Monday, May 11, 2015

কন্ডোম পুরাকালে সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি হত


লাইগেশন বা ফিমেল স্টেরিলাইজেশন

স্থায়ী গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা মেয়েদের শরীরে বন্ধ্যাত্ব এনে দেয় | জরায়ুর সংলগ্ন দু’ধারে দু’টি ফ্যালোপিয়ান টিউব থাকে | এই নল দুটির যে দিকটায় সেই দিকের একটু আগে অর্থাৎ সমগ্র নলতিকে চার ভাগ করলে তৃতীয় ভাগের জায়গায় কেটে সুতো দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় | এই অপারেশন খুবই নিরাপদ ও সহজ | আগে পেট কেটে এই অস্ত্রোপচার করা হত, সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে | আজকাল করা হয় ল্যাপারোস্কোপের সাহায্যে, পেট সামান্য ফুটো করে | অজ্ঞান করতে লাগে না, লোকাল অযানাসথেসিয়াতেই করা যায় | রোগী সেইদিনই বাড়ি ফিরতে পারে, সেলাই কাটার ব্যাপার নেই | ৩-৪ দিনেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যাওয়া যায়, প্রসবের ৬ সপ্তাহের মধ্যে বা বাচ্চা নষ্ট করিয়ে সঙ্গে সঙ্গে লাইগেশন করানো অনেক নিরাপদ | সবার জানা উচিত, যখন পেটে সন্তান নেই, তখন প্রতিষেধক ব্যবস্থা নিলে অনেক উপসর্গ ও বিপদ এড়ানো যায় |

অপরিণত মন নিয়ে অনুরোধ বা টাকার লোভে অল্পবয়সী (২০ থেকে ২৫ বছর) মেয়েদের ১টি বাচ্চার পরেই এই অপারেশন করানো ঠিক না | এত কম বয়সে সন্তানধারণের ক্ষমতা ব্যাহত হলে মানসিক অবসাদ, জরায়ু ও ওভারির কাজে বাধা ইত্যাদি অসুবিধা দেখা দিতে পারে | সাধারণত লাইগেশন অপারেশনে রোগীর বয়স ৩০-এর এধার ওধার হওয়া উচিত | যে মহিলার দুটি বাচ্চা আছে এবং দ্বিতীয় বাচ্চাটিকে সব কটি সংক্রামক অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে (অর্থাৎ তার বয়স বছর দেড়েক), সেই মাকে অপারেশনের উপযুক্ত বলে মনে করা হয় | কোনও ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে লাইগেশনের পর মায়ের দুটি বাচ্চাই মারা গিয়েছে | সেক্ষেত্রে রিক্যানালাইজেশন অপারেশন করে টিউব আবার জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে | স্বামীর অজ্ঞাতসারে বা অবিবাহিতা মহিলার কখনওই লাইগেশন করা উচিত নয় | আবার দ্বিতীয় বা তৃতীয় সিজারিয়ানের ক্ষেত্রে, যেখানে পেট খুলতেই হচ্ছে, সেখানে দম্পতির অনুমতি নিয়ে লাইগেশন করে নেওয়াই ভাল | অনেক সময় দেখা যায়, স্বামীর রোজগার নেই, চাকরি চলে গিয়েছে, স্বামীকে না জানিয়ে মহিলা লাইগেশন করিয়ে নিলেন | সে ক্ষেত্রে আইনের দিকটিও ভাবতে হবে | তবে আশার কথা, মেয়েদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আইন এখন অনেকটাই মেয়েদের দিকে | লাইগেশন করলে শরীর কমজোরি হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় | শারীরিক মিলনের আগ্রহ ও ক্ষমতা লোপ পায় — এমন অনেক ভিত্তিহীন ধারণা আমাদের সমাজে আজও প্রচলিত আছে যার কোনওটিই ঠিক নয় | বরং নিশ্চিন্ত নিরাপদ জীবন মেয়েদের শরীর-মনে আলাদা আনন্দের স্বাদ এনে দেয়, নতুন করে বাঁচার রসদ জোগায় |

গর্ভনিরোধের ইতিহাস
সম্ভবত উত্তর আমেরিকার কোনও অঞ্চলে বার্থ কন্ট্রোলের ভাবনার সূত্রপাত | যদি মেয়েরা ভাবে আমি মা হব কখন এবং কবে, সেটা তাদেরই চিন্তা-ভাবনার বিষয় হওয়া উচিত — এইভাবে চিন্তা শুরু হয়েছিল্ | আরও পরে ১৮৩০ সালে ইংল্যান্ডে ও নাইট সোস্যালিস্টদের মধ্যে গর্ভনিরোধের ভাবনার উদয় হয়েছিল আর সেটা সারা পৃথিবীতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছিল |
১৮৫০ সালে মধু, গঁদের আঠা, কুমিরের বিষ্ঠা এই সকল পদার্থ মেয়েদের শরীরে ঢুকিয়ে রাখা হত গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে | তখনকার দিনে মায়েরা দুধ অনেকদিন ধরে বাচ্চাকে খাইয়ে যেতেন পুনরায় গর্ভসঞ্চার বন্ধ করার জন্য, তবে এই প্রক্রিয়া যে কর্যকরী নয় তা আগেই আলোচিত হয়েছে | ২০ শতকের প্রথম দিকে মারি স্টোপস গর্ভনিরোধক ব্যবস্থার কথা বিশেষভাবে ভাবেন | ১৬০০ সালে ডাঃ কন্ডোম Sheath-এর কথা ভেবেছিলেন | মারি স্টোপস ক্লিনিক, কন্ডোম ইত্যাদি শব্দগুলি সেই থেকেই এসেছে |

শোনা যায় বহু আগে শুকনো গোবর আর মধু প্রসবদ্বারে রাখা হত গর্ভসঞ্চার বন্ধ করার জন্য | এও শোনা যায় ভারতে নাকি গাজরের বীজ খেতে দেওয়া হত গর্ভনিরোধক বড়ি হিসাবে | ১৪০০ শতাব্দীতে আবার বলা হয়েছিল যদি কোনও মহিলা মৌমাছি খেয়ে নেয় তাহলে সে গর্ভবতী হবে না |
৪০০০ বছর আগে পুরনো কাহুন প্যাপিরাস (গাছের পাতা) হল সবচেয়ে প্রাচীন লিখিত নিদর্শন | এতে লেখা আছে জন্ম সঙ্কোচন ব্যবস্থার ওপর | এখানেও কুমিরের বিষ্ঠার উল্লেখ আছে | আরবে প্রথম আই ইউ ড (ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস) প্রবর্তিত হয়েছে মেয়ে উটদের জরায়ুতে ছোট পাথর ঢুকিয়ে দিয়ে — যাতে মরুভূমিতে উট হঠাৎ গর্ভবতী না হয় |

কন্ডোম পুরাকালে ছিল ভেড়া, ছাগল এমনকি সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি, পাতলা কাপড়ের কথাও শোনা যায় | পাতিলেবুর রসে কাপড় ভিজিয়ে মেয়েদের শরীরের ভিতরে রাখার কথাও শোনা যায়, পাঞ্জাবি পরিবারে ৩০/৪০ বছর আগে পর্যন্ত একইঅভাবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহৃত হত | আর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আজও এসব চালু আছে | শুঁটকি মাছের লেইও ব্যবহৃত হত |

সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার যেমন পরিবর্তন হয়েছে, আয়ুও তেমন বাড়ছে | জনবিস্ফোরণের সমুদ্রের ঢেউ কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না | সর্বক্ষণই মেয়েদের ওপর বলির খাঁড়া — গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা তাকেই নিতে হবে | এত যে আন্তর্জাতিক মানের সমীক্ষা হচ্ছে, ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে পরিবারগতভাবে প্রতিটি মহিলা জন্মসূত্রে তার জননস্বাস্থ্যের জন্য এই কনট্রাসেপটিভ ব্যবস্থার মধ্যে থাকছে | জন্মের হার, পরিবারের মাপ, জনবিস্ফোরণ নির্ভর করে জলবায়ু, পুষ্টির মান, জনস্বাস্থ্য, বিয়ের বয়স, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, পুত্রসন্তানের চিন্তা, সম্পত্তির আইনগত দিক, ধর্ম, রাজনীতি, যুদ্ধের সমস্যা , শিক্ষর মান, সর্বশেষে শিশুমৃত্যুর হারের ওপর |

যেখানে স্বামী বা স্ত্রীর কোনও জটিল ও দুরারোগ্য অসুখ আছে সেখানে তখন সেই সময় গর্ভ সঞ্চার না হওয়াই ভাল | মেয়েটির যদি টিউবারকিউলেসিস, নেফ্রাইটিস, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদযন্ত্রের অসুখ, মানসিক বৈকল্য, থ্যালাসিমিয়া ইত্যাদি থাকে, তা হলে গর্ভাবস্থা ও প্রসব মেয়েটির জীবনের আশঙ্কা এনে দেয় | বারংবার গর্ভপাত, সিজারিয়ান সেকশন, জরায়ুতে টিউমার, এপিলেপসি — মেয়েটি যদি এই সকলের শিকার হয় তবে পুনরায় গর্ভবতী হবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই দরকার | ছোট বয়সে বিয়ে হলে তাড়াতাড়ি সন্তান কিছুতেই নয় | আবার অনেক সময় দেখা যায় সন্তানধারণ সম্পর্কে মেয়েটির কোনও ধারণাই নেই |

যে কোনও মেয়ের ঋতুস্রাব শুরু হওয়া (মেনার্ক) থেকে বন্ধ হওয়া (মেনোপজ) পর্যন্ত গর্ভসঞ্চারের ভয় থেকেই যায় আর reproductive age হল ১৫ থেকে ৪৪ বছর | অবাঞ্চিতও গর্ভসঞ্চারের হাত থেকে বাঁচতে হলে চাই পরিবার, স্বামী, সমাজ ও চিকিৎসকের সাহায্য,ওষুধের অপব্যবহার সেখানে সাহায্যের মাপকাঠি নয় |

 তথ্যসূত্র :বাংলালাইভ

Labels:

ফ্রান্সে-পুরুষ-সমকামীদের-রক্তদানে-নিষেধাজ্ঞা


ফ্রান্সের পুরুষ সমকামীরা রক্ত দান করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের তরফে এইচআইভির মতো রোগ প্রতিরোধে এ নিষেধাজ্ঞাকে ন্যায়সঙ্গত বলে নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সে পুরুষ সমকামীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ওই নিষেধাজ্ঞাকে ন্যায়সঙ্গত বলে নতুন করে নির্দেশনা জারি করেছে দি ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে)।

নির্দেশনায় বলা হয়, পুরুষ সমকামীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা ন্যায়সঙ্গত। তবে শুধু তখনই রক্তদান করা যাবে যখন বিকল্প কোনো উপায় থাকবে না।

ইসিজে জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে ‘কম কষ্টসাধ্য’ নীতি বিবেচনা করতে হবে। কারণ কোনো নিষেধাজ্ঞা ন্যায্য হতে হলে ‘কম কষ্টসাধ্য’ নীতি প্রক্রিয়া থাকতে হবে এমন কথা নাই।

আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, পুরো ইউরোপে সক্রিয় পুরুষ সমকামীদের মধ্যে মরণব্যাধী এইচআইভির হার সবচেয়ে বেশি ফ্রান্সে।

ফলে বাস্তব পরিসংখ্যানের দিক থেকে সরাসরি এই নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতার ব্যাপারটি যদি আনুপাতিক হয় তবে ফ্রান্সের আদালত এ ক্ষেত্র্র্রে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এইডস বা এইচআইভির জন্য পুরুষ সমকামীর রক্ত কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ তার উপর ভিত্তি করে দেশটির আদালত সিদ্ধান্ত দেবে।

২০০৯ সালে ফ্রান্সের জিওফারি লেগার নামের এক পুরুষ সমকামীকে চিকিৎসক রক্তদানের অনুমতি না দিলে আদালতে তিনি মামলা করেন। ইসিজে এই মামলাকে আমলে নিয়ে বুধবার পুরুষ সমকামীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞাকে ন্যায়সঙ্গত বলে এই নির্দেশনা দেন।

তবে এক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেই শুধু এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে।

Labels:

মেনোপজের সময় অনেক মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা বেড়ে যায়

মেনোপজের সময় অনেক মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা বেড়ে যায়
কাকে বলে মেনোপজ
মেয়েদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন অনেকটা জোয়ার-ভাটার মতো | এরোপ্লেন ওড়বার সময় ও নামার সময় যেমন খানিকটা ঝাঁকুনি লাগে তেমনি নারীজীবনে বয়ঃসন্ধি ও ঋতুনিবৃত্তি এই দুই অধ্যায়ে শারীরিক ও মানসিক চাঞ্চল্য ও উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা | সাধারণভাবে প্রোঢ়ত্বের শেষে ৪৮ থেকে ৫২ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপজ হয় | এই বয়সে যদি সম্পূর্ণ এক বছর টানা পিরিয়ড বন্ধ থাকে তাহলেই তাকে বলা হবে মেনোপজ | জীবনের অপরাহ্নে যখন যৌবনের রূপলাবণ্যে খানিকটা ভাটা পড়ে তখন অনেক উচ্চশিক্ষিতাও এ সময়কার বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন মেনে নিতে পারেন না, অকারণ অহেতুক সচেতন ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, মানসিক দ্বন্দ্ব ও আত্মনিপীড়নে ভোগেন | ছেলে, মেয়ে, জামাই, পুত্রবধূ ও অন্যান্য অল্পবয়স্ক আত্মীয়স্বজন থেকে মানসিক দূরত্ব সম্পর্কে অনাবশ্যক ভাবনায় সহজেই ব্যথিত হন এবং ক্লান্তি ও বিষাদে মন ভারাক্রান্ত করে ফেলেন | অথচ এই সময়কার পরিবর্তন জীবনের আর একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ভেবে নিয়ে উপযুক্ত পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহণ করলে বিগত যৌবনের জন্য আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগ ভুলে যাওয়া সহজ হয় | পিরিয়ডের ঝামেলা নেই, কম বয়সের সংগ্রাম নেই, সন্তানরা বড় হয়ে গেছে — এখনও তো জীবন উপভোগ করার আসল সময় | স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক দাম্পত্য সম্পর্কও বিঘ্নিত হওয়ার কারণ নেই, বরং নিশ্চিন্ত কারণ সন্তান সম্ভাবনার ভয় থাকে না | এটা হৃদয়ঙ্গম করা সবচেয়ে দরকার যে পরিণত বয়সের একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে — ঠিকমতো রুটিন ও যত্নে থাকলে চেহারা খারাপের ভয়ও থাকে না — বরং ভাবুন না কেনে হেমা মালিনী, রেখা বা অপর্ণা সেনের কথা, এনারা যেন এখন আরও বেশি সুন্দরী, আরও আকর্ষণীয়া | তাই বলি এই বয়সে মনকে অকারন মোহ বা আক্ষেপ থেকে মুক্ত করা দরকার |

কি কি পরিবর্তন হয়
পরিপূর্ণভাবে ঋতুনিবৃত্তি বা Menopause হয়ে গেলে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা থাকে না, দারুণ বাঁচোয়া | এ সময় কিছু কিছু দৈহিক পরিবর্তন হয়, হাতে, পায়ে, ঘাড়ে, নিতম্ব ও থাইতে চর্বি জমার সম্ভাবনা থাকে, ওজন বেড়ে যেতে পারে, কেউ কেউ আবার বেশি রোগা হয়ে যায়, কারও ত্বকের মসৃণতা কমে যায়, বলিরেখা পড়তে পারে | শরীরে কোথাও ব্যাথা অনুভূত হতে পারে | এই সকল অস্পষ্ট উপসর্গে মানসিক দুর্বলতা ও আত্মগ্লানি দেখা দেওয়া সম্ভব | উদ্বেগ, রাগ ও শুচিবাই দেখা দিতে পারে, ম্যানিয়া হতে পারে | যে কথা হয়তো বলতে চাই না কোনওমতেই, আবেগের বশে সেই কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে |
রক্ত চলাচলের ক্রিয়ায় পরিবর্তন হয় তাই মাঝে মাঝে আকস্মিক গরম বা শীতলতার অনুভূতি সারা অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে | দিনে দিনে চার-পাঁচবর শরীর ঘেমে ওঠে, যাঁদের হাই ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবিটিস আছে, তাদের এসব উপসর্গ বেশি হয় | এই সময় শরীরে হরমোন নিঃসরণের ক্রিয়ার বিশেষ পরিবর্তন হয় | ওভারি শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়, ডিম্বাণুও থাকে না, তাই স্বভাবতই ওভারি থেকে নিঃসৃত স্ত্রী হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে — তাই যৌবনশ্রী কমে যায় | ওভারির নিঃসৃত হরমোন হ্রাস পাওয়ার ফলে পিটুইটারি ও অ্যাডরেনাল গ্রন্থিসমূহের হরমোন বৃদ্ধি পায়, তাই কারও কারও মুখে বা চিবুকে চুলের মতো লোম দেখা দিতে পারে| এই সকল উপসর্গ কিন্তু সকলের হয় না | যাঁরা ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও মানসিক পূর্ণতার সঙ্গে এসব পরিবর্তন গ্রহণ করেন তাঁদের মেনোপজ আবার আবার উপসর্গবিহীন হতে পারে | ২-৩ বছরের মধ্যেই শরীরের গতি স্থিতিলাভ করে |

চিকিৎসা
অনেকেরই তেমন কোনও চিকিৎসা দরকার হয় না, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে | শরীরের যত্ন, ত্বকের যত্ন, ব্যায়াম এই তিনটি ব্যাপার বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে | সুষম আহার, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা আর ঠিকঠাক ঘুম দরকার | নিয়মিত হেলথ চেক আপ জরুরি | খুব বেশি উপসর্গ থাকে যাঁদের, যেমন বার বার কান মাথা জ্বালা করছে, কমছে না বা গাঁটে গাঁটে খুব ব্যথা যা একেবারে ঘুম হচ্ছে না, অসম্ভব টেনশন, সেই সকল ক্ষেত্রে HRT বা hormone replacement therapy দরকার হতে পারে তাও Short term অর্থাৎ অল্পদিনের জন্য | এছাড়া এই সময় স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জরা ত্বক, চুল ও শরীর ভাল রাখার জন্য কয়েকটি ওষুধ দিয়ে থাকেন — ক্যালসিয়াম ব্যবহারও দরকার, হাড়ের ক্ষয় রোধের জন্য তবে তা একেবারেই চিকিৎ্সকের নির্দেশের অধীন |

কয়েকটি তথ্য
মেনোপজ হঠাৎ একদিন হয় না — প্রথমে হয়তো তিন মাস বন্ধের পর আবার একবার হল, তারপর আবার কিছুদিন বন্ধ থেকে একমাসে দু-বার পিরিয়ড হল, আবার বন্ধ এইভাবে ক্রমশ একেবারে বন্ধ হয়ে যায় | এসময় যদি অত্যধিক ব্লিডিং হয় তাহলে বা তা না হলেও গাইনোকোলজিস্ট দেখিয়ে নেবেন — কারণ এই বয়সে মেনোপজ ছাড়াও জরায়ুর টিউমার বা অন্য অসুখ হতে পারে | মা, মাসী বা দিদিদের যদি কম বয়সে অর্থাৎ ৪০-এর নীচে মেনোপজ হয়ে থাকে তাহলে সেই মহিলারাও early menopause হতে পারে (genetic make up)| গরম দেশের মহিলাদের মেনোপজ আগে হয়, ঠান্ডার দেশগুলিতে আবার মেনোপজের বয়স বেশি | আজকাল মেয়েদের ১০ বছর বয়সের আগেই পিরিয়ড হয়ে যায়, তার মানে কিন্তু এই নয় যে তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়ে যাবে, আবার এও বলা যায় না যে যাদের প্রথম পিরিয়ড শুরু হয়েছে দেরিতে, তাদের মেনোপজ আরও দেরিতে হবে | delayed menopause হলে তলপেটের অন্য কোনও অসুখ আছে কিনা দেখতে হয় |ডায়বেটিস থাকলে মেনোপজের দেরি হতে পারে |আগেই বলেছি menopause-এর কারণে স্বাভাবিক শারীরিক মিলন বাধাপ্রাপ্ত হয় না | আসল কথা পারিপার্শ্বিকতা, মনন | দেখা গিয়েছে মেনোপজের সময় অনেক মহিলাদের sexual desire বেড়ে যায় — অনেক পরের দিকে হয়তো কমতে পারে |এখন আলট্রাসোনোগ্রামের মাধ্যমে মেনোপজের ডায়াগনসিস খুব সহজে করা যায় |এ সময় মহিলারা নিয়মিত পার্লার ও জিমে যাবেন — তা না হলে আত্মবিশ্বাস যাবে চলে |
মনে রাখবেন মনের জোর ও সঠিক চিকিৎসায় মেনোপজের উপসর্গগুলি অতিক্রম করা যায় এবং নিশ্চিন্ত দাম্পত্যজীবন কাটানো যায় |
  
 তথ্যসূত্র :বাংলালাইভ

Labels:

মশা তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকা

মশা তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকা

মশক বাহিনীকে দূরে রাখার আট উপায়-

১) নিম তেল : নিম তেল লাগালে শরীর থেকে একটা গন্ধ বের হয় | যা মশাদের দূরে রাখে | নিম তেল আর নারকেল তেল সমান পরিমাণে মিশিয়ে গায়ে মেখে নিন (শরীরের খোলা অংশে) | অন্তত আট ঘণ্টা আপনাকে আর মশা কামড়াবে না |

২) ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেল: ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেলে একধরনের উপাদান পাওয়া যায় যার নাম ‘cineole’ | এর ফলে যে কোনও পোকামাকড় আপনার থেকে দূরে থাকবে | আর সব থেকে বড় কথা‚ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি মশা তাড়াতে পারবেন | এটা ব্যবহার করার জন্য সম পরিমাণে ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেল নিন | ভাল করে মিশিয়ে গায়ে লাগিয়ে নিন |

৩) কর্পূর: এটা মশা তাড়ানোর জন্য খুব উপকারী | অন্য যে কোনও প্রাকৃতিক মশা তাড়ানোর উপাদানের থেকে সব থেকে ভাল কাজ করে এটা | ঘরের এক কোণায় কর্পূর জ্বালিয়ে ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে দিন | ১৫, ২০ মিনিট পর ঘরে গিয়ে একটাও মশা খুঁজে পাবেন না |

৪) তুলসী: তুলসী মশার ডিম এবং মশা মেরে ফেলে | জানালার কাছে তুলসী গাছ লাগান | বাড়ির কাছে তুলসী গাছ থাকলে মশা ঘরের ভিতর ঢুকবে না আর মশা জন্মাতে দেবে না |

৫) পুদিনা : পুদিনাও মশা দূরে রাখে | পুদিনাকে অনেকরকম ভাবে ব্যবহার করা যায় মশা তাড়ানোর জন্য | পুদিনার তেল ভেপোরাইজারে ব্যবহার করতে পারেন | বাড়ির বাইরে পুদিনা গাছ লাগালেও মশা মাছি দূরে থাকবে | এমনকি মিন্ট দেওয়া মাউথ ওয়াশ জলের সঙ্গে মিলিশে ঘরে স্প্রে করতে পারেন |

৬) ল্যাভেন্ডার : মন মাতানো গন্ধ ছাড়াও মশা কামড়াবে না এটা ব্যবহার করলে | ল্যাভেন্ডার অয়েল লাগাতে পারেন বা ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন |

৭) রসুন: মশা তাড়ানোর এটা খুব ভাল উপায় | রসুনের গন্ধে মশা আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না | কয়েকটা রসুনের কোয়া একটু থেঁতো করে জলে ফুটিয়ে নিন | এরপর এই জল ঘরে স্প্রে করুন |

৮) টি-ট্রি অয়েল: এই তেলের গন্ধ আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি মশা তাড়িয়ে দেয় | টি-ট্রি অয়েল শরীরের খোলা অংশে লাগাতে পারেন বা কয়েক ফোঁটা তেল ভেপোরাইজারে দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন |

Labels: ,

উষ্ণ ও রঙিন যৌনজীবনের জন্য অপরিহার্য আমলকি

উষ্ণ ও রঙিন যৌনজীবনের জন্য অপরিহার্য আমলকি

আমলকির অসংখ্য গুণাগুণ আছে | তার মধ্যে একটা হল‚ এই ফল রিপ্রডাক্টিভ হেল্থ বা প্রজনন ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় |

আমলকি natural aphrodisiac -এর কাজ করে (কামনাকে বাড়িয়ে দেয়) | ফলে আপনার সেক্স লাইফের উন্নতি ঘটে | এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট বাড়িয়ে দেয় | তাই যাঁরা low sperm count এর সমস্যায় ভুগছেন নিয়মিত আমলকি খেলে উপকার পাবেন | দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার লিবিডো অনেকটা বেড়ে যাবে | এই ফল sexual vigor and virilityরও উন্নতি ঘটায় | এর প্রধান কারণ আমলকিতে আছে আয়রন আর জিঙ্ক |

শুধু পুরুষরা নয়‚ যে মহিলারা white discharge-এর সমস্যায় ভোগেন‚ আমলকি শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে মধু দিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন |
পুরুষরা আমলকির জুস সকালে খালি পেটে বা সন্ধেবেলায় খেতে পারেন | সেক্স লাইফ উষ্ণ এবং রঙিন করতে আমলকি পাউডার মিশিয়ে দুধ খেতে পারেন |
কিন্তু অবশ্যই একটা জিনিস মনে রাখবেন | এগুলো শুধুমাত্র ঘরোয়া টোটকা | যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না |

Labels: ,