Sunday, April 26, 2015

ডার্ক চকলেট নিয়ন্ত্রণ করে আপনার রাগ!

চকলেট খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সবাই কমবেশি চকলেট খেতে ভালোবাসেন। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ডার্ক চকলেট একজনের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে তাকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে।
 গবেষণাটিতে বলা হয় যে, ডার্ক চকলেটে থাকা পলিফেনল একজনকে শান্ত আর স্থির রাখে। তাকে কোনো পরিস্থিতিতেই উত্তেজিত হতে দেয় না।
মূলত প্রাকৃতিক কিছু গাছ গাছালিতে এবং মানুষের কিছু খাবারে এই পলিফেনল খুঁজে পাওয়া যায়। এই পলিফেনল মানবদেহে বিভিন্ন রোগ উৎপাদনকারী অক্সিডেন্ট স্ট্রেস কমিয়ে আনে। এটি বিভিন্ন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে বলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন।
অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ণ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা Matthew pase গবেষণাটির মূল গবেষক বলেন, ‘ চকলেট আসলে আমাদের মনের প্রশান্তি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে আর এটি সম্ভব একমাত্র কোকোয়া পলিফেনলের কারণে।’
গবেষণাটিতে ৪০-৬৫ বছর বয়সী ৭২ জন পুরুষ এবং নারী অংশগ্রহণ করেন যাদেরকে ৫০০ মিলি কোকোয়া পলিফেনল, ২৫০ মিলি কোকোয়া পলিফেনল অথবা ০ মিলি কোকোয়া পলিফেনল সমৃদ্ধ বিভিন্ন ডার্ক চকলেট খাওয়ানো হয়। এভাবে অনবরত ৩০ দিন পর্যন্ত তারা এই ডার্ক চকলেট খান।
দীর্ঘ ৩০ দিন পরে দেখা যায় যারা উচ্চ পলিফেনল সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট খেয়েছেন তারা অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি ধীর আর শান্ত স্বভাবের আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এভাবেই গবেষণাটিতে খুব সুন্দরভাবে উঠে আসে যে ডার্ক চকলেট কীভাবে একজনের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং তাকে শান্ত স্বভাবের করে তোলে।

Labels:

যে ১৫টি কারণে ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আপনি

রণের সমস্যায় আমাদের সবাইকেই কমবেশি ভুগতে হয়। কিন্তু যত যাই করা হোক না কেন, কখনো কখনো ব্রণের সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, কোনোভাবেই একে দমিয়ে রাখা যায় না। দেখে নিন কি কি কারণে ব্রণের উৎপাত আপনাকে সহ্য করে চলতে হচ্ছে।

১) বংশগতি 

টা এমন একটা ব্যাপার যাতে আপনার কোনোই হাত নেই। আপনার পিতামাতার যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনার এবং আপনার ভাইবোনেরও ব্রণের ঝক্কি পোহাতে হতে পারে।

 ২) মেন্সট্রুয়েশন

নারীদের মেন্সট্রুয়েশন বা পিরিয়ডের কয়েক দিন আগে ব্রণের উৎপাত হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হলো এ সময়ে অ্যান্ড্রোজেন নামক কিছু হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে ত্বকের তৈলগ্রন্থি থেকে বেশি তেল বের হতে থাকে। এর ফলে দেখা দেয় অনেক বেশি ব্রণ।

৩) বাজে আবহাওয়া

আবহাওয়া যখন আমাদের শরীর সহ্য করতে পারে না তখন ব্রণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময়টায় এটা হয়ে থাকে। অন্যরকম আবহাওয়ার এলাকায় ছুটি কাটাতে গেলেও এই সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।

৪) ওষুধের প্রভাব

অনেক সময়ে বিশেষ কোনো ওষুধ খাওয়া শুরু করার পর ব্রণ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে দেখে নিন ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাঝে ব্রণ বা অ্যাকনি হবার কথা আছে কিনা। দরকার হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওষুধ পরিবর্তন করে নিন।

৫) স্ট্রেস

অনেক সময়ে খুব দুশ্চিন্তা থেকে ব্রণ হতে পারে। লক্ষ্য করে দেখুন বড় কোনো ঘটনা যেমন অফিসের কোনও প্রেজেন্টেশন বা ইন্টারভিউ এর আগে আপনার ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায় কিনা। সেক্ষেত্রে দোষী হলো স্ট্রেস।

৬) খাদ্যভ্যাস

কিছু কিছু খাবার ব্রণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। যেমন দুগ্ধজাত খাবার, ক্যাফেইন, চিনি বা বাদাম। এসব খাবার আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন বা কমিয়ে ফেলুন। এর বদলে বাড়িয়ে দিন শাকসবজি খাওয়া এবং গ্রিন টি পান, যাতে আপনার ত্বক সুস্থ হয়ে উঠবে।

৭) ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেওয়া কসমেটিকস

মেকআপ করার জন্য আমরা যেসব কসমেটিকস ব্যবহার করি তাদের অনেকগুলোতেই থাকতে পারে এমন উপাদান যা ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ফলে তেল এবং ময়লা জমে তৈরি করে ব্রণ। যারা নিয়মিত ব্রণের শিকার হন তাদের উচিৎ এমন মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করা যাতে রোমকূপ বন্ধ না হয়।

৮) ঠিকভাবে মেকআপ না তোলা

লম্বা একটা দিনের শেষে অনেকেই ক্লান্তির দোহাই দিয়ে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতেও ত্বকে জমে যায় তেল এবং ময়লা আর ব্রণ দেখা দেয়।

৯) মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার না রাখা

মেকআপ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্রাশ ব্যবহার করি আর ভুলে যাই যে এগুলোকেও পরিষ্কার রাখাটা জরুরী। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এসব ব্রাশে জমে যায় ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া যা ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিতে যথেষ্ট।

১০) ঘুমের অনিয়ম

ঘুম কম হওয়া বা ঘুমের অনিয়ম হওয়া থেকে শরীরের কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বাড়ে স্ট্রেস আর দেখা দেয় ব্রণ।

১১) আপনার চুলে কি ব্যবহার করছেন?

হেয়ারলাইনের আশেপাশে ব্রণের উপদ্রব দেখা গেলে আপনার চুলে ব্যবহার করা সামগ্রীর দিকে নজর দিন। অনেক সময়ে দেখা যায় হেয়ারজেল, সিরাম এমনকি শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার হতে পারে ব্রণের কারণ। এসব সামগ্রী ব্যবহারের পর একটা ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

১২) আপনার কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট আপনাকে স্যুট করছে না

অনেক সময়ে ডিটারজেন্টের কিছু উপাদানের প্রতি অ্যালার্জি থাকে অনেকের। এসব ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ব্রণ হিসেবে। অনেক সময়ে সুগন্ধি-বিহীন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে এই সমস্যা কমে যেতে দেখা যায়।

১৩) মুখ ধোয়ার ভুল

খুব বেশি ঘন ঘন অথবা খুব কম মুখ ধোয়ার ফলে ব্রণ হতে পারে। এর জন্য দিনে দুই-থেকে চারবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস রাখুন।

১৪) টুথপেস্ট

অনেকে মনে করেন টুথপেস্ট ব্যবহারের ফলে ব্রণ কমে যায়। আসলে কিন্তু টুথপেস্টই হয়ে উঠতে পারে ব্রণের কারণ। ঠোঁটের চারপাশে ব্রণের উপদ্রব দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার টুথপেস্ট দায়ী।

১৫) নোংরা বিছানা

বিছানার চাদর এবং বালিশের কভারে জমে যায় ধুলোবালি এবং ব্যাকটেরিয়া যা ব্রণের কারণ হতে পারে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তত বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করুন।

Labels: , ,

যে ৫ টি লক্ষণে বুঝে নেবেন নষ্ট হয়েছে দেহের হরমোনের ভারসাম্য

প্রতি মাসেরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের শরীরে হরমোনের ক্রিয়াকলাপ বেড়ে যায়। এ সময়ে হরমোন তাদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার ওপর বেশ বড় প্রভাব রাখে।

পিরিয়ডের পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও মাঝে মাঝে দেখা যায় অকারণেই অনেক দিন ধরে রয়ে গেছে এসব উপসর্গ। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য এভাবে ব্যহত হবার পেছনে থাকতে পারে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা। বিশেষ করে পাঁচটি লক্ষণ দেখতে পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো।

অবসাদ

অবসাদের অনেক অনেক কারণ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্লান্তি মনে করে একে উড়িয়ে দেন অনেকেই। সারা সপ্তাহ কাজ বা পড়াশোনার ধকলের পর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক।
কিন্তু সারাক্ষণই ক্লান্ত থাকা এবং তার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়া, রুচির পরিবর্তন এবং বদহজমের উপসর্গ থাকলে তা হলে পারে আন্ডারঅ্যাকটিভ থাইরয়েডের লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্ত লাগলে ডাক্তারকে জানান।

ত্বকের অবনতি

ত্বকে ব্রণ ওঠার ব্যাপারটাকে অনেকেই হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের নিচের অংশে ব্রণ ওঠার সাথে শরীরে উঁচুমাত্রার টেস্টোস্টেরনের সংযোগ থাকতে পারে।

দ্রুত পশম/চুলের উদ্ভব

শরীরের এখানে সেখানে হঠাৎ করে পশম জন্মাতে শুরু করতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারণে। আর টেস্টোস্টেরন এভাবে বেড়ে যেতে পারে যদি শরীরে এক ধরণের টিউমার থেকে থাকে।

অনিয়মিত পিরিয়ড

অবসাদের মতই অনিয়মিত পিরিয়ডের পেছনেও থাকতে পারে অনেক কারণ। যেমন স্ট্রেস, থাইরয়েডের সমস্যা, ইস্ট্রোজেনের অভাব অথবা PCOS (polycystic ovary syndrome)।
PCOS এর লক্ষণ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড, অনিয়ন্ত্রিত ওজন বাড়া অথবা শরীরে পশমের আধিক্য। তবে পিরিয়ড অনিয়মিত হবার পেছনে এটাই কি কারণ কিনা তা জেনে নিতে হবে, এরপর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর প্রতিকার করা যায়।

ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া

ইলেক্ট্রিসিটি যদি চলে না যায় বা আপনার বেডরুম যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত গরম না হয়, তাহলে ঘেমে-নেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যাবার কারণ হতে পারে ইস্ট্রোজেনের অভাব এবং অনিয়মিত ডিম্বপাত।
এই জটিলতাকে বলা হয় পেরিমেনোপজ। মেনোপজ হবার মতো বয়স হবার আরও বছর দশেক আগেই দেখা দিতে পারে পেরিমেনোপজ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন সমস্যাটি আরও গুরুতর কি না।

Labels:

ঘরোয়া উপায়ে কমান ইউরিন ইনফেকশনের যন্ত্রণা

দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যা আসলে বাড়িতেই ছোটখাটো ওষুধ তৈরি করে সারিয়ে নেওয়া যায়। এমনই এক সমস্যা হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন যাকে আমরা ইউরিন ইনফেকশন বলে জানি। দেখে নিন এর কিছু ঘরোয়া প্রতিকার, যার জন্য দরকার হবে না কোনো প্রেসক্রিপশন।

১) পানি পান করুন প্রচুর

 ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি প্রথমেই আপনাকে বলবেন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে। এতে ব্যাকটেরিয়া সব দূর হয়ে যাবে সহজেই আর আপনাকে সারিয়ে তুলবে দ্রুত।

 ২) বাড়িয়ে তুলুন ভিটামিন সি গ্রহণের পরিমাণ

ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়ার সাথে যুদ্ধ করার জন্য শরীরকে উপযোগী করে তোলে। এর জন্য খেতে পারেন লেবু, কমলা, আমলকী, জাম্বুরার মতো মৌসুমি ফল। এছাড়াও সিভিট খেতে পারেন।

৩) ব্যথা কমাতে পারেন উত্তাপের সাহায্যে

তলপেটে সেঁক দিলে কমে যেতে পারে ইউরিন ইনফেকশনের ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া। তবে হট ওয়াটার ব্যাগের তাপমাত্রা কম রাখুন এবং ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে সেঁক দেবেন না।

৪) বেকিং সোডা

প্রস্রাবে খুব বেশি জ্বালাপোড়া হতে থাকলে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করতে পারেন।

৫) খাদ্যভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন

কফি, ধূমপান, ঝাল ও মশলাদার খাবার, ঝাঁঝালো কোমল পানীয় এবং আর্টিফিশিয়াল সুইটনার আপনার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব খাবার বাদ দিয়ে উচ্চ পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।

৬) বারবার টয়লেটে যাতায়াত করুন

যতবার আপনি মূত্রত্যাগ করবেন ততবারই কিছু না কিছু পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীর থেকে বের হয়ে যাবে।

Labels:

মিলনে অতৃপ্ত হলে কী করবেন?

যৌন মিলনে তৃপ্তি নেই? নিজেকে অসুখী মনে হয়? মনে হয় সুখের ভাণ্ডার অপূর্ণ রয়ে গেল? আপনি পুরুষ-মহিলা, যা-ই হোন না কেন, সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে কিন্তু আপনার মধ্যেই!

সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, মানসিক দোটানা, দ্বিধা, দোদুল্যমানতা কাটিয়ে আপনার সঙ্গীর কাছে মেলে ধরুন মনের খাতার পাতা, নিজের আবেগ-অনুভব উজাড় করে দিন তাঁর কাছে, দেখবেন যৌন জীবনে মজার রঙ কতটা বেড়ে গিয়েছে! মিলনের সুখের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে!
কানাডার ইউনিভার্সিটি দ্য মন্ট্রেলের মনস্তত্ব বিভাগের অধ্যাপক নাইলা আওয়াদা তাঁর গবেষণায় বলছেন, আপনি যত দোদুল্যমানতায় ভুগবেন, আপনার ভিতরে আবেগের স্রোত তত রুদ্ধ হবে, সঙ্গীর কাছে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন না, অদৃশ্য পাঁচিল তৈরি হবে দুজনের মাঝখানে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে মেডিক্যাল ডেইলিতে।
নাইলা জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে দম্পতিরা মন খুলে মনের ভিতর জমে থাকা আবেগ পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন, তাঁদের যৌন জীবন অনেক অনেক সুখের হয়। শরীর-মন থাকে সুন্দর, সতেজ।
এমনকী বিশেষত, শারীরিক মিলনের সময় যে মহিলারা যৌনাঙ্গের মুখে জ্বালা-যন্ত্রণা, অনুভব করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে তাঁদের খোলামেলা আবেগের লেনদেন হলে তাঁরাও মিলনে সুখ পান।।এই সমস্যাটিকে প্রোভোকড ভেস্টিবুলোডিনিয়া (পিভিডি) বলা হয়। নাইলা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন এমন ২৫৪ জন দম্পতির ওপর পরীক্ষা চালিয়ে যেখানে স্ত্রীর ‘পিভিডি’ রয়েছে।
নাইলা বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর ভিতরে আবেগের স্রোত শুকিয়ে গেলে, শারীরিক বা পারস্পরিক সম্পর্কজনিত জটিলতা থাকলে তা থেকে দু’জনের মধ্যেই নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতার জন্ম হয়।তা থেকেই ক্রমশ পরস্পরের কাছ থেকে দূরে সরে যান দুজনে। এক ছাদের তলায় থেকেও অচেনা হয়ে যান দু’জন দু’জনের কাছেই।

Labels: ,

পুরুষের শরীরের যে অঙ্গগুলো নারীরা অত্যাধিক পছন্দ করেন!

রতিটি পুরুষেরই জানতে ইচ্ছা করে যে তাদের শরীরের কোন কোন অঙ্গগুলোকে নারীরা অত্যাধিক পছন্দ করেন। এই বিষয়ে সম্প্রতি এক ছোট্ট গবেষণা করা হয়। গবেষণায় প্রায় ১০০ জন নারীকে এই প্রশ্নটি করা হয়ে থাকে যে পুরুষদের কোন কোন অঙ্গগুলো তাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দের। তাদের উত্তরের আনুপাতিক গড় হিসেবে নিচের অঙ্গগুলোর কথা উঠে আসে। চলুন জেনে নেয়া যাক:

১. চওড়া কাঁধ :

 বেশির নারীর মুখেই এই উত্তরটি শোনা যায় যে তারা পুরুষদের চওড়া কাঁধকেই অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাদের ভাষ্যমতে যার কাঁধ যত বেশি চওড়া হবে সেই পুরুষ তত বেশি হট আর সুদর্শন।

  ২. চওড়া বক্ষ :

পুরুষদের আকর্ষণীয় অঙ্গের মধ্যে আরেকটি হল তাদের চওড়া বক্ষ। অনেক পুরুষ আছেন যারা জিমে গিয়ে অস্বাভাবিক দেহ তৈরি করেন। এই ধরনের পুরুষের দেহ নয় বরং যাদের প্রকৃতিগতভাবেই চওড়া বক্ষ রয়েছে তাদেরই পছন্দ করেন নারীরা। এছাড়া চওড়া বক্ষের অধিকারী এসব পুরুষের স্তনের গড়নও তাদের বেশ ভালো লাগে। তারা যখন ঘামেন তখন তাদেরকে অনেক বেশি আকর্ষর্ণীয় লাগে বলে অধিকাংশ নারীরা জানিয়েছেন।

৩. আকর্ষণীয় পেশী :

পেশীবহুল পুরুষকে যে কারও দেখতে ভালো লাগে। তবে তৈরি করা অস্বাভাবিক পেশী অনেক নারীই অপছন্দ করেন। নারীরা বলেন, পুরুষকে তখনই অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখায় যখন নাকি তার পেশীবহুল বাহু টি-শার্টের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে।

৪. সুমিষ্ট ঠোঁট :

ঠোঁট যে শুধু নারীরই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে তা নয় একজন পুরুষেরও ঠোঁট অনেক বেশি আকর্ষণীয় আর সুমিষ্ট হতে পারে বলে এমনটা মন্তব্য করেন অনেক নারী। তবে বেশিরভাগ নারীই চিকন ঠোঁটের অধিকারী পুরুষদেরই বেশি পছন্দ করেন।

৫. জিহ্বা :

অবাক হওয়ার কিছু নেই পুরুষদের অঙ্গ নিয়ে নারীদের পছন্দের তালিকায় জিহ্বাও রয়েছে। আবেগঘন চুম্বনে বা শারীরিক মিলনের সময়ে জিহ্বার ভূমিকা অসাধারণ। তাই নারীদের অনেকেই পুরুষের এই জিহ্বাকে বেশ পছন্দ করে থাকেন।

৬. স্বাস্থ্যকর হাত :

অনেক পুরুষই আছেন যাদের বয়সের তুলনায় হাতের স্বাস্থ্যের গড়ন ঠিকভাবে হয়নি। অর্থাৎ তাদের হাতগুলো অনেকটা অস্বাস্থ্যকর মনে হয়। নারীরা পুরুষদের এমন বাহু একেবারেই পছন্দ করেন না। তারা স্বাস্থ্যকর হাত পছন্দ করেন যেখানে কোনো অতিরিক্ত মেদও থাকবে না পাশাপাশি একেবারেও রোগাও হবে না।

৭. আকর্ষণীয় হিপ :

নারীদের হিপের সৌন্দর্যের পাশাপাশি পুরুষের হিপের সৌন্দর্য থাকাও উচিত। হিপের স্বাস্থ্য বেশি কমও না আবার বেশি মেদযুক্তও না এমন ধরনের হিপ নারীরা পছন্দ করে থাকেন। সুতরাং দেখা যায় যে পুরুষদের অঙ্গের মাঝে হিপকেও অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন নারীরা।

৮. স্বাস্থ্যকর যৌনাঙ্গ :

স্বাভাবিকভাবেই নারীদের পছন্দের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষদের অঙ্গ হল স্বাস্থ্যকর যৌনাঙ্গ। ইঞ্চির হিসেবে এটিকে হতে হবে স্বাস্থ্যকর আর আকর্ষণীয়। যৌনাঙ্গের বিষয়ে নারীরা যে বিষয়গুলো চেয়ে থাকেন, লিঙ্গটি হতে হবে গন্ধমুক্ত, পরিস্কার, রোগমুক্ত আর উপভোগ্য শক্তিসম্পন্ন।

Labels: ,

ভায়াগ্রাযুক্ত কনডম

যৌন মিলনে কনডমে অনাগ্রহ অনেক পুরুষের। প্রচলিত মতে এটা মিলনের আনন্দ কমিয়ে দেয় অনেকখানি। তাই এবার কনডম নিয়ে নতুন গবেষণায় মেতেছেন গবেষকরা। এরইমধ্যে আবিস্কারও করে ফেলেছেন বিকল্প। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা মাসের।

ভায়াগ্রাযুক্ত কনডম

গবেষণা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু গর্ভধারণ রোধই নয়, ভয়াবহ সব যৌনরোগ প্রতিরোধে কনডম অপরিহার্য। কিন্তু তৃপ্তির কথা বলে অনেকে এটাকে এড়িয়ে যান। ফলে যৌনরোগ কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাড়ছে মরণব্যাধী এইডস রোগীর সংখ্যা। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে সিফলিস, গনোরিয়ার মতো মারাত্মক সব যৌনরোগ। তাই কনডমে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য নতুন পন্থা অন্বেষণে নামে গবেষকরা। এবার তাতে সফলতাও আসতে চলেছে।
এবার বাজারে আসতে চলেছে যৌনসুখ বৃদ্ধিকারী, চরম নিরাপদ জেন-ওয়াই ভায়াগ্রাযুক্ত কনডম। বিজ্ঞানীদের দাবি, ভায়াগ্রা সমৃদ্ধ এই গর্ভ নিরোধক একই সঙ্গে পরিবেশ অনুকূল এবং উত্তেজনা সহায়ক।

গবেষণাটি করছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়োলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। প্রচলিত উপায়ে ল্যাটেক্স নির্মিত কনডমের বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীদের দাবি, নবীন প্রজন্মের কথা ভেবে তৈরি এই গর্ভ নিরোধক যৌন মিলন আরও তৃপ্তিদায়ক করে তোলার পাশাপাশি পরিবেশ সহায়ক হিসেবেও সফল হবে।
কনডম তৈরির মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় ল্যাটেক্স। প্রযুক্তির সাহায্যে তা যথাসম্ভব পাতলা করে ত্বকের অনুভূতি কিছুটা বাড়ানো গেলেও সম্পূর্ণ দূর করা যায়নি। ওয়োলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ল্যাটেক্স-এর বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
জানা গেছে, তাদের তৈরি ভায়াগ্রাযুক্ত কনডম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে হাইড্রোজেল। উপাদানটি নতুন না হলেও অন্তত কনডম তৈরিতে কখনও ব্যবহার করা হয়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন, হাইড্রোজেল যেমন শক্তিশালী তেমনই পাতলা। ফলে এটি ত্বকের অনুভূতি সহায়ক। এছাড়া এতে থাকছে প্রয়োজনীয় ভায়াগ্রার প্রয়োগ যা যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করবে।
অত্যাধুনিক এই প্রকল্পের খরচ প্রধানত বহন করেছে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এইচআইভি-সহ বিভিন্ন মারণরোগ ঠেকাতে তথা কনডমের প্রতি মানুষের নেতিবাচক মনোভাব পাল্টাতেই এই উদ্যোগ।

Labels:

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌনতা সম্পর্কিত ৪০ টি প্রশ্নোত্তর

রশ্নোত্তরগুলো পূর্বে প্রকাশিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূত্র থেকে নেয়া যে সূত্রগুলো নীচে উল্লেখ করা হয়েছে। কারো মনে কোন প্রশ্নের উদ্রেক হলে অনুগ্রহ করে সোর্সগুলো দেখবেন। এখানে কোন প্রশ্নের যথার্থ উত্তর না থাকলে কমেন্ট করে সংশোধনী দেয়ার অনুরোধ থাকল।

১. আমি স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করতে গেলে কী সামনের দিক থেকেই করতে পারবো? পিছন দিক থেকে করা যাবে?
– আপনি সামনে এবং পিছনে উভয় দিক থেকেই সঙ্গম করতে পারবেন। তবে সঙ্গম অবশ্যই যোনীপথ দিয়ে করতে হবে।
২. আমি শুনেছি পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম। কথাটা কি সত্যি?
– হ্যাঁ, এটি সত্যি। মহানবী (সঃ) পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম করেছেন।
৩. আমার স্বামী প্রায়ই আমার সাথে জোর করে সঙ্গম করে। কিন্তু তখন আমার সঙ্গম করার ইচ্ছা থাকে না। এক্ষেত্রে কী করণীয়?
– এক্ষেত্রে করণীয় যে, আপনি আপনার স্বামীকে বোঝান যে, আপনার ইচ্ছা না থাকলে তখন তার বিরত থাকাই উত্তম। কারণ, এতে দুজনই সঙ্গমের পূর্ণ আনন্দ লাভে ব্যর্থ হয়। তখন সেই সঙ্গমটা একপক্ষীয় হয়ে যায়।
৪. আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে তার পুরুষাঙ্গ চুষতে বলে এবং আমার যোনী চুষতে চায়। কিন্তু আমার চুষতে ইচ্ছা করে না এবং আমারটাও চুষতে দেই না। খুব ঘৃণা লাগে। যদি গোপনাঙ্গ চোষা হয় তাহলে এতে কোন পাপ হবে কী?
– ইসলামে গোপনাঙ্গ চোষণ সম্পর্কে হাদিসে কোন সঠিক ব্যাখ্যা না থাকার ফলে এ আচরণকে হারামও বলা যাবে না, আবার হালাল ও বলা যাবে না। সুতরাং গোপনাঙ্গ চোষণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আপনাদের ওপর।
৫. আমার হস্তমৈথুন করার অভ্যাস আছে। এটা কী পাপ?
– ইসলামে হস্তমৈথুন সম্পর্কে হাদিসে কোন সঠিক ব্যাখ্যা নেই যে এটি হারাম নাকি হালাল। তবে যদি আপনি এটাকে পাপ মনে করে থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে হস্তমৈথুনের অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারেন।
৬. ইসলামে একজন পুরুষ দুজন নারীকে একসাথে নিয়ে সঙ্গম করতে পারবে কিনা?
– যেহেতু ইসলামে একই লিঙ্গের দুজন ব্যক্তি একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখতে পারবে না, সেক্ষেত্রে এ ধরণের সঙ্গমকে না বলাই ভালো।
৭. আমি এবং আমার স্ত্রী কী একসাথে গোসল করতে পারবো? এটা কি জায়েজ?
– হ্যাঁ, অবশ্যই পারবেন এবং এটি জায়েজ।
৮. আমি শুনেছি যে ইসলামে একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখা নিষেধ। কিন্তু আমার স্বামী আমার গোপনাঙ্গের দিকে তাকিয়ে সঙ্গম করে। এতে কী কোন সমস্যা হবে?
– স্বামী-স্ত্রী একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা নেই। তবে স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকিয়ে সঙ্গম করলে পুরুষের চোখের জ্যোতি কমে যায়।
৯. নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে অন্যদের সাথে খোলামেলা আচরণ করা কি ঠিক?
– না। এটি মোটেই ঠিক নয়। নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কথা অন্যজনদের না বলাই ভালো। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কথা বলতে পারেন।
১০. সঙ্গম করার পূর্বে কী শৃঙ্গার (ফোরপ্লে) করা জরুরী?
– হ্যাঁ। কারণ পুরুষদের যৌনইচ্ছা হঠাৎ করে আসে আবার হঠাৎ করে চলে যায় কিন্তু নারীদের যৌনইচ্ছা আস্তে আস্তে করে আসে আবার আস্তে আস্তে করে যায়। তাই সঙ্গমের পূর্বে শৃঙ্গার করা জরুরী।
১১. সঙ্গম শেষে কী নারীদের গোসল করা জরুরী?
– হ্যাঁ। শুধু নারীদেরই নয়, পুরুষদেরও গোসল করে পবিত্র হয়ে নেয়া জরুরী।
১২. কনডম ব্যবহার করে কী জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবে?
– যেহেতু মহানবীর যুগে কনডম আবিষ্কার হয়নি, তাই সেসময়ের আরবের লোকরা আল-আযল পদ্বতি ব্যবহার করতো, অর্থাৎ বীর্যপাত হওয়ার আগে যোনীপথ থেকে পুরুষাঙ্গ বের করে বীর্যপাত করতো। তবে যে আত্না আসার, সেটা আসবেই। তা যতই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্বতি অবলম্বন করা হোক না কেন। তাই কনডম ব্যবহার করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা আর না করা সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার।
১৩. আমার মাসিকের সময় আমার স্বামী প্রায়ই পায়ূপথে সঙ্গম করতে চায়। কিন্তু আমি বাঁধা দেই। আমি জানি যে, মাসিকের সময় এবং পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম। তবে স্বামী-স্ত্রীর জন্য এ আইন শিথিল কিনা?
– না। সঙ্গমের ক্ষেত্রে এ দুটো বিষয় কখনোই শিথিল নয়। এ দুটি বিষয় সম্পর্কে ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
১৪. স্বামী-স্ত্রী কি একে অপরের শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই।

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌনতা সম্পর্কিত ৪০ টি প্রশ্নোত্তর

১৫. ইসলামে সঙ্গমের জন্য কি কোন নির্দিষ্ট আসন রয়েছে?
– না। আপনি যেভাবে ইচ্ছা বা যে আসনে সঙ্গম করলে আপনাদের সুবিধা হয় সেসব আসন অবলম্বন করতে পারেন।
১৬. যেহেতু মাসিকের সময় সঙ্গম নিষেধ, সেক্ষেত্রে কী শৃঙ্গার করা যাবে?
– চাইলে শৃঙ্গার করতে পারেন, তবে তা চুম্বন, স্তন চোষা এবং টিপ দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ব রাখবেন।
১৭. আমার স্বামী আমার স্তনের বোঁটা চুষে এবং স্তন টিপে। এটা কী জায়েজ?
– হ্যাঁ। এটি অবশ্যই জায়েজ। তাছাড়া স্তন টিপলে প্রাকৃতিকভাবেই আপনার স্তন বড় হবে।
১৮. আমি কী আমার স্ত্রীর স্তনের দুধ খেতে পারবো? এটি কী জায়েজ?
– না। এটি জায়েজ নয়। যদি আপনি ইচ্ছা করে খান, তাহলে আপনার স্ত্রী আপনার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তাছাড়া স্তনের দুধ শুধুমাত্র সন্তানের জন্য, স্বামীর জন্য নয়।
১৯. সঙ্গমের সময় শরীরে কী একটু হলেও কাপড় রাখা উচিত?
– এটি রাখলে ভালো। তবে চাইলে পুরোপুরি উলঙ্গ হয়েও সঙ্গম করতে পারেন। সেটা আপনাদের ব্যাপার।
২০. স্বামী-স্ত্রী কী উলঙ্গ হয়ে বিছানায় শয়ন করতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই।
২১. বিছানা ছাড়া কী অন্য যে কোন স্থানে সঙ্গম করা যাবে?
– হ্যাঁ। তবে স্থানটি নির্জন হতে হবে এবং আপনাদের সঙ্গমের দৃশ্য যেন অন্যের দৃষ্টিগোচর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং স্থানটি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
২২. রোযা রাখা অবস্থায় কী সঙ্গম করা যাবে?
– না। এটি রোযা ভঙ্গের অন্যতম কারণ। যদি ভূলবশত রোযা রাখা অবস্থায় সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তা মনে পড়া মাত্রই দুজনে পৃথক হয়ে যাবেন। এরজন্য কোন কাজ্বা কাফফারার প্রয়োজন নেই।
22. সমাধান-ফরজ রোযা অবস্থায় যদি সঙ্গম হয়ে যায় এবং আপনারা সঙ্গম করার পর যদি আপনাদের রোযা থাকার কথা মনে পড়ে তাহলে শুধুমাত্র ফরয রোজার কাজ্বা করতে হবে। কোন কাফফারা দিতে হবে না। আর যদি আপনারা রোযার কথা জানা সত্বেও যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার কারণে সঙ্গম করে ফেলেন তবে ফরজ রোজার ক্ষেত্রে কাযা এবং কাফফারা দুটোরই করতে হবে।
২৩. আমি জানি যে, সন্তান জন্মের পরবর্তী ৪০ দিন পর্যন্ত সঙ্গম জায়েজ নয়। এটা কী সত্যি?
– হ্যাঁ। কারণ সন্তান জন্মের পরবর্তী ৪০ দিন পর্যন্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। তাই এ সময়ে সঙ্গম জায়েজ নয়।
২৪. হজ্জ বা উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থানকালে কী সঙ্গম করা যাবে?
– না। এটি জায়েজ নয়। কারণ ইহরাম অবস্থায় সঙ্গম করলে হজ্জ বা উমরাহ বাতিল হয়ে যাবে। তাছাড়া হজ্জ বা উমরাহ একটি ইবাদত এবং এটি ইসলামের পাচঁটি স্তম্ভের মধ্যে একটি।
২৫. ইসলাম কী সমকামী সমর্থন করে?
– না। কারণ, সমকামী পৃথিবীতে চলমান বংশবৃদ্বির ধারাকে রোধ করে।
২৬. ইসলামে কী গর্ভপাত করা হারাম?
– হ্যাঁ। তবে যদি এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, সন্তানকে বাচাঁতে গেলে মায়ের মৃত্যু হবে, তাহলে সেক্ষেত্রে গর্ভপাত করা জায়েজ।
২৭. স্বামী-স্ত্রী কী একে অপরের গোপনাঙ্গের লোম কাটতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই।
২৮. রোযা রাখা অবস্থায় আমি কী আমার স্ত্রীকে চুম্বন করতে বা জড়িয়ে ধরতে পারবো?
– যদি স্ত্রীকে চুম্বন করলে বা জড়িয়ে ধরলে যদি আপনার সঙ্গমের ইচ্ছা জেগে ওঠে বা যদি এ দুটি কাজ করার ফলে আপনার বীর্যপাত হয়, তবে তা আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়। যদি আপনি এ দুটি কাজ করার পরও নিজেকে সংযত রাখতে পারেন তবে এটি আপনার জন্য প্রযোজ্য।
২৯. সঙ্গমকালে কী সেক্সটয় ব্যবহার করা যাবে?
– করা যায়, তবে না করাই ভালো। প্রয়োজনে সেক্সটয়ের বিকল্প হিসেবে হাত ব্যবহার করতে পারেন।
৩০. সঙ্গম করার জন্য কি নির্দিষ্ট কোন সময় রয়েছে?
– না। আপনি যখন ইচ্ছা তখনই সঙ্গম করতে পারেন। তবে মধ্যরাতকে সঙ্গমের জন্য আদর্শ সময় হিসেবে বেছে নেন অধিকাংশ দম্পতি।
৩১. হিল্লা বিবাহ কী ইসলাম সমর্থিত?
– না। হিল্লা বিবাহ হারাম। এটি মূলত কোনো বিয়েই নয় বরং হিল্লা স্বামীর সাথে বিয়ে ও সঙ্গম করাও হারাম।
৩২. একই দিনে কী একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা যাবে?
– না। কোন স্ত্রীর সাথে যেদিন সঙ্গমের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না।
৩৩. নারীদের কী খৎনা করা জরুরী?
– নারীদের খৎনা করা কোন আবশ্যকীয় বিষয় নয়। পুরুষদের খৎনা করা সুন্নত। কিন্তু মহিলাদের খৎনা করা সুন্নত বা জরুরী কিছু নয়। এছাড়া হাদীস ব্যাখ্যাকারীগণও নারীদের খৎনাকে সুন্নত বা জরুরী সাব্যস্ত করেননি। তবে নারীদের খৎনা করতে বাধ্য করা জায়েজ নয়।
৩৪. একই দিনে কী স্ত্রীর সাথে একাধিকবার সঙ্গম করা যাবে?
– করা যাবে। যদি একই সময়ের মধ্যে একাধিকবার সঙ্গম করা হয় তাহলে সঙ্গম শেষে একবার গোসলই যথেষ্ট। আর যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে করা হয় তবে আলাদাভাবে গোসল করতে হবে। তবে আদর্শ হলো সপ্তাহে ২/৩ বার সঙ্গম করা।
৩৫. মুতা বিবাহ কী শুধুমাত্র শিয়া ইসলামের প্রচলিত?
– হ্যাঁ। এটি একসময় সুন্নি ইসলামে প্রচলিত থাকলেও প্রথমে মহানবী (সঃ) এবং পরবর্তীতে হযরত ওমর (রা) এটি নিষিদ্ব করেন। তবে শিয়া ইসলামে আজো মুতা বিবাহ প্রচলিত রয়েছে।
৩৬. গর্ভাবস্থায় কী সঙ্গম করা যাবে?
– যদি গর্ভাবস্থায় ভ্রণের কোন প্রকার ক্ষতি হবার আশঙ্কা না থাকে তাহলে তা খুবই সতর্কতার সাথে করা যাবে।
৩৭. স্ত্রীদের সঙ্গমবিহীন থাকার সাধারণ ধৈর্য সীমা কত মাস?
– সাধারণত চার মাস। তবে পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া এর বেশী সময় স্ত্রীদের সঙ্গম ছাড়া কাটানো ঠিক নয়।
৩৮. পুরুষাঙ্গ যোনীপথে প্রবেশ করানোর পর যদি বীর্যপাত না হয় তাহলে কী গোসল করতে হবে?
– হ্যাঁ। এটি ফরয। এছাড়া যদি পুরুষাঙ্গ যোনীপথে প্রবেশ না করেও অন্য উপায়ে (যেমনঃ হস্তমৈথুন) বীর্যপাত করা হয় তবুও গোসল করা ফরয।
৩৯. স্বামীর সাথে আমার সঙ্গম শেষ হওয়ার পরপরই আমার মাসিক শুরু হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কী গোসল জরুরী?
– না। এমন অবস্থায় গোসল জরুরী নয়। একেবারে মাসিক বন্ধ হবার পরই গোসল করে পবিত্র হতে হবে।
৪০. নগ্ন অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী আলিঙ্গন করলে যদি বীর্যপাত না হয়ে মযী বের হয় তাহলে কী গোসল করা ফরয?
– না। এক্ষেত্রে গোসল ফরয নয়। পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ওযূ করলেই যথেষ্ট।

Labels:

যে কারনে আপনি পুরুষত্ব হারাচ্ছেন

পৃথিবীজোড়া পুরুষেরা হারাচ্ছেন নিজেদের পৌরুষত্ব। শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক মর্যাদার দিক দিয়ে নিজেদের পূর্ব অবস্থান হারিয়ে ফেলছেন পুরুষেরা। কিন্তু কেন ঘটছে এমনটা? আসুন দেখে নেওয়া যাক কারণগুলো।

যে কারনে আপনি পুরুষত্ব হারাচ্ছেন
কমে যাচ্ছে ফার্টিলিটি
 ফার্টিলিটি বা উর্বরতা কমে যাওয়া আধুনিক সমাজে পুরুষদের মধ্যে ক্রমাগত দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে। স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার এই ব্যাপারটার পেছনে কারণ হিসেবে অতিরিক্ত কীটনাশক একটি কারণ। ‘এন্ডরফিন’ নামের হরমোন কমিয়ে দিতে সক্ষম রাসায়নিক যেমন বিসফেনল এ-সহ আরও অনেক রাসায়নিক, কৃত্রিম পদার্থ আমাদের দেহে ঢুকছে খাদ্য এবং জলের মাধ্যমে।

রাসায়নিক প্রভাবে পুরুষদের মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে “নারীত্ব”
 ফথ্যালেট নামের এক ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে বেশি সময় কাটানোর কারণে পুরুষদের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ কমে যাচ্ছে এবং যৌনাঙ্গে দেখা দিচ্ছে অস্বাভাবিকতা। বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকে এসব ফথ্যালেট পাওয়া যায়। এমনকি গর্ভে অবস্থান করার সময়ে মায়ের শরীরেও যদি এর প্রভাব পড়ে, তবে ছেলের মধ্যে পুরুষসুলভ আচরণের ঘাটতি থাকবে।

পুরুষ “রোল মডেল” এর অবক্ষয়
 আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও টেলিভিশনে মূল চরিত্রে দেখা যেত এমন সব পুরুষ চরিত্রকে যাদের দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারত তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রেই পুরুষদের উপস্থাপন করা হয় মাথামোটা, কিছুটা নির্বোধ হিসেবে আবার কিছু ক্ষেত্রে তাদেরকে উপস্থাপন করা হয় যৌন নির্যাতনকারী হিসেবে। এসব দেখে যেসব ছেলেরা বড় হচ্ছে তারা মনে করছে এমন হওয়াটাই বুঝি স্বাভাবিক!

“মেট্রোসেক্সুয়াল” অস্থিরতা

এখনকার সামাজিক অবস্থার কারণে, ভদ্র এবং নম্র দেখানোর চেষ্টায় অনেক পুরুষই পরিণত হয়েছেন “মেট্রোসেক্সুয়াল” মানুষে। এই পুরুষেরা একই নারীর সঙ্গে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার চিন্তায় শঙ্কিত হন এবং বারবার সঙ্গিনী পরিবর্তন করেন। ফলে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা এবং নারীরাও জীবনে স্থায়ী হবার জন্য উপযুক্ত পুরুষসঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। এসব পুরুষেরা একেবারেই ভুলে যান যে, অনেক সঙ্গিনীর রেকর্ড থাকা নয় বরং একজন নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটাই আসলে পৌরুষত্বের লক্ষণ।

নারী-পুরুষ সমান সমান

লিঙ্গ-বৈষম্যের কারণে নারীরা সব সময়েই পুরুষের চাইতে কম বেতন পায়- এ ধারনাটি বদ্ধমূল হয়ে গেছে আমাদের মধ্যে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরুষের বেতন কিছুটা বেশি হওয়ার পিছনে রয়েছে এমন সব কারন যেখানে বৈষম্যের কোনও চিহ্নই নেই। পুরুষরা অনেক সময়ে রাত করে অথবা বেশ সময় ধরে কাজ করেন যা নারীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে পুরুষের কিছুটা বেশি বেতন পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এমনকি অনেক সময়ে দেখা যায়, পুরুষদের অনেক কম বেতনে অনেক বেশি খাটিয়ে নেওয়া হচ্ছে যার ফলে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম হতাশা।

পারিবারিক নির্যাতনকে হেলাফেলা নয়

 পরিবারের কোনও এক সদস্যের হাতে নির্যাতনের শিকার হলে একজন নারী বিভিন্ন সংগঠনের কাছে সাহায্য পেতে পারেন। কিন্তু একজন পুরুষ যদি পরিবারে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন তবে তার জন্য কি আছে? বলতে গেলে কিছুই নেই।

Labels: ,