Monday, January 12, 2015

গর্ভবতী হবার লক্ষণসমূহ

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হোক কি না হোক, আপনার যদি মনে হয় আপনি সন্তানসম্ভবা তবে অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা প্রসূতিগৃহে যোগাযোগ করুন। আপনার বর্তমান বা ভবিষতের যে কোনও রোগের চিকিৎসা কি হবে তা নির্ভর করে আপনি গর্ভবতী কি না তার উপর। আপনি বিবাহিত না হলে এবং আপনার বয়স ১৬ বছরের কম হলেও তা গোপন রাখা হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার নিকটস্থ মা এবং শিশু হাসপাতালে প্রসবপূর্ববর্তী সেবা গ্রহন করুন।

গর্ভধারণের লক্ষণসমূহ

যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারনের সর্বপ্রথম চিহ্ন মাসিক বন্ধ হওয়া। মাঝে মধ্যে গর্ভবতী হলেও মাসিকের সময় সামান্য রক্তক্ষরণ হতে পারে।
অন্যান্য লক্ষণ
অসুস্থ বোধ করা-  আপনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে পারেন বা বমি বমি ভাব হতে পারে। যদিও একে মর্নিং সিকনেস বলা হয়, তারপরও দিনের যে কোনও সময় এরকম হতে পারে। যদি এর কারণে একেবারেই কিছু খেতে না পারেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
স্তনের পরিবর্তন- গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়ার পর স্তনের আকারে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে স্তনের বোঁটায় পরিবর্তন আসে। বোঁটা চেপে ধরলে একধরনের রস নি:সৃত হতে দেখা যায়। এটাও এক ধরনের সংকেত গর্ভধারণের।
গর্ভবতী স্তনের পরিবর্তন
ক্রমেই স্তনের আকার বড় হতে পারে এবং ব্যাথা হতে পারে (অনেকের মাসিকের সময়ও এমন হতে পারে), সুঁড়সুঁড়িও অনুভূত হতে পারে। রক্তনালী (রগ) গুলি আরো বেশি করে দেখা যেতে পারে এবং স্তনের বোঁটা আরো শক্ত এবং কালচে মনে হতে পারে।
  • বেশি বেশি প্রস্রাবের বেগ। রাতে প্রস্রাবের জন্য ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য ।
  • যোনিপথে কোনপ্রকার জ্বালাপোড়া ছাড়াই বেশি বেশি ক্ষরন হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব।
  • মুখে তামাটে স্বাদ লাগা।
  • আগে ভাল লাগত এমন খাবার বিস্বাদ লাগা (যেমন-চা, কফি, সিগারেট বা তেলযুক্ত খাবার) আর নতুন নতুন খাবার খেতে ইচ্ছে করা।
গর্ভবতী হবার লক্ষণ

প্রেগন্যান্সি টেস্ট

মাসিক বন্ধ হওয়ার দিন থেকেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায়। টেস্ট পজিটিভ হলে আপনার গর্ভধারণের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে বুঝতে হবে। দিনের যেকোনো সময়ে এই টেস্ট করতে পারেন। প্রথমে একটি পরিস্কার কন্টেইনারে (সাবান দিয়ে ধুয়ে থাকলে দেখুন সাবান লেগে আছে কিনা) প্রস্রাব সংগ্রহ করুন। কাছের ফার্মেসি থেকে কিনে আনা স্ট্রিপ দিয়ে এবার দেখে নিন আপনি গর্ভবতী কিনা। এসব স্ট্রিপের সুবিধা হল, এগুলো বাসায় বসে গোপনীয়তা বজায় রেখেই করা যায়। ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই মোড়কের নির্দেশিকা পড়ে নেবেন। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বা নির্দেশনা অনুসরণে ভুল হলে টেস্ট এ ভুল দেখাতে পারে। টেস্ট নেগেটিভ, কিন্তু আপনি নিজেকে সন্তানসম্ভবা বলে মনে করছেন, এমন হলে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে দেখুন। এরপরও মনে হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। টেস্ট স্ট্রিপ ছাড়াও কাছাকাছি থাকা হাসপাতাল, প্রসূতি ক্লিনিক বা  ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আপনার প্রস্রাব পরীক্ষা করে গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে পারেন।

যখন আপনি গর্ভবতী

গর্ভবতী হলে কেউ অনেক উৎফুল্ল, আবার কেউ আকস্মিকতায় হতবিহ্বল অনুভব করতে পারেন। অনেক দিন চেষ্টা করে মা হতে চলেছেন, তারপরও খুব বেশি উৎফুল্ল বোধ করছেন না, এমন হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। গর্ভবতী অবস্থায় হরমোনের প্রভাবে মায়ের মনোভাবে তারতম্য ঘটতে পারে, হঠাৎই বেশি আবেগাপ্লুত বা উদ্বিগ্ন হতে পারেন। এ সম্পর্কে আপনি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধব সবারই এসময়ে গর্ভবতী মায়ের পাশে থেকে সাহস যোগাতে হবে। আপনি মা হতে প্রস্তুত না হলে তারাই আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনার স্বামী বা সঙ্গীও ভিন্নরকম অনুভব করতে পারেন, তবে গর্ভবতী মায়ের পরিবর্তনশীল মনোভাবের দিকে লক্ষ্য রেখে তারা সব কথা খুলে বলতে পারেন না। দুজনেরই এসময় মন খুলে একে অপরের কাছে অনুভূতি ব্যক্ত করা প্রয়োজন।গর্ভবতী মায়েদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি তা হলো মা ও শিশু স্বাস্থ্য ক্লিনিকে প্রসবপূর্ববর্তী সেবার জন্য নাম অন্তর্ভুক্ত করা।

আপনি গর্ভবতী কাকে জানাবেন?

আপনি গর্ভবতী — এই খবরটি আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবকে জানানো একটি আনন্দের ব্যাপার। তবে ইচ্ছা করলে খবরটা দেরি করেও জানাতে পারেন। অনেক মা তার প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের পর সবাইকে খুশির খবরটি দিতে পছন্দ করেন।

 সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

ঠিক মাপের ব্রা পরুন

স্তনের জন্য ঠিক মাপের ব্রা এর ব্যাবহার ও যত্নঅনেক দিন ধরেই চিন্তা করছি মেয়েদের স্তনের যত্ন ও পরিচর্যা নিয়ে লিখবো, কিন্তু লিখবো-লিখবো করে লিখা হয়নি। আমাদের দেশে মেয়েরা যে ব্রা`র সাইজ কিনেন ও ব্যাবহার করেন, তা কতটুকু ঠিক? এই বিষয়ে ই আমার এই লিখা। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে, আর কাজে লাগলে ই আমার এই লিখা সার্থক হবে।

ঠিক মাপের ব্রা না পড়লে যা হতে পারে

অনেক সময় মেয়েদের স্তনের আকার পরিবর্তণ হয়ে যায় শুধুমাত্র সঠিক মাপের ব্রেসিয়ার না পরার কারণে। অনেক সময় মোটা স্তন কিন্তু ছোট ব্রা বা ব্রেসিয়ার ব্যবহার এর কারণে স্তন ব্যথা হতে পারে। এ কারণে সবসময় সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করা উচিত। স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া অথবা অপরিণত বয়সে মেয়েদের দুধ বের হবার কারণ এই টাইট ব্রা। স্তন বড় করার উপায় এর জন্য ও সঠিক মাপের ব্রেসিয়ার পরা উচিত।
সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, প্রায় ৯৫% মহিলাদের দেখা যায় ভুল মাপের ব্রা পরতে; হয় খুব আটো (টাইট) কিংবা ঢোলা গড়নের ব্রা পরে যা কিনা পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মেরুদণ্ডে ব্যাথা, ঘাড়ে ব্যাথা, মানসিক অস্বস্তি খুবই সাধারন যা প্রায়ই দেখা যায়। অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, ভুল মাপের ব্রা ব্যবহারে স্তন ঠিক জায়গায় না থেকে বরং নিচের দিকে ব্রেস্ট ঝুলে পড়ার প্রবনতাকে বৃদ্ধি করে।এখানে ব্রা এর সঠিক মাপ সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে।
ঠিক মাপের ব্রা
ঠিক মাপের ব্রা

ঠিক মাপের ব্রা মেপে পরুন

স্তনের উপর থেকে মাপ দিন। যেমন ধরুন
63-67 cm হলে, আপনার সাইজ 65
এই রকম
68-72 cm = 70
73-77 cm = 75
78-82 cm = 80
83-87 cm = 85
88-92 cm = 90
93-97 cm = 95
98-102 cm = 100
103-107 cm = 105
108-112 cm = 110 হবে।
 স্তনের কাপের কথা
স্তনের কাপ

স্তনের কাপের কথা

কি ভাবে সঠিক সাইজ জানবেন? স্তনের উপর থেকে প্রথমে মাপ নিন, পরে আবার স্তনের নীচে থেকে মাপ নিন।
13 cm সেঃমিঃ ফারাক হলে আপনার সাইজ হবে Aকাপের
15 = B
17 = C
19 = D
21 = E
24 = F
26 = G
এখন দেখুন, স্তনের উপর এবং নীচের মাপের কতখানি ফারাক। সে অনুসারে আপনি যেমন; A, B, C, D, E সাইজের কাপের ব্রা কিনবেন।
মেয়েদের দুধ

নিচের ভিডিও টি দেখে ঠিক মাপের ব্রা পরুন

যাদের বুকের মাপ একটু বড় অর্থাত্‍ একটু মোটা স্তনের অধিকারী, তারা সবসময় চেষ্টা করবেন, ব্রেস্ট যেন নিচের দিকে ঝুলে না পড়ে, এজন্য স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ ও সমাধানগুলো জেনে নিতে পারেন। স্তন আকার অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে বয়স অন্যতম। শুধুমাত্র বড় বড় বুকের দুধ হলেই যে আকর্ষণীয় লাগবে এমনটি নয়।
লেখাটি ভালো লাগলে মতামত দিন প্লিজ!
 সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

অণ্ডকোষ এর রোগগুলো | পুরুষের অসুখ

অণ্ডকোষ পুং প্রজননতন্ত্রের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তা ছাড়া এটা ছেলেদের শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্থান। অথচ এই সংবেদনশীল অঙ্গ দু’টি দেহগহ্বরের বাইরে অবস্থিত। কারণ দেহের ভেতর তাপমাত্রা খুব বেশি। অধিক তাপে শুক্রাণু নিষেকের উপযোগী থাকে না, নষ্ট হয়ে যায়। তাই অণ্ডকোষ দু’টি দেহগহ্বরের বাইরে স্ক্রোটাম বা অণ্ডথলি নামের একটি থলির ভেতর থাকে। এখানে তাপমাত্রা দেহের ভেতরের চেয়ে প্রায় ছয় ডিগ্রি কম। এই তাপমাত্রা শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য উপযোগী। অণ্ডকোষ থেকে যেমন শুক্রাণু তৈরি হয় তেমনি অণ্ডকোষ টেস্টোস্টেরন নামের পুরুষ হরমোনও তৈরি করে। বিভিন্ন কারণে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে এবং এতে ব্যথা হতে পারে।
পুরুষের অসুখ
অণ্ডকোষ দু’টি অনেকটা ডিম্বাকৃতির শক্ত কিন্তু কিছুটা তুলতুলে অঙ্গ। এতে দু’ধরনের কোষ থাকে। লিডিগ কোষ ও জনন কোষ। লিডিগ কোষ থেকে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। আর জনন কোষ থেকে শুক্রাণু তৈরি হয়। অণ্ডকোষের শেষ প্রান্তে থাকে এপিডিডাইমিস। এই এপিডিডাইমিস ভাস ডিফারেন্স তৈরি করে। ভাস ডিফারেন্স হলো এক ধরনের মাংসল বাহিকা। এটি অণ্ডথলি থেকে বের হয়ে বস্তিদেশের নিচের অংশে ঢুকে যায়। এখানে এই বাহিকা সেমিনাল ভেসিকলের বাহিকার সাথে মিলে একটি সাধারণ বাহিকা তৈরি করে। এই বাহিকাটি প্রোস্টেটের ভেতরে মূত্রনালীর সাথে মেশে।
অণ্ডথলিতে অণ্ডকোষ এবং শুক্রাণু পরিবহনের এই বাহিকা ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রয়েছে। এসব অঙ্গ হলো অণ্ডকোষের রক্তবাহিকা, লসিকা গ্রন্থি ও লসিকা নালী, অণ্ডকোষের স্নায়ুতন্ত্র, স্পার্মাটিক কর্ড, কর্ডের চার দিকে ক্রিমেসটেরিক পেশি। অণ্ডথলির ভেতরের যেকোনো অঙ্গই অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ার এবং অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়ার কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু কারণে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে (যেমন- ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া) ও অণ্ডকোষে ব্যথা (বৃক্কে পাথরের রেফারড্ ব্যথা) হতে পারে; আর এ দু’টি ক্ষেত্রে অণ্ডথলি একেবারেই স্বাভাবিক থাকে।
অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ার এবং এতে ব্যথা হওয়ার কতগুলো সাধারণ লক্ষণ থাকে। অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়ার আগে অনেকে অণ্ডথলিতে আঘাত পেতে পারেন। অনেকের অণ্ডকোষে ধীরে ধীরে আবার কারো অণ্ডকোষে খুব দ্রুত ব্যথা অনুভব হতে পারে। এ সময় অণ্ডথলি ফুলে যায়, ছুঁতে গেলে ব্যথা লাগে, অণ্ডথলির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যেতে পারে এবং অণ্ডথলির স্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এ ধরনের অনেক রোগীর জ্বরও থাকে। নিচে অণ্ডকোষের কিছু সাধারণ রোগ সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।
অণ্ডকোষের টর্সন: এ রোগটি সাধারণত অল্প বয়সী ছেলে ও যুবাদের রোগ। তবে যেকোনো বয়সের পুরুষই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে বড়রা এ রোগে আক্রান্ত হন। এটি সাধারণত একটি অণ্ডকোষেই হয়। যদি কোনো অণ্ডকোষের সাথে স্পার্মাটিক কর্ডের খুব সরু সংযোগ থাকে তাহলে এ রোগটি হয়। এ ক্ষেত্রে স্পার্মাটিক কর্ডটি হঠাৎ পেঁচিয়ে যায় ও ঘুরে যায়।
অণ্ডকোষের টর্সন
অণ্ডকোষের টর্সন
সাথে সাথে অণ্ডকোষটিও ঘুরে যায়। স্পার্মাটিক কর্ডের পেঁচানো অংশটি অণ্ডকোষের রক্তবাহিকা বন্ধ করে দেয়। বেশিক্ষণ এই অবস্থা থাকলে রক্তপ্রবাহের অভাবে অণ্ডকোষ স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দু’টি অণ্ডকোষই এভাবে নষ্ট হয়ে গেলে আক্রান্ত পুরুষ বন্ধ্যা হয়ে যায়। অণ্ডকোষের টর্সন হঠাৎ করেই হয়। তবে কখনো কখনো এটা ব্যায়ামের পর, বিশ্রামের সময় এমনকি ঘুমের মধ্যেও হতে পারে। টর্সন হওয়ার সাথে সাথে রোগীর অণ্ডকোষে খুব ব্যথা হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে মৃদু ব্যথাও হতে পারে। এ সময় অনেকের বমি বমি ভাব এবং কারো বা বমি হয়। আক্রান্ত অণ্ডকোষটি ফুলে যায় এবং একটু ওপর দিকে উঠে যায়। অণ্ডকোষের টর্সন একটি জরুরি অবস্থা, এ রকম অবস্থা হওয়ার সাথে সাথেই রোগীর অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি অণ্ডকোষের টর্সন হলে অপর অণ্ডকোষটিরও টর্সন প্রতিরোধী চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। কারণ যার একটি অণ্ডকোষের টর্সন হয়েছে তার অন্য অণ্ডকোষটিরও টর্সন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
অণ্ডকোষের প্রদাহ : এটা অণ্ডকোষের এক ধরনের সংক্রমণ। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর অণ্ডকোষে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, সাথে সাথে অণ্ডকোষ ফুলে যায় এবং স্ক্রোটাম লাল হয়ে যায়। রোগীর প্রচণ্ড জ্বর হয়।
অণ্ডকোষের প্রদাহ

এ রোগে রোগীর রোগ যন্ত্রণা এতই বেশি হয় যে, সে নিজেই যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। বেশির ভাগ রোগীরই সাধারণত মাম্পস, অরকাইটিস হয়। কিন্তু সমস্যা হলো মাম্পস অরকাইটিসের তেমন কোনো ফলদায়ী চিকিৎসা নেই। ফলে এ রোগে অণ্ডকোষের কলাতন্ত্র স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে পুরুষের উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়।
সংক্রমণের জন্য প্রদাহ : এ ধরনের সংক্রমণের মধ্যে এপিডিডাইমিসের প্রদাহ বা এপিডিডাইমাইটিস প্রধান। এই রোগটি ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী পুরুষ যারা যৌন সক্রিয়, তারাই এ রোগে অধিক পরিমাণে আক্রান্ত হয়। তবে যারা যৌন সক্রিয় নয়, তারাও এ রোগে আক্রান্ত হয়। অনেক সময় ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে এপিডিডাইমাইটিসের রোগী হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। এ রোগে প্রথমে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হয়। আস্তে আস্তে এ জীবাণু প্রোস্টেটে সংক্রমিত হয় এবং প্রোস্টেট থেকে এ রোগের জীবাণু এপিডিডাইমিসে সংক্রমণ করে। এ রোগে প্রথমে অল্প ব্যথা অনুভূত হয় এবং এক থেকে দু’দিনের মধ্যে ব্যথা বেড়ে যায়। সাথে সাথে রোগীর প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, অনেক সময় লিঙ্গপথে পুঁজ নির্গত হয়। এসব রোগীর অল্পমাত্রায় জ্বর থাকে। তবে কারো ক্ষেত্রে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মতো জ্বরও হতে পারে। যদি শুরুতেই এ রোগের চিকিৎসা না করানো হয় তবে এ রোগের কারণে পুরো অণ্ডকোষই ফুলে যেতে পারে।
হাইড্রোসিল: এ রোগে অণ্ডকোষে ব্যথা হয় না। কিন্তু অণ্ডকোষ ফুলে যায়। এ রোগ খুব ধীরে ধীরে হয় এবং অণ্ডকোষের ফোলা চোখে পড়তে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লাগে। হাইড্রোসিল রোগে অণ্ডকোষের টিউনিকা ভ্যাজাইনালিস ও টিউনিকা অ্যালবুজিনিয়া নামের আবরণী দু’টির মাঝে তরল পদার্থ সঞ্চিত হয়।
হাইড্রোসিল
হাইড্রোসিল
তবে এ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষটি স্বাভাবিক থাকে। এ রোগের শুরুতে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও যখন হাইড্রোসিলের আকৃতি বেড়ে যায় তখন রোগী এ রোগে খুব অস্বস্তি অনুভব করে।
স্পার্মাটোসিল: এ রোগেও কোনো ব্যথা থাকে না। তবে এতে অণ্ডকোষের ওপরের অংশ ফুলে যায়। আসলে স্পার্মাটোসিল হলো এপিডিডাইমিসে তরলপূর্ণ এক ধরনের সিস্ট। এটি ব্যথাহীন এবং মসৃণ। এ রোগের চিকিৎসা না করালেও তেমন কোনো ক্ষতি নেই।
ভেরিকেসিল: এ রোগে স্পার্মাটিক কর্ডের শিরাগুলো ফুলে যায়। এই ফোলা শিরার মধ্যে রক্ত থাকে। শতকরা প্রায় ১৫ জন পুরুষের এ রোগ দেখতে পাওয়া যায়। শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই এ রোগে বাম অণ্ডকোষটি আক্রান্ত হয়।
ভেরিকেসিল
ভেরিকেসিল
এ রোগে অণ্ডকোষ ফুলে যায় এবং স্ক্রোটাম কিছুটা নীলচে রঙ ধারণ করে। দাঁড়ালে অণ্ডকোষের ফোলা তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। এ রোগটি তেমন ক্ষতিকারক নয়। তবে এসব রোগীর বন্ধ্যত্ব থাকতে পারে। শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা যায়।
অণ্ডকোষে আঘাত: যেহেতু স্ক্রোটাম দেহগহ্বরের বাইরে অবস্থিত তাই এতে সহজেই আঘাত লাগতে পারে। স্ক্রোটামে সামান্য আঘাত লাগলেই খুব বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ব্যথা যদি অল্প সময়ের মধ্যে না কমে এবং স্ক্রোটাম ফুলে যেতে থাকে তাহলে এটা সত্যিকারের চিন্তার বিষয়। কারণ এ ধরনের আঘাতের ফলে অণ্ডকোষে রক্তপাত হওয়া এবং অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
অণ্ডকোষের ক্যান্সার: অনেক রোগীই অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়াকে অণ্ডকোষের ক্যান্সার মনে করেন এবং এ জন্য অহেতুক ভয় পান। আসলে কিন্তু খুবই কম মানুষেরই এ রোগ হয়। অণ্ডকোষের ক্যান্সার সাধারণত ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের হয়ে থাকে। এ রোগের কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে যাদের জন্মের সময় অণ্ডকোষ অণ্ডথলির বাইরে থাকে (যেমন- ইঙ্গুইনাল ক্যানেল, উদর গহ্বর ইত্যাদি) তাদের অণ্ডকোষের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ পুরুষের চেয়ে ১১ গুণ বেশি।
অণ্ডকোষের ক্যান্সার
অণ্ডকোষের ক্যান্সার
অণ্ডকোষের ক্যান্সারে যেকোনো একটি অণ্ডকোষে একটি শক্ত গোটা হয়। তবে কিছু কিছু ক্যান্সারে সমস্ত অণ্ডকোষ বড় হয়ে ফুলে ওঠে এবং এটা কিছুটা তুলতুলে অথচ শক্ত হয়। সাধারণত এ রোগে অণ্ডকোষে কোনো ব্যথা হয় না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে অণ্ডকোষে হালকা ব্যথার ভাব হতে পারে এবং অণ্ডকোষটি খুব ভারী মনে হতে পারে। যদিও ক্যান্সারের নাম শুনলেই মনে খুব ভয় হয়, আসলে শুরুতেই রোগ নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সারানো সম্ভব। এ জন্য প্রত্যেক সচেতন পুরুষের ৪০ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে অন্তত একবার নিজের অণ্ডকোষ অনুভব করে দেখা উচিত যে, এতে কোনো ব্যথাহীন গোটা হয়েছে কি না।
হার্নিয়া: ভ্রণাবস্থায় মানুষের অণ্ডকোষ পেটের ভেতর থাকে। জন্মের সময় অণ্ডকোষ পেট থেকে ইঙ্গুইনাল ক্যানেলের ভেতর দিয়ে স্ক্রোটামে চলে আসে। বিভিন্ন ধরনের কলা দিয়ে এই ক্যানেল বা পথটি তখন বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কোনো কারণে যদি এ রাস্তাটি পুরোপুরি বন্ধ না হয় তাহলে এ রাস্তা দিয়ে পেটের নাড়িভুঁড়িও অণ্ডথলিতে চলে আসতে পারে। একেই হার্নিয়া বলে।
হার্নিয়া
হার্নিয়া
এতে স্ক্রোটাম ফোলা দেখায়। বেশির ভাগ হার্নিয়াতেই কোনো রকমের ব্যথা হয় না এবং পেটের নাড়িভুঁড়ি সহজেই পেটে ঢুকানো যায়। তবে ইনকারসেরেটেড হার্নিয়া পুনরায় পেটে ঢুকানো যায় না। আবার যে হার্নিয়ায় পেটের নাড়িভুঁড়িতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় তাকে স্ট্র্যাঙ্গুলেটেড হার্নিয়া (strangulated hernia) বলে। অন্যান্য হার্নিয়া অণ্ডকোষের কোনো ক্ষতি করে না। তবে অনেক দিন হার্নিয়া থাকলে তা থেকে ইনকারসেরেটেড এবং স্ট্র্যাঙ্গুলেটেড হার্নিয়া হয় এবং এই দু’ধরনের হার্নিয়ারই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করাতে হয়।
মারাত্মক ইডিমা: সাধারণত অণ্ডথলির বিভিন্ন ধরনের রোগেই অণ্ডথলি ফুলে যায়। তবে কিছু কিছু মানুষের হৃৎবিকলতা, যকৃতের রোগ, বৃক্কের রোগ বা অন্যান্য কিছু বিশেষ রোগে শরীরে পানি আসে এবং শরীর অতিমাত্রায় ফুলে যায়। এই পানি পা, পেট প্রভৃতিতে জমা হওয়ার সাথে সাথে লিঙ্গ এবং অণ্ডথলিতেও জমা হয় এবং অণ্ডথলি ফুলে যায়।
আবার অণ্ডকোষের লসিকা গ্রন্থি এবং লসিকা বাহিকা বন্ধ হয়ে গিয়েও অণ্ডথলি ফুলে যায়। এ ক্ষেত্রে অণ্ডথলিটি খুব শক্ত থাকে। এ রোগকে অণ্ডথলির গোদরোগ বলে। ফাইলেরিয়া নামের এক ধরনের পরজীবী এ রোগ সৃষ্টি করে। তবে আশার কথা হলো, এ রোগ তেমন একটা হয় না বললেই চলে।
 সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels: ,

মূত্রনালি পথে রস নিঃসরণ

যদি আপনার মূত্রনালি পথে রস নিঃসরণ হয় তাহলে সম্ভবত আপনার যৌনবাহিত সংক্রমণ রয়েছে,যা আপনি অন্যের মধ্যে ছড়াতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ডাক্তার দেখাবেন, এমনকি আপনার উপসর্গ চলে গেলেও।

Gonorrhea Symptom
মূত্রনালি পথে রস নিঃসরণ

মূত্রনালির প্রদাহের কারণ

মূত্রনালির প্রদাহকে চিকিত্সা পরিভাষায় বলে ইউরেথ্রাইটিস। মূত্রনালি হচ্ছে একটি নল,যা মূত্রথলি থেকে লিঙ্গের মাথা পর্যন্ত বিস্তৃত। মূত্রনালির প্রদাহ সাধারণত যৌনবাহিত সংক্রমণ দ্ব্বারা ঘটে। তবে সব সময় নয়। এটা সীমাবদ্ধ যৌন সম্পর্কের মধ্যেও ঘটতে পারে।

গণোরিয়া

এটা এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ যা মূত্রনালির প্রদাহ ঘটাতে পারে। নন-গণোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস গণোরিয়া ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে মূত্রনালির প্রদাহ হলে তাকে নন-গনোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস বলে। এটার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ক্লামাইডিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া। এটা এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ। এ ধরনের মূত্রনালির প্রদাহ অন্য ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্ব্বারাও ঘটতে পারে। কখনো কখনো কোনো সংক্রমণ ছাড়াও ঘটতে পারে। উদাহরণস্বরূপ মূত্রনালিতে আঘাত পেলে বা কোনো অপারেশন হলে প্রদাহ হতে পারে। কোনো কোনো পুরুষের একই সময়ে গণোরিয়ার জীবাণু এবং অন্য জীবাণু দ্ব্বারা মূত্রনালির প্রদাহ হতে পারে।

মূত্রনালির প্রদাহের উপসর্গগুলো কী

  • সাধারণত: বিশেষ অঙ্গ দিয়ে নি:সরণ বা তরল পদার্থ বের হয়, তবে সময় সময় নয়।
  • প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করে। এটাকে অনেকে প্রস্রাবের ইনফেকশন বলে ভুল করতে পারেন।
  • লিঙ্গের মধ্যে জ্বালাপোড়া করতে পারে অথবা ঘন ঘন প্রস্রাব করার ইচ্ছা জাগতে পারে।
  • মূত্রনালির প্রদাহের কোনো কোনো পুরুষের কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- ক্লামাইডিয়া সংক্রমণের অর্ধেক সংখ্যক পুরুষের কোনো উপসর্গ থাকে না।

কীভাবে রোগের উন্নতি ঘটে

উপসর্গগুলো অনেক সময় এমনিতেই চলে যায়। এ ক্ষেত্রে দু’সপ্তাহ থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে যদি ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে যেমন- ক্লামাইডিয়ার কারণে মূত্রনালির প্রদাহ ঘটে তখন কিছু ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালিতে থেকে যায়। তখন অবশ্যই চিকিত্সার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে উপসর্গ চলে গেলেও চিকিত্সা করাতে হবে। যে ব্যাকটেরিয়াটি (ক্লামাইডিয়া) সচরাচর পুরুষদের মূত্রনালির প্রদাহ ঘটায়, সেটি মহিলাদের মারাত্মক সমস্যা ঘটাতে পারে।

মূত্রনালির প্রদাহ হলে কী করা উচিত

  • এটা কখনোই অবহেলা করবেন না। অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন, এমনকি আপনার উপসর্গ চলে গেলেও ডাক্তার দেখাবেন।
  • আপনার ডাক্তার আপনাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারেন। এসব পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে নিঃসরণ পরীক্ষা ও প্রস্রাব পরীক্ষা, যা আপনার সংক্রমণের কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করবে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত সংক্রমণ দূর করবে। তবে এটি নির্ভর করে রোগের কারণের ওপর।
  • আপনার যৌন সঙ্গিনীকেও ডাক্তার দেখাতে হবে, এমনকি তার কোনো উপসর্গ না থাকলেও। যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত অনেক মহিলার কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না।
  • আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিত্সা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেলামেশা করবেন না।
সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন

প্রশ্নঃ লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন কি করি?

উত্তরঃ এটা কোন রোগ না।এটার লিঙ্গের স্বাভাবিক গঠন…সো নো টেনশন। একটি মানুষের লিঙ্গের আকার তার স্বাস্থ্য, বংশগতি, জাতি ইত্যাদি বিষয়ের উপরে নির্ভর
করে। এটা নিয়ে অধিক চিন্তা করারও কোন দরকার নেই। যৌন মিলনে লিঙ্গের মোটা বা চিকন কোন প্রভাব ফেলে না।

লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন

 একজন স্বাস্থ্যবান  পুরুষ হলেই যে তার লিঙ্গ সাস্থবান এ কথা কিন্তু বলা যাবে না। শুধু লম্বা দেহি ও শক্তি থাকলেই যে তার যৌন শক্তি ও  লিঙ্গের সাইজ যে তার দেহের মতই এটা কিন্তু ঠিক নয়। অনেক পুরুষ আছেন যাদের দেহের সাথে লিঙ্গের কোনও সামঞ্জস্যতা নেই। স্ত্রী কে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারছেন না এমন স্বামী লুকিয়ে লুকিয়ে মনের জ্বালা কে কবর দিচ্ছেন। এমনও কোনও কোনও স্ত্রী আছেন যারা দেহের তৃপ্তি পাওয়ার জন্য অন্য পুরুষের সাথে সময় কাটান। ফলাফল সন্দেহ, অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ। আবার অনেকে  বিয়ে করতেই ভয় পাচ্ছেন। অনেকে আবার সমাধান খুঁজেছেন পাগলের মত। কি করলে আমার লিঙ্গ একটু বড় হবে।

প্রশ্নঃ হস্তমৌথুনের কারনে কি কোন সমস্যা হয় ?

উত্তরঃ হস্তমৌথুন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত কোন কিছু ভাল না ,তবে আপনি যদি হস্তমৌথুন করার পর অপরাধ প্রবনতায় ভোগেন, তাহলে মনযৌন মানে মণোরোগ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।

প্রশ্নঃ স্বপ্নদোষ হছে,কি করবো ?

উত্তরঃ “স্বপ্নদোষ” এই নামটাই ভুল। স্বপ্নে তো কোন দোষ হচ্ছে না ,তাহলে আমরা কেন এটাকে স্বপ্নদোষ বলছি ? এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মেয়েদের মাসিক যেমন স্বাভাবিক, ছেলেদের স্বপ্নদোষ তেমন স্বাভাবিক। মাসে ১৫ বারের বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ ছোট ,বিয়ে করতে পারব তো?

উত্তরঃ কমন একটা প্রশ্ন,একটা মেয়েকে(স্ত্রী)যৌন তৃপ্তি দেওয়ার জন্য আপনার লিঙ্গ উত্তেজনার সময় ২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা হলেই চলবে। স্কেল নিয়ে মেপে দেখুন, কি উত্তর পেয়েছেন? আপনি সুস্থ্য।

প্রশ্নঃ লিঙ্গ বড় করার কোন মালিশ, ওষুধ, ক্রিম, মেশিন কি আছে ?

প্রশ্নঃ আমার বীর্য পাতলা ,আমি কি বাবা হতে পারবো?

উত্তরঃবীর্য পাতলার সাথে বাবা হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই । বীর্যের মধ্যে শুক্রের পরিমান ও গুনগত মানের উপর নির্ভর করে আপনি বাবা হতে পারবেন কিনা ।“বীর্যপাতলা” এটা কোন রোগ না। এর সাথে যৌন দুর্বলতারও কোন সম্পর্ক নাই। যৌন মিলন আনেক্ষণ ধরেই হতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। যথেষ্ট পরিমাণ ফোরপ্লে বা পূর্ব উত্তেজনার মাধ্যমে এক বা দুই মিনিটের মধ্যেই সঙ্গীনি কে পরিপূর্ন তৃপ্তি দিয়া সম্ভব। আর এ ক্ষেত্রে লিঙ্গের আকার কোন ফ্যাক্ট নয়।
আমরা ফি ছাড়া ফ্রি ডাক্তারি টিপস দিচ্ছি। আপনার সুস্থতাই আমাদের বড় ফি। লজ্জা না করে শেয়ার করুন পোস্টটি।
 সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

স্বপ্নদোষ কেন? কিভাবে হয়? চিকিত্‍সা

স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়।
১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।
 

স্বপ্নদোষের মাত্রা

স্বপ্নদোষের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিছু পুরুষের টিনএজারদের মতো বেশিসংখ্যক স্বপ্নদোষ হয়, আবার অনেক পুরুষের একবারও হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের ৮৩ শতাংশ পুরুষের জীবনে কখনো না কখনো স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে। পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের দেশগুলোতে ৯৮ শতাংশ পুরুষের স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে। অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে, ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.৩৬ বার থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৮ বার স্বপ্নদোষ হয়। বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.২৩ বার থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৫ বার হয়।
কিছু পুরুষ কেবল একটা নির্দিষ্ট বয়সে এ ধরনের স্বপ্ন দেখেন, পক্ষান্তরে অন্য বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই সারাজীবন এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। ঘন ঘন স্বপ্নদোষের সাথে ঘনঘন হস্তমৈথুন করার সুনিশ্চিত সম্পর্ক নেই। বিশ্বখ্যাত যৌন গবেষক আলফ্রেড কিনসে দেখেছেন, ‘ঘনঘন হস্তমৈথুন এবং ঘনঘন যৌন উত্তেজক স্বপ্নের মধ্যে কিছুটা সম্পর্ক থাকতে পারে। সাধারণভাবে যেসব পুরুষের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, তারা কম হস্তমৈথুন করেন। এসব পুরুষের কেউ কেউ গর্বিত হন এই ভেবে যে, তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, এ কারণে তারা হস্তমৈথুন করেন না। অথচ এদের বেলায় উল্টোটা সত্যি। তারা হস্তমৈথুন করেন না কারণ তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।’
 
একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরন সমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রাও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে।
বয়ঃসন্ধিকালে ১৩ শতাংশ পুরুষের প্রথম বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা ঘটে স্বপ্নদোষ হিসেবে। তবে অনেকেই প্রথম বীর্যপাত ঘটায় হস্তমৈথুনের মাধ্যমে।
স্বাভাবিকভাবে বীর্যপাতের পরে পুরুষাঙ্গ শিথিল হয়ে যায়। তবে স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে, বীর্যপাতের পরও পুরুষাঙ্গ শক্ত থাকে।
 
যদিও স্বপ্নদোষ প্রতিরোধ করতে কিংবা বন্ধ করতে বেশকিছু চিকিৎসা রয়েছে, তবে অনেকেই সেই চিকিৎসার মধ্যে যান না। হিক্কার মতো স্বপ্নদোষেরও অনেক ধরনের ঘরোয়া প্রতিষেধক রয়েছে, তবে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তা ছাড়া স্বপ্নদোষ কোনো শারীরিক ক্ষতি করে না বলে এবং কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে না করে বলে সাধারণত চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয় না।
 
মহিলাদের ক্ষেত্রে কিনসে দেখেছেন, ৫ হাজার ৬২৮ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা তাদের ৪৫ বছর বয়সের সময় কমপক্ষে একবার স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। ওই সব মহিলা কিনসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫ শতাংশ মহিলা তাদের ২১ বছর বয়সের সময় স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। কেউ কেউ ১৩ বছর বয়সে পড়লে এ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। যেসব মহিলা ঘুমের মধ্যে সি লাভ করেন, সাধারণত তাদের বছরে কয়েকবার এটা হয়। মহিলাদের রতিমোচন হিসেবে ঘুমের মধ্যে যৌন উত্তেজনা জাগে যার মাধ্যমে তারা রতিমোচনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে তাদের স্বপ্নদোষ নির্ণয় করা সহজ, কারণ হলো বীর্য। মহিলাদের যোনিপথে নিঃসরণ রাগ মোচন ছাড়াই যৌন উত্তেজনার চিহ্ন হতে পারে।

স্পারম্যাটোরিয়া

১৮ ও ১৯ শতকে, যদি একজন রোগীর ঘনঘন অনৈচ্ছিক বীর্যপাত হতো কিংবা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণ বীর্য বের হতো তখন তার রোগ নির্ণয় করা হতো স্পারম্যাটোরিয়া বা ‘ধাতুদৌর্বল্য’ বলে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা যেমনন্ধ খৎনা করার পরামর্শ দেয়া হতো। বর্তমানে কিছু হার্বাল ওষুধ দিয়ে অনেকেই এর চিকিৎসা করলেও তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
 

প্রচলিত ধারণা স্বপ্নদোষ নিয়ে

অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন। তাদের ধারণা, যৌবনে এটা একটা প্রধান যৌন সম্পর্কিত রোগ। কেউ কেউ নানা ধরনের চিকিৎসা করানন্ধ এমনকি স্বপ্নদোষ ও হস্তমৈথুনের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। স্বপ্নদোষকে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।
সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ ও সমাধান

অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করছেন “এত কম বয়সেই কেন আমার স্তন ঝুলে পড়ছে?” হঠাত্‍ করে এরকম প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেয়া কঠিন। অনেক কারণে স্তন ঝুলে পড়তে পারে। তবে বয়স বাড়লে একটু তো স্তন ঝুলতেই পারে। বুকের দুধ ঝুলে পড়া অনেকের সৌন্দর্যহানি ঘটে। জেনে নিন স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ ও সমাধান।     
স্তন ঝুলে যাওয়া
বয়স বাড়ার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট কৌনিক মাত্রায় স্তন ঝুলে যাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু কিশোরী বয়সে স্তন ঢিলা হয়ে যাবার প্রবনতা স্বাভাবিক শাররীক পরিবর্তনের পর্যায়ে পড়েনা। কিশোরীর স্তন ঝুলে যাবার সম্ভাব্য কারনগুলোর মধ্যে আছে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, সন্তান গর্ভধারন, ধুমপান অথবা বংশগত কারনে বড় আকৃতির স্তন থাকা এবং বড় স্তনে প্রয়োজনীয় সার্পোট/সঠিক আকারের ব্রা পরিধান না করা।
 
কিশোরী স্তন (স্বাভাবিক)

স্তন ঝুলে যাওয়ার লক্ষনসমুহ

নারী স্তন অস্থিবন্ধনীতে অবলম্বন করেথাকে; যদি ঐসকল অস্থিবন্ধনী প্রসারিত হয়, পেশীকলার শক্তি হ্রাস পাবার কারনে স্তনের প্রাকৃতিক অবস্থান সাধারনত নিচে নেমে আসে। স্তনবোঁটার স্থানচ্যুতি (স্তনের একদম নিচের দিকেচলে আসা) এবং স্তনের দুই পাশে চামড়া কুচকে যাওয়া থেকেও স্তন ঝুল সহজে অনুমান করা যায়।

স্তন ঝুলে যাওয়ার কারন

স্তন ঢিলা হয়ে যাবার স্বাভাবিক কারন হলো স্তন অতিরিক্ত বড় এবং ভারী হয়ে যাওয়া, অথবা অপ্রতুল স্তন-সার্পোট। সন্তান জন্মদানের কারনে অর্থাৎ প্রসুতিকালীন সময় স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়া এবং স্তনধারনের কারনে তা ভারী হয়ে যায় এবং ফল স্বরূপ স্তন ঢিলা হয়ে যেতে পারে।

এখানে উল্লেখ্য যে সন্তানকে স্তন পান করালে স্তনের আকারে কোন প্রকার পরিবর্তন হয়না। একইসাথে উচ্চ প্রভাব ব্যয়াম যেমন দৌড়ানো, নাচ করা ইত্যাদির সময় যদি স্পোটস ব্রা কিংবা স্তনের পুর্ন অবলম্বনে সামর্থ্য ব্রা ব্যবহার না করা হয় তবে তা থেকে স্তনের ঝুলে যাওয়া সম্ভব!

স্তন ঢিলা হয়ে যাওয়ার বিষয়

অনেক নারী চিন্তিত হন – সন্তানকে স্তনদানের সাথে স্তনের ঢিলা হয়ে যাবার সম্পর্ক আছে কিনা? কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে স্তনদানের সাথে স্তনের আকার এবং গঠনের পরিবর্তনের কোন প্রকার নেগেটিভ সম্পর্ক নেই। মাইয়োক্লিনিক ওয়েবসাইটের মতে প্রসুতিকালীন স্তন ঝুলার কারন হলো হঠাৎ স্তনের আকার পরিবর্তন এবং পরবতীতে তা আবার স্বল্প সময় ব্যবধানে কমে যাওয়া।

স্তন ঝুলে যাওয়ার সমাধান

কিশোরী বয়সে স্তনের ঝুলে যাওয়া রোধে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন স্তনেরঅস্থিবন্ধনী প্রসারীত না হয় এবং স্তন চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট নাহয়। যেহেতু প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ধুমপান চামড়ার স্থিতিস্থপকতা দুর্বল করে দেয় তাই ধুমপায়ীর তুলনায় অধুমপায়ী নারীর স্তন শিথিলতার প্রবনতা কম। স্বাস্থ্যকর শাররীক ওজন রক্ষা করা এবং উচ্চ-প্রভাব ব্যয়াম এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে পর্যাপ্ত স্তন সার্পোট স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিহত করতে পারে। ‘মেডিসিন ইন স্পোর্টস এন্ড এক্সসেরসাইজ‘ জার্নাল এর জুলাই ২০১০ সংখ্যায় ছাপা এক প্রতিবেদনে বলা হয় -

যে সকল স্পোর্টস ব্রা ক্রিয়াকালীন অধিক ওজনের স্তনকে সম্পুর্ন উত্তোলন এবং চেপে রাখতে সক্ষম তা নারীর অস্বস্তির সাথে সাথে স্তনের আকার/গঠনপরিবর্তন প্রতিহত করে।

স্তনের আকার ব্যপারে সাবধানতা

স্তনের আকার/গঠনে যেকোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং স্তনবোঁটার স্থান, আকার কিংবা গঠন পরিবর্তন হয়তো অন্যকোন কঠিন সমস্যার পুর্বাভাস হতে পারে। আপনার উচিত স্তনের মাসিক স্ব-পর্যবেক্ষন করা। যেকোন হঠাৎ পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করুন। আপনার স্তনের আকার সম্পর্কে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা আঁচ করলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বস্তি করবেন না। কারন লজ্জার কারনে সমস্যা প্রকটতা পেতে পারে।

স্তন ঝুলে যাওয়ার চিকিৎসা


স্তন ঢিলা হয়ে যাওয়া
কিছু ব্যয়াম, সঠিক আকারের ব্রা/অন্তঃবাস পরিধানের পাশাপাশি ঝুলে যাওয়া স্তন সুঢৌল করার একমাত্র উপায় হলো কসমেটিক সার্জারী। ব্রেষ্ট লিপ্টিং এবং স্তন বর্ধন সার্জারী নির্দিষ্ট মাত্রায় ঝুলে যাওয়া স্তনে কিছুটা উন্নতি আনতে পারে। তবে সার্জারীর মানে এই নয়যে সার্জারীকৃত স্তন আর কখনো ঝল/ঢিলে হবেনা। মধ্যাকর্ষন স্তনের পেশীকলায় পুর্বের ন্যায় প্রভাব ফেলতে পারে – তাই সার্জারীর এই ফলাফল ক্ষনস্থায়ী এবং স্বাভাবিক।
  
সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

নারীর অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়া

আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো মেয়েদের হাঁচি-কাশির সঙ্গে বেগ ছাড়াই অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়ার সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স’। বাংলাদেশের মেয়েদের কত শতাংশ এ সমস্যায় ভুগছে তার সঠিক পরিসংখ্যান না জানা থাকলেও হাসপাতালে এবং ব্যক্তিগত চেম্বারের অভিজ্ঞতা থেকে অনুমেয় যে এ সংখ্যা একেবারে কম নয়। চিরকালীন স্বভাবজাত লজ্জায় আমাদের মেয়েরা যতক্ষণ পারেন সহ্য করেন, আর যেহেতু এটা জীবন সংহারী কোনো অসুখ নয়, তাই সহজে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হন না। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবনযাপনের মান নেমে আসতে থাকে।

নারীর অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়া

 

স্বাভাবিক অবস্থায় যত প্রবল কাশি আর যত জোরেই হাঁচি আসুক না কেন, কখনো প্রস্রাব বেরিয়ে যাবে না। প্রস্রাবের বেগ চাপলেও মানুষ যথাযথ সুযোগ এবং স্থান না পেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে। কিন্তু যারা ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সে ভুগছেন, তাঁদের হাঁচি, কাশি বা হাসির সঙ্গে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, যার ওপর নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। প্রাথমিক অবস্থায় প্রচণ্ড হাঁচি বা প্রবল কাশির সঙ্গে হঠাত্ করে সামান্য প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, কিন্তু বয়স এবং অসুখের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সামান্য হাঁচি, কাশি বা হাসিতেই প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে। অবস্থার আরও অবনতি হলে শারীরিক অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে, যেমন—বসা থেকে দাঁড়াতে গেলে, কোনো ভারী জিনিস তুলতে গেলেই প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে, এমনকি অনেক সময় যৌনমিলনের সময়ও প্রস্রাব নির্গত হতে পারে। এ সমস্যা জীবন সংশয়ী নয়, কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

যত্রতত্র হঠাত্ করে কোনো পূর্ব সতর্কীকরণ ছাড়া প্রস্রাব বের হওয়ার ফলে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য বারবার কাপড় বদলাতে হয়। সমস্যা আরও বেড়ে গেলে অনেককে নিয়মিত স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে হয়। নিয়মিত নামাজ পড়া বা অন্য ধর্মীয় কাজে বিঘ্ন ঘটে। এ ছাড়া প্রস্রাব দিয়ে ভেজা থাকার জন্য যৌনিপথের আশপাশে ছত্রাক সংক্রমণ ও ঘা হতে পারে। প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে অনেকে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে যাওয়া ছেড়ে দেন। একপর্যায়ে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে এবং রোগী বিষণ্ন্নতায় ভুগতে থাকেন। যৌনমিলনের সময় অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব বের হলে তা স্বামী-স্ত্রীর যৌনজীবনে অস্থিরতা ও উত্কণ্ঠা তৈরি করে। যাঁরা নিয়মিত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করেন, এ সমস্যায় তাঁদের ক্রীড়ানৈপুণ্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের সঙ্গে প্রস্রাবের অন্যান্য সমস্যা যেমন, বেগ এলে প্রবল তাড়া অনুভব এবং মূত্র ত্যাগে বিলম্বিত করতে না পারা, কিংবা টয়লেটে পৌঁছানোর আগেই কাপড়ে প্রস্রাব হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।


স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের চিকিৎসায় যাওয়ার আগে এ সমস্যায় যেসব বিষয়কে ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়, তা একটু জানা যাক। স্থায়ী ঋতুস্রাব বা মেনোপজের ফলে অথবা অন্য কোনো কারণে শরীরে ইস্ট্রোজেন নামের হরমোন কমে যাওয়ার জন্য বা যোনিপথে প্রস্রাব বিশেষ করে বিলম্বিত কষ্টকর প্রস্রব এবং যেসব প্রস্রবে ফরসেপস ব্যবহার করা হয় সে ধরনের প্রসবের কারণে, মূত্রাশয় এবং মূত্রনালির স্বাভাবিক অবস্থান রক্ষায় যেসব পেশি কাজ করে সেগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে হঠাত্ হাঁচি, কাশি বা হাসির দমকে মূত্রাশয় ও মূত্রনালির সংযোগস্থল তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নেমে আসে এবং প্রস্রাবের বেগ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সামান্য প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি (ক্রনিক) কাশি বা হাঁপানি, কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, ধূমপান ইত্যাদি ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া কিছু কিছু ওষুধ যেমন, কাশি বা অ্যালার্জির জন্য ব্যবহূত ওষুধ, মানসিক রোগের কিছু ওষুধ, প্রস্রাব হওয়ার ওষুধ ইত্যাদির কারণেও স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স বেড়ে যেতে পারে।
ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের চিকিৎসা নির্ভর করে প্রস্রাব নির্গত হওয়ার মাত্রা এবং এর তীব্রতার ওপর। প্রাথমিক অবস্থায় বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই শুধু রোগের ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার পর রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীর জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়, যেমন—ধূমপান পরিহার করা, অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু শতকরা পাঁচ ভাগ ওজন কমাতে পারলে স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের ৫০ শতাংশ উন্নতি ঘটে। এ ছাড়া প্রস্রাবের পরিমাণ এবং আবহাওয়ার উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে পরিমিত পানি পান (কখনোই অতিরিক্ত নয়), যেসব পানীয়তে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়, যেমন—চা, কফি, কিছু ফলের রস, বিভিন্ন কোমল পানীয় ইত্যাদি পান করা কমিয়ে দিতে হবে। সাধারণত জীবনাচরণের এসব পরিবর্তনে প্রস্রাব লিকেজের মাত্রা কমে আসে।
এসবেও সমস্যার উন্নতি না হলে রোগীকে একটি ব্যায়াম শেখানো হয়, যেখানে রোগী তার মূত্রদ্বার, যোনিপথ এবং মলদ্বারের চারপাশের মাংসপেশিগুলো (পেরিনিয়াল মাংসপেশি) নিয়মিত বিরতিতে সংকোচন ও প্রসারণ করবে। এ ব্যায়ামের মাধ্যমে পেরিনিয়াল মাংসপেশিগুলোর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালির সহায়ক পরিপোষণকে শক্তিশালী করা হয়। কিন্তু সমস্যা একটাই, সঠিক নিয়মে সঠিক মাংসপেশির সংকোচন করা এবং একনাগাড়ে দীর্ঘদিন (অন্তত টানা ছয় মাস) চালিয়ে যাওয়া একটু কষ্টকর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধু এ ব্যায়ামেই শতকরা ষাট থেকে সত্তর ভাগ উন্নতি হয়।
যেসব রোগীর অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব বের হওয়ার মাত্রা অনেক বেশি বা এর সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ থাকে, তাদের ইউরোডাইনামিক পরীক্ষার মাধ্যমে আরও মূল্যায়ন করে সমস্যার তীব্রতা নির্ণয় করা হয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসা প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ধরনের শল্যচিকিৎসার মধ্যে বর্তমানে উন্নত বিশ্বে যৌনিপথে সিনথেটিক টেপ স্থাপনের মাধ্যমে মূত্রনালিকে সহায়তা দেওয়া হয়। এতে হঠাৎ হাঁচি-কাশির সঙ্গে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালির সংযোগস্থল স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নেমে আসে না, ফলে নিয়ন্ত্রণহীন প্রস্রাব বেরিয়ে যায় না।
 সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels:

মেয়েদের প্রতি পুরুষের আসক্তিই নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ কারণ

মেনোপজের ক্ল্যাসিক্যাল সংজ্ঞাটি হলো- যৌন জীবনের ইতি এবং সুস্থ্য-সবল জীবযাপনে সংগ্রামের শুরু, যা নারীর কাছে গর্ভধারণে সক্ষমতা হারানোর বার্তা; এক রক্তিমপত্র।
নারীদের মেনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে চমকপ্রদ ব্যাখ্যা দিলেন এক বিজ্ঞানী। পুরুষের অপেক্ষাকৃত কম বয়েসী নারীর প্রতি আসক্তিই মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার আসল কারণ বলে গবেষণায় দেখিয়েছেন কানাডার অন্টারিওর ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ড. রমা সিং।

মেয়েদের প্রতি পুরুষের আসক্তিই নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ কারণ

সম্প্রতি পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের (PLOS) কম্পিউটেশনাল বায়োলজি জার্নালে এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেয়েছে। ড. রমা সিং এক বিবৃতিতে তাঁর গবেষণা সংশ্লিষ্ট ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। কম্পিউটেশনাল বায়োলজির ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা এক ধরনের কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরি করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে দেখানো হয়, কিভাবে একজন পুরুষের বিতৃষ্ণা তার সঙ্গিনীর ঋতুস্রাব ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়।
ড. সিং বলেন, মেনোপজ নারীর এক বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু কেউ-ই এর কারণের সন্তুষ্টিমূলক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার মূল তত্ত্বে বলা হয়, যে নারীদের সন্তানের জন্ম দিয়ে তাদের দেখভাল করার মতো বয়স পেরিয়ে গেছে, তাদের গর্ভধারণে এক প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা মেনোপজ। একই ধরনের আরেক তত্ত্বে বলা হয়, এটা ‘দাদি বা নানি’ ঘটিত প্রভাব। অর্থাৎ বয়স্ক নারীরা তাদের অনুজ প্রজন্মকে লালন-পালন করতে অক্ষম। তাই পরের প্রজন্মকে সুষ্ঠুভাবে গড়ে তুলতে মেনোপজ দেখা দেয়।

তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনবাদের বিশেষজ্ঞ ড. ম্যাক্সওয়েল বার্টন-চেলো ভিন্ন মত পোষণ করে জানালেন, এ গবেষণায় বলা হচ্ছে- একজন নারীর প্রতি তার সঙ্গীয় পুরুষের আসক্তির লোপই মেনোপজের কারণ। তবে এর উল্টোটাই হয়তো সত্যি। অর্থাৎ বয়সের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই পুরুষরা ওই নারীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কম বয়েসী নারীর প্রতি পুরুষরা আসক্ত হয়, কারণ যুবতী মেয়েরা বেশি উৎপাদনক্ষম। কিন্তু এই নতুন গবেষণায় যুবতীদের প্রতি পুরুষের আসক্তির কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। মূলত ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তত্ত্বটি হলো- এটি নারীদের এক জৈবিক বিবর্তন। কারো মেনোপজ হওয়া মানে হলো- এই নারীর আর বংশবিস্তারের প্রয়োজন নেই।

ঋতুস্রাব

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, ঋতুস্রাবের ধারাবাহিক ১২ মাসের একটি সময় মেনোপজ, যার মাধ্যমে নারীদের গর্ভধারণের অক্ষমতা প্রকাশ পায়।

ড. সিং জানালেন, দেখা গেছে, ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও বহু নারী চমৎকার যৌনজীবন উপভোগ করছেন। মেনোপজের পর সুস্থ্য জীবনের জন্য নানা সফল গবেষণা হয়েছে। এক সময় ঋতু বন্ধের পর নারীদের ক্যান্সার ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু বর্তমানে হরমোন ও পুষ্টি উপাদান থেরাপি প্রয়োগ করে নারীদের নিশ্চিত সুস্থ্য জীবন ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে মেনোপজের কয়েকটি বাজে লক্ষণ হলো- ঘুমে বেঘাত, দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, দুর্বলতা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা এবং এমনকি জ্ঞান হারানো।
তবে সবার শেষে ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটসের নৃবিজ্ঞানী লিনিটে লেইডি সিভার্ত বললেন, নতুন এই হাইপোথিসিস গ্রহণযোগ্য নয়। মেনোপজ ঘটার কারণ লুকিয়ে আছে মানুষ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভবগত ও জন্মগত বৈশিষ্ট্যের অপার রহস্যের মধ্যে।
কাজেই সিভার্তের মতে, নারীদের কেন ঋতুস্রাব বন্ধ হয়?- এই চির রহস্যময় প্রশ্নটির উত্তর ড. রমা সিংয়ের ব্যাখ্যা দেয় না এবং শেষ পর্যন্ত তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।


 সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম



Labels:

পুরুষের কাছ থেকে বিছানায় যা চান নারীরা

প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষদের কাছে যৌনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যৌনতা নিঃসন্দেহে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নারীর কাছেও। নারীও ঠিক ততটাই যৌন ইচ্ছা রাখেন ও যৌন সুখ উপভোগ করেন, যতটা একজন পুরুষ। কিন্তু হ্যাঁ, এমন কিছু বিষয় আছে যা নারীদের কাছে যৌনসুখের চাইতেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেবল যৌন সুখ নয়, নিজেদের একান্ত সম্পর্কে পছন্দের পুরুষের কাছ থেকে এই বিষয়গুলোও আশা করেন নারীরা। পুরুষের কাছ থেকে বিছানায় যা চান নারীরা এ নিয়ে এবারের আয়োজন।

পুরুষের কাছ থেকে বিছানায় যা চান নারীরা
ছোট্ট ছোট্ট আদর
মিষ্টি চুমু, ছোট্ট স্পর্শ, গভীর আলিঙ্গন ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নারীর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যৌনতার চাইতে। এই ব্যাপারগুলো প্রিয় পুরুষের প্রতি নারীর আগ্রহ ও ভালোবাসা বাড়িয়ে তোলে বহুগুণে।

অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকা
যৌন মিলনের পর গভীর আলিঙ্গনে পরস্পরকে জড়িয়ে শুয়ে থাকার ব্যাপারটি সব নারীই প্রচণ্ড পছন্দ করেন। এটা তাঁদের কাছে ভালোবাসার প্রকাশ। যদিও অধিকাংশ পুরুষ এই কাজটি করেন না। যৌন মিলনের প্রায় সাথে সাথেই পুরুষের মনযোগ অন্যদিকে চলে যায়।

প্রশংসা
নারীর প্রিয় পুরুষের চোখে নিজের জন্য প্রশংসা দেখতে ভালোবাসেন, তাঁর মুখে নিজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। বিশেষ করে একান্ত মুহূর্তে আবেগঘন প্রশংসা নারীদের খুবই প্রিয়।

বিশেষ মুহূর্তের “ভালোবাসি”
যৌন মিলনের সেই একান্ত মুহূর্তে মৌখিক ভালোবাসার প্রকাশ নারীর কাছে যৌন সুখের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। সেই বিশেষ মুহূর্তের একটি “ভালোবাসি” সম্পর্ককে মজবুত করে তোলে ভীষণ।

নিজেদের কিছু বিশেষ ব্যাপার
প্রত্যেক দম্পতির সম্পর্কেই বিশেষ কিছু ব্যাপার থাকে, যে ব্যাপারগুলো একান্ত তাঁদের নিজের। মজার খুনসুটি, মজার কোন ইঙ্গিত ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নারীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হাত ধরে থাকা
 প্রিয় পুরুষের হাতে হাত রেখে সময় কাটানো নারদের কাছে যৌন সুখের চাইতেও অনেক বেশি প্রিয় ও আকাঙ্ক্ষার।

মিষ্টি উপহার
একান্ত মুহূর্তে নারীরা উপহার পেতে খুব ভালোবাসেন। একটি ফুল, হয়তো একটি নূপুর, চকলেট ইত্যাদি ছোট্ট জিনিস মাঝে মাঝেই উপহার দিন সঙ্গিনীকে। আর দেখুন, তিনি কি ভীষণ খুশি হয়ে উঠছেন। 

বুকে টেনে নেয়া
পছন্দের নারীকে কারণে অকারণে বুকে টেনে নিন। এই ব্যাপারটি মেয়েরা ভীষণ ভালোবাসেন, নিজেকে নিরাপদ বোধ করেন।

সূত্র:হেল্থ বাংলা ডট কম

Labels: