Saturday, January 3, 2015

মাসিকের সময় করনীয়

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা আমাদের দেশে একটা কমন ব্যাপার। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই ব্যথা এড়িয়ে চলা যায়।

কোন বোতলে গরম পানি ভরে বা কাপড় গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক লাগাতে হবে। এটা সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন করে করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে।

অন্যরকম একটি পদ্ধুতি হলো আছেসিজবাথ। ৩ মিনিট গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট সিজ বাথ নিতে হবে। এটাও সপ্তাহে টানা ৩ /৪দিননিতে হবে। শুধু পানি বা পানিতে কিছু লবন, বেকিং সোডা বা ভিনেগারও ব্যবহার করা যায়।

আরেকটা পদ্ধতি আছে- কেজেল ব্যায়াম। এটাও খুব উপকারী। এগুলো করলে যোনি মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে, ব্যাথাও কমে যাবে।
 আমাদের দেশের অনেক মেয়েদেরই শারীরিক ফিটনেস ভালো নয় বলে এরকম সমস্যা বেশি হয়। তাই একে একে এই পদ্ধতিগুলোর কথা সবাইকে বলে দিন। একজন আরেকজনকে বলে দিন। এই অবাঞ্চিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকুক

Labels:

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন মহিলাদের একটি সাধারণ সমস্যা। আমাদের অন্ত্রে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তা মূত্রনালীতে কোনভাবে পৌছে এই ইনফেকশন ঘটিয়ে থাকে। চিকিৎসা না নিলে ইনফেকশন ব্লাডার ও কিডনীতেও ছড়াতে পারে।

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের কিছু লক্ষনঃ
 ১. অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ হয়া, আর হলেও অল্প পরিমানে বের হওয়া।
 ২. মূত্রত্যাগের সময় জ্বালাপোরা করা।
 ৩. পেট নরম ও ভারী অনুভূত হওয়া।
 ৪. পিছনের দিকে একপাশে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
 ৫. ঘোলাটে বা দুর্গন্ধযুক্ত মূত্র হওয়া। এই সবের পাশাপাশি জ্বর ও বমিভাব থাকতে পারে।

সঠিক চিকিৎসাঃ
 সাধারণত মুত্রের নমুনা নিয়ে কালচার করে মুত্রে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া সমন্ধে জেবে এন্টিবায়োটিক খেতে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা হিশেবে-
 ১. নিয়মিত প্রচুর পরিমানে পানি পান করুণ। এতে, প্রচুর পরিমানে মূত্র ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করে।
 ২. কিছু কিছু চিকিৎসকের মতে এসময়ে দৈনিক ৫০০ মি.গ্রাম ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত। তাই প্রচুর ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান। যেমন- কমলালেবু।
 ৩. দিনে এক কাপ করে আনারস খাওয়ার চেষ্টা করুণ। আনারসে থাকা ব্রোমেলেইন নামক এনজাইম দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে।
 ১) সাধারণত মূত্রের নমুনা নিয়ে কালচার করে মূত্রে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া সমন্ধে জেনে এন্টিবায়োটিক খেতে দেওয়া হয়।
 এর পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে-
 ১) প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে মূত্র, ব্যাক্টেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করবে।
 ২) কিছু কিছু চিকিৎসকের মতে, এসময় দৈনিক ৫০০ মিগ্রা ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত। তাই প্রচুর ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান (যেমন- কমলালেবু)।
 ৩) দিনে এক কাপ করে আনারস খান। আনারসে থাকা ব্রোমেলেইন নামক এনজাইম দ্রূত নিরাময়ে সহায়তা করে।
 ৪) যখন অনুভব করবেন যে আপনার ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হয়েছে, এক লিটার পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে আস্তে আস্তে খান। এটি মূত্রের এসিডিটি কমিয়ে জ্বালাপোড়া ভাব দূর করবে।

প্রতিরোধঃ
 ১. ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে সব সময় পরিমাণ অনুযায়ী পানি পান করবেন।
 ২. পরিচ্ছন্ন অন্তবাস ব্যাবহার করবেন।
 ৩. মুত্র ত্যাগের পর পিছন থেকে সামনে নয় বরং সামনে থেকে পিছনে হস্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে পরিষ্কার করবেন।

Labels:

কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকাল

কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালে তার বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। পরিবর্তন গুলোর মধ্যে বিশেষ হলো মেনার্ক বা মাসিকের সূত্রপাত। এই সময়ে কিছু কিছু কিশোরীদের মাসিকের সময় যন্ত্রণা দায়ক তলপেটে ব্যথা হয়। কেউ কেউ সহ্য করতে নাপেরে, বাহীরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সমস্যাটি প্রকট অবস্থায় থাকে।



লক্ষণঃ

 ১. কিশোরীর মাসিকের কিছুক্ষণ আগে থেকে তল পেতে ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে।

২. ব্যথাটি সাধারণত কোমরের উপরে অনুভব হবে।

৩. বমি বমি ভাব হতে পারে।

৪. খাওয়ার প্রতি অরুচি হবে।

৫. শরীরে দুর্বলতা অনুভব হবে।

৬. যন্ত্রণা দায়ক মাথা ব্যথা হতে পারে।

৭. খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি সংক্রামণ গুলো দেখা দিতে পারে।


 চিকিৎসাঃ

প্রথম অবস্থায় অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু, পরবর্তীতে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক কমে যেতে থাকে এবং বেশির ভাগ উপসর্গ কমে আসে। তাছাড়া সন্তান জন্ম দানের পর তা আর দেখা যায়না। এই সমস্যার জন্য বিশেষ কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে একটু সতর্ক থাকতে হবে। মূল অবস্থার সম্মুখীন হলে, কোন ভাবেই ভঙ্গে পরলে চলবেনা,নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি ব্যথা খারাপ দিক লক্ষণ করে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Labels:

পুরুষের স্বাস্থ্য সমস্যা ও সমাধান



যদি আপনি কখনো লক্ষ্য করেন আপনার মূত্রনালী দিয়ে রস নিঃসরণ হচ্ছে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যৌনবাহিত রোগে সংক্রামিত হয়েছেন। যদি তা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

মূত্রনালীর প্রদাহ
 মূত্রনালি প্রদাহ রোগটি সাধারণত যৌন সংক্রান্ত রোগ। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ইউরেথ্রাইটিস বলা হয়। এটা সব সময় যৌন সংক্রামণ দ্বারা ঘটে। তবে অনেক সময় তা নাও হতে পারে এবং এর সীমাবদ্ধ যৌন সম্পর্কের মধ্যেও ঘটতে পারে।

মূত্রনালীর প্রদাহের লক্ষণ
 ১. মাঝে মাঝে লিঙ্গের মুখ দিয়ে নিঃসরণ বা তরল পদার্থ বের হবে।
 ২. প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভব হবে।
 ৩. অনেকে আবার প্রস্রাবে ইনফেকশন বলে ভুল করতে পারেন।
 ৪. অথবা ঘন ঘন প্রস্রাব করার ইচ্ছা জাগতে পারে।
 ৫. সবার মধ্যে একই লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে।

চিকিৎসা
 ১. এটা কখনোই অবহেলা করবেন না। অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন, এমনকি আপনার উপসর্গ চলে গেলেও ডাক্তার দেখাবেন।
 ২. নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলোর মধ্যে রয়েছে নিঃসরণ পরীক্ষা ও প্রস্রাব পরীক্ষা, যা আপনার সংক্রমণের কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করবে।
 ৩. রোগের কারণ জানার পর, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা যেতে পারে।
 ৪. আপনার যৌন সঙ্গিনীকেও ডাক্তার দেখাতে হবে, এমনকি তার কোনো উপসর্গ না থাকলেও।
 ৫. আপনার ও আপনার যৌন সঙ্গিনীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকতে হবে।

Labels:

পুরুষের শ্যানক্রয়েড জনিত সমস্যা

শ্যানক্রয়েড সাধারণত পুরুষদের সংক্রামণ জনিত রোগ। এর ফলে যৌনাঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক ঘা হয়। যা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক এবং অসহনীয়। এটি ছোঁয়াচে রোগ নয় কিন্তু যৌন সংসর্গের মাধ্যমে শ্যানক্রয়েড একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।

শ্যানক্রয়েড রোগের কারণ ও লক্ষণঃ

 শ্যানক্রয়েড সাধারণত একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। ‘হিমোফাইলাস ডুকরে’ নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের ফলে এই রোগটি হয়ে থাকে। এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি প্রভাব দেখা যায়। যার কারনের সাথে যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দেরদের সম্পর্ক রয়েছে।খৎনা করানো পুরুষদের চেয়ে খৎনা না করানো পুরুষদের শ্যানক্রয়েডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বেশি। শ্যানক্রয়েডের রোগীদের এইডস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।নিম্নে এর কিছু লক্ষণ উপস্থাপন করা হলঃ
 ১. ঘাটি আকারে আকার ৩ থেকে ৫০ মি.মি. (১/৮ ইঞ্চি থেকে দু’ ইঞ্চি) হয়।
 ২. ক্ষতের কিনারাগুলো তীক্ষ্ণ এবং নিচের দিকে দাবানো হয়।
 ৩. গোড়া ধূসর কিংবা হলুদাভ ধূসর পদার্থ দিয়ে আবৃত থাকে।
 ৪. ব্যথাপূর্ণ হয়।
 ৫. সংক্রমিত প্রায় অর্ধেক পুরুষের কেবল একটি একক ঘা থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে চারটি বা তার বেশি ঘা দেখা যায়, সেইসাথে অল্প কিছু উপসর্গ থাকে। ঘাগুলো নির্দিষ্ট জায়গাতে হয় যেমন পুরুষের খৎনা না করানো লিঙ্গমুণ্ডুর করোনাল সালকাসে কিংবা মহিলাদের যোনির ক্ষুদ্র ওষ্ঠে।

সংক্রামণ জনিত স্থানঃ
 পুরুষ-
 ১. লিঙ্গের শরীর
 ২. লিঙ্গের মাথার পেছনের কাটা খাঁজ (করোনাল সালকাস)
 ৩. লিঙ্গের মাথার পেছনের কাটা খাঁজ (করোনাল সালকাস)
 মহিলাদের-
 ১. মহিলাদের সাধারণত ল্যাবিয়া মেজোরাতে ঘাটি দেখা যায়।
 ২. পায়ু এলাকা
 ৩. উরুর ভেতরের দিক।

 চিকিৎসা

 সাধারণত একক মাত্রায় মুখে অ্যাজিথ্রোমাইসিন অথবা মাংসপেশি পথে একক মাত্রায় সেফট্রায়াক্সন অথবা সাত দিন মুখে ইরাথ্রোমাইসিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে এর মাধ্যমে যদি কোনো সমাধান না পাওয়া যায়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Labels:

প্রোস্টেট জনিত সমস্যা

প্রোস্টেট জনিত সমস্যা এটি সাধারণত পুরুষদের যৌন সম্পর্কীয় রোগ। এর ফলে পুরুষদের প্রোস্টেট রস নিঃসৃত হয়ে যায়। যদি কোনো অবস্থায় এ রসের উপাদানে পরিবর্তন ঘটে কিংবা এর ক্ষরণ প্রতিহত হয় তাহলে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব ঘটতে পারে। এই গ্রন্থিটি পুরুষদের মূত্রাশয়ের নিচে থাকে। এই গ্রন্থিটি মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।

লক্ষণঃ
 ১. রোগী অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
 ২. ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।পিঠের নিচে এবং তলপেটে ব্যথা করে।
 ৩. পিঠের নিচে এবং তলপেটে ব্যথা করে।
 ৪. প্রস্রাবে তীব্র ইচ্ছা থাকে।
 ৫. প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, জ্বালাপোড়া করে।
 ৬. হঠাৎ করেই রোগীর দেহে জ্বর আসে। রোগী কাঁপতে থাকে। তাপমাত্রা বেড়ে যায় অনেক।

রোগের কারণঃ

 ১.প্রোস্টেটগ্রন্থির নিঃসরণ বিপুলসংখ্যক শ্বেতকণিকা ও চর্বিসমৃদ্ধ ম্যাক্রোফেজ থাকে।তবে নিঃসরণ কালচার করলে নির্ভরযোগ্য জীবাণু চিহ্নিত করা সম্ভব।
 ২. ব্যাকটেরিয়াজনিত মূত্রাশয়ের প্রদাহও উপস্থিত থাকে, তাই প্রস্রাব কালচার করে রোগের কারণ চিহ্নিত করা যেতে পারে।
 ৩. অ্যাকিউট প্রোস্টেটাইটিসের জন্য সচরাচর দায়ী ব্যাকটেরিয়াটির নাম ই কলাই।
 ৪. সাধারণত ক্লেবসিয়েলা, এন্টারোব্যাকটার, সিউডোমোনাস, সেরাশিয়া নামক প্রভৃতি গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকরেটিয়াও সংক্রমণ বা ইনফেকশন ঘটাতে পারে।

চিকিৎসাঃ
 উক্ত রোগের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট জীবাণুবিরোধী ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে এর প্রতীকার করা সম্ভব। লক্ষণ দেখার সাথে সাথে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেরি হয়, তাহলে এপিডিডাইমিস এবং অন্ডকোষে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগীকে অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য অ্যালকোহল ও যৌনকাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোন সমস্যার লক্ষণ অনুভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Labels:

পুরুষের হাইড্রোসিল জনিত সমস্যা

হাইড্রোসিল রোগটি সাধারণত পুরুষের রোগ। এটি হাইড্রোসিল অ-কোষের চারপাশে ঘিরে থাকা একটি পানিপূর্ণ থলি, যার কারণে অ-থলি ফুলে যায়। অ-কোষের দুই আবরণের মাঝখানে পানির অবস্থান। জন্মের সময় প্রতি ১০ জন পুরুষ শিশুর মধ্যে প্রায় একজনের হাইড্রোসিল থাকে। হাইড্রোসিলে সাধারণত ব্যথা হয় না। হাইড্রোসিল ক্ষতিকর নয়। তবে অনেক অসস্থিকর।অ-কোষ যদি ফুলে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। দেখতে হবে অ-কোষের ক্যানসার বা অন্য কোনো রোগে অ-কোষ ফুলে গেছে কিনা।

 হাইড্রোসিল রোগের লক্ষণ
 ১. হাইড্রোসিলের প্রধান উপসর্গ হলো ব্যথাবিহীন ফোলা অন্ডকোষ।
 ২. অন্ডকোষ পানি ভর্তি বেলুনের মতো অনুভূত হয়।
 ৩. হাইড্রোসিল একটি বা দু’টি অন্ডকোষেই হতে পারে।

হাইড্রোসিল রোগের কারণ
 এটি বেশিরভাগ ক্ষত্রে শিশুদের হয়ে থাকে। ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে গর্ভে থাকা অবস্থায় হাইড্রোসিল হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রায় ২৮ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিশুদের অ-কোষ উদর গহক্ষর থেকে অ-থলিতে নেমে আসে। প্রতিটা অ-কোষের সঙ্গে একটি স্যাক বা থলি (প্রোসেসাস ভ্যাজাইনালিস) থাকে এর মধ্যে পানি জমে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ স্যাক বা থলি বন্ধ হয়ে যায় এবং পানি শোষিত হয়। তবে থলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও যদি পানি থেকে যায় তাহলে সে অবস্থাকে বলে নন-কমিউনিকেটিং বা সংযোগবিহীন হাইড্রোসিল। কারণ এক্ষেত্রে থলি বন্ধ হয়; কিন্তু পানি পেটে ফিরে যেতে পারে না। সাধারণত এক বছরের মধ্যে পানি শোষিত হয়ে মিলিয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে থলি খোলা থাকে। এ অবস্থাকে বলে কমিউনিকেটিং বা সংযোগকারী হাইড্রোসিল। থলির আকৃতি পরিবর্তিত হতে পারে কিংবা অ-থলিতে চাপ দিলে পেটে ফিরে যেতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো

 এটি সাধারণত জন্মের সময় থাকে। একে বলে জন্মগত হাইড্রোসিল। অন্য অবস্থাগুলো সাধারণত ৪০ বছর বয়সে বা তার বেশি বয়সে আক্রমণ করে। হাইড্রোসিলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
 ১. রেডিয়েশন থেরাপি বা রশ্মির সাহায্যে চিকিৎসা।
 ১.অন্ডথলিতে আঘাত।
 ১.ইনফেকশন বা সংক্রমণ।

চিকিৎসা :
প্রথমত আপনাকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে হাইড্রোসিল আপনা আপনি মিলিয়ে যায়। যদি হাইড্রোসিল এক বছর পরেও মিলিয়ে না যায় কিংবা আরো বড় হতে থাকে তাহলে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে হাইড্রোসিল বড় হয়ে অস্বস্তি ঘটালে অথবা আকৃতির কারণে অপারেশনের প্রয়োজন হয়। অপারেশন সর্বদা দক্ষ সার্জন দিয়ে করাতে হবে।

Labels:

পুরুষদের কয়েকটি স্বাস্থ্যগত ঝুকি

সাধারণত পুরুষদের অনেক ধরণের রোগই হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু রোগ আছে, যা পুরুষ স্বাস্থ্যে মারাত্মক ভাবে আঘাত আনে। তবে যত বড় রোগই হোক না কেনো। এর সমাধান অবশ্যই রয়েছে। দীর্ঘ, সুস্থ জীবনের জন্য জানা কয়েকটি স্বাস্থ্য ঝুকি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১.হৃদরোগঃ পুরুষদের প্রধান ঝুকি সম্পূর্ণ রোগ গুলোর মধ্যে একটি। যার কারনে প্রতি বছর বহু পুরুষ মারা যাছে। হূদরোগ প্রতীকারের জন্য পুরুষদের সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে। নিম্নে কয়েকটি প্রতিকারকঃ

১. হূদরোগের বিশেষ একটি কারণ ধূমপান। তাই প্রথমত ধূমপান পরিহার করতে হবে।
 ২. পুরুষদের খাদ্যের প্রতি বেশি অনীহা থাকে। তাই নিয়মিত সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সব সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
 ৩. অনেক বেশি পরিমাণের পুরুষদের ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে থাকে। তাই অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
 ৪. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে এবং আনন্দপূর্ণ কাজ করতে হবে।
 ৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ব্যায়াম করতে হবে।

 ২.ক্যানসারঃ ক্যানসার পুরুষদের জীবন নাশের প্রধান রোগ গুলোর মধ্যে একটি। পুরুষের মধ্যে ক্যানসারের কারণে যাদের মৃত্যু হয়, শীর্ষে রয়েছে ফুসফুসের ক্যানসার। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির অভিমত: এর কারণ হলো ধূমপান। এরপর রয়েছে প্রোস্টেট ক্যানসার ও কোলেস্টেরল ক্যানসার।
 ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হলে—

১.ফল ও শাকসবজিসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর আহার করতে হবে।
 ২.স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে।
 ৩.মদ্যপান বর্জন করতে হবে।
 ৪.ধূমপান করা যাবে না। তামাকপাতা, জর্দা, গুল চিবানো যাবে না।
 ৫.দৈনন্দিন জীবনে শরীরচর্চা থাকতেই হবে।
 ৬.পাশে কেউ ধূমপান করলে দূরে সরে যেতে হবে।
 ৭.কড়া রোদে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। ছাতা ও এড়িয়ে যেতে হবে চর্বিবহুল খাবার।
 ৮.ক্যানসার জনক বস্তু অর্থাৎ কার্সিনোজেন যেমন, রেড়ন, এসবেসটস বিকিরণ ও বায়ুদূষণের মুখোমুখি যাতে না হতে হয়, সে রকম ব্যবস্থা করা।

৩.কিডনির রোগঃ ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের প্রথম জটিলতা হলো কিডনি বিকল হওয়া। ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে চিকিৎসকের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে হবে।

১.স্বাস্থ্যকর আহার।
 ২.নুন কম খেতে হবে।
 ৩.ওজন বেশি থাকলে ওজন ঝরানো।
 ৪.প্রতিদিন ব্যায়াম
 ৫.ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ।
৪.আত্মহত্যাঃ পুরুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বড় একটি হলো আত্মহত্যা। অনেক দেশে, সমাজে পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার কারণ হলো বিষণ্ন্নতা। মন বিষণ্ন মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। চিকিৎসা তো রয়েছেই। নিজের সর্বনাশ করা কেন? যতই প্রতিকূল অবস্থাই হোক, যত বিপদই হোক, একে অতিক্রম করাই তো মানুষের কাজ।

Labels:

মেদভূড়ি কি করি

মেদভূড়ি কি করি ? বলেছেন অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী পরিচালক, ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস বারডেম, ঢাকা । ভূড়ি আমরা কেউ চাই না। যারা পাতলা গড়নের তাদের জন্য আরো বড় সমস্যা। কিছু মেদ লুকিয়ে থাকে দেহের ভেতরে, গোপনে।


মেদভূড়ি কি করি
মেদভূড়ি কি করি নিয়ে ভাবতে গেলেই মনে আসে আন্তরযন্ত্রের চার পাশে নীরব একটি ঝঁকি হয়ে থাকে প্রাণ সংশয়ের। সেটা আমরা জানি বা না জানি। অনেকেরই থাকে মেদ ভুড়ি। হয়ত আয়তন বড় নয় শরীরের কিন্তু ভেতরে আছে মেদ। কোথা থেকে এলো এই মেদ। শরীরের জন্য কেমন অহিতকর। কি করাই বা যায় এ নিয়ে। এনিয়ে আরও কথা বলার আগে বলি, মেদ নিয়ে আতংক নয়। শরীরের জন্য কিছু মেদতো চাই-ই চাই। প্রশ্ন হলো কোথায় জমা এই মেদ? ভূগোল জানতে হবে মেদের অবস্থান জানা চাই- দেখা গেলো না তবুও।


শরীরে মেদের অবস্থান
সব মেদই এক রকম নয়। ওষেক করেস্ট স্কুল অব মেডিসিনের প্যাথলজির অধ্যাপক ড:ক্যারল সিভলি বলেন, ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই মেদের অবস্থান এবং আচরণও ভিন্ন ভিন্ন। আর মেদের এই আচরণই প্রভাব ফেলে শরীরের হিত অহিতের উপর। মানুষ শরীরের মেদগ জমা করে দু’ভাবে। যেমন-
১. ঠিক ত্বকের নিচে, উরু,
কোমর, নিতন্ত ও পেট। এটি ত্বকের নিচে মেদ।
২. আরও অনেক গভীরে দেহের প্রধান আন্তরযন্ত্র যেমন- হূদযন্ত্র, ফুসফুস, পাচকনল ও যকৃতের চারপাশে মেদ, বুকে, পেটে ইত্যাদি।
ত্বকের নিচে মেদ দৃশ্যমান কিন্তু আন্তরযন্ত্রের চারপাশে মেদ দৃশ্যমান নয়। যদিও মানুষ এই দৃশ্যমান মেদ নিয়ে বড় ভাবনা করেন তবে ভেতরের মেদ, লুকানো চর্বি, মানুষের দেহের আয়তন যাই হোক না কেন এর বড় হুমকি আছে তা অনেকেই জানি না।
অন্যান্য দেহ যন্ত্রের মতই মেদ
মেদ অলস হয়ে বসে থাকে না। কাজ করে অন্ত:ক্ষরা দেহ যন্ত্রের মত বলেন, ওয়েক করেস্ট স্কুল অব মেডিসিনের এনডোক্সিনোলজি ও মেটাবলিজমের সহকারী অধ্যাপক ডা: ক্রিস্টেন হেয়ারস্টন। হেয়ারস্টন বলেন, আন্তরযন্ত্রের চারধারে মেদের কুশন। এছাড়া এথেকে নি:সৃত হয় নানা রকম বাজে জিনিষও বটে। পাশের যন্ত্রগুলো তো সে সব শুষেও নেয়। যেমন- আন্তরযন্ত্রের মেদ কোষগুলো নিসৃত করে প্রদাহ জনক বস্তু যা থেকে হতে পারে ইনসুলিন রেজিস্টেস, এমনকি নানা রকম ক্যান্সারের সম্ভাবনাও সৃস্টি হতে পারে। পেটের গভীরে এমন মেদ বাহুল্য থাকলে উচ্চ রক্তচাপ, জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বাড়ে।
কিভাবে দেহে মেদ জমা হয়
মেদ প্রত্যেকেরই পেটের ভেতরে দেহযন্ত্রের চারপাশে আছে। তবে শরীরের ওজন যাই হোক, আয়তন ও যাই হোক। ওজন বাড়ে ত্বকের নিচে ও দেহযন্ত্রের চারপাশে মেদও জমা হয়। শরীরের কোথায় মেদ জমা হবে তা নির্ভর করে বংশগতি, জীবন যাত্রার ধরন, মানসিক চাপ, নিদ্রা, বয়স, জেন্ডার এসব বিষয় নির্ধারণ করে দেহে চর্বির অবস্থান। চল্লিশের নিচে যেসব পুরুষের বয়স এরা নারীদের চেয়ে পেটের ভিতরে মেদ জমা করে বেশি। নারীরা ঋতু বন্ধের পর শরীরে মেদ জমা করে বেশি পেটের ভিতরে। সবারই মেদ জমে দু’টো স্থানেই। তবে সীমা অতিক্রম করলেই ভাবনার কথা। স্থূল ব্যক্তির ক্ষেত্রে মেদ নিরাপদ স্থানে জমা হবার জায়গা পায় না। তাই জমা হয় আন্তরযন্ত্রের চারপাশে। যেমন হূদযন্ত্র ও যকৃতের চারপাশে। যারা মদ্যপায়ী নন, তাদের ফ্যাটি লিভার ডিজিজ তেমন একটা হয় না। কিন্তু স্থূলতা যত বাড়ছে, দেখা যাচ্ছে মেদ ভান্ডার এত পরিপূর্ণ যে মেদ তখন জমা হয় আন্তরযন্ত্রের চারপাশে। হূদযন্ত্রের চারপাশেও বেশ মেদ জমা হয়।
কতখানি মেদ খুব বেশি
মেদ কোথায় জমা হচ্ছে তা জানার উপায় হচ্ছে সিটি স্ক্র্যান বা এম.আর.আই। তবে জানার একটি সহজ উপায়ও আছে। বেশিভাগ বিশেষজ্ঞ বলেন, শরীরের ওজন যাই হোক, নারীদের ক্ষেত্রে কোমরের বেড় ৩৫ ইঞ্চির বেশি হলে বা পুরুষের ক্ষেত্রে ৪০ ইঞ্চির বেশি হলে ধরে নিতে হবে আন্তরযন্ত্রের মেদ পরিমাণ অত্যাধিক। কোমরের মাপ নেয়া খুব সহজ। তবে যাতে তা সঠিক হয় এজন্য ন্যাশনাল হার্ট, লং ও ব্লাড ইনস্টিটিউট কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
* সোজা হেয় দাঁড়ান। মাপ নেওয়ার আগে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস টেনে নেবেন না।
* তলপেটের চারিদিকে টেপ বাঁধুন। নাভি বরাবর যাবে টেপ।
* টেপের নিচভাগ যেন হিপবোনের বা শ্রেণীফলকের উপর ঘেষে যায়। এর উপরে যেন মাপ নেওয়া না হয়, চিকন হলেও।
* নিতে পারেন নিতম্বের চারপাশের মাপও। কোমর নিতম্ব অনুপাত মেদের বিবরণ সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় কোমন নিতম্ব অনুপাত পরিমাপ করেও। ওয়েস্টার্ন জার্নাল অব মেডিসিন অনুযায়ী নারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর অনুপাত হলো ০.৮ পর্যন্ত এবং পুরুষের ০.৯ পর্যন্ত। নিতম্বের মাপ নিতে-
* সোজা হয়ে দাঁড়ান। টেপ জড়িয়ে নিন নিতম্ব বরাবর। শ্রেণীফলকের উচু স্থান বরাবর যেন টেপটি যায়। কোমর নিতম্ব অনুপাত পেতে:কোমরের মাপকে নিতম্বের মাপ দিয়ে ভাগ করে নিলে হয়।
বিএমআই, নাসপাতি আকৃতি বা আপেল আকৃতি অবয়ব
বিএমআই। দৈহিক উচ্চতার সঙ্গে ওজনের সম্বন্ধ। তবে এ থেকে চর্বির অবস্থা সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় না। নাসপাতি আকৃতির দেহ অবয়বই ভালো। গুরুনিতম্ব ও স্থূল উরু বরং ভালো। আপেল শরীরের চেয়ে কোমর রেখা বেশি, এর বেড বেশি হলে আপেল আকৃতি ভালো নয় শরীরের জন্য। নাসপাতি ও আপেল আকৃতি বলতে বোঝানো হয়েছে যে, আপেল শরীর মানে তলপেটে মেদভূড়ি, আর এর মানে দেহের ভেতরে আন্তরযন্ত্রের চারপাশে মেদ যা ভালো নয় শরীরের জন্য।
মেদভূড়ি সম্বন্ধে কি জানবো
কি করবো
সাধারণত: স্বাস্থ্যকর ও আদর্শ ওজন থাকা মানে আন্তরযন্ত্রের চারধারেও রয়েছে স্বাস্থ্যকর মানের চর্বি। কিন্তু বংশগতির প্রভাবে একজন লোক পাতলা গডনের হলেও তার আন্তরযন্ত্রের চারপাশে মেদ হতে পারে অধিক পরিমাণে। স্থূললোক ও আন্তরযন্ত্রের অতিরিক্ত মেদ যেমন তেমনি পাতলা গডন লোকেরও বংশগতির প্রভাব থাকলে আন্তরযন্ত্রের মেদ থাকতে পারে বেশি। থাকতে পারে পাতলা লোকেরও উচুমান কোলেস্টেরল এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের জন্য উঁচুমান রক্ত সুগার। গবেষখ ড: টুয়োমাস কিলপামেন বলেন, একজন চিকন গড়নের লোকের রক্তের কোলেস্টেরল ও সুগার উঁচুমান থাকলে বুঝা যাবে এদের পেটের ভেতর আন্তরযন্ত্রে জমছে বাড়তি মেদ। একজন পাতলা গড়নের লোকও শুয়ে-বসে জীবন যাপন করলে আন্তরযন্ত্রের মেদ জমে। বৃটিশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল দেখিয়েছেন যে, একজন চিকন লোক কেবল খাদ্যবিধির সাহায্যে ওজন বজায় রাখলে, ব্যায়াম না করলে আন্তরযন্ত্রে মেদ জমার সম্ভাবনা বেশি। নজর দেন এখানে
কেমন করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আন্তরযন্ত্রের মেদ
চারটি চাকি কাঠি যেমন-ব্যায়াম, খাওয়া-দাওয়া, নিদ্রা এবং চাপ ব্যবস্থাপনার ব্যায়াম। ব্যায়াম করে ওজন কমানো। ওজন কমলে সব ধরণের মেদই ঝরে। কঠোর এরোবিক ব্যায়ামে ত্বকের নিচের ও আন্তরযন্ত্রের মেদ ঝরে। ৩০ মিনিট কঠোর এরোবিক ব্যায়াম সপ্তাহে অন্তত: চার দিন করতে হবে। রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং কমায় কেবল ত্বকের নিচের মেদ। এ নিয়ে কাজ করেছেন ডা:ক্রিস স্লেন্জ, কঠোর ব্যায়ামের সংজ্ঞা দিয়েছেন। সুস্থ সবল শরীরের মানুষের জন্য জগিং এবং স্থুল লোকের জন্য দ্রুত হাঁটা। একই তীব্রতায় স্থির বাইকে ব্যায়াম করলেও একই লাভ। গবেষণায় দেখা গেছে নিষ্ক্রীয় জীবন-যাপন করলে কালক্রমে অনেক মেদ জমা হয় আন্তরযন্ত্রে। যে জীবন ধারায় মাঝারী ব্যায়াম রয়েছে সপ্তাহে অন্তত: তিন দিন এমন ব্যায়াম যদি করা হয় ৩০ মিনিট তাহলে আন্তরযন্ত্রের মেদ বেশ কমে। দৌঁড়ানো, হাঁটা, বাগান করা, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা, জিমে ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। জীবন সক্রিয় রাখতে পারলেই ভালো। আন্তরযন্ত্রের মেদ কেবল ঝরাবে এমন বিশেষ খাদ্য নেই। সুষম ও পরিমিত খাদ্য, আঁশ সম্বৃদ্ধ খাদ্য ভালো দিনে ১০ গ্রামের বেশি দ্রবনীয় আঁশ। দুটো ছোট আপেল বা এককাপ সবুজ মটরশুটি, আধকাপ বীনস, অংকুরিত ছোলা, আঁশ সম্বৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত নিয়মিত।
অতি নিদ্রা ও নিদ্রা হিনতা
অতিনিদ্রা বা খুব কম ঘুম দুটোই ভালো নয়। বিশেষ করে পেটের ভেতর মেদ জমার ক্ষেত্রে। দেখা গেছে যারা রাতে ৫ ঘন্টা বা এর কম ঘুমান বা ৮ ঘন্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় ঘুমান তাদের আন্তরযন্ত্রের মেদ বেশি জমে, যারা গড়ে রাতে ৬-৭ ঘন্টা ঘুমান তাদের তুলনায়। ঘুমই যে একমাত্র কারণ তাই নয়, অন্যতম কারণতো বটেই।
মানসিক চাপ
চাপ মোকাবেলা একটি বড় কাজ। ব্যক্তিগত জীবনে যে ক্রনিক চাপের মুখোমুখি আমরা হই এবং সামাজিক চাপ যেমন বৈষম্য। আমেরিকান জার্নাল অব এপিমেডিওলজিতে প্রকাশিত প্রবন্ধে বলা হলো আফ্রিকান, আমেরিকান এবং শ্বেতকায়া রমনী যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তাদের আন্তরযন্ত্রে মেদ বেশি, যারা বৈষম্যের শিকার হননি তাদের তুলনায়। কেবল বৈষম্য নয়, সামাজিক সব ধরণের চাপ, শরীর এ রকম চাপে সাড়া দেয়, আন্তরযন্ত্রের চারপাশে মেদ জমে। সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন তবে এর প্রতি সাড়া দেওয়াতে পরিবর্তন আনা যেতে পারে সোশাল সাপোর্ট, ধ্যানচর্চা, ব্যায়াম, চাপ মোকাবেলার এগুলো হলো উপায়। বন্ধুত্ব, আড্ডা সবই চাপ প্রশমন করে। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ব্যায়াম করা।

Labels:

কী খাবেন, কেন খাবেন — ৭ দিনের পরামর্শ


সবাই চান মেদহীন সুস্থ শরীর। আবার ভালো-মন্দ খেতেও মন চায়। কিন্তু খাওয়া হয় না অনেক কিছুই। এটা ঠিক নয়, সব রকম খাবার ভালোবেসে পরিমাণমতো খেলেই সুস্থ ও সতেজ থাকা যায়। শুধু জানতে হবে কী খাবেন, কেন খাবেন। খুশি মনে খাওয়ার পরামর্শ নিয়ে কড়চার এবারের মূল ফিচার। লিখেছেন খালেদ আহমেদ
দুপুর বেলা ভরপেট খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মন চায় প্রিয় কোনো খাবার খেতে। আবার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে ভাত, মাছ, ডাল, তরকারি যাই হোক না কেন গোগ্রাসে গিলে ফেলেন অনেকেই। বাইরে মেঘলা আকাশ, ঝিরঝিরে বৃষ্টি। বিকেলের চায়ের সাথে ভাজা পোড়া কিছু নাস্তা হলে মন্দ হয় না। এ ছাড়া কয়েকদিন অফিসে কাজের চাপ। তাই খাবারের সময়ও যেন হয় না। তো কফি আর ফাস্টফুডের ওপরই ভরসা। খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। বাসার রান্না খাওয়ার ব্যাপারে সমঝদার হয়তো সবাই নন, কিন্তু তার সঙ্গে খেতে ভালোবাসার কোনো বিরোধ নেই। কোন খাবারে কত ক্যালরি তার হিসাব কষে খেয়ে থাকেন মেদহীন সুস্থ শরীর চান এমন মানুষেরাই। বাঙালি রসনার নানা স্বাদের খাবার সামনে এলেও তারা নিজেকে সংবরণ করতে পারেন খাবারের লোভ থেকে। বাকিরা কিন্তু নন। তারা উপাদেয় খাবার পেলে পেটভরে খেতেই ভালোবাসেন। এতে শরীরে মেদ জমতে সময় লাগে না। যদি আমরা জেনে নিই আমাদের খিদের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, তবে খুশি মনে খাওয়াদাওয়া করেও ঝকঝকে, মেদহীন, সুস্থ থাকা যায়। যথাযথ খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে মনে আনন্দ থাকলে আর কী চাই! জানেন কি, শরীরে পানির চাহিদা হলেও আমরা খিদে বোধ করি। তখন এক গ্লাস পানি খেয়ে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপরেও যদি খিদে পায়, বুঝবেন আপনি ডি-হাইড্রেটেড নন, প্রকৃতই খাবারের প্রয়োজন। কেন রাতে খাবারের পর এক টুকরো মিষ্টির জন্য আমরা ব্যাকুল হয়ে উঠি? মিষ্টি না থাকলে মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবারই সই। কাজের চাপ কিংবা স্ট্রেসের সঙ্গে জাঙ্ক ফুডের কেন এত ভালোবাসা? সারাদিনের পর বাসায় ফিরে যে যতই হালকা ডিনারের পরামর্শ দিক না কেন, সামান্য ভাতের জন্য প্রাণ কাঁদে কেন? আসল কথা হলো, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গোত্রের খাবারের তীব্র চাহিদার কারণ হলো শরীরে নির্দিষ্ট রাসায়নিক উপকরণের ঘাটতি। আমাদের কর্তব্য সেই ঘাটতি পূরণ করা। একই উপাদান বিভিন্ন খাবারে ছড়িয়ে আছে। আপনাকে বুদ্ধি করে বেছে নিতে হবে। এইখানেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, বিবেচক হতে হবে, তাহলেই ডায়েট রেজিম আর পাহাড়সম চাপ সৃষ্টি করবে না, লোভনীয় খাবার দেখেও আপনার আর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হবে না। মিষ্টির প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা আসলে নির্দেশ করে আপনার শরীরে ক্রোমিয়াম, কার্বন ফসফরাস বা সালফেটের ঘাটতি। আর তা আপনি স্বচ্ছন্দে পেতে পারেন টাটকা ফল, বাদাম, মিষ্টি আলু জাতীয় খাবারে। এতে জিভে মিষ্টি স্বাদের ঘাটতি হবে না, নিশ্চিত করে বলতে পারি। আসল কথা হলো, সময়মতো খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। সঙ্গে সামান্য এক্সারসাইজ। নিজেকে ভালোবাসুন ও খেতে ভালোবাসুন। তাহলেই সুস্থ, সুন্দর ও সুখী থাকতে পারবেন।
বাঙালি খেতে ভালোবাসে এটা কোনো নতুন কথা নয়। সুস্বাদু খাবার সামনে পেলে আমরা ভুলে যাই পরিমিত খাবার খাওয়ার বিষয়টি। সপ্তাহে প্রতিদিন হাজার চেষ্টা করেও কাজ হবে না যদি আমরা খাবার গ্রহণে সচেতন না হই। পরিশ্রম এবং বয়সের ওপর নির্ভর করে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা করে নিলে বাড়তি খাওয়া এবং অসময়ে খাওয়ার প্রবণতা কমে আসতে বাধ্য। আপনাদের জন্য সপ্তাহের সাত দিনের একটি খাদ্য তালিকা উপস্থাপন করা হলো—শনিবার
সকাল :রুটি, সবজি, ডিম, চা
দুপুর :ভাত, মাছ, সবজি, ডাল
বিকেল :ফল
রাত :রুটি, সবজি, এক গ্লাস দুধ।
রবিবার
সকাল :পরোটা, সবজি, চা
দুপুর :ভাত, শাক, মাছ
বিকেল :জুস
রাত :রুটি, সবজি, সালাদ।
সোমবার
সকাল :টোস্ট, কলা, চা
দুপুর :ভাত, সবজি, মাংস সালাদ
বিকেল :স্যান্ডউইচ
রাত :রুটি, ডাল, সালাদ।
মঙ্গলবার
সকাল :পাউরুটি, জ্যাম, ডিম, চা
দুপুর :ভাত, সবজি, ছোট মাছ, ডাল
বিকেল :পেয়ারা অথবা আপেল
রাত :সবজি খিচুরি।
বুধবার
সকাল :রুটি, কলিজা ভুনা, চা
দুপুর :ভাত, সবজি, সালাদ, ডাল
বিকেল :বিস্কুট, কফি
রাত :ভাত, ডাল, ভাজি, মাছ।
বৃহস্পতিবার
সকাল :রুটি, সবজি, একটা ফল, চা
দুপুর :ভাত, ডাল, মাংস
বিকেল :মুড়ি, চিড়া, চা
রাত :রুটি, সবজি, সালাদ।
শুক্রবার
সকাল :সবজি খিচুরি
দুপুর :ভাত, মাছ, সবজি, সালাদ
বিকেল :ফল
রাত :আপনার পছন্দ।
পুরো সপ্তাহ নিয়মমতো খাবার খান। ছুটির দিন রাতে নিজের পছন্দের মেন্যু বেছে নিন। এই তালিকা তৈরি করে চোখে পড়ে এমন জায়গায় রাখুন। আর বাড়তি খাওয়ার আগে একবার তালিকাটির দিকে দেখে নিন। আমাদের মনই বারণ করবে বাড়তি খেতে। নিজেকে ভালোবাসুন পরিমিত খেয়ে সুস্থ থাকুন। তালিকা তৈরির সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে, তা হলো—বয়স, ওজন, শারীরিক অসুস্থতা, পরিশ্রম এবং ব্যায়াম কতটুকু করা হয়।
‘ভালোবেসে খাবার
খেতে হবে’
সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য কম খেলে হবে না। বেশি করে খেতে হবে। তবে ব্যালেন্স ফুডের কথাটা মাথায় রাখতে হবে। সাথে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। যাদের রুচি আছে এবং আগ্রহ নিয়ে খাবার খান তারা মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতের মধ্যে আছেন। কিন্তু যাদের খাবারে রুচি হয় না, বুঝতে হবে তারা সামনে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। খাওয়ার জন্য রুচিটা জরুরি। আর সুস্থ থাকতে হলে সব স্বাদের খাবারই গ্রহণ করতে হবে। ভালোবেসে অল্প পরিমাণে খাবার খেতে কোনো সমস্যা নেই। এক কথায় খাবারকে এনজয় করতে হবে। কেননা ভালোবেসে খাবার খেলেই সুস্থ থাকা যায়।
 
তামান্না চৌধুরী
প্রধান পুষ্টিবিদ
অ্যাপোলো হসপিটাল


Labels: ,

আই পিল সম্পর্কে সব কিছু

আই পিল সম্পর্কে সব কিছু জেনে নিন এখানে
এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল্ কাকে বলে?
এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল্ হল অ-পরিকল্পিত গর্ভধারণ (আনপ্ল্যানড প্রেগ্ন্যান্সি) রোধ করার এক নিরাপদ ও সহজ উপায়, যা অরক্ষিত যৌন-সহবাস (সেক্স) অথবা গর্ভনিরোধক (কন্ট্রাসেপ্টিভ)-এর ব্যর্থতার দরুন সৃষ্টি হয়৷
আই-পিল আসলে কী?
 আই-পিল হ’ল সিপ্লা দ্বারা প্রস্তুত এক এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল্৷ একক ডোজ-এর আই-পিল অরক্ষিত যৌন-সহবাস (সেক্স)-এর পরে অথবা গর্ভনিরোধক ব্যর্থ হওয়ার দরুন সৃষ্ট অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ-রোধের এক নিরাপদ ও সহজ সমাধান প্রদান করে৷ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সমস্ত ওষুধের দোকানে আই-পিল পাওয়া যায়৷.
আই-পিল ব্যবহারের যথার্থ সময় কোনটা?
যদি আপনি অরক্ষিত যৌন-সহবাসে লিপ্ত হন এবং গর্ভধারণ রোধ করতে চান, তাহলে আপনার যতশীঘ্র্র সম্ভব আই-পিল গ্রহণ করা উচিত; ভালো হয় যদি তা অরক্ষিত যৌন-সহবাস (সেক্স)-এর 12 ঘন্টার মধ্যে হয়, আর 72 ঘন্টার বেশি দেরি যেন না হয়৷.
এছাড়া নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে ব্যাকআপ জন্মনিয়ন্ত্রণ-পদ্ধতি হিসেবেও আই-পিল যথেষ্ট কাজে দেয়৷
গর্ভনিরোধকের ব্যর্থতা
 অরক্ষিত সহবাস (সেক্স)
 আপনার নিয়মিত জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অপপ্রয়োগ
 জোর ক’রে সহবাস (সেক্স)
আই-পিল ব্যবহারের নির্দেশগুলি কী?
আই-পিল হ’ল একক ডোজ-এর ট্যাবলেট যা মুখে গ্রহণ করতে হয়৷ খাবার খাওয়ার পর একগ্লাস জলের সঙ্গে এটি গিলে খাওয়া উচিত৷ এটি একগ্লাস জলের সাথে খেতে হয়৷ আই-পিল যতশীঘ্র সম্ভব খাওয়া উচিত, তা যেন অরক্ষিত সহবাস (সেক্স) অথবা গর্ভনিরোধকের ব্যর্থতার পর 72 ঘন্টা অতিক্রম না করে৷.

আই পিল
আই-পিল ব্যবহারের জন্য কোন সময়টা যথাযথ নয়?
আপনি যদি ইতিপূর্বেই গর্ভবতী থাকেন, তাহলে আই-পিল কাজ করবে না কারণ এটি কেবল গর্ভনিরোধের এমার্জেন্সি পদ্ধতি অথবা ব্যাকআপ মাত্র৷ এটি গর্ভনিরোধ-পদ্ধতির বিকল্প নয়৷ আই-পিল কার্যকর হবে না যদি তা অরক্ষিত যৌন-সহবাস (সেক্স)-এর 72 ঘন্টা পরে গ্রহণ করা হয়৷ আপনি যদি লেভোনর্জেস্ট্রেল-এর প্রতি অ্যালার্জি-প্রবণ হন, তাহলে আই-পিল সুপারিশ করা হয় না৷ লেভোনর্জেস্ট্রেল হ’ল আই-পিল ট্যাবলেটে উপস্থিত ওষুধের নাম৷
Top
কারা আই-পিল ব্যবহার করতে পারেন?
 আই-পিল যেকোনো মহিলা ব্যবহার করতে পারেন যাঁরা সন্তানধারণের উপযুক্ত বয়সের আর গর্ভনিরোধকের অভাবে বা তার প্রয়োগ ব্যর্থ হওয়ার দরুন অ-পরিকল্পিত গর্ভধারনের সম্ভাবনার সম্মুখীন৷ এটি ধর্ষণের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে৷.
Top
আই-পিল গ্রহণের আগে আমার কি ডাক্তারকে দিয়ে চেক-আপ করানোর দরকার আছে?
আই-পিল গ্রহণের আগে ডাক্তারী চেক-আপের দরকার নেই৷ তবে যদি কোনো গুরুতর অসুস্থতায় ভোগেন, অথবা লেভোনর্জেস্ট্রেল-এর প্রতি আপনার কোনো অ্যালার্জি থেকে থাকে-তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নেওয়াই ভালো৷.
Top
কিভাবে আই-পিল কাজ করে?
আই-পিল তিনটি আলাদা-আলাদা উপায়ের যেকোনো একটি অনুযায়ী কাজ করে, তবে তা নির্ভর করে আপনার ঋতুচক্রের সময়ে আপনি কোথায় থাকতে পারেন-তার ওপর৷.
এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসৃত হতে বাধা দিতে পারে৷.
 যদি ডিম্বাণু ইতিপূর্বেই নিঃসৃত হয়, তাহলে এটি শুক্রাণুকে বাধা দেয় যাতে তা ডিম্বাণুটিকে নিষিক্ত না করতে পারে৷.
 ডিম্বাণু ইতিপূর্বেই নিষিক্ত হয়ে গেলে, এটি তাকে গর্ভাশয়ের ধারে সংযুক্ত হতে বাধা দিতে পারে৷.
 একথা উল্লেখ করা জরুরি যে গর্ভধারণ শুধু তখনই প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের গায়ে সংযুক্ত হয়ে যায়৷ আই-পিল অকার্যকর হয় যদি গর্ভধারণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় (অর্থাৎ নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়)৷ তাই একে গর্ভপাতের পিল্ বলা চলে না৷.
Top
‘এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল্’ ‘গর্ভপাতের পিল্’-এর থেকে আলাদা কিসে?
ডাক্তারী ভাষায় গর্ভাবস্থা শুরু হয় যখন নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের ধারে সংযুক্ত হয়ে যায়৷ গর্ভপাতের বড়িতে কিছু ওষুধ থাকে যেমন অ্যান্টিপ্রোজেস্টিন্স.
যা গর্ভধারণ হওয়ার পরেও তা বিকাশে বাধাসৃষ্টি করে৷ অপরদিকে.
এমারজেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল্ যেমন আই-পিল-এ আছে সাধারণ স্ত্রী-হর্মোন যা প্রথমেই গর্ভধারণে বাধা দেয়৷ ফলে এটি গর্ভপাত ঘটায় না৷.
অধিক জানার জন্যে, এখানে ক্লিক করুন
Top
কিভাবে আই-পিল থেকে আমি সেরা ফললাভ পেতে পারি?
আই-পিল সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে যখন তা অরক্ষিত যৌন-সহবাস (সেক্স) অথবা গর্ভনিরোধকের ব্যর্থতার পর যতশীঘ্র সম্ভব গ্রহণ করা হয়, তবে তা 72 ঘন্টার বেশি দেরি যেন না হয়৷.
Top
আই-পিল কতখানি কার্যকরী?
আপনি যত তাড়াতাড়ি আই-পিল গ্রহণ করবেন, তা তত বেশি কার্যকরী হবে৷ অরক্ষিত যৌন-সহবাস (সেক্স)-এর 24 ঘ্ন্টার মধ্যে নিলে এটি 95% কার্যকর হয়, 25-48 ঘন্টার
peuli পিউলি : অভিবাদন জানাচ্ছে তাদেরকে যারা একসাথে জীবন ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই চলার পথে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক কিছুই হতে পারে। আর এই অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ভুলের সমাধান নিয়ে এলো জিসকা ফার্মার ‘Peuli®’। ৫ দিনের মধ্যে একটি পিল খেয়ে নিলেই অনাকাঙ্খিত প্রেগনেন্সির ঝুঁকি আর থাকবে না।

dhakamagazine.com

Labels: ,