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়।
 পুরুষত্বহীনতার মানসিক কারণগুলো
 যেসব শারীরিক বিষয়গুলো পুরুষাঙ্গের উথান ঘটায় সেসব বিষয়কে উজ্জীবিত করতে মস্তিষ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে যৌন উত্তেজনার অনুভূতি থেকে শুরু করে লিঙ্গোথান। বেশ কিছু বিষয় যৌন অনুভূতিতে বাধা দিতে পারে এবং এর ফলে পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে বিষণíতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, অবসাদ ও যৌন সঙ্গিনীর সাথে দূরত্ব কিংবা দ্বন্দ্ব।
 পুরুষত্বহীনতার শারীরিক ও মানসিক কারণগুলো পরস্পরের ওপর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, সামান্য শারীরিক সমস্যা যা যৌন উত্তেজনাকে কমিয়ে দেয়, সেটা মানসিক দুশ্চিন্তা ঘটাতে পারে। আর দুশ্চিন্তার সাথে লিঙ্গোথানের সম্পর্ক রয়েছে। দুশ্চিন্তা মারাত্মক পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে।
 ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো
 বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে :
 বুড়িয়ে যাওয়া : ৭৫ বছর ও তার বেশি বয়সী পুরুষের শতকরা ৮০ ভাগেরই পুরুষত্বহীনতা ঘটে। অনেক পুরুষেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের যৌন কাজে পরিবর্তন শুরু হয়। লিঙ্গ উথান হতে অনেক সময় নিতে পারে, লিঙ্গ তেমন শক্ত নাও হতে পারে কিংবা অনেকক্ষণ ধরে লিঙ্গ স্পর্শ করার পর শক্ত হতে পারে। তবে পুরুষত্বহীনতা স্বাভাবিক বয়স বাড়ার অনিবার্য পরিণতি নয়। পুরুষত্বহীনতা সচরাচর বৃদ্ধ পুরুষদের দেখা দেয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্খ্যের অবনতি ঘটে কিংবা তারা এমন সব ওষুধ খান যেসব ওষুধ লিঙ্গের উথানে বাধা দেয়।
 দীর্ঘস্খায়ী স্বাস্খ্যের অবনতি : ফুসফুস, লিভার, কিডনি, হৃৎপিণ্ড, নার্ভ, ধমনী বা শিরার অসুখগুলো পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। একইভাবে এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বিশেষ করে ডায়াবেটিস পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। আপনার ধমনীগুলোতে প্ল্যাক জমলে (অ্যাথেরোস্কেõরোসিস) তা আপনার লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবেশে বাধা প্রদান করতে পারে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে, স্বল্প মাত্রার টেস্টোসটেরন পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে।
 কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন : কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন এবং উচ্চরক্তচাপ, ব্যথা ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো পুরুষাঙ্গের রক্ত প্রবাহে কিংবা স্নায়ুর উদ্দীপনায় বাধা প্রদান করে পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে।
 ট্রাংকুলাইজার এবং ঘুমের ওষুধও একই সমস্যা ঘটাতে পারে।
 মাদক সেবন : অ্যালকোহল, মারিজুয়ানা কিংবা অন্যান্য মাদকের অপব্যবহার সচরাচর পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে এবং যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দিতে পারে।
 মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা বিষণíতা : মানসিক এ অবস্খাগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরষত্বহীনতা ঘটায়।
 ধূমপান : ধূমপান পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। কারণ এটা শিরা ও ধমনীতে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়। যেসব পুরুষ বেশি ধূমপান করেন তাদের পুরুষত্বহীনতা ঘটার আশঙ্কা অনেক বেশি।
 স্খূলতা : যেসব পুরুষ অতিরিক্ত মোটা, তারা স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের তুলনায় পুরুষত্বহীনতায় বেশি ভোগেন।
 মেটাবলিক সিনড্রোম : এই সিনড্রোমের মধ্যে রয়েছে পেটে চর্বি জমা, অস্বাস্খ্যকর কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এবং ইনসুলিন রেজিট্যান্স।
 দীর্ঘ সময় বাইসাইকেল চালানো : দীর্ঘ সময় বাই সাইকেল চালালে সাইকেলের সিট থেকে নার্ভের ওপর চাপ পড়ে এবং লিঙ্গের রক্ত চলাচলের ওপরও চাপ পড়ে। ফলে সাময়িক পুরুষত্বহীনতা ও লিঙ্গে অসাড়তা দেখা দেয়।
 কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
 যদি পুরুষত্বহীনতা সাময়িক বা স্বল্পমেয়াদি সমস্যার চেয়ে বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক আপনার পুরুষত্বহীনতার সঠিক কারণ নির্ণয় করে আপনার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করবেন।
 যদিও পুরুষত্বহীনতা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বা লজ্জাকর সমস্যা মনে হতে পারে। কিন্তু এটার চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়
 আপনার চিকিৎসক আপনাকে প্রশ্ন করতে পারেন কবে এবং কখন থেকে আপনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আপনি কী কী ওষুধ গ্রহণ করেছেন এবং আপনার অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কি না। আপনার চিকিৎসক আপনার সাম্প্রতিক শারীরিক বা অবেগজনিত পরিবর্তন নিয়েও কথা বলতে পারেন।
 যদি আপনার চিকিৎসকের সন্দেহ হয় যে আপনার শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাহলে তিনি আপনার পুরুষ হরমোনের মাত্রা দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস আছে কি না তা-ও দেখতে পারেন।
 অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে
 ক্স আল্ট্রাসাউন্ড : এ ক্ষেত্রে আপনার লিঙ্গের রক্তপ্রবাহ ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
 ক্স নিউরোলজিক্যাল ইভালুয়েশন : এ ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা হয় আপনার জননাঙ্গের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না।
 ক্স ডাইনামিক ইনফিউশন কেভারনোসোমেট্রি অ্যান্ড কেভারনোসোগ্রাফি (ডিআইসিসি)।
 ক্স নকচারনাল টুমেসেন্স টেস্ট।
 চিকিৎসা ব্যবস্খা
 পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ থেকে শুরু করে সাধারণ মেকানিকাল ডিভাইস এবং সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং। সঠিক চিকিৎসার জন্য পুরুষত্বহীনতার কারণ নিরূপণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী দু’জনেই যদি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন।
 মুখে খাওয়ার ওষুধ
 পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধের মধ্যে রয়েছে­
 সিনডেনাফিল (ভায়াগ্রা), টাডালাফিল (সিয়ালিস) ও ভারডেনাফিল (লেভিট্রা)।
 এ তিনটি ওষুধই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একইভাবে কাজ করে। রাসায়নিকভাবে এগুলো ফসফোডায়াসটারেজ ইনহিবিটরস নামে পরিচিত। এ ওষুধগুলো নাইট্রিক অক্সাইডের প্রভাবকে ত্বরান্বিত করে। নাইট্রিক অক্সাইড হলো একটি রাসায়নিক বস্তু যা লিঙ্গের পেশিগুলোকে শিথিল করে। এটা রক্তের প্রবাহের পরিমাণ বাড়ায় যা লিঙ্গের উথানের জন্য অপরিহার্য।
 এসব ওষুধ সরাসরি লিঙ্গোথান ঘটায় না। তার বদলে এরা শারীরিক ও মানসিক উদ্দীপনার পরে লিঙ্গোথান ঘটায়। অনেক পুরুষের এসব ওষুধ গ্রহণের পর লিঙ্গোথানের উন্নতি ঘটেছে। এসব ওষুধের অনেক মিল রয়েছে। তবে এদের অনেক ভিন্নতাও রয়েছে। এদের মাত্রা আলাদা, কতদিন খেতে হবে তাও আলাদা। এমনকি কার্যকারিতাও আলাদা। এসব ওষুধের রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা আপনার স্বাস্খ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। আবার কোন ওষুধটি কোন পুরুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এই তিনটি ওষুধের তুলনামূলক জরিপ সরাসরি করা হয়নি।
 সব পুরুষের জন্য নয়
 যদিও এসব ওষুধ অনেক পুরুষকে সাহায্য করতে পারে। তবু পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় সব পুরুষ এগুলো সেবন করতে পারবেন না। আপনি এসব ওষুধ সেবন করবেন না যদি­
  আপনি অ্যানজিনার জন্য নাইট্রেট ওষুধ যেমন নাইট্রোগ্লিসারিন, আইসোসরবিড মনোনাইট্রেট এবং আইসোসরবিড ডাইনাইট্রেট সেবন করেন।
  আপনি রক্ত পাতলা করার ওষুধ (অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট) গ্রহণ করেন।
  প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির জন্য বা উচ্চরক্তচাপের জন্য কিছু নির্দিষ্ট আলফা ব্লকার ওষুধ গ্রহণ করেন।

 ভায়াগ্রা, লেভিট্রা বা সিয়ালিস আপনার জন্য ভালো নয় যদি ­
  আপনার মারাত্মক হৃদরোগ বা হার্ট ফেইলিওর থাকে
  আপনার স্ট্রোক হয়ে থাকে
  আপনার নিু রক্তচাপ থাকে
  আপনার অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ থাকে
  আপনার অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকে।
 এসব ওষুধ গ্রহণ করে আপনার পুরুষত্বহীনতা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে এমনটি আশা করবেন না।
 আপনার চিকিৎসক আপনার জন্য সঠিক ওষুধ ও মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন। মাত্রা বাড়ানো বা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। অথবা ওষুধ গ্রহণকালে আপনার বিকল্প ব্যবস্খারও প্রয়োজন হতে পারে।
 যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে বিশেষ করে ভায়াগ্রা, লেভিট্রা বা সিয়ালিসের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন।
  এসব ওষুধে আপনার কী উপকার হতে পারে এবং কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তা জেনে নিন।
  আপনার বর্তমানে কোনো অসুস্খতা আছে কি না কিংবা আগে কোনো মারাত্মক স্বাস্খ্য সমস্যা ছিল কি না তা চিকিৎসককে অবহিত করুন।
  আপনি কোনো ওষুধ (হার্বালসহ) খাচ্ছেন কি না তা চিকিৎসককে অবহিত করুন।
 প্রোস্টাগ্লান্ডিন ই (অ্যালপ্রোস্টাডিল) :
 দু’ধরনের চিকিৎসায় একটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তার নাম অ্যালপ্রোস্টাডিল। অ্যালপ্রোস্টাডিল হলো হরমোন প্রোস্টাগ্লান্ডিন ই’র একটি কৃত্রিম উৎপাদন। এই হরমোন লিঙ্গের পেশি টিস্যুকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এর ফলে লিঙ্গে উথানের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত প্রবাহিত হয়। অ্যালপ্রোস্টাডিল দু’ভাবে ব্যবহৃত হয়।
 ক্স নিডল ইনজেকশন থেরাপি
 এ পদ্ধতিতে লিঙ্গের গোড়ায় সূক্ষ্ম সুচের সাহায্যে অ্যালপ্রোস্টাডিল ইনজেকশন দেয়া হয়। সাধারণত ৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে লিঙ্গের উথান হয় এবং তা প্রায় এক ঘন্টা থাকে। যেহেতু এই ইনজেকশন সরাসরি স্পঞ্জের মতো সিলিন্ডারের মধ্যে যায়, যা রক্তে পূর্ণ থাকে, সেহেতু অনেক পুরুষের জন্য অ্যালপ্রোস্টাডিল হলো কার্যকর চিকিৎসা। আর যেহেতু সুচ থাকে খুবই সূক্ষ্ম, তাই ইনজেকশনের স্খানে সাধারণত তেমন ব্যথা থাকে না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ইনজেকশনের স্খান থেকে রক্তপাত, দীর্ঘ সময় লিঙ্গোথান এবং ইনজেকশনের স্খানে ফাইব্রাস টিস্যু গঠন। প্রতিটা ইনজেকশনের খরচ অনেক হতে পারে। অ্যালপ্রোস্টাডিল এবং অন্যান্য ওষুধের মিশ্রণে খরচ কম পড়তে পারে এবং সেটাও অনেক কার্যকর। এসব অন্যান্য ওষুধের মধ্যে রয়েছে পাপাভেরিন এবং ফেনটোলামিন।
 ক্স সেলফ অ্যাডমিনিস্টারড ইন্ট্রাইউরেথ্রাল থেরাপি
 এ পদ্ধতিতে ডিসপোজাবল অ্যাপলিকেটরের মাধ্যমে লিঙ্গের মাথা দিয়ে একটা ছোট অ্যালপ্রোস্টাডিল সাপোজিটরি প্রয়োগ করা হয়। এটার আকার একটা চালের দানার প্রায় অর্ধেকের মতো। এই সাপোজিটরি মূত্রনালীতে রেখে দেয়ার পর লিঙ্গের ইরেকটাইল টিস্যু সেটাকে শোষণ করে নেয়। এর ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে গিয়ে লিঙ্গের উথান ঘটে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মূত্রনালীতে ব্যথা, সামান্য রক্তপাত হওয়া, মাথা ঘোরা এবং ফাইব্রাস টিস্যু গঠন হওয়া।
 হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি
 অল্পসংখ্যক পুরুষের ক্ষেত্রে যাদের টেস্টোসটেরনের ঘাটতি রয়েছে, তাদের টেস্টোসটেরন হরমোন দিয়ে পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা করা হয়।
 পেনিস পাম্প
 এ পদ্ধতিতে একটি হস্তচালিত কিংবা ব্যাটারি চালিত পাম্পসহ একটি ফাঁপা টিউব ব্যবহার করা হয়। এ টিউবটি লিঙ্গের ওপর রাখা হয়, তারপর পাম্প করা হয়। এর ফলে লিঙ্গে রক্ত প্রবাহিত হয়। একবার পর্যাপ্ত লিঙ্গোথান ঘটলে সেটাকে ধরে রাখার জন্য লিঙ্গের গোড়ায় একটি টেনশন রিং পরিয়ে দেয়া হয়। আপনি ভ্যাকিউম ডিভাইসটা খুলে নিতে পারেন। লিঙ্গোথান অনেকক্ষণ থাকে। যৌনক্রিয়ার পর টেনশন রিংটা খুলে ফেলবেন।
 ভাসকুলার সার্জারি
 যেসব পুরুষের লিঙ্গে বা তলপেটে আঘাত পাওয়ার ফলে রক্ত প্রবাহ বìধ হয়ে গেছে, এ চিকিৎসা সাধারণত সেসব পুরুষের ক্ষেত্রে করা হয়। রক্তনালী বìধ হয়ে পুরুষত্বহীনতা ঘটলে অপারেশন করে তা ঠিক করা সম্ভব। এ চিকিৎসার উদ্দশ্য হলো লিঙ্গে রক্ত প্রবাহের বাধা দূর করা যাতে লিঙ্গ স্বাভাবিকভাবে উথিত হতে পারে। তবে এ অপারেশনের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য দেখা যায়নি।
 পিনাইল ইমপ্লান্টস
 এ পদ্ধতিতে অপারেশনের মাধ্যমে লিঙ্গের দু’পাশে একটি ডিভাইস স্খাপন করা হয় যাতে ইচ্ছে মতো লিঙ্গের উথান ঘটানো সম্ভব। এটা আপনি নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এ চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এ পদ্ধতি ব্যবহারের আগে অন্য পদ্ধতিগুলোর চেষ্টা করা উচিত। এ পদ্ধতিতে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
 সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং ও সেক্স থেরাপি
 যদি আপনার পুরুষত্বহীনতা মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা কিংবা বিষণíতার কারণে হয় তাহলে অবশ্যই আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসক আপনাদের ভালোমতো বুঝিয়ে দেবেন এবং যৌন সমস্যা নিরসনে সেক্স থেরাপি দেবেন। পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় কাউন্সেলিং খুব সহায়ক, বিশেষ করে আপনার সঙ্গিনী যদি তাতে অংশ নেয়।
 কীভাবে পুরুষত্বহীনতা রোধ করবেন
 যদিও অধিকাংশ পুরুষের সময়ে সময়ে পুরুষত্বহীনতার অভিজ্ঞতা ঘটে, তবে আপনি এটাকে কমিয়ে আনতে পারেন নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলে ­
  আপনার হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যবস্খা নিন।
  অ্যালকোহল পরিহার করুন।
  বিভিন্ন মাদক যেমন মারিজুয়ানা পরিহার করুন।
  ধূমপান ছেড়ে দিন।
  নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  মানসিক চাপ কমান।
  পর্যাপ্ত ঘুমান।
  দুশ্চিন্তা বা বিষণíতা কাটিয়ে উঠুন।
  নিয়মিত চেকাপের জন্য চিকিৎসক দেখান।
 সঙ্গিনীর সহায়তা
 পুরুষত্বহীনতা শারীরিক বা মানসিক বা উভয় কারণেই হোক না কেন, তা একজন পুরুষের এবং তার সঙ্গিনীর মনের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। যদি আপনি যৌন সঙ্গমে ব্যর্থ হন তাহলে ভেঙে না পড়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন, প্রয়োজনে আপনার সঙ্গিনীকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যবস্খা নিন।
 আপনার ব্যর্থতাকে আপনার সঙ্গিনী যেন কখনো ব্যঙ্গ না করেন, তার সহায়তা আপনার ব্যর্থতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
 যদি আপনার সঙ্গিনী আপনাকে সাহায্য করেন তাহলে চিকিৎসার ফল ভালো হয়। দ্রুত আপনার উন্নতি ঘটবে।
 বিকল্প চিকিৎসা
 পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় বর্তমানে অনেক ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে। এসব ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বেশির ভাগ ওষুধ নিরাপদ ও কার্যকর কি না তা এখনো প্রমাণিত হয়নি। এসব চিকিৎসা ও ওষুধের মধ্যে রয়েছে ­
  আকুপাংচার
  ডিএইচইএ
  গিংক গো
  এল-আর জিনিন
 এসব বিকল্প চিকিৎসার ঝুঁকি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে বিশেষ করে যে সব পুরুষের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্খ্য সমস্যা রয়েছে কিংবা যারা অন্য ওষুধ সেবন করছেন।
 কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। অনেকে না জেনে এসব ওষুধ ব্যবহার করে ভয়াবহ পরিস্খিতির শিকার হচ্ছেন। এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং রক্তচাপ মারাত্মকভাবে কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যেসব পুরুষ নাইট্রেট সমৃদ্ধ ওষুধ খাচ্ছেন তাদের জন্য এসব তথাকথিত যৌনবর্ধক ওষুধ মারাত্মক বিপজ্জনক।

Labels: ,

যৌনিতে ব্যথা ও যৌনতা সংক্রান্ত সমস্যা

যৌনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গেলে যৌন সংক্রান্ত নারী এবং পুরুষের বিভিন্ন্‌ প্রকার সমস্যার বিষয়েও কিচ্ছু আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরও বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলোর অধিকাংশই নারীর যৌন জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। এটি বলা উচিত যে যৌনতার ব্যাপারে যে কোনো প্রকার সমস্যা হলো তা দীর্ঘস্থায়ী যৌন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে আমরা পুরুষের অকাল বীর্যপাত এবং ফোঁটা ফোঁটা বীর্যপাতের সমস্যার ব্যাপারে আলোচনা করেছি। শুধুমাত্র এই সমস্যাগুলোর বাইরেও পুরুষের বিভিন্ন প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যাজনিত কারণে যৌনতা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। যৌনতার বিষয়ে নারীরির প্রধান
সমস্যা হলো নারীর যৌনমিলনের ব্যাপারে অনীহা। নারীর যৌনতার বিষয়ে এই অনাগ্রহের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। নারীর শারীরিক কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে থাকলে তা নারীকে যৌন বিমুখ করে তুলতে পারে। আবার মানসিক কোনো অসুবিধা নারীকে যৌনতার ব্যাপারে নিরুৎসাহ যোগায়। শৈশবকালীন মানসিক বা শারীরিক যৌন উৎপীড়ন অনেক ক্ষেত্রে নারীকে যৌন নানা সমস্যার সম্মুখীন করে তোলে। আবার প্রচুর পরিমানে স্বমেহন নারীর যৌনানুভূতিকে তিগ্রস্ত করতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে ও অনেক সময় হস্তমৈথুনের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে পুরুষের যৌন জড়তা দেখা দিতে পারে। যা কোনো কোনো সময় পুরুষত্বহীনতা পর্যন্ত গড়াতে পারে। যৌন গবেষকরা গবেষনা করে দেখছেন যে নারী যৌনতা বিষয়ক সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় মূলত যৌন অনিচ্ছা থেকেই। নারীর সমস্যার মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো যৌনমিলনের সময়ে নারীর যৌনাঙ্গে ব্যথা। কোনো কোনো নারী এই ব্যথার তীব্রতার জন্য যৌনমিলনকে ভয়ের চোখে দেখে। যৌনমিলনে এরকম ব্যাথার ডাক্তারী নাম হলো ডিসপ্যারুনিয়ার দুটো কারণ থাকতে পারে , একটি কারণ হলো শারীরিক এবং অপরটি হলো মানসিক।

ডিসপ্যারুনিয়া-
 এটি নারীদের একটি যৌন সমস্যা। একে ব্যথাযুক্ত যৌনমিলন সমস্যাও বলা হয়। তবে ডিসপ্যারুনিয়া পুরুষেরও হতে পারে। নারীর ডিসপ্যারুনিয়ার কিছু উপসর্গ হলো-
 লিঙ্গ প্রবেশের সময় যৌনিতে ব্যথা ।
 তলপেটে ব্যথা ।
 ঘন ঘন লিঙ্গ সঞ্চালনের সময় নারী প্রচন্ড ব্যথা পেতে পারে ।
 যৌনমিলনের ব্যাপারে ভীতির সৃষ্টি ।
 কারণ-
 গাইনোকলজিক্যাল এবং সাইকোলজিক্যাল কারণে ডিসপ্যারুনিয়া হতে পারে। যৌনির ভেতরে এবং বাইরে দুই প্রকার সমস্যা এ সময় দেখা দেয়। এছাড়াও শারীরিক বিভিন্ন কারণে যৌনমিলনের সময় নারীর যোনিতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো-
১. পেলভিক ইনফেকশন ।
২. পেলভিক ইনফামেটরি অসুখ ।
৩. ও ভারীর অস্বাভাবিক অবস্থা ।
৪. সারভিঙের ইনফেকশন অথবা প্রদাহ ।
৫. ভালভোভ্যাজিনাইটিস সমস্যা ।
৬. বার্থোলিন গ্ল্যান্ডের ইনফেকশন অথবা প্রদাহ ।
৭. যোনির ত্বকের প্রদাহ ।
৮. এন্ডোমেট্রোসিস জাতীয় সমস্য ।
৯. যোনির শুষ্কতা ।
১০. যোনিতে টিউমার হওয়া ।
১১. যোনিতে অন্য কোনো প্রকার ত ।
 আবার মানসিক নানা কারণে ও যৌনমিলনের সময় নারীর যোনিতে ব্যথার উদ্রেক হতে পারে। এই কারণগুলোর মধ্যে যৌন শীতলতা, যৌনতা সর্ম্পকে কুসংস্কার,ধর্মীয় কুসংস্কারের প্রভাব, যৌন অজানা বিষয় এবং শৈশবকালীন বা পরবর্তী সময়ে যৌন নিপীড়িত হলে নারীর যৌনমিলন কালীন ব্যথার সৃষ্টি বা ডিসপ্যারুনিয়া হতে পারে। যোনির বাইরে যে কারণে সমস্যা হয় তা হলো-
 সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যাওয়া ।
 এপিসিওটমিক ছিঁড়ে যাওয়া ।
 বার্থোলিন গ্ল্যান্ডের স্ফীতি ।
 কিটোরিসে ব্যথা ।
 এছাড়াও যোনির ভেতরে যে কারণে ব্যথার সৃষ্টি হয় সেগুলো হলো-
 পর্যাপ্ত পিচ্ছিলতা না থাকা ।
 যোনির ইনফেকশন ।
 যোনিতে সেপ্র বা ফোমের ব্যবহার ।
 সেনাইল ভ্যাজিনিটিস ।
 অন্যান্য কারণ-
 ইউটেরাইন লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়া ।
 পেলভিক ইনফেকশন ।
 যোনির স্ফীতি ।
 মূত্রথলির সমস্যা ।
 ধর্মীয় চাপ ।
 তিক্ত যৌন ইতিহাস ।
 পিচ্ছিলতা কমে যাওয়া ইত্যাদি ।
 চিকিৎসা-
 মনোদৈহিক বা শারীরিক যে কারণেই ডিসপ্যারুনিয়া হোক না কেন । একে যদি নিরীণ করা যায় তবে এই সমস্যাকে ওষুধে বা সার্জারিতে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ বিষয়টি ঘটে তা হলো যোনির শুষ্কতা। যৌনমিলনের প্রথম দিকে যোনির এই সমস্যার জন্য অনেক নারী যোনিতে ব্যথা অনুভব করে। অনেক নারীর যোনি অধিক পরিমানে শুষ্ক থাকে। এক্ষেত্রে মিলনের সময় লুব্রিকেটেড জেলী ব্যবহার করা যেতে পারে এই জাতীয় জেলী যোনিকে মিলন উপযোগী বা পিচ্ছিল করে তোলে। শারীরিক কোনো কারণে যদি ডিসপ্যারুনিয়া হয়ে থাকে তবে এর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। নারীর যৌন সমস্যাগুলোকে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তিত্ব সমস্যা হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। নারীর যৌনতার বিষয়গুলো নিয়ে আড়ষ্টতার ফলে এ সমস্যাগুলোর কথা অনেক সময়েই অন্যকে জনানো সম্ভব হয়ে উঠে না এবং সমস্যা গোপন থাকার কারণে তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলে। আবার অহেতুক বিলম্বের কারণে অনেক সময় চিকিৎসাও জটিল হয়ে উঠে। ডিসপ্যারুনিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে নারীদের উচিত গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেয়া এবং পুরুষদের উচিত ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নেয়া।
 ভ্যাজিনাইটিস-
 যৌনতা সংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো যোনির প্রদাহ বা ইনফেকশন । নারীর এই সমস্যাকে ভ্যাজিনাইটিস বলে। নানা কারণের মাধ্যমে এটি ঘটে থাকে। আবার নানা সংক্রমণের কারণেও ভ্যাজিনাইটিস হতে পারে। নারীর যোনির এই জাতীয় সমস্যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়। যোনির এই সমস্যা যে কোনো বয়সী নারীর হতে পারে। জীবনে অন্তত একবার প্রায় সব নারীরই যোনির প্রদাহ হতে পারে। কিশোরিদের বেলাতেও এই সমস্যা দেখা দেয়। যোনির সমস্যা হলেই আমরা ধরে নেই হয়তোবা সেগুলো যৌন সমস্যা বা যৌন ব্যাধি। অসুস্থ জীবন যাপনের ফলেও অনেক সময় এই সমস্যা হতে পারে এই বিষয়টিকেও মনে রাখা উচিত। একজন নারী একটু উদ্যেগী সচেতন হলেই যোনির যে কোনো প্রকার সমস্যা সমাধান হতে পারে।
 চরমপুলকের সমস্যা-
 নারীদের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ যৌন সমস্যা হলো চরমপুলকের সমস্যা। এই সমস্যা পুরুষের ও হতে পারে। চরমপুলক ছাড়া যৌনমিলন অসমাপ্ত থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে চরমপুলকের প্রয়োজন রয়েছে। যে সব নারী বা পুরুশ চরমপুলক পায় না, তাদের নিজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যেতে পারে। চরমপুলকের এই সমস্যার জন্য দায়ী। অধিকাংশ কারণগুলোই মনোদৈহিক । যেমন-
 যৌনতার ব্যাপারে ভীতি ।
 যৌন সঙ্গীর কাজ থেকে আঘাত পাওয়া।
 নিচু মাত্রার যোগাযোগ।
 যৌনমিলনে ব্যর্থ হওয়ার আশষ্কা।
 যৌন উদ্দীপনা না বুঝতে পারা।
 পূর্বের কোনো তিক্তকর যৌন অভিজ্ঞতা।
 ধর্মীয় বাধা।
 লেসবিয়ানিজম।
 কৈশোর থেকেই যৌনতা সম্পর্কিত ভুল ব্যাখ্যা গ্রহণ।
 যৌন সঙ্গীর পুরুষত্বহীনতা।
 অন্যান্য কারণ-
 নিউরোলজিক্যাল।
 গাইনোকলজিক্যাল।
 হরমোনাল।
 চিকিৎসা-
 দীর্ঘদিন ধরে যদি নারী বা পুরুষ চরমপুলক না পায় তবে যৌনমিলনে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই এ ব্যাপারে যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পারামর্শ নেয়া উচিত। সাধারনত চরমপুলক জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ডাক্তারী চিকিৎসাগুলো হলো- ঙ সাইকোথেরাপি।
 ঙ বিহেভিয়ার থেরাপি।
 ঙ কিজেল ব্যায়াম ।
 ঙ গ্রুপ থেরাপি।
 ঙ সেঙ থেরাপি।
 ঙ হেলেন কপলান থেরাপি।
 যৌন শীতলতা-
 যৌন সংক্রান্ত নানা সমস্যার মধ্যে যৌন শীতলতা সমস্যা একটি মারাত্নক সমস্যা । যৌন শীতলতা ফলে নারীর যৌন আগ্রহ এবং উত্তেজনা কমে যায়। যদি এই সমস্যা ক্রনিক হয়ে যায় তবে নানাবিধ চিকিৎসার দ্বারাও একে ভলো করে তোলা সম্ভব হয় না। সব নারীরই যে যৌন শীতলতা সমস্যা দেখা দেয় তা নয়। এটি নিু আর্থ সামাজিক অবস্থা থেকে শুরু করে উচ্চ আর্থ-সামাজিক পরিবেশের যে কোনো নারীর যে কোনো বয়সে হতে পারে। তবে সাধারণত যৌন শীতলতায় আক্রান্ত হবার উপযুক্ত সময় হলো মধ্য বয়স। বলা যায় নারীর যৌন জীবনের অন্যতম প্রধান যৌন সমস্যা হলো যৌন শীতলতা বা নারীর ফ্রিজিডিটি সমস্যা। একজন নারী বহু কারণে যৌন শীতল হয়ে পড়তে পারে। যৌন শীতল হওয়া অর্থ নারীর কাছে যৌনতার বিষয়টি কোনো আগ্রহের সৃষ্টি করে না এবং এর জন্য নারী এই বিষয়ে বিরক্তিবোধ করতে পারে। অন্যান্য সমস্যার মতো যৌন শীতলতা সমস্যার জন্যে ও বিভিন্ন প্রকার মানসিক এবং শারীরিক কারণ দায়ী থাকে। অনেক নারীই তাদের প্রথম মাসিক চক্রের সময় থেকেই যৌনতার ব্যাপারে ভীত হয়ে পড়ে। এটি পর্যায়ক্রমে নারীকে যৌন শীতল করে তুলতে থাকে। আবার পুরুষ ভীতিও অনেক নারীর যৌন শীতলতার জন্য দায়ী। এছাড়াও যৌনতার ব্যাপারে নারীকে সবচেয়ে বিমুখ করে তোলে অল্প বয়সে শেখা ধর্মীয় কুসংস্কার এবং সামাজিকতার চাপ। তবে যৌন শীতলতার জন্য সবচেয়ে বেশি যে মনোদৈহিক কারণটি দায়ী তা হলো ভয়। যৌনতার ব্যাপারে অজানা ভয় অনেক নারীকে যৌন বিমুখ করে তোলে। শারীরিক নানা কারণে যৌন শীতল সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিষাদ। কোনো নারী যদি বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে তবে তার যৌন আগ্রহ কমে যায়। এছাড়া মানসিক চাপ, এড্রেনাল সমস্যা থাইরয়েড ডিসফাংশন এবং হরমোনজনিত কারণে অনেক সময় নারী যৌনতার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যোনির শুষ্কতা ,অনাকাঙিত গর্ভাবস্থার চিন্তা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের কথা চিন্তা করেও অনেক নারী যৌন শীতল হয়ে পড়েন। আবার কোনো দম্পতির মধ্যকার মানসিক এবং শারীরিক সম্পর্ক যদি অপর্যাপ্ত হয়, তবে নারীর যৌন শীতলতা সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারীর সাথে পুরুষের সম্পর্কের উপর ও যৌন শীতলতার ব্যাপারটি নির্ভর করে। এতে করেও নানা প্রকার যৌন সমস্যা হতে পারে। কোনো কোনো নারী এতে করে যৌন উত্তেজিত হতে পারে না। ক্রমাগত এই অবস্থা চলতে তাকলে নারী এক সময় যৌনতার বিষয়ে একেবারে উদাসীন হয়ে পড়ে। কাজেই এটিও বিবেচনা করা উচিত যে নারী এবং পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক কতোটা গভীর। কোনো দম্পতীর ভেতর এরকম সমস্যা চলতে থাকলে উভয়ের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা করে নেয়া উচিত। এতে করে আশা করা যায়, সমস্যা অনেক খানি কমে আসবে। পরবর্তীতে যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া একান্ত প্রয়োজনীয়। নারী, পুরুষের যৌন শীতলতা শিক্ষা অনেক ক্ষেত্রে তাদের যৌনতাকে তিগ্রস্ত করে। অনেক নারী পুরুষ যৌনতার বিষয়ে নানা কুসংস্কার মনে পোষণ করে। এতে করেও যৌনতা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যৌনতা বিয়ষক নানা মিথ্যা ধারণা নারী এবং পুরুষের যৌনতাকে তিগ্রস্ত করতে পারে। কাজেই এব্যাপারে নারী পুরুষ উভয়কেই মনোযোগী হতে হবে। যৌনতা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নারী এবং পুরুষের দৈহিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। অনেকে এই বিষয়ে অন্য কারো কাছে লজ্জা বলতে দ্বিধাবোধ করেন। তবে এই বিষয়গুলো চেপে যাওয়া উচিত নয়। সমাধান বলতে ডাক্তারের, বিশেষজ্ঞের বা গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত। যৌনতা ব্যাপারটি প্রতিটি মানুষের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। কাজেই এ সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার বিষয়ে অতি শীঘ্র ডাক্তারের কাছে পরামর্শ চাওয়াটাই যৌক্তিক হবে আমাদের গ্রাম্য সমাজে হাতুড়ে ডাক্তার বা গ্রাম্য দাওয়াই খেয়ে অনেক নারী এবং পুরুষ সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলেন। অথচ কিছু টাকা খরচ করেই হয়তো ভালো চিকিৎসা পাওয়া যেতে পারে। কাজেই এ ব্যাপারে সাবধানতা এবং সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। মনে রাখা উচিত সুস্থ যৌনতার জন্য শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন রয়েছে।
 কিছু পরামর্শ-
 সুস্থ দেহ এবং সুস্থ যৌনতা কোনো বিকল্প নেই। তবে এই ব্যাপারে সতর্ক এবং মনোযোগি হতে হবে। একটু চেষ্টা করলেই পুরুষ এবং নারী উভয়েই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে দৃষ্টি দিতে পারেন। নিজের ব্যক্তিগত যত্নগুলোর সম্বন্ধে ল্য রাখুন এবং এগুলো রপ্ত করার চেষ্টা করুন। সেঙ থেরাপিস্টরা নারী এবং পুরুষের যৌন নানা সমস্যার চিকিৎসার চেয়ে বরং আগাম প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বেশি। নানা প্রকার যৌনতা সংক্রান্ত সমস্যা কাটাতে কয়েকটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত।
 নিয়মিতভাবে যৌনাঙ্গ পরিস্কার করা উচিত। যৌনাঙ্গ নিয়মিত পরিস্কারের পাশাপাশি যৌনাঙ্গের শুষ্কতার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন যৌনাঙ্গ এবং এর আশে পাশের গন্ধ তাড়াতে নানা সেপ্র কোনো অবস্থাতেই ব্যবহার করবেন না। এগুলোর কোনো উপযোগিতা নেই।
 যে দম্পতিরা নিয়মিত পায়ুকাম করে থাকে তাদেরকে যৌন কর্মকান্ডে অতিরিক্ত সতর্কতার প্রয়োজন। যে কোনো অবস্থাতেই পায়ুকাম করার পরে এবং পুরুষের লিঙ্গ নারীর যোনিতে ঢুকানোর আগে পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া উচিত।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

Labels:

পুরুষরা বিছানায় যে সাতটি ভুল করেন

চুপচাপ: পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, বেশিরভাগ পুরুষ মানুষই গোটা রতিক্রিয়ার সময় চুপ করে থাকেন। এটা একটা বড় ভুল। নিজের আবগেকে ছাপিয়ে শব্দ করতে হবে না, কিন্তু মুখে কুপুল এঁটে থাকলে আপনার সঙ্গিনী
মোটেও উত্তেজনার শীর্ষে পৌঁছবেন না।

তাড়াহুড়ো: পুরুষরা যেহেতু সেক্স নিয়ে বেশিই আবেগপ্রবণ, তাই মিলনের সময় দেরি তাদের সহ্য হয় না। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে, সবুরে মেওয়া ফলে। তাড়াহুড়ো করে রতিক্রিয়া শেষ করতে চাইলে সুখ অনুভব করতে পারবেন না। বরং সময় নিয়ে নিজের কামনাতৃপ্তিকে বাড়িয়ে তুলুন।

ওরাল সেক্স: ব্লু ফিল্মে যা দেখায় বাস্তব জীবনে সেসব করতে গেলে কিন্তু বিপদ হতে পারে। বিশেষত টিন-এজারদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বড় হয়ে দেখা দেয়। ওরাল সেক্স করতে বাধ্য করবেন না পার্টনারকে। তার ব্যক্তিগত পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

জোর খাটানো: নিজের শরীরের জোর সঙ্গিনীর উপর খাটাবেন না। মহিলাদের শরীর পুরুষদের তুলনায় কমনীয় হয়। তাই একটু আস্তে আস্তে। প্রথম মিলনের সময় জোর প্রয়োগ করে ফেলেন অনেকে। তা মোটেও কাম্য নয়। নারী শরীরের সর্বত্র জোর প্রয়োগ করার মধ্যে কোনও পুরুষত্ব নেই।

সঙ্গিনীর ইচ্ছে: পার্টনারের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। তবেই তিনি আপনাকে সুখের চূঁড়ায় পৌঁছতে সাহায্য করবেন।

গোপনাঙ্গে জোর নয়: মহিলাদের গোপনাঙ্গের পেশি নরম হয়। তাই সেখানে জোর প্রয়োগ না করে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

আদর করে: সবসময় জান্তব (প্রানীর মতো) শৃঙ্গার পছন্দ করেন না মহিলারা। তাই পার্টনারকে ভালবাসুন। তার গোটা শরীরটাকে রিল্যাক্স করান।

Labels:

বিবাহিত দম্পতিদের জন্য ৭টি গোপন সূত্র

বিবাহিত জীবনে যৌনতা নিয়ে কেন লজ্জ্বা, যখন বিধাতা সঙ্গমকে স্বর্গীয় বন্ধন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। আপনার যৌন জীবনের রুটিনে পরিবর্তন আনুন, সঙ্গমকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখুন। আপনার যৌন সঙ্গির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। যৌনতা কেবল মাত্র পুরুষের কামনাই চরিতার্থ করেনা। নারীরও দৈহিক ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে। আপনার সংসারে যদি
আপনার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চান তাহলে আপনার সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। যৌন সঙ্গী আপনার কাছে কিরকম ব্যবহার আশা করে এখানে তেমন কয়েকটি সূত্র দেয়া হলো। তবে অবশ্যই তার প্রতি আপনার ও আপনার প্রতি তার বোঝাপড়া এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।

সূত্র-১: মধুর মিলনে সময় নেন দীর্ঘক্ষণ

 যখন সঙ্গীর কাছে যাবেন তখন সময় নিয়ে যান। সঙ্গীর দেহের সাথে আপনার দেহের ঊষ্ঞতা উপভোগ করুন দীর্ঘ সময় যাবত। সঙ্গীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। এটা এমন নয় যে, আপনি এবং আপনার সঙ্গীকে পরিস্থিতি এমন সম্পর্কে উপনীত করেছে। বরং পরিস্থিতিকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করুন ও সঙ্গীকে ভালবাসুন।

 দ্য জয় অব সাইবার সেক্সের লেখক ডেব লেভিন বলেন, “আপনি যখন বিলম্ব করবেন এবং অঙ্গকে বিশ্রাম দিয়ে অনুভূব করার চেষ্টা করবেন। তখন আপনারা একজন আরেকজনের সঙ্গম ও সময় পরিপূর্ণ উপভোগ করতে পারবেন।“

 তিনি আরো বলেন, “ এই অনুভূতিটি দীর্ঘস্থায়ী । যখন আপনার সঙ্গী বুঝতে পারবে যে, তার সাথে আপনার মিলন কেবল দৈহিক রোমাঞ্চের জন্যই নয়। তার প্রতি আপনার ভালবাসার বহিপ্রকাশ। তখন আপনার সঙ্গীও আপনার প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক হবেন। এবং আপনাকে তিনি অন্য সব কিছু চেয়ে অগ্রাধিকার দিবে, আপনার প্রতি তার আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে “

সূত্র-২: হালকা গতির যৌন মিলন

 যারা যৌথ পরিবারে বাস করে বা সংসারে অধিক সন্তান থাকে এবং শহুরে জীবনে অল্প জায়গায় বাস করে তাদের জন্য। যৌন মিলন অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেননা বিবাহিত দম্পতিরা তাদের নিজেদের জন্য একান্ত কিছু সময় কামনা করে। কিন্তু ঘরে একাধিক মানুষের উপস্থিতি ও স্থানাভাব তাদের এই চাওয়া অনেক সয়ম সফল হয়ে উঠে না। তাই তারা একটু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।

 যখনই আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে এমন কোন ইশারা পাবেন তাকে সময় দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের মধ্যে ভালবাসার গভীরতা বাড়বে। অনেক সময়ই আমাদের দেশের মেয়েরা শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সাথে বসবাস করতে চায়না। তার একটা মূল কারন কিন্তু এই একান্ত জীবন। কারন প্রতিটা মানুষেরই ব্যক্তিগত জীবন আছে। যেহেতু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও পারিবারিক জীবন এতো খোলামেলা নয় তাই আমাদের মেয়েরা অনেক সময় লজ্জ্বার কারণে তার সঙ্গীর ইশারায় সাড়া দেয়না । এতি হিতেবিপরীত হয়। পুরুষ সঙ্গীটি শারীরিক ভাবে তার স্ত্রীর সান্নিধ্য কামনা করলেও সে যখন তাকে পায় না । তখন সে অন্য কোন উপায়ে তার এই শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে চায়। তখন সে হয়তো বা ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে যেতে পারে। তাই নারী সঙ্গীর উচিত লজ্জ্বা না পেয়ে তাদের অধিকারকে বাস্তবায়ন করা।

সূত্র-৩: সঙ্গীকে মিলনে উদ্ধুদ্ধ করতে মৈথুন করা

 আপনি হয়তো বলবেন যে আপনার সঙ্গীর সামনে মৈথুন করার চেয়ে ৫ হাজার মানুষের সামনে বক্তৃতা দেয়া অনেক সহজ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশির ভাগ পুরুষেরই পছন্দ তার সঙ্গী যেন তাকে বিভিন্ন ভাবে যৌন অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে তাকে মিলনের জন্য আহ্বান জানায়। আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন ? শীতল বা উষ্ঞ। আপনার সঙ্গীকে আপনার প্রতি দূর্বল করার হাতিয়ার হচ্ছে তাকে আপনার সাথে মিলনে উদ্ধুদ্ধ করা। আপনার সাথে মিলনের সাথে সাথেই আপনার প্রতি সব ধরনের ক্রোধ-অভিযোগ সব বিলীন হয়ে যাবে। তাই সূত্রটি কাজে লাগান, সুখী দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করুন।

সূত্র-৪: যৌন উন্মাদনায় সঙ্গীর সাথে সহায়তা করা


 কিছু কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষেই স্ত্রী সঙ্গীকে অনেক বেশি যৌন উন্মাদনায় ভাসাতে চায়। তারা তাদের যৌন তৃপ্তির জন্য সঙ্গীর সাথে বিভিন্ন আসনে যৌন সঙ্গম করতে চায়। আমাদের দেশের মেয়েরা যেহেতু অনেক বেশি লাজুক প্রকৃতির তাই তারা অনেক সময় পুরুষ সঙ্গীটিকে বুঝতে পারে না। যৌনতা যেহেতু মানুষের মন ও দেহের একটি প্রাকৃতিক চাহিদা তাই সঙ্গীটি অন্য কোন উপায়ে তার সেই কৌতুহলকে মিটাতে অনেক ক্ষেত্রে খারাপ নারীর সঙ্গ নিতে পারে। এতে আপনার সুখের সংসারে ভয়ংকর বিপদ নেমে আসতে পারে। হয়তো কোন বিপজ্জনক রোগ বহনকারী নারীর সাথে মিলনে পুরুষ সঙ্গীটি কোন মারাত্মক রোগ বহন করে নিয়ে আসতে পারে ।

সূত্র-৫: আত্মসমর্পণ করা যৌনতা


 আমাদের সঙ্গীদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকলে যৌন জীবনে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দম্পতি যদি হয় আনাড়ী তাহলে পুরুষ সঙ্গীটিকেই দেখা যায় এই কর্মে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে। নারী সঙ্গীটি এই ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা জোড়াজুড়ি করে আদায় করতে হয়। এমন ক্ষেত্রে উচিত হবে সঙ্গীকে সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক সময় আত্ম সমর্পন করতে হতে পারে।

সূত্র-৬: নারীর সঙ্গীকে সক্রিয় যৌনকাজে সহায়তা করা

 আমরা মনে করি যৌনতা একচেটিয়া পুরুষের কামনার বিষয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পুরুষের মত নারী সঙ্গীরও শারীরিক ও দৈহিক যৌন চাহিদা আছে। নারী সঙ্গীটি যখন উত্তেজিত হবে তখন পুরুষ সঙ্গীটির উচিত তার নারী সঙ্গীর যৌন কাজে সহায়তা করা। এতে আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা সে কখনোই করবেনা।

সূত্র-৭: আরামদায়ক অবস্থানে যৌন কর্ম করা

 যৌন কর্ম প্রাণী জগতের টিকে থাকার এক অমোঘ বিধান। আমাদের টিকে থাকার জন্য ও বংশ বৃদ্ধির জন্য যৌন কর্মের কোন বিকল্প নাই। তাই যৌন বিষয়ক বিষয়গুলোকে এড়িয়ে না গিয়ে আমাদের উচিত আমাদের সঙ্গীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা। যেসব বিষয় সঙ্গীটি পছন্দ করে তা তাকে দেয়া এবং যা অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকা। এটা মনে করলে ভূল করবেন যে, আপনি বিয়ে করেছেন তাই ঐ নারীর সাথে যে কোন ভাবেই আপনি যৌন আচরন করতে পারেন। এই ধারণা ভূল। আপনার সঙ্গী আপনার নামে নারী নির্যাতনের দায়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তাই সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন সঙ্গীকে ভালবাসুন। সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলুন।

Labels:

পুরুষের কিছু সমস্যা ও তার কারন


১)  আগের মত আর উত্তেজিত না হওয়া,
২) লিংগ যথেষ্ট শক্ত না হওয়া,
৩) মিলনের স্থায়িত্ব আগের চেয়ে কমে আসা,
৪) দেরিতে বীর্যপাত বা একেবারেই হল না এবং চাহিদা মিটে গেল, পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ইচ্ছে না করা।


কারনঃ শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো মানসিক সমস্যা যেমন উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা থেকে হয় আর অরগানিক কারনের মাঝে ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য এন্ডোক্রাইন সমস্যা থেকে হতে পারে।

Labels:

যৌন সমস্যার ডাক্তারি সমাধান পার্ট ২


জিজ্ঞাসা- ১/2 সেক্স করতে পেনিস ভ্যাজাইনার কোথায় ঢোকাতে হবে? উপরে নিচে না মাঝ বরাবর?
সমাধানঃ নিচ বরাবর
জিজ্ঞাসা- ৩ ‍প্রথমবার সেক্স করার সময় কি কি সমস্যা হবে?
সমাধানঃ প্রথমবার সেক্স করার সময় মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অনেকেই এতে ভয় পেয়ে যায়। ভয় পাবার কিছু নেই। যেহেতু প্রথম সেক্সের সময় সতিচ্ছেদ পর্দাটি ছিড়ে যায় (যেখানে রক্তনালী থাকে) তাই রক্তক্ষরণ একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে কারো রক্তক্ষরণ নাও হতে পারে, সেটাও স্বাভাবিক।
জিজ্ঞাসা- ৪  সতিচ্ছেদ পর্দা দেখে কি আমি প্রমাণ করতে পারবো কোনো মেয়ে ভার্জিন কি না?
সমাধানঃ না পারবেন না। বয়স বাড়ান সাথে সাথে সতিচ্ছেদ পাতলা হয়ে আপনা আপনি ই ছিড়ে যায়। তাছাড়া যেসব মেয়ে দৌড়-লাফ বা অন্যন্য কসরত বেশী করে তাদের সতিচ্ছেদ ছিড়ে যায়। কোরো সতিচ্ছেদ ছেড়া পাওয়া গেলে কোনোভাবেই এটা প্রামাণিত হবে না সে ভার্জিন নয়। বিভিন্নরকম সতিচ্ছেদের ছবি দেখুন ‍নিচে- 
জিজ্ঞাসা- ৫  প্রথম সেক্সে কোনো মেয়ে কি ব্যাথা পায়?
 সমাধানঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পায়। তবে খুব বেশী উত্তেজিত থাকলে এবং প্রচুর মিউকাস ক্ষরণ হলে ব্যাথা পায় না। সেজন্য উচিত ভালোমতো উত্তেজিত করার পর সেক্স করা।
  জিজ্ঞাসা- ৬ যদি ভুল করে কারো সাথে অনিরাপদ সেক্স করে ফেলি এবং গর্ভবতী হবার আশংকা থাকে তাহলে মেয়েটি কি ফেমিকন পিল খাবে? 
সমাধানঃ প্রথমত, ধর্মীয় বিধান মেনে চলুন। বিয়ে বহির্ভূত সেক্সে কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। তবে কেউ যদি ভুল করেই বসে প্রচলিত জন্মনিরোধক পিল (ফেমিকন জাতীয়) কোনো কাজেই আসবেনা। কেননা এগুলো খেতে হয় 1 মাস আগ থেকেই। সেক্ষেত্রে 72 ঘন্টার মধ্যে “ইমার্জেন্সি পিল” খেতে হবে 
জিজ্ঞাসা- ৭  ডেন্জার প্রিয়ড কি?
সমাধানঃ যেসময়ে সেক্স করলে মেয়েটি গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেশী তাকে ডেন্জার প্রিয়ড বলে। মিন্সট্রুয়েশন (মাসিক) শেষ হবার 10ম দিন থেকে 20তম দিন পর্যন্ত চান্স বেশী থাকে। অন্য সময়গুলোতেও গর্ভধারণ হবেনা এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।
জিজ্ঞাসা- ৮  মেয়েরা কি মাস্টারবেশন করে?
সমাধানঃ আমেরিকান জরীপ মতে 92 ভাগ ছেলে ও 62 ভাগ মেয়ে মাস্টারবেশন করে। (রেফারেন্স এখানে )
জিজ্ঞাসা- ৯ মেয়েরা কিভাবে মাস্টারবেশন করে?
সমাধানঃ ক্লাইটোরিয়াস কে নাড়াচাড়া করার মাধ্যমে অথবা ভাইব্রেটর মেশিন দিয়ে ক্লাইটোরিয়াসকে ভাইব্রেশন দেবার মাধ্যমে তারা অর্গাজম (যৌনতৃপ্তি) পেতে পারে।
জিজ্ঞাসা- ১০ সেক্স না করেও কোনো মেয়েকে কি তৃপ্তি দানকরা সম্ভব?
সমাধানঃ হ্যা সম্ভব। ক্লাইটোরিয়াস এ নাড়াচাড়া করে তাদের তৃপ্তি দেয়া সম্ভব।
জিজ্ঞাসা- ১১ 18 বছরের নিচে কি সেক্স করা উচিত?
সমাধানঃ না উচিত নয়। শারীরিক ভাবে যথেষ্ট সম্পূর্ণতা তাদের থাকে না।
জিজ্ঞাসা- ১২ সিফিলিস, গনোরিয়া, ধবজভংগ কি?
সমাধানঃ সিফিসিল ও গনোরিয়া ব্যাকটেরিয়া ঘটিত মারাত্মক প্রাণঘাতক রোগ যাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। অনিরাপদ সেক্সের মাধ্যমে রোগের বাহক থেকে অগর সঙ্গীর কাছে এটা ট্রান্সমিট হয়। ধ্বজভংগ একটি অ্যাবনরমালিটি যেখানে রোগী উত্তেজিত হলেই বীর্জপাত ঘটে/যৌনতৃপ্তি লাভ করে। ফলে সে সেক্স করার আগেই তৃপ্তি পেয়ে যায় এবং সেক্স করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে

Labels:

লিউকোরিয়া : মেয়েলি সমস্যা




সাধারণ কথায়
লিউকোরিয়া বলতে বোঝায় যোনির অতিরিক্ত স্বাভাবিক সাদাস্রাব। সব মেয়েরই কম বেশি সাদাস্রাব থাকে। এই সাদাস্রাবে কোনো রক্ত মিশ্রিত থাকবে না। প্রদাহজনিত কারণে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ থাকবে না, যোনিপথে বা যোনির মুখে কোনো প্রকার চুলকানি থাকবে না। কারো কারো ক্ষেত্রে এই সাদাস্রাবের জন্য কাপর বা আন্ডার গার্মেন্টস ভিজা থাকে এবং শুকালে এক ধরনের হলদেটে বা বাদামি দাগ লেগে থাকে। সব সময় ভিজা ভিজা ভাব লাগলে অস্বস্তিবোধ করেন। লিউকোরিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো দরকার নেই। এই স্রাব স্বাভাবিক, কোনো প্রকার রোগজনিত কারণ থেকে এটা হয় না বা এটা কোনো জটিল সমস্যা নয়। নারী জীবনের কোনো না কোনো সময় অর্থাৎ বয়সের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সাদাস্রাবের সমস্যা হতেই পারে। ১৫-৪৫ বছর বয়সী স্ত্রীলোকের শরীরে স্ত্রী হরমোন বেশি থাকে যে জন্য যোনি কোষস্তর মোটা থাকে। যোনিতে ব্যাসিলাই নামক এক ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এরা যোনির মৃত কোষের ভেতর গ্লাইকোজেনকে ল্যাকটিক এসিডে রূপান্তরিত করে। এই ল্যাকটিক এসিড যোনিপথকে ভেজা রাখতে সাহায্য করে এবং যোনির পিএইচ বজায় রেখে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।


কারণ :
 কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মেয়ে বাচ্চা জন্মের প্রথম দশদিন বাচ্চার যোনিপথে আঠালো সাদাস্রাব বের হতে থাকে। এটা দেখে ভয়ের কিছু নেই। এর কারণ হলো গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে স্ত্রী হরমোন আধিক্য থাকায় সেটা গর্ভফুল দিয়ে কন্যা শিশুর শরীরে প্রভাব ফেলে।
 # মিনারকি বা প্রথম মাসিক হওয়ার আগে বা মাসিক শেষে অতিরিক্ত সাদাস্রাব হতে পারে।
 # সাধারণত পিরিয়ড শুরু হওয়ার ৩-৪ দিন আগে এবং পিরিয়ড শেষে কয়েক দিন লিউকোরিয়া হয়ে থাকে।
 # সাধারণত নিয়মিত মাসিকের ২ সপ্তাহ পর বা ১৪ দিনের মাথায় যখন ওভিউলিশন হয় অর্থাৎ ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু নির্গমন হয় তখন তলপেট ব্যথাসহ লিউকোরিয়া হয়ে থাকে।
 # জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি সেবন করলে অতিরিক্ত সাদাস্রাব হতে পারে।
 # গর্ভকালীন সময়ে শরীরে স্ত্রী হরমোন অধিক মাত্রায় থাকলে লিউকোরিয়া দেখা দেয়।
 # সন্তান প্রসবের দেড় মাস থেকে ৩-৪ মাস পর্যন্ত লিউকোরিয়া থাকতে পারে। অত্যধিক যৌন উত্তেজনা বা আবেগেও লিউকোরিয়া হতে পারে।
 # যৌবনের শুরুতে প্রজনন অঙ্গে রক্ত চলাচল বেশি হওয়ার জন্যও সাদাস্রাব বেশি হয়ে থাকে।
 # পুষ্টিহীনতা এবং অত্যধিক মানসিক চাপের কারণেও সাদাস্রাব হতে পারে।

কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন :
 যদি সাদাস্রাব খুব ঘন ও দুর্গন্ধযুক্ত এবং চুলকানি থাকে তবে বুঝতে হবে জরায়ুর মুখে বা যোনিপথে সংক্রমণ হয়েছে। এ সংক্রমণের জন্য ছত্রাক বা পরজীবী (ট্রাইকোমোনাস) বেশি দায়ী। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব হয়ে থাকে। তলপেটে এবং যোনিপথে ব্যথা এবং জ্বর জ্বর ভাব থাকতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে এবং দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সংক্রমণ হয় এবং অতিরিক্ত সাদাস্রাব হয়। জরায়ুর মুখে দীর্ঘদিনের ইনফেকশন, ইরোশন থেকেও অতিরিক্ত সাদাস্রাব হয়। পিআইডি বা প্রজনন অঙ্গের ইনফেকশন থাকলে তলপেট, কোমর ব্যথাসহ লিউকোরিয়া হয়। এসব সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

চিকিৎসা ও প্রতিকার :
 # সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে বিশেষ করে কাপড়-চোপড় এবং বাথরুম। আন্ডার গার্মেন্টস পরার আগে ইস্ত্রি করে নিলে আরো ভালো হয়।
 # পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত স্যানেটারি প্যাড বা ন্যাপকিন পরতে হবে। অপরিষ্কার বা নোংড়া ন্যাপকিন ব্যবহার করলে লিউকোরিয়া এবং অন্যান্য ইনফেকশন বেশি এবং চুলকানির মাত্রা অতিরিক্ত হয়। এ জন্য পিরিয়ডের সময় কাপড়, ন্যাপকিন ইস্ত্রি করে নিলে ইনফেকশনের হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়।
 # যদি দেখা যায় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ার ফলে লিউকোরিয়া হচ্ছে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং বড়ি বন্ধ করে অন্য ব্যবস্থা নিন।
 # পুষ্টিহীনতা এবং ভগ্নস্বাস্থ্য থাকলে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।
 # ইনফেকশনের জন্য অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।

লেখক : জেনারেল প্রাকটিশনার; এমবিবিএস (ডি ইউ)
(মহিলা ও শিশু) প্রমি ক্লিনিক মুক্তাগাছা,
ময়মনসিংহ

Labels:

জেনে নিন মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার উপায়




পড়াশুনা আর ক্যারিয়ার নিয়ে কেটে গেছে জীবনের অনেকটা সময়। কিম্বা বন্ধুর সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। তাই আপনি চাচ্ছেন নতুন করে সঙ্গী পেতে। এই পরিস্থিতিতে আপনার চাওয়া, অবশ্যই সঙ্গীটি যেন মনের মতো হয়। তাই মনের মতো সঙ্গী পেতে আপনার জন্য রইলো দারুণ কিছু কার্যকরী উপায়।


মনকে স্থির করুন

প্রথমেই আপনি নিজের মনকে স্থির করুন। ভেবে দেখুন সত্যিই আপনি একজন সঙ্গী চাচ্ছেন কি না? কেন এখনো সঙ্গী নেই বা পুরনো সম্পর্ক কেন শেষ হয়ে গেলো? অতীতে কি ভুল করেছেন? সেখান থেকে আপনি শিক্ষা নিয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুত করে তুলুন।

ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হোন

ব্যক্তি হিসেবে প্রথমেই নিজের প্রতি যত্নশীল হোন। গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলুন। নিজের গুণ এবং যোগ্যতাকে ফুটিয়ে তুলতে জ্ঞান আহরণ করুন। নিজের ভেতরে ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন।

যোগাযোগ মাধ্যম

আজকাল অনেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সঙ্গী খোঁজেন। কেউ পায় আবার কেউ পায়না। সামাজিক যেসব গণমাধ্যম আপনি ব্যবহার করেন সেখানেও চেষ্টা করতে পারেন। যোগাযোগের জন্য তো একটা মাধ্যমকে বেছে নিতেই হবে।

সহজ থাকুন

সঙ্গীর সঙ্গে প্রথম দেখা হলে ভয় বা নার্ভাস না হয়ে একেবারে সহজ থাকুন। প্রথমদিনই এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না যাতে আপনার সঙ্গী বিব্রত বোধ করেন। প্রথম দেখায় কিছুটা ভালো লাগলে বরং পরে কবে দেখা হবে সেই দিন তারিখ ঠিক করে নিন। বেশি সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না। ভ্রমণ, সিনেমা, বই, কিংবা রেস্তোরাঁর গল্প করতে পারেন।

হাসিমুখে থাকুন

অনেকে মানসিক চাপে থাকলে হাসি একদমই ভুলে যান। আসলে তেমন কোনো চাপ না রেখে মুখে একটু হাসি রাখতে পারেন। আড়ষ্ট না থেকে শরীরের সহজ চলন বজায় রাখা শ্রেয়।

আশাবাদী

কারো সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তা নিয়ে বেশি ভাবনার কিছু নেই। ভালোবাসার আসল মানুষ পেতে অপেক্ষা করুন। ধৈর্যহারা হবেন না। মনের মানুষের দেখা মিলবেই।

কল্পনার মানুষ

কল্পনাতে আপনি যে মানুষকে নিয়ে ভাবছেন সে আপনার সামনে এসে দাঁড়াবে না। কাজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার চেষ্টা করুন। আপনি সঙ্গী খুঁজছেন এমনটি না ভেবেই সবার সঙ্গে সহজভাবে কথা-বার্তা বলুন। নিজের ভালো লাগার কথাও শেয়ার করতে পারেন সবার সঙ্গে। কাছের বন্ধুদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। হয়তো তারা আপনাকে সহযোগিতা করবে।


Labels:

জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী পদ্ধতিসমূহ

জীবনকে সুখী ও সুন্দর করার লক্ষ্যে স্বামী-স্ত্রী দুজনে চিন্তা-ভাবনা করে পরিকল্পিত পরিবার গঠন খুবই জরুরি। সন্তান নেয়ার আগে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই চিন্তা করা উচিত- তারা কখন সন্তান নিতে চান? সন্তান নেয়ার মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক প্রস্তুতি তাদের আছে কিনা? সন্তান জন্মের পর তাকে আদর যত্ন ও মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করে লালন-পালন করার মতো যথেষ্ট সময় ও আর্থিক সচ্ছলতা তাদের আছে কিনা তাও ভেবে দেখা দরকার। এছাড়া বিয়ের পর পরস্পরকে বোঝার ও জানার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন হয়।


দেরিতে সন্তান চাইলে বা কোনো সন্তান না চাইলে পরিবার-পরিকল্পনার পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এর মাঝে কতোগুলো অস্থায়ী অর্থাৎ যতোদিন এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে ততোদিন মহিলাটি গর্ভবতী হবে না। ব্যবহার বন্ধের পর বাচ্চা চাইলে আবার সন্তান ধারণ সম্ভব। খাবার বড়ি, কনডম, ওটঈউ, ইনজেকশন, নরপ্ল্যান্ট এদের মধ্যে অন্যতম।

মহিলাদের জন্য লাইগেশন ও পুরুষদের জন্য ভ্যাসেকটমি স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

যে সকল মহিলার প্রতিমাসে মাসিক হয় সাধারণত ধরে নেয়া হয় তাদের মাসিক শুরু হবার ১০ থেকে ১৮তম দিনের যেকোনো ১ দিন ডিম্বাশয় থেকে ১টি পরিপক্ক ডিম্বাণু নিঃসরিত হয়। ডিম্বাণুটি নিঃসরণের পর মাত্র ১ দিন সময় থাকে তা নিষিক্ত হবার জন্য। এ কারণে কেউ যদি ঐ সময়ে দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকেন তবে তার সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।

অন্যভাবে বলা যায় মাসিক শুরু হবার পর থেকে পুরো সময়টিকে ৩ ভাগে ভাগ করে গড়ে মাঝের ১০ দিন দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকলে তা জন্মনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ১ম ১০ দিন এবং শেষ ১০ দিন সময় নিরাপদ। তবে অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।

যে সময়ে মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়, খুব খেয়াল করলে দেখা যায় জরায়ুর মুখ থেকে সে সময়ে পরিষ্কার, স্বচ্ছ, টানলে দৈর্ঘ্য বড় হয় এরকম স্রাব নিঃসৃত হয়। আর নিরাপদ সময়ে অস্বচ্ছ, আঠালো, টেনে বাড়ানো যায় না এমন স্রাব নিঃসৃত হয়।

এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা এ সময় কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখে অনেকেই তাদের উর্বর সময় বেছে নিয়ে ঐসময়ে দৈহিক মিলন থেকে বিরত থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

সে সব মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর শিশুদের কেবল মাত্র বুকের দুধ খাওয়ান তাদের ক্ষেত্রে এই বুকের দুধ খাওয়ানোটাই শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের কাজ করে।

আমাদের দেশে অনেক ধরনের আধুনিক, নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রচলিত আছে। দম্পতিরা পদ্ধতিগুলোর সুবিধা, কার্যকারিতা ও ব্যবহার বিধি ভালোভাবে জেনে এদের মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দমতো ও উপযুক্ত পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।

জন্মনিয়ন্ত্রণ অস্থায়ী ব্যবস্থাসমূহ

খাবার বড়ি :

বহুল ব্যবহৃত ১টি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ‘খাবার বড়ি’। ১টি বড়ির পাতায় সাধারণত ২৮টি বড়ি থাকে। ২১টি সাদা রঙের বড়ি এবং ৭টি খয়েরি রঙের আয়রন বড়ি। সাদা বড়িতে ২টি হরমোন আছে যা গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে।

এটি প্রতিমাসে ডিম্বাণু নিঃসরণ বন্ধ রাখে। জরায়ুর মুখের রসকে ঘন করে ফলে শুক্রাণু জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না এবং নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুতে গেঁথে যেতে দেয় না।

সঠিকভাবে গ্রহণ করলে এটি ৯৭ থেকে ৯৯ ভাগ কার্যকর। মাসিকের ১ম দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত নিয়মিত একই সময়ে সাদা বড়ি খেতে হয়। এরপর প্রতিদিন ১টি করে আয়রন বড়ি বা লাল বড়ি খেতে হবে। খয়েরি বড়ি বা আয়রন বড়ি খাওয়া শুরু করার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সাধারণত মাসিক শুরু হয়। মাসিক শেষ হোক বা নাই হোক খয়েরি বড়ি শেষ হবার পরদিন থেকেই ১টি নতুন পাতা থেকে পূর্বের নিয়মে পুনরায় সাদা বড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে।

১ দিন বড়ি খেতে ভুলে গেলে পরদিন মনে হবার সঙ্গে সঙ্গে ১টি (ভুলে যাওয়া বড়ি) এবং নির্ধারিত সময়ে আরো ১টি (ঐ দিনের জন্য নির্ধারিত) বড়ি খেতে হবে। অর্থাৎ সেদিন ২টি বড়ি খেতে হবে।

গর্ভপাত বা গজ করাবার পরপরই বড়ি খাওয়া শুরু করতে হয়।

ডায়রিয়া বা বমির কারণে খাবার বড়িটি ঠিকমতো শরীরে শোষিত না হলে অনেক সময় বড়ি গ্রহণ অবস্থায়ও মহিলারা গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন।

খাবার বড়ি গ্রহণে মাসিকের সময়ের অতিরিক্ত পেটে ব্যথা, রক্তশূন্যতা, ডিম্বাশয় ও জরায়ুর ক্যান্সার, একটোপিক প্রেগনেন্সি, স্তনের টিউমারের ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়া তার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করে।

শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে খাবার বড়ি বন্ধ করার ৩ মাসের মধ্যে ঙাঁষধঃরড়হ নিয়মিত হয়ে যায় এবং মহিলাটি চাইলে আবার গর্ভবতী হতে পারে।

খাবার বড়ি গ্রহণে অনেকের ১ম দিকে বিশেষ করে ১ম ৩ থেকে ৪ মাসে ছোটখাটো অসুবিধা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমনÑ বমিভাব, মাথা ধরা, ফোঁটা ফোঁটা রক্ত যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, স্তন ভারী বোধ করা, মুখে কালো ছোপ পড়া ইত্যাদি। এর বেশির ভাগই পরবর্তীতে চলে যায়।

তবে অনেকের রক্তে ঈযড়ষবংঃবৎড়ষ বা চর্বির মাত্রা বেড়ে যায়, লিভারের কার্যক্রম ব্যাহত হয়, পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাবার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

ইনজেকশন :

সহজ, নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ আরেকটি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এই ইনজেকশন। এটি ৩ মাস মেয়াদি। কার্যকারিতার হার শতকরা ৯৮ থেকে ৯৯ ভাগ। এখানে কেবল মাত্র ঢ়ৎড়মবংঃবৎড়হব হরমোন ব্যবহৃত হয়।

এটি ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু পরিপক্ব হতে বাধা দেয়, জরায়ুর মুখের রসকে ঘন ও আঠালো করে, যাতে শুক্রাণু প্রবেশ করতে না পারে এবং জরায়ুর ভেতরের আবরণকে গর্ভসঞ্চারের অনুপযোগী করে গড়ে তোলে।

হাত বা নিতম্বের গভীর মাংসপেশিতে মাসিক শুরু হবার ৭ দিনের মধ্যে ইনজেকশন নিতে হয়। যারা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন কিংবা প্রতিদিন মনে করে বড়ি খেতে অসুবিধা বোধ করেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী।

এটি গ্রহণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, অনেক দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব যেতে পারে, এ পদ্ধতি ছেড়ে দেয়ার ৬ থেকে ১২ মাস পর মাসিক ফেরত আসতে পারে। তবে ঙাঁষধঃরড়হ যে কবে শুরু হবে তা অনেক ক্ষেত্রে বলা যায় না।

নরপ্ল্যান্ট :

১টি দীর্ঘমেয়াদি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নাম নরপ্ল্যান্ট। কার্যকারিতার মেয়াদ ৫ বছর। নরপ্ল্যান্টের সেটে ৬টি ছোট নরম চিকন ক্যাপ্সুল থাকে, যা মহিলাদের হাতের ভেতরের দিক- কনুইয়ের ওপরে- চামড়ার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়।

ইনজেকশনের মতো এখানেও ঢ়ৎড়মবংঃবৎড়হব হরমোন থাকে। কাজ করে ঐ একই ভাবে। শতকরা ৯৯ ভাগ কার্যকর। এটি ১ বার গ্রহণে পরবর্তী ৫ বছর অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহারের ঝামেলা থাকে না। মেয়াদ শেষ হবার আগেও এটি খুলে নেয়া যাবে।

নরপ্ল্যান্ট লাগাতে ও খুলতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তারের সাহায্য নিতে হয়। হাতের চামড়ার নিচে হালকাভাবে দেখা যায় বলে অনেকে অস্বস্তি বোধ করেন। নরপ্ল্যান্ট লাগানোর ১ মাস পর ক্লিনিকে এসে পরীক্ষা করাতে হয়। পরবর্তীতে ৬ মাস পর এবং এরপর প্রতি বছরে ১ বার এসে পরীক্ষা করাতে হয়।

যদি কোনো দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ কোনো পদ্ধতি গ্রহণ ছাড়াই দৈহিক মিলনে লিপ্ত হন কিন্তু তারা এখন হয়তো বাচ্চা নিতে চাইছেন না, এছাড়া যদি তারা বুঝতে পারেন তাদের ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি হয়তো ঠিকমতো কাজ করবে না, সে ক্ষেত্রে দৈহিক মিলনের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টার পার্থক্য ২টি ট্যাবলেট খাবার উপদেশ দেয়া হয়।

বিকল্প হিসাবে একই সঙ্গে ৪টি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে তার ১২ ঘণ্টা পর আবার ৪টি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এক সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।

এটি শতকরা ৯৮ ভাগ কার্যকর। তবে যদি ওষুধ খাবার ৩ সপ্তাহের মধ্যে মাসিক না হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়।

একটি দীর্ঘমেয়াদি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি জরায়ুর ভেতরে স্থাপন করতে হয়। প্রকার ভেদে এটি ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারে। সফলতার হার ৯৭ থেকে ৯৯ ভাগ। মেয়াদ শেষের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি দিয়ে খুলিয়ে নতুন ওটঈউ পরা যায়। এটি জরায়ুর ভেতরে শুক্রাণু চলাচলের পথে বাধা তৈরি করে ফলে শুক্রাণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলতে পারে না এবং জরায়ুর গায়ে ভ্র্রণটিকে গেঁথে যেতে দেয় না।

যারা হরমোন জাতীয় পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন না তাদের জন্য এটি আদর্শ পদ্ধতি। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মহিলাটিকে ১টি জীবিত সন্তানের মা হতে হবে।

এর নিচের দিকে ১টি নাইলনের সুতা থাকে এই সুতার সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওটঈউটি ঠিক জায়গায় আছে কিনা। এছাড়া আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করে এর অবস্থান শনাক্ত করা যায়।

অনেক সময় এটি আপনাআপনি বের হয়ে যেতে পারে তাই প্রত্যেক মাসিকের পর সুতাটিকে পরীক্ষা করে দেখা উচিত। ব্যবহারকারীরা প্রায়ই ফোঁটা ফোঁটা রক্ত যাওয়া, তলপেট মোচড়ানো ব্যথা, অতিরিক্ত স্রাব যাওয়া অভিযোগ করেন।

কনডম :

পুরুষদের ব্যবহারের জন্য ১টি নিরাপদ, অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি ব্যবহারে শুক্রাণু জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।

সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি শতকরা ৯৭ ভাগ কার্যকর। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। পাশাপাশি এটি যৌনবাহিত রোগ এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

প্রতিবার সহবাসের সময় ১টি নতুন কনডম ব্যবহার করতে হয়। ৫ বছরের বেশি পুরোনো বা মেয়াদউত্তীর্ণ কনডম ব্যবহার করা উচিত নয়।

নববিবাহিত, যার স্ত্রী সম্প্রতি সন্তান প্রসব করেছেন, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, যে দম্পতি দুজন দু জায়গায় থাকেন এবং মাঝে মাঝে সহবাসে মিলিত হন, যার স্ত্রী পরপর ২ বা তার বেশি দিন খাবার বড়ি খেতে ভুলে গেছেন- তারা মাস শেষ হওয়ার বাকি দিনগুলোতে কনডম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যারা অন্য কোনো পদ্ধতি গ্রহণের কথা ভাবছেন কিন্তু এখনো মনস্থির করতে পারছেন না কিংবা ভ্যাসেকটমির পর ২০ বার সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত।

লেখক : চিকিৎসক, গাইনী বিভাগ
আনোয়ার খাঁন মর্ডান হাসপাতাল
ধানমণ্ডি, ঢাকা।

Labels: