Saturday, January 24, 2015

আপনি কি হিজড়া জন্ম হওয়ার কারন জানেন ?

হিজড়া
আমরা বিভিন্ন সময় রাস্ত- ঘাঁটে,ট্রেন এ হিজরা দেখি ভিক্ষা করতে। তাদেরকে দেখে আমরা অস্বস্তি বোধ করি।হিজড়া জন্ম হওয়ার কারনঃ

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)

বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের

সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস

(রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন

এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন

যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোণ মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব করা হলে সয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা অই মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)।

প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল-

আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম,হাকিম তিরমিজি।

কিন্তু ক্যানও তারা ভিক্ষা করে জানেন? তারা দুবেলা-দুমুঠো খাবার এর জন্য

আমাদের কাছে ভিক্ষা করে,

তাদেকে ছোট করে দেখা ঠিক না।

এই সভ্য জগতে আমরা তাদের কে নিয়ে হাসি-তামাশা করি।

তাদের এই অবস্থার জন্য

তো তারা দায়ী নয়, তবু ক্যানও

তারা আজও অবহেলায়?

আজ যারা এই পোস্টটি পড়েছেন

তাদের প্রতি অনুরোধ

রইলো হিজড়াদের প্রতি তাদের যেন একটু হলেও মানবতা বোধ জন্মায়।

Labels:

স্বাস্থ্য বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল



কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:

দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।

হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।

হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।

অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।

বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।

স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।

বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
 
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf
কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা অনুভূতির আবির্ভাব হয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূহলের উদ্রেক করে। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আপনার? চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারে:
দীর্ঘ জীবন লাভ:
কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কম থাকে:
যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।
হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।
<a href='http://financesbd.com/rs/www/delivery/ck.php?n=af3f1f03' target='_blank'><img src='http://financesbd.com/rs/www/delivery/avw.php?zoneid=17&n=af3f1f03' border='0' alt='' /></a>
হাড় শক্ত হয়:
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:
কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে :
জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিষণ্ণতা কমায়:
একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:
যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।
বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:
সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী। উর্বশী
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০১৪/২০.২০/আরিফুল ইসলাম
- See more at: http://www.newsevent24.com/2014/11/30/health/162258#sthash.z9nezZJn.dpuf

Labels: ,

কাম রস কি ? এবং কেন ?

কাম রস হচ্ছে প্রাক-চরমানন্দ-তরল। এটি স্বচ্ছ পানির রঙের আঠালো তরল, যা যৌন চিন্তা/লিঙ্গত্থানের পর পুরুষাঙ্গ থেকে নিঃস্বরিত হয়। কাম রসকে ইংরেজীতে প্রি-কাম, ডগ ওয়াটার কিংবা স্পিড ড্রপ ও বলা হয়। কাম রস এবং বীর্য প্রায় একই প্রকার তরল। এতে শুধু কিছু রাসায়নিক পার্থক্য আছে। এই তরলের পরিমান ব্যক্তিভেদে পার্থক্য হয়। অনেক পুরুষের এটি বিন্দুমাত্রও নির্গত হয়না আবার অনেকের তা ৫ মিঃলিঃ পর্যন্ত হতে পারে।

কাম রসের কাজ সমুহঃ

অম্লিক পরিবেশ শুক্রানুর জন্য ক্ষতিকর। প্রস্রাবের ফলে মুত্রনালীতে কিছুটা রাসায়নিক পদার্থ থেকে যায়। কাম রস সেসব অপ্রয়জোনীয় রাসায়নিক পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে শুক্রানুর জন্য নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে।
 অপরদিকে নারী যোনী সাধারনত অম্লিয় (এসিডিক), তাই মুল বীর্যপাতের আগে এ তরল যোনীতে প্রবেশ করে যৌনাঙ্গের ভিতরের পরিবেশকে স্বাভাবিক করে যাতে বীর্যের সাথের শুক্রানু যোনীতে জীবিত থাকে।
 এটি যোনীপথকে পিচ্ছিল করার জন্য লুব্রিকেটর হিসাবে কাজ করে।

সমস্যা সমুহঃ

যদিও কাম রস পরিমানে অতি সামন্য তবুও এর সাথে পুর্বের কিছু শুক্রানু (এমনকি একদিন পুরানো) বেরিয়ে আসতে পারে। তাই নারী-পুরুষের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ যে কাম রস যোনীতে প্রবেশ করলে এর থেকেও গর্ভধারন হয়ে যেতে পারে।
 কাম রস থেকেও এইডস সহ অন্যান্য যৌন বাহীত রোগ (STD) ছড়াতে পারে।।

অন্যান্য দিকঃ

বিরল ক্ষেত্রে কোন পুরুষের হয়তো অতিমাত্রায় কাম রস নির্গত হতে পারে। যদি এমনটি দেখা যায় তবে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে পারেন আপনি। ডাক্তার ডায়াগনিসিস করে সঠিক কারন বলতে পারবে। তবে যদি কারো এ রস একটুও নির্গত না হয় তবে তা কোন বড় সমস্যা নয়। আলোচ্য ব্যাক্তি মিলন সহজ করার জন্য ঔষধের দোকানে প্রাপ্ত লুব্রিকেটর ব্যবহার করতে পারেন।
 কাম রসে সাধারনত কোন শুক্রানু থাকে না। তবে পুর্বের মিলন কিংবা হস্তমৈথুন এর পর যে কিছু শুক্রানু অন্ডকোষে রয়ে যায় তা মনির সাথে বেরিয়ে আসে। প্রস্রাবের সাথে সব শুক্রানু কিন্তু বেরিয়ে আসেনা।

ইসালামে কাম রসঃ

কাম রস মুলত শরীরকে নাপাক করে না। মানে বীর্য নিঃস্বরিত হলে পবিত্রতার জন্য যেমন পুর্ন গোসল করতে হয়, কিন্তু কাম রস নির্গত হলে গোসল করতে হয়না। শুধু যে অঞ্চলে কাম রস লেগেছে সে অঞ্চল ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।

Labels:

ইসলামে নিষিদ্ধ চারটি সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার


লেখাটি লিখবো কিনা এ নিয়ে দুমিনিট ভাবছি। কারণ জ্ঞানীরা বলে গেছেন, “ ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।“ ইদানীং নারী পুরুষের বিবাহিত সেক্সুয়াল লাইফ এ কিছু কিছু সমস্যা প্রকট আকারে সামনে চলে এসেছে। বিবাহিত জীবন গড়াচ্ছে ডিভোর্স পর্যন্ত। অস্বাভাবিক সেক্সুয়াল লাইফের বলি হিসেবে মহিলারা মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা পি, আই, ডিতে ভুগছেন। মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ফেইলুরের পর সার্জারি করেও শেষ রক্ষা হয়না। ব্যথা ময় এক জীবন বয়ে বেড়ান।

পুরুষ নারী নির্বিশেষে যৌন বাহিত অসুখবিসুখ তো আছেই। আর মনের উপর যে ভয়াবহ চাপ পড়ে মেন্টাল ট্রমা তৈরি হয় সে প্রসঙ্গ নাই বা বললাম, মনের ব্যাপারটাতো চির উপেক্ষিত আমাদের সমাজে।

কথা হল, একজন কনজারভেটিভ আর নতুন প্র্যাকটিসিং মুসলিম সর্বোপরি একজন ডাক্তার হিসেবে সমস্যাগুলো দেখে, রবি গুরুর ব্রজেশ্বরের মত জঞ্জাল দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যাব, নাকি সুকান্তের মত, “প্রাণ পণে সরাব জঞ্জাল”?

আসলে সময় এসেছে কিছু কিছু ব্যাপারে শালীনতার মধ্য থেকেই আলোচনা করার। কারণ আমরা অনেক কিছুই জানিনা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন, দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশুনা করে এইছ, এস, সি পাশ দিলেও কেউ না পারে ইহকালে রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করতে, আর না হয় তার নৈতিক জ্ঞান ,যা দিয়ে সে বাকি জীবন সঠিক ভাবে চলার দিক নির্দেশনা পাবে। মাছি মারা কেরানী ছাড়া আর কিছুই হতে পারিনা আমরা; পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় ও নৈতিক বিষয়টি কোন স্থান পায়না। তাই আমাদের জ্ঞানের অভাব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যতার উপরেই বর্তায়।

তবুও একটি আশাবাদী কথা দিয়েই শুরু করি। আপনি কি জানেন? মুসলিমদের সেক্সুয়াল লাইফকে মেডিকেলে খুবই এপ্রিশিয়েট করা হয়। গাইনি মেডিকেল বই এ মুসলিম সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের প্রশংসা করে লেখা থাকে, “মুসলিম ছেলেদের সারকামসেশন (মুসলমানি) করা থাকে তাই তাদের স্ত্রীর অমুক অসুখ কম হয়। অথবা সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স এ মুসলিম রা অমুক নিয়মটি ফলো করে তাই তাদের অমুক অসুখটি কম হয়।”

“মুসলিমদের কি সেক্সের আলাদা নিয়ম আছে?” ঝট করে প্রশ্নটি মনে জাগে।

আমার পরম শ্রদ্ধেয় সার্জারির প্রফেসরের উক্তি মনে পড়ে গেলো। সদা হাস্যময়ী স্যার বলেছিলেন, “Breast feeding (নবজাতকের মায়ের দুধ পান করা) & Sexual intercourse (সেক্স করা) reflexly মানুষ শিখে যায়, এটা কাউকে শিখাতে হয় না। “

এখানেই কথা আছে কিন্তু। রিফলেক্সলি ঠিক জিনিসটি শিখার আগেই প্রযুক্তির অকল্যাণে বিধ্বংসী কিছু পারভার্সন ঢুকে গেছে স্বাভাবিক যৌন জীবনে।

কিভাবে? ইন্ডিয়ার কিছু চটি সাইট আছে ওগুলোর মূল ভিজিটর বাংলাদেশি। আর ইন্ডিয়ান ভিজিটর বাংলাদেশের ভিজিটরের অর্ধেকের ও কম। আর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গুলোর মূল ভিজিটর আসে অশালীন রগরগে সংবাদগুলো থেকে। তারা দেশে এরকম সংবাদ না পেলে বিদেশ থেকে সংবাদ আমদানি করে।

লক্ষ্য করে থাকবেন এই রোজার মাসেও ভিজিটরের লোভে সানি লিওনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত হয়নি। মোবাইলে মোবাইলে অশালীন ভিডিও সহজে কিনতেও পাওয়া যায় যারা নেট ইউজ করেনা তাদের সুবিধার জন্য।

তাহলে বুঝাই যায় মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া শর্তেও পর্ণোগ্রাফী বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। আর পর্ণো পড়ার সময় বা দেখার সময় আমাদের কয়জনের মনে থাকে, এগুলি কিন্তু গুনাহ। চোখের ব্যভিচার।

এই সহজলভ্য পর্ণো আর চটিসাইট গুলো মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবন কে অস্বাভাবিকতা দিয়ে রিপ্লেস করে দিয়েছে। সংসার জীবনে নেমে এসেছে অশান্তি ।
 “ভালবেসে স্ত্রীর দিকে তাকালেও সোয়াব” এই সব হাদিস উঠে গিয়ে এসেছে, “LOVE করে আর লাভ নেই রে পাগলা।”

মানুষ সেক্সুয়াল লাইফ নিয়ে পুরোই বেদিশা। তারা শুধু ছুটছে। “কই আমিতো পর্ণো ছবির পুরুষ বা মহিলাটির মত আনন্দে আত্মহারা হলাম না। হয়ত আমার ওয়াইফ বা হাসবেন্ড ঠিক পারছে না। কোথায়? কোথায় আছে সেই সোনার হরিণ। কোথায় সেই আনন্দের ফোয়ারা? সবাই পায়, আমি পাই না কেন?”

বিবাহ বহির্ভূত সেক্স, হোমোসেক্সুয়ালিটি, এনাল সেক্স মহামারির মত ছড়িয়ে গেছে।
 দুনিয়াতে এত মজা নিলে আখেরাত কিন্তু অন্ধকার। আজ আমরা জানবো ইসলামে সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার এ ৪ টি নিষিদ্ধ ক্ষেত্র।
 EXtramerital sex
 Sexual intercourse during menstruation and Puerperium
 Homosexuality
 Anal Sex

# Extramerital sex
 বিবাহ বহির্ভূত সেক্স– এর কারণে সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, মোনিলিয়াসিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি সমস্যা আর তাদের কমপ্লিকেশন তো আছেই। সারভাইক্যাল ক্যন্সার (জরায়ু মুখের ক্যান্সার) যার মূল কারণ হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস তাও ট্রান্সমিট হয়। আর ঘাতক ব্যাধি এইডস তো আছেই।

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, “তোমরা ব্যভিচারের নিকটেও যেওনা , কারণ এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ।” ( সূরা বনী ইসরাইল, ৩২)

# যে মুহাররামাত মহিলার সাথে যিনা করবে তার হুকুম :

যে ব্যক্তি কোন মুহররামাত (যাদেরকে বিবাহ করা হারাম) যেমন– আপন, বোন, কন্যা ও বাবার স্ত্রী ইত্যাদি এর সাথে হারাম জানা স্বর্তেও যিনা করবে তাকে হত্যা করা ফরজ।

বারা ইবনে আজেব (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমার চাচাকে ঝান্ডা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বললাম কোথায় চলেছেন? তিনি বললেন-আমাকে রাসুল করিম (সাঃ) প্রেরণ করেছেন ঐ মানুষের নিকট যে তার বাবার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে। তিনি ( সাঃ ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য। (সহীহ হাদিস, তিরমিজি হাদিস নং ১৩৬২, নাসাঈ হাদিস নং ৩৩৩২)।

তাহলে ইনচেস্ট (Incest) ভর্তি পর্নো চটি সাইট গুলো আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য বাহী মূল্যবোধ সম্পন্ন সম্পর্ক গুলোকে কোথায় নিয়ে চলেছে?

# Homosexuality (সমকামিতা)
 লূত (আঃ) এর সময়ের আগে পৃথিবীতে হোমোসেক্সুয়ালিটি ছিলনা। সমকামিতা চরিত্র আর স্বভাব বিধ্বংসী এক জঘন্যতম অপরাধ ইসলামের দৃষ্টিতে। লূত (আঃ) এর জাতি এ অপকর্ম করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন। তাদের উপর পাথর বৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন। এ ছাড়া শেষ বিচারের দিনেও তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “এবং আমি লূতকে পাঠিয়েছি। যখন সে নিজ জাতিকে বলল- তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে গোটা বিশ্বের কেউ করেনি? তোমরাতো কামবশতঃ পুরুষের নিকট গমন কর মহিলাদের ছেড়ে। এবং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছো। [সূরা আরাফ ৮০-৮৪]

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন- “অবশেষে যখন আমার আদেশ পৌঁছল , আমি উক্ত জনপদকে উপুড় করে নীচ করে দিলাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর পাথর বর্ষণ করলাম। যার প্রতিটি তোমার রবের কাছে চিহ্নিত ছিল। এবং পাপিষ্ঠ দের কাছ থেকে বেশি দূরেও নয়। “(সুরা হূদ ৮২-৮৩)

আর রাসুল (সাঃ) বলেন, “তোমরা লূতের জাতির কর্ম অবস্থায় যাকে পাবে তার কর্তা এবং কর্ম উভয়কে হত্যা করবে।(সহীহ হাদিস আবু দাউদ হাদিস নং ৪৪৬২ , তিরমিযী হাদিস নং ১৪৫৬)

হোমোসেক্সুয়ালিটি জন্মগত ভাবে আসে, হোমোদের এমন আজব কথা তাদের নিজেদের আবিষ্কার।

# Anal sex
 Anus (মলদ্বার) অনেক রকম মাইক্রোওর্গানিজম দিয়ে পূর্ণ। আনহাইজিনিক সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের কারণে ফিমেল পার্টনার ভয়াবহ রকমের পি, আই, ডি তে আক্রান্ত হয়ে যায়। এনাল ফিসার, পাইলস হবার ঝুঁকি বাড়ে। এনাল স্ফিংটার এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়।

হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে এনাল সেক্স (নিতম্বে সহবাস) করবে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না ।”(নাসাঈ আল ইশ্রাহ ২/ ৭৭- ৭৮/১ ; তিরমিযী ১/২১৮)

হাদিসে আরো আছে, “যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করবে সে লা’নত প্রাপ্ত” (আবু দাউদ ২১৬২, আহমদ ২/ ৪৪৪, ৪৭৯)

# Sexual intercourse during menstruation and puerperium –(পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আর সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০ (৪৫) দিনের মধ্যে সহবাস)
 পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নরমাল ডিফেন্স মেকানিজম নষ্ট হয়ে যায়। মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একই ঘটনা ঘটে সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০-৪৫ দিন। আর এসময়ের সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রজনন অঙ্গ গুলোতে ভয়াবহ ইনফেকশন ঘটায় লোকাল অর্গানিজম।

স্ত্রীর হায়ে্য (পিরিয়ড) চলাকালীন তার সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য হারাম। (ফথুল কাদীর, ১/২০০)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তারা তোমার নিকট হায়ে্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে। তাহলে বলে দাও এটা অশুচি বা কষ্ট। কাজেই তোমরা হায়েয চলাকালীন সময় সহবাস থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাস করবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন তারা ভালোভাবে পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের নিকটে যাও যেভাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদের ভালবাসেন। (সুরা আল বাকারাহ ২২২)

এ প্রসঙ্গে রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি হায়েযাহ নারীর সাথে বা তার নিতম্বে সহবাস (এনাল সেক্স) করে, জ্যোতিষীর নিকট যায় আর জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে তাহলে সে মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতি কুফরি করল।”

তাহলে এই হল চারটি বিধি নিষেধ।

উপসংহার হিসেবে কয়েকটি কথা বলি। জাতি হিসেবে আমরা হীন মন্যতায় ভোগা জাতি। নিজের দেশ ভাল লাগে না। গরীব। নিজের ভাষা ভাল লাগে না। টিভি, এফ,এম রেডিওতে বাংরেজি ভাষায় কি যে কথা বলি আমরা নিজেদেরই বুঝতে কষ্ট। নিজের সংস্কৃতি ভাল লাগে না। সেদিন দেখলাম এক টিভি চ্যানেল নাম ৭১, ফিমেল নিউজ প্রেজেন্টার শার্ট, কোর্ট পরে খবর পড়ছেন। এটা কি আমাদের নতুন সংযোজিত বাঙ্গালী সংস্কৃতি কিনা জানি না। আমাদের নিজেদের ধর্ম ও ভাল লাগে না। দু কলম পড়াশুনা করে অনেকেই নিজের ধর্মকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে নামাজ, রোজাকে শিকেয় তুলে রেখেছেন। আমাদের ধর্ম বাস করে ঈদের বিপণী বিতানে, পোশাক কেনার মধ্যেই আমাদের ঈদ। কোরবানির সময় বড় ধার্মিকতার পরিচয় দিয়ে লাখ টাকার গরু, উট কুরবানি দিই নাকি জবাই দেই। শ্বশুর বাড়ি থেকে কি পশু পাঠাল কুরবানি দেয়ার জন্য তার হিসেব করি।

এই অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে নিজের পরিচয় নিয়ে গর্ব করার মানুষিকতা তৈরি হোক আমাদের। জন্মসূত্রে পাওয়া মুসলিম পরিচয় কে শানিত করে প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হয়ে উঠার তৌফিক আল্লাহ যেন আমাদের দেয়। ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে বাংলাদেশি প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হোক আমাদের পরিচয়।

অত্যন্ত ব্যথাতুর লাগছে এটা ভাবতেই যে পবিত্র রমজান মাস শেষের দিকে। এই পবিত্র সময়ে নিজের কাছে নিজেই অঙ্গীকার করি, ইসলামের আলোর নীচে আসার। দেখেন, চীনের মুসলিমদের এবার জোর করে রোজা ভাঙ্গানো হয়েছে। রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে দেশে। গাজায় শত শত মুসলিম মারা যাচ্ছে। শিশুদের সারি সারি লাশ দেখে দুঃখে মন ভরে যায়। আফগানিস্তানে ও দেশীয় সন্ত্রাসীদের হাতে শত শত মুসলিম মারা গেছে।

সে তুলনায় আমরা আল্লাহর করুণা ধারায় বাস করছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানানো দরকার। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা যে যে অবস্থায় আছি না কেন ,আল্লাহ যেন আমাদের উপর তাঁর রহমত বর্ষণ করেন। আমাদের দুঃখ দূর করে দেন। শান্তি ও কল্যাণের মধ্যে আমাদের রাখেন। বালা মুসিবত, অসুখ বিসুখ দূর করে দেন। আমাদের ঈমানী জোর বৃদ্ধি করেন। বিপদে ধৈর্যধারণের তৌফিক দেন। সারা জাহানের সমস্ত মানুষের কষ্ট দূর করে দিন। একজন জীবন্মৃত কে প্রাণচঞ্চলতা দান করুন। আমিন

Labels: ,

প্রথম মিলনে রক্তক্ষরন প্রসঙ্গেঃ ভুল ধারনা


সব সময় প্রথম মিলনে রক্ত বের হয় না। নারীর যৌনাঙ্গে স্বতিচ্ছদ নামের পর্দা৯/১০ বছর বয়সে সাঁতার কাটা কিংবা খেলাদুলা করার সময় আপনা থেকেই ফেটে যেতে পারে। তাই রক্ত বের হবার সাথে একজন নারীর স্বতিত্ব জড়িত নয়। আবার অনেকে মনে করেন প্রথমদিন স্ত্রী মিলনকালে কান্নাকাটি- চিল্লা-পাল্লা না করার মানেই হলো সে অভ্যস্থ ছিল (অর্থাৎ আগে অন্যের সাথে শাররীক সম্পর্ক ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি..) বিধাতা নারীর যৌনাঙ্গকে এমনভাবেসৃষ্টি করেছেন “যেন এটি যেকোন আকারের লিঙ্গকে গ্রহন করতে পারে”।একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীমোটা/চিকন/ লম্বা/খাটো সব লিঙ্গের চাপ সইতে পারেন। যদি মিলনের পুর্বে নারী ঠিক মত উত্তেজিত হয় তাহলে যোনীতে যে পিচ্ছিল রস নিঃসরন হয় তা মুলতঃ ব্যথামুক্ত মিলনের জন্যই হয়ে থাকে। যেখানে বিধাতা নারীকে ব্যথামুক্ত মিলনের জন্য এমন সৃষ্টি রহস্য জুড়ে দিয়েছেন সেখানে আপনি কেন চাইবেন যে মানুষটি সম্পুর্ন জীবন কাটানোর জন্য আপনার ঘরে এসেছে – তার শুরুটা হউক কষ্টকর অভিজ্ঞতা দিয়ে? অনেক নারীই মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। এমনকি বিয়ের ১০/১৫ বছর পরও। তবে সবাই চিৎকার চেচামেচী করেন না। নিরব থাকার মানে এটা নয় যে নারী আগে থেকে যৌনকাজে অভ্যস্থ। তবে অনেক নারী চালাকি করে প্রথমদিকে এমন ভাব করেন যেন তিনি সইতে পারছেন না!

অতএব ব্যথাপাওয়া না পাওয়ায় নারীর সতিত্ব প্রমান হয়না। আরো মজার ব্যপার হলো নারীর যোনী ৪৫ ডিগ্রি কৌনিক অবস্থায় থাকে এবং উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গও ৪৫
 ডিগ্রিতে উর্দ্ধমুখী উত্থান হয়। ফলে অনায়াসে মিলনকাজ সম্পর্ন করা যায়। এ নিখুত সৃষ্টি রহস্য বিধাতাই আমাদের শরীরে রেখেছেন।

সবাছে জরুরী যে বিষয়ঃ স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কে দুই জিনিস থাকলে সংসার টিকবে না – টিকলেও অশান্তির বাসা হবে।

১. অহংকার (যদি বউ মনে করে আমি তার চেয়ে বেশি যোগ্য – কিংবা স্বামী মনে করে সে আমার তুলনায় নিন্ম; এসব কারনেই ন্যান্সির মত গায়িকা-নায়ক-নায়িকাদের বিয়ে টিকেনা।)

২. অবিশ্বাস!!!!!!! !!!: অবিশ্বাসআর ভালবাসা একত্রে বসত করেনা। আমাদের দেশে অনেক মেয়ে বিয়ের সময় মুখে কবুলও বলেনা। আর কাগজে রেজিষ্ট্রি সমাজকে দেখানোর জন্য। বিয়ে মুলত হয় মনআরমনের।
 যে পৃরুষ বিয়ের দিনেই বউকে সামান্য ভুল ধারনার কারনে অবিশ্বাস করতে শুরু করে তার ভবিষ্যত কতটা অসুখের তা কল্পনা করতে গা শিউরে উঠছে! ভাই যাকে নিয়ে আমার সারা জীবন পথ চলতে হবে অজ্ঞতা বশত তাকে যদি সন্দেহ করা শুরু করি তবে বিয়ে করার কি দরকার ছিল?

সবকথার শেষ কথা “বিশ্বাস করতে এবং বিশ্বাস রাখতে শিখুন – সুখি থাকবেন” মেয়েরা – দয়াকরে মাত্র ১০/১৫ মিনিটের শাররীক আনন্দের জন্য সারাজীবনের জন্য কলঙ্কিত হবেন
 না। বিয়ের আগ পর্যন্তধৈর্য্য ধরুন। হ্যাঁ হয়তো একটি ছেলে ধরতে পারবে না আপনি সতী নাকি অসতী! কিন্তু বুকে হাত রেখে বলতে পারেন, আপনি অনুশোচনায় নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন?

Labels: ,

বাসর রাত ! প্রথমবার মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।


বাসর রাত
প্রেমের বিয়ে কিংবা বাবা-মায়ের ঠিক করা মেয়ের সাথে বিয়ে – অবস্থা যাই হোকনা কেন প্রথমদিকে যেকোনো মেয়ে লজ্জায় আড়ষ্ট থাকেবেই। বিশেষ করে পরিবারের ঠিক করা বিয়েতে অপরিচিত একজন পুরুষের সাথে একত্র বসবাস কেউ কি অতি সহজে নিতে পারবে? প্রথমবার শাররীক মিলনে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আপনি হয়তো দ্বিতীয় কিংবা পরের বারের মিলনগুলো খেয়াল রাখবেন না – কিন্তু প্রথম মিলন সব যুগলেরই মনে থেকে যায়। প্রথম মিলন আশ্চর্য্যজনক ভালো কিংবা ফ্লপ যাই হোক স্বামী-স্ত্রী প্রথম মিলনকে ট্রেজেডি হিসেবেই মনে রাখে।

সঠিক সংকেতের জন্য অপেক্ষা করুনঃ
প্রথম মিলন সর্বনাশা হতে পারে যদি মানসিক প্রস্তুতির সংকেত দেয়া-নেয়ায় ভুল বুঝাবুঝি থাকে। যেহেতু আপনারা দুইজনেই সারা জীবনের জন্য বিবাহের মাধ্যমে একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাই বাসররাতে কথা বলা কিংবা ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা এবং পরষ্পরের মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন। দুজন-দুজনের চিন্তা চেতনার একটি স্বরুপ জেনে নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না। আমাদের দেশে “বাসর রাতে বিড়াল মারা” বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। পুরুষ অনেকটা মরিয়া হয়ে যান নিজেকে বাঘ বলে জাহির করতে। কিন্তু বিড়াল মারার সুত্রটা আসলে আমাদের একপ্রকার ভুল ধারনার জন্ম দিচ্ছে। অনেক মেয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেনা – সেই অবস্থায় যদি স্বামী বিড়াল মারতে যায় তাহলে বিষয়টি রেপ করার মত হয়ে যায়। ( ইসলামের দৃষ্টিতে বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী শাররীক মিলন করা আবশ্যক , তবে মাসিক চলাকালিন সময়ে এটি করা গুনার কাজ । )  । তবে আপনি কিভাবে আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে স্বাভাবিক হবেন তা আপনার বিবেচনায় রাখবেন আগে থেকে।

জন্মনিরোধকের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুনঃ

প্রথমবারের শাররীক মিলনে বিবাহিত যুগলের জন্মনিরোধক ব্যবহার দুজনের জন্য সমানভাবে মঙ্গলজনক। হয়তো কনডম কিংবা খাবার বড়ি ব্যবহার না করার ফলে আপনাদের “যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ” কিংবা “গর্ভধারনের” ভয়ে মিলনের আসল আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। প্রথমদিন যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্য কনডম ব্যবহারই সবছে ভাল – যদিও এটি ১০০% আত্মরক্ষা মুলক নয়। তাছাড়া আপনার স্ত্রী হয়তো মা হবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। তাই বিয়ের পর পরষ্পরের শাররীক সমস্যার (যদি থাকে) ইতিহাস জেনে এবং সন্তান নেয়ায় দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী নিয়ন্ত্রনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।

কোন ভাবেই স্বয়ং-সম্পুর্ন মিলনের প্রত্যাশা করবেন নাঃ

৮০% থেকে ৯০% ক্ষেত্রে প্রথম মিলনে যুগলের বিন্দুমাত্রও সফলতা থাকেনা । তবে য়াদের শাররীক সমস্যা  আছে  , তারা  আগে ভাগেই চিকিৎসা করিয়ে  নিন । শাররীক মিলন যতটা না শরীরের; তার চেয়ে বেশি মানসিক মিলন। একজন মানুষ যখন অন্য মানুষের শরীর / ভাললাগার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুর্নমাত্রায় জানে – তখনি শুধু সুখকর যৌনমিলন সম্ভব। প্রথম মিলনে পরষ্পরের ভাললাগার অনুভুতিগুলোর সংমিশ্রন হয়না। তাছাড়া প্রথম মিলন সম্পর্কে পুরুষ/নারী এত বেশি দুশ্চিন্তা অথবা পুর্বপরিকল্পনা করে যে সে মূল কাজে এসে নার্ভাস হয়ে যায়। আর পরিকল্পনা অবস্থা/ব্যক্তি বেধে পার্থক্য হয় – তাই আগ থেকে করা প্ল্যান কার্যকর করা নাও যেতে পারে। তাই সময়ের সাথে চলুন। অন্তরঙ্গ মুহুর্তে অর্জিত ভাললাগাগুলো উপভোগ করুন। প্রথম রাতে আপনার প্রিয়জনের শরীর সম্পর্কে জানার চেয়ে বড় রোমাঞ্চকর আর কি হতে পারে। সম্পর্কে সময় দিন – পরষ্পরের শরীর সম্পর্কে যত জানবেন মিলন তত বেশি উপভোগ্য হবে।

গভীর নিঃশ্বাস নিনঃ
প্রথমবারের মত কারো সাথে শাররীক মিলন করতে গেলে চিন্তিত এবং অস্বত্বিতে পড়তে পারেন। আপনার শরীর এবং মনকে প্রশান্ত করার জন্য বড় করে নিঃশ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। ঠিকঠাক কাজ করার জন্য আপনার মস্তিস্কের প্রয়োজনীয় মাত্রায় অক্সিজেন দরকার। মানসিক চাপে ঠিকমত শ্বাস-প্রশ্বাস না নিলে অনেকগুলো সমস্যা যেমন মাথাধরা, মাথাব্যথা সহ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন। এটি খুবই লজ্জাজনক হবে যদি আপনি সামান্যতম যৌনমিলনও করতে না পারেন। স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিন – মনকে চিন্তামুক্ত রাখুন। প্রথম মিলেনে বিড়াল মারার আইডিয়া বাদ দিন। স্বাভাবিক আচরন করুন – আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে আছেন – যার সাথে আপনার সারাজীবন সামনে পড়ে আছে। প্রথম রাতকে স্বরনীয় করে রাখতে বিড়াল না মারলেও সমস্যা নেই। তাকে ভরসা দিন আপনি তার জন্য কতটা।

কোনভাবেই পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করবেন নাঃ

পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করা আপনার নিজের সাথে এবং আপনার সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করার শামিল। এটি হয়তো পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, কারন বস্তুত আপনি ভুল তথ্য আদান-প্রদান করেছেন “আপনার শরীর কি চায় এবং কিসে আপনাকে যৌন ক্ষুদার্ত করে তোলে?”

Labels:

পুদিনা-পাতার ওষধি গুণাবলি

পুদিনার পাতা
পুদিনার পাতা
আমরা সবাই কম-বেশি “পুদিনা পাতা” সম্পর্কে জানি, অনেক জানি না। তবে বেশিরভাগই মোটামুটি জানেন। তবেই পুদিনা পাতার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

কিন্তু মজার বেশি হল এটা সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জানলেও অনেকেই এটা দেখেন নি। আজ আমি আপনাদের জানাব এই ওষধি বৃক্ষ সম্পর্কে। চলুন আজ আমরা এই ওষধি গাছ সম্পর্কে জানব।

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে।

এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নাম— Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mentha Spicata। এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।

পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পুদিনার ভেষজগুণ

পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো

১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।

২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।

৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।

৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।

৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।

৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।

৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
তাহলে এবার থাকে বেশি করে “পুদিনা পাতা” ব্যবহার করুন আর নিজে ঠিক থাকুন।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels:

যেমন সহবাস বিপদজ্জনক!




যৌন মিলনের সময় নারীর ওপরে থাকা অনেকের কাছেই আনন্দদায়ক হলেও নতুন গবেষণা তথ্যানুযায়ী, এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

গবেষণার তথ্যানুযায়ী, মিলনের সময় নারী ওপরে থাকলে ভেঙ্গে যেতে গোপানাঙ্গের হাড়। সম্প্রতি ব্রাজিলের গবেষকদের প্রকাশিত অ্যাডভান্সেস ইন ইউরোলজি-তে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে জানা গেছে এ তথ্য।

গবেষকদের মতে যৌনতায় সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থান হলো ‘কাউগার্ল’ নামে পরিচিত একটি পজিশন। অনেকে একে ‘হর্সরাইডিং’-ও বলে থাকেন। এ পজিশনে নারী ওপরে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘কাউগার্ল’ পজিশনে যৌনতার সময় আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থানে পুরুষাঙ্গের হাড় ভাঙার সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি থাকে।

কাউগার্ল পজিশনে মূল সমস্যাটি হয় নিয়ন্ত্রণের ওপর। এ ক্ষেত্রে নারীর দেহের ওজন পুরুষাঙ্গের ওপর পড়ে, যার ফলে অনেক সময় সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ হয় না। ফলে এদিক-ওদিক হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অন্যদিকে সাধারণভাবে প্রচলিত যৌনতার আসনগুলো কিছুটা নিরাপদ। বিশেষ করে যে আসনে পুরুষের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাই একে নিরাপদ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

যৌনতার সময় যেসব আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে, সেগুলো এ গবেষণায় তালিকাবদ্ধ করা হয়। গত ১৩ বছরের পরিসংখ্যান এতে বিবেচনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আঘাতের ঘটনা ঘটে কাউগার্ল পজিশনে। এ অবস্থানে প্রায় অর্ধেক আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরের অবস্থান রয়েছে বহুল প্রচলিত ‘ম্যান অন টপ’ অবস্থান। এ অবস্থায় যৌনতায় ২১ ভাগ আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে।

যৌনতায় আঘাত পাওয়াদের গড় বয়স ৩৪ বছর। প্রাথমিকভাবে এ সমস্যায় পতিত ব্যক্তিরা হাড় ভাঙার মতো শব্দ ও যন্ত্রণার কথা জানান। এরপর সাধারণত ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যদি অবস্থার উন্নতি না হয় তখন তারা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।

সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম

Labels: ,