Thursday, April 9, 2015

যে ৬টি বিষয়ে পুরুষের থেকে এগিয়ে নারীরা


নারী সেরা নাকি পুরুষ সেরা- এটা নিয়ে বিতর্কের শেষ নাই। আর বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই তর্ক বিতর্কের পরিমাণ আরো বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নারীদের এটা খারাপ-ওটা খারাপ বলতে যেমন পিছ পা হচ্ছেন না পুরুষেরা। ঠিক তেমনই নারীরাও পুরুষদের ছোটখাটো ভুল ধরতে পিছিয়ে নেই। কিন্তু কিছু বিষয়ে নারীরা সত্যিই পুরুষদের চাইতে অপেক্ষাকৃত ভালো। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই।

তাই তর্ক-বিতর্কে না জড়িয়ে এবার জেনে নেয়া যাক ঠিক কোন বিষয়গুলোতে নারীরা আসলেই পুরুষদের থেকে বেশি ভালো!

পরিচ্ছন্নতা
নারীরা পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে পুরুষদের থেকে এগিয়ে আছে। পুরুষরা গোসল করা, কাপড় পরিষ্কার করা কিংবা সুগন্ধি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশ অলস। এছাড়াও রুম গুছিয়ে রাখা কিংবা পরিস্কার চাদরের বিছানায় ঘুমানোর ব্যাপারেও তারা বেশ উদাসীন। কিন্তু নারীরা এগুরোর সঙ্গে আপোষ করেন না।

অনুভূতি প্রকাশ
নারীরা অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে পুরুষের চাইতে বেশি পারদর্শী। ভালোবাসা প্রকাশ, রাগ প্রকাশ কিংবা যেকোনো আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রে নারীরা অনেক বেশি গুছিয়ে সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু পুরুষরা আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রে একেবারেই অপারদর্শী এবং অনেক সময় তারা আবেগ প্রকাশ করতে না পারার কারণে পরিস্থিতি বিগড়ে ফেলে।

সংসার সামলানো
পুরুষের চাইতে নারীরা সংসার সামলানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি গোছানো এবং দক্ষ। একজন পুরুষ নিজেকে সামলাতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যায়। কিন্তু একজন নারী একই সঙ্গে একাধিক কাজ করার পরেও অনায়েসেই সামলে নিতে পারে নিজের সংসার। এমনকি অনেক মানুষের সংসারও একাই সামলে নিতে পারে খুব সহজেই। নারীরা পুরুষদের চাইতে অনেক বেশি গুছিয়ে সংসার করতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষদের চাইতে বেশি। নারীদের শরীরে আছে এস্ট্রোজেন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এস্ট্রোজেনের উপস্থিতির ফলে নারী দেহে সহজে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের আক্রমণ ঘটে না। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি সমস্যা সহজে নারীদের ধারে কাছে ঘেষতে পারে না।

পড়াশোনা
শিক্ষা পরিসংখ্যানের হিসেব অনুযায়ী নারীরা পুরুষদের চাইতে পড়াশোনায় অপেক্ষাকৃত ভালো হয়। এছাড়াও নারীরা গ্রাজুয়েশনও পুরুষদের চাইতে তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

এর পেছনে নানান রকম কারণের একটি হলো নারীরা পুরুষদের চাইতে অনেক বেশি মনোযোগী হতে পারে পড়াশোনায়। এছাড়াও বাইরের আড্ডায় নারীরা পুরুষদের তুলনায় কম যায় বলে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার সময়টাও বেশি পায়।

আয়ু
পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় বেশি। গবেষণায় জানা গেছে নারীরা পুরুষদের তুলনায় গড়ে ৫ থেকে ১০ বছর বেশি বাঁচে।

Labels:

বিয়ের পূর্বে ফিট থাকতে সহজ কিছু ডায়েট টিপস


বিয়ের আগে নিমন্ত্রন, বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা ইত্যাদি নানা কারনে প্রচুর খাওয়া দাওয়া হয়। প্রত্যেকের শারীরিক গঠন অনুযায়ী ডায়েট চার্ট ও ফিটনেস প্ল্যান মানা উচিত। আপনি যদি খুব রোগা হন বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকে তা হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে খাওয়া দাওয়া ও ব্যায়াম করুন। কীভাবে ডায়েট ও ফিটনেস প্ল্যান করলে ফিট থাকতে পারবেন জেনে নিন।


  • বিয়ের একমাস আগে থাকেই নিজের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন। একমাসে মাঝেমধ্যে একদিন বেশি খেয়ে ফেললে চিন্তার কোন কারন নেই। ভাত ও রুটির পরিমান একটু কমিয়ে দিন সালাদ বেশি করে খান। ব্যায়াম করার সময় একটু বাড়িয়ে দিন।
  • বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে সাথে সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডুবো তেলে ভাজা খাবার থেকে বিরত থাকুন।
  • সারাদিন বাইরে থাকতে হলে ড্রাই ফ্রুটস সাথে নিয়ে নিন। হেলদি স্ন্যাকস হিসেবে ভালো হবে। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। বাইরের কোন খাবার খেলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। সারাদিনে খুব বেশি চা বা কফি না খাওয়াই ভালো।
  • নানা রকমের সবজির তরকারি রাখুন খাদ্য তালিকায়। আলুর সাথে অন্যান্য সবজিও যেন যথেষ্ট পরিমানে থাকে সেদিকে নজর রাখুন। দুপুর ও রাতের খাবারে বেশি করে সবজি রাখুন।
  • একই ধরনের ফল খেতে বিরক্ত লাগতে পারে। তাই সব রকমের ফল খেতে পারেন।
  • প্রতি খাবারের সাথে সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফিট তো থাকবেনই, সাথে ত্বক, চুল ও নখও ভালো থাকবে।
  • ভাত বা রুটি যেকোন একটি বেছে নিন। ভাত ও রুটি একসাথে খাবেন না। প্রোটিন জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
  • রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • সপ্তাহে তিন দিন যোগব্যায়াম করুন ও ৬ দিন ৩০-৪০ মিনিট করে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
  • শরীরের পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নিতেও ভুলে যাবেন না। মাসে একবার প্রফেশনাল ফেসিয়াল করিয়ে নিলে আপনার ত্বকের জন্য ভালো হবে।

Labels: ,

জেনে নিন জন্মনিরোধক বড়ি সম্বন্ধে কিছু জরুরী তথ্য

 

জন্মনিরোধক হিসেবে আপনি হয়তো পিল খাচ্ছেন, তাই নিশ্চিন্ত। হঠাৎ দেখলেন, প্রেগন্যান্সি এসে গিয়েছে। এমনটা যে হয় না, তা কিন্তু নয়। আসলে কিছু কিছু কারণে পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়, বা পিল কাজ করে না। জন্মনিরোধরক হিসেবে পিল ব্যবহার করলে এই বিষয়গুলি জেনে রাখা উচিত। এই সব ক্ষেত্রে পিল খেতে খেতেও প্রেগন্যান্সি আসতে পারে।


পিল খেতে ভুলে গেলে:
পিল সবচেয়ে বেশি যে কারণে কাজ করে না, তা হল পিল ব্যবহার করতে ভুলে যাওয়া। অনেকেই পিল নিয়মিত ব্যবহার করতে ভুলে যান। এটাই সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তাতে সমস্যা হতে পারে। পিল
শুরু করার প্রথম সাত দিনের মধ্যে দুই থেকে তিন দিন ভুলে গেলে পিল না কাজ করার সম্ভাবনা বেশি।


পিল খাবার পরে বমি হলে কি করবেন?
বমি হলে শরীর থেকে পিল বেরিয়ে যেতে পারে। শরীর থেকে পিল বেরিয়ে যাওয়া আর পিল খেতে ভুলে যাওয়ার ফলাফল একই। বমি হলেও ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণুর মুক্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ রকম হলে দেখতে হবে পিল খাওয়ার কতক্ষণ পর বমি হল। পিল খাওয়ার ঘণ্টা দুই পরে বমি হলে কিছু করার দরকার নেই। তবে তার আগে হলে আরও একটি পিল খেয়ে নিতে হবে। এটিও খাওয়ার পরও যদি বমি হয়, তবে সুস্থ হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে। সুস্থ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি পিল খেয়ে নিতে হবে। 

অন্য ওষুধের প্রভাব
:
বেশ কিছু ওষুধ পিলের কার্যকারীতা কমায়। তাই অন্য কোনও ওষুধ খেলে তা আপনার চিকিৎসককে জানান। নইলে পিল খেয়ে চললেও তা কাজ করবে না। এই ওষুধগুলি লিভারের মাধ্যমে কাজ করে। আর পিলও লিভারের মধ্যে দিয়ে যায় বলে অন্য ওষুধগুলি পিলকে শরীরে কাজ করতে দেয় না। 

নতুন পিল খেতে শুরু করলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকা খুব স্বাভাবিক। তখন কী করবেন?
সব থেকে বেশি যে সমস্যা হতে পারে, তা হল পিল শুরু করার পর পিরিয়ডের ধরণ বদলে যাওয়া। এই নিয়ে অকারণ বিভ্রান্ত হবেন না। বা ভয় পেয়ে পিল ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন না। তাতে প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পিলের ভেতরের হরমোনের প্রভাবে কয়েক মাস ধরে অনিয়মিত স্পটিং হতে পারে, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই এই সমস্যা মিটে যায়। এ ছাড়া অনেকের ব্লিডিং-এর পরিমাণও কমে যায়। 

যদি পিরিয়ড না হয়:
ভাল করে ভেবে দেখা দরকার পিল খেতে কি কখনও ভুলে গিয়েছিলেন? বা সম্প্রতি পেটের গণ্ডোগোল বা বমি হয়েছিল কি না। সে রকম হলে গর্ভনিরোধকের সুরক্ষা ক্ষমতা কমে যাওয়ার কথা। সুরক্ষার ফাঁক গলে কিছু হয়েছি কি না তা বুঝতে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করে দেখতে হতে পারে। অনেক সময় কম মাত্রার পিলেতে প্রেগন্যান্সি না এলেও প্রথম দুই থেকে তিন মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকতে পারে। তবে পিল বন্ধ করা চলবে না। ২১ দিন খেয়ে ৭ দিন বন্ধ রেখে আবার ২১ দিন খেতে হবে।

বমি বমি ভাব:
পিল খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। সমস্যা এড়াতে কিছু খাবার খেয়ে বা শোওয়ার আগে পিল খান। তাতে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল। এই রকম ক্ষেত্রে কম ডোজের পিল নিলে সুবিধে হয়। সঙ্গে বমি ভাব কমানোর ওষুধ কিছু দিন খেতে হবে। 

যৌনক্ষমতা:
পিল ব্যবহারের পর কারও কারও যৌনক্ষমতা বেড়ে যায়। এর কারণ যাঁদের মিলনের সময় কিছু অসুবিধে তৈরি হয়, পিল ব্যবহারে তার থেকে মুক্তি ঘটে। আবার পিল ব্যবহারে কিছু মহিলার সহবাসের ইচ্ছে কমে যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

কিছু উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সাময়িক ভাবে পিল বন্ধ করে দেবেন ও আপনার ডাক্তারকে জানাবেন
সেগুলি হল:--

যে কোনও পায়ের ডিমে বা কাফ মাসল-এ তীব্র ব্যথা, বুকের মাঝে বা দু-পাশে তীব্র যন্ত্রণা, নিশ্বাস নিতে গেলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া, কোনও কারণ নেই, অথচ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, তীব্র মাথব্যথা ও মাইগ্রেন, অতি উচ্চ রক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তির অস্বচ্ছতা,শরীরের একাংশে অসাড়তা দেখা দিলে।
এই সমস্যাগুলো কিন্তু পিল খাওয়ার জন্য হয় না। যে কোনও মানুষেরই হতে পারে যে কোনও অসুখের লক্ষণ হিসেবে। এই সব অসুখে পিল খাওয়া বারণ। 

Labels: ,

সুখী থাকতে নবদম্পতিরা মাসে অন্তত ১১ বার মিলিত হোন, বলছে গবেষনা


ওয়েব ডেস্ক: মাসে ১১ বার যৌনমিলন খুশি রাখবে নব বিবাহিতদের। এমনটাই জানাচ্ছেন সাইকোথেরাপিস্ট এম গ্যারি নিউম্যান। তার গবেষনায় উঠে এসেছে নব বিবাহিত দম্পতিরা সাধারণত মাসে ৩ থেকে ৪ বার মিলিত হন। কিন্তু, যদি অন্তত পক্ষে ১১ বার মিলিত হওয়া যায় এক মাসে তবে নব বিবাহিত মহিলারা মানসিক ভাবে সুস্থ থাকেন।
নিউম্যান বলেন, বিয়ের প্রথম দুই বছরে অন্তত দম্পতিদের একটু বেশি বার মিলিত হওয়া উচিত্‍। তাতে সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও উত্তেজনা বজায় থাকে। বেশ কিছু নব বিবাহিত অথচ অসুখী দম্পতিদের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন কম বার যৌনমিলনের ফলে তাদের জীবনে মানসিক চাপ, আর্থিক চিন্তা, অনিদ্রার মত সমস্যা বেড়েছে। মোট ৪০০ জন মহিলা সুখী ও অসুখী এই দুই ভাগে ভাগ করে সমীক্ষা চালান নিউম্যান। তার নতুন রিকনেক্ট টু লভ ইনটেনসিভ প্রোগ্রামে দিনভর দম্পতিদের কাউন্সেলিং করেন নিউম্যান। সেই প্রোগ্রামেই স্বামী, স্ত্রী উভয়কেই কোনওরকম ভার্চুয়াল সম্পর্ক বা অনলাইন বন্ধুত্বে যেতে বারণ করেন নিউম্যান।
কেন ভার্চুয়াল সম্পর্ক বৈবাহিক জীবনের ক্ষতি করতে পারে তা নিজের ইমোশনাল আইডেন্টিটি: হাউ টু অ্যাফেয়ার-প্রুফ ইয়োর ম্যারেজ অ্যান্ড টেন আদার সিক্রেটস টু আ গ্রে রিলেশনশিপ বইতে ব্যক্ত করেছেন নিউম্যান।
  
সূত্র: zeenews.india.com

Labels: ,

কিভাবে করবেন প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ



ওষুধ সেবন, কিংবা কনডম সহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যেকোন পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি ভালভাবে জানা থাকলে এর জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারও দরকার হয় না।
মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র (Menstrual cycle) প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস (Safe period) হিসেবে ধরা হয়। এই দিবস গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবে না।
এই নিরাপদ দিনগুলো প্রকৃতিগত ভাবেই নির্দিষ্ট। তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন।

এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো। এ জন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়।
এবার সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ওই দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদদিন।
আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।

ধরুন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিন গুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই সঙ্গম করা যাবে।
১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম করতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিকচক্র। তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০ তম দিন আপনার জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস।

২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাধ সঙ্গম করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ ম থেকে ২০ ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাধ সঙ্গম করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা আছে।
উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে হিসাবের জন্য খুব সহজ পদ্ধতি হল, মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন আর মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন অবাধ সঙ্গম করা নিরাপদ। মানে, এই সময় মিলন করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা নাই।

জেনে রাখা ভালো অনিয়মিতভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর নয়। এছাড়া প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ।
সাধারণত মাসিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মিলনের সুযোগ নেয়া বা ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া ইত্যাদি কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে।
তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে।

অনেকে এটাকে Programmed sex বলে একে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন, কিন্ত একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটা বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।

Labels: ,

সেক্সড্রাইভ বাড়ানোর সপ্ত সহজপাঠ!


কামশক্তিই হলো মানুষের সেক্স ড্রাইভ৷ পুরুষ হোক কিংবা নারী, প্রত্যেকেই যৌন আগ্রহ ও আনন্দ উপভোগ করার পদ্ধতি জানতে আগ্রহী৷ পুরুষের যৌনক্ষমতা শক্তি যদি কম থাকে, তবে তা কিন্তু তার পুরুষত্বহীনতার পরিচয়৷ এর প্রভাব তার সঙ্গিনীর যৌনজীবনেও পড়তে পারে৷ আর এমনটা হলে সম্পর্কের চিড় ধরতেও বেশি সময় লাগবে না৷

 বিশেষজ্ঞদের মতে পুরুষের কামশক্তি বাড়ানোর সাতটি পদ্ধতি:
১. যদি আপনি একটি রোমান্টিক সন্ধে কাটাতে চান, তবে কফি ও চকলেট কার্যকরী
ভূমিকা পালন করতে পারে৷ কারণ, এই দু’টি খাবারে রয়েছে কামোদ্দীপক উপাদান৷
চকলেট, কফি মেজাজ ভালো রাখে, এন্ডরফিন ক্ষরণে সাহায্য করে, শক্তি প্রদান করে এবং শারীরিক দীর্ঘস্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে৷

২. যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় ফিটনেস৷ এটি পুরুষের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনীয়৷ এতে শুধু আপনি সুস্থ থাকবেন তা নয়, শরীরে ফ্যাট টেস্টোটেরন উৎপাদনে বাধা দেয়৷ এছাড়াও পুরুষের পেটের চর্বি টেস্টোস্টেরণকে শোষণ করে নেয়৷

৩. নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই অ্যারোবিক এক্সারসাইজ গুরুত্বপূর্ণ৷ এটি শরীরের যৌন অঙ্গে রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে৷

৪. বিশেষ কিছু খাবার পুরুষের কামশক্তি বাড়াতে সক্ষম যেমন টমেটো, ব্রকোলি, ডালিমের রস ইত্যাদি৷ অন্যদিকে জাঙ্কফুড, বেকড খাবার ও দুধ জাতীয় খাবার কামশক্তিকে মেরে ফেলে৷

৫. আপনার সঙ্গীর যদি যৌন ইচ্ছে হারিয়ে যেতে থাকে, তবে নিজেকে শান্ত রাখুন৷ তাকে বুঝতে সময় নিন এবং নিজের মনের কথা তাকে বুঝিয়ে বলুন৷ এছাড়াও এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷

৬. যৌন চাহিদা বাড়াতে ম্যাসাজ এক উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি৷ মানসিক চাপ, বা দুশ্চিন্তার কারণে আবসাদগ্রস্থ হলে আপনি আপনার সঙ্গীকে ম্যাসাজ দিতেই পারেন৷ তবে, ম্যাসাজ দেয়ার সময় ঘরের আলো কম করে দিন৷ এটি যৌন চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে৷

৭. গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রেড ওয়াইন সেক্স ড্রাইভকে উত্তেজিত করতে ভীষণ পরিমাণে সাহায্য করে৷ রেড ওয়াইন রক্তপ্রবাহকে বাড়াতে সাহায্য করে৷ ফলে, কাম উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়৷

Labels: ,

সম্পর্ক যখন ভাঙনের মুখে, তখন তা জুড়তে পারে পর্ন সিনেমা


পর্ন ছবি দেখলে নারী-পুরুষের যৌনজীবনে দুর্দশা নেমে আসে, বেশ কয়েকটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে বিপরীত কথা। সম্পর্ক যখন ভেঙে যাচ্ছে, এমন অবস্থায় পুরনো অবস্থায় ফিরে যেতে পর্ন ছবি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানানো হয় ওই গবেষণায়। অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্ন সিনেমা দেখাটা অনৈতিক হতে পারে। কিন্তু এর ভালো দিকের খোঁজ করতেই গবেষণা পরিচালিত হয়।

আমেরিকার সালোন মিডিয়া গ্রুপের এক কলামিস্ট ট্রেসি ক্লার্ক-ফ্লোরি সম্প্রতি একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন। পর্ন ছবি কি আসলেই সম্পর্ক নষ্ট করে? এ জন্য বড় ধরনের একটি জরিপ চালান তিনি। এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব ছবি পুরুষের মাঝে যৌনতার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্ম দেয়। অথবা নারীদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় ইত্যাদি। কিন্তু ট্রেসি দেখেছেন, অনেক সময় ভালো না লাগলেও পর্ন সিনেমা মাঝে মাঝে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গিজমোডো নামের একটি প্রতিষ্ঠান জানায়, ২৫ শতাংশ সার্চ ইঞ্জিন পর্ন সিনেমাকেন্দ্রিক এবং প্রতিদিন ৬ কোটি ৮০ লাখ সার্চ ঘটে পর্ন সিনেমার জন্যে।

কসমো তাদের এক জরিপে জানায়, পর্ন সিনেমা আত্মবিশ্বাস বা যৌনজীবনে তেমন ক্ষতি করে না। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং বিশেষ মানসিকতায় সঙ্গী-সঙ্গিনীর একযোগে পর্ন দেখা সম্পর্কে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে।
‘রিসিকিউরেকটিং সেক্স : সলভিং সেক্সুয়াল প্রবলেমস অ্যান্ড রিভোলিউশোনাইজিং ইওর রিলেশনশিপ’ বইয়ের লেখক মনোবিজ্ঞানী ডেভিড শানার্ক বলেন, পর্ন সিনেমা মূলত নারী-পুরুষের মাঝে প্রেম এবং যৌনজীবনে আকর্ষণ তৈরি করে। যৌনতা যখন স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো, সেখানে পর্ন সিনেমা মানুষকে যৌনজীবন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারে।

পর্ন সিনেমা এমন এক বিষয়, যা দেখে দুজন মানুষ একে অপরের সঙ্গে নানা গোপন বিষয় শেয়ার করতে পারেন।
আবার, দম্পতির একসঙ্গে পর্ন সিনেমা দেখা এবং যার যার মনের ইচ্ছা প্রকাশ করার মাধ্যমে একের প্রতি অপরের সততা ফুটে ওঠে এবং বহু গোপন বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়।

Labels:

সেক্স সম্বন্ধীয় ১৩ টি অজানা তথ্য


১। যখন কোন যুগল এক অপরজনকে চুম্বন দেয় তখন তারা একে অপরের সাথে ১০ মিলিয়ন এবং ১ মিলিয়ন ব্যক্টেরিয়া বিনিময় করে যেমন – ঠাণ্ডা, গ্ল্যান্ডুলার ফিভার, হেপাটাইটিস বি, হারপিস।
২। গড়ে ২০ থেকে৭০ বছর বয়সের মাঝে একজন মানুষ ৬০০ ঘন্টা সময় যৌন মিলনের পিছনে
ব্যয় করে।
৩। যৌন মিলক এক ধরণের ভাল ব্যায়াম। এক ঘন্টায় প্রায় ৩৬০ ক্যালরি বার্ন হয়।
৪। একজন প্রাক্তন পর্ণ তারকা মাত্র ২২ বছর বয়সে ১০ ঘন্টা সময়ে ৭০ জন মানুষের সাথে
প্রায় ২৫১ বার যৌন মিলনে লিপ্ত হয়ে রেকর্ড ভেঙে দেয়।
৫। যারা অতিরিক্ত কাজের চাপ, চিন্তা এবং হতাশায় ভোগে তাদের মাঝে সেক্স আসক্তি
বেশি হয়।
৬। গড়ে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতি সাত সেকেন্ডে একবার সেক্সের কথা চিন্তা
করেন।
৭। এক চা চামচ বীর্যতে – ৩০০ মিলিয়ন শুক্রাণু, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়াম, দাঁতের ক্ষয়
রোধ করে এবং সাত ক্যালরি থাকে।
৮। বীর্যপাতের বেগ ২৮ মাইল পার ঘন্টা প্রায়।
৯। পুরুষের অরগ্যাসম প্রায় ৬ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
১০। ৩২ বছর বয়সে মহিলাদের ক্লিটোরিস বয়ঃসন্ধি থেকে প্রায় চার গুন বেড়ে যায়।
১১। যখন মহিলারা উত্তেজিত হন তখন তাদের স্তন প্রায় ২৫% প্রশস্ত হতে পারে।
১২। মহিলাদেরও স্বপ্ন দোষ হতে পারে।
১৩। মহিলাদের অরগ্যাসম প্রায় ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

Labels: