Thursday, January 9, 2014

ব্যায়ামের পর খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা।



সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করলেও যদি খাদ্যাভ্যাস ঠিক না থাকে তাহলে পুরোটাই পণ্ডশ্রম হয়ে যায়। 

বিশেষত ব্যায়ামের পরপর খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ কিছু নির্দেশনাএ সময় কার্বোহাইড্রেট, পানি, গ্লুকোজ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া গেলেও নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে যেতে হয়যেমন পনির, গরুর মাংস ও সসেজে রয়েছে পরিশুদ্ধ চর্বি ও লবণ, যা ব্যায়ামের পর খেলে ব্যায়ামের কোনো সুফল পাওয়া যায় না

সিরিয়াল ও সাদা পাউরুটিতে যে চিনি রয়েছে তা ব্যায়ামের পর খাওয়া ক্ষতিকরতবে অল্প পরিমাণে শস্যের রুটি খাওয়া যেতে পারেফলের রসে যে চিনি থাকে তা রক্তের সুগার বাড়িয়ে দেয়তাই ব্যয়ামের পর ফলের রসের পরিবর্তে ভেষজ চা বা ডাবের পানি খাওয়াটা বেশি স্বাস্থ্যকর। 

ডিমের প্রোটিন হার্টের সুস্থতায় কাজে আসেব্যায়াম শেষে ভাজা বা রান্না করা ডিম না খেয়ে সিদ্ধ করে খেতে হবেকাঁচা শাকসবজি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর হলেও এর হাই প্রোটিনের কারণে শরীর মেটাবলিজমের ভারসাম্য হারায়তবে ব্যায়াম শেষে কাঁচা সবজির পরিবর্তে রান্না করা সবজি খেতে পারেন

Labels:

সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত কফি খেলে বেশি কার্যকর।



আমাদের দিনের শুরুর ক্লান্তি, ম্যাজমেজে ভাব, বিষন্নতা সবকিছু দূর করতে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ কফি বেশ কার্যকর।
প্রতিদিন সকালে এক কাপ কফি আমাদের জন্য সারাদিনের পেট্রোলের কাজ করে। কিন্তু একদল গবেষক এবার সেই কফি খাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিলেন। তাদের দাবি, সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত কফি খেলে তা সাধারণ সময়ের চাইতে অনেক বেশি কার্যকর। 

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব দ্য হেলথ অ্যান্ড সাইন্স-এর স্নায়ুবিশেষজ্ঞ স্টিফেন মিলার দেহের ওপর ক্যাফেইনের প্রভাবের বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা চালান।তার ভাষ্যমতে, হরমনের কর্টিসল কম থাকাকালে ক্যাফেইনের কার্যকারিতা ভালো হয়। কারণ ক্যাফেইনের সাথে দেহের হরমনের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া হয়। 


সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত মানুষের দেহে কর্টিসলের স্তর অনেক উঁচুতে থাকে। ফলাফল হিসেবে ক্যাফেইন মানবদেহে কার্যকারিতা আনতে ব্যর্থ হয়। ঘুম থেকে ওঠের পরপরই মূলত মানবদেহে কর্টিসলের পরিমাণ বেশি থাকে।কিন্তু দিনের কাজ শুরুর সাথে সাথে কর্টিসলের পরিমাণটা ধীরে ধীরে কমে আসে। আবার দুপুর থেকে বিকেলের দিকে গড়াতে থাকা দিনেও মানুষের কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়।দিনের শুরুতে কর্টিসলের মাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। 


কারণ মানবদেহ যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর ধীরে ধীরে সতর্ক হতে থাকে তখনই কর্টিসল বৃদ্ধি পায়। তাই এ সময় কফি উপস্থিত ক্যাফেইন যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে না। স্বভাবতই প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি কফি পানে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি।

Labels:

যে কারণে নিয়মিত ব্যায়াম করবেন



ব্যায়ামের কোন নেতিবাচক দিক নেই স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বরাবরই বিষয়টা প্রমাণ করেছেনকেন আপনি ব্যায়াম করবেন

নিচে ৫টি বিশেষ কারণ উল্লেখ করা হলো, যা আপনাকে ব্যায়ামের প্রতি উসাহিত করবে :


আত্মবিশ্বাস বাড়ায়: যারা ব্যায়ামের একটি রুটিন অনুসরণ করেন, তারা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ীগবেষণায় দেখা গেছে, যারা ব্যায়াম করা শুরু করেছেন, তাদের আত্মবিশ্বাসের স্তরটাও ধীরে ধীরে বাড়তে আরম্ভ করেছেসামান্য শরীরচর্চাতেও তারা উপকার পেয়েছেন

সুস্বাস্থ্যের জন্য: ব্যায়াম শুধু দৃঢ় শারীরিক ও মানসিক গঠনের মূলে রয়েছে, তা নয়এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে

মুড ভালো রাখে: যাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ-উকণ্ঠা বা হতাশায় ভোগার প্রবণতা বেশি, ব্যায়ামের পর তারা অনেক ভালো ও হালকা অনুভব করেনমানসিক চাপমুক্ত থাকতে সহায়তা করে ব্যায়াম 


কর্মক্ষমতা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়ায়: নিয়মিত শরীরচর্চার ফলে কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়অল্প সময়েও বড় কোন কাজ সমাধা করার সক্ষমতা তৈরি হয়কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়ে



ব্যক্তিগত সম্পর্কোন্নয়নে: শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে আরও ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনধৈর্য বাড়ার ফলে আপনার নিজের সমস্যাগুলোর পাশাপাশি পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সমস্যাগুলোও সহজেই সমাধান করার আগ্রহ এবং সক্ষমতা সৃষ্টি হয়

Labels:

রাতে ভালো ঘুম আসে যে সব খাবার খেলে





রাতে ভালো ঘুম না হলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পরেপুরো দিনটাই বরবাদ হয়ে যায়দিনের বিভিন্ন সময় একটু-আধটু অনিদ্রায় ভোগেননি এমন লোকের সংখ্যা খুবেই কমতবে খাবার খেয়েই এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যায়কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে রাতে ভালো ঘুম আসেআসুন জেনে নেই ভালো ঘুমের জন্য কি খাবেন-

 কলা : গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ঘুমের আগে কলা খেলে ভালো ঘুম হয়এমনকি রাতে হেঁচকি ও দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে নাকলায় আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, মিনারেল যেটা শরীরকে প্রশান্ত করেফলে রাতে ভালো ঘুম হয়তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্লিপিং পিল না খেয়ে একটি কলা খান
 

চেরি : খাদ্য ও পুষ্টি গবেষকগণ গবেষণায় দেখেছেন চেরিতে আছে মেলাটোনিনযা কিনা ঘুম আসতে সাহায্য করে যাদের অনিদ্রা রোগ রয়েছে তাদের জন্য আদর্শ খাবার চেরিতাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে টপাটপ গোটাকয় চেরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন
 

তিসির বীজ : তিসির বীজে রয়েছে উচ্চমাত্রার সেরোটোনিন ও ওমেগা-৩ যা কিনা ঘুম উদ্রেককারীওমেগা-৩ মানসিক চাপ ও চিন্তামুক্ত করে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করেযাদের অনিদ্রা আছে তারা রাতে ঘুমানোর আগে তিসির বীজ দিয়ে সরবত বানিয়ে খেতে পারেন
 

দুগ্ধজাত খাবার : গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাদের ঘুমের সমস্যা হয়তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ কিংবা এক কাপ দই খেয়ে ঘুমাতে যান
 

যব : যব ট্রাইপোটোফ্যানের ভালো উ ট্রাইপোটোফ্যান শরীরকে প্রশান্ত করে ভালো ঘুম আসতে সাহায্য করেতাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এক বাটি যব খানএরপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ুন

Labels:

হাইপ্রেশার…..





বাবা-মা দু-জনের হাই প্রেশার থাকলে সন্তানের হওয়ার আশঙ্কা ৬৫-৭০ শতাংশ৷ একজনের থাকলে ৩০-৪০ শতাংশ৷
বংশে হাইপ্রেশার থাকলে ওবেসিটি, ধূমপান, স্ট্রেস, ভুলভাল খাওয়া, শুয়ে-বসে থাকার অভ্যেস থেকে রোগের সূত্রপাত হতে পারে৷
হাইপ্রেশারে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৫-৬ জনের রক্তচাপ বাড়ে কিছু অসুখে৷ যেমন কিডনি বা এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ডের অসুখ, হাইপার ক্যালসিমিয়া, পরফাইরিয়া, কোয়ার্কটেশন অফ এওরটা ইত্যাদি৷


কিছু মহিলার প্রেশার বাড়ে গর্ভাবস্থায়৷
উপসর্গঅনেক সময় বোঝা যায় না৷ অন্য কারণে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে জানা যায়৷ মূলত এই কারণেই যত মানুষ হাইপ্রেশারে ভোগেন, তার মধ্যে কম করে ৫০ শতাংশ কোনও দিনই জানতে পারেন না যে তাদের সমস্যা আছে৷ স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে পর্যন্ত রোগ ধরা পড়ে না৷ কিডনিও তলে তলে খারাপ হতে শুরু করে৷ ভাগ্যবানদের কিছু উপসর্গ হয়, যা রক্তচাপ বাড়া ছাড়া অন্য কারণেও হতে পারে৷ যেমন, ১) মাথাব্যথা, বিশেষ করে মাথার পিছনে৷ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যথা শুরু হয়৷ দু-চার ঘণ্টা পরে কমে৷ ২) মাথাঘোরা, ৩) বুক ধড়ফড় ৪) মনোযোগের অভাব, ৫) ক্লান্তি, ৬) হাঁপ ধরা, ৭) মাংসপেশির দুর্বসতা, ৮) পা ফোলা, ৯) বুকব্যথা, ১০) নাক দিয়ে রক্ত৷

চিকিসা

মাঝারি এবং মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেতে হয় সঙ্গে জীবনযাত্রার নিয়ন্ত্রণ৷ মৃদু উচ্চ রক্তচাপে দ্বিমত আছে৷ কিছুক্ষেত্রে ওষুধ লাগে না৷ নিয়ম মেনে চললেই অবস্থা আয়ত্তে আসে৷কয়েক রকম ওষুধ দিয়ে চিকিসা হয়৷ যেমন-

১) ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, এসিই ইনহিবিটার, এআরবি এবং ডাইইউরেটিক দেয়া যায় যেকোনো ধরণের হাইপ্রেশারেই৷ তবে কমবয়সীদের ক্ষেত্রে এসিই ইনহিবিটার ও এআরবি ভালো কাজ করে বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এবং ডাইইউরেটিক৷

২) বয়স্ক মানুষের যদি ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর, হালকা কিডনির অসুখ থাকে এসিই ইনহিবিটার এবং এআরবি জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করে৷ গর্ভবস্থায় এই ওষুধ দেওয়া যায় না৷

৩) রেজিস্ট্যান্ট ব্লাড প্রেশারে অন্য ওষুধের সঙ্গে আলফা ব্লকার বা অ্যালডোস্টেরন অ্যান্টাগনিস্ট দিলে ভালো কাজ হয়৷ বিটা ব্লকারও দেয়া হয়৷ তবে সাধারণভাবে এই ওষুধ ইস্কিমিয়া থাকলেই দেওয়া হয় বেশি৷ হাইপ্রেশারের সঙ্গে হার্ট ফেলিওর থাকলে অ্যালডোস্টেরন অ্যান্টাগনিস্ট ভালো কাজ করে৷

জীবনযাপনের নিয়ম
ওজন ঠিক রাখা৷
হালকা ব্যায়াম করা৷ দু-তিন কিলোমিটার টানা হাঁটলেও কাজ হয়
পাতে নুন বন্ধ৷ রান্নায় কম নুন ব্যবহার করা৷ এবং যে খাবারে নুন বেশি আছে যেন ফাস্টফুড, আচার, সসেজ, পাঁপড়ি, মুড়ি খাওয়া কমানো৷ যে খাবারে ওজন এবং কোলেস্টেরল বাড়ে, যেমন মিষ্টি আলু, ঘি, মাখন, ডালডা, ডিমের কুসুম, পাঁঠার মাংস, ভাজাভুজি, তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়া৷
মানসিক চাপ, টানাপোড়েন এড়িয়ে বাঁচতে শেখা৷
তামাকের নেশা ছেড়ে দেয়া
ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা৷ মাসে অন্তত দু-বার রক্তচাপ মাপা৷
প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়া৷ সাইড এফেক্ট হলে ডাক্তারকে জানানো৷
অন্য ওষুধ শুরু করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা৷
সারাজীবন ওষুধ খেতে হবে, নিয়ম মানতে হবে সেই মানসিক প্রস্ত্ততি৷


কী কী করা যাবে না
খুব বেশি রাগারাগি, চেঁচামেচি নয়৷
আগেকার দিনে ভালো ওষুধ ছিল না৷ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দুধ, ছানা, ছোট মাছ, পেঁয়াজ বেশি করে খেতে হত৷ এখনও অনেকে সেই নিয়ম মেনে চলেন৷ এ সমস্ত খাবার খেতে পারেন, কিন্ত্ত ওষুধের বদলে নয়৷
গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বাড়া মা-বাচ্চা দুইয়ের জন্যই বিপজ্জনক৷ কাজেই সমস্যা হলে ডাক্তার দেখান৷ বাচ্চা জন্মানোর পরও ফলোআপ চালিয়ে যাবেন৷ কারণ কিছু মহিলার ক্ষেত্রে পরবর্তীকালেও সমস্যা থেকে যায়৷



চিকিসা না করালে
রোগ পুষে রাখলে ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ থেকে শুরু করে হার্ট ফেলিওর, স্ট্রোক, ব্রেন ইডিমা, পায়ে গ্যাংগ্রিন, পায়ে স্ট্রোক, কিডনি ফেলিওর, চোখের রেটিনার সমস্যা, চোখে থ্রম্বোসিস থেকে হেমারেজ সব কিছু হতে পারে৷ অতএব মাঝে মাঝেই রক্তচাপ মাপুন৷

সূত্র: অনলাইন ইওর হেলথ.......................!

Labels:

ন্যাপকিনে ঝুঁকি



বর্তমান সময়ে বাইরে বেড়ানো, কর্মস্থলে থাকা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে যাওয়া, এবং আরো অনেক বৈষয়িক কাজে নারীদের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে গেছে। যেখানেই থাকুন না কেন নারীদের পিরিয়ডকালীন সময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনই একমাত্র ভরসা।
তবে একটু সতর্ক আর সচেতন না হলে কিন্তু এই স্যানিটারি ন্যাপকিনই হতে পারে মৃত্যুর কারণও! আধুনিক নারীদের ক্ষেত্রে এই সতর্কতা আরো জরুরি।

কারণ বিশ্বব্যাপী ৭৫% নারীই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে গোপনাঙ্গে চুলকানি, র‍্যাশ ও ব্যথা বোধ করেন আর অধিকাংশই হয়ে থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের কারণে।
কেননা এগুলোতে বাতাস চলাচলের বা জীবাণুমুক্ত করার উপায় থাকে না বলে এটি স্বাস্থ্যের জন্যে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এ থেকে হতে পারেমূত্রথলি বা জরায়ূর ক্যান্সারও!
আসুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ হতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্বাস্থ্যঝুঁকিঃ

১) এই ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় dioxin নামক কেমিকেল, US Environmental Protection Agency এর গবেষণা মতে যা সরাসরি ক্যান্সারের জন্য দায়ী এবং জরায়ুর নানা ধরনের সংক্রমণের জন্যেও দায়ী।

২) এছাড়াও ১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এই ডায়োক্সিনসন্তাণ ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরনের রোগের পেছনেও দায়ী। ছোট মাছ বা প্রানীকে সরাসরি ৩৮ পিকিউডি ডায়োক্সিন প্রয়োগ করলেই সেটি মারা যাবে। কিন্তু প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি।

৩) এতে জীবাণু নাশক নেই, তাই এটি সহজেই হাতের ছোঁয়া বা প্রস্তুতকালীন সময়ে ব্যাক্টেরিয়া আক্রান্ত হতে পারে। ১৮৭ সালের একটি গবেষণায় একটি প্যাডেই ১১০০ জীবানু পাওয়া দিয়েছিল। যা আন্তর্জাতিক সুরক্ষামানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

৪) দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয় যে ন্যাপকিন গুলো, সেগুলো রক্তকেজেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরুকরে। আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরনের জরায়ুর সংক্রমণ, লাল র‍্যাশ সহচুলকানী হতে পারে।

৫) প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয় ও এ থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

৬) প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকেরক্ষতি হতে পারে।

অবশ্যই করণীয়ঃ

যে কোম্পানির ন্যাপকিনই ব্যবহার করুন না কেন, চেষ্টা করুন, তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার। তুলোর তৈরি ন্যাপকিন বেছে নিন ও ৫ ঘণ্ট পর পর বদলে নিন। সুস্থ থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।

সূত্র: অনলাইন ইওর হেলথ

Labels:

‘সুন্দরী নারী ‘পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে !


সম্প্রতি স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণার বরাত দিয়ে উইমেন্স নিউজ জানিয়েছে, সুন্দরী নারীর সঙ্গ লাভ কিংবা সুন্দরী নারীকে জীবন সঙ্গী করলে পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে।

 সুন্দরী নারীর প্রতি আকর্ষণ বা পছন্দ নাই এমন পুরুষ খুবই কম। আর মুখের ওপর স্বীকার না করলেও সুন্দরীদের দিকে নারীরাও চেয়ে থাকেন অপলক। কিন্তু চামড়া-চেহারায় সুন্দরীদের কাছ থেকে পুরুষদের এখন বেশ সতর্ক হতে হবে। সতর্ক না হলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, এমনি আভাস দিলেন বিজ্ঞানীরা। পুরুষের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক যে চাপ তৈরি করে করটিসল নামের একটি হরমোন। ওই গবেষণায় জানা গেছে, সুন্দরী নারীর সাথে সাক্ষাতের পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরুষদের করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। 
no-health-insurance-first-aid-kit যেসব পুরুষ সাক্ষাত পাওয়া সুন্দরী নারীদের নিজেদের নাগালের বাইরে বলে মনে করেন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া আরো বেশি হয়। এতে পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ৮৪ জন ছেলে শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা চালান। একটি কক্ষে দুজন করে ছাত্রকে সুডোকু মেলাতে বলা হয়। কক্ষটিতে তাদের সঙ্গে একজন সুন্দরী তরুণী এবং একজন তরুণকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাঠানো হয়। এ দুজনই ছাত্রদের নিকট ছিল অপরিচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন মেয়েটি স্বেচ্ছাসেবক ছেলেটিকে রেখে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায় তখন ওই দুই ছাত্রের করটিসল মাত্রা স্থির ছিল। কিন্তু ছেলেটি যখন তরুণীকে রেখে বের হয় তখন ছাত্র দুজনের করটিসল বৃদ্ধি পেতে থাকে।

 গবেষণাটি থেকে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, কোনো সুন্দরী ও মোহনীয় নারীর কাছাকাছি এলে অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ এসেছে এমন ধারণার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকর্ষণীয় নারীদের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতেই পুরুষদেহে করটিসল বেড়ে যেতে পারে। অল্প মাত্রায় বাড়লে করটিসল সতর্কতা সৃষ্টির মতো কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সূত্র: অনলাইন ইওর হেলথ

Labels:

বাঁধাকপি: হাড়ের ব্যথা দূর করে, তারুণ্য ধরে রাখে




শীতের সবজি হিসাবে বাঁধাকপির জুড়ি নেইদামেও এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেশত শত বছর আগে থেকে এটি সবজি হিসাবে খাওয়া হয়এটি যেমন সহজলভ্য, দামেও সস্তাবাঁধাকপির গুণের যেন শেষ নেইঅনেক পুষ্টিগুণের সমাহার এই বাঁধাকপিসবজিটি ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার, ফসফরাসসহ প্রয়োজনীয় সব খাদ্য উপাদানে ভরপুরএতে আছে টারটারিক অ্যাসিডচিনি ও শর্করা রূপান্ত হয়ে শরীরে যে চর্বি জমে, টারটারিক অ্যাসিড এই চর্বি জমতে বাধা দেয়তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বাঁধাকপি রাখুনযাঁদের প্রায় মাথা ধরে, তাঁরা প্রতিদিন অন্তত একবেলা বাঁধাকপি খান তাহলে মাথাব্যথা দূর হবেবাঁধাকপির আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণহাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা প্রশমনেও তাই বাঁধাকপি জুড়ি নেইবাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিনগুলো শরীরের রক্তনালিগুলোকে সবল ও শক্তিশালী রাখেএ জন্য মুখে বয়সের ছাপ পড়ে খুব ধীরে

এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রনতাই যাঁদের রক্তস্বল্পতা আছে, বাঁধাকপি তাঁর জন্য অবশ্য খাদ্যসব ধরনের ত্বকের সুরক্ষা দেয় বাঁধাকপিএকদিকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, তেমনি ত্বকের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে

Labels:

জেনে নিন ব্যায়ামের সঠিক সময়





আপনার ব্যায়ামের সঠিক সময় কোনটি তা নির্বাচন করতে হবে আপনার প্রতিদিনের কাজের রুটিন মাথায় রেখে। ভোরবেলা কিংবা দুপুরবেলা, বিকাল কিংবা সন্ধ্যা যে সময়ই ব্যায়াম করুন না কেন সময়ভেদে ব্যায়ামের ধরনে আসবে কিছু পরিবর্তন-
ভোরবেলা:

১) যেহেতু ব্যায়াম করার সময় শরীরে যথেষ্ট পজিটিভ এনার্জি রাখতে হবেসেই সাথে মনঃসংযোগ করতে হবে, সে কারনে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করা শুরু করবেন না

২) ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরটাকে একটিভ হওয়ার জন্য অন্তত তিন ঘন্টা সময় দিনশরীরের এনার্জি লেভেল স্বাভাবিক অবস্থায় পৌছালে তবেই ব্যায়াম করা শুরু করবেন


৩) সময়ের অভাবে যদি ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার আধ ঘন্টা পরই শরীরচর্চা করতে হয় তাহলে হালকা জগিং করতে পারেনহালকা করে ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ ও হাঁটাচলা করতে পারেন


৪) ভোরবেলা ব্যায়াম করার পরিকল্পনা থাকলে আগের দিনের সব কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যান৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর পর নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করে ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেনযদি কোন দিন ঘুমাতে যেতে দেরি হয়ে যায় তবে ঘুম থেকে উঠেই আগের নিয়মের নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম শুরু করবেন নাএতে আপনার শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে

দিনের বেলা:
১) দিনের বেলা ঘুম থেকে উঠার ৬ ঘন্টা পর এবং ১২ ঘন্টার মধ্যের সময়টুকু সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যায়ামের পক্ষেআপনি যদি সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠেন তবে দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে সময়টুকু ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময়এ সময়ের মধ্যে যে কোন সময়কে বেছে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় ব্যায়ামটুকু করতে
২) দুপুরের খাবার গ্রহনের পর কমপক্ষে দুই ঘন্টা পরে ব্যায়াম শুরু করতে পারেনএর আগে কখনোই ব্যায়াম করবেন নাআপনার শরীরের অবস্থা অনুযায়ী সময় নির্ধারন করাটা ভালোএজন্য কোন অভিঙ্গ ফিটনেস এক্সপার্টের পরামর্শ নিতে পারেন
৩) প্রতিদিন যদি আপনার রুটিনে দুই ঘন্টা ব্যায়াম করার সিডিউল বা ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই সে সময়টুকু দিনের বেলা ফেলবেনভারী কোন ব্যায়াম করার ফলে শরীরের অনেক অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রসারিত হয়ে থাকেএদের রিলাক্স করার জন্য বেশ সময়ের প্রয়োজনতাই দিনের যেকোন সময়কে বেছে নিতে পারেন

সন্ধ্যাবেলা:
১) অনেকে অফিস থেকে ফিরে আসেন এ সময়ে আবার অনেকে কিছুটা রাত করে ফেরেনবাসায় এসে ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে তবেই ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেনশরীরের কোন রকম কান্তিভাব থাকলে ব্যায়াম শুরু করবেন নাশরীরের কান্তিভাব আপনার মনঃসংযোগ দিতে বাঁধা দিবেতাই হালকা কিছু খেয়ে নিয়ে কান্তিভাব দুর করে ফেলুন

২) সন্ধ্যাবেলা শরীরচর্চার জন্য যোগব্যায়াম খুবই উপযোগীএই ব্যায়াম গুলো ধীরে ধীরে করতে হয় বলে শরীরের উপর তেমন কোন চাপ পড়ে নাএছাড়াও ট্রেডমিল, সাইকিং ব্যবহার করেও ব্যায়াম করতে পারেননিজের পছন্দ অনুযায়ী গতি বাড়িয়ে নিতে পারেনআর একটি ব্যায়াম করতে পারেন তাহলো মেডিটেশন১৫ মিনিট নিরিবিলি পরিবেশে মেডিটেশন করলে আপনার মন ও শরীর দুটোই শান্ত হয়ে যাবে।              

জেনে রাখুন:
১) ব্যায়ামের সঠিক সময়ের সঙ্গে খাওয়ার সময়ের সঠিক ভারসাম্য না থাকলে ব্যায়ামের সুফল পাওয়া যাবে নাসময় অনুযায়ী ব্যায়ামের ধরনও ভিন্ন হবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই রুটিন করে নিন


২) যদি কর্মব্যস্ততার কারনে সারাদিন কোন ব্যায়ামই করা না হয় তাহলে সেটা আপনার শরীর ও মনের জন্য ভালো নয়তাই ব্যায়াম একদমই না করার চেয়ে কিছু সময় করাটা অনেক ভালোতাই সময়ের সল্পতা থাকলে অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রতিদিন ব্যায়াম করুন



৩) ব্যায়াম করার পর শরীরের তাপমাত্রা, রক্ত চলাচল বেড়ে যায়এর ফলে শরীর অধিক কর্মক্ষম থাকে এবং শান্তভাব কেটে যায়তাই ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগেই ব্যায়াম করা উচিত নয়ঘুমাতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা হাতে নিয়ে ব্যায়াম করে নিতে পারেন

সূত্র: ফিজিওনিউজ 24

Labels: